বিদেশি ছবিতে প্রায়ই দেখি নায়ক নায়িকারা খুব সুন্দর দেখতে কুকুর বা বিড়াল নিয়ে ঘুড়ে বেড়ায়। দেখতে এতো তুলতুলে যে আদর করতে ইচ্ছা করে। তাই আমারো একদিন ইচ্ছা চাপল আমি বিড়াল পালব। বিড়াল এজন্য যে বিড়াল আমার বেশি পছন্দের। আর কেনো জানি কুকুর প্রজাতির সাথে আমার বেশ খাতিরের সম্পর্ক। যতই নাদুসনুদুস চেহারার কুকুর হোকনা কেনো আমার নিরিহ চেহারা দেখলেই ছুটে এসে আমাকে আদর করতে চায়। আপাতত ওই তরফ থেকে আদর নেয়ার ইচ্ছা নাই।
তাই সেদিন বাসায় ফোনে আম্মুর সাথে কথা প্রসঙ্গে এটা আসলো। আম্মু বলল- কী পালবা?
আমি বললাম, বিড়াল পালতে চাচ্ছি।
- বুঝলাম না।
বিরক্তির সাথে বললাম, আরে বিড়াল পালতে চাচ্ছি।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে আম্মু বলল, তোমার জন্য আমি মেয়ে দেখতেছি।
আমি আকাশ থেকে পড়লাম। মানে?
-বুঝতে পারতেছি, তুমি একা একা থাক। তোমার যে বিয়ে করার দরকার আমি বুঝতে পারছি। সমস্যা নাই খুব তাড়াতাড়ি তোমার বিয়ের ব্যাবস্থা করতেছি। আর খবরদার এইসব বিড়াল-টিড়াল ঘরে আনবা না।
আমারো মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। কইত্থেকে কি উলটা পালটা বলতেছ। অকে, আমি বিড়াল পালতেছিনা। আর আমি এখন বিয়েও করব না।
আমার মেজাজ খারাপ দেখে বড় ভাই রুমমেট জিজ্ঞেস করল, ঘটনা কি। আমি বিস্তারিত তাকে বললাম। সাথে আরো একজন রুমমেট ছিল। ও আমার একবছরের জুনিয়র। পাশ করার পর কাজিপাড়ার এই মেসে আমরা তিনজন থাকি। সব শুনে বড় ভাই বলেন, কও কি! এটাতো জটিল জিনিস। তুমিতো দারুন সুযোগ মিস করছ। দূর মিয়া!
এই বলে তিনি তার বাসায় ফোন দিলেন। তার বাবা ফোন ধরলেন। এটা সেটা বলার পর এই প্রসংগ আসলে তিনি বলতে থাকেন-
আমি আসলে ইয়ে করতে চাচ্ছিলাম আরকি। মানে, ইয়ে... মানে ... আ... মানে এখানে এরা ইয়ে করবে... মানে ওই ইয়া আরকি... হে হে হে... আআ... ওই পোলাপাইন... আআ... বিড়াল পালবে।
এ কথা বলেই তিনি বড় করে নিশ্বাস ছাড়তে লাগলেন।
ঐ প্রান্ত থেকে বলতে থাকে, বিলাইয়ের কাছে টাছে যাইছ না। কামড় দিতে পারে। এইগুলা থেকে রোগ টোগ হয়।
উনি বললে, জ্বি আচ্ছা।
কথা শেষ হওয়ার পরও দেখি উনি দেয়ালের দিকে তাকিয়ে হ্যা হু করে যাচ্ছেন। পরিস্থিতি বুঝে আমি পিসির দিকে তাকালাম।
দুই সপ্তাহ পর রাতে খাওয়ার সময়ে জুনিয়র রুমমেট বলল তার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। আমি অভিনন্দন জানিয়ে তাকে বললাম কিভাবে। প্রেম ছিল নাকি। সে বলল, না, ঐ বিলাই থিওরি কাজে লাগিয়ে হয়েছে। তার মুখে একটি স্বলজ্জ হাসি। আমিও আড়ষ্ট মুখে একটা হাসি দিলাম। আর সিনিয়র ভাই ভয়ার্ত চোঁখে পানি খাচ্ছিলেন। তার গলায় ভাত আটকে গেছে।
পরের দিন বাসায় ফিরে দেখি বিড়ালের শব্দ। আরে একে আনল কে? আমিতো আনি নাই। তখন ওই জুনিয়র রুমমেট বলল, ভাইয়া, বিলাইটারে আনলাম। আমার বউ বিড়াল খুব পছন্দ করে। আর তাছাড়া, চোঁখ টিপ মেরে, বাসর রাতে বিড়াল মারতে হবে না!
মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। ইচ্ছা হচ্ছিল তাকে আর তার বিড়ালকে এই চারতলা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিই। আমি নির্দোষ ভাবে বিড়াল পালতে গিয়ে আমার বিড়াল বউ দুইটাই গেলো, আর এ কিনা বাসর রাতে বিড়াল মারার বন্দোবস্ত করে ফেলেছে। শরৎ যুগে হলে সবকিছু ছেড়ে কয়েকদিনের জন্য কোনো সন্যাসীর সাথে ঘুরে বেড়াতাম। এই যুগে সে সুযোগ না থাকায় ফেসবুকে আরেকটা ফেইক অ্যাকাউন্ট খুললাম। আর সিনিয়র রুমমেট মোবাইলের আরেকটা সিম কিনেছেন।
উৎসর্গঃ আগামী সপ্তাহে বিয়ে করতে যাওয়া আমার দুই বন্ধুকে।
---------------------------
অনন্ত
অনন্ত অ্যাট ইয়াহু ডট কম
মন্তব্য
হা হা হা..মজার ব্যাপার । এখনি মাকে ফোন দিব নাকি চিন্তা করতেসি...
অ্যাপ্লাই করে দেখতে পারেন। তবে কাজে না লাগলে আমি দায়ী না।
অনন্ত
খুব একটা ভালো লাগলো না।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
অনন্ত
লেখা পইড়া একচোট
তয় বিড়াল আমি ব্যাপক অপছন্দ করি। আমার পায়ের নাগালে আইলেই এককেবারে পেনাল্টি কিক লই আমি রোনাল্দিনহো আর বেকহ্যামের খিচুড়ি স্টাইলে। খালি তাই না, অফিসে যাগো বিড়াল আছে, তাগো কইয়া বেড়াই, তোমার বিড়ালটা আইনো, আমি চামড়া ছিলায় দিমুনে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
কন কি!! তাইলে আপনের কাছে বিলাই আনা যাইব না। আমি পছন্দ করি না কুত্তা। ছোটবেলা থেকেই হয় আমি কুত্তারে দৌড়াই নাহয় কুত্তা আমারে দৌড়ায়।
অনন্ত
আপনার বিলাইভীতি আছে মনে হচ্ছে। ইংরেজিতে ওটার একটা ডাবল মিনিং আছে তবে সেটা এখানে সেন্সর করে দিলাম
আর সাইকোলজিক্যাল টার্মে ওটাকে বলে http://en.wikipedia.org/wiki/Ailurophobia
এবার আমার বিলাইয়ন(বাংলা লায়ন না রামায়নও না)
আমার পাঁচখানা বিলাই বিদ্যমান। মা বিড়ালের নাম পুষি(আগের বিভিন্ন নাম দেয়া বিড়ালগুলো নানান সময়ে বিতাড়িত অথবা লাপাত্তা হয়ে যাওয়ায় এটার নাম রাখিনি)। আশেপাশের বাড়ি থেকে বাচ্চা অসহায় অবস্থায় এসেছিলো সেই থেকে পালা শুরু করেছি। খুবই লক্ষ্মী বিলাই এটা। ইঁদুর শিকার করবেই করবে। হঠাৎ ক'দিন লাপাত্তা এরপর ফিরে এলে দেখি পেটটা একটু ফোলাফোলা। অর্থাৎ ইভ-টিজিং করে কোনো বখাটে বিলাই ওর পেট নামিয়ে দিয়েছে। কিছুদিন পর তিনটা ফুটফুটে বাচ্চা দিলো। ওদের নাম রাখলাম : কিটু(হুলো), লুসি(মেনী) আর কেইটি/ক্যাটরিনা কাইফ(মেনী)। কিটু ক'দিন পর এক প্রতিবেশি নিয়ে গেল। আর লুসি কেইটি থাকলো। লুসি অবিকল পুষির মতো শিকারি এবং আদরের তোয়াক্কা করেনা। কিন্তু কেইটি দারুণ আদুরে। বাবা বলে এটা হলো আসল পেট-ক্যাট, আসলেও বেশ সুন্দরি(সে কারণেই নামটা ক্যাটরিনা )। এগুলো ছিলো এবছরের বৈশাখের কাহিনি। ক'দিন আগে পুষি আবার পোয়াতি!
আবারও তিন-তিনটা বাচ্চা দিলো। এবারের প্রতিটা বেশ নাদুস-নুদুস।
এদের ছবি দেখতে চাইলে এখানে যেতে পারেন: http://www.facebook.com/album.php?aid=180510&id=587856999&l=63a5ad10ed
ভালো কথা, বাসর রাত্রের বিলাই নিধন কিন্তু আক্ষরিক বিলাই নিধন না।
কনফিউজড।
ব্যাচেলররা মেস কে তো বাসা'ই বলে জানতাম।
আমার মন্তব্যটা সিরিয়াস টাইপ হয়ে গেছে, বুঝতে পারছি। রম্য ট্যাগ খেয়াল করলে সেই মেজাজে পড়তাম
ঢাকায় চেনা কয়েকজন মিলে একটা অ্যাপার্টমেন্টে থাকতাম, সেটাকে বাসার মত লুক দেয়ার জন্য অনেক ফার্নিচার কিনে বেশ সাজালাম ও। কিন্তু আমার বন্ধুরা এটাকে সবসময় মেস বলত, আর আমি কেন এটাকে বাসা বলা উচিত তা নিয়ে ব্যাপক লেকচার ঝাড়তাম। কোন কাজ হয়নি যদিও। কেউই আমাদের "বাসা" কে বাসা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাজী হয়নি। এটা মনে হয় চিরন্তন ব্যাচেলর'স ডাইলেমা
সজল
বস, আসলে মেসকে আমি বাসা বলেছি। যদিও একমাত্র ব্যাচেলর ছাড়া সবাই একে মেসই বলে। তবে বুঝতে পারছি বিষয়টা আমার খেয়াল রাখা উচিত ছিল। ধন্যবাদ।
অনন্ত
ভাই, বিদেশে কুকুর বিড়াল পালা লোকের অভাব নাই; ডিপার্ট মেন্টাল স্টোরে এদের খাওয়া, পালার জিনিসপত্র অতি মনো্যোগ দিয়ে মানুষজন কিনে। এদের জন্য বড় শপিংমলে স্পেশালাইজড্ দোকান আছে; গেলে ভিডিও দেখায় - কিভাবে এরা মানুষের মতো কমোডে বইসা হাগু প্রাক্টিস করতেছে। প্রথমদিকে এইসব দেইখা পুরাই টাস্কি খাইয়া গেছিলাম!
-- শফকত
ধন্যবাদ শফকত। আসলেই কুকুর বিড়ালের জন্য এদের আগ্রহ অন্যরকম। তবে আমি বেশি অবাক হয়েছিলাম, মানুষের পাশাপাশি কুকুর বিড়ালের জন্য আলাদা সেমিটারি দেখে।
অনন্ত
খুব সাবলীল বর্ণনা আর যুতসই সংলাপে ভরা একটি ভালো মানের লেখা।
বাসায় না লিখে মেসে বা রূ্মে লিখতে চেয়েছিলেন হয়ত, বেখেয়ালে এমন ভুল হতেই পারে। শুধরে পড়ে নিচ্ছি।
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অনেক ধন্যবাদ রোমেল ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ইতিমধ্যে অনেকেই বলে দিয়েছেন যে ব্যাচেলররা তাদের মেসকে বাসা বলে, কিন্তু শুধু তারাই বলে। বাকিরা একে সবসময়ই মেস বলে। আমি আসলে সেটাই খেয়াল রেখে লিখেছিলাম। তবে বুঝতে পারছি আমার বিষয়টা খেয়াল রাখা উচিত ছিল।
অনন্ত
ভালোই তো। মজা লাগলো পড়ে। দেখি এপ্লাই করে
_________________________________________
সেরিওজা
অবশ্যই অ্যাপ্লাই করবেন এবং রেজাল্ট কি জানাবেন। আমারো জানার ইচ্ছা এটা কাজ করে কিনা। তারপর আমিও না হয়...
অনন্ত
লেখা পইড়া মজা পাইলাম।
আমার বিলুপ্ত হৃদয়, আমার মৃত চোখ, আমার বিলীন স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষা
love the life you live. live the life you love.
ধন্যবাদ।
অনন্ত
লেখা ব্যাপক মজারু হইছে...
অটঃ পিচ্চুদের এগুলো এপ্লাই করতে নেই, মিঁউ আঁচ্রে-কাম্রে দিতে পারে...
"চৈত্রী"
ধন্যবাদ চৈত্রী।
অটঃ আঠারোএর নিচে পিচ্চুদের জন্য বিলাই হল আদর করার জিনিশ আর আঠারোএর উপরেরর পিচ্চিরা বিলাই ধরে "উদ্দেশ্য" হাসিলের জন্য। এটা নয়া থিওরি।
অনন্ত
থিওরি ভুল। পুষি বা বিলাই আবার বয়স মানে নাকি? লেখা গরম হয়েছে
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
অনন্ত
হুমম..........মিয়াঁও........
হ, মিয়াও......
ধন্যবাদ।
অনন্ত
অভাগাদের জন্যে আরো ইস্ট্রং থিওরি লাগবো
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
তারমানে আপনি এটাও এপ্লাই করে দেখেছেন! এটাতো আসলেই দুঃখজনক। বিশেষ করে আমার জন্য। আমি এপ্লাই করার চিন্তা ভাবনা করছিলাম।
অনন্ত
সিমন, তোমার বলা উচিত ছিল যে তুমি বাঘ পালবা বা গণ্ডার পালবা। তাইলে কাজ হইতে পারতো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সিমনের জন্য এইগুলাতে হবে না।
সিমনকে বলতে হবে, "আম্মা, আমি ঠিক করছি ডায়নোসর পালবো!" ব্যস, আম্মা যা বুঝার বুঝে যাবেন। এই দুর্দিনের বাজারে ডায়নোসর পালার মতো হিন্ট আর কোনো কিছু দিয়েই দেয়া সম্ভব না।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মজা পেলাম। লেখা ভাল হয়েছে।
ধন্যবাদ কামরুল হাসান রাঙা।
অনন্ত
ভাল লেগেছে। আমি আমার বাবা-মা কে সরাসরি বলে ও দেখেছি, ওইসব বিড়াল-পালন, খাট-বিভাজন, মায়ের জন্য সহকারী অনুসন্ধান পদ্ধতির মধ্য দিয়ে না গিয়ে। কিন্তু আমি নাকি যথেষ্ট বড় হইনি বলে আমার প্রস্তাবকে কেউ গোনায় ধরেনি। এখন অপেক্ষা বড় হওয়ার, আর বড় হয়ে প্রথম যে কাজটা করব, সেটা হচ্ছে বিয়ে করা।
সজল
তাহলে এই পদ্ধতি আসলে আপনার জন্য না। আপনাকে আরো বড় হতে হবে। আমার এক বন্ধু বাসায় সবার ছোট। তাই তার বিয়ের কথা উঠলেই সবাই বলে অতো একদম ছোট। ওর এখনো বিয়ের বয়সই হয় নাই। আমার বন্ধুটি পিএইচডি করছে। সে জানে না তাকে আর কতো বড় হতে হবে। এইসব অভাগাদের জন্য রইল আমার সমবেদনা। চামে কই, আমিও একই সমস্যায় আছি।
অনন্ত
হে হে... বড় হইলেই হবে না, যথেষ্ট বড় হইতে হবে, আর নিজেদের দায়িত্ব নেবার মত বড় বাপমায়ের চোখে আমরা কখনই হইতে পারি না...
দিলেন তো এক থিউরী... এখন দেখা যাবে পোলাপানে বাপ মায়ের কাছে ফোন করে বলতেছে 'ভাবতেছি বাঘ পালুম'
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বাপ মায়েও হয়ত তখন বলবে, বাপরে আর একটু সবুর কর। আগে হাতি পাইলা লও।
অনন্ত
মজার লেখা, পড়ে বেশ মজাই পেলাম, মিয়াও। বাসর রাতে বিলাই হইতে সাবধান, ছাল-চামড়া বিলা হয়ে যেতে পারে ভায়া।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধন্যবাদ রাতঃস্মরণীয়।
বাসর রাতে ছাল-চামড়া বিলা হয়ে যাওয়াটা চাক্ষুষ দেখতে চাই।
অনন্ত
ভালো গল্প।
এখনকার বাবা-মায়েরা শুনি প্রায়ই বলে, 'বিদেশ-বিভুঁইয়ে একা আছিস, তোর জন্য চিন্তায় রাত্রে ঘুম হয় না, একটা বিয়ে দিয়ে দিলে শান্তি পাই।' কিন্তু আদপে আর দেয় না। কি অন্যায় বলুন তো?
ধন্যবাদ কৌস্তভ।
ঠিকই বলেছেন। আমরাও চাই তারা শান্তি পাক। কিন্তু তারা এগোচ্ছে না। তাই কেউ শান্তি পাচ্ছে না।
অনন্ত
ভাই, মা'য় বিয়া করার কথা মুখেও আনবো না কি পালার নাম লইলে হেইডা কন।
'মেস' কে 'বাসা' বলার বাধাদানে প্রতিবাদ জানাই।
ভাই আপনে তো দেখি অতীব সুখি মানুষ।
অনন্ত
()
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
বিয়া করতে মন চায়
মেঘনাদ কাব্য
এই থিওরি এপ্লাই করে দেখতে পারেন, তবে বিফলে মূল্য ফেরতের অপশন নাই।
এরে দেখে ভয় ভয় লাগে?
আসলেই এই রকমেরই একটি কুকুরকে একদিন আদর করতে যেয়ে ওই ব্যাটা আমার জিন্স ধরে টানাটানি শুরু করে। তার মালিক অনেক কষ্ট করে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। হয়ত আমার অ্যাপ্রোচ ভুল ছিল, কিন্তু সেদিনই বুঝি যে কুকুরের কাছে আর না। তবে সত্যি কথা হল আমার এখনো ইচ্ছা আছে এই ধরনের একটা কুকুরকে আদর করা।
sequences were not clear at all.........
may be next time.........
পিয়েতা
আমার প্যাঁচা আর কাঠবেড়ালি পালতে মঞ্চায়।
নতুন মন্তব্য করুন