আন্টি অগ্নিমূর্তি ধারণ করিয়া কক্ষে প্রবেশ করিলেন. হন হন করিয়া আসিয়া আঙ্কেলের সম্মুখে দণ্ডায়মান হইলেন. বিয়াফক মিজাজ খারাপ করিয়া, রীতিমত ঝারি দিয়া আঙ্কেলকে কহিলেন: "ও গো শুনছ!"
আঙ্কেল তখন দেশ ও জাতির স্বার্থে এটিএন-ভাংলা দর্শন করিতে করিতে একটি বিশেষ দলকে বাহ-বাহ করিতেছিলেন. আন্টির ডাকে বিষম খাহিয়া মিডিয়াম বিরক্ত হইলেন.
আন্টি: বেলাজ মেয়েটার হারামিপনা দিনে দিনে বেড়ে চলেছে ঐদিকে খেয়াল আছে?
আঙ্কেল: কি করেছে ওই ছেমরি! হালুম!!! (রাগ প্রকাশ করা বুঝাইলাম)
আন্টি: মেয়ে উচ্ছন্নে চলে যাচ্ছে. বখাটে তরুণ যুবকদের নিয়ে লুল-কাব্য রচনা করছে. ছুঁয়েছ-চুমেছ কি সব হাবিজাবি লিখে রেখেছে. নাউজুবিল্লাহ!
আঙ্কেল: হে ভগবান! কি সাংঘাতিক! কি সাংঘাতিক! ওই লুল-ছেমরি তো বংশের মানইজ্জত ডাইলের সরবতে মিশাইয়া স্ট্র দিয়া চুক-চুক করে খাবে.
আন্টি: ওই ছেমরির অতিসত্বর একটা বিহিত করিতে হইপে. হালুম!!!
অতঃপর বেশ কিছুক্ষণ আঙ্কেল ও আন্টি তাদের একমাত্র(!) কন্যাকে (মিথি) কেন্দ্র করিয়া কুমালোচনা (কু-সমালোচনা) চালাইলেন. ইহাতে তাহাদের তৎক্ষণাৎ কষে মিথিকে দু'খানা লাথি দেবার বাসনার খানিকটা উপশম হইলো.
আন্টি: মেয়ের বেলাল্লাপনা দিনে দিনে বেড়ে চলেছে. ফেরেম-ফিরিতি করতে করতে কখন যে কাউয়ার ল্যাঞ্জা ধইরা উড়াল দেয় ঠিক নাই.
আঙ্কেল: লুইচ্চানীটাকে ধরে মন্দার গাছের ডাল দিয়ে পিটিয়ে এক বুড়া, টাকলা স্টাবলিশ সু(?)-পাত্রের সাথে বিবাহ দিলে ফেরেম-ফিরিতির ভুত নামবে! ইহাই মোর সমাধান!
আঙ্কেলের সমাধান লাইক করিয়া আন্টি একখানা পুলকিত হাসি দিলেন. আহা, তাহাদের কি হাসি! যেন তাহারা এই বর্ষে তৃতীয় ঈদ প্রাপ্ত হইয়াছেন. অতঃপর মিথির নিকা করাইবার লক্ষ্যে ঘাতক (ঘটক) তলব করা হইলো. স্বীয় বিবাহ বিষয়ক ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে মিথি কিছুই জানিতে পারিল না. বিধায়, ক্লুলেস মিথি অশ্ব পিঠে চাপিয়া একখানা সুদর্শন রাজপুত্রের আগমন কল্পনা করিতে করিতে লুল-কাব্য রচনা করিতে লাগিল, আর মন-সন্দেশ ভক্ষণ করিতে লাগিল. কিন্তু বেকুবটা তো জানে না, তাহার জন্য অশ্ব আরোহিত রাজপুত নয়; তাহার জন্য আসিতেছে গাধার পিঠে চড়িয়া চান্দি-ছোলা এক বুড়ো মোষ!
বন্য
মন্তব্য
উদ্ধৃতিঃ-
"তাহাদের কি হাসি! যেন তাহারা এই বর্ষে তৃতীয় ঈদ প্রাপ্ত হইয়াছেন."......হাহাহাহা
আসলেই বন্য লেখা!!!!!!তবে তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল.....
-অতীত
আপনি একেকবার একেক নিকে লেখেন কেন?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ব্যাপক অস্থিরতায় ভুগছি।
ভেজাল রম্য। হাসি আসলো না।
বাবা-মাকে তাদের মেয়েকে 'ছেমরি', 'লুইচ্চানী' ডাকানো ভালো লাগে নি। সব বাবা-মাই তাদের সন্তানের ভালো চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নেন। সেটা অনেক সময় খারাপ লাগতে পারে, অবিবেচকের মতো কাজ মনে হতে পারে, কিন্তু আমার মনে হয় না কোনো বাবা-মা ইচ্ছা করে তাদের ছেলেমেয়ের ক্ষতি করতে চাইবেন না খারাপ কামনা করবেন।
একেবারেই বন্য
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
একটা কুচ্ছিৎ গপ্পো|
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ভাই আপনার ভেতর লেখালেখি করার যে অদম্য তাড়না সেটাকে প্রথমে সাধুবাদ জানাই। তবে আপনার মধ্যে বিশেষ একজনের লেখার স্টাইল চলে আসছে; জানিনা এই আসাটা কি স্বতস্ফূর্ত নাকি আরোপিত ! আশা করছি ভবিষ্যতে নিজের মত করে লিখবেন। লেগে থাকলে আপনারো হবে। প্রসংগত বলছি, আমার এক তালকানা বাল্যবন্ধু শুধুমাত্র চেষ্টা ও সততার জোরে এখন দেশের অন্যতম সেরা একটি ব্যান্ডের ড্রামার। শুভকামনা রইল।
বর্ণনাভঙ্গিটা খুব বিশ্রী লাগলো, তবে বিষয়বস্তু অস্বীকার করতে পারছি না।
নিঃসন্দেহে বাবা মা সন্তানের 'ভালো' চিন্তা করেই যা করার করেন। কিন্তু ভালো শব্দটার সংজ্ঞা মানুষভেদে পরিবর্তন হতে পারে। ভালো চিন্তা যখন ব্যক্তিস্বাধীনতার বিপক্ষে চলে যায় তখন সেটাকে ভালো বলা যায় কিনা সন্দেহ আছে। বিয়ের উপযুক্ত বয়সের ছেলে বা মেয়ের নিজের চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা থাকার কথা। সেই সিদ্ধান্ত যদি সামাজিকভাবে যাদের 'কুপাত্র' বলা হয় তাদের কাউকে বেছে নেয়, আমি অন্ততঃ মনে করি না বাবা মায়ের কোন কথা বলার কিছু আছে।
রম্যটা কোথায়?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
মিথির মনসন্দেশে। দুর্ভাগ্যক্রমে মিথি সেটা খেয়ে ফেলেছে।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
এই ভাষায় কোনো বাবা মা সন্তানকে সম্বোধন করে ভাবতেই পারা যায় না! অরুচিকর মনে হয়েছে!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
কটু ভাষা।
জোর করে ভাষার 'কারুকাজ' করার চেষ্টা না করে সিম্পলি লিখে ফেললেই এটা মজার গল্প হতে পারতো।
তবে আজকালকার টিভির বাংলা নাটকে মনে হয় এই টাইপের ডায়লগ দেয়। বাড়ির অন্যরা যখন নাটক দেখে তখন শুনে জাস্ট কিছু নারীপুরুষ 'খেই-মেই খেই-মেই' করতেসে মনে হয়। আপনার এই লেখা সেসব দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকতে পারে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
সবাইকে ধন্যবাদ. ভালো/খারাপ যাই লাগুক সময় নিয়ে পড়েছেন/মন্তব্য করেছেন এইটাই বেশি.
প্রভাব ও চেষ্টা প্রসঙ্গে... আফসোস, আমাকে যারা ব্যক্তিগত ভাবে চিনেন শুধু তারাই কেবল সাক্ষ্য দিতে পারবে আমার ভঙ্গিমা সম্পর্কে. (আমি যেভাবে কমেন্ট করছি এভাবে বাস্তবে কথা বলি না) কারো সাথে ভঙ্গি মিলে গেলে ধরে নিতে হবে তা কাকতালীয়, শুধু এটাই বলতে পারি. (বিধাতাও মাঝে মাঝে কপি-পেস্ট মারেন!)
রুচি প্রসঙ্গে... আমার রুচি কিঞ্চিত বিকৃত.
একটা জিনিস খেয়াল করলাম... আমি কবিতা ছাড়া অন্য কিছু লিখি না. প্রায়ই আমি কবিতা সচলায়তনে পোস্ট করি খুব কম সময়ই পোস্ট হয়. হটাত, সেদিন একটা ছাইপাঁশ লিখলাম, অমনি পোস্ট হয়ে গেল! এটা কিন্তু পোস্টের উদ্দেশ্যেও লেখা ছিল না (লিখেছিলাম এক বন্ধুর জন্য)! কিছুই বুঝতাসি না! আমি কি এতই বাজে কবিতা লিখি?
বন্য
http://shopnoroge.blogspot.com/
আর একটা কথা না বললেই না... কোন একজন বিখ্যাত লেখক বলেছিলেন "বাঙালি রসিকতায় যুক্তি খোঁজে"... তার কথাটা একেবারেই মিথ্যা নয়।
সমালোচনা যথেষ্ট হয়েছে ভেবে আর মন্তব্য করি নি আগে, কিন্তু আপনার এই প্রতিমন্তব্যটায় যথেষ্ট অনুপ্রেরণা পেলাম। আপনার কথাটা খুবই সত্যি, বাঙালির ঐ দোষটা আছে বটে। কিন্তু কী ভাগ্যিস আছে বলুন, নইলে আমাদের করা বস্তাপচা রুচিহীন এবং বাজে রসিকতা শুনে কেউ না হাসলে তাদের দোষ দিতাম কী ভাবে! সাথে এ-ও বলি, আপনার আত্মসমালোচনা করার ক্ষমতা রীতিমতো ঈর্ষণীয়, নিজের লেখাকে সবিনয়ে অনেকেই অকিঞ্চিতকর বলে থাকেন, কিন্তু এমন সততার সঙ্গে আপনি এই লেখাকে ছাইপাঁশ বলেছেন যে এতোটুকুও অবিশ্বাস করার সাহস হলো না।
)
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমিও। এতটুকু ও অবিশ্বাস করতে পারলাম না।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হালুম!!! হালুম!!! হালুম!!! হালুম!!! হালুম!!! হালুম!!! হালুম!!! হালুম!!!
রম্যটা কোথায় খুঁজে পাই নাই। রসিকতাও পাই নাই।
এই লেখাটা মডারেটরদের পুলসিরাত পার হইছে দেইখা অবাক হইলাম...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কেউ হাসে নি । তাই আমিও হাসি চেপে আছি । খিকস
মাকাল ফল
নতুন মন্তব্য করুন