আমি দৈনিক প্রথম আলোর একজন নিয়মিত পাঠক। আমার বাসায় নিয়মিত এই পত্রিকাটি রাখা হয় এবং খুব আগ্রহ নিয়েই আমি পত্রিকাটি পড়ি। বিভিন্ন সময়ে নানান অসঙ্গতি চোখে পড়লেও সেগুলো স্বাভাবিক ভেবে উপেক্ষা করার চেষ্টা করি। কিন্তু ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর থেকেই বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করছি, বাংলাদেশের দল নিয়ে দৈনিক প্রথম আলোতে একের পর এক বিভ্রান্তিকর, মনগড়া এবং ভিত্তিহীন প্রতিবেদন ছাপা হয়ে চলেছে। নিঃসন্দেহে এসব প্রতিবেদন অন্তর্ঘাতমূলক, এবং আরও পরিতাপের বিষয় এই যে, অনেকেরই (এমনকি আমারও) প্রিয় উৎপল শুভ্র আছেন এই ঘৃণ্য অপকর্মের পুরোভাগে। আমি এই অপ-সাংবাদিকতার তীব্র নিন্দা জানাই।
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের পরদিন "পরাজয়ে প্রাপ্তি ভবিষ্যতের রসদ" শিরোনামে উল্লিখিত পত্রিকাটির প্রথম পাতায় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। বস্তুত এই প্রতিবেদন পড়েই আমি সর্বপ্রথম জানতে পারি উদ্বোধনী ম্যাচে শক্তিশালী ভারতের কাছে পরাজিত হওয়ায় দেশবাসী চরম হতাশ হয়েছে (যদিও আমি ব্যক্তিগতভাবে দলের পারফর্ম্যান্সে খুশি ছিলাম এবং অন্যদেরও তা-ই হতে দেখেছি)। এবং সেখানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলার চেষ্টা করা হয় যে, টসে জিতে ব্যাটিং নিলে হয়তো দেশবাসীকে এইরকম আক্ষেপে পুড়তে হতো না! সেই সাথে টসে জিতে ফিল্ডিং নেয়ার সিদ্ধান্তের জন্য সাকিবকেই বারবার কাঠগড়ায় দাড় করানো হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। কিছু উদাহরণ দেখুন-
সবচেয়ে বড় ‘ইশ্’ তো সাকিব যদি টসে জিতে ফিল্ডিং না নিতেন!
ক্রিকেটের অনেক স্বাতন্ত্র্যের মধ্যে এটাও একটা যে, কখনো কখনো এখানে পুরো ম্যাচ ছাপিয়ে ওপরে ছুড়ে মারা মুদ্রাটা কোন পিঠে পড়ল, এটাই হয়ে যায় সবচেয়ে বড়। টসে জিতে কোনো অধিনায়ক ফিল্ডিং নেওয়ার পর প্রতিপক্ষ ৩৭০ রান করে ফেলার পর সেটি হবেই। হলোও।
সংবাদ সম্মেলনে সাকিব কী ব্যাখ্যা নিয়ে আসবেন, কে জানে!
শেবাগের কারণে এই ম্যাচে সাকিবের সিদ্ধান্ত হাস্যকর বলে মনে হতে পারে।
উৎপল শুভ্র গংয়ের এই লেখাটি পড়ে যে কারোরই মনে হবে টসে জিতে ফিল্ডিং নেয়ার সিদ্ধান্তটি এককভাবে সাকিবের, এবং শুধুমাত্র এই ভুল সিদ্ধান্তটির জন্যই বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা নস্যাৎ হয়ে গেছে!
আমি তাই উৎপল শুভ্রকে কিছু প্রশ্ন করতে চাই- আপনি কি সত্যিই বিশ্বাস করেন টসে জিতে বাংলাদেশ ব্যাটিং নিলেই পাশার দান উল্টে যেত? কী করে ভুলে গেলেন কিছুদিন আগে এই মাঠেই বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে ২৯৬ রান করেও পরাজিত হয়েছিল, তাও এই একই প্রতিপক্ষ, অর্থাৎ ভারতের বিপক্ষে? কী করে ভুলে গেলেন এই মাঠের অতীত রেকর্ডের কথা? কী করে ভুলে গেলেন বাংলাদেশের মূল শক্তি বোলিং এবং যে কোনো অধিনায়ক তার বেটার অপশনটি প্রথমে নেয়ার চিন্তা করেন? এমনকি রাতের শিশিরের কথা ভেবে ভারতীয় শিবিরও যে টসে জিতে ফিল্ডিং নেয়ার কথা ভাবছিল সে কথাটিও কি আপনার মনে পড়ল না? না, আপনি আসলে এসবের কিছুই ভুলেননি, তাই না? কারণ আপনার প্রতিবেদনে এ রকম দুয়েকটি কারণের কথা আপনি বলেছেনও! কিন্তু তবুও সাকিবের প্রতি আপনার তাহলে এত কিসের ক্ষোভ? আপনার প্রেসক্রিপশন মেনে আশরাফুলকে প্রথম ম্যাচে নেয়া হয়নি বলেই কি সাকিবের প্রতি আপনার এই বিষোদ্গার? আপনার ক্ষোভ কি এতটাই বেশি যে বিশ্বকাপ চলছে, সাকিব তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এই সাধারণ বোধটাও আপনার নষ্ট হয়ে গেছে?
ম্যাচের পরদিন আপনি সাক্ষাৎকারের সুযোগ নিয়ে সাকিবকে রীতিমতো পুলিশি জেরার মধ্যে ফেললেন। কিন্তু প্রশ্নে প্রশ্নে জেরবার করেও আপনি সাকিবকে বোকা বানাতে পারেননি। আপনার করা একের পর এক বেয়াড়া প্রশ্নের জবাব সাকিব দিয়েছে পুল আর হুক শট খেলে, কখনো ডাউন দ্য উইকেটে বেরিয়ে এসে আপনার মাথার ওপর দিয়ে। আফসোস, তাও যদি আপনার চৈতন্য ফিরে আসত।
সাকিবের সাথে সামনাসামনি সুবিধা হবে না বুঝতে পেরে আপনি ছলাকলার আশ্রয় নিলেন। সাকিব কেন দলবল নিয়ে শহীদ মিনারে গেল না সেটা নিয়েও আপনি খোঁচা দিতে ছাড়লেন না। তবে আপনাদের আসল চরিত্র ধরা পড়ে গেছে এই প্রতিবেদনটিতে। কিছু উদাহরণ দেই-
আশরাফুলকে নিয়ে যে রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে তাতে টিম ম্যানেজমেন্টের সুস্থ চিন্তার প্রকাশ ঘটছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
আশরাফুলকে নিয়ে 'পরীক্ষা-নিরীক্ষা' হচ্ছে এই তথ্য আপনারা কোথায় পেলেন? আশরাফুলকে দলে সুযোগ দিতে হলে যে আরেকজন যোগ্য খেলোয়াড়কে দল থেকে বেরিয়ে যেতে হয় সেই খবর কি আপনারা রাখেন না? তবুও আপনাদের যত মায়াকান্না কেবল আশরাফুলের জন্য? টিম বাংলাদেশের কী হলো তাতে আপনাদের কিছুই আসে-যায় না? অনেকদিন ধরেই আশরাফুল সুযোগ পেয়েও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তাই আশরাফুলকে সুযোগ দেয়া হয়নি এটা আপনাদের মতে "টিম ম্যানেজমেন্টের অসুস্থ চিন্তা" হলেও আমাদের সাধারণ দর্শকদের মতে এটাই স্বাভাবিক, সুস্থ চিন্তা। বরং কী পরিমাণ অসুস্থ চিন্তা থাকলে বিশ্বকাপের মাঝপথে এ ধরনের একটি মন্তব্য করা সম্ভব তা ভাবলে অসুস্থ বোধ করতে হয়।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত হোম সিরিজে বাদ দেওয়ার পর জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে বলা হলো তাঁকে অন্তত প্রথম তিনটি ম্যাচে খেলানো হবে। অথচ সুযোগ পেলেন কেবল প্রথম ম্যাচটাতে!
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত হোম সিরিজে বাদ দেওয়ার পর সে এমন কিছুই করেনি যে তাকে আবার জিম্বাবুয়ে সিরিজে দলে নিতে হবে। এশিয়াডে যেসব টিম খেলেছে তারা ক্রিকেটের দ্বিতীয় সারির দল। সেখানে খেলে সোনার পদক আনা আর বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মূল আসরে খেলা কি এক কথা হলো? তবুও আশরাফুলকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম ম্যাচে সুযোগ দেয়া হয়েছিল, কার ইশারায় উৎপল শুভ্র? যথারীতি আশরাফুল ওই ম্যাচেও ডাব্বা মারে এবং সাকিব সোজাসাপ্টা জানিয়ে দেন এটা তার দলের সেরা একাদশ নয়। প্রথম ম্যাচের সেই ভুল পরবর্তীতে সংশোধন করে নেয়া হয়, বোধ করি সাকিবের প্রতি আপনার বিদ্বেষেরও সেটাই শুরু।
কানাডার বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। পাকিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচে একটা চার মেরে আউট হয়ে গেলেও আউট হলেন খুব ভালো একটা বলে।
প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে আশরাফুল ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায়নি এটাও তাহলে সাকিবেরই দোষ? আর দলের অন্য ব্যাটসম্যানরা যেসব বল খেলেন সেগুলো তাহলে "মামার হাতের মোয়া", কেবল আশরাফুলকে করার জন্যই প্রতিপক্ষ ভালো বলগুলো তুলে রাখে?
চার রানের ওই ইনিংস দেখে আশরাফুলকে যাচাই করারও কোনো উপায় ছিল না।
তাকে তো কেউ বলে নাই তুমি চার রানের ইনিংস খেলো? ভারতের সাথে ম্যাচে প্রথম একাদশে ঢুকতে হলে তাকে ওইদিন একটা ভালো ইনিংস খেলতে হতো। সেটা সে করতে পারে নাই। তবুও তাকে আয়ারল্যান্ডের সাথে ম্যাচে নেয়া হলে বুঝতে হবে টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেয় নাই এখনও। আশরাফুলের উচিত হবে সুযোগ পেলে পারফর্ম করে দলে অন্তর্ভুক্তির যৌক্তিকতা প্রমাণ করা।
এ ছাড়া প্রস্তুতি ম্যাচ নিয়ে সিডন্সের দর্শন শুনেও মনে হচ্ছিল, আশরাফুল হয়তো বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটা খেলছেন। হলো উল্টো।
হুম, টিম ম্যানেজমেন্টের প্রতি আপনার গোস্বার কারণগুলো খোলাসা হচ্ছে একটু একটু করে...
একজন ব্যাটসম্যানকে যদি প্রতিটি ম্যাচের আগেই মনে করিয়ে দেওয়া হয়, ম্যাচটা তার জন্য হয়ে যেতে পারে শেষ পরীক্ষা, এই ম্যাচে ভালো না খেললে ভবিষ্যৎ অন্ধকার, সেটা চাপ হয়ে বসে যায় বৈকি! আশরাফুল এখন সেই চাপ নিয়েই খেলছেন, খেলবেন আয়ারল্যান্ড ম্যাচেও। প্রতিটি ম্যাচেই এখন তাঁর ওপর থাকছে নিজেকে প্রমাণ করার চাপ।
এটা বিশ্বকাপ, গলির ক্রিকেট না। নিজেকে প্রমাণ করার চাপ টাইগারদের কার ওপরে নাই? 'টিম বাংলাদেশ' কোনো 'চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত' না, কথাটা খুউব খেয়াল কৈরা! এই মুহূর্তে যারা দলে আছে তারা নিজেকে প্রমাণ করেই দলে এসেছে এবং চাপ নিয়েই খেলতে হচ্ছে তাদের। ভবিষ্যতেও যারা দলে আসবে নিজেকে প্রমাণ করেই আসবে এবং তখনো সেই একই চাপ নিয়েই খেলতে হবে তাদেরও। আশরাফুলেরও সেই মুরোদ থাকা উচিত।
অন্য ব্যাটসম্যানদের বেলায় নীতি যা-ই হোক, তাঁর একটা খারাপ ইনিংস যে কোচ থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শক কেউই মেনে নেবে না, সেটা আশরাফুলও এখন জেনে গেছেন।
আমরা একটি বিশ্বকাপের মাঝখানে আছি, এই সময় টিম ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে দ্বিমুখী নীতির অভিযোগ না তুললে হতো না? এ ধরনের গুটিবাজি দলের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করতে পারে এটুকু জ্ঞানও আপনাদের নেই! নাকি পত্রিকার কাটতির স্বার্থে যে কোনো কিছু করা বা বলাটাই জায়েজ হয়ে যায়?
কে জানে, হয়তো এ কারণেই পূর্ণদ্যুতিতে দেখা যাচ্ছে না তাঁর ব্যাটটাকে। নির্ভার ব্যাটিংয়ের জন্য তো আগে প্রয়োজন নির্ভার আশরাফুলকে!
ক্রমাগত নিষ্প্রভ ব্যাটিং, অকার্যকর বোলিং এবং ভয়াবহ ফিল্ডিং সত্ত্বেও আশরাফুলকে বারবার সুযোগ দেয়া হচ্ছে দলের প্রতি তার অতীত অবদানের কথা স্মরণ করে। কিন্তু সবারই স্মরণে রাখা উচিত, জাতীয় দল কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জায়গা না, জাতীয় দলের খেলোয়াড়রাও কোনো গিনিপিগ না। আশরাফুলকে মূল দলে আসতে হলে বা টিকে থাকতে হলে পারফর্ম করেই আসতে বা টিকে থাকতে হবে- অন্য আর সবার মতোই। আশরাফুলকে নিয়ে আপনারাই হাইপ তৈরি করেছেন, তাই আশরাফুল যদি নির্ভার হয়ে খেলতে না পারে তার জন্য আপনাদের মতো অপ-সাংবাদিকরাই তার জন্য দায়ী। আপনাদের কলমের সাহায্যে নয়, আশরাফুল তার নিজের ব্যাট দিয়েই নির্বাচকদের তথাকথিত উপেক্ষার জবাব দেবে, আর সব ক্রিকেটভক্তের মতো এটা আমারও কামনা।
জনাব উৎপল শুভ্র,
খুব জানতে ইচ্ছে করে চলমান একটা টুর্নামেন্টে নিজের দেশের অধিনায়কের পেছনে আপনি এভাবে আদাজল খেয়ে লেগেছেন কেন? এই প্রথম টাইগাররা নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলছে। জেনে রাখুন, প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের পরাজয় সত্ত্বেও টাইগারদের প্রতি দেশবাসীর ভালোবাসায় একটুও চিড় ধরেনি এবং ঢাকা নগরী এখনও বিশ্বকাপের নগরীই আছে। আপনাকে কেবল একটাই অনুরোধ করব, টাইগারদের নিজেদের খেলাটা খেলতে দিন, ওদের বিরক্ত করবেন না। আর দয়া করে দল নিয়ে গুটিবাজি বন্ধ করুন। ভুলে যাবেন না ওরা ষোল কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছে। এবং জনগণ আপনার মতো রামছাগল না, তারা এইসব গুটিবাজি বরদাস্ত করবে না।
সাকিবের পেছনে লাগতে গিয়ে ইতিমধ্যেই আপনি হেরে গেছেন। কিন্তু জনগণকে যদি বাধ্য করেন আপনার পেছনে লাগতে, তাহলে জামানতটাও ফেরত পাবেন না। জেনে রাখুন, আর যদি একটাও উদ্দেশ্যমূলক প্রতিবেদন দেখি টাইগারদের নিয়ে - আমরা প্রথম আলো বয়কট করতে বাধ্য হব। দয়া করে আমাদের বাধ্য করবেন না।
সাকিব,
তুমি টসে জিতেও ব্যাটিং না নিয়ে যে সাহসের পরিচয় দিয়েছ তার জন্য তোমাকে, তোমার দলকে হাজারো লাখো কুর্নিশ! ম্যাচে হেরেও এই কারণে তুমি এবং তোমার দল আমার চোখে বিজয়ী, আর ভারত ম্যাচ জিতেও পরাজিত। ভাই আমার, তুমি টাইগারদের নিয়ে সামনে এগিয়ে যাও! ষোল কোটি মানুষ তোমার সাথেই আছে।
কুটুমবাড়ি
মন্তব্য
লেখাটা কেন যেন আগে চোখে পড়েনি। পড়লাম এবং ভাল লাগলো জানিয়ে গেলাম...
ধন্যবাদ, সাফি ভাই। আপনি মন্তব্য না করলে হয়তো লেখাটা কারোই চোখে পড়ত না।
আমি cricket খেলা খুব ভাল বুঝি না।শুধু আমার দল বাংলাদেশ,আমার দেশ খেলে তাই আমি দেখি।আমি জানি না কি বলেনতোমায় ধন্যবাদ দিব।তবে বলতে ইচ্ছা করছে তোমার কলমে জোর আছে।তোমাকে দরকার আমাদের।এই সমস্ত বাজে সাংবাদিকদের হাত থেকে tiger দের বাঁচানোর জন্য।
ধন্যবাদ দিতে হবে না, ভাই! আপনার ভালো লেগেছে জেনে লেখার সার্থকতা খুঁজে পেলাম।
কুটুমবাড়ি
ধন্যবাদ দিতে হবে না, ভাই! আপনার ভালো লেগেছে এতেই লেখার সার্থকতা খুঁজে পেলাম।
ধন্যবাদ দিতে হবে না, ভাই! আপনার ভালো লেগেছে এতেই লেখার সার্থকতা খুঁজে পেলাম।
ধন্যবাদ দিতে হবে না, ভাই! আপনার ভালো লেগেছে এতেই লেখার সার্থকতা খুঁজে পেলাম।
দারুন লেখা।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ, কবি।
ঠিকাছে।
শেষ পর্যন্ত কী উৎপল শুভ্রই সঠিক প্রমাণ হলো? টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে ২০৫ রান ডিফেন্ড করে বাংলাদেশ জিতলো যে!
ভারতের সাথে আগে ব্যাট করলে কী হতো? বড়জোর হয়তো ২৬০-৭০ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়া যেত ভারতের দিকে (অতীত অভিজ্ঞতা তাই বলে)। কিন্তু ওই রকম ব্যাটিং প্যারাডাইসে, মাশরাফিবিহীন অনভিজ্ঞ দুই পেসার, এবং বাদবাকি (শিশিরাক্রান্ত) স্পিনাররা ভারতকে কতক্ষণ ঠেকিয়ে রাখতে পারত? আজকের খেলায় ভারত যেমন পারছে না ইংল্যান্ডকে ঠেকিয়ে রাখতে।
আর ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের সাথে আয়ারল্যান্ড দলের তুলনা? দুঃখিত, মোটেই মানতে পারছি না। তা ছাড়া আরেকটা ব্যাপার, আয়ারল্যান্ডের সাথে ম্যাচে উইকেট অনেক স্লো ছিল, ব্যাটে বল আসছিল না ঠিকমতো। মাঝে মাঝে বল নিচু হয়ে যাচ্ছিল (সাকিব নিজেই এমন একটি বলে আউট হয়েছেন)। ভারতের সাথে এই পিচে খেলা হলে নিশ্চিতভাবেই ম্যাচটি আরও লো-স্কোরিং হতো।
দেশের মাটিতে পরিচিত পরিবেশে আমরা ভারতের সমকক্ষ হিসেবেই খেলতে নেমেছি, তাই পিচ কন্ডিশন, ডিউ ফ্যাক্টর, নিজেদের বোলিং স্ট্রেন্থ ইত্যাদি বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে বেশি, প্রতিপক্ষ নয়।
বাংলাদেশ এখন আর মিনোজ টিম নাই। আগে ব্যাট করে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার ফালতু কচকচি দেখে যদিও সেটা বোঝার কোনো উপায় নাই। আশা করি বুঝলেন...
শেষ পর্যন্ত কী উৎপল শুভ্রই সঠিক প্রমাণ হলো? টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে ২০৫ রান ডিফেন্ড করে বাংলাদেশ জিতলো যে!
Akdom moner kotha likchen..lekha ta pore kub e valo laglo..tao jodi oi stupid Utpol Shuvror buddi hoi.
ধন্যবাদ, Hira। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
লেখাটা পড়ে খুব ভাল্লাগলো।।আসলেই নিজের দেশ যা খেলুক এখন কেন সেটা নিয়া চিল্লাস? ঘাটের মড়া!শেষের ম্যাচ তক লাফাব বাংলাদেশ কাপ জিতবে...সাকিব বাহিনী জিতবে
ধন্যবাদ, নাতাশা। নেভার স্টপ ইন বিলিভিং! শুভেচ্ছা।
পারফরমেন্স এর কথা বাদ দিলেও মাঠে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এর বিচারে যদি বাংলাদেশ এর কাউকে চিনেনা কিন্তু ক্রিকেট মোটামুটি বোঝে এমন যে কোনো দর্শক আশরাফুল কে বাকি টিম থেকে আলাদা করতে পারবে --- সে এই টিম এ পরিষ্কার মিসফিট! এটা বোঝার জন্য ক্রীড়া সাংবাদিক হতে হয় না!
মন্তব্যের জন্য
না।উৎপল শুভ্র সঠিক বলেন নি।হতে পারে প্রথম ম্যাচে এর শুরুতে ফিল্ডিং এর কারনে যে কথা সাকিব কে শুনতে হয়েছে এই প্রতিবেদনের কারনে , তার জন্ন্যেই সাকিব এই ম্যাচে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।যদি তা না করে ফিল্ডিং করত হয়্ত জয় সহজ হত। আর আশরাফুল এর পারফরমান্স সবাই দেখেছে। ১ রান এই কুপকাত।এর পর কি উৎপল শুভ্র আশরাফুল এর সাফাই গাইবেন?
উৎপাত শুভ্র যেন টিমকে জ্বালাতে না পারে তার জন্য আমরাই আছি অতন্দ্র প্রহরী হয়ে...
পড়া এবং মন্তব্যের জন্য
আমার মনে হয়না উৎপল শুভ্র খুব খারাপ কোন কথা বলেছেন। সাকিব এর টস এ জিতে ব্যাটিং না নেয়ার আক্ষেপ টা তো পুরো দেশবাসীর ই। শুভ্র বেশ কিছু 'ইশ' এর কথা ওই প্রতিবেদন এ লিখেছিলেন। সর্বশেষ 'ইশ' টা তো তার ই হাত ধরে। প্রতিবেদক এর পেশাদারিত্ত ছাপিয়ে তাঁর আক্ষেপ টাই তো উঠে এসেছে। আর আশরাফুল কে নিয়ে তো গোটা দেশবাশি ই আশ্চর্যজনকভাবে দ্বিধান্বিত। একটা ম্যাচ ভাল করলেই আশরাফুল কে 'আশার ফুল' বানিয়ে দেয়া হয়। একটা খারাপ ম্যাচ এর জন্য মুহূর্তেই তাঁর অবদান ছুঁড়ে ফেলা হয়। আশরাফুল কে ছাড়া বাংলাদেশ কোন বড় ম্যাচ টা জিতেছে? ভারত এর বিপক্ষে আশরাফুল কে দল এ অন্তরভুক্ত করে বাংলাদেশ একটা জুয়া খেলতেই পারত। আশরাফুল এর অন্তরভুক্তির জন্য দল এ একজন যোগ্য খেলোয়াড় কমে যাচ্ছে আপনি বলেছেন। আমি বলতে পারি বাংলাদেশ দলে অন্তত তিনজন বিশ্বকাপ খেলার অযোগ্য খেলোয়াড় রয়েছেন। আশরাফুল এর বিপরীতে দলে যাঁদের অবদান শুন্য। শুধু অভিজ্ঞতা এবং ভারত এর বিপক্ষে রেকর্ড ই আশরাফুল কে খেলানোর জন্য যথেষ্ট বড় যুক্তি ছিল। সাকিব এর ক্যাপ্টেনসি নিয়ে প্রশ্ন নেই তবে এটা মনে রাখা উচিত বাংলাদেশ চেজিং এ ভালো নয়। সবচেয়ে বড় যে চেজিং এর রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০০৫ সালে নাটওয়েস্ট সিরিজ এ। ২৫০ রান বাংলাদেশ তাড়া করেছিল কিন্তু এই আশরাফুল এর ব্যাট এ চড়েই। (৯৬ বলে ১০০)।
আপনি কীভাবে জানেন, "এই আক্ষেপ" পুরো দেশবাসীর? আপনি কি পুরো দেশে কোনো শাস্ত্রসম্মত জরিপ করে এসেছেন, নাকি টুপির নিচ থেকে বের করলেন কথাটা?
নামের লিস্টিটা পেলে কৃতার্থ হতাম।
জনাব Schaker ... আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি, চেজিং করে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে জিম্বাবুয়ের মাটিতে ২০০৯ সালে, আর সেই ম্যাচে ১৫০ করেছিলেন ১৫৪ রান।
১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের দিন কি আশরাফুল খেলেছিল? না। ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে ৫১ রান করেছিল কে? আশরাফুল?না, তামিম। সম্প্রতি বাংলাদেশ নিজের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইট করেছে আশরাফুলের আশীর্বাদ ছাড়াই। এগুলো সবই বিগ ম্যাচ।
পলাশ মুস্তাফিজ
ভাই Schaker, ক্রিকেট খেলাটা কেবল "গোল্লা ফেক, বাল্লি ঘুমা" না। যদি তাই হইতো তাইলে উটপোঁদ শুভ্র হতো বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচক আর আপনি হতেন তার ঘোষিত দলের ক্যাপ্টেন।
ক্রিকেট নিয়ে কমেন্ট করার আগে এই খেলাটা ভালো করে জেনে নিয়ে তবে করলে ভালো হয়। এই উপদেশ থাকলো আপনার এবং উটপোঁদ শুভ্র, দুজনের জন্যই। সেটা না করতে চাইলে কেবল গোল্লা ফেক আর বাল্লি ঘুমাতেই সীমাবদ্ধ থাকেন, খেলা নিয়ে নিজের পাণ্ডিত্য প্রদর্শনে আসবেন না দয়াকরে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভালো লিখেছেন।
ধন্যবাদ, পিপিদা। আপনি কিছু একটা বলবেন, এই আশাতেই ছিলাম...
ভাই কি জানেন, যে, ভারত এর বিরুদ্ধে যে পিচ এ খেলা হয়েছিলো আর আয়ারল্যান্ড এর বিপক্ষে যে পিচ এ খেলা হয়েছে, সেটা Same না??
সাকিব + Management Team পিচ দেখে সিদ্ধান্ত নেয়, উৎপল শুভ্র/তথাকথিত ক্রিকেট বোদ্ধাদের মতো চেয়ার এ বসে চা খেতে খেতে নয়!!
So, comments করার আগে বিষয় গুলা জেনে করা উচিত :-|
ধন্যবাদ অরণ্য - অরণ্য
অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই।
আমার মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগে।
সাকিব আমার বয়সি একটা ছেলে যে কিনা ১৬ কোটি মানুষের আশার মশাল নিয়ে চলছে।
এত চাপের উপর এই উটপল আরও বারতি চাপ দিচ্ছে।
ওনার আরও সতর্ক হওয়া উচিৎ।
ধন্যবাদ।
জাহাজি পোলা, আপনাকেও ধন্যবাদ।
একজন দেখলাম বললেন টস এ জিতে ব্যাটিং নিয়ে বাংলাদেশ জিতেছে আয়ারল্যান্ড এর সাথে...কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে তারা ২০৫ রান এই অলআউট হয়েছে...এই ব্যাটিং ভারত এর সাথে করলে ভারত ৩০ ওভার এই ম্যাচ জিতে যেত...সেটা হত আরো লজ্জার...
একমত। ব্যাটিংয়ে আরও অনেক ইমপ্রুভ করতে হবে। অন্তত প্রথম দু ম্যাচে যা হয়েছে তার চেয়ে আরও ভালো ব্যাট করতে হবে টাইগারদের।
ক্রিকেটবোদ্দা উৎপল শুভ্রর আরো সতর্ক হওয়া উচিত। কারণ যেকোন কাজই বলা সহজ করা কঠিন ।
তার দেয়া ফর্মূলাও তো বাংলাদেশের হারার কারণ হতে পারে।
ক্রিকেট-লেখক হতে ক্রিকেটবোদ্ধা হওয়ার প্রয়োজন হয় না। উৎপাত শুভ্রই তার প্রমাণ।
অবশ্যই একটি চমৎকার লেখনী। খুব ভাল লাগল । আছি আমরাও ১৫ কোটি বাংলাদেশীদের একজন হয়ে, আপনার-ই সাথে।
ধন্যবাদ, আমি অচেনা। আপনার মন্তব্যে উৎসাহ পেলাম অনেক।
Fantastic. i like it very much. every reporter should understand that, Shakib is the most talented cricketer ever Bangladesh produce. & probably he is the best creating brain as a captain. He proved it in last match, against Irish. Go ahead Shakib. we are with you.
বাংলায় লিখতে হলে মন্তব্য বক্সের উপর 'অ' বর্ণটির উপর ক্লিক করে ফোনেটিক বা অভ্র বাছাই করুন। তারপর ফোনেটিকে লিখুন। এমন একটা বিজয়ের সময় বাঙ্গালী বাংলায় মন্তব্য করবে না তা হয়?
ধন্যবাদ, ধন্যবাদ।
ঐ মিয়া রেজিস্ট্রেশান করেন না কেন?
লেখা জব্বর।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
করসি তো! আর করার পর থিকাই আছি বিপদে... প্রতিদিনই মেইল বক্স খুলি, আর আশায় আশায় থাকি মেইলের জন্য... হা হা হা।
মন্তব্যের জন্য
উৎপল একটা রিপোর্টার, তেলাপোকাও একটা পাখি! তার মত এমন ক্রিকেটবৃদ্ধের (not বোদ্ধা) রিপোর্টকে এত কেয়ার না করলেই কি নয়? পাবলিক তো আর ঘাস খায় না। একচোখা দেখছি, কিন্তু বাপের জন্মেও এমন দেখি নাই!!!
---------------------------------------------
কাষ্ঠ এখন মানুষে খায়, মানুষরে খায় ঘুনে!
খুব ভালো বলেছেন, ফেরীওয়ালা৩৩ ভাই।
লেখাটির আবেগ আছে,
টিপিকাল South Asian দের মত(N) এবং আছে
ভাষাগত প্রয়োগে একইভাবে অসংযতা,
Except Srilankans.
ঠিক বুঝলাম না... আপনি কি ভাষা প্রয়োগে আরও সংযত হওয়ার কথা বলছেন?
উটপল এবং উটপল সমর্থকদের টস নিয়ে এমন ফিক্সেশন দেখে মনে হয় টসে জিতলেই খেলা জেতা হয়ে গেল, অর্থাৎ এরপর আগে ব্যাট করবে না বোলিং করবে সেই সিদ্ধান্তটা সঠিক ভাবে নিতে পারলেই কেল্লা ফতে - বাংলাদেশের জয় অবধারিত। তো আমার একটা পরামর্শ আছে। এরপর বাংলাদেশের প্রতিটি খেলায় উটপলকে মাঠে রাখা হোক। আইসিসি এবং প্রতিপক্ষ দলের সাথে পরামর্শ করে এই ব্যবস্থায় আসা হোক যে, সাকিব টসে জিতলে উটপলকে জিজ্ঞেস করা হবে যে কে আগে ব্যাট করবে। এবং টসের উপরই যেহেতু ম্যাচের ভাগ্য নির্ভর করে এবং উটপল এবিষয়ে সবই জানে - সেহেতু একথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে উটপলের পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ অনিবার্যভাবেই জিতবে ঐ ম্যাচে। সুতরাং টসের পরে ঐ ম্যাচটা দীর্ঘসময় ধরে বেফায়দা বেফজুল খেলে আর কোন লাভ নেই। অতএব, টসে বাংলাদেশ জিতলে ঐ পর্যায়েই প্রতিপক্ষ দল অবধারিত হার স্বীকার করে নিয়ে মাঠ ছেড়ে চলে যাবে সবাইকে ৫০ ওভার অনর্থক পরিশ্রমের হাত থেকে রেহাই দিয়ে। আর বাংলাদেশ টিমও এক বলও না খলে বিনা পরিশ্রমেই খেলা জিতে যাবে। বিপক্ষ দল টস জিতলেও একই কথা। উটপল তাদেরকেও পরামর্শ দিতে পারেন - সেক্ষেত্রেও আর খেলার কোন প্রয়োজনীয়তা থাকবে না।
সত্যি বলতে কি, এই টসটা বিসিবি অফিসে বসেই করা যায়। খামাখা মাঠে আসার দরকার নেই।
মনমাঝি
টস হারাটাও লাক, ক্ষেত্রবিশেষে। ছাগলটার কোনো ধারণাই নাই সব ম্যাচে টস সমান গুরুত্বপূর্ণ না।
কিছু একটা লিখে পত্রিকার কাটতি বাড়ানোটাই এদের ধান্দা।
সুজনদা রক্স !!!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এমন সুন্দর একটা লেখার জন্য ধন্যবাদ।
উটপোদ কে এই লেখাটার লিঙ্ক পাঠাইতে পারলে ভাল্লাগত।।।।।।।।হতচ্ছাড়আ।।।।
লেখাটা জোশ ।।।।।।
আমারও...
বাংলাদেশ যে ম্যাচটা ২৯৬ করে হেরেছিল, সেটার ম্যাচ রিপোর্ট এও এই সাদা উটু সাকিবকে আক্রমণ করেছিল, ব্যাটিং আগে নেয়ার কারণে। আর Schaker ভাই কে বলছি, খালি ফুল সাহেবের ক্যাঙ্গারুদের সাথে জয়ের কথাই বলেন আপনারা, কিন্তু, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড এদের সাথে পরাজয়ের বড় কারণ যে ২৬ এভারেজ এর ফুল, সেটা আর আপনারা মনে রাখেন না। আর আপনি বলতে চান টাইগার রা ৮ জন নিয়ে খেলে, ৩ জন ফাও? আপনি নিজেই চিন্তা করেন ফুল ওই ৩ জন ফাওয়ের ১জন ও হয়ার যোগ্যতা রাখে না। একটা কথা মনে রাখবেন বড় হতে হলে আগে ছোটদের বলেকয়ে হারাতে হয়। আর এটা ২০০৫ সাল না, ২০১১। দয়া করে বর্তমানে আসেন।
আশ্রাফুলের এভারেজ এমনকি ছাব্বিশও নয়, ২৩.৩৪। রিয়াদ-নাঈমের তুলনায় যা অনেক কম (রিয়াদের ৬৭.৫৪ আর নাঈমের ২৭.৩৮)। তবে আশরাফুল ওই দুইজনের চেয়ে সামান্য এগিয়ে আছে স্ট্রাইক রেটের দিক থেকে। [সূত্র]
পাওয়ার প্লেতে আশরাফুলের ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের জন্য, কিন্তু আশ্রাফুল তো ব্যাটিংয়ে ডাব্বা মেরে যাচ্ছে অনেক দিন ধরেই। ব্যাটিংয়ে সে কিছু করে দেখাতে পারবে এমন আশা করাটা এখন রীতিমতো মুশকিলের ব্যাপার।
সংশোধনী : ওয়ানডেতে রিয়াদের ব্যাটিং এভারেজ ২৮.৩১
এলাকাতে শুধু যে উ. শুভ্র আছে টা কিন্তু না...তারেক মাহমুদ ও আসে...উনি ও কিন্তু কম যান না...লাস্ট খেলার পর শফিউলকে তো খালি একটা প্রশ্নই করা হইসে..."আপনার খারাপ লাগে নাই?? আপনি তো man of the match হইলেন না??"...আমি বুঝি না এই প্রশ্নও করার মানেটা কি??
যেমন গুরু তেমন শিষ্য। তবে তারেক মাহমুদ যদি শেষকালে গুরু-মারা শিষ্য হয়ে ওঠে (আশুতোষণের দিক থেকে) তাহলেও অবাক হবো না! বিশেষ করে আশরাফুলের লড়াই শিরোনামে যে লেখাটি প্রথম আলোতে ছাপা হয়েছে সেটি পড়ার পর তো এই সন্দেহ ক্রমেই বিশ্বাসে পরিণত হচ্ছে।
(শফিউলকে সত্যিই এমন প্রশ্ন করেছে নাকি? লিংকটা যদি শেয়ার করতে পারেন তো খুব ভালো হয়)
দেখেন ভাই, আজকে ভিরেন্দর শেবাগ এত confident কারণ সৌরভ গাঙ্গুলী তাকে বলেছিল তুমি নিশ্চিন্তে খেলো এবং যেভাবে ইচ্ছা খেলো, তোমাকে দল থেকে বাদ দেয়া হবে না। ব্রেট লী কে পন্টিং বলেছিল যত খুশি বাজে বল করো, কিন্তু যত পারো বাজে বল করো। এরপর ই আমরা এই লী কে পেয়েছি। এই দু জন খেলোয়ার এর উপর ক্যাপ্টেন দের ভরসাই তাদের কে সেরা বানিয়েছে।
অন্যদিকে আলবি মরকেল, যাকে স্মিথ ব্যবহার করত স্লগ ওভার এ, আর কঠিন সময়ে তাকে বোলিং এ আনতো, সে কিন্তু তার খেলা হারিয়ে ফেলেছে। একি কথা বলা যায় ডেভিড মিলার এর ব্যাপারেও।
একজন খেলোয়ার ভাল করার ব্যপারে চাপমুক্তি ও অধিনায়কের সাপোর্ট যে কত বড় তা জানে সুরেশ রায়না ও চেন্নাই সুপার কিংস এর আলবি মরকেল। আশরাফুল কে অনেক চাপে খেলতে হয়। আমরা ভুলে যাই যে আমাদের দলে ম্যাচ উইনার শুধু তামিম আর সাকিব। তাই আশরাফুল কে আমাদের দরকার। এবং চাপমুক্ত আশরাফুল কেই দরকার।
ওরে চাপ দিছে কেডায়?
...........................
Every Picture Tells a Story
অরে কেও চাপ দেয় নাই......খালি প্রভা-বিত হইছিল
তাইলে কেবল ঘাটের মড়া উৎপল না, উর্বশী প্রভায়ও আশুরে চাপ দিসে?
অধিনায়ক কেবল নিজের জন্য খেলেন না, তাকে দলের কথাও ভাবতে হয়। দলের সেরা কম্বিনেশনের কথা ভাবাটাও তাকেই মানায়- উটপোঁদ শুভ্র বা আপনার-আমার মতো ক্রিকেটমূর্খদের নয়। এমনিতেই সাকিবের ওপর গুরুদায়িত্ব, বোঝার ওপর শাকের কাঠির মতো 'আশ্রাফুলের চাপমুক্তি'র ঠিকাদারিটা তার ওপর না চাপালে হয় না?
দেখেন ভাই আশরাফুল আর রকিবুল আমার মনে হয় এখন সমান চাপ নিয়ে খেলে। আশরাফুল কে টিম এ থাকার জন্য আর রকিবুলকে গালি না খাওয়ার জন্য। কিন্তু বড় মঞ্চে কে চাপ নিতে পারে তা ভাই বুঝা হয়ে গেসে। আশরাফুল কে যখন টিম থেকে বাদ দেবার কোনো কথা ছিল না তখনও সে ঠিক আজকের মতই অবিবেচকের মত শট খেলত। বিশ্বকাপ জুয়া খেলা বা এক্সপেরিমেন্ট করার জায়গা না। এখানে সেরা টিম কম্বিনেশন আর পরীক্ষিতদেরই জায়গা দেয়া উচিত।
আমরা সাকিবের মতো একজন যোগ্য অধিনায়ক পেয়েছি বিশ্বকাপে। আসেন কোথাকার কোন উটপোঁদ শুভ্র বা তার গেলমান বাহিনী কী বলল সেসবে বেশি পাত্তা না দেই। আর সাকিব যে কম্বিনেশনই বেছে নিক না কেন তাতে পূর্ণ সমর্থন দেই। আফটার অল, ছেলেটা ক্রিকেট আপনার আমার চেয়ে কম বুঝে না।
আশরাফুল পারলেন না। বাংলাদেশ দলের ভবিষ্যৎটাও দুলে উঠল পেন্ডুলামের মতো। গত কিছুদিন বাঁহাতি স্পিনারদের প্যাডেল সুইপ ভালো খেলছিলেন। নেটে, তার আগে ঘরোয়া ক্রিকেটেও। সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই জর্জ ডকরেলকে খেলেছিলেন ওই শট। মেরেছিলেন খালি জায়গায়, কস্মিনকালেও ভাবেননি ওটা শর্ট ফাইন লেগে জমা পড়বে অ্যান্ড্রু হোয়াইটের হাতে। (আশরাফুলের লড়াই - তারেক মাহমুদ | তারিখ: ২৭-০২-২০১১)
রিপোর্টটা আগে চোখে পড়েনি। লিংকের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
উপরের সাক্ষাতকারটি আমিও পড়েছিলাম তবে আপনার মত এতটা বিশ্লেষনী মনোভাব নিয়ে পড়িনি, তবে আপনার সাথে ১০০% সহমত সাকিবকে নিয়ে উতপল শুভ্র-এর কি সমস্যা বুঝলাম না
আজকের প্রথম আলু পড়ে দেখেন। পড়ে মনে হবে আশুই এখনো জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন বা এই জাতীয় কিছু। এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টাইগাররা কেমন খেলবে এই নিয়ে তাদের যতটা না টেনশন, তার চেয়ে শতগুণ বেশি টেনশন আশরাফুল পারবে তো? এরা আশুপ্রেমে এতই অন্ধ যে, সাকিব-বিদ্বেষটা ওদের চোখে হয়তো ধরা পড়ছে না। কিন্তু একটু সচেতন হয়ে ওদের রিপোর্টগুলো পড়লেই বোঝা যায় ব্যাপারটা।
Bangladesh PM bats for cricket captain
Dhaka, March 1, (IANS):
Bangladesh Prime Minister Sheikh Hasina has strongly defended her national team's captain Shakib Al Hassan who lost the World Cup opening match last month after sending India to bat first.
নতুন মন্তব্য করুন