আয়েশ আর দুঃখ করে একটা সপ্তাহ কাটিয়ে দিলাম। তারপর কিভাবে জানি মনে পড়ে গেল চারদিন পর পনের নভেম্বর। না, বিশেষ কোন দিন না, ওইদিন একটা কোর্সের ফাইনাল প্রজেক্টের মিডওয়ে প্রগ্রেস দেখাতে হবে। সমস্যা সামান্য, প্রজেক্টটা এখনো শুরু করা হয়নি। এখন আর টেনশন করতে ভালো লাগেনা, এর চেয়ে একটা ব্লগ লিখা যাক।
আসার পর প্রায় তিনমাস হয়ে গেল। এখানের জুসটা দেশের জুসের মত মিষ্টি না, এখানের খাবারে মশলা নেই, রাস্তায় নেই জ্যাম; কিছুই মিলেনা দেশের সাথে। আর তাই জোর করে বিয়ে দেয়া হলে অনেকে যেমন নাক-মুখ বুজে একটা জীবন কাটিয়ে দেয়, আমিও কাটিয়ে দিচ্ছিলাম সময়। এবার ভাবলাম ফিরে দেখা যাক প্রায় এক জীবনের সমান দৈর্ঘ্যের প্রবাস জীবনকে।
শুরু করা যেতে পারে আমার চীনা সহপাঠীদের নিয়ে। এদের অর্থনীতি অ্যামেরিকান দের মতই অনেক শক্তিশালী বলেই হয়ত পাশের ভারত পেরোলেই বাংলাদেশ নামে একটা দেশ আছে, সেটা প্রায় কেউ জানেই না। তাই রেজিস্টারের অফিসে আমার সাথে দেখা হওয়ার পর আমার দেশের নাম শুনে আমার প্রতি কয়েকজনের প্রশ্নের আর শেষ নেই। আমি নিশ্চিত ঢাকার রাস্তায় অ্যালিয়েন নেমে এলে আমি ঠিক একই ভাবে তাদেরকে প্রশ্নে ব্যতিব্যস্ত করে তুলব। একজন আবার আরেক কাঠি সরেস। আমার লাস্ট নেম “Dash” আর আমার দেশের নামের “Desh” তাকে পুরাই বিভ্রান্ত করে দেয়। পরিচয়ের দুইদিন পর তার সাথে দেখা হলে আমাকে জিজ্ঞেস করে “তোমার নাম বাংলাদেশের মানে জানতে গুগল করে দেখি এটা একটা দেশের নাম, তোমার নাম একটা দেশের নামে, ব্যাপারটা বেশ মজার”। নেহাতই নতুন পরিচয়, তাই আর মাইর লাগানো হয়না।
অভিযোগ আসতে পারে চীনাদের কথা বলা হচ্ছে, তাইলে চৈনিক বালিকা নাই কেন? এবার তাহলে তাদের গল্প, অল্প পরিসরে। প্রথম সপ্তাহে আমাদেরকে নিজস্ব অফিস দেয়া হয়নি, তাই ডিপার্টমেন্টে আসলে সবাই একটা কমন ল্যাবে বসতাম। শুরুর দিকের পেপার ওয়ার্কে বিভ্রান্ত হয়ে অথবা কোন কোন কোর্স কে কে নিচ্ছে জানার জন্য মাঝে মাঝে একে ওকে প্রশ্ন করি। সবচেয়ে ভালোভাবে রেসপন্স করে এক বালিকা, সে তার মনিটর থেকে সরে এসে আমার মনিটরে ঝুঁকে বসে পাক্কা দুই-তিন মিনিট খুব মনোযোগ সহকারে ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইট পড়ে। তারপর মাথা নেড়ে বলে “আই ডোন্ট নো”। আমি মনে মনে বলি, “তোমাকে জানতে হবেনা, তুমি যে এসে আমার মনিটরে চোখ বুলিয়ে গেছ, তাতেই আমার জানা হয়ে গেছে”। তারপর, একদিন সবার নিজের বসার জায়গা জোটে, আর বালিকারা প্রায় হারিয়ে যায়। আহা প্রতিদিন তাদের চোখমুখ উপচে পড়া হাসির সাথে জানানো অভ্যর্থনা অনেক মিস করি।
এবার তাহলে একচিমটি পড়াশোনা। শুরুর দিকে আমাদের জন্য একটা মেলার আয়োজন করা হয়। উদ্দেশ্য মহৎ, প্রফেসররা বিভিন্ন প্রজেক্টের বর্ণনা দিয়ে কর্মখালির বিজ্ঞাপন দিবে। তারপর ইচ্ছামতো প্রফেসর দের সাথে ইন্টারভিউ দিয়ে একটা চয়েস লিস্ট দিতে হবে, প্রফেসররা ও তাদের পছন্দের লিস্ট দিবে। মিলে গেলে গবেষণা সহকারী পদবী জুটবে, নাহলে অধ্যাপনা সহযোগী হতে হবে। তো ফেসবুক মারফত ময়মুরব্বির দোয়া নিয়ে ইন্টারভিউ যুদ্ধে সামিল হই। যে প্রফেসর যে বিষয় নিয়ে জিজ্ঞেস করে, আমি সে বিষয়েই আমার অভিজ্ঞতা একজন এক্সপার্ট লেভেলের এটা বুঝিয়ে দিয়ে পরের ইন্টারভিউ এর জন্য দৌড়াই। বাংলাদেশী ছেলে-মেয়েরা লজ্জা করে নিজেদের কথা বলতে পারেনা তেমন, সে লিগাসি বয়ে বেড়াতে অন্তত আমি রাজী নই । মেলা আমার জন্য সফলই হয়, আমি আমার লিস্টের প্রথম প্রফেসরের আন্ডারে RA হিসেবে কাজ পেয়ে যাই। শুধু একটা বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি, আমার প্রফেসর ইতিমধ্যে কপাল চাপড়ানো শুরু করে দিয়েছেন কিনা।
এতদিন এখানে আছি, নতুন বন্ধুদের কথা না বললে হয়! চারজনের একটা বহুজাতিক সার্কেলে আছি, ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ, চীন আর অ্যামেরিকা। বলতে একটু লজ্জাই লাগছে, চারজনের মাঝে আমি বয়োবৃদ্ধতার দিকে দিয়ে দ্বিতীয়। বুঝিনা বাকি বিশ্বের মানুষেরা কিভাবে বাইশের মাঝে আন্ডারগ্রেড শেষ করে গ্র্যাজুয়েট স্টাডি শুরু করে দেয়। একদিন সবাই মিলে বাইরে খেতে যাবার প্রস্তাব আমার বাসায় রান্না করে খাওয়ায় এসে থামে। আমার অল্প ঝালে আর মশলার র্যানডম কম্বিনেশনে রান্না করা মুরগীর একটুকরো খেয়ে অ্যামেরিকান বন্ধুটার নাকে-মুখে জল দেখে আমি ইরাক-আফগানিস্তানের আগের সরকার দুটা কে কষে গালি দেই। এত কষ্ট করে মান্ধাতার আমলের অস্ত্র না কিনে এরা যদি বছর জুড়ে মরিচের চাষ করত, আর সেটা দিয়ে মরিচ বোমা বানিয়ে ফেলত, তাইলেই কিন্তু যুদ্ধ জয় হয়ে যেত। মরিচ বোমার দেশ ইন্ডিয়ার বন্ধুর অবশ্য কোন বিকার হয়না। তবে সবচেয়ে হতাশ হই, দুনিয়ার তাবৎ খাবার শুধু পানি দিয়ে সেদ্ধ করে খেয়ে অভ্যস্ত আমার চাইনিজ রুমমেটের প্রতিক্রিয়া দেখে, সে বলে, “এটাকে তুমি ঝাল বল!”।
শেষ করা যাক সুন্দরী ডাক্তারের কথা বলে। একদিন রাতে বাইরে খেয়ে বাসায় ফেরার পথে আমার সাতার না পারা, সাইকেল চালাতে না পারা নিয়ে বাকিদের খেপানো সহ্য করতে না পেরে বীরত্ব দেখাতে গিয়ে একটা ঢালু মত জায়গা সিঁড়ি দিয়ে না নেমে দৌড়ে নামতে গেলাম। আর গোল্ডেন রুল “বিদেশে অসুস্থ হওয়া যাবেনা” ভেঙে পায়ের একটা দফারফা হয়ে গেল। গেলাম পরদিন ক্যাম্পাস হেলথ সার্ভিসেসে। তারপর ডাক্তারের চেহারা দেখে, আরো আগে কেন পা ভেঙে এখানে আসিনি সেইজন্য আফসোসে মরতে থাকি। ডাক্তার ভালোবাসা আর মমতা (যার চোখে যেভাবে ধরা পড়ে আর কি ) ঢেলে দিয়ে আমার দুর্দশার কথা জানতে চায়। তারপর পা টিপেটুপে দেখে, এক্সরে করিয়ে একজোড়া ক্রাচ ধরিয়ে দেয়। আমি এই ভালোবাসার স্মারক বগলে চেপে, খুশিতে আটখানা হয়ে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে বাসায় ফিরি। দুইদিন পর সে ফোন করে জানায়, তোমার পায়ের তেমন কিছু হয়নি, খালি রেস্ট নাও। আমার মন অল্প একটু খারাপ হয়ে যায়, আহা তাইলে আর দেখা হলনা। এখনো হেঁটে হেঁটে বাসায় ফিরার সময় পা যখন বেখেয়ালে একটু এদিক ওদিক চলে যায়, তখন টের পাই, কে জানি টানছে।
ওহহো কোরিয়ান বালিকার গল্পইতো বলা হলনা। যাক, সে গল্প আরেকদিন।
সজল
১০/১১/২০১০
মন্তব্য
শিরোনাম দেকেই বুইচি, এইটা সজল লিক্সেন।
ল্যাখা মিডা অইসে, ঝাল অয় নাই। মরিচচেরা চোখের বালিকাদের গল্প বিনা ক্যাম্নেই বা অইব। অবশ্য আপনে নবীন, বিদেশে বছরকয় থাকেন তার্পর ঝোলাভরা গল্প অইবে। এই যেমন সচলে বালিকাহিনী ল্যাখায় আমি এখন বুজুর্গ ব্যক্তি।
এখন থেকে ভাবছি, যাই লিখি চ্যাপেল হিল নিয়া একটা হলেও লাইন থাকবে, আর শিরোনামে চ্যাপেল হিল তো থাকছেই। নিজের নামে না লিখতে পারি, শিরোনামেই সিগনেচার রেখে যাব
মন দিয়া তো বালিকা দেখতেই পারলাম না, লিখব কি । আর বালিকা নিয়ে কতটুকু লিখলে দেশে মানসম্মান নিয়ে ফিরে একটা বিয়ে ও করা যাবে, সেই দোনোমনায় আর কিছু লিখা হইলনা । আপ্নের মুরিদান হইতে সাধ যায়
সজল
বাঃ বাঃ, পড়ে মজা পেলাম প্রচুর। চীনাদের খাবার সেদ্ধ হলেও তারা কিন্তু ঐ ঝাল সসটস দিয়ে ব্যাপারটাকে খুনখারাপির দিকে নিয়ে যেতে পারে, কাজেই ঝাল খাইয়ে ওদের ইমপ্রেশ না করতে পারলে দুঃখ পাবেন না।
হুম, আর ইমপ্রেস করার ইচ্ছা নাই। আমার রুমমেটের সাথে সুশি খেতে গিয়ে দেখলাম ও অনেকটা ওয়াসাবি কি জানি একটা সসের সাথে মিশিয়ে খাচ্ছে। ওয়াসাবি জিনিসটা আমার কাছে ভালই ঝাল মনে হয়েছিল, কিন্তু ওর খাওয়া দেখে আর সেটা স্বীকার করতে পারিনি।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ
সজল
ওয়াসাবি বরং জাপানি জিনিস, এর ঝাল অন্য রকম। একসাথে সামান্য কিছুটা মুখে দিলেই দেখবেন নিজেকে কেমন ড্র্যাগন ড্র্যাগন লাগছে, নাক দিয়ে আগুনে নিঃশ্বাস বেরুচ্ছে!
জাপানিজ রেস্টুরেন্টেই গিয়েছিলাম আসলে। ওয়াসাবি সামান্য খেয়েই জিনিসটার মাহাত্ম্য টের পেয়ে গেছি। সাথে সাথে কোক খেয়ে মনুষ্যত্ব ধরে রাখতে হয়েছে
সজল
হায়, ওয়াসাবি! আমাদের ডিপার্টমেন্টের এক ছোট পার্টির খানাপিনায় একটা জায়গায় কিছু ফালি'সবজি-বিস্কুট এইসব রাখা, আর অন্যদিকে ডিপ, সস এইসব রাখা, ওদিকথেকে নিয়ে এদিকে মাখিয়ে খাও। তো সে দ্বিতীয় সম্ভারের মাঝে নাড়ু আকৃতির সবুজ সবুজ বল। আমি মনে করেছি গুয়াকামোলে (অ্যাভোকাডো ফল পেস্ট) বুঝি, একটা বল তুলে নিয়ে বিস্কুটে লাগিয়ে আস্ত মুখে পুরেছি। তারপরেই আল্লা কালী ওডিন ওসিরিস সবায় ডেকেও কূল পাই না, বাথ্রুমে ছুটতে হল। থু থু করে চোখটোখ লাল করে ফিরে এসে একজনকে শুধিয়ে জানতে পারলাম, ওই মেগাটম বোম'টি ওয়াসাবি গুল্লি।
এহহে, পায়ের খবরটা জানতামনা, এখন কি অবস্থা? আর ডাক্তারের কাহিনীটা আমার এক সাবেক রূমমেটের সাথে মিলে গেল---পায়ে পেরেক ফুটিয়ে হাসপাতাল ঘুরে এসেও তার মুখে একগাল ক্যাবলা হাসি, আর মনে মনে পরবর্তী "ডেট" এর অপেক্ষা
লেখা ভাল লাগল। চলুক!
চ্যাপেল হিল যখন প্রথমবার বেড়াতে যাই, তখন দুপুরের খাবারের সময়ে চলতি পথে এক "বালিকা"কে শুধোলাম, সবচেয়ে কাছের ম্যাকডোনাল্ডস এর ঠিকানা জানার জন্য। বালিকা কিঞ্চিত আহত স্বরেই বলল, ম্যাকডোনাল্ডসে কেন খাবে? আমাদের এখানে এই ফ্র্যাঙ্কলিন স্ট্রিটেই এত চমৎকার সব "লোকাল" ফুড আছে, সেখনে যাও! বার্গারের জন্য বানজ আছে, বারিটোর জন্য কসমিক ক্যান্টিনা, পাস্তা খেতে চাইলে..... , পিৎসা আছে....., ভাল বার হল ........, বাট প্লীজ, ডোন্ট গো টু ম্যাকডি!
আমি সেই থেকে চ্যাপেল হিলকে ভালু পাই।
(আমাকে না চিনতে পারলে, হিন্টস: পাশের শহরে থাকি, ৩/৪ বার দেখাও হয়েছে )
পা দুইদিনের মাঝেই প্রায় ব্র্যান্ড নিউ হয়ে গেছে। আমার তো যেদিন ক্লাস থাকে সেদিন ক্লাসের ফাকে দেড়ঘন্টা সময় কাটানোর জন্য ম্যাকডোনাল্ডস এ হেঁটে যাই। আফসোস, কোন বালিকা কোনদিন আমারে মানা করলনা। ফ্র্যাংকলিন স্ট্রীটেই যাবতীয় দোকান ওদের, এমনকি ম্যাকডি ও। খাবারের অন্য দোকানগুলা ভালই, কিন্তু একটু কস্টলি মনে হয়।
[আদনান ভাই?]
সজল
চেনফুডের বিরুদ্ধে এই স্বরটা খুবই প্রবল হয়ে উঠছে এ দেশে, ওবেসিটি একটা কারণ তার। টোনি বোর্ডেনের একটা বইতে পড়ছিলাম উনি রীতিমতো বয়কট করতে বলেছেন এদেরকে।
অসাধারণ, কিছু বলার নাই...
ধন্যবাদ
সজল
ভাল্লাগছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ
সজল
মজা প্লাম! লেখায় পরের বারে মশলা এট্টু বেশী দিয়েন!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
থ্যাংকু । মশলা বেশি দিতে ভয় লাগে, সামনে যে দিনে আসছে, বিয়ের আগে দেখা যাবে ফেসবুক প্রোফাইল, ব্লগ ইত্যাদি পড়ে পাত্রীপক্ষ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। ওইসব চিন্তা করেই একটু রয়েসয়ে ঢালছি আর কি
সজল
মজা প্লাম! লেখায় পরের বারে মশলা এট্টু বেশী দিয়েন!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
সজলদা,
লেখাটা ভালো লাগল।
পাত্রীর জন্য ভাববেন না। আমেরিকা-প্রবাসী লেবেলটাই একটা না, অগুনতি পাত্রীর লাইন লাগাবার জন্যে যথেষ্ট!
হা হা, দেখা যাক। আর মেয়েরা আজকাল এত সহজে পটে যায়না, যেহেতু নিজেরাই সবখানে যেতে পারছে (জায়গা এবং অবস্থান), সেখানে কারো কাঁধে চড়ে অ্যামেরিকা আসার দরকার কী!
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সজল
সজলদা আরো একটি ভালো লেখা,ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ শুভ্র
সজল
বিয়ে হবেনা এই ডরে লিখতে না পারলেতো চলবে না মশাই। এক জায়গায় বিয়ে না হলে আরেক জায়গায় হবে, নো প্রবলেম।
পরাজয়ে ডরে না বীর, বলে একটা কথা আছে না?
পাগল মন
যাক, ভরসা দিলেন। নিজেকে পুরা কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার মত লাগছিল এতক্ষণ (দায়টা এখানে আমি নিজেই যদিও)
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সজল
বাইরের অংশটা দেখেই আপনার লেখা আন্দাজ করেছিলাম মশাই...
ডাক্তারের রঙ বললেন। সুধা-রুপ-রস ইত্যাদির বর্ণনাতো লিক্লেন না ভাই !! ...
চলুক। বেড়ে লাগে আপনার লেখা...
_________________________________________
সেরিওজা
কী আর বলব, লিখতে গিয়ে মাথা থেকে ডাক্তারের ঝলমল মুখ সরাতে পারছিলাম না। দেখি সামনে কোন একটা কারণ বের করে যাওয়া দরকার, তখন ফ্রেশ মেমরি থেকে রূপ-রস-সুধা সব লিখতে হবে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সজল
বেশ ঝরঝরা লাগলো। কিন্ত সাইকেল চালাতে পারেন না, এইটা একটা কথা! আর ডাক্তার অভিজ্ঞতার কী আর বলবোরে ভাই। দিলের পুরান জায়গায় একটা ঝাঁকি দিলেন আরকি! ভালো হয়ে গেছি দেখে। নাইলে এখানে দুয়েকটা কথা বলে যেতাম।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আহারে! ভালো হওয়ার যে কি যন্ত্রণা, সেটা আমি ভালোই বুঝি। ওই ডাক্তার বুঝি পরশ্যালিকা না হয়ে পরবালিকা হয়ে গেছে? সাইকেলের কথা এখানে বলে দেয়া ঠিক হয়নাই মনে হচ্ছে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সজল
আমিও ভালু পাই
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
কেউ ভালু পাইলে ভালু পাই। ধন্যবাদ
সজল
কোরিয়ান ছেমড়ির গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
দাঁড়ান, ছেমড়ির লগে গল্প জমায়া নেই আগে।
সজল
আগে স্টার্টার হিসাবে ফটুক ফাটুক দ্যান।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ঠিক, ঠিক, নইলে আইপিশুদ্ধ ব্যাঞ্চাই!
খাইছে, সব বালিকাপ্রেমিকের খপ্পরে পড়লাম দেখি । আরেকটু সময় দেন, ফটুক-ফাটুক সব দিব।
সজল
"আর গোল্ডেন রুল “বিদেশে অসুস্থ হওয়া যাবেনা” ভেঙে পায়ের একটা দফারফা হয়ে গেল।"
আম্রিকা আসার আগে এক বড় ভাই কইসিলো - শরীর থেইকা যা যা পার্ট বিদেশ গিয়া কামে লাগবো না মনে হয়, সবগুলি খুইলা রাইখা তারপর আয়। এমনকি যদি মনে করস যে মাথা না খাটাইয়াও এখানে খায়া পইড়া বাচতে পারবি, তাহলে মগজটাও রাইখা আয়। হরি রে, বড়ই সত্যি কথা।
-মেফিস্টো
ক্লাসিক বানী একটা। ওই বড় ভাইরে আমার অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা পৌছে দিবেন । মগজটা খুলে রেখে এলেই আসলে ভাল হত, এমনিতেও কাজে লাগানো হচ্ছেনা তেমন।
সজল
হুম্ম্স! শংকর কইসিলেন, "আম্রিকা বাইচা থাকনের জন্য ভালো দেশ, কিন্তু মরার জন্য খুব খারাপ জায়গা"!আফসোউস!!!
যাউক ধুনাইচ্চা প্যাচাল। চ্যাপেল হিল - মানে কি ইঊ.এন.সি তে নাকি গো?
-মেফিস্টো
হা হা, শংকরের ওই বইটা আর পড়া হইলনা। পিডিএফ এর লিংক থাকলে দিনতো। আর হ্যাঁ, ইউএনসি তেই আছি। গেছেন নাকি এদিকে?
সজল
নতুন মন্তব্য করুন