মিথিলার শাড়ি

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/১২/২০১০ - ১০:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লাল জামদানী, মিথিলার অসম্ভব প্রিয় একটা শাড়ি।ওর দেয়া এটাই ছিল শেষ শাড়ি।কত শাড়িইতো আলমিরাতে এলো গেলো কিন্তু ওর দেয়া শাড়িগুলো যেমন এসেছিল তেমনই রাখা আছে।আলমারিতে রাখা শাড়িগুলোর মাঝে অর্ধেকই বোধকরি ওর দেয়া।যেবার মিথিলার বয়স বিশ হলো একটা সবুজ শাড়ি আর বিশটা সাদা দোলনচাঁপা নিয়ে ও এসে বাসায় উপস্হিত।সে কী সুঘ্রাণ সেই দোলনচাঁপার, সারা বাড়ি যেন মৌ মৌ করছিল।সেই থেকে দোলনচাঁপা মিথিলার প্রিয় ফুল ।বিশে পা দেয়া মিথিলার জীবনে সেটাই ছিল প্রথম শাড়ি।ওর অদ্ভুত স্বভাব ছিল, জন্মদিন এলেই শাড়ি এনে দিত। আর এভাবেই মিথিলার আলমিরা ওর দেয়া শাড়িতে ভরে উঠেছিল আস্তে আস্তে।সুযোগ করে শাড়ি পরে ওকে দেখাতে কখনো ভুলতোনা মিথিলা।কতবার ওর দেয়া শাড়ি পরে ওর পাশে রিকশায় বসে আচঁল উড়াতে উড়াতে বাসায় এসেছে।কেমন উচ্ছ্ল ছিল তখনকার দিনগুলো। একবার যখন রিকশায় শাড়ির আচঁল আটকে গেল,ওর সে কী রাগ, আর কখনো শাড়ি পরা লাগবেনা; ধমকে মিথিলার চোখে পানি এসে গিয়েছিল।তারপর ও জন্মদিনে যথারীতি পরেরবার ও শাড়ি এলো।

এরপর যখন দেশ ছাড়লো প্রিয় অনেক কিছুই ফেলে এসেছিল, কিন্তু শাড়িগুলোকে সাথে আনতে মিথিলার একটু ও ভুল হয়নি।এক একটা শাড়ির সাথে ওর এক একটা জন্মদিনের অসংখ্য স্মৃতি জড়িয়ে আছে।শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে ওর ভালোভাসা, না বলা কথার যন্ত্রণা বুঝে নিতে মিথিলার একটু ও কষ্ট হয়না।মাঝে মাঝেই যখন আলমিরা খুলে শাড়িতে স্পর্শ করে মনটা কেমন যেন অদ্ভুত ভাল লাগায় ভরে ওঠে, পরমুহুর্তেই কষ্টে চোখে জল ও আসে।তবু জেনেশুনেই মাঝে মাঝে বিষণ্নতাকে এভাবে নিমন্ত্রণ করে আনা মিথিলার অভ্যাস হয়ে গেছে।

বন্দনা


মন্তব্য

মূলত পাঠক এর ছবি

ভালোই এগোচ্ছিলো তো, শেষ হয়ে গেলো দুম করে?

সচলে স্বাগতম।

বন্দনা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আর দুম করে শেষ করার জন্য অনেক দুঃখিত।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল লেগেছে

-সমুদ্র সন্তান

বন্দনা এর ছবি

ভালো লেগেছে জেনে আমার ও অনেক ভালো লাগলো।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লেগেছে। লেখায় আবেগ আছে। কিন্তু আরেকটু বড় হলে আরও ভালো লাগার মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন হওয়া যেত। যাই হোক, সচলে আপনার যাত্রা শুভ হোক হাসি

--শাহেদ সেলিম

বন্দনা এর ছবি

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আমি আসলে তেমন ভালো লিখিনা তাই আপাতত ছোটো করে লিখি পরে যদি একটু পরিপক্কতা আসে বড় করে লিখার চেষ্টা করবো।

অতিথি লেখক এর ছবি

একটু বেশি ছোট হয়ে গেল। কিন্তু চমৎকার লেগেছে।

অ.ট. মিথিলা আমার বউয়ের ডাক নাম। তাই প্রথম যখন শিরোনামটা দেখি চমকে গিয়েছিলাম। হাসি

পাগল মন

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ ভাইয়া... হঠাৎই নামটা মাথায় আসলো, তবে আমার গল্পের নায়িকার নাম বলে বলছিনা নামটা আসলেই অনেক সুন্দর।।

কৌস্তুভ এর ছবি

বয়স যখন হয়েই গেছে, মিথিলার বিয়েই দিয়ে দ্যান না, এসব বিরহটিরহ চুকে যায়। দেঁতো হাসি

বন্দনা এর ছবি

বিয়ে দিলেই কি বিরহ চুকে যাবে ভাইয়া...তাইলে তাড়াতাড়ি বিয়ের ব্যবস্হা
করে ফেলি কি বলেন।। অনেক ধন্যবাদ লিখা পড়ার জন্য।

কৌস্তুভ এর ছবি

আঃ, বন্দনাদি, এত বছর ধরে পায়ের ঘাম মাথায় ফেলে পড়াশোনা করে আসছি, তবু আপনিই প্রথম লেখাপড়া করার জন্য ধন্যবাদ দিলেন। কী (সদ্য বানানায়তন কোচিং ক্লাস থেকে শিখে এলুম, আশা করি ঠিক আছে) বলে যে কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে!

বন্দনা এর ছবি

আপনিতো অনেক মজার করে কথা বলতে পারেন।।

তিথীডোর এর ছবি

সচলে স্বাগতম। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

বন্দনা এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

বইখাতা এর ছবি

মন্তব্যে অন্যেরা যেমন বলেছে, আসলেই বেশি ছোট হয়ে গেছে। আরেকটু বড় করে লিখুন।

বন্দনা এর ছবি

ভবিষ্যতে চেষ্টা থাকবে একটু বড় করে লিখার। তবে না বলার কথার মাঝে অনেক বলা কথা থেকে যায় বলে আমার বিশ্বাস।

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

ভালো লাগলো। আরো লিখতে থাকুন।

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ ভাইয়া।মন্তব্য পড়ে অনেক উৎসাহিত হলাম, চেষ্টা থাকবে আরো ভাল লিখার।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।