• ১৮৮৯ থেকে ১৯০১ পর্যন্ত বারো বছর পূর্ববঙ্গের শিলাইদহ ও শাহজাদপুরে জমিদারীর কাজে থাকাকালীন সময়ে "আমার সোনার বাংলা" কবিতাটি লিখেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
• ১৯০৫ সালের সঞ্জীবনী পত্রিকায় ও বঙ্গদর্শন পত্রিকায় গানটি প্রকাশিত হয়।
• ১৯০৬ সালে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আদর্শগত চেতনা হতে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গান হিসেবে কবিতাটি ব্যবহার করেন। কুষ্টিয়ার বাউল শিল্পী গগন হরকরার (বাউল গগনচন্দ্র দাস) “আমি কোথায় পাবো তারে, আমার মনের মানুষ যে রে”(ডাউনলোড লিংক) গানের সুরের অনুকরণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেই গানটির সুর করেন। সরলা দেবী চৌধুরানী ১৯০০ সালে তাঁর 'শতগান সংকলনে' গগন হরকরা রচিত গানটির স্বরলিপি প্রকাশ করেছিলেন।
গগন হরকরার সেই গান :
আমি কোথায় পাব তারে,
আমার মনের মানুষ যে রে।
হায়ারে সেই মানুষে তার উদ্দেশ্য
দেশ বিদেশে বেড়াই ঘুরে।
লাগি এই হৃদয় শশী
সদা প্রাণ হয় উদাসী,
পেলে মন হত খুশী,
দেখতাম নয়ন ভরে।।
আমি প্রেমানলে মরছি জ্বলে,
নিভাই অনল কেমন করে,
মরি, হায়, হায়, হারায়ে
ও তার বিচ্ছেদে প্রাণ
কেমন করে দেখনা তোরা হৃদয় চিরে।
দিব তার তুলনা কি
যার প্রেমে জগৎ খুশী,
হেরিলে জুড়ায় আঁখি,
সামান্যে কি দেখতে পারে তারে?
যে দেখেছে সেই মজেছে ছাই দিয়ে সংসারে,
ও সে না জানি কুহক জানে
অলক্ষে মন চুরি করে
কুলমান সব গেলরে
তবু না পেলাম তারে
বসত্ কোথায় না জেনে ভাই
গগন মরে,
না জেনে ভাই গগন কেঁদে মরে,
আমার মনের মানুষ যে রে।(ডাউনলোড লিংক)
• ১৯০৫ সালের ০৭ আগস্ট কলকাতায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী একটি সমাবেশে প্রথম গানটি গাওয়া হয়।
• শিল্পী গোপালচন্দ্র সেনের কন্ঠে গানটি প্রথম রেকর্ড করা হয়।(ডাউনলোড লিংক)
• গানটি গীতবিতান(ডাউনলোড লিংক) গ্রন্থের স্বদেশ অংশের অর্ন্তভুক্ত।
• পরিচালক জহির রায়হান তাঁর নির্মিত “জীবন থেকে নেয়া”(১৯৭০) চলচ্চিত্রে গানটি ব্যবহার করেন।
• ১৯৭১ সালের ০৩ মার্চ পল্টন ময়দানে “স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম পরিষদ” তাদের ইশতিহারে গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করে।
• ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে গঠিত বাংলাদেশ অস্থায়ী সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গাওয়া হয়।
• ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সুরকার অজিত রায় গানটির বর্তমানে প্রচলিত যন্ত্রসুর করেন।
• ১৯৭২ সালের ১৩ জানুয়ারী বাংলাদেশ সরকার গানটির প্রথম দশ লাইন জাতীয় সঙ্গীত(ডাউনলোড লিংক) হিসেবে গাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে (মোট চরণ সংখ্যা পঁচিশটি/ডাউনলোড লিংক)। যন্ত্রসঙ্গীতে ও সামরিক বাহিনী ব্যবহার করা হয় প্রথম চারটি লাইন(ডাউনলোড লিংক)। একই বছর বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে ব্যবহার করা “আমার সোনার বাংলা” গানটির স্বরলিপি বিশ্বভারতী সংগীতবোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত করা হয়।
জাতীয় সঙ্গীতের দশ লাইন:
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি।
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,
মরি হায়, হায় রে
ও মা, অঘ্রাণে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি।
কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো
কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে।
মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো,
মরি হায়, হায় রে
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি।(ডাউনলোড লিংক)
সম্পূর্ণ গান (পঁচিশ চরণ) :
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি।
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,
মরি হায়, হায় রে
ও মা, অঘ্রাণে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি।
কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো
কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে।
মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো,
মরি হায়, হায় রে
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি।
তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিল রে,
তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি।
তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে,
মরি হায়, হায় রে
তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি।
ধেনু-চরা তোমার মাঠে, পারে যাবার খেয়াঘাটে,
সারাদিন পাখি-ডাকা ছায়ায়-ঢাকা তোমার পল্লীবাটে,
তোমার ধানে-ভরা আঙিনাতে জীবনের দিন কাটে,
মরি হায়, হায় রে
ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, তোমার রাখাল তোমার চাষি।
ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে
দে গো তোর পায়ের ধূলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে।
ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে,
মরি হায়, হায় রে
আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর ভূষণ বলে গলার ফাঁসি।(ডাউনলোড লিংক)
• গানটি ইংরেজীতে অনুদিত করেন অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান।
ইংরেজী অনুবাদ :
My Bengal of gold, I love you
Forever your skies, your air set my heart in tune
as if it were a flute,
In Spring, Oh mother mine, the fragrance from
your mango-groves makes me wild with joy-
Ah, what a thrill!
In Autumn, Oh mother mine,
in the full-blossomed paddy fields,
I have seen spread all over - sweet smiles!
Ah, what a beauty, what shades, what an affection
and what a tenderness!
What a quilt have you spread at the feet of
banyan trees and along the banks of rivers!
Oh mother mine, words from your lips are like
Nectar to my ears!
Ah, what a thrill!
If sadness, Oh mother mine, casts a gloom on your face,
my eyes are filled with tears!
• ২০০৬ সালে বিবিসি'র শ্রোতা জরিপে 'আমার সোনার বাংলা' গানটিকে 'শ্রেষ্ঠ বাংলা গান' হিসেবে নির্বাচিত হয়।
• ২০০৬ সালে আইনজীবী কালিপদ মৃধা মোবাইলের রিং টোন এবং ওয়েলকাম টোন হিসেবে জাতীয় সংগীতের বাণিজ্যিক ব্যবহারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সংগীতকে মোবাইল ফোনে রিং টোন হিসেবে এবং বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করাকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট। আদালত গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংককে ৫০ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছিলো।
• ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকে অংশ নেয়া ২০৫ টি দেশের জাতীয় সঙ্গীতের তুলনামূলক বিচারে দৈনিক গার্ডিয়ান পত্রিকার মতে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত দ্বিতীয় হয়। উরুগুয়ের জাতীয় সংগীত প্রথম হয়।
কিছু দু:খের কথা:
• বাংলাদেশ স্বাধীন হলো আজ এত বছর কিন্তু এখনো সরকার কর্তৃক “আমার সোনার বাংলা”র কোন রেকর্ড বের হয়নি। যা হয়েছে সবই বেসরকারী উদ্যেগে; “শ্রোতার আসর” ১৯৭৯ সালে ও “আনন্দ ধারা” ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত সুরে “আমার সোনার বাংলা”র রেকর্ড প্রকাশ করে।
• একটা তথ্য শুনে অবাক হবেন। স্বাধীনতার পর, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে বাণীসহ প্রতিদিন বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত জাতীয় সঙ্গীতের সুরে “আমার সোনার বাংলা” গাওয়া হতো। ১৯৭৬ সাল হতে বাংলাদেশ টেলিভিশন বাণীসহ জাতীয় সংগীতের প্রচার বন্ধ করে দেয়। এর কিছুকাল পরে বাংলাদেশ বেতারও একই রাস্তায় হাঁটে। এখন তো শুধু যন্ত্রসঙ্গীত বাজানো হয়।
......
ডাউলোড লিংকসমূহ :
০১। গীতবিতান।
০২। গগন হরকরার গান : “আমি কোথায় পাবো তারে, আমার মনের মানুষ যে রে”।
০৩। গোপালচন্দ্র সেনের কন্ঠে "আমার সোনার বাংলা"।
০৪। পঁচিশ চরণের "আমার সোনার বাংলা"।
০৫। জাতীয় সংগীত।
০৬। যন্ত্র সঙ্গীত।
মিডিয়াফায়ার.কম-এর লিংক
০১। গগন হরকরার গান : “আমি কোথায় পাবো তারে, আমার মনের মানুষ যে রে”।
০২। গোপালচন্দ্র সেনের কন্ঠে "আমার সোনার বাংলা"।
০৩। পঁচিশ চরণের "আমার সোনার বাংলা"।
০৪। জাতীয় সংগীত।
০৫। যন্ত্র সঙ্গীত।
০৬। আমার সোনার বাংলা-ডুয়েল-রবীন্দ্র সঙ্গীত।
.
.
.
.
মন্তব্য
খুব ভালো লাগলো লেখাটি। কিছু তথ্য অজানা ছিল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভালো থাকবেন।
অসাধারন পোস্ট! চমৎকার একটা কাজ করেছেন...সাধুবাদ নেবেন।
(ডাউনলোড লিংকগুলোতে ক্লিক করলে fileden.com ওপেন হচ্ছে, এইখানে আমার একাউন্ট আছে, লগিন করেও কিছু পেলাম না, অন্যকোন রাস্তা দেখালে উপকৃত হতাম, ২৫ চরণের সম্পুর্নটি শোনা হয়নি)
- দিগন্ত বাহার
ধন্যবাদ।
লিংকগুলো চেক করলাম; সবই তো ঠিক আছে।
তবুও আবার দিলাম।
০১। গীতবিতান।
০২। গগন হরকরার গান : “আমি কোথায় পাবো তারে, আমার মনের মানুষ যে রে”।
০৩। গোপালচন্দ্র সেনের কন্ঠে "আমার সোনার বাংলা"।
০৪। পঁচিশ চরণের "আমার সোনার বাংলা"।
০৫। জাতীয় সংগীত।
০৬। যন্ত্র সঙ্গীত।
গার্ডিয়ানের লিঙ্ক
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
অসংখ্য কৃতজ্ঞতা রইল।
ভালো থাকবেন।
লিঙ্কের জন্য ধন্যবাদ। বেশ কিছু ভালো সুর শুনতে পেলাম ওখানে গিয়ে।
আসলে পৃথিবীর সব দেশের জাতীয় সঙ্গীতের সুর অসাধারণ হয়।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ভালো করেছেন এটা লিখে!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ।
অসাধারণ একটা কাজ করেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ। তিন নম্বর লিঙ্কটি ইউটিউবে রাখা গেলে সবার কাছে ছড়িয়ে দেয়া যেত। জাতীয় সংগীতের শুদ্ধ সুর আর কথা যতটা সম্ভব সহজলভ্য করা প্রয়োজন।
শীঘ্রই ইউটিউবে আপলোড করবো।
সহমত।
ভালো থাকবেন।
ভাবছি কোন একটা পত্রিকার জন্য আপনার এই লেখাটা ঝেড়ে দেব
ভালো থাকবেন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
-----------------------
সবুজ পাহাড়ের রাজা
চমৎকার!
শ্রমসাধ্য এই কাজটির জন্য অভিনন্দন আপনাকে।
ভালো থাকবেন।
অসাধারণ কাজ। ধন্যবাদ আপনাকে।
-অতীত
পড়ে ভালো লাগলো। আপনি সবসময় নতুন ধরনের বিষয় উপস্থাপন করেন। জাতীয় সঙ্গীত যদিও নতুন কিছু না, কিন্তু কখনও এর ইতিহাস নিয়ে ভাবিনি। ধন্যবাদ।
-রু
ভালো থাকবেন।
সচলায়তনে এটা আমার ১ম Comment. আমি গরবিত আমার দেশের জাতীয় সংগীতের উপর এরকম ১টা তথ্যবহুল পোষ্ট এ আমি Comment করতে পেরেছি। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
সচলে স্বাগতম।
ভাল থাকবেন।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
আপনাকে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ভালো থাকবেন।
পুরাই পাংখা হইসে! আসেন, আপনারে ঘাড়ে তুইলা নাচি।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
আমারে ঘাড়ে তুললে আপনার ঘাড় ক্র্যাক করবে।
আসেন কাঁধে কাঁধ মিলায়া নাচি।
--------------------
ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ, জাতীয় সংগীত বিষয়ে এমন তথ্যবহুল পোস্টের জন্য।
ভালো থাকবেন।
এমন তথ্যবহুল (এবং চমৎকার) পোষ্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ!
-মনিকা
চমৎকার..................
ধন্যবাদ আপনাকে।
আজ সচলায়তনে ঢুকেই মনটা ভালো হয়ে গেল। অসাধারণ লেখা। অসাধারণ আপনার মন ভালো করার ক্ষমতা।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ভালো থাকবেন রোমেল ভাই।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভালো থাকবেন।
এ বিষয়ে ভাসা ভাসা জানলেও আপনার পোষ্টে বিস্তারিত জানা হলো। পোষ্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ!
অনেক ভালো লেগেছে লিখাটা!
গীতবিতানটা ডাউনলোড করে দেখি সেটা ২০৫৪ পৃষ্ঠার বই! যাই হোক সেখানে দেওয়া লিংকটা অনুসরণ করে জানলাম এই মহৎ কাজটি করেছেন: সোমেন মোহন ভট্টচার্যী। উনি এই কাজটা করেছেন টেক (BengTeX) দিয়ে, যা অত্যন্ত শ্রম সাধ্য কাজ। উনার বাংলার উপর আরো কাজ আছে, যেগুলো ডাউনলোড করা যাবে উনার হোম পেজ থেকে। আমার মনে হয়েছে এখনে উনার নামটা উল্লেখ করা উচিৎ ছিল।
ছেড়া পাতা
ishumia@gmail.com
বইটাতেই উনার নাম থাকায় পুনরায় উনার নামটা দিইনি।
পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।
---------------
সবুজ পাহাড়ের রাজা
অনেক অজানা তথ্য জানলাম, ধন্যবাদ।
কিন্তু পঁচিশ চরণের "আমার সোনার বাংলা ডাউনলোড করতে পারলাম না!
ফাইলগুলো এখন যেখানে হোস্ট করা হয়েছে, তা হলো ফাইলডেন.কম। ফাইলগুলোর লিংক-এ কয়েকবার ক্লিক করলে ডাউনলোড হবে।
মিডিয়াফায়ার.কম ও ইউটিউব.কম-এ শীঘ্রই শীঘ্রই হোস্ট করবো।
ধন্যবাদ।
---------------
সবুজ পাহাড়ের রাজা
ধণ্যবাদ
সামুতে অনেকে তথ্য গুলা জানতে চেয়েছিলআপনার োস্টের লিংকটা শেয়ার করলাম
আর
”গগন হরকরার সেই গান :
আমি কোথায় পাব তারে,
আমার মনের মানুষ যে রে।
হায়ারে সেই মানুষে তার উদ্দেশ্য”
হায়ারে= সম্ভবত ”হারায়ে”
সচলায়তন.কম-এর নাম উল্লেখ করবেন।
জ্বি ; ঠিক ধরেছেন। "হারায়ে" হবে।
বাহ্ ! চমৎকার পোস্ট !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
---------------
সবুজ পাহাড়ের রাজা
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
---------------
সবুজ পাহাড়ের রাজা
দারুণ পোস্ট। ধন্যবাদ।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
---------------
সবুজ পাহাড়ের রাজা
---------------
সবুজ পাহাড়ের রাজা
সবুজ পাহাড়ের রাজা,
প্রথমত কষ্টসাধ্য পোস্টটির জন্য
আপনি জাতীয় সংগীতের জন্য যে গানটার লিংক দিয়েছেন সেটি অসাধারনভাবে গাওয়া একটি গান।কিন্তু এটি আমাদের জাতীয় সংগীত হিসেবে ব্যবহৃত হয়না।হয় এটি- বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত।
আশা করি একটি সংশোধনী দিবেন।
ধন্যবাদ।
রব
জাতীয় সঙ্গীতের যে লিংকটি আমি দিয়েছি সেটি রবীন্দ্র ঢঙে গাওয়া।
আপনার লিংকটি কোরাস ঢঙে গাওয়া (সম্ভবত: সুরকার অজিত রায়ের করা সুর /অথবা, সুরকার আব্দুল আহাদের করা)।
এ বিষয়ে আসলে কিছু তথ্য বিভ্রান্তি আছে।
যেমন: জাতীয় সঙ্গীতের যন্ত্র সুর আছে তিনটির মতন এবং সবগুলোই ব্যবহৃত হয়।
সবুজ পাহাড়ের রাজা,
বিভ্রান্তি আছে বলেই আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করেছি।অনেক পরিশ্রম করে লিখা আপনার এই পোস্টটা অনেকেরই চোখে পড়েছে।আপনার পরিশ্রমের কারণেই পোস্টের তথ্যের প্রতি আস্থা রাখছেন সবাই।অনেকেই হয়ত ধরে নিবেন আপনার লিংকের গানটি আমাদের জাতীয় সংগীত।
ব্যাপারটা কোরাস বা সলোর না।বাণী ও সুরের।আমাদের অনুমোদিত জাতীয় সংগীতের পূর্ণপাঠ নিম্নরূপঃ
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ,
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস,
আমার প্রাণে
ও মা, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি,
সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।।
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,
মরি হায়, হায় রে-
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,
ও মা, অঘ্রাণে তোর ভরা ক্ষেতে কী দেখেছি
আমি কী দেখেছি মধুর হাসি।
সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।।
কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো-
কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে।
মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো,
মরি হায়, হায় রে-
মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো,
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে আমি নয়ন
ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি।
সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।।
এখন খেয়াল করলে দেখবেন আপনার লিঙ্কের গানটিতে শুরুতে 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।' লাইনটা দুবার গাওয়া হচ্ছে। জাতীয় সংগীতে এটি একবার গাওয়া হয়।আবার '
' এর পরে '
' অংশটুকু না গেয়ে '
' অংশটুকুতে চলে যাওয়া হচ্ছে।শেষদিকে আরো ফারাকও আছে।আমাদের জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় বিরতি হয় না।আপনার লিংকের গানটি দেখবেন থেমে থেমে গাওয়া হচ্ছে।
বিবিসি তাদের আর্টিকেলে ওই গানটির লিংক দিলেও এসব কারণে সেটি আমাদের জাতীয় সংগীত না।
আমি এবার মনে হয় আমার বক্তব্য পরিষ্কার করতে পেরেছি।
রব
তথ্য বিভ্রান্তি বলতে বুঝাতে চেয়েছিলাম যথযথ কর্তৃপক্ষের তথ্য বিভ্রান্তিকে।
আমাদের দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের নানান দপ্তর, স্কুল-কলেজ-সসস্ত্র প্রতিষ্টান সমূহ-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসহ নানান প্রতিষ্টান-অনুষ্টানে নানান সুরে-ঢঙে "আমার সোনার বাংলা" গাওয়া হয়।
খোদ প্রচলিত যন্ত্রসঙ্গীত আছে তিন ধরণের (যদিও স্বীকৃত একটি)।
বাংলাদেশ স্বাধীন হলো আজ এত বছর কিন্তু এখনো সরকার কর্তৃক "আমার সোনার বাংলা"র কোন রেকর্ড বের হয়নি। যা হয়েছে সবই বেসরকারী উদ্যেগে; "শ্রোতার আসর" ১৯৭৯ সালে ও "আনন্দ ধারা" ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত সুরে "আমার সোনার বাংলা"র রেকর্ড প্রকাশ করে।
একটা তথ্য শুনে অবাক হবেন। স্বাধীনতার পর, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে বাণীসহ প্রতিদিন বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত জাতীয় সঙ্গীতের সুরে "আমার সোনার বাংলা" গাওয়া হতো। ১৯৭৬ সাল হতে বাংলাদেশ টেলিভিশন বাণীসহ জাতীয় সংগীতের প্রচার বন্ধ করে দেয়। এর কিছুকাল পরে বাংলাদেশ বেতারও একই রাস্তায় হাঁটে। এখন তো শুধু যন্ত্রসঙ্গীত বাজানো হয়।
"আমার সোনার বাংলা" গানটির অনেকগুলো ভার্সন রয়েছে। এরমধ্যে বহুল প্রচলিত হলো: ১। রবীন্দ্র ঢঙে। ২।কোরাস ঢঙে(কোরাস/সলো দুভাবেই গাওয়া যাবে)। কোরাস ঢঙটিই মূলত: আমাদের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই ভার্সনটির প্রবর্তন হয় ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়। সম্ভবত: এই ভার্সনটির প্রবর্তন হয় সুরকার অজিত রায়ের হাতে। সুরকার আব্দুল আহাদ এই ভার্সনটির অনুমোদন বাংলাদেশ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্বভারতী হতে করিয়ে আনেন। তবে, এই ভার্সনের প্রবর্তক হিসেবে সুরকার অজিত রায়, শিল্পী শান্তিদেব ঘোষ, সুরকার আব্দুল আহাদ, শিল্পী সুচিত্রা মিত্রের নামও চলে আসে।
রব ভাই, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বিষয়টির প্রতি দৃষ্টিপাত করার জন্যে এবং সরকার অনুমোদিত সুরের লিংক শেয়ার করার জন্য। নিচে মন্তব্যর ঘরে আমি বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত সুরে "আমার সোনার বাংলা"র লিংক জুড়ে দিচ্ছি।
ভালো থাকবেন।
এই পোস্টের ৭ নং কমেন্টের সুবাদে ব্যাপারটি জানা ছিলো। সত্যি বলতে কী গানটির পেছনে যে এতো ব্যাপার আছে তা আমাকে অবাক করেছিলো।গানটি একটি সত্যিকারের কিংবদন্তি।
একারণেই এই লেখাটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও রবীন্দ্র ঢঙে গাওয়া গানটি আমার কাছে বেশী শ্রুতিমধুর মনে হয়, তবুও জাতীয় সংগীত প্রশ্নে আমাদের সতর্ক না হয়ে উপায় নেই।
জানা ছিলোনা। কাজটা আবার শুরুর দাবি জানাই।যারা বাণীসহ জাতীয় সংগীতের প্রচার বন্ধের পিছনে ছিলো, তাদের মতলবটা বেশ বুঝা যায়।ওদেরকে ধিক্কার।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।ভালো থাকবেন।
রব
আপনাকেও ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
চমৎকার একটা পোষ্ট
__________________
-হামিদা রহমান
প্রতিটি দিন-ই হোক, একটি সুন্দর দিন।
@অতিথি দাদা/দিদি,
ভালো থাকবেন।
হামিদা রহমান,
ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ রাজা ভাই, আপনি সব সময়েই নতুন কিছু নিয়ে আসেন। অনেক কিছু জানা যায়। শিশুকাল থেকে যে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে আসছি তারই ইতিহাসটা কখোনোই খুঁজে দেখিনি। উত্তম লেখা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধন্যবাদ ভাই।
দারুণ!
সুন্দর...
ধন্যবাদ।
নতুন অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ
অসাধারণ একটা পোস্ট লিংক আলোচনা
এক ঝলকে জাতীয় সংগীতের সুর বাণী ইতিহাস...
ভালো থাকবেন লীলেন দা।
অনেক কিছু জানতাম না, খুব ভাল লাগল।
ধন্যবাদ।
মিডিয়া-ফায়ার ডট কম-এ আপলোড করা হলো:
০১। গগন হরকরার গান : “আমি কোথায় পাবো তারে, আমার মনের মানুষ যে রে”।
০২। গোপালচন্দ্র সেনের কন্ঠে "আমার সোনার বাংলা"।
০৩। পঁচিশ চরণের "আমার সোনার বাংলা"।
০৪। জাতীয় সংগীত।
০৫। যন্ত্র সঙ্গীত।
০৬। আমার সোনার বাংলা-ডুয়েল-রবীন্দ্র সঙ্গীত।
এক কথায় অসাধারণ একটি কাজ করেছেন। সাধুবাদ রইল।
http://www.facebook.com/groups/377990901340 এখানে শেয়ার করলাম।
ধন্যবাদ।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
খুব সুন্দর একটি পোস্ট।
ধন্যবাদ।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
উরুগুয়ের জাতীয় সংগীতের লিংকটা দিলে ভাল হত।
চার্বাক সুমন
নতুন মন্তব্য করুন