মা গো,
তুমি কি খুব অবাক হচ্ছ? তোমার বুড়ো খোকা তার মৃত মায়ের কাছে চিঠি লিখছে -- ছেলেমানুষি নয় তো কি?
কেন জানি হঠাৎ তোমার সাথে গল্প করতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে।
কিসের গল্প শুনবে মা? ডিএস ইতে শেয়ার কিনে এবার ভালো একটা প্রফিট পেয়েছি মা, আগেরবারের মত মেল্টডাউন হয়নি। ভালো করেছি না, কি বল?
আচ্ছা বাদ দাও। তুমি মনে হয় আগ্রহ নিয়ে শুনছ না। অন্য কি গল্প শুনবে বল। তোমার নাতনির কেচ্ছা শুনবে?
মৃদুলাটা খুব ...মা গো,
তুমি কি খুব অবাক হচ্ছ? তোমার বুড়ো খোকা তার মৃত মায়ের কাছে চিঠি লিখছে -- ছেলেমানুষি নয় তো কি?
কেন জানি হঠাৎ তোমার সাথে গল্প করতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে।
কিসের গল্প শুনবে মা? ডিএস ইতে শেয়ার কিনে এবার ভালো একটা প্রফিট পেয়েছি মা, আগেরবারের মত মেল্টডাউন হয়নি। ভালো করেছি না, কি বল?
আচ্ছা বাদ দাও। তুমি মনে হয় আগ্রহ নিয়ে শুনছ না। অন্য কি গল্প শুনবে বল। তোমার নাতনির কেচ্ছা শুনবে?
মৃদুলাটা খুব পাকা পাকা কথা বলতে শিখেছে। কাল রাতে ঘুম পাড়ানোর জন্য ওকে একটা রূপকথার গল্প শোনাচ্ছিলাম। রাজপুত্তুর আর তার মানুষরূপী ডাইনি মায়ের গল্প। গল্পের মাঝখানে তোমার নাতনি হঠাৎ আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলে, আর তারপর যেই না ডাইনিটা মানুষ সেজে রাজপুত্তুরকে চুমু দিতে যাবে, ওম্নি রাজপুত্র ইয়া বড় এক তলোয়ার দিয়ে ডাইনি মায়ের মাথাটা ঘ্যাচাং করে দিবে কেটে।
আমি অবাক হয়ে বললাম, মা রে, ধরে ফেলেছিস? তোর তো অনেক বুদ্ধি।
মৃদুমামণি বলল, হুম, অনেক বুদ্ধি। আচ্ছা বাবা, তুমি রোজ রোজ এই পচা গল্পটা কেন বল? তোমার কি মাথা খারাপ?
হেসে বলি আমি, হ্যা রে মা। আমার মাথা খারাপ। অনেকখানি খারাপ। আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন তোর বিয়েপাগলা দাদু একদিন কোত্থেকে এক ডাইনিকে হাজির করে আমাকে বলে, খোকন সোনা, তোর আগের মায়ের মত এই নতুন মাকেও ভালোবাসিস। সেই থেকেই আমার মাথা খারাপ।
মৃদুলা অত কথা বুঝে না। বিরক্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
আচ্ছা মা, তুমি তো ওপর থেকে সব দেখ। একটা প্রশ্নের ঠিকঠিক জবাব দাও তো। ছেলেবেলায় মাস্টারবাড়ির পুকুরটায় আমি যেদিন ডুবে মরতে বসেছিলাম, সেদিন আসলে কে আমাকে বাঁচিয়েছিল? সবাই যে বলে, ডাইনিটাই নাকি বাঁচিয়েছিল! রমিজ চাচা বলে, বিন্তির মা বলে, তোমার স্বামীমহাশয় বলেন। উনি তো বলবেনই। ডাইনিটা সবাইকে মন্ত্র পড়ে বশ করে ফেলেছে যে!
সোলেমান মাঝি পর্যন্ত বলত, ওরে আভাইগ্যা, এক মায়েরে খাইসোস, এই এত সোহাগী মায়েরে আর কত কষ্ট দিবি?
ওরা কেন বুঝতে চাইত নাগো মা, তুমি ছাড়া আমার আর কারো সোহাগ দরকার নেই। একটুও নেই।
একদিন চোখ রাঙিয়ে ওই ডাইনিকে বলেছিলাম, তুই রাক্ষস, তোর বাচ্চা হবে আরেকটা রাক্ষস। তখন আমি পট করে ওর গলা টিপে দেব, দেখিস।
ওই ভয়েই তো দানবীটা আর বাচ্চা নেয়ার সাহস পেল না। অথচ দুনিয়ার মানুষ কি বোকা দেখ মা, সবাই ভেবে বসে রইল, পাছে সৎ ছেলের প্রতি যত্ন-আত্তি কমে যায়, এই জন্যেই নাকি রাক্ষসীটা ইচ্ছে করে নিজের সন্তান নেয় নি।
হেসে বাঁচিনা।
মা, তোমার সাথে হড়হড় করে এত কথা বলছি, তুমি বিরক্ত হচ্ছ না তো? আচ্ছা যাও, আর বকবক করব না। খুশি?
--ইতি
তোমার মহাবাঁদর পুত্র
পুনশ্চঃ
ডাইনি বুড়িটার কি জানি একটা রোগ হয়েছে। এখন হসপিটালে। কোমায় আছে। ডাক্তার বলেছে, হোপলেস। লাইফ সাপোর্টিং মেশিনটা বেহুদা খেটে চলেছে। আমি একবার ভাবলাম, ডাক্তারকে বলি, খুলে ফেলেন মেশিন। বলতে পারলাম না। বিছানায় শোয়া বুড়ির মুখটা কেন যেন দেখাচ্ছিল ঠিক তোমার মত মা।অবিকল তোমার মত।
চোখের ভুল আরকি। হ্যালুসিনেশান।
চলুক নাহয় মেশিন। দেদার বিল উঠছে মিনিটে মিনিটে। কি আর করা ?
--ইতি
-----------------------
চিঠিটা হাতে নিয়ে অনেকক্ষণ বসে রইলাম। ছিঁড়ে ফেলব কিনা বুঝতে পারছি না। চিঠিটায় অল্প একটু মিথ্যা আছে।
মেশিনটা আসলে খুলে ফেলা হয়েছে। কাল রাতেই।
মা গো, এত মিথ্যুক একটা ছেলের জন্ম তুমি কেমন করে দিলে?
সাত্যকি
মন্তব্য
চমৎকার লেখা!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আপনার এই উৎসাহটুকু আমার মত নবীন লেখকদের কাছে যে কি ভীষণভাবে প্রার্থিত !
সাত্যকি
তোর গল্পগুলো পড়লে আমার মাথায় দুটো বিশেষণ কিলবিল করতে থাকে।
"ভয়াবহ" এবং "সুন্দর"। ভয়াবহ সুন্দর
---আশফাক আহমেদ
অক্ষণি প্রশংসা থামা। আনন্দের চোটে আমি আমার বাসার সবগুলা গ্লাস ভেঙে ফেলেছি। নেক্সট টার্গেট তোর বাসারগুলা।
সাত্যকি
কি বলি? ভাষায় তো নাই। মা-বাবাকে নিয়ে লিখা প্রতিটা গল্পই যেন ভীষণ রকম আলাদা। সেই একই আদর, একই ভালবাসা, একই মায়া, একই স্নেহ, একই রকম অনুভূতি, তাও যেন কি একটা আলাদা রকম ব্যাপার থাকে প্রতিটা গল্পে। হয়তো সন্তানদের মা বাবার প্রতি যে ভিন্ন ভিন্ন রকমের ভালবাসার প্রকাশভঙ্গি তাতেই সেই জাদুর ছোঁয়াটুকু লুকানো।
খুব ভাল লাগলো।
দৃশা
একটা মজার ঘটনা শোনেন আপু।
রাতে গল্পটা সচলে পোস্ট করে ঘুমাতে গেছি বিরাট টেনশন নিয়ে। স্বপ্নে দেখলাম, আমি বিরাট জনপ্রিয় লেখক হয়ে গেছি। ফেসবুকে সবাই Add Request পাঠাচ্ছে। হুলস্থূল ব্যাপার।
সকালে উঠে দেখলাম, হায় হায়, আমার গল্প কই? মডুদাদা আটকে দিয়েছে নাকি?
আসলে উত্তেজনায় তখন "সংরক্ষণ" বাটনে ক্লিক করতেই ভুলে গিয়েছিলাম। কি কান্ড !
সাত্যকি
বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাইলেন ক্যান দাদা ? আপনি পচা লোক
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ।
সাত্যকি
অতীব সুন্দর।
আপনাকে ১০১ বার ধন্যবাদ।
নাম লিখলেন না দেখে কঞ্জুসের মত ধন্যবাদ দিলাম।
সাত্যকি
চমৎকার...
_________________________________________
সেরিওজা
খুব ভাল্লাগছে তোমার প্রশংসা পেয়ে ভাই। (আমি তোমার সাথেই পড়ি, তাই 'তুমি' করে বললাম)
সাত্যকি
সবাই আমারে খালি বুড়া আঙ্গুল দেখায় ক্যান? খেলুম না।
সাত্যকি
বাবা!!তোমার লেখা পড়ে আমি মুগ্ধ!!চমৎকার হয়েছে লেখাটা!
থ্যাঙ্কু অর্চি
কিন্তু তুমি সবার সামনে আমারে বাবা ডাকতেছ, মানুষ তো ভাববে আমি বুঝি সত্যি সত্যি একটা বুড়া লোক, এবং আমি এক স্ত্রী এবং একগন্ডা পিচ্চির মালিক।
সাত্যকি
ভাল লাগল। লেখালেখি জারি থাকুক।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
পাঠকের ভালোলাগাই আমার ভালোলাগা ভাই।
সাত্যকি
চমৎকার লেখা।
কাকস্য পরিবেদনা
ইস, এত্তো এত্তো কম্পলিমেন্ট !
ওরে, আমি কি হনু রে
সাত্যকি
বাবা খুবই দারুন। প্রশংসা করার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না ।
ভাষার বিহিত পরে করা যাবে। আগে কও তোমার আসল নাম কি !
আর তুমিও 'বাবা' 'বাবা' ডেকে আমারে অপদস্থ করার ফিকির খুঁজতেছ?
তবে রে হতভাগা!
অফ টপিকঃ সবাইরে সবিনয়ে জানাইতেছি, আমি কিন্তু আসলেই বাবাটাবা গোছের কিছু না। বন্ধুরা ক্যান যে আমারে এই নামে ডাকে !
সাত্যকি
গল্প দারুণ হয়েছে। লেখা চলুক।
সজল
সজলদা,
আমি দুরুদুরু বুকে অপেক্ষা করছিলাম, আপনি এই লিখাটায় কোন কমেন্ট করেন কিনা।
একবার ভাবলাম, আপনাকে লিংক পাঠাই। পরে ভাবলাম থাক। বেহায়াপনার তো একটা সীমা আছে, নাকি ?
সাত্যকি
জয় বাবা সাত্যকি।।
লেখায় জাঝা।। চমৎকার।।
_______________________________________________
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???
আবার বাবা ! আমি তো দুঃস্বপ্নেও এখন বাবা বাবা ডাক শুনব !
উৎসাহের জন্যে আপনাকে অনেক অনেক (কি ? বলেনতো ?)
সাত্যকি
অসাধারন!
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
টিউলিপদি, আপনাকেও ধনেপা ...... (আরে, ধনেপাতার ইমো গেল কই ?)
সাত্যকি
সাত্যকি, লেখার ট্যাগ গল্প, গল্পই যেন হ্য় । সত্য হলে বুক ভেঙ্গে যাবে কষ্টে…এমন ডাইনি বেঁচে থাক অনন্তকাল ।
আপনার লেখার প্রশংসা করব না, ভাই । সব কিছুর প্রশংসা হয় না । ভাল থাকুন । ভাল থাকুক আপনার মা, যেখানেই থাকুন । হোক তা এই ধূলার পৃথিবীতে, অথবা অন্যলোকে…
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
দিদি,
হাইস্কুলে আমার এক বন্ধু ছিল। মলয়।
টেস্টের রেজাল্টের দিন মলয়ের মা হাউমাউ করে কান্না শুরু করে দিল। দুঃখে। ছেলে সেকেন্ড হয়েছে।
সবাই বুঝাল, ওটা তো গ্রেডিং সিস্টেম। মার্কিং সিস্টেমে ছেলে ফার্স্ট।
এইবার আবার তার কান্না। আনন্দে।
এই মা কিন্তু সত্যি সত্যি মা না। সত্যি মা মরে গেছে। এই মা সৎ মা। ডাইনি বুড়ি।
তাকে ভেবেই গল্পটা লিখা।
ডাইনি মা, আপনি যেখানেই থাকুন, ভাল থাকুন। আর কি বলব?
সাত্যকি
দুর্দান্ত লেখা! পড়ে খুব মুগ্ধ হলাম। লেখাটা আরো একটু কলেবরে বড়ো হলে আরো ভালো হতো বলে মনে হয়। আপনি যদি সুহানের সহপাঠি হন তাহলে তো খুবই অল্পবয়স্ক, বালকই বলা যায়। এই বয়সে এমন লেখেন দেখে বিস্মিত হলাম।
গল্পটা এমনিই চমৎকার, তারুপরে এখানে এবং অন্যান্য কোন সূত্রে যখন জানা যায় আমি নিজেই লেখকের সহপাঠি; তখন ভালো লাগাটা আরো বেশিই হয় কিন্তু।
কিন্তু, ইয়ে, মুলোদা ...
মানে, এইসব মুরুব্বিয়ানা ছেড়ে দিলে হতো না ??
_________________________________________
সেরিওজা
এই মওকায় বলে যাই সুহান আমার সহপাঠী হলেও ওর বয়স আমার থেকে পাক্কা দুমাস বেশি। সুতরাং সুহান বালক হলে আমি নেহায়েতই নাবালক
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
আপনার মুগ্ধতার প্রত্যুত্তর আমার জানা নেই।
লিখাটা ছোট বলছেন? আমি তো ভয় পাচ্ছিলাম লিখাটা অত বড় হয়ে যাচ্ছে ক্যান? মানুষ তো অর্ধেক পড়েই হাই তুলবে।
আর বালক বলছেন! আমার মা শুনতে পেলে তো বিয়েটা আরো বিশ বছর পিছিয়ে দেবে।
সাত্যকি
যাক আপনারা তাহলে বয়োবৃদ্ধই না হয়, সুহান তো দেখলাম এক রকম খেপেই গেছেন! কিন্তু সে সব অন্য কথা, লেখাটা চমৎকার সেটা বয়স-নিরপেক্ষ ভাবেই সত্যি।
অনন্ত
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আপনি আরও লিখুন। আপনার আরও অনেক অনেক পরিপক্ক লেখনীর গল্প পড়ার প্রত্যাশায়...।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
প্রত্যাশার কথা শুনলেই ভয় লাগে? কি জানি? পারব তো?
সাত্যকি
দারুণ লেখা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক ধন্যবাদ,অনেক ।
সাত্যকি
একটু সময় নিয়ে পড়বো বলে কাল পড়িনি। আজ পড়ে মনোভাব না জানিয়ে যেতে পারছি না। কারুর লেখায় মন্তব্য করা আমার হয়ে উঠে না খুব একটা। তবুও ইচ্ছে হলো আপনাকে কিছু একটা লিখি। কিন্তু সেই কিছু একটা-টা যে কি, তা বুঝে উঠতে পারছি না
যাই হোক, শুধু বলে যাই ভালোতে থাকুন। আলোতে থাকুন।
সাবরিনা সুলতানা
ভালো বিপদে ফেললেন দিদি।
আপনি তো শেষ পর্যন্ত "একটা কিছু" লিখে ফেললেন। এখন আমি লিখার মত "আরেকটা কিছু" কই পাই?
সাত্যকি
কী চমৎকার! [এর বেশী কিছু আমার অপরিপক্ক মাথায় এলো না! ]
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এইটুকু প্রশংসা পেয়েই আমি ধন্য। মহা মহা ধন্য।
সাত্যকি
অন্যরকম ভাবনার দারুণ লেখা। আরো অনেক লিখুন
পরীক্ষার পড়া বাদ দিয়ে কম্পিউটারের সামনে বসে এইসব লিখে বেড়াচ্ছি দিদি।
আমাকে উৎসাহ না দিয়ে একটা রাম-ধমক দ্যান।
সাত্যকি
তুমি কি কিশোরগঞ্জে পড়তা হাই স্কুলে???
বিশ্বাস করবা কিনা জানি না , সৎ মা নিয়ে গল্পটা পড়ার সময় আমার ওখানকার ঠিক এমনি একজনের কথা মনে হচ্ছিল - সৎ মা হয়েও ছেলেকে অসম্ভব আদর করেন - রীতিমত দৃষ্টান্তমূলক একজন "মা" উনি ঐ শহরে।
হুম।
কার কথা ভেবে গল্পটা লিখা, এক মন্তব্যে আমি সেটা লিখেছি। তোমার নাম জানতে পারলে ভালো লাগতো।
সাত্যকি
ঐ মন্তব্য দেখেই জিজ্ঞেস করলাম তোমাকে।
আন্টির কথা মনেছিল, কিন্তু তার ছেলের নাম মলয় কিনা কনফার্ম ছিলাম না দেখে ঐ প্রশ্ন করেছিলাম।
আর ফেসবুক থেকে এই লিঙ্কে আসছিলাম- কিন্তু লেখক কে তখনো ঠিকমতো খেয়াল করি নাই-তাই বোকার মতো প্রশ্ন করেছিলাম।
পরে অবশ্য দেখলাম তুমি সেই বিখ্যাত 'জয়'!
বুয়েটে ভর্তি পর পর তোমার নাম-ও ব্যাপক শুনতে হইছে কিশোরগঞ্জ গেলে।
আমি তৃণা।
*** গল্পটা ব্যাপক সুন্দর হইসে। আর যাকে ভেবে লিখা -উনার মত এমন একজন অসাধারণ মানুষকে আমিও চিনি জানার পর আরো ভাল্লাগ্লো।
এই লেখাটা কীভাবে চোখ এড়ালো কালকে বুঝি নাই... দারুণ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভালৈসে
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ভাল্লাগসে। আরো ল্যাখেন।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
বাহ বেশ লেখেন তো আপনি। আরো লিখবেন কিন্তু।
-------------------------------------------------------------------------------
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
এইটুকু কথার কোথায় যেন এক টুকরো স্নেহ খেলে গেল !
আমার বোঝার ভুল কি!
সাত্যকি
নতুন মন্তব্য করুন