রাত হলে যখন কোন মানুষ থাকে না রাস্তায় তখন রাস্তাগুলো নদী হয়ে যায়। কেউ চলে আসলেই আবার নিথর পীচের শরীর। তবে কেউ কেউ মাতাল হলে নদী দেখতে পায়। আমি মাতাল না হয়েও মাঝে মাঝে দেখি। এই যেমন এখন একটা নদীর পারে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতেছি বাসের জন্য। প্রতিদিন দিনের দৈর্ঘ্য কমে আসছে। সাড়ে পাঁচটা বাজতেই সন্ধ্যার মুখে চুনকালি পড়ে আর ৮টা বাজতেই রাস্তাগুলা নদী। দিব্যদর্শী মাতালেরা ছাড়া কেউ নাই রাস্তায়। আর এই শহরের বিরক্তিকর একটানা বৃষ্টি তো আছেই। চোখের সামনে দিয়ে হুস হুস করে গাড়িগুলো যাচ্ছে, বাসের কোন পাত্তা নাই। বাসস্টপের ছাউনিতে দাঁড়িয়ে আছি বলে বৃষ্টি গায়ে লাগছে না, তবে শীতল বাতাসে কেঁপে কেঁপে উঠছি মাঝে মাঝে।
১৯ নাম্বার বাস ধরব, হ্যারল্ডস ক্রস যাইতে হবে। আমার সদ্য অতীত হওয়া বাসস্থানে। ফেলে আসা কিছু জিনিস আনতে হবে। ফেলে আসা সবকিছু আনা যায় না। অই বাসার চাদরটা এই নতুন বাসায় বিছালে ঠিক সেই চাদরটা আর পাওয়া যায় না। কিছু একটা বদলে যায়। আমার পুরনো বাসস্থানের গন্ধটা ভাবনায় জমাট বেধে উঠতে উঠতে তার ভেতরে এক সুন্দরী তার লম্বা পা ফেলে ঢুকে পড়ে। গায়ে জিন্সের জ্যাকেট আর জিন্সের স্কার্ট। হাঁটু পর্যন্ত মোজা আর হাঁটু থেকে খানিকটা উরু অনাবৃত। সুন্দরীর শীত লাগে না? আমিই একটু কেঁপে উঠি আবার। বাসস্টপের দুই সাইড ঘেঁষে দুইজন দাঁড়ায় থাকি। আমি আবার চিন্তারাম দারোগাবাবুরে আমার পুরান বাসার রাস্তা দেখানোর ট্রাই করি। রাস্তার মধ্যে এক উজ্জ্বল উরুওয়ালা পরী আইসা দাঁড়ায়। উরু তার ফ্লুরোসেন্ট আলোর মতোন জ্বলে আর তার পিঠে জিন্সের পাখা। জিন্স থেকে চোখ সরায়া নেই। তারে এমনে দেখা ইনডিসেন্ট লাগে নিজের কাছেই। বাস আসার লক্ষণ নাই। আমার অবশ্য এই শহরে সবকিছুই দেরিতে। আমি খোদ এই শহরে তিনদিন লেট। বাসের আর কি দোষ। দূর থেকে দেখি ১৬ নাম্বার বাস আসতেছে। ১৬ নাম্বারে করে সিটি সেন্টার গিয়ে সেখান থেকে ১৯ -এ ওঠা যায়। এইটা একটা অপশন। ১৬ নাম্বারের পিছন পিছন একটা ১৯ এর মাথাও দেখা যায়। ১৬ তে ওঠা এখন আর আইডিয়ালি অপশন হিসেবে গন্য করা উচিত না। যাহার তরে এতো অপেক্ষা সেই ১৯ চলে আসছে। তাও অইটা অপশন হিসেব করতে হইতেছে তার কারণ সুন্দরীর নড়াচড়া দেখে মনে হইতেছে সে ১৬র যাত্রী। তার পিছন পিছন ১৬ তে উঠে পড়া যায়। তাতে আমার বস্তুগত কোন লাভালাভ নাই। তার সাথে কথা বলতে যাব এই সাহস আমার নাই, কথা বললে সে আপ্লুত হয়ে আমাকে তার বাড়ি নিয়া যাবে সে সম্ভাবনাও শূণ্য। তারপরও কাটা পড়া ঘুড়ি ধরার আশায় ক্ষুদ্রতম যে বালকটি অহেতুক দৌড়াইতে থাকে তার মতো মেয়েটার পিছে পিছে ১৬তে উঠি। বাসে আমি সাধারনত দোতালায় উঠে সামনে থেকে ডানদিকের দুই নাম্বার সিটে বসি, জানালার পাশে। এইটার কোন কারণ নাই। বসতে বসতে অভ্যাসমতো হয়ে গেছে। একরকম মালিকানাবোধ আসছে সিটটার ব্যাপারে, বসে স্বস্তি পাই। দোতালা খালি থাকে এই সময়। এখনো খুব কম মানুষজন। এখন সুন্দরী যে সিটে বসল তার এক সিট পরে বসি, বাসের মাঝামাঝি। হা কইরা তো আর তাকায়া থাকা যায় না, ব্যাগ থেকে পেপার বের করে সুডোকু মিলানোর চেষ্টা করতে থাকি। আপনার কি খেয়াল আছে যে আমি খানিক আগে বলছিলাম যে এই শহরে খোদ আমিই তিনদিন লেট? আপনার এই ব্যাপারটা জানা দরকার। মহাত্মা পাঠক, আমি কিন্তু আপনারেই বলতেছি, গল্পের কোন চরিত্রকে না। অবশ্য গল্পে চরিত্রই আছে এখন পর্যন্ত আমি আর জিন্সের ডানাওয়ালা পরী। বাস নাম্বার ১৬-ও গল্পে আছে, অথবা বলা ভালো ১৬ নাম্বার বাসেই এই মুহূর্তে গল্পখানা আছে। বাসের অল্প কিছু যাত্রী গল্পের আশেপাশে বইসা আছে আর বাস নাম্বার ১৯ গল্পের পিছন পিছন আসতেছে- যে কোন সময় ঢুকে পড়বে। এইরকম পরিস্থিতিতে আপনার জানা দরকার আমি কেন এই শহরে তিন দিন দেরিতে পৌছানো আগন্তুক। কারন হইল দুপুরের খাবার। আমার প্লেন ছিল বিকাল ৫টায়। সেদিন সকালেই আমি ভিসা সংগ্রহ করছি। সকালে এক বন্ধু যে রেস্টুরেন্টে কাজ করে সেখানে লাগেজ রেখে আসলাম। তারপর ভিসা নিতে নিতে দুপুর। লাগেজ নিতে রেস্টুরেন্ট গেলাম। বন্ধু বললো খায়া যা। প্লেন কখন না কখন পৌঁছায়। আমি কইলাম আচ্ছা। মাগনা লান্চ বলে কথা। সেই লান্চ করে বিমানবন্দরগামী বাসে উঠতে গিয়ে দেখি ভীষন ভীড়। লাইনে এক ঘন্টা দাড়িয়ে বাসে উঠা গেল। কোন এক বিচিত্র কারনে রাস্তাতেও চরম ট্রাফিক। আমি বিমানবন্দরে পৌছাতে পৌছাতে প্লেন আকাশে উড্ডীয়মান। আমি তিনদিন পর আরেকটা ফ্লাইটের টিকেট করে ফিরে আসলাম। আসতে আসতে দুপুরে খাওয়া জীবনের সবচাইতে দামি অথচ মাগনা লান্চ হজম হয়ে গেল। তিনদিনের জন্য উঠলাম আরেক বন্ধুর রুমে। রাতে বন্ধু বলল দাদা দেবাগনের কথা।
তোরে তো আসল ঘটনা বলা হয় নাই। গুরুর সাক্ষাত পাইসি।
গুরু কেডা?
গুরু হইল দাদা। সে আমাদের ভার্সিটিতে ভর্তি হইছে এই সেমিস্টারে। লাইব্রেরির সামনে তার লগে আমার আলাপ। ব্যাপক ইতিহাস তার।
হু.. ইতিহাস বয়ান কর।
তার নাম আছিল ডেভিড। সে হইল আমেরিকান। সে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলে থেইকা ফিজিক্সের উপর মাস্টার্স করসে, তারপরে সে এমআইটি-তে পিএইচডি করতেছিল কোয়ান্টাম ফিজিক্স নিয়া। তখন তার এক ভারতীয় সাধুর সাথে পরিচয় হইল। সাধুর কথা শুইনা সে বুঝলো সে কিরম অর্থহীন জীবন কাটাইতেছে। তারপর সে পিএইচডি করা বাদ দিয়া কলকাতার কাছাকাছি এক আশ্রমে চইলা গেল।
তাইলে সে এখন সুইডেন আইসা ঠেকল ক্যামনে?
এইখানে তাদের আশ্রমের একটা শাখা আছে। সে সেইখানে গত তিন বছর ধইরা রুটি বানায়। তার গুরু তারে বলছে অনেকদিন রুটি বানাইছো, এইবার একটু পড়াশোনা কর আবার। সে তাই মাস্টার্স করতে ভর্তি হয়া গেছে।
বন্ধু আরো নানা ঘটনা বলল। তারপর কইল- তোর তো কামকাজ নাই, দাদার ফোন নাম্বার দিতাছি। কালকে গিয়া দেখা কইরা আয়।
ফ্লাইট মিস কইরা আমি যারপরনাই হতাশ। তার মধ্যে দাদা-র ব্যাপক ইতিহাস তেমন কোন সেনসেশান তৈরি করল না। তাও বন্ধু যখন বলল তখন মনে হইল যাওয়া যায়, আমার আসলেই কোন কাজ নাই। পরের দিন আমি গেলাম। দাদা আসলেন। শীর্ণ চেহারা, হালকা খয়েরি রঙের দাড়ি- কিন্তু মুখে এক ধরনের উজ্জ্বলতা আছে। সে হুজুর হইলে ইহাকে নূরানী চেহারা বলা হইতো।
দাদা প্রথমে ব্রহ্মা নিয়া কথা বলল। সগুণ ব্রহ্মা আর নির্গুণ ব্রহ্মা। যেই বিন্দুতে সগুণ আর নির্গুণ মিলছে সেই বিন্দুর কথা। কুন্ডলীনির কথা। চক্র কি। চেতনার স্তরের বর্ণনা। কিছু বুঝলাম, বেশিরভাগ বুঝলাম না। আমি অনেকক্ষণ শুইনা বেসিক প্রশ্নটাই করলাম- দাদা আপনার ঈশ্বরবিষয়ক ধারনা কি? দাদা কিছুক্ষণ চোখ মিটমিট করল। তারপর কইল- ঈশ্বর তো একরকম ডেইটি। ধর্ম যেই ঈশ্বরের কথা বলে তার সাথে আমি যেই ব্রহ্মার কথা বললাম তার ধারণাগত পার্থক্য আছে।এরপর দাদা কোয়ান্টাম ফিজিক্স নিয়া কি কি জানি বলা শুরু করলেন। আমি তেমন কিছু বুঝলাম না। আমার বুঝের সারাংশ হইল- কোন একটা অতি ক্ষুদ্র কণা যেইটা নিজে কণা না তরঙ্গ এইটা নিয়া কনফিউশানে থাকে সেইটার কনফিউশানের মিমাংসা হওয়ার জন্য অবজার্ভার থাকা প্রয়োজন (ডিসকভারি-র কল্যানে এইটা আমি জানতাম)। নাইলে তার দুইরকম অস্তিত্বই সমানভাবে সত্য থাকে। অনিশ্চয়তা জগতের একটা মৌলিক ব্যাপার, কিন্তু আমাদের চারপাশের দুনিয়াতে অনিশ্চয়তা নাই- ঘটনা একটাই ঘটে, সত্যের একরূপই আমরা দেখি (এইরকম পুরাপুরি আসলে উনি বলেন নাই, আমি অতি সরলীকরণ করলাম কারণ তার কথা আমি বুঝি নাই)। তার মানে একজন অবজার্ভার আছেন। বিজ্ঞানীরা কে এই অবজার্ভার এইটা নিয়া কোন কথা বলে না। মূল কথা গিয়া দাঁড়াইল যে আমাদের জীবনে অনিশ্চয়তার উপস্থিতির অভাব একজন সর্বদ্রষ্টার অস্তিত্বের জানান দেয়। তাকে সৃষ্টিকর্তা বলা যায় কিনা, সর্বশক্তিমান কিনা সেই প্রশ্নে মুলতুবি। দাদা আরো অনেক কথা বলল। এর মধ্যে এক রাশান মেয়ে আলোচনায় ঢুকে পড়ল এবং কোনকিছু শোনার আগেই গম্ভীর মুখে প্রশ্ন করল- তাহলে মৃত্যুর পর কি হয়? আমার ততোক্ষণে তীব্র ক্ষুধা পেয়েছে। আমি দাদারে বললাম দাদা চলেন ম্যাকডোনাল্ডস থেকে খেয়ে আসি। দাদা আমার দিকে অত্যন্ত আহত দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন- তুমি জান এইসব খাবার খাওয়া কত খারাপ? তুমি আজকে থেকেই ভেজিটেরিয়ান হয়ে যাও।
দুইদিন পর আমি এয়ারপোর্ট পৌঁছাইলাম ফ্লাইট এর সময়ের তিন ঘন্টা আগে। এই সময়টুকুতে দাদার কথাবার্তা নিয়া চিন্তা করা গেল। বেচারা সর্বদ্রষ্টার ‘পড়ে না চোখের পলক’ কন্ডিশনে অনন্তকাল থাকতে হয়। এক মূহুর্তের জন্যও তিনি নয়ন মুদিলে কিরকম হুলুস্থুল লেগে যেতে পারে সেটা চিন্তা করার চেষ্টা করি। আহা, যা যা সত্য হতে পারতো কিন্তু হয় নাই তার সবই তখন কি সত্য হইতো? ভাল হতো তো- দ্রষ্টা ভদ্রলোক না থাকলেই ভাল হতো। কতোকিছুই তো সত্য হতে পারতো এই জীবনে… কতোকিছুই। এই পৃথিবীর ঋণ রক্ত সফলতা- সত্য তবু শেষ সত্য নয়… কলকাতা একদিন কল্লোলিনী তিলোত্তমা হবে, তবুও তোমার কাছে আমার হৃদয়। সেদিনের শেষ সত্য যেটা হইল সেটা হল শেষ পর্যন্ত সেদিনের ফ্লাইট ২ ঘন্টা ডিলে ছিল।
আমার সেই যে ডিলে হওয়া শুরু, আর থামাথামি নাই। এই যে সুন্দরীর পিছন পিছন ১৬ নাম্বারে উঠে পড়লাম তাতে আবার দেরি হয়ে যেতে পারে। সিটি সেন্টারে নেমে যদি পেছনের ১৯ নাম্বার ধরতে না পারি তাহলে আবার আধা ঘন্টা অপেক্ষা। সিটি সেন্টারে বাস থামলো, সুন্দরীর পেছন পেছনই নামতে থাকি। তার আপাত গন্তব্যও এখানে। বাস থেকে বের হয়ে তার পেছন পেছন যাওয়ার ক্ষীণ ইচ্ছা দমন করে ১৯ ধরার জন্য একটা ছোট্ট দৌড় দেই। বাস দাঁড়ায়া আছে। স্বস্তির একটা নিঃশ্বাস ফেলে পরীর রাহুমুক্ত আমি দোতলায় উঠতে থাকি। আমার সচরাচর সিটখানি খালি থাকার কথা। পুরা দোতালা খালি থাকলেও এখন ওই সিটটা খালি পাই না। ওই সিটে আমি বসে আছি। আমি আমার পাশের সিটে বসি। পছন্দের জায়গায় বসতে না পারার আফসোস ও পছন্দের জায়গায় বসতে পারার স্বস্তি নিয়া আমি হ্যারল্ডস ক্রস-এর দিকে যাইতে থাকি। ভাবি আমি কি এখন জিন্সের ডানাওয়ালা পরীর পেছন পেছন হাঁটতেছি কোন রাস্তায়?
-ইকথিয়ান্ডার
মন্তব্য
ধুর ভাই সব স্নো এর মতো উরে গেলো...কিছুই বুজলাম না...!!!
tofayel71@gmail.com
স্নো কি? বরফ? বরফ ক্যামনে উড়ে? ...কিছুই বুজলাম না...!!!
পড়ছেন এইটাই বড়ো কথা.. ফালতু গল্প বুইজা কাম নাই..
-ইকথিয়ান্ডার
এই যে মৎস্যকুমার ইকথিয়ান্ডার,
স্নো মানে তুষার। রোদ উঠলে গরম হয়ে গলে যায়। তারপরে উবে যায় বাষ্প হয়ে।
তারেই কয় উড়ে যাওয়া।
তবে ব্লিজার্ডে পড়লে দেখবেন বরফও উড়ে,
লেখা চমৎকার। আপনের ঐ দাদা কিসু গুল দিসে। অবজার্ভেশনের আগে কোয়ান্টাম কণারা থাকে নানা সম্ভাবনার লিনিয়ার কম্বিনেশন হিসাবে। অবজার্ভ করামাত্র কোলাপ্স করে একটা নির্দিষ্ট স্টেট নেয়। আর বেচারার অন্যান্য সম্ভাবনাগুলোর কী হয়?
মালটিভার্স ধারণার লোকেরা কন, সবই বাস্তবায়িত হয়, ভিন্ন ভিন্ন জগতে। এই যে আপনি, আপনার বহু বহু কপি হয়ে যায় একেকটা ডিসাইসিভ পয়েন্টে, কোনো জগতের আপনি ফ্লাইট ডিলে হয়ে রাশান সুন্দরীকে মিট করেন ও ক্রমে ক্রমে জপিয়ে বিয়ে করে ফেলেন।:-) কোনো জগতে ফ্লাইট ডিলে হয় না, ঠিক সময়ে বিজনেস মিটিং করে ফেলে আপনি বিলিওনিয়ার হয়ে যান।
মালটিভার্সের বিরোধীদলের ধারণা আরো সাংঘাতিক। হিডেন ভেরিয়েবলের ধারণা। সে কিসুই বুঝা যায় না।
আসলে যে কী হয় কেজানে!
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
মোরা গ্রামের মানুষ, স্নো শুনলে মাথায় তিব্বত কোম্পানির ত্বকচর্চার টিউবের ছবি আসে আগে
ব্লিজার্ডে পড়ছি গো, আর কইয়েন না.. বরফ তো বরফ, আমি যে উইড়া যাই নাই সেইটাই বেশি
দাদা মনে হয় গুল দেয় নাই, সে সত্যি সত্যই জ্ঞাণী লুক... আমি আসলে তার কথাবার্তা ফিল্টারিং কইরা নিসি আমার প্রিকনসেপশান দিয়া.. এর কিছুদিন আগে 'হোয়াট দ্য ব্লিপ ডু উই নৌ' দেখছিলাম তো.. মাথায় এইসব সিউডুসায়েন্স আগে থেইকাই আছিল...
মালটিভার্স নিয়া একটু পড়াশোনা করা দরকার.. আপনার কথাগুলা পইড়া মজা পাইলাম..
এই দাদার কথা আগেও কই জানি পড়সি মনে হইলো...
কন কি??!! দাদায় এতো ফেমাস লুক নাকি?? আগে জানলে অটোগ্রাপ লইতাম
ভাল্লাগছে, আরো লেখেন।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
শুকরিয়া... লেখুম্নে ...
খানিক খানিক মাথার উপর দিয়া গেল। যাহোক লিখতে থাকেন।
ধন্যবাদ ..
চালু...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শুকরিয়া ধুগোদা... এই আঙ্গুল প্রদর্শনী আশা করি থাই অর্থে দেখানো হয় নাই..
ভালৈসে...লেখালেখি জারি থাকুক।
ধন্যবাদ.. জারি তো রাখতেই চাই .. মাগার লেখা বেশিরভাগ সময় আড়ি রাখে আমার লগে..
গল্পটা বেশ একটা নতুন থিম দিলো আমায়। বর্ণনাটা একটু নয়া কিসিমের ছিলো, তবে সেটা উপভোগ্যই লাগসে আমার।...
_________________________________________
সেরিওজা
শুকরিয়া.. আপনার গল্প পড়তে আমার খুবি ভাল লাগে.. \
-ইকথিয়ান্ডার
দাদার সাথে কথোপকথন আর পাঞ্চলাইনের মধ্যে সমান্তরাল জগতের ধারাবাহিকতাটা ভালু পাইলাম।
কি মনে হয়? বেলায়েভ কি এই গল্প পছন্দ করতো?
বেলায়েভ এই ফালতু গল্প পড়লে মোরে তার উপন্যাস থেইকা লাথি দিয়া বাইর কইরা দিত, পছন্দ তো পরের কথা...
ভালু পাওয়ার জন্য আপনেরে ওই যে সবুজ সবুজ, কি রকম একটা সুন্দর গন্ধ, রান্নাবান্নায় লাগে - কি জানি নাম... ও আচ্ছা মনো পড়ছে... আপনেরে ধইন্যা ..
দারুণ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
শুকরিয়া..
-ইকথিয়ান্ডার
জিন্সের ডানাওয়ালা পরী - ভাল্লগসে, ভাল্লগসে রে ইকথিয়ান্ডার!
তবে লেখায় এই নিকটা দিলে ভালো হতো। নেক্সট টাইম এই ভুল করিস না!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
একটু বেশি আন্ডার এ চলে গেসিলো তাই ইকথিয়ান্ডার দেখি নাই...স্যরি
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
) তারু তুই আসলে পড়স নাই .. এই কারনে দেখস নাই.. ) নগদে ধরা যাউকগা মাফ কইরা দিলাম, যেহেতু আগে পড়ছোস...
-ইকথিয়ান্ডার
আগে তো ২বার পড়লাম...আবার কেন পড়বো?
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
ব্যাপক লাগলো ভাইয়া! পরেরটা কি আরও বছর দুয়েক পরে দিবা?
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এইটা প্রথম পাতা থেইকা সরলেই ফ্লপ আইটেম কবিতা দিমু..
-ইকথিয়ান্ডার
মনে থাকে যেন!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
শিরোনাম দারুন। লেখাও।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
শিরোনাম নিয়া অনেক চিন্তার মধ্যে ছিলাম.. কি দিব কিসু বুঝ পাইতাছিলাম না..
অনেক অনেক ধন্যবাদ..
-ইকথিয়ান্ডার
বেশ ভালো লাগলো... আনেকগুলো ভাবের কথা, মনের কথা, জ্ঞানের কথা সহ।
চমৎকার!
মনে পড়লো-- মিরপুরে যখন দোতলা বাস চালু হলো (অনেক আগে দু'একটা ছিল, কিন্তু গণহারে যখন চালু হলো) তখন দোতলায় উঠে সামনের সিটে বসার একটা অর্থহীন আনন্দ ছিল।
লিখতে থাকুন।
-----------
চর্যাপদ
-----------
চর্যাপদ
দোতলা বাসের দোতলার সামনের সিটে আমিও চান্স পাইলে বসতাম..
আপনার চমত্কার মন্তব্যটা পেয়ে খুবি ভাল লাগল... শুকরিয়া...
-ইকথিয়ান্ডার
ঈশ্বর একটু ভাত ঘুম দিছে, আর আপনি এই সুযোগে জিন্স-সুন্দরীর পিছনে হাঁটা ধরলেন? গল্প ভালো লাগছে।
সজল
চান্স পাইলে কাজে লাগাইতে হয় ভ্রাতা .. 'জীবন তুমারে লেম্বু দিলে লেম্বু চিপা শরবত বানাও' কোন মহামানব জানি কইছিলেন...
ধন্যবাদ... ভালো থাকবেন...
-ইকথিয়ান্ডার
বাঃ
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
.. ধন্যবাদ...
-ইকথিয়ান্ডার
এইরাম থিম মাথায় আসে কেমনে?! ভাষাটাও তুখোড়!
আপনার পাঙ্খা হইয়া গেলাম।
________________________________
মা তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো...
এইবার আমি রা-হীন হয়া গেলাম...
এইগুলা তো ক্লিশে থিম... কতো মাইনষে কতো কিছু লেইখা ফেলল...
শুকরিয়া হায়দার সাহেব...
-ইকথিয়ান্ডার
লেখা ভালো লেগেছে। রিসেন্টলি এক বন্ধু প্যারালাল ইউনিভার্স, কোয়ান্টাম মেকানিক্স আর অবসার্ভার নিয়ে অতিদীর্ঘ লেকচার দিয়েছিল, তার কারণে গল্পের শেষটা একটু মনে হয় ধরতে পারলাম।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
নতুন মন্তব্য করুন