১
পুরা রাস্তা একেবারে ফাঁকা। তেমন কোনো গাড়িই নেই। চারিদিকে শুধু মানুষ আর মানুষ; সবাই বাড়ি ফেরার অপেক্ষায়। কদাচিৎ দুই একটা প্রাইভেট কার আর সিএনজি দেখা যাচ্ছে ছুটে যেতে। বাস যা একটা আসছে তাও প্রায় বিশ পঁচিশ মিনিট পরপর; আর তাতে ওঠা প্রায় অসাধ্য। বাদুড় না, কলার কাঁদিতে কলাঝোলা হয়ে আছে দরজা আর জানালার ফাঁক গলে মানুষ। কাল হরতাল, আর আজ বিকেলে এই অবস্থা!
বিকাল পাঁচটার পর থেকে প্রায় দুই ঘন্টা যাবত বাসের অপেক্ষায় দাড়িয়ে আছে আসাদ উত্তরা হাউজবিল্ডিং ফুটওভারব্রিজের নিচে, মহাখালীতে যাবার জন্যে। চারিদিকে মানুষের ঢল জমে গেছে। এর মধ্যে মাত্র তিনটা কি চারটা বাস গেছে। চেষ্টা করেও চরম হৈ-হুল্লোড়ের মাঝে টিকতে না পেরে আর উঠতে পারে নি বাসে। হাঁটা দিলেও হয়ত এতক্ষণে পৌঁছে যেত। কিন্তু রাস্তা তো কম না, আর সন্ধ্যা পার হয়ে গেছে। এরই মধ্যে নভেম্বরের হালকা কুয়াশায় তার অল্প অল্প শীত লাগতে শুরু করেছে; যদিও মানুষের ভিড়ে তা টের পাচ্ছে না খুব একটা। চারপাশের মানুষজনের কান্ডকারখানা দেখে হাসিও পাচ্ছে তার। একটা বাস আসলেই সব হুমড়ি খেয়ে পড়ে একসাথে। কেউ দরজার হাতল, জানালার কাঁচ, পেছনের মই, বাসে আছে এমন যাত্রীর হাত বা শার্টের কলার বা বেল্ট ধরে আপ্রাণ চেষ্টা করছে উঠার। ড্রাইভার আর হেলপার অবস্থা বেগতিক দেখে তাই থামাচ্ছে না আর। ভেতর থেকে লক করে না থামিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু পুরা রাস্তা জুড়ে গিজগিজ করছে মানুষ। তাই বেরিয়েও যেতে পারছে না একটানে। যাত্রীর ভারে বাসও বামদিকে হেলে আছে। ঐ অবস্থাতেই যে যেভাবে পারে ঝুলে আছে তাতে। বেশ কয়েকবার তো কয়েকজন উঠতে গিয়ে প্রায় চাকার নিচে পড়ার অবস্থা! ড্রাইভার সজাগ আর গতি কম থাকায় প্রাণে বেঁচে গেল কয়েকজন এরই মধ্যে। তবুও কোনো বিকার নাই। আবার ঝুলার চেষ্টায় ছুটছে সবাই, বাস আসলেই। ‘ভাই, পায়ে পড়ি, নিয়া যান, রাত হইয়া গেল’; ‘ও ড্রাইভার ভাই, একটু দরজাটা খুলেন না’; ‘ভাই, ডাবল ভাড়া দিমু, তাও লইয়া যান’; এরূপ হাজারও আবদার শোনা যাচ্ছে বাসে উঠতে মরিয়া জনতার ভিড়ের মধ্যে থেকে। আবার অনেকে মনের রাগে সমানে চিৎকার করে সরকার আর বিরোধী দলের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করে চলেছে। অবস্থা একটু খারাপ হবে সবাই ভেবেছিল। কাল হরতাল, তাই স্বাভাবিকভাবেই আজ বিকালের পরে রাস্তায় গাড়ি নামবে কম। তাই বলে এতটা সঙ্গীন হয়ে উঠবে পরিস্থিতি তা কেউ ভাবে নাই। আসাদ প্রায় হাল ছেড়ে দিয়েছে। আজ আর বাসায় যাওয়া হবে না মনে হয়। এই ওভারব্রিজের নিচেই রাত কাটাতে হবে। কি করা যায় এ নিয়ে যখন সে একটু ভাবতে শুরু করেছে ঠিক তখনই কল্পনাতীতভাবে একটা বাস পেয়ে গেল সে। একটি লোকভর্তি লোকাল বাসের পিছনে আসছিল সেটা; সরকারি স্টাফ বাস এবং প্রায় ফাঁকা। প্রথমটার দিকে সবার নজর থাকায় ঐ বাসের পিছনে তেমন কেউ ছুটে নাই। যারা দেখেছে তারা স্টাফ বাস দেখে আর আগায়নি, মাত্র দশবারোজন ছাড়া। এই চান্সে আসাদ একদৌড়ে গিয়ে উঠল তাতে। উঠে বুঝল যে অফিস শেষে স্টাফ নামিয়ে দিয়ে ফেরত যাবার পথে খ্যাপ মারছে সেটা। হেলপার বুলি আওড়াইতেছিল-“মামা, দশ ট্যাহা যেইহানেই নামেন”। কোনোমতে সিট একটা পেয়ে তাতে বসতে না বসতেই সেই বাস একেবারে কানায় কানায় ভর্তি হয়ে গেল। হেলপার কোনোমতে দরজাটা লাগিয়ে দিল। হাঁফ ছাড়ল আসাদ।
বাসে উঠেই লোকজনের চলমান রাজনীতি নিয়ে জনসভা শুরু হয়ে গেল। আগামীকাল হরতাল এর পূর্বপুরুষ থেকে আরম্ভ করে তার ভবিষ্যৎ চৌদ্দপুরুষের সমস্ত সম্ভাবনা, প্রস্তাবনা, সুফল, কুফল নিয়ে। যে যেভাবে পারে তার পাশের জনরে গিলানোর চেষ্টা করতে লাগল আপন মতামত। আসাদ নীরবে শুনছিল সেসব। এমনিতেই মেজাজ খারাপ আজকে এই অবস্থায়। তার উপর কানের কাছে এমন প্যানপ্যানানি। কালকের ফলাফল তো সবাই জানে; সরকারি দল বলবে- জনগণ হরতাল প্রত্যাখান করেছে, বিরোধী দল বলবে-জনগণের স্বতস্ফুর্ততায় হরতাল শতভাগ সফল। এ আর নতুন কি। শুধু মাঝখান থেকে কিছু মানুষ হয়ত রাজপথে প্রাণ খোয়াবে আর বাকি গিনিপিগের দল সব এ নিয়া বাসের মধ্যে এভাবে কিঁচকিঁচ করবে। এইসব সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ এত ধস্তাধস্তির পরে বাসে উঠে আবার এ নিয়ে গেজানোর শক্তি পায় কোথায়? সেটার হদিস না পেলেও উৎসরূপ সেই জনগণের ক্ষমতার বাহার দেখতে পেল আসাদ একটু পরেই।
বাস ততক্ষণে বিশ্বরোড মোড় পার হয়ে এসেছে। হেলপার ছেলেটা ভাড়া নেওয়া শুরু করল। প্রথম কিছুক্ষণ আসাদ টের না পেলেও হঠাৎ দেখল ভাড়া আদায় নিয়ে সামনে ঝামেলা বেধে গেছে। উঁকি মেরে বোঝার চেষ্টা করল ব্যাপারটা সে। কেউ সামনে ভাড়া দিতে চাচ্ছে না। দুই-একজন ভাড়া দিয়েছে তাও আবার মাত্র দুই টাকা করে। হেলপার আর ড্রাইভারকে সমানে ধমকাচ্ছে তারা-
-ভাড়া? কিসের ভাড়া?(জনৈক এক)
-ক্যান? বাসের ভাড়া দিবেন না? (হেলপার)
-ভাড়া দিমু ক্যান? এইডা সরকারি বাস না? সরকারি বাসে ভাড়া কিসের? (জনৈক দুই)
-সরকারি হইছে ত কি হইছে? ভাড়া দেওন লাগব না? ফ্রি যাইবেন নাকি? হরতালের দিন দেইখা ভাবলাম এট্টু খ্যাপ মারি, তায় আপনাগো উপকার অয় আর আমাগো গরীবেরও দুইপয়সা ইনকাম অয়? অন্য বাসে ত উঠবারই পারবার লাগছেন না। (ড্রাইভার)
-ঐ ব্যাডা, চুপ! একদম চুপ। কুনো কথা না কইয়া সোজা সামনে গাড়ি চালা। সরকারি বাস মানে আমাগো বাস। ভাড়া দিমু কিনা আমরা বুঝুম। ব্যাডা স্টাফ বাসে লোক তুলছিস আবার বড় বড় কথা কস। (জনৈক তিন (ইউনিভার্সিটির ছাত্র মনে হয়))
-এইডা কি কন মামা? তাই বইলা ভাড়া দিবেন না? (হেলপার)
-আমাগো ইচ্ছা। আমরা যা দিমু তাই লইতে হইব। না দিলে নাই। যাই দিমু তাই তো তোর লাভ। দিনে কত এমন জমাইতেছিস সরকারি মাল ইউজ কইরা। আজ না হয় আমরাও করি। কি কন সবাই। এই নে, ইনসাফ কইরা দুই টাকা দিলাম। (জনৈক চার)
(হ হ শোরগোল ওঠে)
-ওস্তাদ, আমাগো ভাড়ার দরকার নাই; আপনি গাড়ি কাকলীতে থামায়া নামায় দেন হগলরে। আমরা এমনি যামু। খ্যাপের দরকার নাই। যাগো যাওয়ার, তারা এমনি যাক, স্টাফ বাসে যাওনের কাম নাই। না খায় থাকলেও আর কহনও এমুন খ্যাপ মারুম না। (হেলপার ড্রাইভারকে)
-কি কইলি? যত বড় মুখ না তত বড় কথা? হারামজাদা, শুয়োরের বাচ্চা। থামা দেখি গাড়ি কুন বাপের ব্যাটা তুই? (জনৈক এক)
-গাইল দ্যান ক্যান? ভাড়া দিবেন না আবার গাইল দ্যান? আমি আপনার খাই না পরি? (হেলপার)
এমন সময়ের থাপ্পড়ের আওয়াজ পেল আসাদ। সামনে ভিড়ে ঠিকমত দেখা যাচ্ছে না। একটু পর বেশ বড়সড় গন্ডগোল বেধে গেল। হাতাহাতি, ধস্তাধস্তিও শুরু হল হেলপারের সাথে কয়েকজনের। সবাই যেন আজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে লেগে গেছে। গাড়ি ততক্ষণে প্রায় কাকলীর কাছাকাছি। কয়েকজন আসাদের মত নিশ্চুপ ব্যাক্তি বিরস নয়নে দেখছে তা। অবশ্য দ্রুত মিটমাটও হয়ে গেল ড্রাইভার আর কয়েকজন মধ্যবয়স্ক ব্যাক্তির হস্তক্ষেপে। ড্রাইভার মাফ চেয়ে নিল সবার কাছে। সেই মধ্যবয়স্করা হেলপারকে সরিয়ে উপদেশ দিতে লাগল, বাসের যাত্রীরা সব গুরুজন; তাদের সম্মান করা উচিৎ, আর যেন এমন না হয় কখনও। আসাদ মাথা তুলে দেখল ঠোঁটের কাছে খানিকটা কেটে গেছে হেলপারের; রক্ত গড়িয়ে পড়ছে আস্তে আস্তে সেখান থেকে আর হেলপার তার ময়লা হাত দিয়ে তা ঘসে মোছার চেষ্টা করছে।
কাকলীতে অনেকেই নেমে গেল ভাড়া না দিয়েই জনগণের ক্ষমতার পূর্ণ প্রয়োগের ফল হিসেবে। পাঁচ-ছয় জন উঠলও এই ফাঁকে। তারা উঠতেই সামনে থেকে দুই তিন জন বলে উঠল- আপনারা কেউ ভাড়া দিবেন না। এটা সরকারি বাস। আমাগো সম্পত্তি। আমরা ভাড়া না দিয়ে যাচ্ছি সবাই। ‘জোশ!!!’ বলে আনন্দিত হয়ে উঠল নতুন যারা উঠেছে তাদের বেশিরভাগ। “না, এভাবে আর সম্ভব না; হেঁটে যাব” ভেবে আসাদ উঠে পড়ল। এই ড্রাইভার সাহেব, গাড়ি থামান; আমি নামব-বলে আসাদ এগিয়ে গেল দরজার দিকে। হেলপার তখনও মুখ ঘসছে হাত দিয়ে ইঞ্জিনের সিটের উপর বসে থেকে। “এতক্ষণ নামেন নাই ক্যান? ঘুমাইতেছিলেন নাকি?”-জিজ্ঞাসা করল সামনের দিকে বসা ক্ষমতার উৎসের একজন। “হ্যাঁ, ভাই; সত্যিই ঘুমাইতেছিলাম”- বলে নেমে যায় আসাদ। নামার পথে সন্তর্পণে হেলপারের কোলে দশ টাকার একটা নোট ফেলে যায়। হেলপার অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে চোখ তুলে তাকায় কিন্তু কিছু বলার সময় পায় না; আসাদ ততক্ষণে নেমে গেছে পেছনে।
২
আজ হরতাল। এর মধ্যেও আসাদ আজ অফিস করেছে। অফিস শেষে যথারীতি সেই ওভারব্রিজের নিচে এসে দাড়িয়েছে। কালকের মতই এখানে বেশ লোক জড়সড় হয়েছে। গাড়ি আজকেও কম যথারীতি। আসাদের মনে কালকের দৃশ্যই ফুটে উঠছে আজকেও। চারপাশে দেখতে দেখতে সে ভাবছিল-এতগুলো লোক বাসে, তার মাঝে কি একজনও একটু ভাবল না কাল ঐ গাড়িটা না এলে তাদের কি হত? কিভাবে যেত কিংবা রাত্রে আদৌ বাসায় পৌঁছাতে পারত কিনা? সে তুলনায় দশ টাকা কি খুব বড়? না হয় সে ড্রাইভার আর হেলপার পেটের তাগিদেই একটু বে-আইনি কাজ করেছিল স্টাফ বাসে খ্যাপ তুলে। তাও তো ভাড়া বেশি চায় নাই। নরমাল সিটিং বাসেই তো এর চাইতে বেশি ভাড়া।
হঠাৎ একটা শোরগোল শুনে সম্বিৎ ফিরে এল তার। একটা বাসের নিচে কে জানি চাপা পড়েছে। লোকজন জড় হয়ে গেছে। আসাদ এগিয়ে গিয়ে দেখল একটা লোকের পা থেঁতলে গেছে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে। বাসটা ততক্ষণে ভেগে গেছে। ভাগ্যিস, প্রাণে বেঁচে গেছে। সমানে গোঙ্গায়তেছে লোকটা ব্যাথায়। রক্তক্ষরণও হচ্ছে প্রচুর। প্রচন্ড ভিড়ে ঠেলাঠেলি করে বাসে উঠতে গিয়ে এই পরিণতি। আসাদের কাছে চেহারাটা পরিচিত মনে হল কিন্তু মনে করতে পারল না সে তখন। সে এবং আরও কয়েকজন আশপাশে গাড়ি খুজতে লাগল লোকটাকে জলদি হাসপাতালে নেয়ার জন্যে। ঠিক তখনই সাঁই করে একটা বাস পাশ কেটে চলে গেল তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ না করে। লোকজন মোটামুটি একদিকে জড় হয়ে যাওয়ায় দুই লেন প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে। সেখান দিয়ে বের হয়ে গেছে ওটা। আসাদ দেখল বাসটা সম্পূর্ণ খালি এবং একটি স্টাফ বাস এবং হঠাৎ খেয়াল করল এ তাদের কালকের বাসটাই। এবং তখনই তার মনে পড়ল পা থেঁতলে যাওয়া লোকটা কালকের বাসে তার সাথে যাওয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা জনৈক ক্ষমতার উৎস!
পুনশ্চঃ সেই মুহূর্তে আসাদের ঘুম ভেঙ্গে গেল আলার্মের তীক্ষ্ণ আওয়াজে। হরতাল হলেও আজ অফিসে যেতে হবে।
-অতীত
মন্তব্য
১। পুনশ্চের দরকার ছিলোনা।
২। সেই স্টাফ বাস, সেই লোক এবং অ্যাক্সিডেন্ট; নাহ জমলো না!
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ভালোই এগোচ্ছিল। অনেকটাই বাস্তব অবস্থার প্রতিফলন।
কিন্তু শেষে একটু বেশি নাটকীয় হয়ে গেলো।
তবে আমার ভালই লেগেছে।
পাগল মন
@"সিমন" ভাই এবং "পাগল মন" >>পড়ার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ
গল্পটা দুই ভাগে ভাগ করার কারণ একটা, সেটা হল প্রথম অংশ প্রায় সম্পূর্ণ সত্যি ঘটেছে গত হরতালে;
আর দ্বিতীয় অংশটা আসাদের কল্পনা; দ্বিতীয় অংশ পুরাটা পুনশ্চ এর আবহে আবর্তিত; সিমন ভাই এর দ্বিতীয় মন্তব্য বুঝতে পারিনি; এক্সিডেন্টটা সেই স্টাফ বাস করে নাই; অন্য বাস করেছে; কিন্তু স্টাফ বাসটা খালি থাকা সত্ত্বেও থামে নাই হয়তবা আগের দিনের অভিজ্ঞতায় কিংবা এক্সিডেন্টের দরূন গাড়ি ভাংচুর হতে পারে এই ভয়ে
কিন্তু সবচেয়ে বড় সত্যি হল আমার লেখার হাত নিতান্তই জঘন্য; শেষ পর্যন্ত শেষ করেছেন শুনে অনেকটাই স্বস্তি আনুভব করছি......ভুলত্রুটি আশা করি মার্জনীয়
হুম, 'ইনসেপশন' এর আছর
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ভালই তো লিখেছেন। শেষদিকে একটু তাড়াহুড়া ছিল।
কামরুল হাসান রাঙা
হতাশ!!!!!!!!!! এখনও দেখা হয়ে ওঠা হয় নাই......ইনসেপশন দেখার জন্যে উঠে পড়ে লেগে বসে আছি সেই কবে থেকে...একটি ভাল প্রিন্ট এর অপেক্ষায়...
-অতীত
নতুন মন্তব্য করুন