একজন মুক্তিযোদ্ধার প্রস্থানঃ আপনাকে লাল সালাম জেনারেল

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি
লিখেছেন রাতঃস্মরণীয় [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২১/১১/২০১০ - ১১:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[img=auto]Mir[/img]
৭২ বা ৭৪ বছর বয়সে কেউ মারা গেলে তাকে সাধারণভাবে অসময়ে মৃত্যু বলা যায় না। বয়স হয়ে গেলে নানারকম অনুস্থতায় মানুষ মারা যেতে পারেন, এটা স্বাভাবিক এবং গ্রহনযোগ্য। তার পরেও মাঝে মাঝে কিছু বৃদ্ধের মৃত্যকে অসময়ে মৃত্যুই বলতে হয় যেমন বলতে হয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মীর শওকত আলীর মৃত্যু।

দেশ যখন একাত্তরের ঘাতক-দালালদের বিচারের প্রক্রিয়া তরান্বিত করছে, তখনই তিনি চলে গেলেন। শকুনগুলোর বিচার দেখে যেতে পারলে নিঃসন্দেহে তিনি পরম শান্তিতে মরতে পারতেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা মা-বাবার সন্তান হিসেবে আমি ব্যাক্তিগতভাবে অত্যন্ত শোকাহত একজন মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানীর প্রয়ানে।
[img=auto]Book8259[/img]
তার মিলিটারি, ডিপ্লোম্যাটিক বা পলিটিকাল ক্যারিয়ার নিয়ে বিশ্লেষন নিষ্প্রয়োজন কারণ তিনি এখন সব সাফল্য বা ব্যার্থতার উর্দ্ধে চলে গেলেন। আর আমার কাছে তার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়টাই সবথেকে বড়। তার থেকে ভালো সৈনিক অনেক ছিলেন, আছেন বা ভবিষ্যতে অনেকেই হবেন। তার ডিপ্লোম্যাট বা পলিটিশিয়ান পরিচয়ের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কিন্ত একটা জায়গায় তিনি শ্রেষ্ঠ। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। আমার বিবেচনায় মুক্তিযোদ্ধারা সবাই শ্রেষ্ঠ। তাদের শ্রেষ্ঠত্বের কোনও মাপকাঠি নেই। ব্যাকরণের বিচারে ভুল হলেও আমার বিবেকের বিচারে মনে করি এটাই সঠিক।

মীর শওকত এবং আমার পিতা দীর্ঘদিন একসাথে এক ধারার রাজনীতি করেছেন এবং কাছাকাছি সময়ে একই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিএনপি থেকে বিতাড়িত হয়েছেন।

তার পরিচিতজনদের কাছ থেকে শুনেছিলাম তার শেষ জীবন নিঃসঙ্গতায় ভরা ছিলো। একমাত্র ছেলের অকালমৃত্যুও তাকে নিদারুন নিঃসঙ্গতায় ঠেলে দিয়েছিলো। একসময় তার সংসার ছিলো ৬টা কুকুরকে নিয়ে। জানতে পারিনি সেই ৬টা কুকুর এখন কোথায়।

জেনারেল মীর শওকত, আপনার আত্মা চিরশান্তিতে থাকুক, এই কামনা করি। আপনাকে লাল সালাম জেনারেল।

ছবিসূত্রঃ
মীর শওকত
বইয়ের কভার


মন্তব্য

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

একটা ডেরাম ও ছিলো কিন্তু
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

অতিথি লেখক এর ছবি

ওটা কমবেশি সবাই জানে। তাই আর উল্লেখ করতে চাইলাম না। ধন্যবাদ।

রাতঃস্মরণীয়

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

লেখার জন্য ধন্যবাদ। আরো বিস্তারিত কিছু আসলে আরো ভালো হতো। ওনার প্রতি শ্রদ্ধা রইল। বিএনপির জামাতপ্রীতির কারণেই উনি দল ছেড়েছিলেন। আর যুদ্ধাপরাধের বিচারের কী অবস্থা তা তো আমরা দেখতেই পারছি।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই। আমি আসলে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানিনা। তবে টেলিভিশনের টকশোগুলো দেখে বেশ কিছু তথ্য জানতে পারছি।

রাতঃস্মরণীয়

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

রাজাকার সবসময়ই রাজাকার, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা সবসময় মুক্তিযোদ্ধা না। হাসি

জিয়া ক্ষমতায় এসে সামরিক বাহিনীতে কোর্ট মার্শালের নামে স্রেফ হত্যাযজ্ঞ চালান। কতজনের ফাঁসী হয় তার হিসাব কেউ জানে না। মূলত মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদেরই নির্মুল করা হয়। এবং তখন থেকেই দেশে সামরিক বেসামরিক সব ক্ষেত্রে পাকিশক্তির পুনর্বাসন শুরু হয়। এবং জিয়া এই সম্পুর্ণ কাজটা পরিচালনা করেন দুজন অত্যন্ত আস্থাভাজন অফিসারকে দিয়ে, জেনারেল মঞ্জুর আর জেনারেল মীর শওকত আলী!
যদিও পরবর্তীতে এ দুজনকেও ছুঁড়ে ফেলে দেন জিয়া! যার ফলশ্রুতিতে মঞ্জুর আরো পরবর্তীতে হত্যা করে জিয়াকে।

মীর শওকত আলী মুক্তিযোদ্ধা, শেষ জীবনে তিনি জামাত সংশ্লিষ্ঠতার জন্য বিএনপিকে ত্যাগ করেন, সেক্টর্স কমান্ডার ফোরামের হয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে সোচ্চার ছিলেন, কিন্তু জিয়ার আমলে তার ভূমিকা তাতে প্রশ্নাতীত হয়ে যায় না! এই কথাটা ভুলে গেলে চলবে না

আর তাই আপনার

তার মিলিটারি, ডিপ্লোম্যাটিক বা পলিটিকাল ক্যারিয়ার নিয়ে বিশ্লেষন নিষ্প্রয়োজন কারণ তিনি এখন সব সাফল্য বা ব্যার্থতার উর্দ্ধে চলে গেলেন

এই কথাটা মানতে পারলাম না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

জিয়া ক্ষমতায় এসে সামরিক বাহিনীতে কোর্ট মার্শালের নামে স্রেফ হত্যাযজ্ঞ চালান। কতজনের ফাঁসী হয় তার হিসাব কেউ জানে না। মূলত মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদেরই নির্মুল করা হয়।

একথাগুলো আমিও শুনেছি। আমি বিশ্লেষক না। বিশ্লেষক হওয়ার মতো যোগ্যতা আমার নেই। তবে অন্যদের বিশ্লেষণ আমি পড়ি এবং গুরুত্ব দিয়েই পড়ি। নেওয়া বা না নেওয়াটা আমার ক্ষুদ্র সামর্থের জাজমেন্টাল কল।

এবং জিয়া এই সম্পুর্ণ কাজটা পরিচালনা করেন দুজন অত্যন্ত আস্থাভাজন অফিসারকে দিয়ে, জেনারেল মঞ্জুর আর জেনারেল মীর শওকত আলী!

মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক। সাধারণ মানুষ থেকে তাদের কাছ প্রত্যাশার পরিমানটা অনেক বেশি। তাই জিয়া-মঞ্জুর-শওকত বা যে কোনও মুক্তিযোদ্ধাই যদি দেশ ও জাতির স্বার্থবিরোধি কোনও কাজ করে থাকেন তা তার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ের একটা আবশ্যিক ব্যার্থতা, কোনও সন্দেহ নেই।

আপনার মন্তব্যের সত্যাসত্য বিশ্লেষনের মতো পড়াশুনা বা তথ্যসম্ভার আমার নেই। তবে অভিযোগ সত্যি হলে আমার মনে হয় মীর শওকত তার ভূল দেরীতে হলেও বুঝতে পেরেছিলেন।

ইতিহাস কিন্তু মানুষকে তার কৃতকর্মের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখে। মীর শওকতের ক্ষেত্রেও এর কোনও ব্যাতিক্রম হবেনা। ইতিহাসের নিক্তিতে তার কৃতকর্মের বিবেচনা হবে এবং ভবিষ্যৎই সে বিচারের ফল বয়ে বেড়াবে। এখানে আমি ভূলতে চাইলেও কিছু হবে না। আমার ছোটবেলায় ফকির আলমগীর আমার অটোগ্রাফের খাতায় লিখেছিলেন-

ইতিহাস বাউলের মতো ক্ষমাশীল নয়।

রাজাকার সবসময়ই রাজাকার, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা সবসময় মুক্তিযোদ্ধা না।

মন্তব্যের প্রথম অংশের সাথে দ্ব্যার্থহীন সহমত। তবে দ্বিতীয় অংশের মুক্তিযোদ্ধাকে অমুক্তিযোদ্ধাকরণ প্রক্রিয়া কতটুকু বস্তুনিষ্ঠ আর কতটুকু রাজনৈতিক উদ্যেশ্যপ্রণোদিত তা বিচার করে সিদ্ধান্ত নেওয়া বাঞ্ছনীয়। এক্ষেত্রে ইতিহাস বিশ্লেষণেও নিরপেক্ষতা প্রয়োজন।

আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ নজরুল ভাই।

রাতঃস্মরণীয়

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

রাতঃস্মরণীয় ভাই,
আপনি জানিয়েছেন যে এই তথ্যগুলো আপনি শুনেছেন কিন্তু আপনি যেহেতু বিশ্লেষক না তাই খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করলেন না! আর তথ্যগুলো জানা সত্ত্বেও খোঁজ না নিয়েই মীর শওকতকে লাল সালাম জানিয়ে দিলেন!

আপনার মুক্তিযোদ্ধা বাবা মীর শওকতের সঙ্গেই রাজনীতি করতেন বলেছেন, তাহলে তো আপনারই সুযোগ ছিলো এ সম্পর্কে আমাদের চেয়ে বেশি জানার!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

রাজনীতিতে আমার নিস্পৃহতাই সম্ভবতঃ আমাকে এবিষয়ে বেশি জানতে উৎসাহ যোগায়নি। আমি ব্যাক্তিগতভাবে সবসময়েই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়টাকে সবথেকে বড় করে দেখেছি এবং রাজনীতিকে এড়িয়ে চলেছি। আমার পিতা বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এর রাজনীতে করতেন, কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতা ছিলেন এবং জামাতবিরোধী প্রকাশ্য অবস্থানের কারণে দল থেকে বিতাড়িত হন। আমি বুঝতে শেখার পর থেকে তার রাজনীতি করা পছন্দ করতে পারিনি। যখন তিনি বিএনপি থেকে বিতাড়িন হন, এতে সম্ভবতঃ আমিই সবথেকে বেশি খুশি হয়েছিলাম। এজন্যেই মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ের বাইরে মীর শওকতের অন্য কোন বিষয়ে আমার আগ্রহ ছিলোনা।

আবারো ধন্যবাদ।

রাতঃস্মরণীয়

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি


শেষ জীবনে তিনি জামাত সংশ্লিষ্ঠতার জন্য বিএনপিকে ত্যাগ করেন...

।।

সত্যি নাকি নজরুল? এই তথ্য কোথায় পাওয়া যাবে?

জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বানাতে এই লোক ড্রামতত্ত্বের উদ্ভাবন করেছিলেন। বলেছিলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ চট্টগ্রামে একটি ড্রামের ওপর দাঁড়িয়ে মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা করেন এবং মীর শওকত তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন!

পুরান ঢাকার সেভেন মার্ডার আসামী মীর শওকত আলী সেনাবাহিনীতে বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা অফিসার নিধনে বিশাল অবদান রেখেছিলেন।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ রিটন ভাই,
সকালে পত্রিকা পড়েই মেজাজ খারাপ ছিলো। মীর শওকতকে পত্রিকাগুলো একেবারে মহামানব বানায়ে দিছে। এর একটা বড় কুফল হলো মানুষ এই তথ্যগুলোই মনে রাখবে। আর ভাববে উনি সত্যিই মহামানব ছিলেন।

টিভি চ্যানেলগুলো আর টকশোগুলোতেও তাকে মহান তকমাই দেওয়া হচ্ছে!

সেই দুঃখে ব্যক্তিগত ব্লগে এটা লিখেছিলাম

শেষজীবনে মীর শওকত মহামানব সাজার চেষ্টাই করেছিলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবীতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন সেক্টর্স কমান্ডার পরিচয়ে। বিএনপি থেকে তিনি পদত্যাগ করেছিলেন, কিন্তু পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি। তিনি এক টিভি সাক্ষাতকারে বলেছিলেন যে বিএনপির জামাত সংশ্লিষ্ঠতার জন্যই তিনি নাকি বিএনপি ত্যাগ করেছেন।

দেখতে পাচ্ছি তার এই ইমেজটাই দাঁড়িয়ে যাচ্ছে, অথচ কোনো প্রতিবাদ নাই! কী আশ্চর্য! সচলায়তনে মীর শওকতকে লাল সালাম জানিয়ে পোস্ট আসছে!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

নজরুল, বিএনপির জামাত সংশ্লিষ্টতা এবং তার পদত্যাগের তারিখটা মিলিয়ে দেখো, তাহলেই মীর শওকতের এই অজুহাতটাকে একটি হাস্যকর মিথ্যাচার হিশেবে যে কোনো অন্ধও পরিষ্কার দেখতে পাবে। তাছাড়া বিএনপির সঙ্গে জামাতের সংশ্লিষ্টতা হঠাৎ দৃশ্যমান গোপন কোনো ব্যাপার তো নয়!

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভালো কথা বলেছেন, তারিখ মিলিয়ে দেখার কথাটা মাথায় আসেনি আগে। অবশ্য বহু আগেই মীর শওকতের কথার উপর ভরসা হারাইছি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

আরে নজরুল তোমাকে তারিখ মেলাতে হবে কেনো? বিএনপি তো জন্মসূত্রেই জামাত সংশ্লিষ্ট।

আর ড্রামতত্ত্বের মতো জিনিস যে আবিষ্কার করতে পারে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অপরাধে সে তো এমনিতেই নর্দমায় ডুবে যাওয়া। কোন্‌ ঐতিহাসিক ক্রেন তাকে সেখান থেকে টেনে তোলে? লাল সালামে কাজ হবে না।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বিএনপি তো জন্মসূত্রেই জামাত সংশ্লিষ্ট

চলুক

লাল সালামে কাজ হবে না

চলুক (চলুক)
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

রিটন ভাই আর নজরুল ভাইয়ের মন্তব্য পড়ে আমার উপরের মন্তব্যের কারণে কিছুটা বিব্রত বোধ করছি।

মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার এসব টাইটেল শুনলে প্রায়শ: গলে পড়ি। কিন্তু ঠগ বাছতে যে গা উজার হয়ে যাবে তাতেও সন্দেহ কমই আছে।

ড্রাম তত্বের কথা কিছুটা মনে পড়ে। একারণে যদি উনি আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হতেন বা হয়ে থাকেন তাহলে তার পুনর্জন্মের জন্য সেক্টর কমান্ডার ফোরামেরও দায় আছে, রাতস্মরণীয়ের লাল সালাম এখানে ততটা প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

পোস্ট লেখক তো বললেন যে ড্রাম তত্ব তিনি জানেন, তাও এড়িয়ে গেলেন।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার বোঝার ভূল হয়েছে; সরি শাহেনশাহ ভাই। আমি ড্রাম বলতে বুঝেছিলাম ড্রাম ভরা শক্ত-পানীয়ের কথা।

রাতঃস্মরণীয়

তাসনীম এর ছবি

মীর শওকত আলী নিজে দেখেছিলেন যে মেজর জিয়া তেলের ড্রামে উঠে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। উনি এর পর আশাও করেছেন যে স্বাধীনতার বিতর্কের অবসান হবে। এটাই হচ্ছে ড্রামের ঘটনা।

৯১ বা ৯২ সালে বিএনপির প্রথম শাসনামলে মেয়র নির্বাচনে বিজয়ের পরে আওয়ামী লীগের বিজয় মিছিলে গুলি চালানো হয় -- ঢাকা লালবাগে। এরসাথেও ওনার সম্পৃক্ততার কথা পত্রিকাতে এসেছিল।

মুক্তিযোদ্ধা হত্যার কথা এসেছে -- আপনি এই বিষয়ে রেফারেন্স পাবেন প্রচুর এখন। কবির আনোয়ার নামে এক ভদ্রলোক ১৯৭৫-৭৯ পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর ঘটনাবলী নিয়ে ডক্যুমেন্টারি তৈরি করেছেন, এটা জোগাড় করে দেখতে পারেন। অনেক শ্রদ্ধেয় মানুষকেই অমানুষ মনে হতে পারে।

মুক্তিযোদ্ধা হত্যার চেয়েও মুক্তিযুদ্ধের স্পিরিটকে হত্যা করা অনেক গুরুতর অপরাধ। এই স্পিরিটকে হত্যার চেষ্টার পেছনে জিয়াসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধারই অবদান ছিল। আমি আপনাকে সনির্বন্ধ অনুরোধ করব এই বিষয়ে একটু অনুসন্ধান করার জন্য।

ধন্যবাদ আপনাকে রাতস্মরণীয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

তাসনীম,ওই লালবাগের হত্যাকান্ডই সেভেন মার্ডার হিশেবে পরিচিত এবং এর প্রধান আসামী ছিলেন মীর শওকত আলী।

আর যে সাংবাদিকের কথা বললেন তিনি আনোয়ার কবির।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

তাসনীম এর ছবি

তথ্য সংশোধনের জন্য ধন্যবাদ রিটন ভাই।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আনোয়ার কবির, তাঁর ডকুমেন্টরির নাম "সশস্ত্র বাহিনীতে গণহত্যা" এটা চলচ্চিত্র আর পুস্তক দুই মাধ্যমেই পাওয়া যায়।
সাংবাদিক জায়েদুল আহসানের একটি বই আছে "রহস্যময় অভ্যুত্থান ও গণফাঁসি"। এ দুটো বই থেকেই অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। গতকাল থেকেই বই দুটো সামনে নিয়ে বসে আছি।

এছাড়াও সেসময়ের সামরিক অফিসার ও রাজনীতিবিদদের আত্মজীবনীতেও এ সম্পর্কে প্রচুর তথ্য ছড়ানো আছে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

পাবলিশারের নামটা একটু দিয়েন নজরুল ভাই, আর সম্ভব হলে প্রাপ্তিস্থান। আমি ঢাকা শহর খুব কমই চিনি।

রাতঃস্মরণীয়

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সশস্ত্র বাহিনীতে গণহত্যা ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ বইটির প্রকাশ করেছে সাহিত্য প্রকাশ, প্রকাশক মফিদুল হক।
আর রহস্যময় অভ্যুত্থান ও গণফাসিঁ বইটি প্রকাশ করেছে পাঠসূত্র।
দুটো বই-ই শাহবাগের আজীজ মার্কেটে পাওয়া যাবে, বেইলী রোডেও পাওয়া যাবে। ডকুমেন্টরিটাও পাওয়া যাবে এই অঞ্চলেই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

এখন ঢাকায় আছি। আজিজে ট্রাই করবো যদি ওদিকে যাওয়া হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।

রাতঃস্মরণীয়

তাসনীম এর ছবি

ডক্যুমেন্টারিটা অংশবিশেষ ইউটিউবে পাওয়া যায়। একটা লিঙ্ক দিলাম।

"রহস্যময় অভ্যুত্থান ও গণফাঁসি" বইটা কয়েক বছর আগে ঢাকা থেকে কিনেছিলাম। এর পর এক বন্ধু ডক্যুমেন্টারির কথাটা জানালে সেটাও জোগাড় করি।

এখন এই বিষয়ে তথ্য পাওয়া কঠিন কিছু নয়। এই দুটো রিসোর্সই যথেষ্ট তথ্যবহুল। এছাড়াও ব্লগেও লেখা এসেছে এই ব্যাপারে।

এসব কারণেই এই পোস্টের লেখকেও অনুরোধ করেছি এই বিষয়ে আরেকটু তথ্য সংগ্রহ করতে।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ তাসনীম ভাই। সূযোগ মতো খোঁজ করবো।

রাতঃস্মরণীয়

রায়হান রশিদ এর ছবি

১৯৭৫ এ পক্ষসমূহের ভূমিকা নিয়ে এখানে পাঁচ পর্বের একটি বিশ্লেষণমূলক আলোচনা চলছে, ড মোঃ আনোয়ার হোসেন এর জবানীতে। মীর শওকত এর ভূমিকার কথাও উঠে এসেছে মন্তব্য ঘরে ও পোস্টে। কারও কাছে কোন তথ্য থাকলে উল্লেখের অনুরোধ করবো। বাংলাদেশের ইতিহাসের সম্ভবত সবচাইতে তাৎপর্যপূর্ণ কিন্ত সবচাইতে ধোঁয়াটে সময় হল ১৯৭৫ সাল; বিশেষ করে বছরটির দ্বিতীয়ার্ধের গুরুত্বের কথা তো বলাই বাহুল্য। কারণ, এই সময়টিতে যা কিছু ঘটেছে এবং যে কারণে ঘটেছে এবং সে সব ঘটনায় মূল পাত্রপাত্রীদের ভূমিকা কি ছিল তার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের পরবর্তী দশকগুলোর রাজনৈতিক পটভূমি রচিত হয়েছে। মন্তব্য ঘরে নজরুল ইসলাম এবং লুৎফর রহমান রিটন জরুরী কিছু বিষয় উত্থাপন করেছেন। আসলেই এগুলোর তথ্যগত নিষ্পত্তি হওয়া দরকার, সঠিক ইতিহাসবোধের স্বার্থে।
ধন্যবাদ।।
===================
টুইটার একাউন্ট
===================

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

শুধু ৭৫ না, ৭৫ থেকে ৭৯ সাল পর্যন্ত নেতৃস্থানীয় সবগুলো সামরিক এবং রাজনীতিক চরিত্রের নতুন করে বিশ্লেষণ প্রয়োজন। প্রচুর মিথ ছড়িয়ে আছে, রাজনৈতিক প্রয়োজনে ইচ্ছে করে এসব ছড়ানো হয়েছে, সেই তালে কিছু ভুল মানুষ নায়ক হয়ে বসে আছেন আর কিছু সঠিক মানুষ হারিয়ে গেছেন।

সময় এসেছে নতুন করে বিশ্লেষণের। কারন বাংলাদেশের ইতিহাসে এই সময়টাই সবচেয়ে গুরত্বপর্ণ।

মুক্তিযোদ্ধা বলে কাউকে ছাড় দেওয়ার কারন দেখি না, বরঞ্চ কিছু মুক্তিযোদ্ধাকে নতুন করে চেনার জন্যই এই সময়কার মানুষগুলোকে বিশ্লেষণ করা দরকার।

কৃতকর্ম অনুযায়ীই ইতিহাসে যার যার স্থান নির্ধারিত হোক, রাজনৈতিক বিবেচনায় না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মানিক এর ছবি

পোস্টের রেটিং দেখে ও কমেন্ট দেখে এই ভয় পাই যে, অ্যান্টি-আওয়ামী সবই রাজাকার গোষ্ঠীর!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এই পোস্টে এখনতক কোনো রেটিং দেখছি না। আপনি কি স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে কমেন্ট করছেন?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই পোস্টে কোনো রেটিং নাই, আওয়ামীলীগ নাই, রাজাকার নাই... অন্ধত্ব পরিহার করুন, সবকিছু ঠিকঠাক দেখতে পাবেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

মানিক ভাই, প্লিজ লেখাটাকে কোনও অবস্থাতেই পার্টিজান পলিটিক্যাল মেরিটে দেখবেন না।

রাতঃস্মরণীয়

সাইফ শহীদ এর ছবি

রাতঃস্মরণীয়,

খবরটা জানতাম না। লেখাটা দেবার জন্যে ধন্যবাদ।

তিনি এখন সব সাফল্য বা ব্যার্থতার উর্দ্ধে চলে গেলেন।
কত সত্যি কথা।

তার আত্মা শান্তিতে থাকুক - এই কামনা করি।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

FZ এর ছবি

লাল সালাম।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

জীবনানন্দ যদি কেবলই 'বনলতা সেন' লিখতেন, তবুও আমাদের সকলের মনে শ্রদ্ধার, সম্মানের ও ভালোবাসার আসনটি তাঁর যেমন পোক্ত হতো, আমি মনে করি, একজন মানুষ জীবন বাজী রেখে যখন মুক্তিযুদ্ধে অকুতোভয় ঝাঁপিয়ে পড়েন, তিনি নিঃসন্দেহে অনেক বড় মাপের মানুষ হয়ে যান। অন্য যে কোন বিচারেই তাঁকে আর খাটো করে দেখবার অবকাশ থাকে না। ঠিক যে মুহূর্তে তিনি দেশের ক্রান্তিলগ্নে আরো বড় কোন জীবনের আহবানে ক্ষুদ্র জীবনের মায়াজাল ছিন্ন করেছিলেন, তিনি তাঁর নামের (মীর শওকত আলী) পরিধি ছাপিয়ে সর্বনাম (মুক্তিযোদ্ধা) হয়ে গেছেন। তাঁর সম্ভাব্য সুকীর্তি কিম্বা অপকর্মের পৃথক মূল্যায়ন হতেই পারে এবং হওয়াটাই যৌক্তিক, কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধাকে যথার্থ সম্মানদানে আমরা কুন্ঠিত হবো কেন?

"প্রীতি ও প্রেমের পূণ্য বাঁধনে মিলি যবে পরস্পরে
স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখনি আমাদের কুঁড়েঘরে।"
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

guest_writer এর ছবি

ভাল লাগল আপনার কথা। আমার প্রায়ই মনে হয় আবার যদি একটা যুদ্ধ হয়, তাহলে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা/কাপরুষ হিসাবে বিচার করার সুযোগ হত। অনেকেই দেখেছি নিজে মুক্তিযোদ্ধা না, কিন্তু এখন মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানটা দিতে অপরাগ। কাজের ভাল মন্দের বিচার হতেই পারে।কিন্তু এই সুযোগটা কিন্তু তাদের সেই ত্যাগের জন্যই পাচ্ছি।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি মেজর ডালিমও একজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। তার বেলায় আপনার কী বিচার?

আপনি মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক সম্মান দিতে চান, আপনাকে ধন্যবাদ। কিন্তু যে মুক্তিযোদ্ধা অন্য মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে, ফাঁসীতে ঝোলায় তার বেলায় আপনি কী বলবেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

দুর্দান্ত এর ছবি

মুক্তিযুদ্ধ করলে মানুষ পয়গম্বর হয়ে যায় না। মানুষ মানুষ ই থাকে, এবং তাদের দোষগুন সবই থাকে। সেক্টর কমান্ডার হয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে যেমন স্বাধীনতা উত্তর নিরপরাধ মানুষ খুনের মত পাপের দেনা শোধ করা যায়না ঠিক তেমনি রক্ষীবাহিনী দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মেরে জাতীর পিতাও নিরপরাধ হতে পারেনা।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মুক্তিযুদ্ধ করলে যে মানুষ পয়গম্বর হয়ে যায় না সেই কথাটাই সারাদিন ধরে বুঝাতে চেষ্টা করলাম, কিন্তু সবাই দেখি মুক্তিযোদ্ধা মানেই সাতখুন মাফ করে দিচ্ছেন!
আমি অবাক হলাম সেই দায় আপনি আমার মন্তব্যের জবাবে চাপাচ্ছেন কেন?

জাতীর পিতাকে এখানে কোথায় নিরপরাধ দাবী করা হলো? কথা হচ্ছে মীর শওকত নিরপরাধ কি না? নাকি সে কথা বলতে হলে আর কে কে নিরপরাধ না সেই তালিকা দাখিল করে তারপর বলতে হবে?

বেছে বেছে শুধু মীর শওকতের মহানুভবতার ফিরিস্তি দিয়ে অপকর্মগুলো ঢেকে রাখাতেই আমার প্রতিবাদ।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

দুর্দান্ত এর ছবি

যেহেতু মন্তব্যের এই শাখাটিতে বঙ্গবন্ধুর উল্লেখ এসেছে তাই তার উদাহরনটা আপনার কথার সমর্থনে উল্লেখ করলাম। আপনার পক্ষেই আমার অবস্থান। কোন কিছু চাপিয়ে দেয়ার ইচ্ছে ছিলনা।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তাইলে ভুল বুঝছিলাম... স্যরি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি  [অতিথি] এর ছবি

আমার মনে হয় তাহলে বঙ্গবন্ধুর কাজেরও মুল্যায়ন হওয়া দরকার। এই দেশ স্বাধীন হওয়ার নায়ক তিনি, কিন্তু স্বাধীনতার পরে বাকশাল, রক্ষীবাহিনী- এগুলো তো উনিই করছেন।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মীর শওকতের নেতৃত্বে কতোজন পাকি সৈন্য মরছে আর কতজন মুক্তিযোদ্ধা মরছে সে হিসাব জানেন? কোনটার পাল্লা ভারী?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

হ্যাঁ। আমাদের কুঁড়েঘরের সামনে সেদিন সাপ ব্যাঙের গালে চুমো খাবে, বাঘ হরিণের পা ছুঁয়ে সালাম করবে, গরু ঘাসের গোড়ায় সারপানি দিবে আর টিকটিকি মশার ডিমে তা দিবে। পুরাই কণ্ব মুনির আশ্রম।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

রাতঃস্মরণীয়,
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আপনার প্রদর্শিত সম্মান বজায় থাকুক। আমেন

তবে সেই সঙ্গে আশা করবো শুধু 'কয়েকজন' মুক্তিযোদ্ধার আত্মার শান্তিই আপনার উদ্বেগের বিষয় হবে না, অন্য অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধার আত্মারাম কেন খাঁচাছাড়া হয়েছিলো সেই ভাবনাও আপনার মনে ঠাঁই পাবে।

একজন মুক্তিযোদ্ধা মীর শওকত আলীর স্বাভাবিক মৃত্যুতে আপনি ব্যাকুল হয়ে পড়েন, এমনকী তার ৬টি অনাথ কুকুর নিয়েও আপনি উদ্বেগাকুল হয়ে যান, অথচ বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেদ মোশাররফ বা কর্ণেল তাহেরের মৃত্যু আপনাকে একটুও ভাবায় না! তারা প্রত্যেকেই কিন্তু সেক্টর কমান্ডারই ছিলেন। আপনাকে ভাবায় না সামরিক বাহিনীর প্রায় হাজারখানেক মুক্তিযোদ্ধাকে বিনা বিচারে ফাঁসীতে ঝুলিয়ে লাশ গুম করে ফেলার ঘটনা!

মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সম্মান জানাতেই জানা প্রয়োজন কারা যুদ্ধ করে জেতা দেশটাকে আবার বিরোধী শক্তির হাতে তুলে দিলো... আশাকরি জানতে চেষ্টা করবেন

ধন্যবাদ আপনাকে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

নজরুল ভাই, আমার চিন্তা অত্যন্ত সরলরৈখিক। আমি অলরেডি বলেছি যে আমি মুক্তিযুদ্ধকে সবার উপরে রাখি এবং রাখবো। আমার চিন্তার লেভেলকে কনফাইন্ড লেভেলের মনে করলে আমার কিছু করার নেই। একে ব্রডার করার যোগ্যতা আমার এখনও হয়েছে বলে মনে হয় না।

সোজাসাপ্টা বলি, আমি সব মুক্তিযোদ্ধাকে আজীবন শ্রদ্ধা করে যাবো। তাদের ভুলভ্রান্তি বা দোষত্রটির সমালোচনা করলেও দেশের স্বাধীনতায় তাদের অবদানের জন্যে তারা আমার সন্মান পাবেন।

একজন মুক্তিযোদ্ধা মীর শওকত আলীর স্বাভাবিক মৃত্যুতে আপনি ব্যাকুল হয়ে পড়েন, এমনকী তার ৬টি অনাথ কুকুর নিয়েও আপনি উদ্বেগাকুল হয়ে যান, অথচ বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেদ মোশাররফ বা কর্ণেল তাহেরের মৃত্যু আপনাকে একটুও ভাবায় না!

শওকত আলীর মৃত্যুতে আমি ব্যাকুল হইনি মোটেই। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছি মাত্র। তিনি মারা গেলে আমার এমন কোনও সর্বনাশ হবেনা যাতে তার মৃত্যুতে আমার ব্যাকুল হতে হবে। তার কুকুর নিয়েও আমি উদ্বেগাকুল হইনি। তার শেষ জীবনের নিঃসঙ্গতার কথা বলতে চেয়েছি মাত্র।

শুধু খালেদ মোশাররফ বা তাহের নন; আরও অনেক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুই আমাকে শোকাহত করে। এসবই হচ্ছে কুরাজনীতির ফল। রাজনীতির অসভ্য এবং পাশবিক পোলারাইজেশন। কারা না করেছে এটা, বলতে পারেন? তাইতো অদ্যবধি বিচারের কথা কেবল বলেই যাওয়া হচ্ছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। দেখা যাক বর্তমান সরকারের সময়ের উদ্যোগ কতদুরে যায়। আমরা সবসময়েই আশাবাদী। তবে আমার জন্যে একটা দামী কথা বলেছেন আপনি। আরও অনেক কিছুই জানতে সচেষ্ট হবো। কারা কিসের মোহে অগণিত মুক্তিযোদ্ধানিধন করেছে এগুলো জানা উচিত। কারা কিসের মোহে মুক্তিযুদ্ধের স্পিরিটকে ধ্বংস করেছে এগুলো সবই জানা প্রয়োজন।

আমি আপনার অনুভূতির জায়গাটা বুঝি নজরুল ভাই। আপনার চিন্তার লেভেলটা অনেক বিস্তৃত। আপনি বিষয়গুলো নিয়ে অনেক ভাবেন, পড়াশোনা করেন, এবং বিশ্লেষণ করেন বলেই আপনার চিন্তাভাবনা গুলো অনেক অর্গানাইজড। আপনার বিশ্লেষণের শক্তি আমার ভালো লাগে। তবে আপনি আমার সহজ চিন্তাটাকে একটু মিসজাজ করে ফেলেছেন বলেই মনে হলো। আমি আমার সংক্ষিপ্ত এবং সীমিত বিবেচনা শক্তিতে দেশের সব মুক্তিযোদ্ধাদেরকে তাদের মরণপন লড়াইয়ের জন্যে আমার শ্রেষ্ঠতম শ্রদ্ধা জানিয়ে যাবো। পরমতের পাশাপাশি স্বমতেও আমার অগাধ শ্রদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধাকে সমালোচনার চোখে দেখলেও তাতে আমি বিশেষ চিন্তিত না।

রাতঃস্মরণীয়

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমরা হয় রাজনীতি করি, অথবা এর ধারেকাছেই ঘেঁষতে চাই না। যারা রাজনীতি করে, তারা যে কোনো মূল্যে একটা রাজনৈতিক মতাদর্শ আগলে রাখে নিজের স্বার্থে। আর যে রাজনীতির ধারেকাছে যায় না, সে না বুঝে কিছু রাজনৈতিক মিথ বিশ্বাস করে বসে থাকে।

আমাদের সবগুলো প্রতিষ্ঠান এখন পঁচে গেছে। প্রচারমাধ্যমগুলো সত্য বলে না। সামরিক বাহিনী তো অনেক আগেই... শিক্ষক থেকে মেথর, আইনজীবী থেকে চৌকিদার সবাই কোনো না কোনো দল করে!

আমাদের এখন খুব প্রয়োজন রাজনীতি সচেতন একটা অরাজনৈতিক শক্তি। যারা কোনো নির্দিষ্ট দলের বা মতবাদের পক্ষে কথা বলবে না, সত্যের পক্ষে কথা বলবে। জানবে এবং প্রশ্ন করবে।

ব্লগ হতে পারে সেই মাধ্যম। কারণ পেটের বা স্বার্থের দায়ে আমাদের কারো দালালী করতে হয় না। আমরাই সত্যটা বলবো।

আপনার জানার পরিধি বিস্তৃত হোক। ভালো থাকবেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

চরমভাবে সহমত চলুক
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

সহমত, নজরুল ভাই।

তানভীর এর ছবি

চলুক

তাসনীম এর ছবি

চলুক
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

নজরুল ভাই রকস্
মন্তব্য দারুণ পছন্দ হইল রে ভাই। এরকম করে যদি সবাই ভাবতো!

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আমাদের এখন খুব প্রয়োজন রাজনীতি সচেতন একটা অরাজনৈতিক শক্তি। যারা কোনো নির্দিষ্ট দলের বা মতবাদের পক্ষে কথা বলবে না, সত্যের পক্ষে কথা বলবে। জানবে এবং প্রশ্ন করবে।

চলুক

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

শ্রাবন্তী এর ছবি

নজরুল ভাই
পোষ্ট এবং তার পরবর্তী সবগুলো কমেন্ট ফলো করছিলাম।বিশেষত আপনার নিরপেক্ষতাবাদিতা এবং একটি বিশুদ্ধ অবস্থানে থেকে সবকিছু বিচার করার দৃঢ় মানসিকতা মুগ্ধ করার মত।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করা কিছু অফিসারের সাথে কথা বলেছিলাম।৭৪-৭৫ থেকে সেনাবাহিনীতে কর্মরত এই অফিসারদের সাথে যাদের দুএকজন এই মূহুর্তে সেনাবাহিনীতে খুব উচ্চ পদে আছেন।এর মধ্যে একজন বর্ত্মানে একটি বাহিনী প্রধান। ৭৫ পরবর্তী সময়ের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ঘটে যাওয়া মৃত্যুদন্ড সমুহকে আমরা বাইরে থেকে যেভাবে গণহত্যা বলতে চাই, ব্যাপারটি মোটেও সেরকম বলে তারা মনে করেননি।বরং তারা সেই সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চরম বিশৃংখলামূলক পরিস্থিতিতে সেনাভিনীর চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠার জন্য অবশ্য করনীয় বলেই মনে করেছেন।যাদের মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে, তাদের কৃ্তকর্মের জন্যই দেয়া হইয়েছিল বলেই মন্তব্য করেছেন। দেখাগেছে কোন কোন সময় একজন সুবেদার তার অধীনস্ত একটি কোম্পানী নিয়ে ক্যু করার চেষ্টা করেছেন। সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ীই তাদের ফাঁসী হয়েছে।আজ যদি বিডি আর এর আইনে বিদ্রোহের জন্য মৃত্যুদন্ডের বিধান থাকত, তবে আপনি কি চাইতেন ?
জিয়া মুক্তিযোদ্ধাদের লিস্ট বানিয়ে তাদের ধরে ধরে মৃতুদন্ড দিয়েছেন কি ? অবশ্যই না। আপনিই যেমন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ করেছে বলে সাত খুন মাফ হয়ে যায়না, ঠিক তেমনিই মুক্তি যুদ্ধ করেছেন বলেই, ক্যু করা জায়েয হয়ে যায়না। যে সমস্ত মুক্তিযোদ্ধা অফিসার যিয়ার ক্ষমতা দখল কে পছন্দ করতে না পেরে অথবা অবৈধ মনে করেছে, তাদের উচিত ছিল, সেনাবাহিনী থেকে বেরিয়ে এসে জনগ্ণকে সাথে নিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করা, তাহলে ইতিহাস তাদের হয়ত বিপ্লবী নাম দিত। কিন্তু তারা তো সেনাবাহিনীর ভেতরে থেকেই অপকর্মগুলো করার চেষ্টা করেছিলেন। এটা তো দিনের পর দিন চলতে দেয়া যায়না।

৭১ থেকে ৮১, এই পুরো সময়টা জুড়ে ৭১ এ স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতূত্ত্ব দানকারী রাজনৈতিক নেতারা এবং সামরিক কমান্ডার রা সবাই কিন্তু একটি ক্ষমতার দিকেই ধাবিত হয়ছেন, নিজেদের মধ্যে মারামারি কাটাকাটি করেছেন।সবাই ভেবেছেন, ও পারছেনা, আমি পারব। অথবা ও সব খেয়ে ফেলল, আমি খাব।সৎ
অথবা অসৎ উদ্দেশ্যসমূহ থেকেই সৃষ্টি হয়েছিল এই সব দ্বন্দ্বের, যদিও ব্যাপারট ইতিহাসে অতি সরলীকরণ হয়ে যাচ্ছে, তবু আমি মিনে করি ব্যাপারটি তাই। জিয়া ধরে ধরে মুক্তিযোদ্ধাদের গণহত্যা চালিয়েছেন, এটি একটি অপপ্রচার ছাড়া কিছুই নয়।
২৫শে ফেব্রুয়ারীর বিডি আর বিদ্রোহের পর প্রধান্মন্ত্রীর দরবারে অশালীন ভাবে বক্তব্য উপস্থাপনের দায়ে সাতজন জুনিয়র অফিসারকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।ব্যারিস্টার তাপসের উপর হামলার চেষ্টায় পাঁচজন অফিসারের জেল হয়েছে।তারা যদি, ক্যু এর মত কিছু করার চেষ্টা করত, তা হলে কি আজ তাদের ফাঁসি হত না? তখন কি আমরা বলতাম, যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে আওয়ামীবিরোধী অফিসারদের ধরে ধরে ফাঁসি দেয়া হয়েছে? অবশ্যি না, তাই না?
প্রকৃ্ত পরিস্থিতি না জেনে, জিয়াকে মুক্তিযুদ্ধ অফিসারদের হত্যাকারী বলে অপপ্রচার চালান যারা, তারা হয় সত্য জানেন না, অথবা জেনেও অপব্যাখ্যা করতে চান।
ধন্যবাদ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

শ্রাবন্তী,
প্রথমে ধন্যবাদ আপনাকে।
অভ্যুত্থানের এই রহস্যজনক সময়টুকু জানতে আপনি কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছেন। আপনাকে সাধুবাদ। এ সুযোগটা সবার হয় না, আপনার হয়েছে। আপনার প্রতি প্রথমত অনুরোধ থাকবে সেই সাক্ষাতকারগুলো নিয়ে বিস্তারিত লেখার। তাহলে হয়তো আমরা আরো অনেক কিছুই জানতে পারবো। যদি আমার ভুল হয়, তা স্বীকার করতে আমার দ্বিধা নেই।

এখনো পর্যন্ত হয়তো [!] আমি কিছু ভুল তথ্য নিয়ে আছি, যেমন অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের বই। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে অভুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থান নিয়ে তার লেখা "বাংলাদেশ: এ লিগ্যাসি অব ব্লাড" [অনুবাদ- "বাংলাদেশ: রক্তের ঋণ", অনুবাদক মোহাম্মদ শাহজাহান] বইটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেখান থেকে একটি উদ্ধৃতি দেই-

জেনারেল জিয়া এই অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত সৈনিক আর এয়ারম্যানদের ওপর ইতিহাসের অন্যতম জঘন্য প্রতিশোধ নিয়ে তার মনে প্রজ্বলিত প্রতিহিংসার আগুন নির্বাপিত করেন। সরকারি হিসেব মতে তিনি ১৯৭৭ সালের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র দুমাসের মধ্যে ১১৪৩ জন সৈনিককে ফাসিঁর দড়িতে লটকিয়ে হত্যা করেন। তাছাড়া বহুশত সৈনিককে তিনি দশ বছর থেকে যাবজ্জীবন পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে জেলে পাঠিয়ে দেন। আইনগত পদ্ধতি আর ন্যায়বিচারের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে অত্যন্ত তড়িঘড়ি করে এ শাস্তির কাজ সমাপন করা হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর চেয়ে বড় পৈশাচিক সাজার আর কোনো নজির নেই। তিন/চারজনকে একবারে বিচারের জন্য ডেকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেওয়া হলো। জেনারেল জিয়া বসে বসে সেগুলো অনুমোদন করতেন এবং তার পরপরই তাদেরকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হতো। উল্লিখিত পদ্ধতির সকল কাজই মাত্র ৪৮ ঘন্টা সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা হলো। তার সহযোগীদের একজন আমাকে জানিয়েছিলো, জেনারেল জিয়া, প্রেসিডেন্ট আর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দ্বৈত ক্ষমতা কুক্ষিগত করে তার নিজের হাতে লিখে ঐ সকল হতভাগ্য সৈনিকদের দণ্ডাদেশ অনুমোদন করতেন। বেসামরিক বন্দীরা স্মৃতিচারণ করে বলে, 'কয়েক সপ্তাহ ধরে জেলখানার রাতগুলো সৈনিকদের আর্তচিৎকারে বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছিল। তাদেরকে ফাসিঁর মঞ্চে ঠেলে নিয়ে যাওয়ার সময় তারা নির্দোষ বলে বুকফাটা চিৎকারে ভেঙে পড়তো।

এই সকল হত্যালীলার জন্য বিমান বাহিনী বা সেনাবাহিনীর কোনো প্রতিষ্ঠিত আইনকানুনকে মেনে চলা হয়নি। বিধি মোতাবেক, শাস্তির সময়ে কেবল জেনারেল কোর্ট মার্শাল মৃত্যুর দণ্ডাদেশ প্রদান করতে পারে। জেনারেল কোর্ট মার্শালে কমপক্ষে পাঁচজন মিলিটারি জজ থাকে। এদের মধ্যে একজনকে অন্ততপক্ষে লে. কর্নেল হতে হবে এবং বাকি চারজনের কেউই ক্যাপ্টেনের নিচে হতে পারবে না এবং কমিশন প্রাপ্তির পর ক্যাপ্টেনদেরকে কমপক্ষে তিন বছর চাকরি সম্পন্ন করতে হবে। অভিযুক্তদের তাদের আত্মপক্ষ অবলম্বনের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে হবে। জেনারেল জিয়া দেখলেন যে, এই সকল নিয়মকানুন তাঁর উদ্দেশ্য সাধনের পথে বিরাট অন্তরায়। সেজন্যে একটি 'মার্শাল ল' অর্ডার' ঘোষণা করলেন। ঐ ঘোষণায় বিশেষ আদালতের নামে এমন কোর্ট তিনি সৃষ্টি করলেন, যেগুলোতে বিচারের জন্য একজন লে. কর্নেলের সঙ্গে হাবিলদার ও তার কাছাকাছি পদমর্যাদার লোকেরা বসতে পারতো। দ্রুতগতিতে মামলার কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এভাবেই ব্যবস্থা গৃহীত হলো।

এই উপমহাদেশের কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে নজির নেই। এক কলমের খোঁচায় জেনারেল জিয়া রাতারাতি দুই ডজনেরও বেশি এই ধরনের কোর্ট সৃষ্টি করলেন। ন্যায়বিচারের কোনো প্রশ্নই সেখানে উঠতে পারে না। বিচারকের লাইসেন্স নিয়ে সৈন্যদেরকে হত্যা করা হয়েছিলো মাত্র।"

জায়েদুল আহসানের "রহস্যময় অভ্যুত্থান ও গণফাসিঁ" বইতে আছে অক্টোবর ৭৭এ গঠিত সামরিক ট্রাইব্যুনালের প্রধান ছিলেন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তার কথা- "যে অন্যায় ও অবিচারের রায় দিয়েছি, তার জন্য এখনো দুঃসহ যন্ত্রণা ভোগ করে চলেছি।"
অপর একজন সাবেক বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, "সুবিচার হওয়া তো দূরের কথা সেটাকে কোনো রকম বিচারই বলা যায় না। যাদেরকে ফাসিঁ দেওয়া হয়েছিল তারা যে সবাই দোষী তা ঠিক নয়।"
যেসব আসামী বেঁচে গিয়েছিলেন, তারা ৯৭ সালের ২ অক্টোবরে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, "জেনারেল জিয়াউর রহমান ঘোষিত মার্শাল ল' ট্রাইব্যুনালগুলোতে বিচার প্রহসনের সময় এক একজন সৈনিকের জীবন মরণের সিদ্ধান্ত নিতে গড়ে এক মিনিটেরও কম সময় নিয়েছিলেন তৎকালীন ট্রাইব্যুনাল প্রধানরা"

এরকম আরো অনেক উদ্ধৃতি দেওয়া যাবে। আপনি যে সাক্ষাতকার নিয়েছেন সেটি হয়তো এগুলোকে ভুল প্রমাণিত করতেও পারে, আপনার কাছে তাই বিণীত অনুরোধ, আপনি তা প্রকাশ করুন। আমরা নতুন কিছু জানি।

আর মুক্তিযোদ্ধা অফিসারের লিস্ট বানিয়ে ধরে ধরে তিনি ফাসিঁ দেননি। ঘটনা হলো ১৯৭৫ সালে সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিলো ৩৬০০০। সেনাবাহিনী ৩০০০০, বিমান বাহিনী ৫৫৫০ আর নৌবাহিনী ৫৫০ জনের।
এর মধ্যে ২৮ হাজারই ছিলেন পাকিস্তান ফেরত। যার মধ্যে হাজার খানেক ছিলেন অফিসার পদবির। মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের বঙ্গবন্ধু সরকার ২ বছরের সিনিয়রিটি দেওয়ায় পাকিস্তান ফেরত অফিসারদের সঙ্গে রেষারেষি ছিলো। জিয়া পাকিস্তান ফেরতদের পক্ষ নেওয়ায় অনেক মুক্তিযোদ্ধা অফিসার অসন্তুষ্ট ছিলেন।
এরা জিয়ার পথের কাঁটা হতে পারে সেই ভাবনা থেকেই এদের অনেকের জীবন যায়। এটাকেই সামরিক বাহিনীতে শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা বলা হয়!

অবশেষে আবারো ধন্যবাদ আপনাকে

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শ্রাবন্তী এর ছবি

নজরুল ভাই
সরকারী যন্ত্রের সাথে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, সমসাময়িক সংবাদপত্রে যা প্রকাশ হয় তার সাথে অনেক সময়ই বাস্তবতার মিল থাকেনা। সাংবাদিকদের লেখা ইতিহাস অনেক ক্ষেত্রেই থাকে অতিরঞ্জিত কিংবা পক্ষপাতদুষ্ট।তাহলে বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস আমরা কোথায় পাবো ? ইতিহাসের পাতা ঘেটে তথ্য আর উপাত্ত মিলিয়ে লেখা ইতিহাস---বিশেষতঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা সমূহের বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস---আমার মতে সত্যি দুর্লভ।মিথে মিথে পরিপূর্ণ। যারা সত্যিসত্যিই আমাদের সত্য ঘটনা জানাতে পারেন, তারা আবার অবসরের পর যোগ দিয়ে ফেলেন রাজনীতিতে, কাজেই তারা তখন যা বলেন তা আর ইতিহাস থাকেনা। মীর শওকতের ড্রামতত্ত্ব তার একটা উদাহরণ। আরও যে অফিসারদের হা হুতাশের কথা জানলাম, তারা যে সত্যি বলছে তার নিশ্চয়তা কোথায়।যে কয়েকজন অফিসারের রেফারেন্সে আমি কথা বলছি, এবং যে সময়ে তাদের কথা আমার শোনা হয়েছে, সেই সময়টিতে তাদের বক্তব্যসমূহ আমার কাছে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণ বলেই মনে হয়েছে। তারা এই কথাগুলো আলোচনা করেছেন ঘরোয়া আলাপে এবং জুনিয়র অফিসারদের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অতীতে কি কি ধরনের ঘটনা ঘটেছে সে সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্যই।নিচে নতুন কিছু হয়ত পাবেন না, তবে আমি তাদের আলাপ আলোচনা থেকে স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে যা জেনেছি তাই তুলে ধরলাম।
আমি যে সাক্ষাতকারের কথা বলেছি, তা ঠিক সাক্ষাতকার নয়। ১৯৯৩/৯৪ সালে এই অফিসাররা ছিলেন লেঃ কর্ণেল পদবীর , ব্যাটালিয়ন কমান্ডার। ঠিক জুনিয়র অফিসার নন। ঠিক এই রকম দুজন অফিসার,দুজনেই সেই সময় ছিলেন লেঃ কর্ণেল, যার একজন এই মূহুর্তে একটি বাহিনীর প্রধান এবং অন্যজন অবসরে গিয়েছেন, তাদের কাছ থেকে, কিছু গল্প শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল আমাদের ঘরোয়া আলাপে। সেখানে যেহেতু, আরো অনেক জুনিয়র অফিসার থাকতেন কাজেই, তারা দুজনেই মাঝে মধ্যে বর্তমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সেনাবাহিনীর অবস্থার তুলনা করতেন এবং প্রাসঙ্গিকভাবেই জিয়ার ক্ষমতা আরোহণের পূর্বে এবং পরবর্তীতে বেশ কিছুটা সময় পরিস্থিতি কিরকম দুঃসহ ছিল তার বর্ণনা পাওয়া যায়। খুব ছোট আকারের দুটি ঘটনার বর্ণনা দেই, যা সেই সময়ের সেনাবাহিনীর শৃংখলা সম্পর্কে আমাদের একটু ধারণা দিবে।
একঃ চারপাঁচজন ঢাকা সেনানিবাসের সৈনিক গেছে ঢাকা শহরে সিনেমা দেখতে।টিকেট না পেয়ে তারা গন্ডগোল শুরু করে এবং পরবর্তীতে পুলিশ তাদের দুজনকে থানায় ধরে নিয়ে যায়। বাকী কয়েকজন দৌড় দিয়ে এসে ব্যাটালিয়নে এসে খবর দিল। সাথে কোন অফিসারের সাথে কথা বলা ছাড়াই একট্রাক সৈনিক অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র নিয়ে দৌড় দিল থানায়, থানা থেকে সহকর্মীদের অস্ত্রের মুখে ছাড়িয়ে নিয়ে শ্লোগান দিতে দিতে সেনানিবাসে ফেরত। এর সবাই মুক্তিযুদ্ধ ফেরত মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীন দেশে তাদের দাপট দেখাতে ব্যস্ত।তাদের উপর নিয়ন্ত্রণ বলতে কোন কিছুই ছিলনা।
দুইঃ বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমীর প্রথম ব্যাচ।কমিশন পেয়ে ইউনিটে এসেছেন, ২ লেঃ। সন্ধ্যার রোলকলে যেখানে সব সৈনিকের উপস্থিত থাকার কথা, সেখানে অনেকেই অনুপস্থিত। এই জন্য ২লেঃ সাহেব সিনিয়র এনসিওকে বকাঝকা করলেন। এ্যাঃ, সেইদিনের ছোকরা ২লেঃ, সিনিয়র এনসিওকে বকাঝকা ???? আর যায় কোথায়---এবার সেই সিনিয়র এনসিও আর তার সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে লেঃ সাহেবের পেছনে ধাওয়া।
অনেক উদাহরণের ভেতর আমি এই দুটো উদাহরণ দিলাম, শুধু সেই সময়ের সেনা বাহিনীর শৃংখলার কথা বোঝানোর জন্য।
সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল শফিউল্লাহ সেনাবাহিনীতে কোন ধরনের শৃংখলা আনতে ছিলেন একেবারেই ব্যর্থ।অবসরপ্রাপ্ত এবং চাকরিচ্যুত অনেকেই নিয়মিত সেনাসদরে গিয়ে আড্ডা মারতেন, ঘোট পাকাতেন। কিন্তু সেনাপ্রধান হিসেবে তিনি কোন শক্ত অবস্থান নিতে পারেন নি।এবং সেই ব্যর্থতা থেকেই তিনি বংগবন্ধুকে রক্ষীবাহিনী গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছিলেন।রক্ষীবাহিনীর প্রতি খুব স্বাভাবিকভাবেই সেনাবাহিনীর সদস্যগণ ছিলেন বিরাগ।যেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের সামরিক পোষাক ভালমত ছিলনা, সেখানে এই নতুন বাহিনী ছিল রয়্যাল ফোর্স। সে যাই হোক, এই বিশৃংখল সৈনিকদের সাথে নিয়েই কর্ণেল তাহের সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের স্বপ্ন দেখেছিলেন।যার ফলশ্রুতিতে তিনি যাদের সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের সৈনিক বানাতে চেয়েছেন এবং পরবর্তীতে তিনি তাদের উপর আর কোন নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। সমাজতন্ত্রের সৈনিকদের শ্লোগান হয়ে দাঁড়ায়, সৈনিক সৈনিক ভাই ভাই, অফিসারের রক্ত চাই।

যাদের কথা বলছি, তাদের মতে ‘Excessive Brutality’র কারণেই কর্ণেল তাহেরের সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের স্বপ্ন হোঁচট খায়।কর্ণেল তাহেরের অনুগত বিপ্লবী সৈনিকদের সমর্থন শূন্য হয়ে পড়ে।জিয়া পটভূমিতে আসার পরও কর্ণেল তাহের সেনাসদস্যদের উপর নিয়ন্ত্রণ বাজায় রাখার চেষ্টা করেছিলেন। বেশকিছু সেনাসদস্যের আচরণ ছিল উদ্ধত এবং বিশৃংখল। অফিসার মেস এবং অফিসারদের বাসভবনে এই সৈনিকরা হামলা চালায় এবং খুন, ধর্ষণের মত সহিংস ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে।এই ঘটনার একই বিবরণ আমি পেয়েছি অন্য একজন অফিসারের কাছ থেকে, যার বাবা ১৯৭৫ এ আর্মি মেডিক্যাল কোরের অফিসার ছিলেন। এবং এম্বুলেন্সে লুকিয়ে তারা সিএমএইচে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সিএমএইচে যাওয়ার পথে তাদের বাসার পাশেই একজন লেডি ডক্টরের ক্ষতবিক্ষত লাশ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন।সেই সময় অফিসাররাও ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে লুকিয়ে এবং পালিয়ে বেড়িয়েছেন।
কর্ণেল তাহের জিয়াকে ব্যবহার করে তার সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের স্বপ্ন সফল করতে চেয়েছিলেন।জিয়া ব্যবহৃত হতে চাননি।অনেকে বলেন, কর্ণেল তাহের জিয়ার ত্রাণকর্তা।কর্ণেল তাহের গিয়ে জিয়াকে উদ্ধার করেছেন, তা কিন্তু নয়।বরং জিয়াকে কিছু সৈনিক মুক্ত করার পর কর্ণেল তাহের তার সাথে দেখা করেন।মহান এই মুক্তিযোদ্ধার সাথে জিয়ার দ্বন্দ্বের ব্যাপারে আমি তাদের কাছ থেকে তেমন কিছু শুনিনি। কাজেই কর্ণেল তাহেরের ফাঁসির ব্যাপারে তেমন কোন তথ্য কিংবা মন্তব্য করতে পারছিনা।
জিয়া সেনাপ্রধান হিসেবে দ্বায়িত্ত্ব নেয়ার পর ঢাকা সিএমএইচের অডিটোরিয়ামে সব অফিসারদের জড়ো হতে বলেন। তার এ্যাড্রেসের এক পর্যায়ে তিনি আঙ্গুল তুলে বলেন, এখন থেকে যে অফিসার পালিয়ে বেড়াবে তাকে তিনি নিজে গুলি করবেন।
আমরা যদি সেইসময়ের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাধারণ সদস্যদের শৃংখলার মান এবং জিয়ার ভাষণের অংশটুকু দেখি, তাহলে বোঝা যায়, জিয়া নিঃসন্দেহেই, কঠোর হাতে সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছিলেন এবং সেখানে ক্যু এর প্রচেষ্টারত সদ্যদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা বোঝাই যায়।হয় মৃতুদণ্ড নয়তো জেল।
একটু অপ্রাসঙ্গিক, তবুও বলি, সেই সময়ের ডিভিশন কমান্ডারদের পর্যন্ত জিয়া তার হাতের 'কেন' দিয়ে গুতো দিতেন। এরশাদের পাঠানো ফাইলে জিয়া, দুটো গোল্লা দিয়ে একবার লিখেছিলেন, 'Balls'। জিয়ার অফিসে ঢুকতে এরশাদ বেশ ভীত থাকতেন এবং জিয়ার এডিসির অফিসে গিয়ে জিয়ার মুড না জেনে তিনি কোনদিন জিয়ার অফিসে প্রবেশ করেননি।
‘জিয়া পাকিস্তান ফেরত অফিসারদের পক্ষ নিয়েছেন’---আপনি যে ডাটা দিয়েছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, সেই সময়ের বেশীরভাগ সেনাসদস্যই ছিলেন পাকিস্তান ফেরত।এবং তাদেরকে রাষ্ট্রই সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেছে। একজন সেনাপ্রধান হিসেবে তাকে তো সবাইকে নিয়েই চলতে হবে।এরশাদ কে জিয়া ভেবেছিলেন, ভাজা মাছটি উলটে খেতে জানে না এবং অনুগত থাকবে।যদিও কেউ কেউ এরশাদকে জিয়া হত্যার সাথে সম্পৃক্ত করেন, তবে এর সপক্ষে জোরালো কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যা পাওয়া যায় তা অনুমান মাত্র।জিয়া নাকি একবার এক ঘরোয়া আলাপে, কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা জেনারেলের সামনেই, এরশাদের ব্যাপারে বলেছিলেন, এরশাদের পশ্চাদ্দেশে লাথি মারলেও এরশাদ কিছু বলবে না।
সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান হিসেবে ডেথ ওয়ায়ারেন্টে জিয়া নিজেই স্বাক্ষর করেছেন।সত্য।জিয়া তার সময়ে হয়ে যাওয়া ক্যু পালটা ক্যু শক্ত হাতে সামলানোর খেসারত দিয়েছেন তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। আর তার সাথেই সমাপ্তি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অন্তর্দ্বন্দ্বে রক্তক্ষরণ। এর ফলেই এরশাদ বেশ আরামের সাথেই একটি ডিসিপ্লিনড ফোর্স নিয়ে দেশ শাসন করতে পেরেছিলেন।
সেই সময়ে পাকিস্তান ফেরত সেনা কর্মরতারা দিন কাটিয়েছেন বেড়ালের মত। জিয়া সেখানে পাকিস্তান ফেরত সেনাসদস্যদের পক্ষ নিয়েছেন এরকম কোন কিছু আমি কখনো শুনিনি। তবে মুক্তিযুদ্ধ ফেরত কর্মকর্তা এবং সেনাসদস্যরাই এই ধরনের ক্যু এবং পালটা ক্যু এ বেশী অংশ নিয়েছেন। মুজিব হত্যাকারীদের পরিচয় তাই বলে।জাতিগত ভাবেই আমাদের মধ্যে মুই কি হনুরে, ভাবটা অনেক বেশী প্রবল।মুক্তিযোদ্ধা বলে মুজিব হত্যকারীদের আজ যেমন ফাঁসির সাজা মওকুফ হয়নি, সেনাবাহিনীতে ক্যু করার জন্য ঠিক একইভাবে অনেক মুক্তিযোদ্ধা ফাঁসির মঞ্চে জীবন দিয়েছেন।এটিকে অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা নিধন বলে এমন ভাবে বর্ণনা করেন যাতে মনে হতে পারে জিয়া মুক্তিযোদ্ধাদের লিস্ট বানিয়ে, ধরে ধরে ফাঁসিতে চড়িয়েছেন।এটি জিয়া বিরোধী একটা অপপ্রচার ছাড়া কিছু নয়।
কেউ কেউ বলবেন, জিয়ার সময়ের বিচারগুলো ছিল অনেকটাই প্রহসন। যাদেরকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কারণেই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। সামরিক আদালতের প্রথামতই সে বিচার দ্রুত সম্পন্ন হয়েছে।আজ যেমন, তাপসের উপর হামলার ঘটনায় বিচার সম্পন্ন হল বেশ দ্রুত।তবে অনেক ক্ষেত্রেই হয়ত কিছুটা তাড়াহুড়া করা হয়েছে, হয়ত একেবারে সব সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি, এটা সত্য,এটা আমি তাদের কাছ থেকেই শুনেছি।তবে বিশৃংখল ঘটনা এবং জড়িত সদস্যদের সংখ্যা বেশী হওয়ায়, হয়ত এটা সম্ভব হয়নি।এছাড়া ক্যু এর মত ঘটনা ঘটার পর একেবারে ত্রুটিমুক্ত বিচার আদৌ কখনো করা সম্ভব কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। পিলখানার ঘটনার সময় পিলখনায় থাকা অধিকাংশ, ৯৮% সৈনিকই এখন তাদের নির্দোষ দাবী করছে।এটা কি সম্ভব হবে, একেবারে চুলচেরা হিসেব করে ত্রুটিমুক্ত বিচার করা ? অনেক নিরপরাধীই এখানে হয় জান হারাবে না হয়, জেলে যাবে, নাহলেও সন্দেহমুক্ত না হওয়ায় চাকরি হারাবে।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, সেনাসদস্যদের বিচার সেনা আদালতে হয় এবং তা বেসামরিক আদালতে কোনভাবেই নেয়া যায়না।সেই রায়ের ব্যাপারে বেসামরিক আদালতে আপীল করারো কোন সুযোগ থাকেনা।সেই সুযোগ সেনাসদস্যদের নেই,যদি না তাতে বেসামরিক কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হন।আইনসঙ্গতভাবেই, জিয়া অপরাধীদের সামরিক আদালতে বিচার করেছেন।যেখানে আমদের স্বাধীন আদালতে বিচারের নামে প্রহসন চলছে আজ এই ২০১০ সালে, সেখানে ১৯৭৫ এর স্বাধীনতা পরবর্তী বিশৃংখল সেনাবাহিনীতে সুষ্ঠু ত্রুটিমুক্ত বিচার আশা করাটা কি একটু বেশি হয়ে যায়না ?

আজ যদি, কেউ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন নাশের চেষ্টা করে, সেনাবাহিনীতে এখনো কিছু মুক্তিযোদ্ধা আছেন, তার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় কি তার রক্ষাকবচ হবে ???...অসম্ভব নয় কি ???

ধন্যবাদ ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

শ্রাবন্তী,
আবারো ধন্যবাদ বিশাল একটি প্রতিমন্তব্য কষ্ট করে দেওয়ার জন্য।

এর প্রতিটা কথা নিয়েই অনেক কথা বলা সম্ভব। আপনার সবগুলো যুক্তি আর তথ্যই খণ্ডানো সম্ভব। কিন্তু কথা হচ্ছে সেটুকু কষ্ট আমি করবো কী না?

বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সেনসিটিভ ইস্যু নিয়ে কথা চলছে, আমি এখানে মনগড়া কোনো কথা বলিনি, এ বিষয়ে প্রকাশিত বইপত্র থেকে রেফারেন্স দিয়েছি। প্রয়োজনে আরো দেবো। এগুলো কোনো গোপন বা স্বল্প পরিচিত বই না, তথ্য বিকৃতির দায়ে এই বইগুলোকে কেউ চ্যালেঞ্জও করেনি এখন পর্যন্ত [ভুল হলে শুধরে দেবেন আশাকরি], সামরিক কর্তৃপক্ষও এই তথ্যগুলোর বিপরীতে নিজেদের অবস্থান কখনো পরিষ্কার করে জানায়নি।
ফলে আমি এখনো পর্যন্ত এই তথ্যগুলোকে অন্তত মিথ্যা বা মনগড়া বলে মানতে পারছি না।

আপনিও কিন্তু এর বিপরীতে কোনো রেফারেন্স দিতে পারলেন না। আপনার পরিচিত কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার ঘরোয়া আড্ডায় বলা কিছু কথা ছাড়া।

অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি ঘরোয়া আড্ডায় বলা কথাকে রেফারেন্স হিসেবে মানতে আমি অপারগ, আপনি নিজেই সেগুলোকে 'গল্প' বলেছেন। শোনা কথায় কান দিতে নেই।

আর একটা কথা, ঘরোয়া আড্ডায় মানুষ কতো কথাই বলে, এরকম একটি সেনসিটিভ ইস্যু নিয়ে উনারা যা বলেছেন, তা আপনি এই যে জনসম্মুখে প্রকাশ করলেন [যদিও উনাদের নাম বলেননি] আপনি তাদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছিলেন?

ভালো থাকবেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

বজলুর রহমানকে বিয়াপক মিস করি। বজলু কাগু মাঝে ফজলুল কাদের নিকের ছাল গায়েও কিছুদিন আনাগোনা করেছিলেন।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

শ্রাবন্তী এর ছবি

নজরুল ভাই
আপনাকে ধন্যবাদ সময় নষ্ট না করার জন্য। মিথ্যায় মিথ্যায় গল্পে গল্পে ব্যক্তিগত রেষারেষিতে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ত্বে বাংগালীর অপর মানুষের চরিত্র হননের বদভ্যাস নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে মহীয়ান করে তোলার চেষ্টায় লেখা মিথ্যা ইতিহাস সব মিলিয়ে বাংলাদেশের কালো অধ্যায়টুকু হয়ত কালোই থেকে যাবে।
না আমি নাম বলিনি, কিন্তু হিন্টস তো দিয়েছি, ধরুন না এদের, এদের কাছে অনেক কথাই পাবেন।না অনুমতিও নেইনি, এটা ইচ্ছাকৃ্ত অপরাধ।ঘরোয়া আলাপ থেকেই সত্যটা বেরহয়ে আসার সম্ভাবনা বেশী থাকে, ফরমাল আলাপে খুঁটিনাটি অনেক কিছুই আসে না।
ভাল থাকবেন।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দিদিগো,
ঘরে ঘরে ইতিহাস গড়ে না তুলে আপনার পরিচিত যারা সত্যটা জানেন তাদের বলুন না, হয় নিজেরা সত্যটা লিখে ফেলুক নতুবা যা যা মিথ্যা গালগল্প দিয়ে বইগুলো ভরিয়ে ফেলছে বেলেহাজ সাংবাদিকের দল, সেগুলোর নামে মামলা করে দিক?

এতই যদি মিথ্যা তাহলে সামরিক কর্তৃপক্ষই বা কেন বইগুলোর ব্যাপারে প্রতিবাদ জানাচ্ছে না?

সত্য তো সোনা দানা না যে ঘরে ঘরে সেটা লুকিয়ে রাখতে হবে বা শুধু আপনার কানে কানেই বলতে হবে? নাকি?

আর আপনি দুজন অফিসারের ঘরোয়া আড্ডায় বলা কথাকেই সত্য বলে মানছেন কোন যুক্তিতে? তারা সত্য বলছেন এই সিদ্ধান্তে আপনি কীভাবে পৌঁছলেন? একটু বেশি বোকামী হয়ে গেলো না?

এখন যদি কেউ চ্যালেঞ্জ করে যে আপনার উল্লেখিত "তাঁরা" এই কথাগুলো বলেননি, আপনি চাপা ছেড়েছেন, তাহলে আপনি কী বলবেন শুনি? কোনো প্রমাণ তো দিতে পারবেন না গো দিদি... যাঁরা বলেছিলেন তাঁরা স্বীকার যাবেন না নিশ্চিত, উল্টো আপনাকে ব্যাপক গালমন্দ করবে এসব কথা জনসম্মুখে বলার জন্য। বুঝুন ঠেলা...

ঘরের শুনে সত্য মোষের সঙ্গে যুদ্ধ করা যায়?

ভালো থাকবেন, ঘরে ঘরে ইতিহাস রচিবেন না দয়া করে, সেটা স্বাস্থকর নহে হাসি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

জিয়া যদি সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলার এত পরাকাষ্ঠাই দেখিয়ে থাকেন, ৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত কেন কার্যত কয়েকটা মেজরের কথায় তিনি সেনাবাহিনীশুদ্ধু ওঠবোস করেছিলেন? ওনার কেনটা দিয়ে ঐ পিচ্চি মেজরদের গুঁতো দিতে পারেননি কেন?



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

শ্রাবন্তী এর ছবি

তাই তো ? যে জিয়া তার ব্রিগেড কমান্ডার আর ডিভ কমান্ডারদের তার হাতের 'কেন' দিয়ে গুতো দিয়েছেন, তিনি পুরো সেনাবাহিনীশুদ্ধ কেন কয়েকজন মেজরদের কথায় ঊঠবোস করেছেন ?
আপনিই বলুন, কোন বাস্তবতায় বংগবন্ধুর নিয়োগ দেয়া সেনা প্রধান এটা হতে দিয়েছেন ? কোন বাস্তবতায় মুক্তিযুদ্ধের মুক্তিবাহিনির সর্বাধিনায়ক জেনারেল খালেদ মোশাররফের সাথে চুক্তি করে বংবন্ধুর খুনীদের দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন ?
জিয়া তো তখনো পর্যন্ত দৃশ্যপটেই হাজির হন নি। প্লিজ, বলবেন না, জিয়া অন্তর্যামীর মত জানত, তাকে গৃহবন্দী করা হবে, সেই ফাঁকে খালেদ মোশাররফের ক্যু ব্যর্থ হবে, কর্ণেল তাহের তাকে উদ্ধার করে সেনাপ্রধান বানাবেন। এবং এর সবকিছুই সুচতুর জিয়ার পরিকল্পনা মাফিকই ঘটেছে।২রা ৩রা নভেম্বর তো এই লোকটা গৃহবন্দী ছিল। জিয়া যেদিন থেকে তার দ্বায়িত্ত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছেন, সেটা তিনি যথার্থ ভাবেই করার চেষ্টা করেছেন।

এটা ঠিক, জিয়ার না পারার লিস্ট বানাতে বসলে বাংলাদেশে হয়ত নিউজপ্রিন্টের ঘাটতি দেখা দিবে।মেনে নিলাম, জিয়া অনেক কিছুই পারেন নি, করেননি।

আজ যে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নির্বিচারে সন্ত্রাসীদের ক্রসফায়ার এর নামে খুন করা হচ্ছে, সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি নিরপরাধ ছাত্র এবং যুবকেরাও তার শিকার হয়ে প্রাণ দিচ্ছে, আমরা এত বিবেক সম্পন্ন তেজোদ্দীপ্ত সুনাগরিক, আমরা তার কি করতে পারছি ? আমাদের সমাজে আরো অনেক অনাচার চলছে, অফিসে, আদালতে, স্কুলে, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, সর্বত্র সবখানে, কি করছি আমরা ? কিংবা কি করতে পারছি আমরা ?

আপনার যা যা করা উচিত আপনি কি তার সবকিছু করতে পারছেন ? আপনি তো একজন লেখক, একজন বিশিষ্ট ব্লগার, পুরষ্কার প্রাপ্ত একজন লেখক, বিস্তর গবেষণার পরও আপনার কলমের ফাঁক গলে কি ভুল কিছু কখনো বের হয়নি ? মাস্কাওয়াথ আহসানের আপনাকে আক্রমণ করে লেখার জবাব দিতে গিয়ে কি আপনি মেটাব্লগিং এর দোষে দুষিত হন নি ? প্রতিশোধ স্পৃহা থেকে তো আপনি আপনার কলমকে থামাতে পারেন নি। পেরেছেন ? আমি বুঝি, সেটির প্রয়োজন ছিল। ঢিল মারলে পাটকেলটি যেমন খেতে হয়, ঠিক তেমনি কেউ ইটা মারলে তার জবাবটাও দিতে হয়, তা না হলে টেকা যায় না।

জিয়া নিজে থেকে কখনো ক্ষমতা নিতে যান নি, যখন তাকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, এবং দেশবাসী তা সানন্দেই মেনে নিয়েছে, তিনি তার দ্বায়িত্ত্ব পালনের চেষ্টা করেছেন সাধ্যমত, দরজা খুলে দিয়ে, আর সবার পথ রুদ্ধ করে নয়।

সাইদ এর ছবি

একজান সাধারণ পাঠক হিসেবে খুবই ভাল লাগল আপনাদের এই আলোচনা। আমি একটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে চাই শ্রাবন্তী আপনাকে। তাহেরকে কেন জিয়াউর রহমান ফাঁসি দিয়েছিলেন? আমি কারোও পক্ষে বিপক্ষে না। এইটা জানতে চাচ্ছি কারণ যেই তাহের জিয়াকে বাঁচাল সেই তাহেরকেই জিয়া মারল। এই হিসাবটুকু মিলাতে পারি না। কি এমন কারণ ছিল??

ধন্যবাদ ভাল থাকবেন

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

জিয়া নিজে থেকে কখনো ক্ষমতা নিতে যান নি, যখন তাকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, এবং দেশবাসী তা সানন্দেই মেনে নিয়েছে, তিনি তার দ্বায়িত্ত্ব পালনের চেষ্টা করেছেন সাধ্যমত, দরজা খুলে দিয়ে, আর সবার পথ রুদ্ধ করে নয়।

হো হো হো
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

হিমু এর ছবি

ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করতে গেলে একটা শর্ত পূরণ করতে হয়, সেটা হচ্ছে, কিছু ফ্যাক্ট জানা থাকতে হয়। জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান নিযুক্ত হয়েছিলেন ১৯৭৫ এর অগাস্টেই। আপনি এই কথা জানেন না, নাকি না জানার ভান করছেন? শফিউল্লাহকে বরখাস্ত করে জিয়াকে সেনাপ্রধান নিয়োগ করেছিলো খন্দকার মোশতাক সরকারই। কর্নেল তাহের জিয়াকে সেনাপ্রধান বানিয়েছে, এটা বলতে পারে চূড়ান্ত ইতিহাসমূর্খ লোক। মনে হচ্ছে আপনি তা-ই। সমস্ত ইতিহাস ঘরোয়া আলাপে শিখতে গেলে তো সমস্যা, একটু পড়াশোনা করেন। লোকজন ঘরোয়া আলাপে হোগার ভিতর থেকে কতো কথা টেনে বের করে, ওগুলিকেই পরম সত্য বলে ধরে নিলে তো ইতিহাসমূর্খই থেকে যাবেন।

কোন বাস্তবতায় অন্য লোকে কী করেছে, সেটা তো আমি জানতে চাই না আপনার কাছে। আমি জানতে চাই কোন বাস্তবতায় সেনাপ্রধান জি্য়াউর রহমান কয়েকটা খুনী মেজরের কথায় গোটা বাহিনী নিয়ে ওঠবোস করেছিলেন আড়াই মাস। ওনার কেনটা কোথায় প্রবিষ্ট ছিলো তখন?

মাস্কাওয়াথ আহসান প্রভৃতি বাতিল মালদের ফালতু কথার জবাব যদি আমি সীমার বাইরে গিয়ে দিতে পারি, কেন দিয়ে ডিভিশন কমাণ্ডারদের গুতা মারায় সিদ্ধহস্ত জেনারেল জিয়া কেন কয়েকটা খুনী মেজরকে শায়েস্তা করতে পারলো না? কেন হাজার হাজার অফিসার-সৈনিককে এক মিনিটের কলমের খোঁচায় ফাঁসি দিতে পারলো, আর কয়েকটা খুনী মেজরকে আড়াই মাসেও কিছু করতে পারলো না? শৃঙ্খলা রক্ষার দায় তখন কোথায় ছিলো? খালেদ মোশাররফের হাতে আটক হবার পর এই তথাকথিত ডিসিপ্লিনারিয়ান তো পদত্যাগপত্রও জমা দিয়েছিলো।

আর হ্যাঁ, দরজা জিয়া খুলে দিয়েছিলো, সেটা ধান্ধাবাজ আর রাজাকারদের জন্য। জেলে আটক প্রায় নয়শো যুদ্ধাপরাধের সাজা খাটা আসামীর জন্যও জেলের দরজা খুলে দিয়েছিলো। এই কাজ করে যদি কেউ হিরো হয়, তাহলে সে রাজাকারের হিরো, আর রাজাকারের বাচ্চাদের হিরো।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

শ্রাবন্তী,

যে জিয়া তার ব্রিগেড কমান্ডার আর ডিভ কমান্ডারদের তার হাতের 'কেন' দিয়ে গুতো দিয়েছেন, তিনি পুরো সেনাবাহিনীশুদ্ধ কেন কয়েকজন মেজরদের কথায় ঊঠবোস করেছেন ?

জবাব আপনিই দিলেন-

জিয়া তো তখনো পর্যন্ত দৃশ্যপটেই হাজির হন নি।

আচ্ছা জিয়া দৃশ্যপটে হাজির হন কবে- ৭ নভেম্বর থেকে ? তর্কের খাতিরে মানলাম - এবার আমার আগের কমেন্টে (যার জবাব আজো দেননি ) করা নিচের প্রশ্নের জবাব দেন :

ক্ষমতা লাভের ৬ মাসের মাথায় (এপ্রিল ১৯৭৬) তাকে উৎখাতের লক্ষ্যে ক্যু উদ্যোগী ফারুক-রশীদ -ডালিমকে তিনি কেন ফাসি দেননি ? যে জিয়া তার প্রাণরক্ষাকারী তাহেরের প্রতি কোনো মায়া দেখাননি তিনি কেন ফারুক-রশীদ গংদের প্রতি মায়া দেখালেন ?

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

শ্রাবন্তী এর ছবি

আমি আপনার এই প্রশ্নটির উত্তর জানিনা। আপনার জানা থাকলে এখানে জানাবেন প্লিজ। তবে আমার মনে হয়, এটি হয় ছিল তার চূড়ান্ত একটা বোকামি এবং ব্যর্থতা। অন্য কিছু ?

আমি আপনার কাছে জানতে চাই, জিয়াকে উদ্ধারকারী সেনাবাহিনীর সদস্যদের কে কি কর্ণেল তাহের পাঠিয়েছিলেন ?

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

শ্রাবন্তী ,

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করা কিছু অফিসারের সাথে কথা বলেছিলাম।৭৪-৭৫ থেকে সেনাবাহিনীতে কর্মরত এই অফিসারদের সাথে যাদের দুএকজন এই মূহুর্তে সেনাবাহিনীতে খুব উচ্চ পদে আছেন।এর মধ্যে একজন বর্ত্মানে একটি বাহিনী প্রধান। ৭৫ পরবর্তী সময়ের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ঘটে যাওয়া মৃত্যুদন্ড সমুহকে আমরা বাইরে থেকে যেভাবে গণহত্যা বলতে চাই, ব্যাপারটি মোটেও সেরকম বলে তারা মনে করেননি

"মৃত্যুদন্ড সমুহ" আইনানুগ ছিল নাকি বিচারের নামে প্রহসন সেই সিদ্ধান্ত টানার জন্য "সিনিয়র অফিসারদের" অভিমতকেই আপনার প্রাধান্য দেয়া কি ঠিক ? বর্তমানে যদি উনি একজন বাহিনী প্রধান হন তবে নিশ্চয় পচাত্তরে তিনি কনিষ্টই ছিলেন । সে সময়ের অনেক সিনিয়র অফিসার যদি গণহত্যার সপক্ষে অভিমত দেন তবে কি আপনি মানবেন ?

সেই সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চরম বিশৃংখলামূলক পরিস্থিতিতে সেনাভিনীর চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠার জন্য অবশ্য করনীয় বলেই মনে করেছেন।যাদের মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে, তাদের কৃ্তকর্মের জন্যই দেয়া হইয়েছিল বলেই মন্তব্য করেছেন। দেখাগেছে কোন কোন সময় একজন সুবেদার তার অধীনস্ত একটি কোম্পানী নিয়ে ক্যু করার চেষ্টা করেছেন।

যে সমস্ত মুক্তিযোদ্ধা অফিসার যিয়ার ক্ষমতা দখল কে পছন্দ করতে না পেরে অথবা অবৈধ মনে করেছে,

আপনার কমেন্টে নতুন কিছু নেই । তবে , ধন্যবাদ এজন্য যে আপনি নিজেও প্রকারন্তরে স্বীকার করলেন সে সময় সেনাবাহিনীতে চরম বিশৃংখলামূলক পরিস্থিতি ছিল । আমার এক লেখায় একজন ব্লগার তার মন্তব্যে বলেন "সেনা প্রধান হিসেবে তিনি একটি আর্মড ফোর্সের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছিলেন। চেইন অব কমাণ্ড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।"এটা স্রেফ একজন ব্লগারেরই মত নয় । বিএনপি ঘরানার বুদ্ধিজীবী (যেমন ঢাবি'র সাবেক ভিসি মনিরুজ্জামান মিয়া ) ও রাজনৈতিক ভাষ্যকাররাও তাই বলে আসছেন এতদিন ধরে । জিয়া সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন -এর মানে দাঁড়ায় ডিফেন্সে তার পূর্ণ নিয়ন্ত্রন বজায় ছিল এবং তার নেতৃত্বে সবাই আস্থাশীল এবং অনুগত ছিল । যদি তাই হয়,তবে জিয়ার আমলে ১৯ মতান্তরে ২০টি ক্যু কিসের লক্ষণ -শৃঙ্খলার ? আনুগত্যের ? জিয়ার আমলে এতগুলি ক্যু প্রচেস্টা/বিদ্রোহ (সিপাহি বিদ্রোহ,কারা বিদ্রোহ) কি প্রমান করে? স্বয়ং জিয়াও নিহত হন আরেক ক্যুতেই । সেনাবাহিনীতে যদি তার পূর্ণ নিয়ন্ত্রন বজায়ই থাকত তবে তাকে এভাবে মরতে হল কেন ?


২৫শে ফেব্রুয়ারীর বিডি আর বিদ্রোহের পর প্রধান্মন্ত্রীর দরবারে অশালীন ভাবে বক্তব্য উপস্থাপনের দায়ে সাতজন জুনিয়র অফিসারকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।ব্যারিস্টার তাপসের উপর হামলার চেষ্টায় পাঁচজন অফিসারের জেল হয়েছে।তারা যদি, ক্যু এর মত কিছু করার চেষ্টা করত, তা হলে কি আজ তাদের ফাঁসি হত না

জিয়ার আমলের ক্যাঙ্গারু কোর্ট মার্শালে দেয়া ফাসিকে ডিফেন্ড করতে আপনি এইসব বলছেন । ক্যু করলে ফাসির বিধানে আপনার আস্থা আছে । আপনি কি নিশ্চিত জিয়ার আমলে ক্যু করলেই ফাসি দেয়া হয়েছে কিংবা যাদের ফাসি দেয়া হয়েছে তারা সবাই ক্যু বা বিদ্রোহের সাথে যুক্ত ?

ক্যু করলে ফাসির বিধানে স্বয়ং জিয়ারও কি আপনার মত আস্থা ছিল ? যদি তাই হত তবে তার ক্ষমতা লাভের ৬ মাসের মাথায় (এপ্রিল ১৯৭৬) তাকে উৎখাতের লক্ষ্যে ক্যু উদ্যোগী ফারুক-রশীদ -ডালিমকে তিনি কেন ফাসি দেননি ? যে জিয়া তার প্রাণরক্ষাকারী তাহেরের প্রতি কোনো মায়া দেখাননি তিনি কেন ফারুক-রশীদ গংদের প্রতি মায়া দেখালেন ?

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

auto

স্বাদ বদলের জন্য জলপাই পাতাও ভালো হাসি


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

পুরো লেখা আর মন্তব্য থেকে অনেক কিছুই জানলাম। সবাইকে ধন্যবাদ।

আদিল মাহমুদ এর ছবি

প্রথমতঃ কোন মানুষই ১০০% খাঁটি নয়। কোন না কোন দোষ, পদস্খলন সবার মাঝেই পাওয়া যাবে। আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে নানান কারনে এই কাজটা আরো সোজা। পুরোপুরি ফেরেশতা বা পুরোপুরি শয়তান চরিত্রের মানুষ কেবল গল্প উপন্যাস বা সিনেমাতেই পাওয়া যায়।

মুক্তিযোদ্ধা মানেই আসমান থেকে নাজিল হওয়া দোষত্রুটি মুক্ত সর্বত্যাগী ফেরেশতা এমন ধারনা অত্যন্ত শিশুসূলভ। বহু হেভিওয়েট থেকে শুরু করে সাধারন বহু মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রেই কথাটি খাটে। তাই বলে মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান এতে করে খাট হয়ে যায় না।

মীর শওকতকে সম্মান জানানো হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের অবদানের জন্য, সামগ্রিকভাবে আদর্শ কোন চরিত্র হিসেবে নয়। আর আপেক্ষিকতার একটা ব্যাপার আছে। যেখানে জামাতি সেকটর কমান্ডার আছে, বীর উত্তম মুক্তিযোদ্ধা কন্ট্রাক্টারির নামে পয়সা লুট করে সেখানে উনি ঘাতক দালাল নির্মুলের আন্দোদনে ভূমিকা রেখেছিলেন সেটা মনে রাখতে হবে। দলীয় নির্দেশ ও আদর্শের বাইরে গিয়েও স্বাধীনতা ঘোষনায় বংগবন্ধু ও জিয়ার ভূমিকা পরিষ্কার ভাষায় বলে গেছেন যা এই নিয়ে কুতর্ক সৃষ্টিকারীদের মুখে আজীবন জুতোর বাড়ি হিসেবে থাকবে। তাকে শ্রদ্ধা জানাতে খুব সমস্যা কোথায়?

এই ঘোষনার ব্যাপারে যদিও তিনি একসময় মন্ত্রীত্বের মায়ায় ড্রাম তত্ব চালু করতে চেষ্টা করেছিলেন। তবে সেই ভুল বুঝতে পেরেছিলেন। প্রতিবাদের পর নিজেই আর সে নিয়ে কথা বাড়াননি, যা সত্য তাই বলে এসেছেন।

তাহের হত্যার সময় বাস্তবতা হল সেনাবাহিনীর সব সিনিয়র অফিসারই ছিল তাহের বিরোধী। জিয়ার একক সিদ্ধান্ত ছিল না আসলে ফাঁসী। এ সম্পর্কে মওদুদ তার বইতে লিখেছে। জিয়ার আমলের নানান গোপন হত্যায় মীর শওকত দায়ী হলে তো সে হিসেবে সে আমলের সব সিনিয়র সেনা অফিসারকেই দায়ী করতে হয়। বাকিরা আর কেন বাদ যাবেন?

স্বাধীন বাংলাদেশে কি বংগবন্ধুর কোন ভুল চুক দোষ ত্রুটি ছিল না? তার সম্পর্কে আমরা তাহলে কি মূল্যায়ন করতে পারি? স্বাধীন বাংলাদেশে তার ব্যার্থতার কারনে কি স্বাধীনতা অর্জনে তার অবদান অস্বীকার করা যাবে? এ জাতীয় আরো অপ্রীতিকর কিছু উদাহরন টানতে পারি, ইচ্ছা করেই টানছি না কারন তাতে ছাগুদের যুক্তিই শক্তিশালী করা হবে।

য়ামার চোখে মীর শওকতের কিছু ভুল ত্রুটি দোষ থেকে থাকলেও মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা প্রশ্নাতীত। স্বাধীনতার ঘোষনা কুতর্ক প্রশমনে তার ভুমিকা খুবই প্রশংসনীয়। তাই আমি সম্মান জানাতেই পারি। তবে সম্মান জানাবার খাতিরে তার অন্ধকার কোন দিক চাপা দেবার প্রচেষ্টাও কোনভাবে সমর্থন করা যায় না।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

স্বাধীনতার ঘোষনা কুতর্ক প্রশমনে তার ভুমিকা খুবই প্রশংসনীয়। তাই আমি সম্মান জানাতেই পারি। তবে সম্মান জানাবার খাতিরে তার অন্ধকার কোন দিক চাপা দেবার প্রচেষ্টাও কোনভাবে সমর্থন করা যায় না।

হ ... চাপা মারার প্রচেষ্টাও কোনভাবে সমর্থন করা যায় না


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

মানুষ [অতিথি] এর ছবি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ভয়ানক আফসোস জাগে, প্রচণ্ড ক্ষোভ জন্মে ভেতরে। তাজউদ্দীন'দের হাতে জন্ম নেয়া দেশে জিয়া, শওকত, এরশাদদের আমরা পূজনীয় করে রাখি। ঘটা করে অঞ্জলী দেই, গার্ড অফ অনার দেই।
ধিক শালার এই জন্মে!



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

জোহা [অতিথি] এর ছবি

কষ্টের।সত্যিই খুব কষ্টের।
তাজউদ্দিনের মেধা,অবদান,ত্যাগ আর অসীম পরাকাষ্ঠার কথা এদেশের সাধারণ মানুষ তেমন জানে না। জানানো হয়নি।জানতে দেয়া হয়নি।সিমিন হোসেন রিমির ডক্যুমেন্টারী টা এদেশের তরুণ সমাজের কাছে সৌজন্য মূল্যে বিতরণ করা যেতে পারে। ভেবেছিলাম এবার ৩ রা নভেম্বর হয়ত এটা বিটিভি অথবা চ্যানেল আই কিংবা এটীএন বাংলা তে দেখা যাবে।যায়নি।অথবা আমার নজরে পড়েনি। মঈন উ 'র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে 'বৈশাখী' এটি সম্প্রচার করেছিল, যে চ্যানেলটা খুব কম লোকই দেখে।জানা যায় অনেক কিছু।

তাজুদ্দিনের স্মৃতি প্রদীপ শিখার মতই এদেশের বিশুদ্ধ চিত্তের মানুষদের আশার আলো দেখাবে আজীবন।
বাংলাদেশে কি এই ডক্যুমেন্টারীটা সিডি অথবা ডিভিডি আকারে পাওয়া যায়? আমার বুবাইয়ের জন্য সংগ্রহে রাখতে চাই।

জোহা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।