দেশে ফেরার ঠিক আগের সপ্তাহটা ভালোই কাটলো নাইরোবিতে। একটা আন্তর্জাতিক সংস্থার কনফারেন্স ছিলো নাইরোবিতে। ওখানে এসেছিলেন দুজন বাংলাদেশি, যাদের একজন আবার আমার সাবেক সহকর্মী এবং বন্ধু। রোজ সন্ধার পর আমি আর বন্ধু বেরিয়ে পড়তাম। তিনি নাইরোবিতে এর আগে অনেকবার আসলেও শহরটা আমার মতো চেনেনা। তাই আমিই হতাম গাইড। ইনডিয়ান রেষ্টুরেন্ট, কাবাবের দোকান, শপিং মলগুলো, এইসব ঘুরে ঘুরে বেড়াতাম সন ...দেশে ফেরার ঠিক আগের সপ্তাহটা ভালোই কাটলো নাইরোবিতে। একটা আন্তর্জাতিক সংস্থার কনফারেন্স ছিলো নাইরোবিতে। ওখানে এসেছিলেন দুজন বাংলাদেশি, যাদের একজন আবার আমার সাবেক সহকর্মী এবং বন্ধু। রোজ সন্ধার পর আমি আর বন্ধু বেরিয়ে পড়তাম। তিনি নাইরোবিতে এর আগে অনেকবার আসলেও শহরটা আমার মতো চেনেনা। তাই আমিই হতাম গাইড। ইনডিয়ান রেষ্টুরেন্ট, কাবাবের দোকান, শপিং মলগুলো, এইসব ঘুরে ঘুরে বেড়াতাম সন্ধার পর। বন্ধুটা আফসোস ছিলো মারা যেতে না পারার। তার দুঃখ ঘোচাতে প্রস্তাব দিলাম নাইরোবি শহর সংলগ্ন ন্যাশনাল পার্ক দেখতে যাওয়ার। বন্ধু একবাক্যে রাজি। আমরা সেখানে যাবো ৪ নভেম্বরে।
যথারীতি পিটার আমাদের ড্রাইভার এবং গাইড। কথা হলো পিটার আমাকে প্রথমে তুলবে এবং তারপর বন্ধুদের হোটেলে যাবে। আমার গেষ্ট হাউস থেকে বন্ধুদের সিলভার স্প্রিং হোটেল খুব দুরে না, বড়জোর ২০ মিনিটের ড্রাইভ। কিন্তু পড়ে গেলাম নাইরোবির বিখ্যাত ট্রাফিক জ্যামে। অনেক কষ্ট-কসরত করে, রাস্তা বদলে ওদের হোটেলে পৌঁছলাম ঠিক দেড় ঘন্টা পরে। ওরা তো বের হয়ে সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। দলে চারজন, আমি, বন্ধু, আরেকজন বাংলাদেশি বন্ধু এবং ওদের একজন পাকিস্তানী সহকর্মী।
টিপ টিপ বৃষ্টির মধ্যে আমরা এগিয়ে চলেছি। নাইরোবি ন্যাশনাল পার্ক শহরের এক পাশেই। যেতে আধা ঘন্টা লাগলো। গেটের সামনে গাড়ি পার্ক করে আমরা টিকেট কাটতে গেলাম। আমরা ৪ জন বিদেশী, আমাদের জন্যে বিদেশী রেট। পিটারের জন্যে দেশী রেট হলেও তাকে আইডি কার্ড দেখাতে হলো। এর কারণ যাতে করে কোনও ইনডিয়ান, উগান্ডান বা তানজানিয়ান ওখানে কেনিয়ান সেজে দেশী রেটে ঢুকে যেতে না পারে। গাড়ির জন্যে আলাদা এন্ট্রি ফিস। টিকেট নিয়ে একটা বিড়ি টেনে আবার গাড়িতে উঠলাম।
গেট পার হয়ে ভিতরে ঢুকতেই প্রথমে সামনে পড়লো একটা উটপাখির বাচ্চা। কি অদ্ভুত মায়াবী। ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে। আর পালকের রংতো অসাধারণ টেক্সচার। চোখ ফেরানো যায়না।
[img=auto][/img]
ছোটবেলায় সাধারণ জ্ঞ্যানের বইতে পড়েছিলাম কোন পাখি উড়তে পারেনা। উত্তর ছিলো উটপাখি। নিজের চোখে দেখে তারপর বুঝলাম যে বিষয়টা ভূল। বাচ্চা উটপাখি উড়তে পারে এবং ভালোই উড়তে পারে। তবে অনেকক্ষণ ধরে উড়তে পারেনা। পিটার বললো এগুলো বড় হতে হতে এদের ওড়ার ক্ষমতা লোপ পেতে থাকে। প্রাপ্তবয়ষ্ক হতে হতে এদের আর ওড়ার ক্ষমতা থাকেনা। তবে এরা খুবই দ্রুত দৌড়াতে পারে।
লেক নাকুরু ন্যাশনাল পার্ক ঘুরে মন খারাপ ছিলো সিংহমামার দর্শন না পেয়ে। প্রচন্ড গরমে সিংহমামা বাইরে ঘুরে বেড়ানোর চাইতে ঘুমাতেই বেশি পছন্দ করে। তাই বিফলমনোরথ হয়ে ফিরেছিলাম সিংহ না দেখেই। আজকের ওয়েদার খুব ভালো, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। পিটার বললো আজকে সুযোগ আছে। আস্তে আস্তে গাড়ি চলছে। হঠাৎই গাড়ি থেমে গেলো।
ওইযে দুরে দেখা যাচ্ছে কিছু একটা। ওয়াও ............ একটা না, দুটো। ক্যামেরা জুম করে দেখলাম একটা বাফেলোকে খাচ্ছে দুজনে মিলে। একটা পর একটা ছবি তুলতে লাগলাম।
এরপর ওদের একটা আস্তে আস্তে আমাদের দিকে হেঁটে আসতে লাগলো। পথে একটবার দাঁড়িয়ে একবার ‘মাইনাস’ করে নিলো। তারপর একদম আমাদের ঘাড়ের উপরে। বড়জোর ১০ ফিট ব্যবধানে। আমার শ্বাস বেশ ভারী হয়ে উঠলো। এর আগে বুনো সিংহ হাত দিয়ে স্পর্শ করেছি। কিন্তু প্রতিবারের অনভূতিই অসাধারণ। দেখুন কি রাজসিক তার ভঙ্গি। একবারেই বনের রাজা। এটা একটা মাদি সিংহ। লৈঙ্গিক বিভেদ সিংহের ক্ষেত্রে পালনীয় মনে করলাম না। রাজা তো রাজা। মামা তো মামা। সিংহমামা।
[img=auto][/img]
[img=auto][/img]
[img=auto][/img]
[img=auto][/img]
[img=auto][/img]
এরপর হাঁটতে হাঁটতে একটা জলাধারের কাছে গিয়ে সিংহমামা পানি খেলো। তারপর হাটতে হাটতে রাস্তার উল্টোদিকের ঘাসবনে শুয়ে দিবানিদ্রায় মগ্ন হলো। রাস্তার অন্যপাশে বেশ দুরে দেখতে পেলাম আরও তিনটে সিংহ বসে-দাঁড়িয়ে আছে। অন্য সিংহটা তখনও মোষটাকে খেয়ে যাচ্ছিলো। এবার সেও আমাদের দিকে আসতে লাগলো। একই ভঙ্গিমা। এটা মর্দা। এটাও পথে দাঁড়িয়ে মাইনাস করে নিলো। আগেরটার মতো একই জায়গায়। তারপর এক্কেবারে আমাদের কাছে এসে দাড়িয়ে নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে আমাদের দেখতে লাগলো। পিটার অভয় দিলো এবং কোনওরকম অঙ্গভঙ্গি করতে মানা করলো। একদম স্বাভাবিক আচরণ করতে বললো। আমার তো মনে হচ্ছিলো যে আমার ষ্ট্যাম্প তিনট ঠিকই আছে কিন্তু বেলগুলো পড়ে গেছে। আমার ধারণা বন্ধুদেরও একই অবস্থা। এর পরের ঘটনা আরও শ্বাসরুদ্ধকর। সিংহ মামা আমাদের গাড়িতে গা ঘষতে শুরু করলো। ঠিক যেপাশে আমি সেই দরজাটায়। গা ঘষতে ঘষতে মামা রাস্তা ধরে জলাধারের দিকে চলে গেলো। পিটার সাথে সাথে গাড়ি ঘুরিয়ে মামার পিছনে পিছনে যেতে থাকলো। মামা পানি খেয়ে গর্তের পাশেই এলিয়ে পড়ে থাকলো কয়েক মিনিট। তারপর উঠে আলসে ভঙ্গিতে হাটতে হাটতে আগের সিংহটার কাছে চলে গেলো। অসম্ভব সুন্দর দৃশ্য। একটা আরেকটার গা চেটে দিচ্ছে, গায়ে হাত বুলোচ্ছে, ইত্যাদি। উই হ্যাভ দ্য ডার্টি মাইন্ড। পিটারকে বললাম আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে। পিটার বললো যে তার কোনও সম্ভাবনা নেই। ভরাপেটে সিংহের প্রথম কাজ হচ্ছে ঘুমানো। পিটারের ভাষ্যমতে কোনও প্রাণীই সাধারণতঃ ভরা পেটে মিলনে মগ্ন হয়না।
এবার বেশ খানিকটা লম্বা ড্রাইভ। মিনিট দশেকের মতো। একটা শকুন গাছের মাথায় বসে। আবার উড়াল দিলো।
দূর থেকে দেখছি গাছপালাগুলোর মাথার উপরে আর কতকগুলো বর্ণিল মাথা। পিটার আস্তে আস্তে গাড়ি চালিয়ে সেদিকে গেলো। আমরা কতগুলো জেব্রা দেখে দাঁড়ালাম। গাড়ি থেকে নেমে মাইনাস করলাম, বিড়ি ধরালাম। আগে মাসাই মারায় শুনেছিলাম যে জেব্রার গায়ের প্রিন্ট বায়োমেট্রিক্সের মতো, ইউনিক। দুনিয়ায় এক পিস। আগেও ছিলোনা আর কোনওদিন হবেওনা।
[img=auto][/img]
[img=auto][/img]
[img=auto][/img]
[img=auto][/img]
[img=auto][/img]
জেব্রাগুলের থেকে ৫০ মিটারমতো দুরে কিছু গাছপালা। ওখানেই জিরাফের দল। দলবেঁধে গাছের পাতা খাচ্ছে। পিটার সাবধান করে দিলো যে জিরাফ কাছাকাছি মানুষ দেখলেই সরে যায়। আমরা তাই একটু দুরত্ব বজায় রেখেই দাঁড়ালাম। ছবি তুললাম।
কি সুন্দর দলবেধে মধাহ্নভোজ করছে। সাথে আরও অনেক জেব্রাও আছে, ঘাস খাচ্ছে। জিরাফগুলোর শরীর ঝোপের আড়ালে ঢাকা পড়েছে আর ঝোপের উপর থেকে মাথাগুলো জেগে উঠেছে। একটা সাফারি জিপ আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে জানতে চাইলো যে আমরা সিংহমামার দর্শন পেয়েছি কি না। পিটার ওদের রাস্তা বলে দিলো।
[img=auto][/img]
[img=auto][/img]
[img=auto][/img]
[img=auto][/img]
[img=auto][/img]
এরপর আবার যাত্রা শুরু, এবার ফিরতি পথে। বলে রাখি, নাইরোবি সাফারি পার্কে হাতি বা গন্ডার নেই, কুমিরও নেই। সামান্য কয়েকটা হিপ্পো অবশ্য আছে তবে আমরা এগুলোর দেখা পাইনি। ফিরতি পথে আরও একদল জেব্রা পড়লো, সাথে কয়েকটা ইমপালা।
হঠাৎই দেখি একটা পর একটা, প্রায় ২৫টার মতো ফোর হুইল ড্রাইভ পিকআপ একসারিতে ছুটছে হ্যাজার্ড লাইট জ্বালিয়ে। পিটার সাইড করে দাঁড়ালো। একজনের কাছে জানতে চাইলো ঘটনা। ওরা ছুটছে গুরুতর অসুস্থ একটা প্রাণীকে উদ্ধার করতে। ওটাকে উদ্ধার করে এনে রাখা হবে এ্যানিমাল অরফানেজে।
গেটের প্রায় কাছাকাছি চলে এসছি। একটা গিণি ফাউল আমাদের বিদায় জানিয়ে গেলো।
গেটের সামনে দাড়িয়ে কয়েকটা ছবি তুলে ফিরে চললাম সুন্দর কিছু স্মৃতি সাথে নিয়ে।
[img=auto][/img]
[img=auto][/img]
অধিকাশ ছবি তোলা হয়েছে আমার NIKON D3000 ইকুইপমেন্ট দিয়ে।
মন্তব্য
অতিথি সচলের রেজিষ্ট্রেশন করার আগেই পোষ্টটা করেছিলাম।
__________________________________________
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিভেদ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
বাহ!
ধন্যবাদ দুর্দান্ত ভাই।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিভেদ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ছবিগুলো দেখে ও বর্ণনা পড়ে পুরোপুরি মুগ্ধ।
খাড়ার উপরে পাঁচ তারা।
কাকস্য পরিবেদনা
অনেক ধন্যবাদ দ্রোহী ভাই।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিভেদ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
স্যার, বর্ণনা তো দারুণ হলো। ছবিগুলোও। মনে হচ্ছে দৌড় দিয়ে ওখানে চলে যাই। সিংহীর ছবি তো দেননি, তাইনা? কারণ ছবির সবগুলোই মাদী সিংহ হওয়ার কথা।
জিরাফের ঐ ছবিটা মজার।
আরেকটা মজার জিনিস বস্: আপনার খৌমার ছবি উপরে এবং নীচে দুই বার এসেছে। খারাপ না
ইউনি (অন্য পিসি) থেকে মন্তব্য করেছিলাম। এখন দেখতে পাচ্ছি হযবরল হয়ে গেছে।
ধন্যবাদ ভাই। ছবিতে একা সিংহ যেগুলোকে দেখছেন তার সবগুলোই মর্দা, একটারই ছবি। কপি পেষ্টের বদৌলতে আমার ওই ভুঁতুড়ে ছবিটা দুইবার এসেছে আর অন্য একটা ছবি আসেনি। প্রিভিউটা খেয়াল করা হয়নি।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিভেদ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সিংহীর কেশর থাকে? ঢাকায় যেগুলো দেখেছি ওদের তো কেশর ছিলনা। কি জানি আফ্রিকান সিংহী বলে কথা!
আপডেট: মন্তব্য এডিট করছেন নাকি? তাহলে তো আমার মন্তব্য ইনভ্যালিড হয়ে গেল
জ্বী মন্তব্য এডিট করেছি। টাইপিং মিসটেক হয়ে গিয়েছিলো। অসুবিধা নাই। আমি অনেক সিংহ দেখলেও প্রায়ই ভূলে যাই কোনটা কি, কেশরওয়ালাটা কি আর কেশরছাড়াটা কি। বেলস্ দেখে চিনতে হয়। ধন্যবাদ ভাই।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিভেদ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আরেকটা বিষয়: ফ্লিকার থেকে কপি পেস্ট করলে কিন্তু সচলের ছবি বাটনে চাপ দেয়ার দরকার নেই। আপনি দিয়েছেন বলেই IMG ট্যাগ এসেছে।
একটা ভালো জিনিস জানলাম প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই। বাই দ্য ওয়ে, আপনি কি সেই প্রকৃতিপ্রেমিক যিনি আমাকে ফ্লিকারে একটা গ্রুপে ছবি দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তার নামও প্রকৃতিপ্রেমিক।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিভেদ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
জ্বী। কেনিয়ার সাদা গণ্ডারের ছবি নিসর্গে যোগ করার আহবান করেছিলাম। ধন্যবাদ। ঐ ছবিটা আমার কাছে অসাধারণ মনে হয়েছে। খুবই ভালো ছবি।
আমিও খাড়ার উপ্রে পাঁচালাম।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
আপনাকে ধন্যবাদ শুভাশীষদা।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিভেদ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
গত বছর নাইরোবি গিয়েছিলাম একটা কনফারেন্সে, কয়েকটা অভিজ্ঞতার কথা বলি।
১
ওসাকা থেকে দোহা হয়ে নাইরোবি ফ্লাইট। কাতার এয়ারের বিমানটি নাইরোবি জোমো এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করবে। বিমানের চাকা রানওয়ে স্পর্শ করবে। আমি যথারীতি শক্ত করে চেয়ারের হাতল ধরে যখন ঝাকুনির অপেক্ষায়, ঠিক তখনই বিমান আবার উড়াল দিলো। ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ। নানান কুচিন্তা যখন মাথায়, ঠিক তখনই পাইলট জানালো ক্লীয়ারেন্স পাওয়ার পরও রানওয়েতে অন্য একটি বিমান দেখতে পাওয়ায় ল্যান্ডিং আবর্ট করে।
২
ইমিগ্রেশনের সময় এক অফিসার বলে তোমার ইয়েলো ফিভার কার্ড কই? আমি বলি ইউনিভার্সিটি আমার যাতায়াতের ব্যবস্থা করসে, আমারে হলুদ কোনো কার্ড তো দেয় নাই। অফিসার বলে, একটু ঐদিকে আস। ঘটনা তখনই বুঝে ফেল্লাম। চল্লিশ ডলারে শেষ পর্যন্ত রফা হয়েছিলো।
৩
ট্যাক্সি নিয়ে হোটেলে (হোটেল ৪৮০) গিয়ে চেকইন করার সময় বলে, এই হোটেলে তো তোমার রিজার্ভেশন নাই। তুমি কন্ফারেন্সের লোকজনের সাথে যোগাযোগ কর।
৪
মার্কিন এম্বেসীর পাশেই UNEPর হেডকোয়ার্টার, আর এইখানেই কনফারেন্স। কনফারেন্সের শুরুতেই 'নাইরোবি খ্রাপ জায়গা, বেশি ঘুরাঘুরি করবা না। হোটেলে যাইবা আর কনফারেন্সে আইবা' বলে দেয়। ব্যাস, আমার নিশিন্তমনে ঘোরাঘুরি বন্ধ।
৫
পোস্ট-কন্ফারেন্স ট্যুর একটা ছিলো তানজানিয়ার মাউন্ট কিলিমানজারোতে। বড় শখ করে ঐটা বুকিং দিয়েছিলাম। ওখান থেকে ২ দিন ট্যুর দিয়ে ফিরে সাথে সাথেই নাইরোবি থেকে ফিরতি ফ্লাইট ধরার কথা। যাওয়ার আগ মুহূর্তে বলে ট্যুর ২ দিনের বদলে ৩ দিন হবে। তোমারতো তাইলে ফিরতি ফ্লাইট নিয়া সমস্যা হবে, তুমি বরং ডমেস্টিক কোর্সে মাউন্ট কেনিয়া ঘুইরা আস।
(মাউন্ট কেনিয়া ট্যুরটা যদিও অসাধারন ছিলো নানা কারনে)।
৬
হোটেল থেকে চেকআউট করার সময় বলে টাকা দাও। মাথায় আমার আকাশ ভেংগে পড়লো। আমি বলি টাকা তো কনফারেন্স সেক্রেটারিয়েট পে করার কথা। তারা বলে আমাদের কাছে পেইড লিস্ট যেটা আছে, তাতে তোমার নাম নাই!
অনটপিক: লেখা ও ছবি দুটোই ফাটাফাটি।
মাহবুব রানা ভাই, আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ারের জন্যে ধন্যবাদ। আপনার অভিজ্ঞতাগুলো অধিকাংশেই বাস্তব অবস্থার প্রতিচ্ছবি। আমি নাইরোবিতে গেছি তা মনে হয় ১৫ বারের মতো হবে। তাই আপনার অভিজ্ঞতাগুলোর পিছনে কিছু মন্তব্য করতে পারি।
১. জম্মু কেনিয়াতা এয়ারপোর্ট এখন সেন্ট্রাল ও নর্থ আফ্রিকার একটা বিরাট ট্রানসিট পয়েন্ট। বিমানবন্দরের ব্যাস্ততা যে পরিমান বেড়েছে, ফ্যাসিলিটিজ সেই পরিমানে বাড়েনি। এটা সম্পূর্ণ অদক্ষতার ফল। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের অদক্ষ কর্মীর কারণে এটা হতে পারে। আমার দেখা ব্যাস্ত এয়ারপোর্টগুলোর মধ্যে জঘন্যতম বলবো জম্মু কেনিয়াতাকে।
২. ইয়েলো ফিভার ভ্যাকসিনেশন, এটা ওদের একটা রিকয়্যারমেন্ট। আমাদের অফিসিয়ালি জানিয়ে দেয়া হয়েছিলো। তারপর আমি তড়িঘড়ি করে ভ্যাকসিনেশন নিয়ে নেই। তবে আমি কখনওই দেখিনি যে ওরা ভ্যাকসিনেশন কার্ড চেক করে। তবে ওরা ছেলার জন্যে সিলেকটেড টার্গেটকে ধরে। আপনি যদি বলতেন যে আমার ভ্যাকসিন এ্যাডমিনিষ্টার করা আছে কিন্তু কার্ড সাথে নেই, তবে ছাড়া পেয়ে যেতেন। ঘুষ নেওয়ার ব্যাপারে ওরা খুবই সাবধান। ওরা এমন লোককেই ছেলা দেয় যে লোকের কেনিয়ায় আগমন ওয়ান শট।
৩. এটাকে বলবো অর্গানাইজারদের মিসম্যানেজমেন্ট। তারা ঠিকমতো কোঅর্ডিনেট করেনি বলেই হয়তো আপনার রিজার্ভেশন জটিলতা দেখা দেয়। এটা সবজায়গায়ই হতে পারে।
৪. আপনার কনফারেন্সের জায়গাটার নাম ছিলো গিগিরি। এই ব্রিফিং নতুন আসা সবাইকে দেওয়া হয়। নাইরোবি ছিনতাইয়ের স্বর্গ। যদিও আমি কখোনোই ছিনতাইয়ের স্বীকার হইনি। তবে কয়েকজন মিলে গ্রুপে ঘোরাঘুরি করলে রিস্ক অনেক কমে যায়। সবথেকে ভালো হয় ৪ জনের একটা দল করে কার্টেসি ক্যাব বা মেট্রো ক্যাব থেকে একটা গাড়ি নিয়ে ঘোরা। ছোর-ছ্যাচড়ের ভয়ে আমি কিন্তু ঘরে বসে থেকে শহরের সুন্দর জায়গাগুলো মিস করতে রাজি না।
৫. কেনিয়ায় যে কি পরিমান ট্যুরিষ্ট কোম্পানি আছে তা গুনে শেষ করার মতো না। ধারনা করি আপনাকে যে প্যাকেজের জন্যে বুকিং করেছিলো তার থেকে ৩ দিনের প্যাকেজে অনেক বেশি বুকিং পাওয়াতে এই সমস্য হয়েছিলো। তবে পুরানো এবং ভালো কোম্পানিগুলো এই বাণিজ্য করেনা। আপনার লেখা পড়ে মাউন্ট কেনিয়া যাওয়ার লোভ হচ্ছে।
৬. মন্তব্য ৩।
সবশেষে একটা টিপস দেই (জানা থাকলেও উপকারি)- যদি নাইরোবিতে কখনও কিডন্যাপড হন এবং কিডন্যাপার আপনাকে এটিএম বুথে নিয়ে যায়। কার্ড ঢুকিয়ে আপনার কার্ডের পিন উল্টো করে এন্টার করবেন, যেমন, আপনার আসল পিন যদি হয় ১২৩৪, তবে এন্টার করবের ৪৩২১। এতে মেশিন আপনাকে টাকা ডিসচার্জ করবে তবে সাথে সাথে নাইরোবি শহরের সবগুলো পুলিস ষ্টেশনে মেসেজ চলে যাবে যে অমুক জায়গায়, তমুক ব্যাংকের এটিএম-এ রবারি হচ্ছে। পুলিস সাথে সাথে এ্যাকশানে যাবে।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিভেদ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এটিএম কার্ডের এই উল্টা পিন ( প্যানিক পিন কোড) কোডের ব্যাপারটা সম্ভবত সত্যি নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অসম্ভবও। কারো পিন নং যদি এমন হয় যে তার উল্টোটাও সত্যিকারের পিনকোডের মতই তখন এই ফর্মুলা কাজ করবে না। যেমন ধরা যাক, কারো পিন কোড ১৯৯১ এর উল্টোটাও ১৯৯১ তখন প্যানিক কোড কিভাবে আইডেন্টিফাই হবে ? অধিকাংশ ব্যাংক প্যানিক কোডের ধারনা বাতিল করে দিয়েছে কারন এর ফলে ভায়োলেন্স আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই প্যানিক কোডের ধারনা এখনও বাস্তবমুখ দেখেনি । এইধরনের হোক্স নিয়ে আরো দেখতে পারেন: এখানে
মাসাইমারার কাছে নাইরোবি ন্যাশনাল পার্কের অভিজ্ঞতা অনেক পানসে লাগে। মাসাইমারাতে গিয়ে ৪ ঘন্টা বসে থেকে চিতার শিকার দেখেছিলাম। আর ভোরে সদ্য শিকার করা সিংহের আহারের দৃশ্য এককথায় অসাধারন। নাইরোবিতে এলিফ্যান্ট অরফানেজটা ভালো লেগেছিল। আপনার বর্ননাও খুব সুন্দর।
সদ্য শিকার করা সিংহের আহার পর্ব ( মাসাইমারা ) :
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সাদাকালোরঙ্গিন মন্তব্য এবং ছবিগুলো শেয়ারের জন্যে। আমি নিজে এই উল্টো পিনের ব্যাপারে কিছুই জানতাম না ২০০৯ সেপ্টেম্বরে সিকিউরিটি ট্রেনিংএর আগপর্যন্ত। ওখানেই প্রথম শুনি এই উল্টো পিনের ব্যাপারে এবং আরও নিশ্চিত হই আমাদের সিকিউরিটি এ্যাডভাইজার ফ্রানস বার্ণাডসহ আরও কয়েকজন সিকিউরিটি স্পেশালিষ্ট পুলিশের সাথে আলাপ সাপেক্ষে বিষয়টার বাস্তব পরীক্ষা করেছে এর কার্যকারিতা নিয়ে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, যদি আমি কিডন্যাপড হই, তবে সম্ভবতঃ এই উল্টো পিনের থিওরি ব্যবহার করবোনা।
মাসাই মারা অনেক সমৃদ্ধ ও বৈচিত্রময়। অসম্ভব সুন্দরের সমারোহ। তুলনামূলকভাবে লেক নাকুরু বা নাইরোবি ন্যাশনাল পার্ক কম বৈচিত্রময়। তারপরও যেখানে যা আছে সেটাই ভালো লাগে। তবে যে ছবিগুলো আপনি দিলেন, এরকম ছবি এতো কাছ থেকে পাওয়া সত্যিই দূর্লভ।
আপনি যে এলিফ্যান্ট অরফানেজের কথা বললেন, এটা ঠিক মনে করতে পারছিনা। আমি নাইরোবি ন্যাশনাল পার্কে প্রবেশমুখের বা দিকে যে এ্যানিম্যাল অরফানেজ আছে ওটা চিনি। এলিফ্যান্ট অরফানেজটা তাহলে মিসিং আইটেম হিসেবেই রয়ে গেলো।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিভেদ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ছবি গুলা দুর্দান্ত হয়েছে।
অনন্ত
ধন্যবাদ আপনাকে।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিভেদ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
উটপাখির বাচ্চা এই প্রথম দেখলাম। কি কিউট!
উট পাখির বাচ্চার ওড়া দেখাটা নিশ্চয়ই দারুণ একটা ব্যাপার!
শকুনের ল্যান্ড করার ছবিটাও চমতকার।
জেব্রাগুলোও। আমি শুনেছিলাম একেকটা জেব্রার ডোরাকাটা একেকরকম হয়, এখানে তো তা মনে হচ্ছে না।
ঝোপের ওপর একটা জিরাফের মাথা কি অদ্ভুত লাগছে!
পাখিটাও সুন্দর।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ওটা যে উড়তে পারে সেই আন্দাজ করার আগেই ওর ওড়া সারা। আর ধরতে পারলাম না, মিস হলো খুব। আসলে প্রকৃতির মাঝে তার সব প্রাণীকেই সুন্দর লাগে। আপনাকে ধন্যবাদ।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিভেদ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
পাঁচতারা দাগিয়ে কাল বেশ বড়সড় একটা মন্তব্য করেছিলাম। কই যে গেলো সেটা...
প্রথমে শুভ হাচলাভিনন্দন নিন।
নাইরোবির এই পার্কের কথা বহুলপঠিত, শ্রুত। কোথাও যেন পড়েছিলাম- নাইরোবিতে মানুষেরাই চিড়িয়াখানার খাঁচায় বন্দী আর জীবজন্তুই খোলা ঘুরে বেড়ায়।
সিংহের সাথে গা ঘেষাঘেষি করেছেন জেনে মজা পেলাম। না হয় গাড়ির দরজাটা মাঝেই ছিলো, তারপরেও এ বড় রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হবার কথা।
_________________________________________
সেরিওজা
অনেক অনেক ধন্যবাদ সুহান ভাই/আপা।
নিচের ছবিগুলো দেখেন, আকাশচুম্বি চিড়িয়াখানাগুলো যেখানে মানুষকে আটকে রাখে, সেখানে ওদের কি সদম্ভ পদচারণা।
হাত দিয়ে সিংহ ছোঁয়া বা গাড়িতে ঘসা দিয়ে চলে যাওয়া, সবটাই অদ্ভুত রোমাঞ্চকর। বেলস্ কি পড়ে যায় সাধে! নিচের ছবিটায় দেখেন, গাড়ির কোনা থেকে নানার ব্যাটা কতোটা কাছে।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিভেদ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
গত পর্ব পড়ার পর থেকেই আমি বাসায় একটা সুর তুলতেছি যে কোন একদিন নাইরোবি যাবো, সাফারী দেখতে। কাল আপনার এই পোস্টের ছবিগুলো বৌকে দেখালাম আর সিংহ আপনার গাড়িতে গা ঘসেছে সেটাও বললাম। এর পর থেকে বৌ বলে দিয়েছে কেনিয়াতে আমার যাওয়া লাগবে না। বোঝেন অবস্থা।
সমাধান একটা আছে। ভাবিকে সাথে নিয়ে যেতে হবে। তাকে বলবেন যে তিনি আপনাকে প্রটেক্ট করবেন। যেতে মনস্থ করলে আমার সাথে যোগযোগ করবেন। প্রসেস, খরচ, অল্প সময়ে বেশি কাভার করা, পিটারের ফোন নাম্বার, সব বাৎলে দেবো।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিভেদ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সুহান আসোলে ভাই
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
পরে প্রোফাইল দেখে জেনে ফেলেছি। আমার একটা খালা আছেন সুহান নামের, তাই কনফিউজড ছিলাম। ধন্যবাদ শাহেনশাহ ভাই।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিভেদ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আমিও মুগ্ধ।
পঞ্চতারকার মাধ্যমে সেই মুগ্ধতা জানালাম
হাচলত্বে অভিনন্দন, সচল থাকুন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিভেদ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ছবি দেখে তো যেতে ইচ্ছে করছে। এখন আমার কী হবে!
আপনার সামনে এখন একটাই পথ খোলা পান্থ ভাই। তা হলো 'যেতে হবে'।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিভেদ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
মুগ্ধ!
- মেঘলা
ধন্যবাদ মেঘলা আপা। আসলেই মুগ্ধ হওয়ার মতোই। ইচ্ছে হয় বারবার ফিরে যাই সেখানে।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিভেদ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সবচে মজার লাগলো জিরাফগুলার ছবি। লেখাও ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ বইখাতা। ঝোপের উপরে শুধু মাথাটা দেখলে মনে হয় যেন ওটা ওখানে বসানো।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিভেদ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
৫* তো অবশ্যই!!!
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ধন্যবাদ শাহেনশাহ ভাই।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিভেদ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
দুধ না হয় নাই পেলাম, ঘোলের স্বাদও মন্দ না।
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই। আপনার পেষ্টগুলোর ক্ষেত্রেও কিন্তু আমার একই মন্তব্য।
দেখা হয়নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া, একটি ঘাশের ডগার উপর একটি শিশির বিন্দু। দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু।।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
দেরিতে এলাম, কিন্তু ফাটাফাটি ছবি। ন্যান, হাচল হবার মিঠাই ন্যান।
অনেক অনেক ধন্যবাদ কৌস্তভ ভাই। বেটার লেট দ্যান নেভার। আর মিঠাইয়ের জন্যে আবারো .................
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নতুন মন্তব্য করুন