আফগান ভাষায় বাচ্চা পশ শব্দের অর্থ (মেয়ে শিশুদের) ছেলেদের মত করে পোষাক পরিধান করা।
বাচ্চা পশ মূলত: একটি প্রাচীন আফগান রীতি। কিছু কিছু আফগান এলাকায় এই প্রথা এখনো চালু আছে। এই প্রথায় যেসব পরিবারে ছেলে সন্তান নাই বরং সব মেয়ে সন্তান ; তখন কোন এক মেয়ে সন্তানকে ছেলেদের মত পোষাক পরিধান করানো হয় ও চুল ছোট করে ছেটে রাখা হয়।
বাচ্চা পশের মেয়ে শিশুরা ছেলেদের মত করেই বড় হতে থাকে ; তারা ছেলেদের মত স্কুলে যায় –অন্য বোনদের দেখাশোনা করে-মোটামুটি একজন কিশোর পরিবারের জন্য যা যা করে বাচ্চা পশের মেয়ে শিশুরা ঠিক সেই কাজগুলোই করে। ঋতুচক্র শুরু হলে বা, নারীসুলভ দৈহিক সৌর্ন্দয ফুটে উঠলে মেয়ে শিশুগুলোর বাচ্চা পশের জীবনের সমাপ্তি হয়।
কেন এই বাচ্চা পশের রীতি ?
বাচ্চা পশ রীতি উদ্ভব হয়েছে আফগান সমাজের ছেলে-মেয়ে প্রভেদের মানসিক সংর্কীণতা হতে ।
উত্তর-পশ্চিম আফগানিস্তানের বাদগিস প্রদেশের নির্বাচিত সদস্যা পুত্রহীনা আজিতা রাফাতের কনিষ্ঠা কন্যা মাহানুশ (বাচ্চা পশ হিসেবে নাম-মাহারান) একজন বাচ্চা পশ । আজিতা বাচ্চা পশ নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের রির্পোটার জেনি নর্ডবার্গকে বলেন-
Bacha is not normal for you . And I know it’s very hard for you to believe why a mother is doing these things to their daughter . But I want to say for you , that some things are happening in Afghanistan , that are really not imaginable for you as a Western people .
বহু পুরনো প্রথা হলেও বর্তমান আফগানিস্তানে বাচ্চা পশের কারণগুলোকে চিহ্নিত করা যায় – সামাজিক-আর্থিক-কুসংস্কার এই তিন শ্রেণীতে ।
সামাজিক :
আফগান সমাজে ছেলে শিশুর মর্যাদা মারাত্মক পর্যায়ের উঁচু । সমাজে ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়াকে অপরিহার্য ও সম্মানের বলে বিবেচনা করা হয় । আফগানদের দৃষ্টিতে পুত্র সন্তান বংশের ও পরিবারের সম্মানের ধারক-বাহক । যার পুত্র সন্তান নেই , সবাই তাকে করুণার চোখে দেখে ।
আজিতা রাফাত আফগান সমাজে পুত্র সন্তানের অবস্থান বোঝাতে গিয়ে বলেন-
When you don’t have a son in Afghanistan , it’s like a big missing in your life like you lost the most important point of your life . Everybody feels sad for you .
আর্থিক :
যুদ্ধ বিধ্বস্ত দরিদ্র আফগানিস্তানে আর্থিক অস্থিতিশীলতাও বাচ্চা পশ প্রথার প্রচলনের পিছনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে । আফগানিস্তানে মেয়েরা এখনো স্বাধীনভাবে বাহিরে কাজে যুক্ত হতে পারে না । এখনো , অনেক অঞ্চলে মেয়েদের বাহিরে কাজ করতে যাওয়াটা সমাজের চোখে খুব দৃষ্টিকটু একটা কাজ । তাই , পুত্রহীন দরিদ্র পরিবারগুলো বাধ্য হয় তাদের মেয়েদের বাচ্চা পশ হতে । এমনকি খোদ রাজধানী কাবুলেও বাচ্চা পশের নজির আছে ।
রিপোর্টার জেনি নুর্ডবার্গ এর রিপোর্ট থেকে এ প্রসঙ্গে একটি কেইস স্টাডি করা যায় :
মিনা (বাচ্চা পশ হিসেবে নাম আব্দুল মতিন); কাবুলে বসবাসকারী দশ বছরের বাচ্চা পশ শিশু। মিনার পরিবার খুব দরিদ্র। মিনার বাবা আট কন্যা সন্তানের পিতা কর্মহীন মাদকাসক্ত রাজমিস্ত্রী। মা নাসিমা; আফগান প্রথা অনুসারে বাহিরে কাজ করতে পারেন না। প্রতিদিন দু’ঘন্টা স্কুলে পড়ে এসে মিনা স্থানীয় একটি ছোট মুদি দোকানে কাজ করে। মিনার আয় মাসে ৪০ $ (৩,০০০ টাকা); এ দিয়ে মিনাদের দশ জনের পরিবার কষ্ট করে চলে।
মিনার মা নাসিমা এ প্রসঙ্গে বলেন :
It’s our tradition that girls don’t work outside .
After Mina gets too old , the second younger sister will be a bacha posh and then the third .
এখন প্রশ্ন হলো : মিনা কিভাবে তার বাচ্চা পশের জীবনকে দেখে ? এ প্রসঙ্গে মিনার মা বলেন :
Every day she (Mina) complains ; she says “I m not comfortable around the boys in the store , I am a girl” .
কুসংস্কার :
বাচ্চা পশ প্রথা চালু আছে , এমন এলাকার আফগানদের ধারণা , সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণের পিছনে মায়ের ভূমিকা আছে । বাচ্চা পশ প্রথার মাধ্যমে একটি মেয়ে শিশুকে ছেলের মত করে পালন করা হয় , যাতে মায়ের মনে ছেলে সন্তান জন্ম দেয়া আকাঙ্খা সৃষ্টি হয় ; এ থেকে ছেলে সন্তান জন্ম হতে পারে ।
বাচ্চা পশ প্রথাকে কি শিশু নিপীড়ণ বলা যায় ?
বাচ্চা পশ প্রথার কারনে শারীরিকভাবে না হলেও মানসিকভাবে অবশ্যই সেই মেয়ে শিশুটি নিপীড়িত হয় ।
বাচ্চা পশ প্রথার কারণে মেয়ে শিশুগুলোর মনের উপর চাপ পড়ে । কারণ , জ্ঞান হবার পর হতে বয়:সন্ধি পর্যন্ত এক ধরণের জীবন যাপন করতে অভ্যস্ত হবার পর হঠাৎ করে জীবনাচরণে পরিবর্তন ; অবশ্যই সেই মেয়ে শিশুটির মাঝে মনস্তাত্বিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে । আফগান রীতি অনুসারে ছেলে শিশু বড় হয় খোলামেলা-উন্মুক্ত পরিবেশে ; বাচ্চা পশের মেয়ে শিশুরাও বয়:সন্ধির আগ পর্যন্ত ছেলেদের মত খোলামেলা-উন্মুক্ত পরিবেশে ছেলেদের জীবনাচারণে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে । এরপর একদিন হঠাৎ করে তাদেরকে পরিচিত জীবন পদ্ধতি বাদ দিয়ে নতুন আরেক জীবন পদ্ধতিতে প্রবেশ করতে হয় ।
গতকালও যে মেয়ে ছেলেদের সালোয়ার-কুর্তা পড়েছিলো , আজ সেই মেয়েকে পড়তে হচ্ছে চাদরী১ । যে মেয়ে গতকালও ছেলেদের সাথে খেলা করতো , আজ হতে তার জন্য ছেলেদের সাথে খেলা করা নিষিদ্ধ । যে মেয়ে গতকালও মন চাইলে বাইরে যেতে পারতো , আজ ইচ্ছামত বাইরে যাওয়া নিষেধ । এই যে হঠাৎ করে চারপাশের অবস্থান ও আচরণের পরিবর্তন ; সেটা সহজে এসব কিশোরী গ্রহণ করতে পারে না ; শুরু হয় পরিচয় ভ্রিমাট –আচরণ সমস্যা-মনস্তাত্বিক দ্বন্দ্ব-মনোদৈহিক সমস্যা ।
রিপোর্টার জেনি নুর্ডবার্গ এর রিপোর্ট থেকে এ প্রসঙ্গে দু’টি কেইস স্টাডি করা যায় :
জোহরা ; পনেরো বছরের বাচ্চা পশ কিশোরী । জোহরারা বাবা বিমান বাহিনীর পাইলট ; আফগান সমাজের উঁচু তলার মানুষ হয়েও তার পরিবারেও আছে বাচ্চা পশের প্রচলন । জোহরার মাঝে এখন নারী সুলভ দৈহিক পরিবর্তন এসেছে ; পরিবার হতে তাকে মেয়েদের মত পোষাক পড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু সে চায় সে যা আছে তাই থাকতে ।
জোহরার ভাষায় –
Nothing in me feels like a girl . I am a boy for as long as she could remember . For always , I want to be a boy and a boy and a boy .
শুকরিয়া সিদ্দিকী আরেকজন বাচ্চা পশ প্রথার শিকার । শুকুরিয়া সিদ্দিকী বিশ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চা পশ হিসেবে জীবন যাপন করেছেন । এখন তার বয়স ৩৬ ; বিবাহিতা-তিন সন্তানের মা-কাবুল হাসপাতালে কর্মরত ।
বাচ্চা পশ প্রথা নিয়ে তিনি বলেন-
It was my family’s desire , and we obey our families . It’s our culture .
বিশ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলেদের মত জীবন যাপন করার পর , হঠাৎ বিয়ে উপলক্ষে বাচ্চা পশ জীবনের সমাপ্তিতে নতুন করে নারী জীবনে প্রবেশ ও এ সংক্রান্ত সমস্যা সম্পর্কে তিনি বলেন-
I had to learn how to sit like women , how to talk , how to behave . For years , I was unable to socialize with other women and uncomfortable even greeting them .
When I had to changed back , it’s like I was born again , and I had to learn everything from the beginning . I got a whole new life again .
জোহরা-শুকরিয়ার মত এরকম অনেক আফগান নারী বাচ্চা পশ প্রথার শিকার । ছোট বেলা হতে ছেলে শিশুর মত বড় হয়ে , হঠাৎ একদিন তাদের আবার মেয়েদের মত জীপন যাপন করতে হয়। তখন দেখা দেয় তাদের মনস্তাত্বিক লড়াই ; নতুন করে নারী হয়ে উঠার সংগ্রাম ; শুরু নতুন এক জীবন । এই বাচ্চা পশ প্রথা এখনো প্রচলিত থাকার মূল কারণ হলো আফগান সমাজে নারীর নিচু অবস্থান । নারীদের কাজে যাওয়া এখনো অনেক জায়গায় খারাপ দৃষ্টিতে দেখা হয় । আফগান সমাজে নারীরা অনিরাপদ । নানাবিধ নারী নির্যাতন আফগানিস্তানে এখনো খুব স্বাভাবিক ব্যাপার । সহজ কথায় বলে দেয়া যায় – আফগান সমাজে নারীর অবস্থান সন্তান জন্মদাত্রী বাদে অন্য কিছু নয় । পুরুষদের কাছে নারীরা সেবা দাসী –আজ্ঞাবাহী বৈ অন্য কিছু নয় ।
তবুও আশার কথা হচ্ছে এসব অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে । আফগানিস্তানের সমাজ ও মানবাধিকার কর্মীরা এগিয়ে আসছেন । একজন মেয়ে শিশু তার স্বাভাবিক জীবন যাপন করবে ; এটাই স্বাভাবিক । আফগান মেয়ে শিশুরা তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন করবে-আফগান নারীরা সম্মানের সাথে তাদের সাধারণ জীবন যাপন করতে পারবেন এই কামনা করি ।
বাচ্চা পশ রীতির শিকার আজিতা রাফাতের কনিষ্ঠা কন্যা মাহানুশকে নিয়ে ভিডিও ডাউনলোড লিংক ।
তথ্য ও ছবি সহায়িকা : ০১ , ০২ , ০৩ , ০৪ , ০৫।
মন্তব্য
অনুগ্রহ করে নাম এবং ইমেইল লেখার শেষে দিন।
_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ
ভুল হয়ে গেছে ।
পরের বার হতে ঠিক থাকবে ।
আমার শিশু নিপীড়ণ বিষয়ক অন্য পোস্টগুলো হলো :
০১ । শিশু নিপীড়ণ : বাচ্চা বাজি ।
০২ । পোডোফিলিয়া ও শিশু নিপীড়ণ ।
০৩ । চাইল্ড “পর্ণগ্রাফী ও যৌন নিপীড়ণ” ।
-------------------------------
সবুজ পাহাড়ের রাজা
-------------------------------
.
এই বিষয়ে আগে কিছু পড়েছি। কতোটা নিকৃষ্ট একটা চর্চা, বমি আসে।
আপনার লেখাটি তথ্যবহুল।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
বাচ্চা পশের কথা যখন জেনেছিলাম ; তখন জাস্ট শকড হয়েছিলাম । মানুষ কত বিকৃত রুচির হতে পারে !!!
ভালো থাকবেন ।
শিশু নিপীড়ণ বন্ধ হোক ।
আপনার লেখাটি তথ্যবহুল।এই বিষয়ে আগে কিছু পড়েছি।
--------------------------------------------------------------
Sad Quote|[url=http://www.loverofsadness.net/show_story.php ]Sad Love Story[/url]
ভালো থাকবেন ।
শিশু নিপীড়ণ বন্ধ হোক ।
এটা নি:সন্দেহে সুখবর । পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না । কিন্তু এখনো বাচ্চা পশ প্রথার প্রচলন আছে আফগানিস্তানে ।
উত্তর-পশ্চিম আফগানিস্তানের বাদগিস প্রদেশের বর্তমান নির্বাচিত সদস্যা পুত্রহীনা আজিতা রাফাতের কনিষ্ঠা কন্যা মাহানুশ (বাচ্চা পশ হিসেবে নাম-মাহারান) একজন বাচ্চা পশ ।
মিনা (বাচ্চা পশ হিসেবে নাম আব্দুল মতিন) ; কাবুলে বসবাসকারী দশ বছরের বাচ্চা পশ শিশু ।
জোহরা ; পনেরো বছরের বাচ্চা পশ কিশোরী ।
এই তিনজন বাচ্চা পশই কিন্তু বর্তমান সময়ের ।
যে রির্পোটির
(তথ্য সহায়িকা ০১)
কল্যাণে সারা বিশ্ব বাচ্চা পশ সর্ম্পকে সচেতন হচ্ছে ; সে রির্পোট প্রকাশ হয়েছিল ২০ সেপ্টেম্বর , ২০১০ এ । এটা ঠিক যে , আফগানরা সচেতন হচ্ছে । কিন্তু সাথে এটাও ঠিক যে আফগান সমাজে এখনো বাচ্চা পশের প্রচলন আছে ।
আফগান মেয়ে শিশুরা তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন করবে-আফগান নারীরা সম্মানের সাথে তাদের সাধারণ জীবন যাপন করতে পারবেন এই কামনা করি ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই । ভালো থাকবেন ।
১
একটা আফগান সিনেমার কথা মনে পড়ল। নাম ওসামা। সেখানে এক কিশোরী জীবিকার তাগিদে ছেলে সাজতে বাধ্য হয়।
২
আফগানিস্তানে প্রথাগুলো এমন কেন? ছেলেকে মেয়ে বানায় আর মেয়েকে ছেলে!
৩
এই ব্যাপারগুলো আনাদের দেশেও কিন্তু অনেকটা এমনই। বয়ঃসন্ধি থেকে নারীত্বের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয় মেয়েশিশুর কাঁধে।
বাচ্চা পশদের আইডেন্টিটি ক্রাইসিসের কারণ সম্ভবত নিজেদের লৈঙ্গিক পরিচয়ের অবমাননা। যে মেয়েটিকে ছেলে সাজিয়ে রাখা হয় অবচেতন মনেই নারীত্বের প্রতি বিতৃষ্ণা জন্মাবে তার। অথচ একটা নির্দিষ্ট বয়সের পরে এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিচয়টিই ধারণ করতে হয় তাকে।
৪
আফগানিস্তানে মেয়েদের বাইরে কাজ করার সুযোগ নেই। তাহলে শুকরিয়া সিদ্দিকী হাসপাতালে কাজ করছেন কী করে?
তার ১৬ বছর বয়সের ছবিতে তিনি সম্ভবত বাম থেকে তৃতীয়জন।
৫
যতিচিহ্নের পরে স্পেস দেবেন, আগে নয়।
আর বানানের সমস্যা কিন্তু রয়েই যাচ্ছে। এই লিংকটা একটু দেখুন।
৬
আপনার পোস্টগুলো ভালো লাগছে। চলুক।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
০১। মুভিটা দেখা হয়েছে। আফগান সমাজে যে কি পরিমাণ বিকৃত রুচির মানুষ আছে,তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
০২। সমস্যাগুলো ওদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার সৃষ্টি। সে সাথে রাশান-আফগান যুদ্ধ,তালেবানদের অন্ধকার শাসন দেশটাকে আরো পিছিয়ে দিয়েছে।
০৩। বাচ্চা পশদের আইডেন্টিটি ক্রাইসিসের কারণ সম্ভবত নিজেদের লৈঙ্গিক পরিচয়ের অবমাননা।-একদম ঠিক ; এটাই আসলে এই শিশুগুলোর মাঝে মনস্তাত্বিক সমস্যা সৃষ্টি করে।
০৪। এক্ষেত্রে বলবো - এর সংখ্যাটা খুবই সামান্য। শহর এলাকায় স্বল্প আকারে আছে ; কিন্তু গ্রামাঞ্চলে বা, দুর্গম এলাকায় নারীদের কাজের সুযোগ পাওয়া অনেক বড় ব্যাপার। আর নিম্নবিত্ত আফগান পরিবারে এ ব্যাপারটা তো অনুপস্থিতই বলা চলে।
রিডিং ভিউ চিন্তা কররে ডান দিক হতে তৃতীয়। আপনারটা রিডার্স ভিউ।
০৫। বানানের দিকে আসলেই কিন্তু মনোযোগ দিচ্ছি। লিংকটা দেখলাম। অধিকাংশ ভুলই ণ/ন,ড়/র জাতীয়। আমার বানানের জন্য আপনি কষ্ট করেছেন,সে জন্য কৃতজ্ঞতা রইল। লিখার সময় আরো সচেতন হবো,সে কথা দিলাম।
পরিশেষে,কষ্ট করে পড়েছেন,ভুলগুলো দেখিয়ে দিয়েছেন সে জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা রইল।
ভালো থাকবেন।
রাতঃস্মরণীয়,
আপনার মন্তব্যে একটি কুৎসিত ছবিযুক্ত ফেইসবুক পেইজ অপ্রাসঙ্গিকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল বিধায় মুছে ফেলা হয়েছে। অনুগ্রহ করে এ ধরনের লিংক বিতরন থেকে বিরত থাকবেন। নইলে আমরা আপনার একাউন্ট মডারেশনের আওতায় আনতে বাধ্য হব।
মডারেশন স্লিপের কারণে মন্তব্যটি প্রকাশিত হওয়ায় বিব্রত পাঠক এবং সদস্যদের কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।
এটা অপ্রাসঙ্গিক ছিলো, তবে কোনও বদুদ্দেশ্য ছিলোনা। ক্ষমাপ্রার্থী।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নাহ! আপনার লেখা পড়লে অনেকক্ষণ মন খারাপ থাকে। এরপর আর পড়ব না।
এমনিতে লেখা ভালো হয়েছে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ভালো থাকবেন ।
আপনার লেখাগুলো পড়ছি, সবারই এগুলো জানা উচিত। চালু থাকুক লেখা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ ।
ভালো থাকবেন ।
বিবমিষা পাচ্ছে!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ভেবে কূল পাই না যে এই অসহায় মেয়ে শিশুগুলোর সাথে কিভাবে এরকম করতে পারে ?
ওদের বিকৃত রুচি দেখে আসলেই বমি পাই ।
ভালো থাকবেন রোমেল ভাই ।
কিছুই জানতাম না এ ব্যাপারে। রীতিমত আনুষ্ঠানিকভাবে যে এই জিনিস কোথাও স্বীকৃত হতে পারে তা অভাবনীয়। খুবই দুঃখজনক।
বাচ্চা পশের ব্যাপারটা আসলেই খুব দুঃখজনক। এরকম একটা ভয়ংকর ব্যাপার যে এখনো প্রচলিত আছে সেটাই উদ্বেগজনক ।
ভালো থাকবেন ।
-----------------------------------
সবুজ পাহাড়ের রাজা ।
আপনার লেখাগুলো পড়ছি, ভালো হচ্ছে খুব। আরব বিশ্বে শিশু নিপিড়ণের ব্যাপারে আগে অনেক কিছুই শুনেছি, কিন্তু এমন বিশ্রী ব্যাপার-স্যাপার এই প্রথম শুনলাম!!
লেখা চলুক।
- দিগন্ত বাহার
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
*আফগানিস্তান কিস্তু মধ্য এশিয়ায়; আরব বিশ্বে না।
আমি একটা জিনিস ঠিক করলাম। আপনার আফগানি সিরিজটা থেকে চোতা মেরে একটা মাস্টার্স থিসিস বাগিয়ে ফেলব।
----------------------------------------------
ভালো থাকবেন ।
ওমা, তাই নাকি? আমার ছোট্ট ভাইজিটাকে মেয়ে বললে রেগে যায়। ''আমি ছেলে, আমি ছেলে'' ( অবশ্য ওকে একটা সুইট ছেলের মতই দেখায় কখনো কখনো) করে চেঁচিয়ে বেড়ায়। মাত্র আড়াই বছর বয়স। এখনই ওর মধ্যে এমন চিন্তা এল কিভাবে তাই ভাবি মাঝে মাঝে।
বাচ্চা পশ মানসিক বা, শারিরীক ব্যাধি না, বরং একটি সামাজিক ব্যাধি।
আপনার ভাগ্নির এমন আচরণের ব্যাখ্যা হতে পারে: ক) নিছক ছেলেমানুষী। খ) আমাদের সমাজে এখনো ছেলে সন্তানেরা পরিবারে প্রাধান্য পেয়ে থাকে; সেটা নিশ্চয় ওর সরল-কচি মনে প্রবেশ করেছে আর তা হতে ছেলেদের মত প্রাধান্য পাবার আকাঙ্খা হতে কথাগুলো বলেছে।
আপনার ভাগ্নীর জন্য অনেক আদর রইল।
নতুন মন্তব্য করুন