আমাদের পচনশীল রাজনীতি নিয়ে কত লেখা পড়েছি তার কোন ইয়ত্তা নেই।হাসিনা খালেদা আর এরশাদ (এক্টুখানি জামাত)ময় এই রাজনীতির গরম মাঠে সূর্যের চাইতে বালির বেশী গরমের মতো দেখেছি বখাটে ছেলেটার রাজনীতির প্রতি গভীর অনুরাগ। আর তার সহপাঠি ভালো ছেলেটির বগলে বই নিয়ে মাথা নিচু করে হেঁটে যাওয়া।
সব কিছুই ঠিক ছিলো (বেঠিক থাকার মধ্যে যতটুকু ঠিক থাকে আর কি!!।আমাদের কোন কিছু কোন কালে ঠিক ছিলো নাকি?....সেই ১৭৫৭ সাল থেকেই তো.......);হাসিনার বকবকানি, খালেদার রূপচর্চা, এরশাদের মধুর সন্ধান আর চরিত্রের ব্যবচ্ছেদ।
সেনানিবাসের রাজপ্রাসাদে সুখে ছিলেন খালেদা, সেখানে বসে রাজ্য চালিয়েছেন, খাম্বা লিমিটেড বানিয়ে দিয়েছেন ছেলেকে। যাই হোক বকবক কম করে আমাদের দুটো কানের একটাকে খানিকটা আরাম দেওয়ার জন্য একটু কৃতজ্ঞ ও ছিলাম বটে আমরা তাঁর প্রতি। সবসময় মুখে হাসি ধরে রাখার দূর্লভ গুনের অধিকারিনী নেত্রীকে ৯১র জলোচ্ছাস স্পর্শ করেনি, পানির ট্যাংকের গলিত লাশ ও কোন দিন স্পর্শ করেনি, তাঁকে টলাতে পারেনি রেল লাইনে কাটা পড়া কর্মিদের লাশ ও! মুখে হাসি দেখিনি কবে!! হয়তো ক্যমেরার সামনে কিভাবে পোজ দিতে হবে এজন্য রাজণীতিবিদদের কোন শর্ট কোর্স করতে হয়। আমাদের এই দুই নেত্রীকে দেখে মনে পড়ে চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গার কথা। কোমরে আঁচল পেঁচিয়ে , ম্যকাপবিহীন জাঁদরেল এই মহিলাকে দেখে কখনো খারাপ লাগতোনা, মমতা ব্যনার্জিকে দেখলে রাজনীতিবিদ দেখা সার্থক হয়।
যা হোক নেত্রী দূর্জনের মুখে ছাই দিয়ে চাপা কান্না কাঁদলেন দুই ছেলে দূর্নীতি আর চাঁদাবাজীর দায়ে কারাগারে যাওয়ার পর। সেটা ছিলো মায়ের কান্না। স্পর্শ করেছিলো আমাদের মতো ম্যাঙ্গো পিপলদের ও, যাদের পুটকি মেরে দুই যুব্রাজ সম্পদের পাহাড় গড়েছিলেন!
আর শেষবেলায় নেত্রী আকুল হয়ে কাঁদলেন অবৈধভাবে পাওয়া একটি বাড়ির শোকে! আঁচলে চোখ মুছলেন, টিস্যু পেপার ভিজিয়ে, ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে। আদালত বলছে বাড়ি ছেড়ে দিন, আদালতের সম্মানে নেত্রী মালসামান গোছালেন সময় নিয়ে। আর আইএসপিয়ার আসার জন্য অপেক্ষা করলেন শেষ দিন দুপুর পর্যন্ত!! আমি ঠিক জানিনা অই দিন সরকারি বাহিনি না গেলে কি তিনি বাড়ি ছাড়তেন না? তাহলে আদালতের সম্মান নিয়ে এই যে তার টেনশিত হয়ে থাকা সেটি পুরোটাই ভান!!রায় বাস্তবায়নের বিপক্ষে কোন স্টে অর্ডার নেই, সরকারের হাতে উচ্ছেদ ব্যাতিত কোন বিকল্প নেই, নেত্রী মনে হয় শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে চেয়েছিলেন কিছু দুরাশা নিয়ে, পুলিশ মারুকনা ডান্ডা দিয়ে দুটো বাড়ি...তার পরই না আন্দোলন করে সুখ! আইএস্পিয়ারের দাবি মোতাবেক সসম্মানে বের হয়ে যাওয়ার পর তার আকুল ক্রন্দন দেখে আমাদের রাজনীতির দেউলিয়াত্ব কোথায় সেটা যখন অনুভব করা শুরু করেছি, ছাগল এই আমরা তখন হতভম্ব হয়ে দেখলাম সামনে একখান হরতাল খাড়া! ঈদের ছুটির আগে অফিসের কাজের চাপ, শেষ মূহুর্তের ডেডলাইন মেন্টেন করা, টিকিটের খোঁজে উদ্ধশ্বাস আমাদের মাথায় বাড়ি মেরে আমাদের রাজনীতি আমাদের অনেক্ বড়ো একটা সবক দিলো!
দেশের চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে ব্যাক্তি আর ম্যঙ্গো পিপলের চাইতে অনেক বড়ো দামি হচ্ছে নেত্রীর বাড়ী!!
মন্তব্য
আহারে বেচারীর ক্রন্দন। গাছের পাতা ঝইড়া পরতাসে। কষ্টে আমার বুকটা ফাইটা যায়।
অহন তিনি ফুটপাটে আশ্রয় নিসেন। জিয়া তো একটা ছেড়া গেঞ্জী ছাড়া আর কিছু দিয়া যায় নাই। পোলা দুইটা বেকার!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ভাই, যাই বলেন না কেন, সকালে অফিসে গিয়ে যখন শুনলাম খালেদার বাড়ী পুলিশ ঘিরে রেখেছে এবং আজ তাকে বাড়ী ছাড়তে হবে, মন্টা একটু হলেও বিষন্ন হয়েছিলো! আহারে এতদিনের স্মৃতি!
কিন্তু সন্ধ্যাবেলা যখন তার ক্রন্দন আর ফটোসেশন দেখলাম তখন বমি এসে যাবার জোগাড়!কান্নার মধ্যে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার কুইচ্ছাটা তখনি সবার কাছে পরিষ্কার হয়ে যায় কারন এর চাইতে দূঃখের মধ্যেও নেত্রীর চোখে আমরা কেউ পানি দেখিনি!
রাজনীতি যেভাবে নাচাতে চায় আমাদের নেতারা সেইভাবেই নাচেন, নাকি রাজনীতিই তাদের হাতে পড়ে নেচে ক্লান্ত তা মনে হয় আর কখনোই বুঝতে পারবোনা!
ভাই আপনার নাম আর ঠিকানা কই?
রাতঃস্মরণীয়
নতুন মন্তব্য করুন