নাকুরুতে দুই দিন: শ্বেতগন্ডারদর্শন এবং অন্যান্য

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১১/১১/২০১০ - ৯:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গেলো নভেম্বরের ২৮ তারিখে সোমালিয়ার পাট চুকিয়ে দেশে ফেরার পথে গেলাম কেনিয়ায় সপ্তাহখানেক থাকার জন্যে। আগে থেকেই প্ল্যান ছিলো লেক নাকুরু ন্যাশনাল পার্কে যাবো। ক্ষয়িষ্ণু প্রজাতির শ্বেতগন্ডারকে তার নিজের রাজত্বের মধ্যে দেখার শখ ছিলো অনেকদিন থেকে। ২০০৬ সালে প্রথম শ্বেতগন্ডার দেখি কেনিয়ার নাইরোবি সাফারি ওয়াকে। পরে যখন গতবছর প্রাণীবান্ধবদের স্বপ্ন মাসাই মারায় যাই তখন গাইড শ্বেতগন্ডার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত বলেছিলো যদিও মাসাই মারায় সাদা গন্ডার নেই, আছে কেবলমাত্র লেক নাকুরু ন্যাশনাল পার্কে। স্থলচর প্রাণীর মধ্যে আকারে এবং ওজনে হাতির পরেই এর স্থান।

সোমালিয়ায় কর্মরত এক বাংলাদেশি ছোটভাই ওই সময়ে কেনিয়ায় অবস্থান করছিলো। ও তো এক পায়ে খাড়া ছিলো। শনি আর রবিবারের জন্যে প্ল্যান করলাম। পাবলিক বাসের উপর ভরসা না করে দুই দিনের জন্যে চড়া দামে একটা গাড়ি ভাড়া করলাম নাইরোবি থেকে। চালক আমাদের পরিচিত এবং নাইরোবি শহরে আমাদের ‘নাইট সাফারি’গুলোর নিত্যসহচর।

৩০ অক্টোবর দুপুরে যাত্রা শুরু হলো। প্রায় ঘন্টা দেড়েক যাবার পর নাইভাসা নামের একটা সুন্দর জায়গায় থামলাম মধ্যাহ্নভোজের জন্যে। খোলা মাঠের মধ্যে চেয়ার-টেবিলে বসলাম।

[img=auto]DSC_0035[/img]

আশেপাশে অনেকগুলো ‘হাড়গিলে’, খাবারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে। এখানে আগেও কয়েকবার এসেছি। কিন্তু এবার বেশ হতাশ হলাম। নতুন মালিক অদক্ষ এবং উদাসিন। বিরক্ত হলেও কিছু বলার নেই, অর্ডার দিয়ে ফেলেছি। একটা ছাগলের ঠ্যাং, একটা মুরগি, কিছু শাক আর ভাত। মানুষ আমরা তিনজন। খেতে খেতে ড্রাইভার পিটারের কাছ খেকে হাড়গিলে সংক্রান্ত কিছু তথ্য জানলাম। হাড়গিলের প্রধান খাদ্য মাংসের হাড়, সাথে একটু মাংস থাকলো তো জোস্‌। বড় বড় হাড়গুলোকে কুৎ করে গিলে ফেলছে। ওগুলোর গলায় ঝুলতে থাকা থলেতে পাচক রস থাকে। ওই রস হাড়গুলোকে নরম করে দেয় যাতে করে ওরা হাড়গুলো খেয়ে ফেলতে পারে। ওদের যতই পেট ভরতে থাকে ততোই পাচক রসের থলেটা ছোট হতে থাকে। পিটার বললো যে পাখিগুলের গলার থলেটা বড় হয়ে ঝুলছে ওগুলোকে আগে হাড্ডি দিতে কারণ ওগুলো বেশি ক্ষুধার্ত।

বিকেলের রোদ থাকতে থাকতেই নাকুরু শহরে পৌঁছলাম। ন্যাশনাল পার্ক এলাকায় কোনও হোটেলে জায়গা পেলাম না। বাধ্য হয়ে শহরের একটা দামি হোটেলে (হোটেল দ্য ম্যারিকা) দুটো রুম নিলাম।

এরপর পিটার বললো যে ও আমাদের মেনেঙ্গাই আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ (মেনেঙ্গাই ক্রেটার) দেখাতে নিয়ে যাবে। পথে পিটার তার পরিচিত এক স্থানীয় মহিলাকে গাড়িতে তুলো নিলো্ আমাদের ঠিকভাবে পথ দেখাতে! শহরের পাকা রাস্তা ছেড়ে আমরা গ্রাম্য পথ ধরলাম। তারপর প্রায় ৪০ মিনিট লাগলো ১২ কিলোমিটার পথ যেতে। পথে ভূমিধ্বসের কারনে রাস্তা ভেঙে যাওয়াতে আমাদের ঘুরপথে যেতে হলো। অসম্ভব সুন্দর একটা জায়গা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,২৭২ মিটার উচ্চতায় দাঁড়িয়ে আমরা। সামনেই ৯০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে ৪৮৫ মিটার গভীর মেনেঙ্গাই আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ।

[img=auto]DSC_0089[/img]

[img=auto]DSC_0086[/img]

[img=auto]DSC_0060[/img]

[img=auto]DSC_0068[/img]

কয়েকটা ছোট্ট ছোট্ট স্যুভেনিরের কিয়োস্ক, খদ্দেরপাতি নেই তেমন। ৮-১৪ বছর বয়সী একদল স্কুলের বাচ্চা হাঁটাপথ ধরে নিচে নামছে আর উচ্চস্বরে নিজেদের মধ্যে কথা বলছে। হাই আলটিচ্যুডে উঠলে এমনিতেই গলার স্বর চড়ে যায় দেখেছি। আমারও এমন হয় সবসময়ে। বাচ্চাগুলোর সাহস দেখতে অবাকই হতে হয়। ওখানে দাঁড়িয়ে রোদের খেলা দেখতে থাকলাম। ঠিক যেনো আকাশ ফুঁটো করে রোদের আলো বেরোচ্ছে।

[img=auto]DSC_0077[/img]

কিছুক্ষণ থেকে শহরের দিকে রওনা করলাম। শহরে পৌঁছে রাত ১১ টা পর্যন্ত একটা নাইট ক্লাবে কাটিয়ে হোটেলে ফিরলাম।

সকাল ১০ টার দিয়ে লেক নাকুরু ন্যাশনাল পার্কে গেলাম। বিদেশিদের জন্যে এন্ট্রি ফিস বেশ চড়া, ৬০ ডলার প্রতিজন। আর যেহেতু নিজেদের গাড়ি নিয়ে যাবো, তার জন্যে আর পিটারের জন্যে আলাদা ফিস। গেটের সামনে চা খেতে গিয়ে দেখি শতে শতে বেবুন ঘুরছে। কাছে এসে দল বেধে দাঁড়িয়ে আছে যদি কিছু খাবার পায় এই আশায়। ওরা সুযোগ পেলেই রেষ্টুরেন্টের কাপ-পিরিচ নিয়ে যায়। তারপর খাবার দিয়ে ওগুলো ছাড়িয়ে আনতে হয়। বিশাল আকারের বেবুন থেকে শুরু করে গুড়গুড়ি সাইজের বাচ্চাগুলোও আছে দলের মধ্যে।

ভিতরে ঢুকতেই দেখা মিললো একদল ইমপালার, এক প্রজাতির হরিন। তারপর একঝাঁক গিনি ফাউল বা আমরা যাকে বলি তিতির পাখি বা কেউ কেউ বলে থাকেন তিতমুরগি। বেবুনরা তো আছেই। মা বেবুনের পিঠে চড়ে একটা ছোট্ট বেবুন শিশু চলছে।

উৎসুক দুই চোখে খুঁজে চলেছি সাদা গন্ডার। হঠাৎই অনেক দুরে এক জোড়ার দেখা মিললো। ক্যামেরার জুম লেন্সেও ঠিকমতো ধরতে পারলাম না। এভাবেই সামনে চলতে থাকলাম ঝাঁকে ঝাঁকে জেব্রা, বুফালো, ওয়াটার বাখ আর কিছু জিরাফ দেখতে দেখতে।

[img=auto]DSC_0206[/img]

হঠাৎ সামনে পড়লো অতিকায় একটা সাদা গন্ডার।

[img=auto]DSC_0192[/img]

রেঞ্জার বললো বেচারা অসুস্থ্য, পড়ে আছে কাদার মধ্যে। শুধু মাথাটা নাড়ছে মাঝে মাঝে। শুয়ে থাকলেও আকার বোঝা যাচ্ছে। গাড়ি থেকে নামলেও রেঞ্জারের বিনীত কিন্তু কঠোর নির্দেশে আবার গাড়িতে উঠলাম।

আবার কিছুটা যেতেই দেখা পেলাম একজোড়ার। ওরা মা আর শিশু। একদল মোষের মাঝে ওরা দুজন ঘুরছে। যে যার মতো।

[img=auto]DSC_0212[/img]

মোষ বা গন্ডার কাউকে নিয়ে কারোরই কো্নও মাথাব্যাথা নেই। কিছুটা হেটে বাচ্চাটা একটু ক্লান্ত হয়ে একটা গাছের নিচে শুয়ে একটু জিরিয়ে নিলো। তারপর আবার মায়ের সাথে সাথে। মা গন্ডারটা সবসময়েই বাচ্চাটাকে আগলে রাখছে।

এবার গাড়ি ঘুরিয়ে গেলাম লেকের পাড়ে পাখিদের রাজত্বে। অনেক দুর থেকে লেকের দিকে তাকালে পানি দেখা যায় না, দেখা যায় একটা গোলাপি রঙের আস্তরণ। ওরা ফ্লেমিঙ্গো। লাখে লাখে ফ্লেমিঙ্গো পুরো লেকটাকে রাঙিয়ে রেখেছে। আর আছে বিশালদেহী পেলিক্যান। তবে ফ্লেমিঙ্গোর মতো অতো না। নয়নাভিরাম দৃশ্য।
[img=auto]DSC_0215[/img]
সাথে জুটেছে একটা হিপ্পো। নিজের মনে নড়ছে চড়ছে, ভুস্‌ করে ঠেলে উঠছে। যে যার মতো, ঠিক যেনো সবাই রাজা।
[img=auto]DSC_0215[/img]

এর মাঝেই দেখি বনের মধ্যে গাছের নিচে ছোট্ট একটা সেসনা প্লেন। পিটার বললো ওটাকে যখন উড়ানো দরকার হয় তখন গাড়ির সাথে বেঁধে এয়ারষ্ট্রিপে নিয়ে যাওয়া হয়।

[img=auto]DSC_0157[/img]

গাড়ি ঘুরিয়ে ফেরার পথে আবার সেই মা ও শিশু গন্ডার। আমরা দাঁড়ালাম। একটু ঘোরাঘুরি করে মা বাচ্চাটাকে দুধ খাওয়াতে লাগলো। ঠিক যেনো আমাদের গরুর বাছুর। দুধ খেতে খেতে মাঝে মাঝে একটু গুঁতো দিচ্ছে।
[img=auto]DSC_0263[/img]
তারপর দুধ খেয়ে ক্লান্ত বাচ্চাটা মায়ের পাশে আয়েশ করে একটু শুয়ে পড়লো।
[img=auto]DSC_0270[/img]
অসাধারণ দৃশ্য। ছবি নিলাম। সিদ্ধান্ত নিলাম এই সুন্দর দৃশ্যটা দেখেই বিদায় নেবো। মনের মধ্যে এই সুন্দরতম দৃশ্যটা গেঁথে রাখবো।
[img=auto]DSC_0292[/img]

রাতঃস্মরণীয়


মন্তব্য

Shamit এর ছবি

সুন্দর লাগ্লো ছবিগুলো...ধন্যবাদ

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ।

রাতঃস্মরণীয়

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ছবি আরো বেশি দিলে পারতেন.,.. সুন্দর লাগলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ নজরুল ভাই। আমিতো ভয়ে ভয়ে ছিলাম ছবি বেশি দেওয়া হয়ে গেলো কি না তাই নিয়ে। আগামীতে এধরনের লেখায় আরও বেশি ছবি দেবো।

রাতঃস্মরণীয়

কৌস্তুভ এর ছবি

বাঃ, বেশ ঘুরেছেন। ছবি ভাল লাগল।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ কৌস্তভ ভাই। গত সপ্তাহে গিয়েছিলাম নাইরোবি ন্যাশনাল পার্কে। ওটা নিয়েও লিখবো সামনেই।

রাতঃস্মরণীয়

অতিথি লেখক এর ছবি

বেশ সাবলীল বর্ণনা। ছবিগুলো কেটে কেটে না গেলে আরও ভালো লাগত। যাক, কী আর করা। যতটুকু দেখলাম তাও কম সুন্দর নয়। লেখককে বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চাই। আর বলতে চাই আরও লিখুন। সাথে পূর্ণাঙ্গ ছবি দিন, যত বেশি সম্ভব। ভালো থাকুন।

কুটুমবাড়ি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ কুটুমবাড়ি। সামনেই আরও লিখবো। পড়বেন-দেখবেন আশাকরি।

রাতঃস্মরণীয়

সুমন চৌধুরী এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ সুমন ভাই ফর ইউর থাম্বস আপ!

রাতঃস্মরণীয়

সাদাকালোরঙ্গিন এর ছবি

আহ মনে করিয়ে দিলেন সেই ২০০৮ এর দিনগুলির কথা। কেনিয়া আমার স্মৃতিপটে আজো উজ্জ্বল হয়ে আছে। ইচ্ছে আছে জীবনের শেষবেলায় নাইরোবির পাহাড়ের ঢাল, অথবা সাভানাতে তাঁবু টাঙ্গিয়ে কাটাব কিছু একান্ত সময়।

দেখেনতো এই জায়গাটা চিনেন কিনা ?

--সাদাকালোরঙ্গিন

auto

auto

auto

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি মনে হয় কোন ছবি বা লিংক দিতে চেয়েছিলেন! আসলে কেনিয়াকে দেখলে আমার মনে হয় ওরা কতো সুন্দরভাবে ওদের সম্পদগুলোর ব্যবস্থাপনা করে আর কোটি কোটি টাকা কামায়। আমাদের সম্পদগুলো যদি ঠিকমতো ব্যবস্থাপনা করা যেতো, আমরাও আরও অনেক ট্যুরিষ্ট আকৃষ্ট করতে পারতাম আর রেভিনিউও কামাতে পারতাম।

আরেকটা জিনিস দেখেছেন নিশ্চয়ই, কেনিয়াতে স্কুলের বাচ্চাদের নিয়মিত এইসব জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় পরিবেশ, ইতিহাস, প্রাণী, গাছ-গাছালি, এইসব চিনাতে। আমাদের অনেক শিক্ষণীয় আছে ওদের থেকে।

আমিও অপেক্ষায় থাকলাম আপনার অভিজ্ঞতা পড়ার জন্যে। লিখুন প্লিজ!

রাতঃস্মরণীয়

সাদাকালোরঙ্গিন এর ছবি

ছবিগুলো আবার দিলাম। অভিজ্ঞতার কথা লিখব হয়ত কোন এক সময়। কেনিয়া দেখার আগে আমার ধারনা ছিল গরীব দেশগুলো বুঝি অপরিষ্কার হয়। কেনিয়া দেখার পর মনে হয়েছে গরীব দেশও খুব সাজানো গোছানো হতে পারে।

at the entrance of Lake Nakuru

Flemingo at Lake Nakuru

Lake view from the hill

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভাই, ব্লগে ব্যক্তিগত ছবি একটু কেমন যেন লাগে না? হাসি

সাদাকালোরঙ্গিন এর ছবি

ছবি যে নেট থেকে মারা না , তার জন্যই নিজের ছবি দেয়া :)।
আর আমরা তো দিগন্ত দেখা না গেলে এভারেষ্টের ছবিও মেনে নিতে পারি না হাসি

[মন্তব্যটা ফান হিসেবেই নিন। ব্যক্তিগত ছবি বিরক্তি উদ্রেক করলে মুছে দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি। ]

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হা হা হা .. ঠিক আছে। না, বিরক্ত লাগে নি, একটু কেমন কেমন লাগে আরকি হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ফ্লেমিঙ্গোর ঝাঁক দেখে তো লেক নাকুরু ন্যাশনাল পার্কের মতোই মনে হচ্ছে। দারুন একটা ছবি নিয়েছেন। ওখানে একাধিক এক্সিট আছে। আপনি মনে হয় অন্য এক্সিটে ছবিটা তুলেছেন। এই ফেন্সিং দেওয়া যায়গাটা আমার চোখে পড়েনি।

নিজেদের রিসোর্সগুলো সাজিয়েগুছিয়ে রাখতে আসলে ধনী হওয়ার যতোটা প্রয়োজন তাথেকে সদিচ্ছার বেশি প্রয়োজন যেটা আমাদের খুবই অভাব।

রাতঃস্মরণীয়

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমার স্কুলে-জীবনের এক দোস্ত একসময় কেনিয়াতে থাকতো। স্কুলে পড়ার সময় ওর কাছে কেনিয়ার এত গল্প শুনেছি যে মনে হয় একদিন চলেই যাবো ওখানে। দেখা যাক যদি কোনদিন সময় সুযোগ মেলে তো যেতেও পারি। আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের ছবি নাই?

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই। যদি কখনও কেনিয়া যান তবে সেই ভ্রমণ স্বার্থক হবে, এটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি। আর মাসাই মারা গেলে তো লাইফটাইম এক্সপেরিয়েন্স। যদিও ৫০০ ডলার দামের ৩০ নিনিটের বেলুন সাফারিটা আমাকে একদম টানেনি। প্রাণী মাইগ্রেশন দেখতে চাইলে যেতে হবে অগাষ্ট-সেপ্টেম্বর মাসে।

ছবির গোটাটাই জ্বলামুখ। অতীব বিশাল। আমার ধারণা ছিলো জায়গাটা ছোট হবে কিন্তু গোটা এলাকাটাই জ্বালামুখ।

রাতঃস্মরণীয়

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

খরচাপাতির কথাও একটু লিখলে ভালো হয়। যেমন, থাকা খাওয়ার খরচ কেমন, ভ্রমণ করতে কেমন খরচ, বিদেশীদের নিরাপত্তা কতটুকু ইত্যাদি।

দুর্দান্ত এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ দুর্দান্ত ভাই। একেকটা থাম্বস আপ আমাকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করে।

রাতঃস্মরণীয়

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

জবাব নাই! ছবিগুলো দুর্দান্ত হইছে। আরে ছবি হলে ভালো হতো।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আখতারুজ্জামান ভাই, সামনের লেখাগুলোতে বেশি করে ভালো ছবি দেবো।

রাতঃস্মরণীয়

অতিথি লেখক এর ছবি

রাতঃস্মরণীয় ভাই,

আপনি মশাই এত ঘুরলেন, এত দেখলেন, আর পোস্ট করলেন এইটুকু! অপূর্ব সব ছবি। আপনার লেখা ভ্রমণকাহিনী পড়তে ভাল লাগে।

তেল নুন বেশি দিয়ে চটজলদি মাসাই-মারা নামিয়ে ফেলুন।

ফাহিম হাসান

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ফাহিম ভাই। আসলে বড় লেখা পড়তে পাঠকের যাতে ধৈর্যচ্যুতি না ঘটে সেজন্যেই লেখার আকার ছোট রেখেছি। তবে আগামীতে আরেকটু বিস্তারিতভাবেই লিখবো।

রাতঃস্মরণীয়

দ্রোহী এর ছবি

চমৎকার সব ছবি। চমৎকার বর্ণনা।

ভাল লাগল। চলুক


কাকস্য পরিবেদনা

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ দ্রোহী ভাই।

রাতঃস্মরণীয়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।