হন্তদন্ত হয়ে বাসায় ঢুকেই রুমে চলে এলেন মিজান ভাই। সাথে এক অপরিচিত লোক, প্রায় মিজান ভাই এর সমবয়সী। আমি তখন তিন ছিদ্রের চৌবাচ্চা পানি ভর্তি করতে ব্যস্ত অংকের খাতায়। আম্মু রান্নাঘরে। আব্বু অফিসে গেছে আগেই। এখন বাজে প্রায় এগারটা। ছুটে এসেই ফিসফিস করে মিজান ভাই আমাকে বললেন তোমার ইংরেজি গ্রামার বই কোথায়? তাড়াতাড়ি দাও। আমি কিছু না বুঝে ছিদ্র বন্ধ না করেই ছুটলাম বই এর তাক এর দিকে। এদিকে চৌবাচ্চার পানিশূণ্যতা দেখা দিতে লাগল। বই হাতে দিয়ে বললাম কি করবেন? মিজান ভাই বললেন একটা রচনা দরকার, এক্ষনি। হাতে সময় নেই একদম। আমি বললাম কি রচনা? অপরিচিত ভাইটি বললেন- “A Journey by Train”। মিজান ভাই তখন সমানে অপারেশন ফাইন্ড ট্রেন চালাচ্ছেন। আর তার নির্মম অপারেশনে আমার সাধের বাঁধাই করা বইটা প্রায় ত্যানা ত্যানা হয়ে যেতে লাগল। আমি বই বাঁচাতে তার হাত থেকে কেড়ে নিয়ে বললাম দেন আমি বের করে দেই। রচনা খোজার সময় মিজান ভাই বললেন, ওহ্হ, তোমাকে তো বলা হয়নি। এ হল আমার ফ্রেন্ড রাজু। এর ছোট ভাই এবার এস. এস. সি. দিচ্ছে। তোমাদের স্কুলেই সিট পড়েছে। আজ ইংরেজি পরীক্ষা, সেকেন্ড পার্ট। রচনা কমন পড়ে নাই। পড়ে আসছে “A Journey by Boat”। কিন্তু পরীক্ষায় এসেছে বাই ট্রেন। স্থলপথ-জলপথ নিয়ে টানাটানি! এখন কম্পোজ নিয়ে যেতে হবে। একঘণ্টা এরমধ্যে শেষ। আমি পরীক্ষার্থীর যাত্রা বাঁচাতে তড়িঘড়ি করে রচনা বের করে দিলাম মিজান ভাইকে।
সেটা যতসম্ভব মনে পড়ে ১৯৯৬ সালের ঘটনা। আমি তখন ক্লাস সিক্স এ। এস. এস. সি. পরীক্ষা উপলক্ষে স্কুল ছুটি। আমার স্কুল ঐ এলাকার কেন্দ্রীয় পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল। ছুটিতে অফুরন্ত সময়। আমি সকাল সন্ধ্যা দুই বেলা চারঘণ্টা আব্বুর ভয়ে বই নাড়াচাড়া করি; আর বাকি সময় ক্রিকেট, ফুটবল বা সাইকেলের সাথেই কাটে। সে সময় আমাদের মত মফস্বল এলাকার স্কুলগুলোতে নকলের দশা ছিল যাকে বলে রমরমা অবস্থা। বাজারে ফটোকপির দোকানগুলো নকল সাপ্লাই দিতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে। বছরের এই সময়টাতে এই নকলের বদৌলতে অনেক ফটোকপির দোকান-ই শুধু এক আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ না, হাত-পা মিলে কুড়ি আর মনে হয় ফ্রি পাওয়া আরও কতসংখ্যক আঙ্গুল ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রায় শ’খানেক তালগাছের মত হয়ে গেল। দোকানের কর্মচারীদের এলাকায় সেসব তালগাছ পরে শোভা পেতে লাগল আপন স্থাপত্য মহিমায়। যাকগে সে কথা। আসল প্রসঙ্গে আসি। তো সেই নকল সাপ্লাই দেয়া হত প্রায় পকেট সাইজের কাগজে ফটোকপি করে যার নাম ছিল আমাদের এলাকায়- “কম্পোজ”। পরীক্ষার গার্ড দিতেন যেসব শিক্ষক তাদের অনেকেই স্বেচ্ছায় কিংবা বাধ্য হয়ে হলেও বাধা দিতেন না এসব কর্মকান্ডে। বাইরে থেকে পুলিশ মোতায়েন করে কিংবা পরীক্ষাকেন্দ্রে বই না রেখে শুধুমাত্র নকলমুক্ত পরীক্ষার লোকদেখানো শ্রাদ্ধ করা হত। পরীক্ষার্থীরা ঠিকই তাদের শরীরের বায়ান্ন বাজারের তিপ্পান্ন গলির সবগুলাই টইটুম্বুর করে নিয়ে আসত কম্পোজ। এবং পরীক্ষা শেষে অনেকেই বন্ধুদের বাহবা পেত অত্যাধুনিক কোনো গলির সন্ধান দিতে পারলে। আর নিয়ে আসা কম্পোজ থেকে যদি কমন পড়ে প্রশ্ন তবে তো কথাই নেই। কম্পোজকারী এবং সংশ্লিষ্ট ফটোকপির দোকান সাথে সাথে মোস্ট ওয়ান্টেড হয়ে , তদকালীন হিন্দী ছিনেমার মাধুরীর আবেদনকে পেছনে ফেলে টপচার্টের শীর্ষে পৌঁছে যেত।
তো রাজুভাই এর ছোটভাই এর যাত্রা রক্ষার নিমিত্তে মিজান ভাই বইটা হাতে নিয়ে বের হলেন বাজারের উদ্দেশ্যে, ফটোকপি করবেন। বাজার আর স্কুল আমার বাসার প্রায় সাথেই বলা চলে। হেঁটে পাঁচ মিনিটের পথ। আমিও বের হলাম তাদের সাথে। তবে আমার উদ্দেশ্য পরীক্ষার্থীকে বাঁচানো নয়; আমার সাধের বইটিকে বাঁচানো। চলতে চলতে ভাবতে লাগলাম, বোটের জায়গায় ট্রেন আসলে তো খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা না। অন্তত বোটে মানে নৌকায় গেলে একটা রিস্ক থাকে; মানে সাঁতার পারা। ট্রেনে তো সেই সমস্যা নাই। বোট থেকে ট্রেনে উঠে গেলেই হয় খাতার মধ্যে। নাকি পরিক্ষার্থীর কলম ইতোমধ্যে বোটের বৈঠা হয়ে গেছে। এখন রেলপথে উঠাইতে গেলে কম্পোজ ছাড়া সম্ভব না? যাই হোক, দোকানে গিয়ে বইটা দিলাম ফটোকপিকারী কে আর সাবধানে ধরে করতে বললাম যেন বই এর কোনো ক্ষতি না হয়। আমি বাই ডিফল্ট, বই এর ব্যাপারে একটু বেশি সেনসিটিভ ছিলাম ছোটবেলা থেকেই, এখনও আছি। দোকানীর কি আর সেদিকে খেয়াল আছে? আমি নিশ্চিত সে তখন তার তালগাছের সংখ্যা কিভাবে বাড়ানো যায় এই চিন্তায় বিভোর। মেশিনের উপরে উপুড় করে ঠাস্ করে ফেলে ডালা নামিয়ে অত্যন্ত নির্মমভাবে বইটাকে জ্যান্ত সামান্তরিক আকৃতির একটা স্যান্ডুইচ বানিয়ে ফেলল তৎক্ষণাৎ। দ্বিমুখী সংকোচন চাপে আর আলোর ছটায় বইটা যেন কাতরাতে লাগল সদ্য গলাকাটা মুরগির মত। চেয়ে চেয়ে দেখলাম রচনাটা যে পাতায় ছিল সেই পাতার বনসাই বের হয়ে আসছে মেশিনের পাশে থেকে আস্তে আস্তে।
সময় বেশি নেই। তাড়াতাড়ি কম্পোজ নিয়ে ছুটলাম স্কুলের গেটে। সুশৃংখলা (!) বজায় রাখতে কম্পোজ বহনকারীদের স্কুলে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। তারা পেছনের জানালায় তাই হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। বিশাল অবস্থা। দেখে মনে হচ্ছে জানালার ওপাশে কোনো অত্যাকর্ষণীয় চিড়িয়াকে দেখতে উন্মুখ সবাই। জানালার সাথে লেপ্টে থাকা একজন একত্রে অনেকগুলো কম্পোজ নিয়ে গ্রিলের ফাঁক দিয়ে ঢুকিয়ে দিচ্ছে কোনোমতে। ভেতরে সুষম বন্টন হয়ে যাচ্ছে পারস্পরিক সমঝোতায় পরীক্ষার্থীদের কল্যাণে। শুধু বাইরেই একটু গ্যাঞ্জাম, ভিতরে টু শব্দটি পর্যন্ত নেই। পিনপতন না একেবারে বায়ুপতন নিরবতা। কাছে ভিড়তে পারলাম না আমি আর মিজান ভাই। রাজু ভাই এর তাগড়া শরীর। প্রায় হা রে রে করে ছুটে গেলেন সামনে। তার ভয়াল তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেল জনতার জট। সেই ফাকে দেখে নিলাম জানালা দিয়ে রুমে উপস্থিত গার্ড দেয়া শিক্ষককে। উদাস মনে নিজের চেয়ারে বসে বাম হাতে পত্রিকা নিয়ে বসে আছেন। আর ডান হাত দিয়ে বিশ্রীভাবে নাক চুলকে চলেছেন। বাইরে বা ভেতরে কি হচ্ছে এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা তো দূরে থাক, চোখব্যথাও নেই। রাজু ভাই যখন কম্পোজ দিতে যাবেন জানালার গ্রিলের ফাক দিয়ে এমন সময় আরও চার-পাঁচজন তার হাতে নিজ নিজ কম্পোজ জোর করে গুঁজে দিল আশেপাশে থেকে। যেন হাগার সাথে হারপিক ফ্রি! সব কম্পোজ মিলে হাতের তালুতে তালগোল পেকে গেল। কতকগুলোর কিছু অংশ ছিড়েও গেল মনে হয়। তাই-ই কোনোক্রমে ভাই এর হাতে দিয়ে ভিড় ঠেলে বের হয়ে আসলেন রাজু ভাই। এসেই হাঁফ ছাড়লেন, বাপরে!
এবার পরীক্ষা শেষ হওয়ার অপেক্ষা। আমিও থেকে গেলাম তাদের সাথে। দেখি কি হয়। স্কুলের সাথেই রাজপথ। তার অপরপাশে একটা খোলা মাঠের মত আছে। আমরা সেখানে বসে আইসক্রিম চিবাইলাম কিছুক্ষণ। তারপর চলল বিভিন্নরকম আলোচনা। রাজু ভাই তো দেশের পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে ভয়াবহ রকমের চিন্তিত-কম্পিত-উৎকন্ঠিত-শংকিত। যাকে বলে একেবারে হতাশ! যাদের নৌকা থেকে ট্রেনে উঠতে কম্পোজ লাগে তারা প্লেনে উঠলে কি করবে? আমি ব্যাপক মনোযোগ দিয়ে মিজান ভাই এর সাথে তার জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় দীক্ষা নিতে থাকলাম। কিন্তু বিধিবাম! আমার সে শিক্ষা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই শেষঘণ্টা বেজে গেল। আমার শেখা শেষ হল না। আগে শুধু নিজের লিখিত পরীক্ষায় দেখতাম যে প্রকৃতির আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে “ ভারসাম্য” নামক একটা ব্যাপার থাকলেও, আমার উত্তর দেবার সময়ের সাথে প্রশ্নপত্রের সাথে ফ্রি দেয়া (স্যারদের মতে) তিন ঘণ্টা সময়ের কোনোই ভারসাম্য ঘটত না। আমার উত্তরপত্রের উদরপূর্তি হত না কখনো সেই ফ্রি সময়ের মধ্যে। আর এখন দেখি শুনতে গিয়েও একই অবস্থা! অভাগা যেদিকে চায়, সাগর শুকিয়ে যায়।
যাই হোক দেশ-জাতির ভবিষ্যত প্রজন্ম ফেলে রেখে আমরা গেলাম গেটের কাছে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় পনের-বিশ মিনিট পর বের হল পরীক্ষার্থী। ঘেমে একশেষ ট্রেন ভ্রমণ করতে গিয়ে। আমরা হাঁটা ধরলাম। প্রশ্নপত্র হাতে নিয়ে রাজু ভাই দেখতে লাগলেন আর জিজ্ঞাসা করতে থাকলেন টুকিটাকি। ভালোই হয়েছে শুনলাম। রচনা কেমন লিখল জিজ্ঞাসা করায় সে বলল যে একেবারে পাই-টু-পাই তুলে দিয়েছে কম্পোজ থেকে। দাঁড়ি-কমা-সেমিকোলন সমেত। কোনো ভুল হয়নি। তবে প্রথমে নাকি কম্পোজ পেয়ে একটু চিন্তিত হয়ে গিয়েছিল সে। টানাটানিতে উপরের একটু অংশ ছিড়ে গিয়েছে। তবে রচনা অক্ষত ছিল। শুনে আশ্বস্ত হলেন রাজু ভাই; সাথে আমরাও। ভাগ্যিস শ্রম বিফলে যায়নি। মিজান ভাই আর রাজু ভাই আলাপ করতে করতে এগোতে থাকলেন; পেছনে পরীক্ষার্থী (কিছুটা চিন্তিত ভাব নিয়ে) আর সবার পেছনে আমি। মিনিট দুয়েক গিয়েছি এমন সময় পরীক্ষার্থী রাজু ভাইকে ডেকে বলল-“ আচ্ছা, ভাইয়া, রচনা তো ঠিকই লিখলাম; কিন্তু সেখানে Train জাতীয় কোনো শব্দ ছিল বলে তো মনে পড়ে না”।
(সত্য কাহিনী অবলম্বনে)
-অতীত
মন্তব্য
মজা পেয়েছি। চমৎকার লেখনী!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
অসংখ্য ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই, আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগছে
-অতীত
হা হা হা! চমৎকার বর্ণনা।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আপনার মন্তব্যে খুশি হলাম যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
তবে আমার কাছে বর্ণনা এর চাইতে ঘটনাটা মাত্রাতিরিক্ত চমকপ্রদ মনে হয়েছে; এবং নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন কাহিনীটা সত্যি!!!
-অতীত
ওহহহ...কি উপমা!
কি আর বলব??? যদি সেই সময় আপনি আমার সাথে থাকতেন তবে বুঝতেন
-অতীত
দারুন লাগলো,ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ পড়ার জন্যে
পুনশ্চঃ নিচে নিক টা দিয়ে দিলে ভালো হত
-অতীত
সৈয়দ মুজতবা আলীর মাছি মারা কেরানীর গল্প মনে পরে গেল।
ভালো হয়েছে, ধন্যবাদ।
কীরণ
আপনাকেও ধন্যবাদ
-অতীত
ভাইয়া আমাদের নেক্সট মুজতবা আলী।
আপনাকে এতো চরম লেখার জন্য মাইনাস।:)
---আশফাক আহমেদ
তুমি দেখি সচলে ইমারত-জহরত ফেলে ধূলাবালি নিয়া লাইগা আছো;
আস্তে কও, মান ইজ্জত সব যাইবগা; ইশ!!! টাইপ করতে জানলেই যদি ভালো লেখা যাইতো, খালি টাইপই কইরা যাইতাছি
-অতীত
ট্রেন না থাক, জার্নি তো ছিল!
--- থাবা বাবা!
শুধু তো ট্রেনের কথাই কইছিল, জার্নির কথা কয় নাই। কিন্তু কথা এইডা না। কথা হইল জার্নি ছিল-এইডা আপনি জানলেন ক্যামনে??? তবে কি আপনিই সেই পরীক্ষার্থী নাকি???
-অতীত
ভাল লাগলো আপনার লেখা।
অনন্ত আত্মা
অনেক ধন্যবাদ
-অতীত
জাহাক্কাশ।
ইমুনই সন্দ করছিলাম।
সাত্যকি
আমি কিন্তু এখনও চিন্তা করছি আসলে ট্রেন বিহীন ট্রেন ভ্রমণ হল কিভাবে???
-অতীত
ঘটনাটা সত্যি জেনে অবাক হইনি তবে মজা পেয়েছি। স্কুল এ আমাদের বাংলা শিক্ষকের কথা মনে পড়ে গেল। উনি একবার এস,এস,সি খাতা দেখার সময়ে খাতায় রচনার উপসংহার শেষে লেখা ছিল " লেখার পরে কামালকে দিয়ে দিও" ...
লেখার পরে কামালকে দিয়ে দিলে আর কি লাভ থাকলো???
-অতীত
কলকেতা ইত্যাদিতেও কিচ্ছাকাহিনী কিছু কম নাই। মাঝেসাঝে কাগজে বেরোয়, বাকি যে কে সেই। লেখা ভাল হয়েছে।
খুব ভাল লাগল । অতিশয় মজার লেখা । এমন আরো লিখুন ।
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আপনার মন্তব্যে অনেক খুশি হলাম
-অতীত
পোলাপাইন কেন নকল করে বুঝিনা। ইন্টারের জুলজি পরীক্ষার সময় আমার এক বন্ধু দেখলাম পেন্সিল-বক্সে করে হার্টের ছবি এঁকে নিয়ে এসেছে, আরে বাবা নিজের বুকের মধ্যে একটা জ্বলজ্যান্ত হার্ট পাম্প করতে করতে টায়ার্ড হয়ে যাচ্ছে, সেটা হাতড়ে হাতড়ে লিখে দিলেই তো হয়
লেখা ভালো হয়েছে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
লেখা মজার লাগলো। আশা করি এখন দিন বদলিয়েছে, নকলের এই অবস্থা আর নাই।
হুম, এখন আর আগের মত ভয়াবহ অবস্থা নাই। অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন নকল হয় না আর আমাদের সেই সেন্টার এ।
-অতীত
আরে নিজের মধ্যে আসল হার্ট থাকলে কি আর নকল হার্ট সাথে নিয়ে আসে? তাছাড়া যদি হার্টই হাতড়ায় যায় তবে লিখবে কখন?
তারা কিভাবে নকল করত এটা আমি এখনো বুঝি না। আমি কম্পোজের কাগজ দেখেছি। এটাতে ফন্টের যে সাইজ তা দিয়ে খালি চোখে যে পাঠোদ্ধার সম্ভব এবং তার পরে পুনরায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই খাতায় উগলে দিয়ে আসা সম্ভব তা এখনও বিশ্বাস করতে পারি না। মনে হয় আমার চোখ আর হাত দুইটাতেই গন্ডোগোল আছে।
-অতীত
হাহাহা...নকল নিয়ে কত কাহিনী যে শুনেছি তার ইয়ত্তা নাই। কিছু কিছু নিজেও প্রত্যক্ষ করেছি। ভাবতে ভাল লাগে শিক্ষব্যবস্থার পরিবর্তনের সাথে সাথে দেশ থেকে নকল প্রায় উঠে গেছে।
লেখালেখি জারি থাকুক।
নতুন মন্তব্য করুন