চোথা কিংবা চোথা মামাদের কথা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৫/১১/২০১০ - ৯:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।
মনির মামাকে পলাশীর অঘোষিত গডফাদার বলা যায়। টার্মের শেষ হতে না হতেই সব সেকশনের রথী-মহারথীরা তাদের সারা বছরের পরিশ্রমের মূল কপিটা মনির মামাকে ভেট দিয়ে আসেন। মনির মামা সেই কপিকে কাজে লাগিয়ে চোথার পাহাড় (!!!) গড়ে তোলেন আর আমরা আমজনতা, যারা কিনা সারা বছর ক্লাসমুখো হই না বা হলেও 'মন বসে না ক্লাস লেকচারে', তারা মামাকে উপযুক্ত সম্মানী দিয়ে সেই ক্লাসনোটগুলো ফটোকপি করে নিয়ে আসি। পিএল-এর এই সময়টাকে চোথা মামাদের জন্য ঈদ মৌসুমই বলা যায়। সারা বছরের মন্দা ইনারা এই এক কি দেড় মাসেই কাটিয়ে নেন। কোন পথচারী যদি এই সময়ে পথ ভুলে পলাশীর এই জ্ঞানফটকে একটুখানি উঁকি দেন, দেখতে পাবেন মামাদের চোখে-মুখে খেলা করছে চাঁদরাতের আনন্দ। আপনি যদি জরুরী কিছু ফটোকপি করাতে যান এ সময়টায়, আমি বলবো, আপনি ভুল জায়গায় ভুল সময়ে এসেছেন। সময়টা যদি সকালবেলা হয়, আপনাকে ওয়েট করতে হবে মিনিমাম দুপুর পর্যন্ত, দুপুরে এলে কমসে কম সন্ধ্যা পর্যন্ত আর সন্ধ্যায় এলে মামা দাঁত কেলিয়ে বলবেন, "কাইলকা সকালে আইসে নিয়া যাইয়েন মামা।"

২।
মনির মামার আগে পলাশীর ডন ছিলেন 'কন্টিনেন্টাল' মামা। পাঠক বুঝতেই পারছেন, 'কন্টিনেন্টাল' কোন মামার নাম নয়, মামা যে দোকান চালাতেন (এবং এখনো চালান), সেই দোকানের নাম। পাক্কা দুই বছর আমাদের যাবতীয় চোথা ফটোকপি'র একচেটিয়া দায়িত্বে ছিলেন এই মামা। তো, আমাদের ডিপার্টমেন্টের একটি নাটকে এই মামার একটা ক্যারেক্টার প্লে করার কথা ছিল। সিকোয়েন্সটা ছিল এরকম, শুরুতে দোকানের নামটা জুম করে দেখানো হবে। আস্তে আস্তে ক্যামেরাটা নিচে নামবে । দেখানো হবে, নাটকের নায়িকা মামার দোকানে চোথার ফটোকপি নিতে আসবে। টাকা দিতে যাবে তখন মামা বলবেন, "আপা, আপনার টাকা তো এক ভাইজান দিয়া গেসে।" ফ্রেমে তখন সেই ভাইজানের আবির্ভাব ঘটবে। নায়িকা তখন নায়ক কেন তার টাকা দিয়ে দিল- এনিয়ে অহেতুক(???)একটা ঝগড়া বাঁধিয়ে দেবে। মামা বিরক্ত হয়ে বলবে, "আপা, য়াপনাদের ঝগড়া করার হইলে হলের কমন রুমে গিয়া করেন। আমার দোকানটারে ক্ষেমা দেন।" শেষে দেখানো হবে, মামার দোকানের সামনে কাস্টমারদের দীর্ঘ লাইন পড়ে গেছে। দুর্বল সিকোয়েন্স। যাই হোক, আমাদের অন্য অনেক প্ল্যানের মত এ প্ল্যানটাও কখনো বাস্তবায়িত হয় নি। নাটক হিয়েছে, কিন্তু মামাকে দিয়ে আর অভিনয় করানো হয়নি। হলে অবশ্য মন্দ হত না। নিখরচায় মামার দোকানের একটা এ্যাড হয়ে যেতো।

৩।
মামার দোকানে ঢুঁ মেরেছি কি মারিনি মামা একগাল হেসে তার গোপন ভল্ট থেকে একখান চোথা বাড়িয়ে দিয়ে বলেন, "মামা, যদু দা'র একটা চোথা আসছে। নিয়া যাবেন নাকি?" আমরা বন্ধুরা পরস্পরের মুখের দিকে তাকাই। যদু দা'র চোথায় তো অনেক ভুলভাল থাকে। আমাদের মধু দা'র সল্যুশনই পছন্দ। যদিও তার সল্যুশনের পাতায় পাতায় আবজাব কাব্যকথা থাকে। এই যেমন," ধুর! এই অঙ্কটা পারলাম না। মনু, তোমাকে দিয়ে কিছুই হবে না হে।" কিংবা "এভাবে নয়, এভাবে নয়, এই সার্কিটটা ওভাবে, হ্যাঁ, ওভাবেই সলভ করবে।" এইসব কাব্যকথা আমরা গায়ে মাখি না। জ্ঞানার্জন করতে হলে জ্ঞানীগুণীদের এইসব কাব্যকথা একটু হজম করতেই হয়। সমস্যা হল, মধু দা'র সল্যুশন এই মুহূর্তে 'আউট অব মার্কেট'। দু'দিন পর এলে 'পাইলেও পাইতে পারি অমূল্য রতন'। নো প্রবলেম বস। আমাদের এতো তাড়াহুড়া নেই। মামার সাম্রাজ্য থেকে বেরিয়ে আসবো, ঐ সময় মামা আবার হাঁক দেন, "অর্চি মামার ক্লাস লেকচার নিবেন না মামারা?" বাজারে অর্চির ক্লাসনোটের ব্যাপক কাটতি। মানুষ লাইন ধরে তার ক্লাসনোট ফটোকপি করায়। বইমেলার মত করে যদি কোন 'চোথামেলা'র আয়োজন করা হত, নিঃসন্দেহে অর্চির চোথার কাটতি দেখে আরো যারা লেখক আছেন, মানে ভালো ক্লাসনোট তোলেন আর কি, তাদের চোখ টাটাতো।

৪।
এবং আমরা সবাই একসময় একঘেয়ে দৈনন্দিনতায় ডুবে যাব। হারিয়ে ফেলবো এই আপাতমধুর স্ম্‌তিগুলো। কোন এক অলস বিকেলে হয়তো ব্লগের পাতা ওল্টাতে গিয়ে এই লেখাটি চোখে পড়বে। মনে পড়ে যাবে পলাশীর বাজারে ফেলে আসা সব অদ্ভূতুড়ে স্ম্‌তিদের। অলস শরীর তখন আর কষ্ট করে সেই স্ম্‌তির ময়দানে যেতে চাইবে না। গেলেই তো মামারা দূর থেকে হেঁকে উঠবেন, "আই পি'র নতুন শিট আসছে মামা। সনেট মামা (আমাদের মনিটর) দিয়া গেসেন। দুই কপি করায়ে রাখবো নাকি?" আমি মনে মনে হাসবো। মামার কি খেয়াল নেই, যে এখন আর আমার আই পি শিটের কোন জরুরৎ নেই। তবুও অভ্যস্ত ভঙ্গিতে বলবো, "করায়ে রাখেন মামা। বিকালে যাবার পথে নিয়ে যাবো নে।"

---আশফাক আহমেদ


মন্তব্য

শিশিরকণা এর ছবি

আমাদের সেকশনের জন্য নির্ধারিত ছিল খোকন মামা। জিপিএ যেটুকু আছে তার পিছে তার অবদান অসামান্য। কোন কোন চোথা আমি নিয়েছি, কোনটা নেই নাই, আর কোনটা আমার অবশ্যই পড়া দরকার, এই হিসেব তো আর কেউ রাখতো না। পরীক্ষার সিলেবাস আমার থেকে মামাই ভালো জানতেন।

পলাশীর বাজারটা ভেঙ্গে দেয়ার পর মামারা এখন কোথায় বসেন জানি না। দেখা করতে হবে। এখন নিজে নিজে কপি করতে গিয়ে পেপার জ্যাম এর গিরিঙ্গি ছুটাইতে গেলে মামাদের কথা মনে পড়ে উদাস লাগে...

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

অতিথি লেখক এর ছবি

এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ বস।

দুর্দান্ত এর ছবি

কপিরাইট আইন শক্তপোক্ত করে প্রয়োগ করলে আমাদের সরকারি বেসকরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অর্ধেকই মনে হয় আর ছাত্র পেতোনা। খোলামেলা ফটোকপি সংস্কৃতির কারনে পাঠ্যবস্তুর সহজলভ্যতার একটা ভাল দিক আমরা সবাই ব্যাবহার করতে পেরেছি।

ইদানিং অনুমতি বা যথোপযুক্ত উল্লেখ না করে তার জিনিস ব্যাবহার নিয়ে ছবি বা লেখার মালিকদের গাইগুঁই চোখে পড়ে। আমার তো মনে হয় চোথার মালিকদেরও একই রকম দাবী করে ফেলা উচিত।

অতিথি লেখক এর ছবি

তোর লিখার স্বচ্ছন্দ প্রবাহ আমাকে সবসময়ই মুগ্ধ করে। (এ আর নতুন কি !)
আসলেই এ আপাত তুচ্ছ ঘটনালিপিগুলো একদিন হবে আমাদের স্মৃতিমেদুরতার নিভৃত সঙ্গী।
(অন-টপিকঃ মধুদা কে রে ব্যাটা নচ্ছার ?)

সাত্যকি

অতিথি লেখক এর ছবি

চোখ টিপি

ওসিরিস এর ছবি

মামাদের ব্যবসার একটা ভাগ অর্চি-যদুদের প্রাপ্য। আসেন আন্দোলন করি, "চোথার্ভাগ কোথায় যায় - দেতে হবি, দেতে হবি।।" তার্পরও না দিলে মামাদের 'এক কাপড়ে' দুকান থিকা বের করি দেয়ার ব্যবস্থা করা যাইতে পারে।

মামা দাঁত কেলিয়ে বলবেন, "কাইলকা সকালে আইসে নিয়া যাইয়েন মামা।"

হে হে, এহানে কেকার্মামা?? পুরাই মামার্বাড়ির আবদার দেহি।।
_______________________________________________
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???

অতিথি লেখক এর ছবি

মামাদের ব্যবসার একটা ভাগ অর্চি-যদুদের প্রাপ্য। আসেন আন্দোলন করি, "চোথার্ভাগ কোথায় যায় - দেতে হবি, দেতে হবি।।" তার্পরও না দিলে মামাদের 'এক কাপড়ে' দুকান থিকা বের করি দেয়ার ব্যবস্থা করা যাইতে পারে।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
এই সুযোগে একটা কথা বলে ফেলি। তোর কমেন্ট (তা সে সচলেই হোক বা খোমাখাতাতেই হোক) পড়ে প্রায়শই হেসে গড়াগড়ি খাই। তোর মজার মজার কমেন্ট আরো পাওয়ার আশা রাখি খাইছে

তানজিল এর ছবি

এক কাপড়েই বাইর কর আর দুই কাপড়েই, মামায় ঠিকই বুঝবে এইটা সেনাবাহিনীর কাজ না........

স্বাধীন এর ছবি

লেখাটা ভাল লাগলো।

আমার একটি জিনিস কিন্তু বেশ অবাকই লাগে। যারা কষ্ট করে চোথাগুলো তৈরী করতো তাঁদের বেশিরভাগই কিন্তু বেশ খুশি মনেই চোথা দিতো। তাঁদের এরকম পরার্থিতার জন্যই না কত বন্ধুরা বুয়েট জীবন শেষ করলো।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

মামা যুগ পার করে আসছি। আমরা সেলিম ভাইয়ের উপর দিয়াই চলি...

_________________________________________

সেরিওজা

অতিথি লেখক এর ছবি

সেলিম ভাইটা কে রে? চিনায়ে দিস তো
মনির মামা পেরায়ই বিজি থাকেন কিনা...একজন ব্যাকাপ রাখা ভালো খাইছে

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

লেখা জুস! পইড়া হাহাপগ্লাম! কমেন্টগুলাও জুস! সো ফার আর কী! খাইছে

আমার সাথে আমার বুয়েটি বইন পড়তেসিলো, ও আমারে কয় আরে, এইটা তো আমার কথা!~ দেঁতো হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার বুয়েটি বইনও কি 'অর্চি'র মত জব্বর লেখিকা নাকি?

 উত্তর ফাল্গুনী এর ছবি

খুব পরিচিত সেই সময়টা অন্যের চশমায় দেখতে গিয়ে দেখি..আমরা কোন..না কোনভাবে সবাই একই রকম ছিলাম। কিন্তু 'আই পি'র চোথার জরুরৎ না থাকার রহস্য বুঝলাম না।

অতিথি লেখক এর ছবি

'আই পি'র চোথার জরুরৎ না থাকার রহস্য বুঝলাম না।

আমি আপু এক কি দেড় বছর পরের একটা সময়কালের কথা ভেবে ঐ প্যারাটা লিখেছি।
'আই পি' কোর্সের নামটা জাস্ট এগজ্যাম্পল হিসেবে ব্যবহার করেছি।

অমিত এর ছবি

ভাল্লাগলো
লেখাটা পড়ে হঠাৎ ক্যাফেটেরিয়ায় যেতে ইচ্ছা করলো মন খারাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

তাইলে তো বস আমার লেখা সার্থক হাসি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমার ক্লাসনোট আমাকেও ফটোকপি করে পড়তে হতো, সেমিস্টারের শেষে ওটার পুরো মালিকানা মামুদের।

বুয়েটের চোথা (প্রশ্ন আর উত্তর তৈরি করা, যার মধ্যে অনেক ফর্মূলার ডেরিভেশনও আছে) সংস্কৃতির ওপর আমার অবশ্য বিতৃষ্ণা আছে। ইউনিভার্সিটি পর্যায়ে চোথাবেইজড পড়াশোনা করে অনার্স জিপিএ পাওয়া তারেক রহমান শতাব্দীর সেরা বাঙালি হওয়ার মতোই কুৎসিত।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

এটা মূলত স্ম্‌তিচারণমূলক লেখা। তাই চোথাবেইজড পড়াশোনা নিয়ে এ মুহূর্তে বিতর্কে যেতে চাচ্ছি না।
ভবিষ্যতে হয়তো এ নিয়ে লিখলেও লিখতে পারি।
আর আপনার কাছে এ নিয়ে সুচিন্তিত কোন লেখা আশা করতেই পারি।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

রাইট, বিষয়বস্তু স্মৃতিচারণ।
সময় পেলে লিখবো।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

এলএলবি পূর্বভাগ পড়ার সময়ে ছোটভাইয়ের এক উকিল বন্ধু নিয়ে গেলো ফটোকপির দোকানে। দোকানদার ভাইতো জটিল লোক। তার মতে সব প্রফেসরদের সাজেশনস ভুয়া আর তারটাই সঠিক। নিলাম এক সেট চোথা। শুধু আমি একা না, অধিকাংশ ষ্টুডেন্টই তার থেকে চোথা নিচ্ছে। একরাত চোখ বুলিয়ে পরীক্ষার হলে গেলাম। অনভ্যাসে বাংলা ভালো লিখতে পারিনা তাই ইংরেজিতে পরীক্ষা দিলাম। পাশও করে গেলাম।

দোকানদার ভাই কিন্তু মাত্র এইচএসসি পাশ। ল কলেজের সামনে দোকানদারি করেন (এবং গাঁজা টানেন) অনেকবছর ধরে আর নিয়মিত পরীক্ষার কোশ্চেন বিশ্লেষণ করে সাজেশন তৈরী করে থাকেন।

রাতঃস্মরণীয়

অতিথি লেখক এর ছবি

জটিল তো খাইছে
আপনাদের মামারা তো এক কাঠি সরেস হাসি

সারাহ্‌ ক্যারিগ্যান এর ছবি

প্রথম দুই বছর নিজের ক্লাস নোট পড়েছিলাম। জিপিএ এর অবস্থা ছিল ডাইল।পরে আর ক্লাস করি নাই। কে করে? জদু মধু দের ক্লাস নোট ই ছিল ভরসা।ফলাফলঃ জিপিএ ডাইল।
যাই হোক। লেখা পড়ে খুবি ভাল লাগ্‌ল।পারলে এখনি পলাশি চলে যাই এই অবস্থা।

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথম দুই বছর নিজের ক্লাস নোট পড়েছিলাম। জিপিএ এর অবস্থা ছিল ডাইল।পরে আর ক্লাস করি নাই। কে করে? জদু মধু দের ক্লাস নোট ই ছিল ভরসা।ফলাফলঃ জিপিএ ডাইল।

হে হে। আপনার আর আমার রেজাল্ট তো মাশাল্লাহ খাপে খাওএ মিলে যাচ্ছে খাইছে

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

তুলনা নাই পোস্ট! চোথা মামা জিন্দাবাদ!!

নীলকান্ত এর ছবি

মজা হয় মাঝে মাঝে যখন চোথায় রোল নম্বর,সন দেখি। একটা চোথা ছিল ২-২ তে। ১৯৯২ সালে লেখা স্ট্রাকচার।
একদিন এক স্যার এক চোথা দিলো, সেটা ১৯৮৬ এর।
ভাই রে, কি জিনিস!!!!

আমি মেঘের দলে আছি, আমি ঘাসের দলে আছি


অলস সময়

সাকিব [অতিথি] এর ছবি

লেখাটা পড়ে নিজেকে রাম-গাধা মনে হচ্ছে । পাক্কা ৫ বছর বুয়েটে পড়েও জানলাম না পলাশীতে রেডিমেড চোথা পাওয়া যায় মন খারাপ

অবশ্য অন্য একটা কারণও থাকতে পারে । সিএসই ডিপার্টমেন্টের বইগুলো খুব তাড়াতাড়ি চেন্জ হয়ে যায় , সে কারণে চোথাগুলো ম্যাচিউরড হওয়ার আগেই বাতিল হয়ে যায় । আবার সিএসই তে টিচারদের বাইরে চলে আসার রেট খুব বেশি বলে , নতুন টিচার আসলেই দেখা যায় নতুন কোন টেক্সটবুক থেকে পড়াচ্ছেন । সবমিলিয়ে চোথা সংস্কৃতি থেকে এভাবে দূরত্ব যদি তৈরি হয়ে থাকে , তবেও মন্দ না

অতিথি লেখক এর ছবি

চোথা বলতে আমি কিন্তু দুটো জিনিসকে মিন করেছি।
ক্লাসনোট আর বই/টার্ম ফাইনালের সল্যুশন।
আপনি হয়তো নিয়মিত ক্লাস লেকচার তুলতেন, তাই প্রথমটার প্রয়োজন হয় নি।
আর বইয়ের সল্যুশন এখন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সফট কপি আকারে পাওয়া যায়। কিন্তু, ইলেক্ট্রিসিটির যা অবস্থা, তাতে সফট কপিও হার্ড করে রাখতে হয়। নইলে পরীক্ষার আগের রাতে অন্ধকারে বসে বসে মুড়ি খেতে হয় অনেক ক্ষেত্রেই

ইমরান [অতিথি] এর ছবি

দাদা,PL চলে...যদু-মদু-কদু সব চোথা দখলে... দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

দাদা, আপনি কি নজরুল হলের ৩০১ নম্বর রুমের অবৈধ দখলদার, দাদা? চোখ টিপি

ইফতেখার [অতিথি] এর ছবি

খোকন মামার কথায় nostalgic হয়ে গেলাম। তবে মামারা যে পরিমাণ পরিশ্রম করে, তা হয়তো উপযুক্ত হয় না।

অতিথি লেখক এর ছবি

তবে মামারা যে পরিমাণ পরিশ্রম করে, তা হয়তো উপযুক্ত হয় না।

সেই

পরিবেশবাদী ঈগল  [অতিথি] এর ছবি

মাত্র ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছি, আমি সিভিলের, তবে বুয়েটের না, সামরিক জেলখানা থেকে। চোথার কথাগুলা পড়ে ভাল লাগল।
চোথা নিয়ে লাফালাফি থেকে শুরু করে সিরিয়াস রেষারেষি/চোথা লুকিয়ে রাখা, মন কষাকষির ঘটনাও আমাদের দেখতে হয়েছে। তখন তো আর জানতাম না পলাশীর খবর।
পরে লেভেল ৪ এ এসে বুয়েটে থিসিসের কাজে যাবার সময় পলাশি আর চোথার কাহিনি দেখলাম। এত আফসোস হচ্ছি; !!! আগে জানলে গত ৪ বছর কত আরামে থাকতে পারতাম । দোকানের মামা, (স্টূডেন্ট ওয়ার্ল্ড সম্ভবত) খালি আমি কোর্সকোড বলতেই সব চোথা হাজির করে দেয় সামনে, আর সুবিধা ছিল আমাদের কোর্সকোড আর বুয়েটের কোর্সকোড গুলা একই ছিল, যেমন CE-435, CE-431, পুরা টাশকি খেয়েছিলাম।

আরো মজা দেখলাম বুয়েটের পোলাপানের কান্ড দেখে, কোন চোথা লাগবে কি ;লাগবে না সেটা ওদের চেয়ে মামাদেরই গরজ বেশি, নিজেরাই সব খুজে দিচ্ছে। ইশশশ, এত মজা !!!!!!! মন খারাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

দাদা, আপনি কি এইচএসসি '০৬ ব্যাচের?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।