উত্ত্যক্ততা: সিনেমা বনাম বাস্তবতা এবং পরিবার প্রসঙ্গ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৩/১১/২০১০ - ৮:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাইনুল এইচ সিরাজী

২০ নভেম্বর সোমবারের একটি দৈনিকে 'প্রাণ গেল নানার, দাঁত ভাঙল ছাত্রীর'-এ খবরটি পড়ছিলাম। গত কয়েক মাসে এ ধরনের খবর পড়তে পড়তে বিচলিত হয়ে পড়েছি। এখন অনুভূতিগুলোও যেন কিছুটা ভোঁতা হয়ে এসেছে। নিজের ভেতরে সহজে আর প্রতিক্রিয়া বোধ করি না। প্রথম প্রথম যা চরমভাবে করতাম।
'ভূরুঙ্গামারী: উপজেলার সদর ইউনিয়নের নলেয়া গ্রামের উত্ত্যক্তের শিকার মেয়েটি ও গ্রামের লোকজন জানান, ঈদের দিন সকাল সাতটার দিকে বাড়ির উঠানে নানার সঙ্গে গল্প করছিল মেয়েটি। এ সময় বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় একই গ্রামের রিপন(২৪) ও মোস্তফা(২২) মেয়েটিকে দেখে অশ্লীল গান গায়। নানা সোবহান এর প্রতিবাদ করলে বখাটেরা তাঁকে কিলঘুষি মারে।'
২০ নভেম্বরের এ খবরে অশ্লীল গান গাওয়ার ব্যাপারটা আমাকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছে। আমাদের সাংস্কৃতিক পরিবেশ বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ। এটা কতটা কিশোর-তরুণবান্ধব, এটা কতটা নৈতিকতা অনুগামী- এমন প্রশ্ন আছে। এখানে শুধু বাঙালি-বাংলাদেশি সংস্কৃতি নিয়ে কথা হচ্ছে না, পুরো সাংস্কৃতিক আবহ সম্পর্কে বলতে চাইছি। বিদেশি টিভি চ্যানেল, বিদেশি চলচ্চিত্র আমাদের তরুণ সমাজকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে অবলীলায়। চোলি কা পিছে কি হ্যায়- এমনতরো গানের অন্তর্নিহিত অর্থ যতই সাধু হোক, আমরা কিন্তু মোটাদাগের অর্থটা বুঝে আলোড়িত হই, নাচানাচি করি। সমস্যাটা এখানেই।
গেল শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে পরবর্তী প্রায় একযুগ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে ভর করেছিল অশ্লীলতার ভূত। বিখ্যাত শিল্পী-কলাকুশলীরাই এটার জন্ম দিয়েছেন, লালন করেছেন। তাঁরা কেউ সংলাপ লিখেছেন, কেউ বলেছেন; কেউ গান তৈরি করেছেন, কেউবা তা গেয়েছেন। সে সময়ের কথা নাহয় বাদই দিলাম। এর আগে পরের সুস্থ ধারার চলচ্চিত্রের গানগুলো সম্পর্কে একটু বলি। দুটো উদাহরণ লেওয়া যাক- ১। ও মিষ্টি মেয়ে তোমার অঙ্গে / এত কেন রূপের বাহার / আমি পাগল হয়ে যাব আজ... ২। টিপটিপ ঝরেছিল বৃষ্টি / কামনায় ভিজেছিল দৃষ্টি/ তারপর কী হলো কাল রাতে / পারি না যে বলিতে...
আমার ফেসবুক বন্ধুদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম- এই গানগুলোকে তাঁরা অশ্লীল মনে করেন কিনা? অনেকে হ্যাঁ-না উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু গানের উদাহরণ দিয়ে আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন- ওগুলো অশ্লীল হলে এগুলোকে কী বলবেন? বলা বাহুল্য, তাঁদের দেওয়া উদাহরণ ছিল আরও মারাত্মক। যেমন, রূপে আমার আগুন জ্বলে ইত্যাদি।
এ প্রসঙ্গে যে দিকটা নিয়ে আমি সবাইকে ভাবতে অনুরোধ করি তা হলো, এমন বাণীর গানগুলো কে কাকে উদ্দেশ করে গাইছে? নায়ক তার নায়িকাকে, প্রেমিক প্রেমিকাকে, স্বামী স্ত্রীকে এমনটা বলতেই পারে। এটাও বলতে পারে- চোলি কা পিছে কি হ্যায়...। সমস্যা হচ্ছে, বাস্তব জীবনে যে কথাগুলো একান্তে বলা হয়, সিনেমায় সেসব বলে দেওয়া হয় গানে গানে হাজারো দর্শকের সামনে। এটাই সিনেমা। সিনেমার সঙ্গে বাস্তবতার অমিল আছে বলেই সিনেম্যাটিক, ফিল্মি, ড্রামাটিক শব্দগুলো এসেছে। মনে রাখতে হবে, বাস্তবতা কখনোই সিনেম্যাটিক নয়।
আমাদের কিশোর-তরুণসমাজ এই ব্যাপারটাই বুঝতে পারে না। তাই তারা সিনেমার সঙ্গে জীবনকে গুলিয়ে ফেলে। এবং সিনেমার নায়কের মতো মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। সিনেমায় নায়িকাকে উত্ত্যক্ত করলে বাসায় গিয়ে সেই নায়িকা নায়কের কথা ভাবতে ভাবতে বিছানায় গড়াগড়ি খায়, আর এদিকে বাস্তবে উত্ত্যক্তের শিকার মেয়েটি গলায় পরার জন্য দড়ি বা খাওয়ার জন্য কীটনাশক খুঁজে বেড়ায়। অথবা প্রাণ দিতে হয় তার মা, শিক্ষক কিংবা নানাকে।
সিনেমা আর বাস্তবতার মাঝে পার্থক্য বোঝার জন্য যে মূল্যবোধ থাকা দরকার, তা সে পেতে পারে পরিবার থেকে। তার আগে তো পরিবারের সদস্যদের সেই মূল্যবোধটাকে লালন করতে শিখতে হবে। উপযোগী পারিবারিক পরিবেশ নৈতিকতা গঠনের জন্য অতি জরুরি। নৈতিকতা গঠনে এটার ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি।
যে ছেলেটা মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে, তার বাবাও একসময় এটা করত, হয়তবা এখনো করে। কথাটা হয়ত অতি সরলীকৃত। আবার কঠিনও। কিন্তু অনেকাংশে সত্যি। ভালো মানুষের সন্তান কখনো বখে যেতে পারে না। মূল্যবোধ সম্পন্ন পিতামাতার ছেলে, রুচিশীল পরিবারের ছেলে নিশ্চয়ই আত্মসম্মানবোধ নিয়ে বেড়ে উঠবে। সে রাস্তাঘাটে নিজেকে সিনেমার নায়ক ভাববে না। নিজের ভেতরেই সে নায়ক। সে বুঝবে, যাকে সে টিজ করছে- সেই মেয়েটির চোখে সে অভদ্র হয়ে যাচ্ছে। তার সম্মানহানি ঘটবে- এমন কাজ সে স্বেচ্ছায় কখনো করবে না।
আমরা এমন বোধসম্পন্ন তরুণসমাজ চাই। তার আগে চাই নীতিবান বাবা মা, পরিবার, প্রতিষ্ঠান।


মন্তব্য

সার্থক এর ছবি

আপনার দেওয়া উদাহরণগুলো আসলে আপনার বক্তব্যকে দুর্বল করে দেয়। আরো explicit উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা আরো পরিষ্কার হত। তবে আমরা সবাই বুঝছি আপনি কি বলতে চাইছেন হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আরেকটু বুঝিয়ে বলুন

অপছন্দনীয় [অতিথি] এর ছবি

যে ছেলেটা মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে, তার বাবাও একসময় এটা করত, হয়তবা এখনো করে।

ভালো মানুষের সন্তান কখনো বখে যেতে পারে না। মূল্যবোধ সম্পন্ন পিতামাতার ছেলে, রুচিশীল পরিবারের ছেলে নিশ্চয়ই আত্মসম্মানবোধ নিয়ে বেড়ে উঠবে।

এই ধরণের একটা পোস্ট লেখার ক্ষমতা যাঁর আছে, তাঁর কাছ থেকে এই মন্তব্যগুলো হজম করতে পারলাম না, দুঃখিত। কেউ ভালো বা খারাপ যে কাজই করুক না কেন, তার দায়টা তার নিজের, তার পূর্বপুরুষ বা উত্তরপুরুষের নয়। বাংলাদেশী সমাজে বাবার চরিত্র দিয়ে ছেলেকে বিচার করার ঐতিহ্য অনেক পুরোনো নিশ্চয়ই, আপনার কাছে কি সেটাই গ্রহণযোগ্য?

আপনার কথাটা মেনে নিলে তো এর উল্টোটাও মেনে নিতে হয়। মানুষের চরিত্র কি তার জন্মদাতার চরিত্র দিয়েই ঠিক হয় নাকি? আপনার উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে কষ্ট করে উত্তরটা দেয়ার প্রয়োজন নেই - এই কমেন্টটা এমন একজনের লেখা যার জন্মদাতা পৃথিবীর সবচেয়ে নোংরা চরিত্রের ব্যক্তিদের অন্যতম - নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, আপনার পোস্ট অনুসারে তার নিজের চরিত্র কোথায় দাঁড়ায়?

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি বলেছি, কথাটা অতি সরলীকৃত।
নৈতিকতা গঠনে বা গড়নে পরিবারের ভূমিকাই প্রধান- এটা কি আপনি অস্বীকার করবেন?

অপছন্দনীয় [অতিথি] এর ছবি

দ্বিমত পোষণ করছি।


নৈতিকতা গঠনে বা গড়নে পরিবারের ভূমিকাই প্রধান
[\quote]

আপনার বক্তব্য অনুসারে কি যারা সুস্থ পারিবারিক পরিবেশ থেকে আসে না তারা সবাই কোন না কোন অর্থে নৈতিকতা বর্জিত?

অতিথি লেখক এর ছবি

মাইনুল ভাই, চোলিকা পিছে কেয়া হ্যায় গানটা তৈরীর পর বাংলাদেশে বা পশ্চিম বাংলায় তার অনুকরণে একটা বাংলা গান তৈরী হয়েছিলো (অনেক আগে শোনা, লিরিকে সামান্য ভূল থাকতেও পারে)-

আচলের পিছে কি সই আচলের পিছে,
শাড়িরও নিচে কি সই শাড়িরও নিচে।
আচলের পিছে এই মন, শাড়িরও নিচে যৌবন,
এই দিল দেবো আমি কাহারে, কাহারে; আহ্ তুত তুত তুত তুত তুত তুত‌

বাংলাদেশে অশ্লীল গানের ইতিহাস অনেক পুরোনো। সেই ষাটের দশক থেকে। যৌবন তোর ঢলঢল কচুর পাতার পানি, একটু খানি লাগলে ছোঁয়া গড়িয়ে পড়ে জানি। তখন এইসব গান যারা লিখতেন তারা কিন্তু কালজয়ী ভালো কথার গানও লিখেছেন। কিন্তু চলচ্চিত্রায়নে এসে তখনকার গানগুলো যথেষ্ঠ মার্জিত ছিলো। যার ফলে মানুষের মনে এগুলো তেমনভাবে দাগ কাটতো না। অনেকটা ওয়ান শট। কিন্তু যখনই অঞ্জু বা নূতন বা রানীরা অশ্লীল কথার গানে অভিনয় করতে শুরু করলেন; তখন কিন্তু তা ভিন্ন আবেদনে চলে গেলো। তাদের যৌনউত্তেজক নাচ এবং ভঙ্গিমাগুলো মানুষের মনে স্থায়ী কামবাসনা সৃষ্টি করা শুরু করলো। যার পরিনাম আমরা দেখছি। তারপর থেকে তো এই ধারারই জয়জয়কার। কিছুদিন আগে একটা গান শুনলাম, সুন্দরী তুই জলদি আয়, তুলবো ছবি খোলামেলা হায়। দুঃখজনক, গানটার শিল্পী আমার বন্ধু পলাশ।

প্রথম দিককার কিছু প্রযোজক-পরিচালক যখন দেখলেন যে নায়িকার কাপড় সামান্য সরলেই ব্যবসা ভালো হয়, তখন থেকে তারা কাপড় আর একটু একটু করে সরাতে থাকলেন। ইটস্‌ অল এ্যাবাউট বিজনেস। কমিটমেন্টের কোনও বালাই এখানে নেই। আর স্কুল-কলেজের তরুন প্রজন্মকে এই সংস্কৃতি এমনভাবে ইনফ্লুয়েন্স করেছে যে এখন তারাই নিজেদেরকে সিনেমার হিরো ভাবে। গানের পাশাপাশি সিনেমার কাহিনীগুলোও ক্ষতিকারক।

শিশুরা দেখে শেখে। পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে শিশুকে সঠিক গাইডেন্সের মধ্যে রেখে শালীনতাবোধ এবং ভালো কালচার শেখানো। অশিক্ষা বা কুশিক্ষা উত্যক্ততা থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় ক্রাইমের দিকেও তরুনকে চালিত করতে পারে। তাই পরিবারকেই প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করতে হবে।

রাতঃস্মরণীয়

অতিথি লেখক এর ছবি

'তাই পরিবারকেই প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করতে হবে।'-ধন্যবাদ আপনাকে।

অতিথি লেখক এর ছবি

যে ছেলেটা মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে, তার বাবাও একসময় এটা করত, হয়তবা এখনো করে। কথাটা হয়ত অতি সরলীকৃত। আবার কঠিনও। কিন্তু অনেকাংশে সত্যি। ভালো মানুষের সন্তান কখনো বখে যেতে পারে না।

এ কথাটির সাথে কোনভাবেই একমত হতে পারলাম না। মন মানষিকতা সম্পুর্নই নিজের কাছে। বাবা মা শুধু ভাল পথ এর সন্ধান দিতে পারে। সে পথ অবলম্বন করা না করা যার যার মানষিকতার ব্যাপার।

রাত্রি।

অতিথি লেখক এর ছবি

'বাবা মা শুধু ভাল পথ এর সন্ধান দিতে পারে। সে পথ অবলম্বন করা না করা যার যার মানসিকতার ব্যাপার।'
আমি বিশ্বাস করি, এই মানসিকতা তৈরি হয় পরিবার থেকে।

অতিথি লেখক এর ছবি

'বাবা মা শুধু ভাল পথ এর সন্ধান দিতে পারে। সে পথ অবলম্বন করা না করা যার যার মানসিকতার ব্যাপার।'
এই মানসিকতাটাও সে পায় পরিবার থেকে।

নাজমুল হুদা এর ছবি

ভাল লিখেছেন । তবে আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত হতে পারলাম না । বরং মন্তব্যগুলোর সাথে কিছুটা হলেও আমার মতের মিল হলো ।
ছেলেমেয়েরা যখন ছোট ছিল, একসাথে বসে টিভি দেখতাম বা কালেভদ্রে সিনেমা, তখন তাদের বলতাম "নাটক বা সিনেমা"র গল্প কিন্তু বাস্তব নয় । দর্শকদের খুশী করবার জন্য পরিচালকরা তাদের ইচ্ছাগুলোকে চিত্ররূপ দেয়" । বাস্তবে যা করা সম্ভব নয়, অথচ করতে ইচ্ছা হয়, তেমন ইচ্ছাগুলোকে এসব নাটক-সিনেমায় দেখানো হয় । ছেলেমেয়ে আমার বক্তব্য হয়তো বুঝতে পেরেছিল - তারা সিনেমাটিক কিছু করেনি এখন পর্যন্ত ।

অতিথি লেখক এর ছবি

'দর্শকদের খুশী করবার জন্য পরিচালকরা তাদের ইচ্ছাগুলোকে চিত্ররূপ দেয়" । বাস্তবে যা করা সম্ভব নয়, অথচ করতে ইচ্ছা হয়, তেমন ইচ্ছাগুলোকে এসব নাটক-সিনেমায় দেখানো হয় । ছেলেমেয়ে আমার বক্তব্য হয়তো বুঝতে পেরেছিল - তারা সিনেমাটিক কিছু করেনি এখন পর্যন্ত ।'
-কিন্তু আমি আপনার সঙ্গে একমত, নাজমুল ভাই।

নাজমুল হুদা এর ছবি

সমর্থক পেলে ভাল লাগে । ধন্যবাদ ।

অতিথি লেখক এর ছবি

'বাস্তবে যা করা সম্ভব নয়, অথচ করতে ইচ্ছা হয়, তেমন ইচ্ছাগুলোকে এসব নাটক-সিনেমায় দেখানো হয় । ছেলেমেয়ে আমার বক্তব্য হয়তো বুঝতে পেরেছিল - তারা সিনেমাটিক কিছু করেনি এখন পর্যন্ত । '
-আমি কিন্তু আপনার সাথে একমত, নাজমুল ভাই।

Nazmul Huda এর ছবি

সমর্থক পেলে ভাল লাগে । ধন্যবাদ । আপনার নাম জানতে পারলে আরও ভাল লাগত।

শামীম এর ছবি

ছোটবেলা থেকেই লালনের একটা গান অনেক শুনেছিলাম (আমার বাবা জোর করেই লালনের গান ক্যাসেট প্লেয়ারে বাজিয়ে শোনাতো)।

মিলন হবে কত দিনে, আমার মনের মানুষেরও সনে ... .. ..

এটা একটা আধ্যাত্মিক গান, যেখানে শিষ্য তার গুরুকে (আইডলকে/পীরকে ইত্যাদি) খুঁজে বেড়াচ্ছে। কিন্তু এই গানটা একদা চলচিত্র ব্যবহৃত হল। সুচরিতা ছিল দৃশ্যায়নে ... ... কোনো এক কুক্ষণে টিভিতে যেই চ্যানেল চলছিলো সেখানে ছায়াছন্দ বা এ ধরণের কোনো অনুষ্ঠানে গানের চিত্রায়ন দেখার দূর্ভাগ্য হয়েছিলো।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

বিষয়বস্তু অতুলনীয়। তবে অনেক জায়গাতেই একমত হতে পারলাম না। এভাবে নিশ্চিত করেই বাবা-মাকে দায়ী করা যায় না। কোন কোন বিশেষ ক্ষেত্রে হয়ত যায়।

নাশতারান এর ছবি

লেখাটা অসম্পূর্ণ ঠেকলো। বিনোদন জগতের ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। তবে আরো গুরুতর কারণ রয়েছে। আমাদের সমাজের লিঙ্গবৈষম্যও তার অন্যতম। ছেলেরা নিজেদেরকে মেয়েদের চেয়ে শ্রেষ্ঠতর ভেবে বড় হতে থাকলে সমবয়সী মেয়েদের প্রতি সম্মানবোধ তৈরি হয় না। পরিবার থেকেই বৈষম্যের এই বীজ বপন করা হয়। যেকারণে মেয়েরা বড় হতে হতে নিজেদের গুটিয়ে নিতে শেখে। উত্যক্ত হলে প্রতিবাদ না করে আত্মহননের পথ বেছে নেয়। কোনো উত্যক্ত কিশোরী গলায় দড়ি দিলে লোকে আহাজারি করে, কিন্তু এর প্রতিরোধে নারীকে আত্মপ্রত্যয়ী হতে হবে এমন সমাধান বাতলে দিতে দেখিনি কাউকে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

গৌতম এর ছবি

আপনি কি অনেক আগে ভোরের কাগজের পাঠক ফোরামে লিখতেন? যদি তাই হয়, তাহলে আপনার সচলে পোস্ট করা শেষ দুটো লেখা দেখে হতাশ হলাম- মনে হলো, সেই লেখকের আর ধার নেই।

পাঠকের এই মন্তব্যে কিছু মনে করবেন না আশা করি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

একটা শিক্ষামূলক গল্প আছে না (ঈশপের নাকি!)! ঐ যে এক ছেলে স্কুল থেকে একটা পেন্সিল চুরি করে আনার পর মায়ের কানে কানে কী বলে। তারপর মা মৃদু হাসে, ছেলেকে কিছু বলে না। তারপর একদিন ছেলেকে খুনের দায়ে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় ছেলে 'একটু সময়' চেয়ে নিয়ে মায়ের কানে কানে কিছু একটা বলতে গিয়ে মায়ের কান কামড়ে ধরে!
— নৈতিকতা গঠনে পরিবারের ভূমিকা কী হওয়া উচিৎ, এই গল্পটাই বোধ'য় শিখিয়ে দেয় আমাদেরকে। লেখক খুব সম্ভবতঃ এই কথাটাই বলতে চেয়েছেন।

আর সিনেমার গান/কাহিনি নিয়ে নিজেকে এ্যাকশন হিরো রুবেল আর রোমান্টিক হিরো ইলিয়াস কাঞ্চন ভাবাটা দোষের কিছু না, যতোক্ষণ পর্যন্ত না সেটা আরেকজনের অসুবিধা/বিরক্তির উদ্রেক করছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সবসময় পরিবার সাথে থাকে না। দায়িত্বটা নিতে হয় নিজেকেই।



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।