আমাদের এক জন শাহরুখের বড় প্রয়োজন ছিল

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১১/১২/২০১০ - ৭:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শাহরুখ খান এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। এটা তার কাছ থেকে আমাদের কাম্য ছিল। অনেকেই উপর থেকে দেখেছেন পুরো ব্যাপারটা। ব্লগে ব্লগে আমরা ঝড় তুলেছি তার আসার পক্ষে বিপক্ষে। তিনি চলে গেছেন গত রাতেই। কিন্তু পাখি চলে যায় কিন্তু পালক রেখে যায়। তিনি যেমন রেখে গেছেন তার পালক গাযি মোহাম্মাদ ইলিয়াস কে। এখন আমরা ব্লগে ব্লগে ঝড় তুলছি তার পক্ষে বিপক্ষে লিখে। কিন্তু প্রিয় পাঠক আপনারা কি দেখতে পাচ্ছেন আমাদের জাতি হিশাবে ভেতর থেকে একটা পরিবর্তন এসেছে। একটা সূক্ষ পরিবর্তন কিন্তু লক্ষ করা গেছে। পরিবর্তন গুলো কি কি(যাটা আমার চোখে ধরা পড়েছে)-
১। আমরা এখন বুঝতে শিখেছি। আমাদের চোখ কান খোলা। আমরা সমালোচনা করতে শিখেছি। আমরা আর সেই জাতি না যারা নিজেদের কে নিয়ে গর্ব করে না, হীনমন্যতায় ভুগে না। অনেকেই আছেন গতকাল বৈশাখী টিভি খুলেও দেখেন নাই।
অনেকেই আছেন যারা গতকান গিয়েছেন জাগরনের গান এলবামের প্রকাশনা উতসবে। প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠা লক্ষ করছেন।শাহরুখের কন্সার্ট নিয়ে খবর এসেছে শেষ পৃষ্ঠায়।এর মানে কি দাড়ালো-
আমরা এখন আর শাহরুখ খান কে পাত্তা দেই না।আসলেই দেই না। তিনি আসবেন আমাদের কাছ থেকে টাকা নিবেন গান গাবেন নাচবেন আবার চলে যাবেন।এটা তো স্বাভাবিক।শাহরুখ এসেছেন এর পরে লিন্‌কিন পার্ক আসবে,একদিন হয়তোবা বন জভি আর রিচি বোনোর মত মহা তারকা আসবেন।
তাতে আমাদের কি আসে যায়।আমাদের দরকার বিনোদন।ওটা পেলেই আমরা মহাখুশি।
এবার আমার মূল বিষয়ে আসি যে কারনে আমি এই পোস্ট লিখছি-
আমি সিডনি তে আছি প্রায় দুই বছর। এখানে এসে দেখলাম রাসেল ক্রো, রিকি পন্টিং এমন কি হালে ব্রিটনি স্পিয়ার্স রাস্তা দিয়ে দিব্ব্যি হেটে বেড়াচ্ছেন। কারও কোন ভ্রুক্ষেপ নাই। আমি আমার প্রফেসর কে জিজ্ঞেস করলাম এর কারনটা কি? প্রফেসর উত্তর দিলেন দেখ প্রান্তিক, আজকে যদি পৃথিবীর সব ম্যাথর তাদের কাজ বন্ধ করে দেই তাহলে কি হবে? আচ্ছা আরও সোজা করে বলি যদি সব ডাক্তার বলেন আজকে আমরা চিকিতসা সেবা দিব না তাহলে কি হবে? পুরো পৃথিবী ধ্বংসের মুখে পড়বে।হাজার হাজার মানুষ বিনা চিকিতসায় মারা যাবেন।এবার বলত আজকে যদি অই বেটা রাসেল ক্রো সিনেমা করা বন্ধ করে দেয় তাহলে পুরো পৃথিবীতে কতটুকু সমস্যার সৃষ্টি হবে? হয়তবা বিনোদনের একটু ঘাটতি হবে।আমি বললাম তাহলে তো সিডনি ইউনির সব আর্ট ফ্যাকাল্টি বন্ধ করে দেয়া দরকার। উনি উত্তর দিলেন, আছে বিনোদনেরও দরকার আছে। কিন্তু আমরা প্রত্যেক অস্ট্রেলিয়ান এটা বিশ্বাস করি আমরা সবাই সবকিছু পারব। না পারলেও চেস্টা করলে ধারে কাছে কিছু একটা তো হতে পারব।এই কারনেই আমরা এরকম পাত্তা দেই না। তুমি রাসেল ক্রো অভিনয় কর, আমি প্রফেসর শিক্ষা দান করি।তুমি তোমার লাইফ এর সুপার স্টার আর আমি আমার লাইফের। কই রাসেল ক্রো কে বল দেখি আমার এখানে এসে তোমাকে শিখাতে।পারবে? তোমার কাজে যদি শ্রদ্ধা না থাকে তাহলে তুমি কখনই রাসেল ক্রো হতে পারবে না। আমরা অস্ট্রেলিয়ান যে কোন কাজ পূর্ণ শ্রদ্ধার সাথে করি।একারনে আমরা সবাই একেক্টা রাসেল ক্রো।আমি লা জবাব হয়ে গেলাম। ব্যাপারটা আসলেই ওভাবে চিন্তা করে দেখিনি।
আমার প্রফেসরের কথার সাথে অনেল জাইগাতেই আমি একমত হতে পারিনি।
কিন্তু শাহরুখ খানের কন্সার্টের সময় বাংলা ব্লগ আর ফেসবুক দেখে আমি একটা জিনিষ ধরতে পারছি পরিবর্তন আসছে আমাদের মধ্যে। ইন্ডিয়া র মত সুপার পাওয়ার দেশের পাশে বাংলাদেশের মত ছোট্ট একটি দেশের তরুন প্রজন্ম দেখিয়ে দিয়ে গেল আমরাও পারি। আমরা আর নতজানু হয়ে থাকব না।
হ্যা আমরা যারা ব্লগিং করি বা আমাদের তরুন সমাজ এরা হয়তবা একটু বেশি কথা বলি, কাজ করি কম।কিন্তু একটা পুরো তরুন সমাজ যদি আত্মবিশ্বাস পায় যে শাহরুখ খান আসছে তো কি হয়েছে? তাহলে তার মধ্যে থেকে একজন দুইজন কিন্তু ঠিক এ বের হয়ে আসবে যে কথাকে কাজে প্রমান করতে পারবে।
আমেরিকার পাশে যেমন কানাডা, চায়নার পাশে যেমন কোরিয়া, তেমনি ভারতের পাশে বাংলাদেশকে যে আত্মমর্যাদা নিয়ে থাকার দরকার তার রসদ কিন্তু এই তরুন প্রজন্ম দিয়ে গেল। আমরা এখন গাজি ইলিয়াস কে নিয়ে লাফালাফি করছি। কেউ বলছে ঠিক কে বলছে বেঠিক। আমার মনে হয় উনি দেশকে ছোট করেছেন। i dont know how to speak in hindi এই কথাটা
নম্র ভদ্র ভাবে উচ্চারন করলে কিন্তু এমন কোন ক্ষতি হত না। পরে নিজেই যেভাবে গার্লফ্রেন্ড আর বৌ র কথা সবার সামনে বলে নিজেকে রাস্তায় নিক্ষেপ
করলেন তারই বা কি যুক্তি দিবেন। ওইদিকে আরেকজন মি সোহাল শাহরুখের
বগলের তলে গিয়ে হিন্দি বুলি আওড়াতে শুরু করলেন। তার ব্যাপারে কোন মাথা ব্যাথা নাই আমাদের। দরকার নাই তাদের নিয়ে কোন আলোচনার।
কারন এই দুই জন এর কেউই আমাদের তরুন সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে না।
তারা দেশ কে দুই জন মিলে রসাতলে নিয়ে গেছেন। আমাদের দায়িত্ব সেটা যাতে ভবিষ্যতে না হয় সে ব্যাপারে লক্ষ রাখা।
তবে হে শাহরুখ তোমাকে খুব এ দরকার ছিল এ দেশের। কারন আমরা পেয়েছি সেই আত্মবিশ্বাস যেটা আমাদের দরকার ছিল বহিঃপ্রকাশের।
তুমি রাতের বেলায় নাচ গাও চলে যাও।তুমি এক ভাড়াটে শিল্পী মাত্র।
তুমি টাকা পেলে আবার আসবে আবার যাবে। তবে আমরাও এখন সেই বাংলাদেশ নাই। আমাদের আছে ডঃ শুভ রায়।তোমাদের শেবাগ আমাদেরকে উড়িয়ে দেয়ার কথা বলতে পারলে,আমরাও পারি মাশরাফির মত বলতে "ধরে দিবানি"।
তোমরা মহান জাতি, কিন্তু আমরাও মহান জাতি। আমাদেরকে শ্রদ্ধা কর,তোমরা শ্রদ্ধা পাবে। এবার বিশ্বকাপের আগে যেন ওরকম আর না শুনি।
এই কামনায় "ধইরে দিবানি"

সবখানে সবাই আছে
সিডনি থেকে


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

কারন এই দুই জন এর কেউই আমাদের তরুন সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে না।
তারা দেশ কে দুই জন মিলে রসাতলে নিয়ে গেছেন। আমাদের দায়িত্ব সেটা যাতে ভবিষ্যতে না হয় সে ব্যাপারে লক্ষ রাখা।

চলুক

---আশফাক আহমেদ

নুসদিন এর ছবি

রিচি বেনো? উনিতো ক্রিকেটার। আর সম্ভবত উনি বাংলাদেশে এসেছিলেন।

আমার মনে হয় উনি দেশকে ছোট করেছেন। i dont know how to speak in hindi এই কথাটা
নম্র ভদ্র ভাবে উচ্চারন করলে কিন্তু এমন কোন ক্ষতি হত না।
শাহরুখ খান যদি প্রথম থেকে নম্র ভদ্র থাকতো, তাহলে মনে হয় উনি এই কথা গুলা এইভাবে বলতেন। কতবড় ছাগল হলে একটা মানুষ স্টেজে এসে বলে আমাকে একটা এই দেশের গালি বল! তারপর অবিরাম সবাইকে শালা আর তুই ডেকে গেল! অথচ নিজের বডিগার্ডকে আবার ঠিকই তুমি করে ডাকছে! যেমন কুকুর তেমন মুগুর! গাজী ইলিয়াস যা করেছেন ঠিকই করেছেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি খুব ই দুঃখিত । আমি ইউ ২ ব্যান্ডের বোনোর কথা বলতে গিয়ে রিচি বেনো উল্লেখ করেছি।
ভাই আপঅনার কথায় যুক্তি আছে। কিন্তু কথাটা অভাবে না বললেই পারত। কুকুরের কাজ কুকুর করেছে,তাই বলে কি......।
আর পরে উনি নিজেই গার্লফ্রেন্ড বৌ কি যে সব শুরু করলেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

খালি বিশ্বকাপ আসতে দ্যান! "ধইরে দিবানি" হো হো হো

কুটুমবাড়ি

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লিখেছেন। পড়ে খুব ভালো লাগলো। লেখকের সাথে একমত। আমার মানসিকতায় পরিবর্তন আসছে।
--শাহেদ সেলিম

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

খুব খুব ভালো লাগলো এই লেখাটা পড়ে।

ই দুই জন এর কেউই আমাদের তরুন সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে না।

এই কথাটা সত্য হোক, এটাই মনেপ্রাণে চাই। নিচের খবরটা এর স্বপক্ষেই কথা বলে-

"বাংলাদেশ ম্যাথ অলিম্পিয়াড টিমের নাজিয়া এ বছর ফুল ফান্ড নিয়ে এম.আই.টি. তে আন্ডারগ্র্যাডে ভর্তি হয়েছে। এর আগে ম্যাথ অলিম্পিয়াড টিমের তানভীর ফুল ফান্ড নিয়ে ক্যালটেকে আন্ডারগ্র্যাডে ভর্তি হয়েছে।"

কোথায় যেন পড়লাম লেখাটা- এখানে তুলে দিলাম একজনের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।

... শাহরুখ খান এসেছে, চলে গেছে। ভাড়াটে শিল্পীর কাজ শেষ। বাংলাদেশেও গর্ব করার মত সন্তান বাংলাদেশেও কম নেই, ছিলো না- ভবিষ্যতেও থাকবে না।

_________________________________________

সেরিওজা

অতিথি লেখক এর ছবি

সুহান ভাই, দেশে এবং দেশের বাইরে এখন লাখ লাখ বাঙালি বিভিন্ন জায়গায় সুপ্রতিষ্ঠিত।যে শ্রমিক এই মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যের কোন এক জায়গায় বসে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতেছে আমার কাছে সেই আমার শাহরুখ খান।
অভিনেতা অভিনয় করে বড় জোর দুই ঘন্টা, কিন্তু সেই শ্রমিক প্রিয়জন কে দূরে রেখে চোখের পানি লুকিয়ে বছরের পর বছর যে শ্রম দিয়ে যাচ্ছে তার অভিনয় ক্ষমতার বিচার করবে কোন দর্শক?

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি অনুষ্ঠানটা দেখি নাই। কিন্তু বিবরণ শুনে যা বুঝলাম, তাতে মনে হয় না ঐ একাধটা গাজি ইলিয়াসের জন্য 'দেশ রসাতলে' যাবে। দেশ অত ঠুনকো জিনিষ না। এরকম একটা ফালতু ইভেন্টে ততোধিক একটা ফালতু ঘটনা নিয়ে দেশের মতো একটা বিশাল বিষয়কে টেনে আনলেই বরং দেশের বেইজ্জতি করা হয় - তাকে ছোট করা হয়, নীচে নামানো হয় ! এই ইভেন্ট দেশের পশ্চাদ্দেশ দিয়ে পিচিক করে বেরুনো বায়ুত্যাগের সমতুল্য একটা ইভেন্টও নয়। এখন এরকম একটা পিচিক-বায়ুত্যাগমার্কা ইভেন্টের olfactory এনালাইসিস করে তার কোন একটা অপ্রিয়তর উপাদানের সাথে দেশের মান-মর্যাদার প্রসঙ্গ টেনে আনলেই বরং দেশের অপমান করা হয়। এইটা আমার মনে হয় আগে বুঝা দরকার।

২য়তঃ এইরকম যাত্রা-মার্কা অনুষ্ঠানে দুনিয়ার সবখানেই এইরকম দুই-চারটা পাগল-মাতাল থাকে যারা কোন-না-কোন একটা কান্ড করে থাকে। তা সে মদ্যপানজনিত, দৃষ্টি-আকর্ষন, পাব্লিসিটি, স্টান্টবাজি, নোটোরাইটি, বা যে কারনেই হোক না কেন। এসব বড়জোর গসিপ-পত্রিকার বিষয় হতে পারে, তার বেশি কিছু না। এতে করে, 'দেশ' তো দূরে থাকুক - যে শহরে হচ্ছে, সে শহরের পাব্লিক ল্যাট্রিনগুলারও ভ্রুক্ষেপ হয় না।

ফাইনালি, যদি দেশের প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে পারটিকুলারলি শুধুমাত্র ঐ অনুষ্ঠানের বিষয়েও আলোচনা করতে হয়, তাহলেও উপরে একজন মন্তব্যকারি যেমন বলেছেন, তেমনি বলতে হয় - যেমন কুকুর, তেমন মুগুর! কিম্বা আমি হলে বলবো - যেমন বাঘা ছাগল, তেমনি বুনো মাতাল !! ছাগলে-মাতালে মধুর মিলন ! দে বোথ ডিজার্ভড ইচ আদার ! ভাড়াটে নট শাহরুখের এর থেকে বেশি আর কিছু পাওনা ছিলনা। এইত্তো - আরকি ? যার যেমন প্রাপ্য, সে তেমনই পাইছে। এই গাজি ইলিয়াস প্রসঙ্গ এর থেকে একচুলও বেশি গুরুত্ব দাবী করে না, বা এর মধ্যে এর থেকে বেশি আর কিছু বলার দেখি না আমি। ধণ্যবাদ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখা পড়ে খুব ভাল লাগলো।আসলে এই ধরনের লেখা পড়েই আমার মনে হয়েছে পরিবর্তন এসেছে।আমরা ধীরে ধীরে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিশাবে গড়ে উঠছি।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
সবখানে সবাই আছে

স্পর্শ এর ছবি

"ধইরে দিবানি"
চলুক

খুব ভালো লাগলো লেখাটা।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার মনে হয় উনি দেশকে ছোট করেছেন। i dont know how to speak in hindi এই কথাটা
নম্র ভদ্র ভাবে উচ্চারন করলে কিন্তু এমন কোন ক্ষতি হত না।

আমার মনে হই এটা ইচ্ছা বা অনিচ্ছার ব্যাপার না...... অনেক সময় সঠিক ভাবে ইংরেজি বলতে না পারলে ভুল বাক্যপ্রয়োগের কারনে অনেক কিছু খারাপ শোনায়... এখানেও তাই হয়েছে... তাকে দেখে মনে হয়নি সে ইংরেজিতে খুব ভাল...

মর্ম এর ছবি

গোছানো একটা লেখা।
ভাল লাগলো।

এটা কি প্রথম লেখা আপনার?
তাই হয়ে থাকলে সচলে স্বাগতম।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

পাগল মন এর ছবি

বেশ প্রেরণাদায়ী লেখা। চলুক

তবে আমরা বাঙালিরা তো কিছুটা হুজুগে জাতি, এই হুজুগে মেতে ওঠাটাও আমাদের এক ধরণের বিনোদন হয়তো। তাই আমরা কিছুদিন পরে পরে একটা কিছু নিয়ে হুজুগে মেতে উঠি। এটাকে আসলেই এত গুরুত্ব দেয়ার কিছু নেই।
_________________________________________________
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

আঁকাইন এর ছবি

ভাস্যমান আনন্দের মোহ আমাদের অন্ধ করে নাই এখনো.। সুন্দর সময়ের অপেক্ষায়।

ধন্যবাদ লেখাটার জন্য।
============================
শুধু ভালোবাসা, সংগ্রাম আর শিল্প চাই।

============================
শুধু ভালোবাসা, সংগ্রাম আর শিল্প চাই।

সপ্নবিভা এর ছবি

ভাল লাগল পড়ে । লেখক এর সাথে একমত ।

এমন অনেক শাহরুখ আসবেন। যারা শাহরুখ এর কনসার্ট এর যাবার তারা হয়ত আজীবন যাবেন, শাহরুখ যাই বলুক তাও যাবেন, আরো এমন অনেক গাজি ইলিয়াস আর সোহাল আসবেন । তাতে আমাদের তেমন কিছু আসে যায় বলে মনে হয় না।

যোবায়ের এর ছবি

কিন্তু প্রচার মাধ্যম গুলো বার বার ওইদিকেই টেনে নিয়ে যাবে। ওই ফালতু 'বিনোদন' অনুষ্ঠানের শুরুতে বৈশাখী টিভি যেভাবে নির্লজ্জের মত ফলাও করে প্রচার করলো, মনে পড়লে খালি হাসিই আসে, এটা নাকি বাংলাদেশের জন্য একটা ঐতিহাসিক ব্যাপার ছিল...
ভাই, এইগুলা সব দেশেই কম বেশি হয়, তাই বলে কেউ কখনো তা নিয়ে ওপেন এয়ার টক শো শুরু করে দেয় না, যেমন তারা করলো... উনার কাছ থেকে নাকি অনেক কিছু শেখার আছে টাইপ কথা বার্তা...
আপনি তো অস্ট্রেলিয়ার কথা বললেন, ওইখানে নিশ্চই কেউ ওই নায়ক গায়ক কে দেখে দৌড় দিয়ে চুমু দিয়ে আসে না, মানুষের সেই বিবেকটা আছে, যেটা সেদিন দেখে অবাকই হলাম। একজন অভিনেতা সে, তাও আবার বিশ্বর মধ্যে সিরিয়াল দিলে ১০০ র মধ্যে থাকবে কিনা সন্দেহ।
যারা ওইখানে হুদাই ৩০০০০ টাকা করে নষ্ট করলেন, ওই এমাউন্টটা তারা অন্য অনেক ভাল কাজে ব্যয় করতে পারতেন। মানুষের বুঝা উচিত, কখন কি করা দরকার, আর কোন কাজের প্রয়োজন কতটা বেশি। আর এর পিছন দিয়ে কি পরিমান টাকার কারবার হয়ে গেল, সরকার যার ছিটেফোঁটা ট্যাক্সও পেল না, তা নিয়ে তো কেউ কিছুই বলছে না...

অতিথি লেখক এর ছবি

দেখেন ভাই,আপনি তো বুঝেছেন।আপনার মত এরকম হাজারো মানুষ আজকে বুঝেছে।আমি হলফ করে বলতে পারি আমাদের তরুন প্রজন্মের একটা বড় অংশ
এটা বুঝেছে।এই তরুন প্রজন্ম আগামী দিনের নেতৃত্ব দিবে কোন না কোন ভাবে।
তার মানে আমরা ঠিক পথেই চলছি।
সুতরাং ব্যাপারটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।এরকম শাহরুখ হাজার বার আসবে।
হাজার বার যাবে।

শাফায়েত এর ছবি

ভালো লাগল বিশ্লেষণটা। আমাদের নিজেদের দেশের মেধাবিদের কদর কম করি,এই মানসিকতায় পরিবর্তন আনা দরকার।

আসরাফ [অতিথি] এর ছবি

ভাল লাগল আপনার লেখা।

রীতি এর ছবি

লেখাটা ভালো লেগেছে।সবচে ভালো লেগেছে এই স্বীকারোক্তি-
হ্যা আমরা যারা ব্লগিং করি বা আমাদের তরুন সমাজ এরা হয়তবা একটু বেশি কথা বলি, কাজ করি কম

অতিথি লেখক এর ছবি

এই শাহরুখের দল আমাদের মাশরাফিকে অনেক দাম দিয়ে কিনে সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছে। আর সেই আমরা তাকে দেখার জন্য এত পাগল হয়ে উঠেছিলাম!

- সব্যসাচী

tareq.mhd@gmail.com

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

ভাল্লাগলো! আর সব শেষে আসলে সবকিছু হুদাই! দুয়েক্টা শাহ্রুখে যাদের যাবার তাদের সব যাবে আর যাদের যাবার না তাদের ভুরুর চুলটাও বাঁকা হবেনা! হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

কলি এর ছবি

ভালো লাগল লেখাটা।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ভালো লিখেছেন।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

এ লেখা এবং সব কটা মন্তব্য অনেক পরিপক্ক, অনেক ইতিবাচক.....(পূর্বোক্ত‍ 'শাহরুখ খান, চলে যান' সঙক্রান্ত লেখা গুলোতে যে বিষয়টা অনুপস্থিত ছিল)

লেখককে তাই ধন্যবাদ জানাচ্ছি.. যে আপনি চিন্তা-ভাবনা- কল্পনার সুষ্ঠ জায়গাটার প্রতি দৃষ্টি নিয়ে যেতে সবাইকে সাহায্য করেছেন । সচলায়তনের একজন নতুন পাঠক হিসেবে ঐ ব্লগ এ ঢুকে হালকা অবাক হয়েছিলাম ...যে... আসলে কোথায় আসলাম...

পাঠকদেরকেও ধন্যবাদ

পিয়েতা

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার কথা ১০০ ভাগ ঠিক। কিন্তু আমাদের দেশে তো এইসব তথাকথিত স্টার রাই সবচেয়ে বেশী সামাজিক ও আর্থিক মর্যাদা ভোগ করে। যাদের সার্ভিস ছাড়া পৃথিবী একদিনও চলবে না বলে আপনি বলেছেন, তারা কবে কার কাছে এই স্টারদের মত মর্যাদা পায়। এই কারণেই অতি মেধাবী সুন্দরী কলেজছাত্রী এখন আর ডাক্তার বা শিক্ষিকা হবার স্বপ্ন দেখে না, স্বপ্ন দেখে এইরুম স্টার হবার; প্রতিভাবান ভাবুক তরুণ বিত্তহীন কবি হবার বদলে গাঁজাখোর নাটকনির্মাতা হবার চেষ্টাই করে।

কামরুল হাসান রাঙা

Bhobghure এর ছবি

আমি শাহরুখ একজন ফ্যান। খারাপ লাগছিল যখন ঠিক করেছিলাম যাবনা লাইভ দেখতে, কারন টিকেট কিনতে গিয়ে মনে পড়লো সাকিব ভাই এর কথা, মনে হল শাহরুখ লাইভ দেখা থেকে সাকিব ভাই এর লাইফ 1000 গুনে আমার কাছে গুরুত্বপুর্ন তাই যোগ করে দিলাম টাকাটা. যখন বনানীর রাস্তাগুলো দেখলাম দামি দামি গাড়িতে ভরে উঠছে আর স্টেডিয়াম থেকে বনানী পর্যন্ত গাড়ির লাইন রাস্তাজুরে তখন মনে হল চি‌তকার করে বলি এই শীতে যারা ঠান্ড়ায় কস্ট পাবে তাদের জন্য আমাদের কি পরিকলপনা? পারলামনা জিজ্জাস করতে কারন........... যাহোক, সাকিব ভাই এর কথা জানতে চান তাহলে http://www.cadetcollegeblog.com/kochupata/27795
http://www.facebook.com/pages/Help-Sakib-fight-blood-cancer/164527270249283 ধন্যবাদ শাহরুখ তুমি আসাতে নিজেকে আমি ভালমত চিন্তে পেরেছি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।