স্রী শুধায়, চাল ফুরালো, ডালও শেষের দিকে
অফিস ফেরত ক্লান্ত স্বামীর মুখটা ঠেকে ফিকে।
সাবান মাখেন গালে, সাথে ভাবেন সমান তালে
আয়ের চেয়ে খরচ কিবা কমবে কোনকালে?
চোখ জ্বলে বেশ, তাই তিনি তার হাতটা চালান জোরে
পাড়ার সকল ছেমড়া-ছোড়ার আড্ডা গলির মোড়ে।
মেয়ে পড়ে তার ইন্টারে, বেশ দেখতে লাগে তাকে,
বাড়ির পথে গলির মোড়ের কেউ কি তাকে ডাকে?
টেনশনে আর হয় না গোসল, গলির দিকে ছুটেন
সিড়ির গোড়ায় মেয়েকে দেখে হাফটা ছেড়ে উঠেন।
মুক্ত মনে, শরীর ছেড়ে, দেখতে বসেন টি.ভি
কালকে কি কি আনতে হবে, ফর্দ ধরান বিবি।
ঝায়-ঝামেলা ভাল্লাগেনা, সাহেব ভাবেন ফের,
হায় খোদা হায়! কাঁপল মাটি, কেউ কি পেল টের?
ভূমিকম্প, নতুন টপিক, শঙ্কা সাধারনে,
আরেকটি দিন বাঁচব নাকি প্রশ্ন জাগে মনে।
খাওয়ার জন্য ডাক পড়ে তার, হাতটা ধুবেন যেই,
মোচড় মারেন কলের গোড়ায়, বুঝেন পানি নেই।
খাওয়ার পানি ঢালেন হাতে, ভাবেন হাবি-জাবি
“আমার মত দূর্ভাগা আর কোথায় খুঁজে পাবি?”
ষোল আনার আনা দেড়েক তবুও ছিল বাকি,
এক নলা ভাত পুরতে মুখেই কারেন্ট দিল ফাঁকি।
খেপেন সাহেব, খেপে প্রেশার, বিছানা হয় মিত্র,
এই ধরনের দুর্দশা আজ লাখ বাঙ্গালির চিত্র।
---তানজিল আমিন
মন্তব্য
ভালো লিখেছেন তানজিল আমিন, ভালো লাগলো। জায়গায় জায়গায় একটুখানি ছন্দের মাত্রায় গোলমাল হয়েছে তবে মেজর কিছুনা।
সচলে কি নতুন লিখছেন? নামটা আগে দেখেছি বলে মনে পড়ছেনা।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
একেবারেই নতুন। এতদিন চুপচাপ পড়তাম। আজ মনের শখে লিখলাম। ছন্দ-মাত্রা সম্পর্কে খেয়াল রাখব। সমালোচনার এত সুখ আজ জানলাম।
--তানজিল
স্বাগত তানজিল ভাই।
লিখে যাও, সুন্দর হয়েছে।
ছন্দের সামান্য যেটুকু খামতি রয়েছে, ও তুমি খেয়াল করলে নিজেই ঠিক করে পারবে।
সাত্যকি
ধন্যবাদ ভাই। এরপর আরও যত্ন নিয়ে লিখার চেষ্টা করব...
ছড়া ভালো লেগেছে। পোস্ট সংরক্ষণ করার আগে কয়েক বার রিভিউ দেখে নিতে পারেন। আশা করা যায় তাতে বানান ভুলের দৌরাত্ম্য অনেকটাই কমে যাবে। লিখতে থাকুন হাত খুলে।
স্রী > স্ত্রী
কোনকালে > কোনো কালে
তিনি তার > তিনি তাঁর
ছুটেন > ছোটেন
সিড়ির > সিঁড়ির
হাফটা > হাঁফটা
উঠেন > ওঠেন
টি.ভি > টিভি
কালকে কি কি আনতে হবে > কালকে কী কী আনতে হবে
ভাল্লাগেনা > ভাল্লাগে না
সাধারনে > সাধারণে
ডাক পড়ে তার > ডাক পড়ে তাঁর
দূর্ভাগা > দুর্ভাগা
বাঙ্গালির > বাঙালির
কুটুমবাড়ি
অসংখ্য ধন্যবাদ। বানান সম্পর্কিত অজ্ঞতা নিয়ে কাজ করব এরপর থেকে।
--তানজিল
ভালই লাগল। লিখতে লিখতে আরো ভালো হবে আশা করি।
...............................
নিসর্গ
ধন্যবাদ।
--তানজিল
দারুণ ভাল লাগল তানজিল ভাই; আপনার জন্যে আপনার লেখা থেকেই একটি অনুরোধমূলক উদ্ধৃতিঃ-
"চোখ জ্বলে বেশ, তাই তিনি তার হাতটা চালান জোরে"
যেন আমরা বেশিবেশি ভালভাল লেখা পাই......
-অতীত
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
--তানজিল
দুনিয়ার সব মেয়েই ইন্টারে পড়ে, না?
দাঁড়া, তোর খবর করতেসি
---আশফাক আহমেদ
ছিঃ ছিঃ অমন করে বলতে নেই...
--তানজিল
সাব্বাশ ইয়ের্ভাই।
ইক্টূ টোকা দিলেও তো পারতি, এই ছড়াটা মিস করে যেতাম নইলে।
_________________________________________
সেরিওজা
ধন্যবাদ ভাই, এরপর কিছু লিখলে একটা বড় টোকা দিবানি....
--তানজিল
হাঁক দিয়ে বলে যাই, ঠাকুর ঘরে কে রে?
ও,ঠিক চিনেছি তোকে, লিখেছিস বেড়ে!!
সুস্বাগতম।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
আমি কলা খাই নাই কসম ক্ষুধার...
---তানজিল
গুরু...
এভাবেই হয় শুরু...
মোক্ষম হয়েছে ব্যাটা। চালিয়ে যা।।
_______________________________________________
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???
জানু মিছ ইউ...
--তানজিল
সচলে স্বাগতম। কবিতা ভাল লাগল।
ধন্যবাদ...
--তানজিল
মজার তো!
নতুন মন্তব্য করুন