পৌণে দুই ঘন্টা হয় ফাহমিদ বইসা আছে। জাস্ট ২৫ মিনিট আগে তার মধ্যে অপমানবোধ প্রথম উকিঁ দিলে তার চিন্তার ডিকন্সট্রাকশন তৈরী হয়। এখন সে রীতিমত অপমানিত বোধ করছে । চিন্তার ডিকন্সট্রাকশন খারাপ জিনিষ, এইটার সুত্রপাত ব্যক্তির মধ্যে শুরু হইলেও তা ব্যক্তি পরিধি অতিক্রম কইরা ছড়াইতে ছড়াইতে বহুদুর যায় গিয়া, যেমন ৫ মিনিট আগে একজন তার কাছে সিগারেট ধরানোর জন্য ম্যাচ চাইলে সে ম্যাচ দেয় না। এই না দেয়ার ফলে বঞ্চিত ব্যক্তির মধ্যে ফাহমিদের চিন্তার অপসঞ্চারণ ঘটে যার উছিলায় বঞ্চিত ব্যক্তির আকাঙ্খা অনিশ্চয়তার মধ্যদিয়া পরবর্তি যোগান না পাওয়া পর্যন্ত অবিরাম প্রচেষ্টার মধ্যে নিপতিত হয়।
ধনী এবঙ প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের আনুকুল্য পাওয়া তপস্যাসম। এই অনুকুলপ্রীতি তাকে বহুবছর আগে রাজশাহী থেকে বর্ণিল ঢাকায় আগমনের সুড়ঙ্গপথে প্রবিষ্ট কইরাছিল বইলা প্রতীয়মান হয়। পুজিঁপতিদিগের মনোযোগ আকৃষ্ট করার বিকল্প পথ হিসাবে পুজিঁকে, তার প্রাতিষ্ঠানিকতাকে আপাত: প্রশ্নবিদ্ধ করার নামে সুড়সুড়ি দেয়ার সুমন রহমানিয় প্রাচীন অথচ কার্যকর পথে অগ্রসরমান এ্যাক্টিভিস্ট ইমেজ কে ওয়াই জেল এ শানিত করে মুঠোবন্ধি করে যত্রতত্র প্রবেশের মোক্ষম সুযোগের সদাব্যস্ততা দারিদ্রের ব্যস্তানুপাতিক মনে করে তাদের দলসঙ্গম, শব্দহীণ শৃঙ্গারে রুপান্তরিত হয়।
কিন্তু পরক্ষনেই প্রভাবশালী পুজিঁপতিদের অবহেলার যোগাযোগ এবং ভঙ্গী তাকে ব্যথিত করলেও বিচলিত করেনা। ভেতরে ভেতরে অপমানবোধ হলেও পকেটভর্তি মুল্য পেলে কোন এক যাদুবলে তা মুল্যবোধে পরিনত হয় এবঙ পুলকিত এই মুল্যবোধ তার অবচেতনে পুজিঁর সাথে ওয়াসিফিও রিকন্সিলিয়শেনর পথ দেখায়। মনে মনে ওয়াসিফকে সেলাম ঠোকে ফাহমিদ। ইত্যবসরে পেইমেন্ট বুইঝা পাওয়া ওয়াসিফ সেই সেলামের উত্তর দেয় না। মনে মনে ওয়াসিফের তিনমিনিট গোয়া মারেন তিনি।
এই পৌণে দুইঘন্টা পর ফাহমিদ মুখ খোলে, 'আচ্ছা উনি কি আসবেন? আমার ফোনওতো রিসিভ করছেন না এখন।'
তার এই বাক্য-উচ্চারন এই ২০ ফুট বাই ৩০ ফুট রিসেপশনের নিরবতা ভাঙ্গলে, তিনি এইদিক ওইদিক তাকাইলে দক্ষিন-এশিয়ার খ্যাতনামা ইতিহাসবিদদের দেখতে পান। যারা সবাই পৌণে দুই ঘন্টারো অধিক সময়ব্যাপি অপেক্ষমান।
মন্তব্য
ভাই, আপনের নাম কো'?
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
আপনেরে
এই ধরনের গল্প লেখার সাহস থাকলে গল্পের নিচে লেখকের পরিচয় আর ইমেইল ঠিকানা জুড়ে দেয়ার সাহসও থাকা উচিত।
হিমু ভাই, আমার সাহস কম।
হা হা হা হা।
দুর্ধর্ষ গল্প!
---------------------------------------------------------
মেঘদুত
নাম পরিচয়হীন লেখকের এমন লেখা সচলায়তনের মেজাজের সঙ্গে মানায় না বলে মনে করছি।
হ।
লেখা ভালো হয়েছে। তবে শিমুলের সাথে একমত।
নামপরিচয় ছাড়া লেখার ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্তে আসা জরুরি। মডুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অজ্ঞাতবাস
সেরকম দিছেন ভাই।
তবে লেখা ভাল হয়েছে। আরো লিখুন।
মনির
নতুন মন্তব্য করুন