তৃতীয় লিঙ্গ

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি
লিখেছেন সবুজ পাহাড়ের রাজা (তারিখ: শুক্র, ১৮/০২/২০১১ - ১:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গ্রিক পুরাণ অনুসারে, হার্মোস ও আফ্রোদিতির সুদর্শন পুত্র হার্মাফ্রোদিতাসের প্রেমে পড়ে ঝরনার দেবী সালমাসিস। সালমাসিস ইশ্বরের কাছে প্রর্থনা করে , সে যেন হার্মাফ্রোদিতাসের সঙ্গে একীভূত হতে পারে। ইশ্বর সালমাসিসের প্রার্থনা মঞ্জুর করেন; সৃষ্টি হয় তৃতীয় লিঙ্গ।

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা হলো সমাজের সবচেয়ে নিপীড়িত-অবহেলিত-বঞ্চিত জনগোষ্টী। ইংরেজী Third Gender, Queer বা, Hermaphrodite-এর অনুবাদ হিসেবে উভয়লিঙ্গ-হিজড়া-নপুংশক-বৃহন্নলা শব্দগুলো ব্যবহার করা যায়। তবে, হিজড়া শব্দটি বহুল ব্যবহৃত।

হিজড়া শব্দটি মধ্যপ্রাচ্যীয়; ভারতবর্ষে এই শব্দের বহুল প্রচলন হয় মুঘল আমলে। মুঘলদের সময় এরা খুব বিশ্বস্ত কর্মচারী হিসেবে গণ্য হতো। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা মুঘল সম্রাটদের হেরেমের নারীদের পাহারা দিত এবং তাদের ছেলেমেয়েদের দেখাশোনা করত।

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা আসলে জন্মগত যৌন প্রতিবন্ধী। সেক্স ক্রোমোজোমের ত্রুটির কারণে একটি শিশু লিঙ্গ নির্ধারণে জটিলতা দেখা দেয়। আর এই ত্রুটির ফলাফল হলো তৃতীয় লিঙ্গ; না পুরুষ, না নারী। ছেলে শিশুর সেক্স ক্রোমোজোম X ও Y ক্রোমোজোম নিয়ে আর মেয়ে শিশুর সেক্স ক্রোমোজোম X ও X ক্রোমোজোম নিয়ে গঠিত হয়। একটি শিশুর সেক্স ক্রোমোজোম কি হবে, তা প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। মাতৃগর্ভে ভ্রূণ নিষিক্তকরণ এবং বিভাজনের সময় জেনিটিকসের কারণে অথবা, সেক্স ক্রোমোজমের কার্য ত্রুটির কারণে কিছু অস্বাভাবিক সেক্স ক্রোমোজোমের সৃষ্টি হতে পারে; যেমন X-X-Y অথবা, X-Y-Y। আর প্রকৃতির এই খেয়ালী আচরণ হতে জন্ম হয় তৃতীয় লিঙ্গের শিশুর। এই শিশুরা পরিপূর্ণভাবে কোন নির্দিষ্ট যৌন আচরণের অংশ নয়। একজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের লিঙ্গের পূর্ণাঙ্গতা ব্যাতীত নারী-পুরুষের সকল দৈহিক বৈশিষ্ট্য থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের দৈহিক বহি: আকৃতি পুরুষের মত কিন্তু আচরণ নারীর মত।

আমাদের দেশে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের কোনো সামাজিক স্বীকৃতি নেই, শুধুমাত্র দৈহিক অপূর্ণাঙ্গতার কারনে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখা হয়; অনেকেই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মানুষই ভাবেন না। আমাদের সংবিধানের ১৫(ঘ) ধারায় তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অধিকারের কথা বলা হয়েছে কিন্তু এর কোন প্রয়োগ নেই বরং আর্থিক-সামাজিকভাবে বঞ্চিত-নিগৃহীত করে এদের বানানো হয়েছে প্রান্তিক জনগোষ্টী।

বাংলাদেশে ৩য় লিংগের মানুষের সংখ্যা নিয়ে সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে দেখা যায়, এ সংখ্যা তিন লক্ষ পর্যন্ত হতে পারে(এইড বাংলাদেশ ২০১০)।

উন্নত বিশ্বে মূল ধারার জনস্রোতে মিশে গেলেও বাংলাদেশে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা সম্পূর্ণভাবে সমাজচ্যুত। বাংলাদেশে কোন সরকারী ফরমে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য কোনো অপশন নেই; তাদের হয় নারী বা, পুরুষ হিসেবে ফরম পূরণ করতে হয়। সেনসাসে তাদের আলাদা করে চিহ্নিত করা হয় না। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা কোনো সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্টানে চাকুরীর তেমন সুযোগ পায় না। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য কোন আলাদা কোটার ব্যবস্থা নেই।

আর্থিক-সামাজিকভাবে বঞ্চিত-নিগৃহীত এই প্রান্তিক জনগোষ্টী আলাদা সমাজ গঠন করে বসবাস করে। তাদের এই সমাজকে বলে হিজড়া পল্লী । প্রতিটি পল্লীর একজন করে প্রধান থাকে; এদেরকে গুরু মা/মাসী নানান নামে ডাকা হয়। এই গুরু মা/মাসী পল্লীর সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। সাধারণত: তৃতীয় লিঙ্গের শিশুর জন্মের পরে মা-বাবা এই শিশুদের এসব পল্লীতে দিয়ে যায়। এইসব পল্লীতে বসবাসরত তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা তাদের প্রতিদিনের আয় গুরু মা'র হাতে তুলে দেয় আর গুরু মা তা থেকে পল্লীর ব্যয় নির্বাহ করে। পল্লীতে বসবাসরত তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা বেঁচে থাকার তাগিদে বাসা-বাড়ি,দোকান-পাট হতে চাঁদা তোলে, ভিক্ষাবৃত্তি ও পতিতাবৃত্তি করে(বাংলাদেশে প্রচলিত ফৌজদারী আইনের ৩৭৭ ধারা অনুসারে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের পতিতাবৃত্তিতে জড়ানো নিষিদ্ধ)।

পল্লীতে বসবাসরত তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের আলাদা আইন ও বিচারের ব্যবস্থা আছে। বিচার করেন গুরু মা। সাধারণত: অর্থদণ্ডই সব অপরাধের শাস্তি হিসাবে গণ্য করা হয়। বাংলাদেশে পল্লীতে বসবাসরত তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের প্রধান বিচার সভা সাভারে অবস্থিত

শুধু যে সমাজ তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের বঞ্চিত করেছে তা নয়, দেশের আইনও তাদের বঞ্চিত করেছে। বাংলাদেশে প্রচলিত ফৌজদারী আইনের ৩৭৭ ধারা অনুসারে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের সকল প্রকার যৌনকার্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর ফলে, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা আইনত: কোন বৈবাহিক সর্ম্পকে জড়াতে পারে না।

লিঙ্গ কখনোই মানুষের মূল পরিচয় না। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা সুযোগ পেলে সমাজের সম্পদ হয়ে উঠতে পারে। এখনই সময় তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অধিকার ফিরিযে দেবার, সামাজিক মর্যাদা দেয়ার। সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন। আমাদের সকলেরই জানা ও বোঝা উচিৎ যে, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা অন্য শারীরিক প্রতিবন্ধীর চেয়ে ভিন্ন কিছু নয়। সরকারের উচিৎ তাদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য বিশেষ আইন প্রণয়ন করা ও এর বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করা। ১৮৮৭ সালের সেই আইনের সংশোধন প্রয়োজন; পতিতাবৃত্তির নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে তাদের বিয়ের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-প্রশাসন ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে আলাদা করে কোটার ব্যবস্থা করা উচিৎ। জনসচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন, যাতে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অন্যভাবে দেখা না হয়। এজন্য সরকার-এনজিও-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-মিডিয়া সবার এগিয়ে আসা প্রয়োজন।

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা সমাজে সুস্থ সুন্দরভাবে জীবন যাপন করবে, রাষ্ট্র-সমাজ সবাই তাদের সরল দৃষ্টিতে দেখবে এই কামনা করি

পাদটীকা

  • ১. এই আইন-বিচার-আদালত সবই অসাংবিধানিক। এই আদালতে তাদের আভ্যন্তরীণ ছোটখাটো অপরাধের বিচার করা হয়
  • ২. ১৮৮৭ সালের এই আইনটির মাধ্যমে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং খদ্দেরের শাস্তির ব্যবস্থা আছে কিন্তু এই আইনটিই আবার তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের সকল প্রকার যৌনকার্য নিষিদ্ধ করেছে; ফলে, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা আইনত: কোন বৈবাহিক সর্ম্পকে জড়াতে পারে না।
  • ৩. শেষ সংসদ নির্বাচনে ভোটার আইডি তৈরী করার সময় প্রথমবারের মত তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অর্ন্তভুক্ত করা হয়।

মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

কিছু এডিট করার আছে:

মেয়ে শিশুর সেক্স ক্রোমোজোম X ও X ক্রোমোজোম নিয়ে গঠিত হয়।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কাছাকাছি একটি ব্যাপারে আমি লেখার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের ব্যাপারে যত সচেতনতা বাড়বে, ততই সমাজে তাদের সুস্থ সুন্দরভাবে জীবন যাপন করার সম্ভাবনা বাড়বে।

আপনার লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
শুভ কামনা রইল।
ভালো থাকবেন।

guest writer rajkonya এর ছবি

সরকার ২০২১ সালের মধ্যে সারা দেশে একীভূত শিক্ষা বা inclusive education নিশ্চিত করতে চাইছে। শিক্ষার্থী ছেলে হোক বা মেয়ে, বা স্বল্প প্রতিবন্ধী, হিজড়া, সংখ্যালঘু বা আদিবাসী বা পতিতার সন্তান যাই হোক না কেন, সবাই একসাথে একই ভাবে আপনার, আমার সন্তানদের সাথে পড়ালেখা করতে পারবে।
দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয়।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

এখন পর্যন্ত এ নিয়ে সরকারের পক্ষ হতে কোন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ তো আসেনি।
আর আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার যে বাহারি কাঠামো, তাতে এত সহজে তা বাস্তবায়ন সম্ভব না।
তবু, দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয়।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

পতিতার সন্তান

একটু চেষ্টা করলে আমরা মনে হয় এই শব্দটা পরিহার করে "যৌনকর্মী" শব্দটা ব্যবহার শুরু করতে পারি।

উপদেশ হিসেবে নেবেন না, প্লিজ। একটু মতামত শেয়ার করলাম। অনধিকার চর্চা মনে হলে ক্ষমাপ্রার্থী।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

guest writer rajkonya এর ছবি

সবুজ পাহাড়ের রাজা ভাইকে বলছি,

এখন পর্যন্ত এ নিয়ে সরকারের পক্ষ হতে কোন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ তো আসেনি।

আমাদের দেশের শিক্ষকদের মধ্যেই একীভূত শিক্ষা ব্যাপারটা নিয়ে তেমন কোন ধারণা নেই। আমাদের একটি ট্রেইনিং শুরুর আগে যখন একীভূত শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আমরা কো্ন শিক্ষকই এর উত্তর দিতে পারিনি। কেননা এটা সম্পর্কে আমাদের কোন ধারণাই ছিল না। শব্দটি ছিল নতুন। আমাদের শিক্ষকদেরই যদি এই অবস্থা হয় অভিভাবক, শিক্ষার্থী বা অন্যদের কী অবস্থা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মূলত সেটি ছিল শিক্ষকদের মোটিভেট করার জন্য একটি পদক্ষেপ। সারা দেশের শিক্ষকবৃন্দ এই প্রোগ্রামের আওতাভুক্ত। এখনও চলছে এই ট্রেইনিং।

প্রতিবন্ধী শিশুরাও যেন সাধারণ শিশুদের সাথে পড়তে পারে তা নিয়েই মূলত আমাদের মোটিভেট করা হয়েছে। তখন, আমাদের মধ্য থেকেই অনেক প্রশিক্ষণার্থী হিজড়া বা যৌনকর্মীদের সন্তানদের ব্যাপারটা উল্লেখ করেন।

সকল শিশু সমান, একীভূত শিক্ষা সারা দেশে নিশ্চিত করা আসলে একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। একদিনে তো সম্ভব নয়।ামাদের দেশে এখনো অনেক শিক্ষক ছেলে আর মেয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে সমান আচরণ করে না। তাই আগে শিক্ষকদের সেভাবে তৈরি করা হোক, প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মোটিভেট করা হোক, তারপর সব শিশু সমানভাবে শিক্ষা পাবে। (আপনারা জানেন হয়ত, তাই এখন ছাত্র বা ছাত্রী শব্দটি ব্যবহার করা হয় না। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে শিক্ষার্থী শব্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।)

শিশুরা পড়বে তাদের ঘরের সবচেয়ে কাছের স্কুলটিতে। মনে করুন, আপনার ঘরের সবচেয়ে কাছের স্কুল হল, ভিকারুননেসা বা গভঃ ল্যাব। সেক্ষেত্রে? পরীক্ষায় চান্স না পেলে আপনার সন্তানটি তো ঐ স্কুলে পড়তে পারছে না। আর এসব স্কুল স্বল্প প্রতিবন্ধী বা হিজড়া বা যৌন কর্মীর সন্তানদের কি ভর্তি করাবে? বা আপনিই কি অভিভাবক হিসেবে চাইবেন তাদেরকে আপনার সন্তানের সাথে পড়াতে?

তাই সরকার যে পদক্ষেপট নিচ্ছে যেগুলো আমাদের চোখে সেভাবে ধরা পড়ছে না। (সরকারের সাফাই গাইছি, এমনটা ভেবে বসবেন না আবার, দয়া করে।) একীভূত শিক্ষা সারা দেশে ২০২১ সালের মধ্যে নিশ্চিত করার জন্য সরকার এখন যে পদক্ষেপটা নিয়েছে তা হল সারাদেশের শিক্ষকদের মোতিভেট করা। এই ট্রেইনিং এর পরেও অনেক শিক্ষক ক্লাসে গিয়ে একীভুত শিক্ষার কথাটা ভুলে গেছেন। প্রভাবশালী ব্যক্তির সন্তানের সাথে সুন্দর করে আর অপেক্ষাকৃত গরিব শিক্ষার্থীর সাথে দূর্ব্যবহার করছেন। এই হল অবস্থা! সুতরাং হিজড়া বা যৌন কর্মীদের সন্তানদের ব্যাপারটা এখনো অনেক দূরে রয়ে গেছে, ভাই। মন খারাপ

আর আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার যে বাহারি কাঠামো, তাতে এত সহজে তা বাস্তবায়ন সম্ভব না।

এ কথা ভাবলে আমার মনটা খারাপ হয়ে যায়। সব খানেই এত প্রতিবন্ধকতা!

তবু, দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয়।

রাতঃস্মরণীয় ভাইকে বলছি, আসলে তখন এতটা ভেবে বলি নি। এখন থেকে আপনার কথাটা মাথায় রাখব। দেখতেই পাচ্ছেন, আমি এরই মধ্যে এই মন্তব্যে আপনার পরামর্শ মেনে বলে চলেছি।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

.............অনেক শিক্ষক ক্লাসে গিয়ে একীভূত শিক্ষার কথাটা ভুলে গেছেন। প্রভাবশালী ব্যক্তির সন্তানের সাথে সুন্দর করে আর অপেক্ষাকৃত গরিব শিক্ষার্থীর সাথে দূর্ব্যবহার করছেন। এই হল অবস্থা! সুতরাং হিজড়া বা যৌন কর্মীদের সন্তানদের ব্যাপারটা এখনো অনেক দূরে রয়ে গেছে.........

এই হলো আমাদের শিক্ষা কাঠামোর মূল সমস্যা। আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই বৈষম্যের শিক্ষা পাচ্ছি।

হিজড়া শব্দটি ব্যবহার না করে তৃতীয় লিঙ্গ শব্দটি ব্যবহার করলেই ভালো হয়।

guest writer rajkonya এর ছবি

হিজড়া শব্দটি ব্যবহার না করে তৃতীয় লিঙ্গ শব্দটি ব্যবহার করলেই ভালো হয়।

আচ্ছা, :-/

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

হাসি
ভালো থাকবেন।

guest writer rajkonya এর ছবি

আরেকটি কথা,

কেন হিজড়া হয় এর বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা
এক্স এক্স প্যাটার্ন ডিম্বানুর সমন্বয়ে কন্যা শিশু আর এক্স ওয়াই প্যাটার্ন থেকে সৃষ্ট হয় ছেলে শিশু। ভ্রুনের পূর্ণতার স্তর গুলোতে ক্রোমোজোম প্যাটার্নের প্রভাবে ছেলে শিশুর মধ্যে অন্ডকোষ আর কন্যা শিশুর মধ্য ডিম্ব কোষ জন্ম নেয়। অন্ডকোষ থেকে নিসৃত হয় পুরুষ হরমোন এন্ড্রোজেন এবং ডিম্ব কোষ থেকে নিসৃত হয় এস্ট্রোজেন। ভ্রুনের বিকাশকালে নিষিক্তকরন ও বিভাজনের ফলে বেশকিছু অস্বাভাবিক প্যাটার্নের সৃষ্টি হয় যেমন এক্স এক্স ওয়াই অথবা এক্স ওয়াই ওয়াই। এর ফলে বিভিন্ন গঠনের হিজড়া শিশুর জন্ম হয়।

এদের শারিরীক গঠন কি?
মূলত এটি একটি শারীরিক গঠনজনিত সমস্যা যা অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের মতই কিন্তু প্রতিবন্ধকতার স্থানটি ভিন্ন হওয়াতেই তারা হিজড়া। হিজড়াদের শারীরিক গঠন মূলত ৩ প্রকার।
• ১. নারীদের সকল বৈশিষ্ট্য থাকলেও নারী জননাঙ্গ থাকে না।
• ২. পুরুষের সকল বৈশিষ্ট্য থাকলেও পুরুষ জননাঙ্গ থাকে না।
• ৩. উভয় বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।
তবে ব্যাপারটি সমালোচিত হতে পারে তাই আমি আর এ ব্যাপারে বিস্তারিত লিখার সাহস করছি না।

হিজড়ারা কি চিকিৎসা করে সুস্থ হতে পারে?
ব্যাপারটি হয়তো অনেকেই জানেনা কিন্তু হিজড়া বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মানো কোন শিশুর যদি পরিনত বয়সে যাওয়ার আগে চিকিৎসা করা হয় তাহলে বেশীভাগ ক্ষেত্রেই তাকে সুস্থ করা সম্ভব। কিন্তু যখন আসলে বোঝা যায় সে সাধারন আর দশজনের থেকে আলাদা তখন আসলে অনেক দেরী হয়ে যায়।

http://rezowan.wordpress.com/2009/12/03/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8B/

এবং

এ বিষয়ে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রওশন আরা বলেন, আমরা একেবারে পরিণত বয়সে হিজড়াদের হাতে পাই। তখন এদের চিকিৎসা করতে সমস্যা হয়। হিজড়া শিশুটিকে তার অভিভাবক যদি ৪/৫ বছর বয়সে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসে তাহলে এই শিশুটি অন্তত রাস্তায় নামতে পারে না। অপারেশনের পর সে স্বাভাবিক মানুষের মতো পড়াশুনা করে জীবন যাপন করতে পারে। সে হয়তো সন্তান ধারণ করতে পারবে না। আসলে তাকে এমন একটা পর্যায়ে আমরা হাতে পাই যেখানে সে পরিবারের বাইরে চলে যায়।

http://rezowan.wordpress.com/2009/11/04/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%A4%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B2%E0%A6%BF/

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

মাতৃগর্ভে ভ্রূণ নিষিক্তকরণ এবং বিভাজনের সময় জেনিটিকসের কারণে অথবা, সেক্স ক্রোমোজমের কার্য ত্রুটির কারণে তৃতীয় লিঙ্গের শিশুর জন্ম হয়। এটি তৃতীয় লিঙ্গের শিশু জন্মের প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার মূল কারণ অর্থাৎ, এরকম কেন হয় তা নিয়ে এখনো যথেষ্ট বিতর্ক আছে।
অধিকাংশ তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের দৈহিক গঠন পুরুষদের মত ও আচরণ-মানসিকতা হয় নারীদের মত এবং লৈঙ্গিক জটিলতা থাকে।
হরমোন ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে এর আশানুরূপ পরিবর্তন সম্ভব।
আর তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মূল প্রতিবন্ধকতা তাদের লিঙ্গে। সহজ ভাষায়, অপূর্ণাঙ্গ লিঙ্গ।

আলোচনার জন্য ধন্যবাদ।

অতিথি লেখক এর ছবি

রাষ্ট্র, সমাজ এবং সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সহায়ক ভুমিকা পালন করুক। rajkonya'র মতো আমিও বললাম- দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়...

আপনার লেখা প্রাসঙ্গিক এবং জোরালো বিষয়গুলো সম্পর্কে ভাবায়। শুভকামনা র'ল।

--- নুশান

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা সমাজে সুস্থ সুন্দরভাবে জীবন যাপন করবে, রাষ্ট্র-সমাজ সবাই তাদের সরল দৃষ্টিতে দেখবে এই কামনা করি।

আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
ভালো থাকবেন।

বইখাতা এর ছবি

চলুক অত্যন্ত কষ্টকর ও অপমানজনক জীবন যাপন করতে হয় এদের। এ ব্যাপারে সবার সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন আছে।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

এ ব্যাপারে সবার সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন আছে।

সেটাই; সচেতনতার মাধ্যমে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে পারলেই এই সমস্যার সমাধান অনেকাংশেই সম্ভব।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আমাদের দেশে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের কোনো সামাজিক স্বীকৃতি নেই, শুধুমাত্র দৈহিক অপূর্ণাঙ্গতার কারনে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখা হয়; অনেকেই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মানুষই ভাবেন না।

অবিকশিত বা অপূর্ণাঙ্গ দেহবৈশিষ্ঠসম্পন্ন মানুষদের যন্ত্রনাও অসহনীয়। যাদের অনেকেই সামাজিক কারনে নিজেদের তৃতীয় লিঙ্গভূক্ত হিসেবে দেখাতেও পারেন না। হয়তো পুরুষ নয়তো নারী সেজে একটা জীবন বয়ে বেড়াতে হয় কোনরকম জৈবিক সংশ্লিষ্ঠতা ছাড়া। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক জগতের দুইজন দিকপাল আছেন, সবাই চেনেন তাদের। এদের একজনের বিষয়ে জানি। কর্মব্যাস্ত দিনের শেষে তিনি পড়ে থাকেন গ্যালাক্সিতে কয়েক ঘন্টার জন্যে। রক্ষনশীল সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের ছেলে, মদটাও বাড়িতে বসে খেতে পারেন না।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

অবিকশিত বা অপূর্ণাঙ্গ দেহবৈশিষ্ঠসম্পন্ন মানুষদের যন্ত্রনাও অসহনীয়। যাদের অনেকেই সামাজিক কারনে নিজেদের তৃতীয় লিঙ্গভূক্ত হিসেবে দেখাতেও পারেন না। হয়তো পুরুষ নয়তো নারী সেজে একটা জীবন বয়ে বেড়াতে হয় কোনরকম জৈবিক সংশ্লিষ্ঠতা ছাড়া।

নিজের পরিচয় দিতে না পারার কষ্টটা অবশ্যই খুব তীব্র। আর আমরা বা, আমাদের সমাজই কিন্তু তাদের এই কষ্টের জন্য দায়ী। আমাদের সুন্দর-স্বাভাবিক দৃষ্টিভঙ্গিই পারে ওদের সুস্থ জীবন ফিরিয়ে দিতে।

---------------
রাতঃস্মরণীয় ভাই,
আপনার অনুবাদকর্ম শিকড়ের ২য় পর্ব কবে আসবে?

ভালো থাকবেন। হাসি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

বাংলাদেশে কোন সরকারী ফরমে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য কোনো অপশন নেই; তাদের হয় নারী বা, পুরুষ হিসেবে ফরম পূরণ করতে হয়। সেনসাসে তাদের আলাদা করে চিহ্নিত করা হয় না। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা কোনো সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্টানে চাকুরীর তেমন সুযোগ পায় না। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য কোন আলাদা কোটার ব্যবস্থা নেই

চোখ খুলে দেবার মতো কথা। এ বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করি।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

........সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরী.........

শতভাগ হক কথা।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

........সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরী.........

শতভাগ হক কথা।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা আসলে জন্মগত যৌন প্রতিবন্ধী।

এখানে একটুখানি ভিন্নমত পোষন করি। জন্মের পরও লিঙ্গান্তর ঘটে এবং এরকম বেশি কিছু প্রমাণ দেখা যায়। ৭০এর দশকে রাজশাহীতে এরকম একটা ঘটনা বিশেষ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো বলে যতোদূর মনে পড়ছে। তবে আমার কলিগ, প্রথম পরিচয়ে তিনি ছিলেন দীপন ইসলাম। অনেক বছর পরে তার সাথে যখন দেখা হয় তখন তিনি পূর্ণাঙ্গ একজন নারী, নাম দীপা ইসলাম। তখনও তিনি আমাদের কলিগ। এখন বিয়েথা করে সংসারী মানুষ। বর্তমানে সম্ভবত ইমিগ্রেশন স্কিমের আওতায় বিদেশে চলে গেছেন। দুটো নামই সংগত কারণে ছদ্মনাম।

তেমনই অনেক অসম্পূর্ণ লিঙ্গান্তরের ফল হচ্ছে মানুষের হিজড়া হয়ে যাওয়া। দুটো উদাহরণ দেই। খুলনা শহরের হিজড়াদের প্রধান পান্না হিজড়া একজন নারী ছিলেন। তিনি স্কুল কলেজে যাওয়ার সময়ে প্রচুর ইভ-টিজিংএর স্বীকার হতেন। এসময় তাকে একাধিকবার ব্যার্থ প্রেমিকেরা ছুরিকাঘাতে আহত করে। তার হাতে আমি সেই ছুরিকাঘাতের চিন্হও দেখেছি। এসময় তার মনে ব্যাপক পুরুষ বিদ্ধেষ দেখা দেয়। এবং একই সাথে নারী হয়ে জন্ম নেওয়াটাকেও তিনি একটা অভিশাপ হিসেবে মনে করা শুরু করেন। এক কিছুকাল পর থেকেই মূলত তার শারিরীক পরিবর্তন দেখা দিতে শুরু করে। এভাবে বছর দুয়েকের একটা ট্রানজিশন শেষ হয় কার হিজড়া হয়ে যাবার মধ্যে দিয়ে।

আমাদের পাড়ার ছেলে, খুলনা টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের তরকারী বিক্রেতা মালেক এরকমই কয়েক বছরের ট্রানজিশন শেষে এখন হিজড়া হয়ে মালকা নাম নিয়েছে। তবে মালেকের এসংক্রান্ত কোনও ব্যাকগ্রাউন্ড্আছে কিনা তা জানিনা।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে জন্মপরবর্তীকালেও নর ও নারী তৃতীয় লিঙ্গে রূপান্তরিত হয়।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

আপনি ট্রান্সজেন্ডার/ট্রান্সসেক্সুয়ালিটি নিয়ে বলছেন।
ট্রান্সজেন্ডার/ট্রান্সসেক্সুয়ালিটি এবং তৃতীয় লিঙ্গ ভিন্ন বিষয়।
তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা পুরুষ বা, নারী কোনটাই নন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দৈহিক গঠন পুরুষদের মত হয় এবং আচরণ-মানসিকতা হয় নারীদের মত; এর উল্টোটিও হয়। হরমোন ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে এর আশানুরূপ পরিবর্তন সম্ভব।
তৃতীয় লিঙ্গের সৃষ্টির কারণ নিয়ে এখনো যথেষ্ট মতভেদ আছে। এর জন্য হরমোন-সেক্স ক্রোমোজোম দুটোই দায়ী। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে জন্মের পর কেউ তৃতীয় লিঙ্গে ট্রান্সফর্ম হতে পারেন। তবে, এর সংখ্যা জন্মগত তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের তুলনায় নেহায়েতই সামান্য।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আপনি ঠিক ধরেছেন। তৃতীয় লিঙ্গ বিষয়টা নিয়ে আমার ধারণা অস্বচ্ছ হলেও আমি আসলে ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়েই কথা বলছিলাম। তবে আমাদের দেশে যারা ডেভলপমেন্ট সেক্টরে কাজ করে, তারা কিন্তু হিজড়া বলতে ট্রান্সজেন্ডারকেই বোঝায়।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

তবে আমাদের দেশে যারা ডেভলপমেন্ট সেক্টরে কাজ করে, তারা কিন্তু হিজড়া বলতে ট্রান্সজেন্ডারকেই বোঝায়।

আসলে, সহজ প্রচলিত বাংলায় ট্রান্সজেন্ডার বা, ট্রান্সসেক্সুয়ালিটি বুঝাতে আলাদা অন্য কোন শব্দ না থাকায় বৃহৎ অর্থে হিজড়া শব্দ দ্বারাই সবগুলোকে প্রকাশ করা হয়।

"লিঙ্গান্তর" শব্দটা ব্যবহার করতে পারেন।

---------------
রাতঃস্মরণীয় ভাই,
আপনার অনুবাদকর্ম শিকড়ের ২য় পর্ব কবে আসবে?

ভালো থাকবেন।

রণদীপম বসু এর ছবি

লেখাটা ভালো লাগলো। অভিনন্দন আপনাকে। এ ধরনের লেখা যত বেশি লেখা হবে, আমাদের সচেতনতা তত বৃদ্ধি পাবে বলে বিশ্বাস করি।

এ লক্ষ্যেই সচলে বেশ আগে 'হিজড়া, প্রকৃতির বিচিত্র খেয়ালের এক দুর্ভাগা শিকার !' শিরোনামে একটা লেখা তৈরি করেছিলাম। ঘুরে আসতে পারেন।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

আপনার লিখাটা পড়লাম।
অনেক বিস্তারিত লিখেছেন।

এ ধরনের লেখা যত বেশি লেখা হবে, আমাদের সচেতনতা তত বৃদ্ধি পাবে বলে বিশ্বাস করি।

একদম ঠিক কথা।

ভালো থাকবেন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।