সরু গলি, চেনা রাস্তা শুধু টানে। যতবার এ-পথ দিয়ে ফিরি ততবার চোখ টেনে ধরি যতদূর যায়। সরব জনপথ, কেবল আমিই কাউকে দেখি না। নিথর আঁখি কাকে খোঁজে!... আজও স্পর্শের ঘ্রাণে দু'চোখ কেন্দবিন্দুতে খোঁপ গেঁড়ে বসে। দূরপথের যাত্রী, নেশাতুর চোখ, অদেখাক্লান্তি লেগে থাকে কপালের ভাঁজে। কাঁচা ঘুমের নেশায় ঢলে পড়ে চোখ। যাতায়াতের জন্য এই একটি মাত্র রাস্তা। গলির কাছাকাছি আসতেই মনের অগোচরে নেশা কাটে। চলন্ত বাসটাকে শক্ত খুঁটিতে টেনে ধরি মনে-প্রাণে। অব্যবহৃত সময়ের ফাঁকে কে কার জন্য দাঁড়ায়! সময়ের প্রয়োজনবোধ জনভেদে একেক রকম... চলন্ত যান তো তার গন্তব্যে পৌঁছবেই! একাত্মবোধ না হওয়ার কি কোন উপায় আছে?
লোকজন জটলা বেঁধে কি যেনো দেখছে; গলির খানিক পরে। হয়তো ক্যানভাস, কিংবা বাঁদুড়গণা, সাপের খেলাও হতে পারে। নয়তো কী? যে স্পর্শে আজো আমার দু'চোখ টেনে রাখে। গলি পার হতেই বুকের ভিতর কেঁপে কেঁপে উঠে শিখা হালকা-পাতলা গড়নের ঘ্রাণে!... যে হারায়, কিছুতেই ফিরানো যায় না। এছাড়া তার যাওয়াও না যাওয়াতেও কারো কিছু আসে যায় না। এতো মানুষ জটলা বেঁধে কি দেখছে? বাস থেকে নেমে পড়ার তুমুল আগ্রহ চেপে রাখি। তা কি হয়? আমাকে তো পৌঁছতে হবে...
'মধ্যাকাশে শুকতারা' আমার-তোমার এ নিয়ে কত ফ্যাসাদ। ধানক্ষেতের আইল মাড়িয়ে ক্লান্তিতে শ্যামনগরে পা রেখে কতবার বিমূখ হয়ে ফিরে গেছো! তখন ভাবলেও ততটা মর্ম বুঝি নি।... পরের সালে উপরের ক্লাসে যাওয়ার মত থরথর করে শুধু হরণ করেছো মনপ্রাণ। ভাগ্য কি কখনো ত্যাগ করে? প্রদাহ বড় যত্নে শিকড় গড়ে মন্দিরে। আনচান করে উঠে চারিপাশ। বাস থেকে বেশ কিছু যাত্রী নেমে পড়েছে। বেশ ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। জটলা বেঁধে সবাই কি দেখছে?
-------------------------------
-হামিদা আখতার
প্রতিটি দিন-ই হোক, একটি সুন্দর দিন
_
মন্তব্য
আপনার লেখা পড়ে মনে হল গদ্য কবিতা পড়ছি, অন্যরকম লাগল।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
পাঠের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
-
হামিদা আখতার
স্কুলজীবনের স্মৃতি কখনো কি ভোলা যায়?
ভালো লাগলো; অণুগল্প।
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
ধন্যবাদ আফসার
-হামিদা আখতার
নতুন মন্তব্য করুন