কেশু নতুন সিগারেটটা বানাতে শুরু করে। হাতে বানানোর কৌশলটা সে এক অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানের কাছ থেকে শিখেছে । হাতের তেলোতে একটা সাদা কাগজ নিয়ে সামান্য এক চামচ তামাক (যতটুকু দরকার) নিয়ে অতি দ্রুত রোল করতে থাকে। কাজটা প্রায় ৬ বছর ধরে করে আসছে.... খুঁত থাকার প্রশ্নই ওঠে না।
বিমানবন্দর রেলস্টেশনে বসে আছে সে।এখন বাজে দুপুর পৌনে তিনটা। তিনটায় এখান থেকে রওনা দেবে,সাড়ে ন’টায় পৌঁছুবে। কাজটা করতে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লেগে যাবে। তারপর ১০ টার প্লেনে করে চলে আসবে ঢাকায়। নির্ঝঞ্ঝাট সারা দিন ঘুমিয়ে কাটাবে।
ট্রেন আসতে দেরি হল না। অন্তত আজকে হয় নি। ঝটপট শোভন-গ কামরায় উঠে পড়লো।
উঠেই একটু অবাক হয় সে। এমন ভুল তো হবার নয়...।
কেশু আবার বগির নাম্বার দেখে নিলো। তার জানা মতে আজকের এই তারিখে এই কামরায় আর কেউ যাবার কথা নয়। কিন্তু ওই খানে বসে বসে পত্রিকা পড়ছে কে?
উত্তেজিত হওয়া কেশুর জাতে নেই। মাথা বরফের মতো ঠাণ্ডা থাকে। অন্তত তার পেশায় মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হয়। আজকেও সে শান্তই রইলো। ধীরে এগিয়ে গেল সিটের কাছে। এক হাত পিছনে গুজে রাখা ছুরির বাটে আর অন্য হাতে ধীরে ধীরে লোকটার কাঁধে হাত দিল।
‘কে আপনি?’
‘ওহ, এসে পড়লে তাহলে ? যাকগে সময়টা ভালোই কাটবে মনে হচ্ছে...’
ভ্রু কুঁচকে ফেললো কেশু। ‘ কে আপনি?’ যে কোন সময় ছুরিটা বের করতে প্রস্তুত।
‘বসে পড়। অযথা ছুরিটা বের কোর না। আমি জানি তোমার বেল্টের গোঁজে একটা ছুরি আছে’।
কেশু বসে পড়ল, তবে ছুরিটা সামনে টেবিলের উপর রাখল। সটান হয়ে বসে শান্ত গলায় বলল, ‘আবার প্রশ্নটা করলাম, কে আপনি?’
‘আমি?’ চশমাটা আস্তে করে খুলে নিলো লোকটা। সরু চোখের মাঝে হালকা হাসি দেখতে পেল কেশু। লোকটা মুচকি হাসে। ‘আমি সুলেমান।’
সুলেমান! ও এখানে কি করছে? কেশু একটু চিন্তিত হয় । সুলেমান ওর মতো ক্রিমিনাল, তবে এই লাইনে ওর চেনা কুখ্যাত কারো নাম নিতে বললে ও সুলেমানের নামই করবে। একেবারে জ্যান্ত শয়তানের প্রতিমূর্তি । খুব কম মানুষই ওর নাম জানে। যারা জানে তাদের ততক্ষণে মৃত্যু ফরয হয়ে গিয়েছে।
‘নামটা চিনেছ নিশ্চয়ই?’
‘হুম’। কেশু আর কিছু বলে না। তার মুখে চিন্তার ছাপ পড়ে কিন্তু তা প্রকাশ হতে দেয় না। সে আপনমনে ছুরিটা পরীক্ষা করতে থাকে।
সুলেমান গাঁ থেকে ওভারকোটটা খুলে রাখে। সিগারেটের প্যাকেট খুলে সিগারেট বের করে সিগারেট নেয়। কেশুকে সিগারেট সাধতে গিয়ে কি মনে করে আবার পকেটে ভরে ফেলে। ‘তুমি তো সিগারেট নিজে বানিয়ে খাও তাই না?’
কেশু অবাক হয় না। মাথা নেড়ে সায় দেয় সে। লোকটা তার সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেই এসেছে।
‘আমি এক সময় চেষ্টা করেছিলাম, বুঝলে,’ সিগারেট ধরাতে ধরাতে সুলেমান বলে। ‘পারি নাই। আসলে এই সিগারেট বানাতে যে সময়টা লাগে, তার চাইতে অনেক কম সময়ে আমার কাজটা হয়ে যায়’। সুলেমান আবার হাসে।‘অবশ্য তোমার কাজ এবং অভ্যাস, দুটোই একটু ধিরস্থির, কোনটার কোন বাড়াবাড়ি নাই’।
হুম, সেটাও ঠিক। কেশু ছুরিটাই ব্যবহার করে।নিখুঁত, তীক্ষ্ণ ফলার ছুরি। নীরবে হেঁটে যায় শিকারের কাছে,
তারপর বধ করে ফিরে আসে নিঃশব্দে। পরদিন খবরের কাগজে সংবাদটা আছে কিনা দেখে, তারপর খুঁজে ফেরে নতুন শিকার। সুলেমান ঠিক উল্টোটা। একজনকে শিকার করতে হবে এমন কোন কথা নেই, যতজনে খবর চাপা পড়ে ঠিক ততজনই তার শিকার। হালকা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যায় সে। তারপর শিকারের ঠিক সামনে গিয়ে শিকারকে মেরে আসে। নৃশংসতার চিত্র আঁকে নিখুঁতভাবে। তারপর হারিয়ে যায়, তলিয়ে যায় জনসমুদ্রে।
‘আপনি এখানে এসেছেন কেন?’
‘দ্যাখো কেশু, আমি কোন কাজ ছাড়া আমার বাড়ির বাইরে বের হই না। তুমিও যেমন কাজে বেরিয়েছ, আমিও তেমনি কাজে বেরিয়েছি। কাজ শেষ করে আবার চলে যাব। কাজটা কি জানতে চাইছ তো? সেটা নাহয় একটু পরেই বললাম’।
কাজটা কি সুলেমানের? সে যে এখানে আসবে তা তার নেতা ছাড়া আর কারো জানার কথা নয়। এমনকি জুলফিকার নিজেই বলছিল ‘দ্যাখ কেশু, এটা খুব সিরিয়াস কেস, কাজেই তুই আগের মতই সাবধানে কাজটা করে দে। তুই ছাড়া তোর ছায়াও যেন এই কথা জানতে না পারে।’ অথচ সুলেমান এখানে এসে হাজির ! তাহলে কি...?
ঠিক তাই। কেশুকে মারার জন্যই সুলেমানকে পাঠান হয়েছে। পুরনো পদ্ধতি। জুলফিকার এই জন্যই কাউকে না জানাতে বলেছে। কাজটা শেষ করে সুলেমান চলে যাবে। পুলিশ একে স্রেফ একটা আত্মহত্যার কেস হিসেবে নিয়ে নেবে। কেউ জানবে না কেউ এসে তাকে মেরে ফেলে রেখে গেল। চমৎকার, বেশ খাসা সিস্টেম। কেশু ইঁদুর ফাঁদের ইঁদুর হয়েও মুগ্ধ না হয়ে পারলো না।
‘আমি একটু আন্দাজ করতে পারছি’।
‘পারছ?’ সুলেমানের মুখে হাসি, ‘তবে তো ভালই হল, আমাকে আর বলতে হল না। তবে কিছুক্ষণ আরামে কাঁটাও। দাবা খেলতে জান কেশু?’
‘হুম, জানি’।
‘তাহলে আসো না, এক দান খেলে ফেলি?’
সুলেমান তার পাশে রাখা একটা ব্যাগ থেকে দাবার বোর্ড বের করে। ঘুটিগুলো সাজাতে সাজাতে সুলেমান বলে ‘জান কেশু, আমি একসময় দাবা খেলতে পারতাম না। মাথায় ঢুকত না। পড়ে একসময়...’
‘পরে একসময়...?’
‘দাঁড়াও, বলছি’, একটা সিগারেট ধরাল সুলেমান। কেশু এবার ধরাল না। তবে তার প্যান্টের পকেটে রাখা ছোট্ট বিলাতি পানির বোতলটা বের করল।
‘পরে একসময় আমি কোলকাতায় ছ'মাস ধরে এক বুড়োর কাছ থেকে শিখেছি। লোকটা ভালো দাবাড়ু ছিল। তার সাথে খেলতে হত এক শর্তে, তাকে প্রতিদিন একটা করে গল্প শোনাতে হবে। আমি আর কি করব, আমার গল্পই শোনাতাম!’
‘আপনার গল্প মানে?’
এ’ই ধরো আমার এক এক দিনের কাহিনী,’নতুন আরেকটা সিগারেট নেয় কাশেম ,‘আমি কিভাবে এই লাইনে আসলাম, আমার সেই সময়কার কাহিনী...এরপর কি শুরু হইল, কিভাবে কাজ করি, কেমনে কাজ করি, এই সব আরকি...’
‘ও ‘।
দাবার চাল চালতে লাগল কেশু। হঠাৎ কি যেন চিন্তা করে সুলেমানকে জিজ্ঞেস করল, ‘লোকটা বেঁচে আছে?’
‘...হুম?’ সুলেমান আরেকটা সিগারেট ধরাচ্ছিল। ‘নাহ্। আসলে ওকে মারতেই...’
‘ও।‘
কেশু একটু নিজের স্বাভাবিক প্রস্তুতির কথা ভাবতে থাকে। সময় খুব বেশি নেই, সুলেমান আর কিছুক্ষণের মধ্যেই...। কিছু করতে হলে এখনই করা উচিত।
‘আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করি?’
‘বল?’
‘আপনাকে কে পাঠিয়েছে, বলবেন?
‘আমাকে ? ধরে নাও কেউ পাঠায় নাই’।
‘বলতে চাচ্ছেন না কেন?’
সুলেমান জবাব দিল না। জোরে জোরে সিগারেট টানতে লাগল।
কেশু আবার জিজ্ঞেস করে, ‘সুলেমান?’
‘কি?’
‘কেশুকে তুমি কিভাবে চেন?’
চমকে উঠলো সুলেমান। ‘ চিনি মানে?’
‘আমি তো কেশু নাও হতে পারি...?’
তাচ্ছিল্য ভরা হাসি দিল সুলেমান। ‘ তাই নাকি? হতেও পারে...আমার বয়েস হল তো...!’
‘এমনও তো হতে পারে কেশু আমার হাতেই খুন হয়েছে?’
এবার কেন যেন হাসল না সুলেমান। ‘লুকোচুরি খেলছ কেন কেশু? আমি তোমাকে চিনেছি। তোমাকে চেনার উপায় তুমিই করে দিয়েছ। তুমি সবার চেয়ে সাধারণ, সবার চেয়ে আলাদা। তুমি ঠিক পটকা মাছের মতো। সাধারণ রূপের অসাধারণ বিষাক্ত মাছ তুমি। তোমার ওই চোখ বলছে তুমি কেশু, তুমিই কেশব! ’
কেশু হাল ছাড়ল না, ‘মজা করছি ভাবছেন? কেশব আজ সকালে আমার হাতে মারা গেছে। আমাকে বিশ্বাস করতে পারেন।‘
সুলেমান বিভ্রান্ত হয় না। স্থির চিত্তে বলে, ‘কেশু, জুয়া খেল না। আমাকে ব্যতিব্যস্ত করে তোমার আয়ু ৫ মিনিট বাড়াতে পারবে, তার বেশি নয়’।
‘হুম’, কেশু আবার দাবার নতুন চাল চালে। সুলেমান আসলেই খুব ভালো দাবা খেলে। ফাঁক পাওয়া যাচ্ছে না।
সুলেমান হঠাৎ জিজ্ঞেস করল, ‘কেশু? তুমি নাকি অনেক সময় শিকারকে বাঁচিয়ে রাখ?’
‘কে বলল?’
‘অনেকেই বলে।‘
‘ও। হতে পারে। নতুন জীবন পেয়ে তার খুব একটা সক্রিয় থাকে না। যারা থাকে তাদের অনেকেই হয় ধর্মের পূর্ণ দীক্ষা নেয়, নয়তো...’
‘নয়তো?’
‘নয়তো জীবন থেকে পালায়, আপনার আমার মতো’।
‘আমি তো পালাইনি কেশু! কে বলল আমি পালিয়েছি? আমার শ্রীলংকান স্ত্রী আছে, দিব্যা নাম। প্রতি বছর ওর কাছে যাই, আমার সন্তান কে দেখে আসি। আমার মাকে দেখতে যাই আমার দেশের বাড়িতে...কই, আমার সংসার ধর্মতো চলনশক্তিরহিত নয়! সে চলছে কেশু, ঠিক তার মতো চলছে, আমার এই জীবনকে পিছনে ফেলে দিয়ে নয়, সাথে করেই চলছে’।
কেশু কখনো তর্ক করে না। করলে হয়ত বলতো, ‘তাদের হয়ত কেউ জানে না কার সাথে তাদের রক্তের সম্পর্ক, আত্মার বাঁধন। একবার বলে দেখ, কি করে তোমার জীবন পাল্টে যায়, দেখবে !’
মুখে বলল, ‘ও। আপনাকে চিনলাম’।
হাতের আধ-খাওয়া সিগারেট ফেলে দিল কেশু। জিজ্ঞেস করল, ‘সুলেমান ?’
‘বল?’
‘আপনি অনেকক্ষণ সময় নিয়েছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ’।
মুচকি হাসল সুলেমান।‘ হ্যাঁ, অনেকক্ষণ সময় দিয়েছি তোমাকে’।
‘কিন্তু আমি যে দিতে পারছি না’।
আচমকা হাতের কাছে রাখা কুক্রিটা ছুড়ে মারল সুলেমানের বুকে।
প্রথমে সুলেমান চমকে উঠলো, কি হল এটা! হাঁপানি রোগীর মতো হাঁপাতে লাগল সে। কেশু আসে আরেকটা ছুরি বসিয়ে দিল সুলেমানের পেটে। হালকা মোচড় দিয়ে বের করে আনল। ছুরি দুটো যত্ন করে মুছতে লাগল। মুছতে মুছতে বলল, ‘সুলেমান, সব সময়কার ক্ষিপ্র সুলেমান আজ এই ভুলটা কেন করল? কেন?’
সুলেমান মুখ হা করে তাকিয়ে রইল। এক হাত পেটে চাপা দিয়ে অন্য হাতে কি যেন খুঁজতে লাগল।
‘খুঁজে আর লাভ হবে না ’, কেশু একটু হেসে বলল, ‘যন্ত্রটা এখন আমার ব্যাগে। আপনার হয়ত মনেই ছিল না কেশু একসময় ফার্মগেটের অলিতে-গলিতে পকেট মারত। আপনার লেকচার শুনতে শুনতে আমার এই বিদ্যে ফলানোর ইচ্ছে হচ্ছিলো। নিজের এই গুণটা এখনো কাজে লাগছে তাহলে!’
সুলেমানের বিস্ফোরিত চোখে কেশুর দিকে তাকিয়ে রইল।
‘একটা কথা কি জানেন? আজকে আপনার কথা শুনে মায়া লাগছিল। খুব ছোট বেলায় আমার বাবা আমার সাথে এইভাবে খেলত। খেলাটার নাম দিয়েছিলাম আমি মরণ মরণ খেলা। একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমাকে কয়েকটা পড়া করে দিতে হত। না পারলে বাবা আমাকে বেতের বাড়িতে মৃতপ্রায় করে ফেলত ।
আমি কাঁদতাম, খুব কাঁদতাম, জানেন? আমার সৎ মা দেখে আরও পুলকিত হতেন। মিথ্যা অপবাদের কারণে তার হাতে কত যে মার খেয়েছি, তার ইয়ত্তা নেই। আমি ঠিক আজকের মতই চাইতাম কিভাবে বেতটা লুকোনো যায়, কিভাবে মার ঠেকানো যায়...সবই বৃথা যেত। আমি তাই একদিন পালিয়ে গেলাম’।
‘ক্ষুধার জ্বালায় পাগল হয়ে চুরি করেছি, মার খেয়েছি। আবার করেছি, আবার মার খেয়েছি। এভাবে মার খেতে খেতে আমি এখানে এসেছি সুলেমান। সবসময় আমি ওই বেতটাই সরাতাম, যাতে বেতের বাড়ি আমার পিঠে না পড়ে।’
চোখে পানি এসে গেছে কেশুর। তাড়াতাড়ি মুছে সুলেমানের দিকে তাকাল। ভবলীলা সাঙ্গ হয়ে গেছে লোকটার।
নীরবে সুলেমানের ব্যাগটা নিয়ে নেমে গেল সে। তার আসল কাজ এখনো হয়নি। তার শিকার এখনও বাকি। শান্ত ট্রেনের বগি থেকে নামার অপেক্ষায় কেশু দাঁড়িয়ে রইল।
মন্তব্য
নাম দিতে ভুলে গেছেন! গল্পটা খুব নতুন কিছু মনে হয়নি কিন্তু আপনার বর্ণনা দারুণ! হারু দফাদার রক্ত ভালোবাসে গল্পটা কি আপনার লেখা ছিল?
আপনার আরো লেখার প্রত্যাশায় রইলাম।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
মানবীয় অনুভুতি পুরনো হতে পারে না, প্রতিবারেই নতুন করে ফিরে আসে...
হ্যা, "হারু দফাদার রক্ত ভালবাসে" আমার লেখা।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
________________________________
মেঘদুত
কথোপকথনের কিছু জায়গায় অনুবাদ অনুবাদ ভাব আছে...মানে আমার কাছে তেমনই লাগলো।
...অনুবাদ তো করি নাই। এই বৎস নিজে লিখিবার চেষ্টা করিয়াছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
________________________________
মেঘদুত
ভাই মেঘদুত,
চরিত্রায়ন ও সংলাপ রচনার অসাধারণত্বে আপনি সত্যিই অনন্য। এমন নৈপুণ্য লাখে মেলে। ভবিষ্যতে এমন লেখার পাশাপাশি গভীর ভাবনার লেখায় আপনার অবশ্যম্ভাবী সিদ্ধহস্ত উপস্থিতির আশায় রইলাম। আপনার এই লেখাটিক হালকা চালের, তবে হালকা যে নয় সে বিষয়ে আমি নিঃসন্দেহ। শুভপ্রীতি।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
গভীর লেখার জন্য অনেক সাধনার প্রয়োজন। এক অর্থে আমি এই ক্ষেত্রে একেবারে অশিক্ষিত। তবে আমি চেষ্টা করব আরও ভালো কিছু দেবার। এর ফাঁকে ফাঁকে এগুলো লিখতে চাই। হাত খুলুক আরও, জগৎ আরেকটু চিনে নেই...:)।
ভালো থাকবেন। আপনার লেখা পড়বার আশায় রইলাম।
___________________________________________
মেঘদুত
লেখার স্টাইলটা পরিচিত মনে হচ্ছে। আপনার লেখা আরও কিছু গল্পের নাম বলবেন কি?
আসলে আমি খুব কমই লিখেছি, যা লিখেছি তার প্রায় সবগুলোই সচলায়তনে আছে। অনার্য সঙ্গীত একটা গল্পের নাম দিয়েছে, সেটা পড়তে পারেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। নাম দিতে ভুলে গেছেন দেখি আমার মতো... ।
_____________________________________________
মেঘদুত
নতুন মন্তব্য করুন