১৬ই ডিসেম্বর ১১টার সময় আমি তখন যাচ্ছি অফিসের দিকে, সকালের রাশ আওয়ার এড়িয়ে। বিজয় দিবসে ফেসবুকের প্রোফাইল ছবিতে লাল সবুজ পতাকা দিয়েছি বের হবার ঠিক আগেই। দুইশবার গিয়েছি এই রাস্তা দিয়ে, একশবার দেখেছি ছোট্ট স্প্যানিশ স্থাপত্যের বাড়িটা। বাইরে ঝুলানো পতাকা, একটা মেইল বক্স, সিটি কর্পোরেশনের ময়লা ফেলার বিন আর কিছু শুকনো পাতা। পতাকা দেখে মুখ দিয়ে বের হল অস্ফুট স্বরে অজান্তেই “War Veteran”।
আমার দেশের পতাকা মনে করতে গিয়ে মনে পড়লো নিজের চোখে দেখা নিজামীর গাড়ির সামনে পতপত উড়তে থাকা আমাদের ভালবাসার পতাকাটা। আমি অনুভব করতে পারিনা আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কতটা অপমানিত মনে হত নিজেদের। আমার রক্ত গরম হয়ে গেল, যেরকম হয়েছে আগে আরও হাজারবার নানা কারণে, কিন্তু এবার ভুলে যাবার আগে লিখতে বসলাম । আমি জানি এটা দিয়ে হাজার অভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার টিকে থাকা হয়তো হবেনা, তাদেরকে ব্রিজ এর নিচে দাঁড়িয়ে ফেরি করে রিক্সা চালিয়ে ফিরতে হবে ঢাকার কোন বস্তিতে, বা বয়সের আর লাঙ্গলের ভারে ন্যুব্জ হয়ে গ্রামের ছোট্ট বাসায় আগের মতনই। কিন্তু আমরা কি পারিনা ২৬শে মার্চে পতাকা উড়িয়ে দিতে তাদের বাড়ির সামনে? আর বছরের ৩৬৫ দিন পতাকা উড়ানোর আইনি অধিকার দিতে? আমাদের গর্বের মুক্তিযোদ্ধারা ফিরে পাক তাদের হারানো আত্মবিশ্বাস, ১০০ ভাগ ঠিক ছিলেন তারা দেশের জন্য যুদ্ধ করতে গিয়ে এবং কাজটি শেষ করেছেন পুরাপুরি আমাদের কে পতাকা এনে দিয়ে। পতাকা উড়ানোর অধিকার কি লুটে খেয়ে নেয়া মন্ত্রীর বেশি? নাকি যুদ্ধে হারা নিজামীর? জানিয়ে দিতে চাই নিজামী, সাকা চৌ বা মুজাহিদিদের, না পতাকা উড়াতে পারছো না আর। সে অধিকার নেই তোমাদের। অধিকার যদি থাকে সেটা যুদ্ধ জিতে ফেরা একজন মুক্তিযোদ্ধার। অধিকার অজান্তে বলতে পারার সকালে কোনও এক অচেনা মুক্তিযোদ্ধার বাসার সামনে দিয়ে স্কুলে যাওয়া শিশুটির “এখানে থাকেন মুক্তিযোদ্ধা”। যেটা বলতে পারেনি আমাদের প্রজন্ম।
আগামী ২৬শে মার্চেই বাংলাদেশে ভোর হোক প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার বাড়ির সামনে উড়তে থাকা পতাকায় ভর করে। সংবিধানে আর একটি বাক্য সংযোজন করা হোক প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার বাড়ির সামনে পতাকা ওড়ানোর অধিকার নিশ্চিত করে। ৪০ বছর পেরিয়ে গেছে, আর দেরী নয়।
-- আর্গাস
মন্তব্য
এই দাবিটি ছড়িয়ে দিই সবাই, আসুন।
আপনার এই দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
একমত আপনার সাথে।
এক মত।
--------------------------------------------
বানান ভুল হইতেই পারে........
অসাধারণ চিন্তা। পূর্ণ সহমত।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
একাত্মতা প্রকাশ করলাম।
কাকস্য পরিবেদনা
দারুন!
পূর্ণ সহমত
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আমরা ওড়াবো নিশ্চিত আমাদের স্পর্ধিত সাহস লালসবুজের পতাকায়!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
নিজ নিজ বাড়ির সামনে জাতিয় পতাকা ওড়ানোর অধিকার তো সম্ভবত সকল নাগরিকেরই আছে। বিশেষ করে স্বাধীনতা দিবস আর বিজয় দিবসে তো পথে ঘাটে হাজার হাজার পতাকা দেখা যায়। এই ১৬ ডিসেম্বরেই আমরা সপরিবারে ঘুরতে বের হওয়ার সময় আমার সাড়ে তিন বছরের মেয়ের হাতে একটা ক্ষুদ্র পতাকা ছিলো, সে রিক্সায় যেতে যেতে যেখানেই পতাকা দেখে সেখানেই চিৎকার করে বাবাকে জানায় 'বাবা বাবা ঐ যে পতাকা'
এখন আলাদা করে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে জাতিয় পতাকা ওড়ানোর আইন করলে কয়েকটা মুশকিল হবে।
১. দেশে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা আর কে কে আদতেই মুক্তিযোদ্ধা তা নিয়ে অনেক মতবিরোধ আছে। সার্টিফিকেটধারী অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা না, আবার সার্টিফিকেটহীন অনেক মুক্তিযোদ্ধাই আছেন। সরকার নিজেও জানে না কারা আদতে মুক্তিযোদ্ধা। আবার অনেকেই আছেন মনে মনে মুক্তিযোদ্ধা। এই বিভ্রান্তির মধ্যে কারা পতাকা ওড়াবে আর কারা ওড়াবে না?
২. জাতিয় পতাকা দেখে 'মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি' সনাক্ত করাটাও মুশকিল। অনেক মুক্তিযোদ্ধারই ঠাঁই নাই, তারা কী করবে?
আর পুলিশ দিয়ে ঠেকানো যেহেতু যাবে না, সেক্ষেত্রে অনেকেই এই সুযোগ নিবে। বাড়ির সামনে জাতিয় পতাকা লটকিয়ে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা জাহির করবে।
৩. জাতিয় পতাকা যদি মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয়বাহী হয়ে যায় তাহলে সবচেয়ে বড় বিপদে পড়বো যারা মুক্তিযোদ্ধা না কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, তারা। আমি ভালোবেসে আমার বাড়িতে জাতিয় পতাকাটা লটকাতে চাই। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা নই বিধায় পারছি না। ব্যাপারটা খুব কষ্টকর হবে।
৪. স্বাধীনতা দিবস আর বিজয় দিবসে দেশটা ছেয়ে যায় জাতিয় পতাকায়। বছর বছর এই সংখ্যা বাড়ছে। আকাশ ছেয়ে যাক লাল সবুজে... এটাই আমার কাছে বেশি ভালো লাগবে হয়তো
সব মিলিয়ে আমি আপনার প্রস্তাবে দ্বিমত জানালাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজু ভাই, লেখকের এই লাইন কয়টার দিকে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করি—
সারা দেশ ছেয়ে যাক মুক্তিযোদ্ধায়, দেশের প্রতিটা বাড়িই হয়ে উঠুক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি। কিন্তু কোনো রাজাকারের বাড়িতে যেনো জাতীয় পতাকা না উড়ে, তাদের গাড়িতে যেনো জাতীয় পতাকা না ওঠে! প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে না জানুক, একজন স্কুলের ছাত্র যেনো অন্তত এইটা জানতে পারে, "এইখানে থাকে এক কুখ্যাত রাজাকার!"
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অক্ষরে অক্ষরে একমত নজুদার সাথে!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
পোস্ট পড়তে পড়তে যে সমস্যার কথা মাথায় এসেছিল নীচে এসে দেখি নজু ভাই বলে দিয়েছেন...
দেশে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা আর কে কে আদতেই মুক্তিযোদ্ধা তা নিয়ে অনেক মতবিরোধ আছে। সার্টিফিকেটধারী অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা না, আবার সার্টিফিকেটহীন অনেক মুক্তিযোদ্ধাই আছেন। সরকার নিজেও জানে না কারা আদতে মুক্তিযোদ্ধা। আবার অনেকেই আছেন মনে মনে মুক্তিযোদ্ধা। এই বিভ্রান্তির মধ্যে কারা পতাকা ওড়াবে আর কারা ওড়াবে না?
এটা অনেক বড় এবং প্রধান সমস্যা...
বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন টেস্টের সময় আমি দেখেছি অনেকেই কিভাবে যেন তাদের বাবার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেছে...
তারচে বড় বিপদজনক আর কষ্টকর ব্যাপার হল তাদের মধ্যে একজনকে আমি সমস্ত স্কুল জীবন, পাকিস্তান বিভক্ত হয়ে মুসলমানেরা আলাদা হয়ে গেল একারণে আফসোস করতে দেখেছি ..
অবশ্যই উত্তরাধিকারসূত্রে সে শেখ মুজিবকে ভারতের দালাল হিসেবে জানতে শিখেছিল।
তাই মনে হয় এরকম প্রস্তাব বাস্তবায়নে নতুন জটিলতার সৃষ্টি হবে...
-----------------------------------------------------------------
নির্জলা নৈবেদ্য
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
সহমত
পূর্ণ সহমত।
“নিজ নিজ বাড়ির সামনে জাতিয় পতাকা ওড়ানোর অধিকার তো সম্ভবত সকল নাগরিকেরই আছে। বিশেষ করে স্বাধীনতা দিবস আর বিজয় দিবসে তো পথে ঘাটে হাজার হাজার পতাকা দেখা যায়।“
হ্যা, কিন্তু সেটা করা যায় শুধু ৩ দিন বছরে,
(a) Birthday of the Holy Prophet (Eid-e-Milad-un-Nabi)
(b) Independence Day on the 26thMarch.
(c) Victory Day on the 16thDece mber.
(d) Any other day as may be notified by the Government
Ref: http://www.scribd.com/doc/21966234/Bangladesh-National-Flag-Usage-Guidelines (Article 4.II)
১ নং প্রশ্নের উত্তরে ( এবনং জুয়েইরিযাহ মউ এর জবাবে) আমি লেখার আগে চিন্তা করেছি এইটা নিয়ে। আমি আইন বিশেষজ্ঞ না, কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে, আইনের enforcement হয় কতগুল assumption/confidence এর উপর। আমরা তুলনা করতে পারি ভুয়া ভিসা/সনদ এর ব্যাপারটার সাথে। আপনি যদি কোনও দেশে ঢুকে যান ভিসা নিয়ে, সেটা যদি ভুল তথ্য দিয়েও হয়, আপনি সেই দেশে থাকতে পারছেন যতদিন না এ ব্যাপার এ সুরাহা হচ্ছে। একই ভাবে কেউ নকল করে পাশ করে সনদ নিয়ে চাকরি শুরু করলে, যতক্ষণ না নকল প্রমানিত হচ্ছে ততক্ষন চাকরি থাকে। আমরা জানি অনেক মুক্তিযোদ্ধার সনদ নাই, অনেকের নিবন্ধন নাই মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে। কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা রাষ্ট্রের অন্য অনেক ব্যাপার এর মত (যেমন আয়কর রিটার্ন), “in good faith” মুক্তিযোদ্ধার সনদধারীদের অধিকার দিতে পারি। পরে যদি কেউ মামলা করতে চায় করবে, সুরাহা যদি হয় সনদ ভুয়া, তাইলে তার অধিকার বাতিল হবে। কিন্তু কিছু “ভুয়া”মুক্তিযোদ্ধার জন্য বাকিদের বঞ্ছিত করার কারন দেখিনা।
২ নং প্রশ্নের উত্তরে>> আমাদের অনেক ব্যাপারেই পুলিশ দিয়ে ঠেকাতে পারিনা অর্থের অভাবে বা যোগ্য মানবসম্পদের অভাবে, আমরা কি সেই আইনগুলো বাতিল করে দেই বা নতুন আইন সংযোজন করিনা? সংবিধান আমার কাছে মনে হয় রাষ্ট্রের বিবেকের মত (একান্তই ব্যাক্তিগত মত), হয়তো অনেক কিছু সবসময় করতে পারবেনা কিন্তু intent প্রকাশ করা টা দায়িত্বের মধ্যে পড়ে যায়।
৩ নং প্রশ্নের উত্তরে>>আমরা এখনি সংবিধান অনুযায়ী পতাকা তিন দিন উড়াতে পারি, খুব বেশি অবস্থার পরিবর্তন হবেনা, আমরা মনে হয় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এতটুকু “কষ্ট” সহ্য করতে পারব। অধিকার অর্জন করতে হয়, আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধা না, তারা এই অধিকার অর্জন করিনি । এটা একটা বাস্তবতা, আমরা অনেকেই ঠিক সময় ঠিক যায়গাতে ছিলাম না।
৪ নং প্রশ্নের উত্তরে>> আমিও তাই চাই, এটার সাথে আমাদের প্রস্তাবনার কোনো সঙ্ঘাত নেই।
আমি যখন রাতের বেলা বাসায় ফিরে লিখতে বসেছিলাম, আমার মাথায় এগুলার সাথে আরও এসেছিলো মুক্তিযোদ্ধাদের সংস্থানের ব্যবস্থা না করে পতাকার অধিকার দিয়ে লাভ কি হবে। আমার মনে হয়েছে,
ক> এটা খুব সহজে rollout করা যাবে। খুব বেশি অর্থের প্রয়োজন নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান কে সম্মান জানানো হবে। সংস্থান খুবই জরুরি কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন।
খ> আমরা অনেক সময়, দীর্ঘমেয়াদী impact নিয়ে চিন্তা করি। রাজাকারদের বিচারের ব্যাপারে অনেকে বলছে, এটা হলে কি আমাদের খাদ্য সমস্যার সমাধান হবে? বিদ্যুৎ ঠিক হবে? না হবেনা। কিন্তু বিচার না করলে কি হবে? তাও না। তাইলে কেন করতে হবে? Because this is the RIGHT thing to do. দেশের morale এও ভাল impact পড়বে সুবিচার হলে। আমার কাছে মনে হয়, পতাকা উড়াবার অধিকার মুক্তিযোদ্ধা আত্নবিশ্বাস তো বাড়াবেই, তাছাড়া আমাদের নতুন প্রজন্ম উৎসাহিত হবে দেশের জন্য ত্যাগ করার জন্য, তারা খুঁজে পাবে তার প্রতিবেশীই একজন Super hero.
--আর্গাস
চেতনা এবং প্রস্তাবের সাথে সহমত জানিয়ে যোগ করছি একটা সমস্যা। আমি দেখেছি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অর্ধবিশ্বাসী থেকেও অনেক লোক বাড়ীর ছাদে পতাকা ওড়ায়। সাকা নিজামীদের বিচারকে ৪০ বছরের পুরোনো ফালতু ক্যাচাল মনে করে সেরকম লোকও জাতীয় পতাকা পতপত করে ওড়ায় বিশেষ দিবসে। যার বুকে পতাকা নেই তার বাড়ীর ছাদে পতাকা দেখে কষ্ট লাগলেও নিরুপায় থাকি।
যদিও অনেক বছর দেরী হয়ে গেছে। তবু এরকম কি করা যায়?
মুক্তিযোদ্ধার সনদের মতো, প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধাকে জন্য সরকারীভাবে একটা করে বিশেষভাবে তৈরী জাতীয় পতাকা বরাদ্দ করা যায় না? মুক্তির পতাকা কিংবা বিজয় পতাকা কিংবা স্বাধীনতা পতাকা।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
দেখুন প্রথম কথা হল যখনই এই পতাকা উত্তোলন বিষয়ক কর্মসূচী শুরু করা হবে তখনই দরকার হবে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি নির্ভরযোগ্য তালিকা...
সে তালিকা কি আছে এই মুহূর্তে আমাদের হাতে ??
নেই...
"“in good faith” মুক্তিযোদ্ধার সনদধারীদের অধিকার দিতে পারি। পরে যদি কেউ মামলা করতে চায় করবে, সুরাহা যদি হয় সনদ ভুয়া, তাইলে তার অধিকার বাতিল হবে।" -
আর যদি মামলা না হয়?? তবে... রাজাকারের বাড়িতে পতাকা আজীবন উড়বে!! শুধুমাত্র এইজন্য যে সে আমাদেরই ভুলে একটা সনদপত্র হাতিয়ে নিতে পেরেছে??
আমরা যখন প্রায় নিশ্চিত যে যতগুলো সনদপত্র দেয়া হয়েছে তার মধ্যে একটি হলেও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার হাতে পড়েছে সেখানে জেনেশুনে একজন রাজাকার অথবা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে একজন মুক্তিযোদ্ধার সমান অধিকার কেন দেবো ??
এখন এ কর্মসূচী হাতে নেয়া মানেই অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা যারা হয়ত রাজাকার, তাদের অনুমুতি দিয়ে দেয়া যে তাদের বাড়িতে আমাদের প্রাণের পতাকা উড়বে।
আগে সেইসব রাজাকারদের কাছে থাকা মুক্তিযোদ্ধা-সনদপত্র বাতিলের কর্মসূচী প্রয়োজন... আগে মুক্তিযোদ্ধাদের নির্ভরযোগ্য একটি তালিকা প্রয়োজন...
নয়তো ঘুরেফিরে সেই একই ঘটনা ঘটবে... নিজামীর গাড়ির সামনে পতাকা ওড়ার মতোনই আরেক শুয়োরেরবাচ্চা রাজাকারের বাড়িতে আমার পতাকা উড়বে...
আমাদের নতুন প্রজন্ম উৎসাহিত হবে দেশের জন্য ত্যাগ করার জন্য, তারা খুঁজে পাবে তার প্রতিবেশীই একজন Super hero. -
আগে আমরা নাহয় নিশ্চিত হয়ে নেই যে সত্যিকারের super hero দের বাড়িতেই আমরা পতাকা উড়তে দেখবো... কোন বাচ্চা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কাউকে স্যালুট দেয়ার পর বড় হয়ে যখন জানবে অইটা একটা রাজাকার ছিল তখন আমাদের কি সে ক্ষমা করবে বলুন ??
তাই বাংলাদেশের বর্তমান সামাজিক আর রাজনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এখন এ কর্মসূচী গ্রহনযোগ্য নয়...
-------------------------------------------------------------------
নির্জলা নৈবেদ্য
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
সহমত
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অসাধারণ। পুর্ণ সহমত জানাই।
অনন্ত
নতুন মন্তব্য করুন