ব্রায়ানের আলমারি এবং অন্যান্য

মন মাঝি এর ছবি
লিখেছেন মন মাঝি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০২/০৩/২০১১ - ৪:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মনমাঝি

গবেষনা

ওর গবেষনা প্রায় শেষের পথে। ওর ফাইন্ডিংসগুলি যে বিতর্কের ঝড় তুলবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু সেটা কোন ব্যাপার না, শেষ পর্যন্ত ও প্রমান করেই ছাড়বে যে ফ্রান্সিস বেকনই শেক্সপীয়রের নাটকগুলি লিখেছিলেন – শেক্সপীয়র না।

এই গবেষনা ওর জীবনের সবচেয়ে বড় কাজ। বিলেতের প্রথম সারির রিসার্চ ইন্সটিট্যুটগুলির গভর্নিং বডির কাছ থেকে আর্থিক সহায়তার ফলে তার পক্ষে সম্ভব হয়েছে মূল পাণ্ডুলিপিগুলি থেকে সংগৃহীত জৈব চিহ্নের উপর এক্সপেরিমেন্ট চালানো।

ডেটা প্রসেস হয়েছে, ফলাফল ক্রস-রেফারেন্সড। অবশেষে, চার শতাব্দী ধরে জিইয়ে থাকা ধাঁধাটার সমাধান প্রযুক্তিই করে দিবে। কম্পিউটার ওকে জানিয়ে দিবে আসল লেখকের নাম।

বীপ্‌ ! প্রিন্টারের মুখ থেকে কাগজ গড়িয়ে বেরুলো। ও অস্থির হাতে একটানে কাগজটা বের করে নিয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ফলাফলটা গিলতে শুরু করলো...

“ড্যান ব্রাউন ???”

----------------------

ব্রায়ানের আলমারি

ও আটে পড়েছে, কিন্তু আজো রহস্যময় আলমারিটার দরজা একবারও খুলে দেখা হয়নি। নিষেধ ছিল, আর এতদিন ভয়ই জিতে গেছে। কিন্তু এখন ও ওক-কাঠের ভীতিকর দরজাটার সামনে আবারো দাঁড়িয়ে আছে – তাকিয়ে আছে সেদিকে। কিন্তু এবার অনেক সাহসে ভর করে। কিম্বা হয়তো হঠকারিতায়।

দ্বিধাগ্রস্ত ভাবে একটা হাত বাড়িয়ে দিল ও। তালা নেই ! ক্যাঁচকেঁচিয়ে খুলে গেল দরজাটা।

একী! এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা জগতের দরজা। এই দুনিয়ায় কোন আঁধার নেই, শুধু আলো আর আলো। উজ্বল সূর্যের আলোয় ঝলমলে চারিদিক। ঢুকে পড়লো ও। নরোম রোদের চুমু, মৃদুমন্দ মিষ্টি বাতাস, পশুপাখির কলকাকলি আর মনমাতানো রঙের হোলিখেলা চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেললো ওকে। এই সেই রূপকথার যাদুর পৃথিবী, সারাজীবন যা সে শুধু স্বপ্নেই দেখেছে।

ওরা ফিরে এসে আলমারির পিছনে ওকে তালাবদ্ধ করে দেয়ার আগ পর্যন্ত ও এই বেহেস্ত দুই মিনিটের জন্য উপভোগ করতে পারলো।

----------------------

আমার স্ত্রী এবং আমি

আমার স্ত্রী এবং আমি তিরিশটি বছর ধরে সুখে ঘর করেছি। আমাদের জীবন ছিল অবাধ সুখ আর পরিতৃপ্তির। তিরিশটি বছরের এক নিরবচ্ছিন্ন আনন্দোৎসব।

ঘন ঘন ছুটিছাটা, সেরা রেস্তোরাঁয় আহার, উষ্ণ উচ্ছল সামাজিকতায় পরিপূর্ণ। ডজন-ডজন কমন বন্ধুবান্ধব। শেয়ারড আর্থিক নিরাপত্তাবোধ। সংক্ষেপে বললে, আমাদের জীবন ছিল সবরকম দুশ্চিন্তা আর চাপমুক্ত। এবং বলাই বাহুল্য, আমরা দুজনই একমত হয়েছি যে – সেক্স ছিল দুর্দান্ত।

দুদীর্ঘ তিনটি দশকের ভালোবাসা আর কলহাস্য। জীবন সত্যি আমাদের প্রতি সুপ্রসন্ন ছিল।
এই সুখ অবশেষে শেষ হয়ে গেল গত গ্রীস্মকালের একটা দিন। ৫ই আগস্ট, ২০০৩ তারিখে। আমার ত্রিশতম জন্মদিনের এক সপ্তাহ পরে।
এই দিন আমাদের প্রথম দেখা হয়।

----------------------


যেখানে ধোঁয়া

দূর থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যাচ্ছে। আশ্চর্য, ও ভাবলো। ওই দ্বীপে তো কোন বাড়িঘর নেই। নেই পোড়ার মত কিছু। ওটাতো বলতে গেলে স্রেফ বিরাট এক টুকরো খটখটে পাথরমাত্র।

নাহ্‌, ব্যাপারটা কি জানার একটাই মাত্র উপায় আছে।
হাঙর কিলবিলানো ঢেউয়ের অনেক উপর দিয়ে টানা দড়ির সেতুটা ধরে সে রওনা দিল। দ্বীপ। ধোঁয়া। কাছে আসতে লাগলো।

নিরেট পাথরের বুকে পৌঁছে উলটো পাশের তীরে চলে গেল সে। হ্যাঁ, ওখানে পূব পাশের ডুপ্লিকেট সেতুটা জ্বলতে জ্বলতে সাগরের বুকে পড়ে গেছে। চোয়াল ঝুলে যাওয়ার মত একটা দৃশ্য। সেইসাথে দূরবর্তী ক্ষীণ পদশব্দগুলি, দিয়াশলাইর ফ্যাঁৎ করে জ্বলে ওঠার শব্দ, আর পেছন থেকে আসা দড়ির পোড়া গন্ধ থেকে মনোযোগ-হরনকারী দৃশ্যও বটে।

----------------------

গোপন কুঠার

“আই লাভ ইউ,” মেয়েটা বলে।
“আই লাভ ইউ টু।”

না, আমি সত্যি বলছি না। আমি হাতের কুড়ালটার দিকে তাকাই। আর একটা মিনিট মাত্র... ব্যস্‌... তারপর সবশেষ হয়ে যাবে। স-ব-শে-ষ। আর কোন দিন আমাকে এই হাম্বারব শুনতে হবে না।

“লাকড়ি যথেষ্ট হয়েছে। চল, এখন ভেতরে চল।”

হুঁ-হুঁ... অদ্দুর যেতে হবে না ওকে। দুই কদমই যথেষ্ট। খুব বেশী হলে তিন। আমার আক্রোশ আরো বেড়ে যায় আমার দিকে ওকে তাকাতে দেখে। অসহ্য মেয়েমানুষ। আমার মুঠি শক্ত হয়, হৃৎপিণ্ড টগবগ করতে থাকে। মুক্তি থেকে এখন আর ক’টা মাত্র সেকেণ্ড দূরে আমি। মেয়েমানুষটা ঘুরে। আমি কুঠারটা মাথার উপর অনেক উঁচুতে তুলে ধরি।

পরিচালক চিৎকার করে উঠে “কাট !”

স-ব-শে-ষ।

----------------------


অন্যগ্রহে

স্পেসশীপটা মহাশূণ্যে ওয়ার্প স্পীডে ধেয়ে যাচ্ছে। গন্তব্য : মঙ্গলগ্রহ।

গ্রহান্তরের বৈজ্ঞানিক এক্সপেরিমেন্টে ভজঘট হয়ে ভয়ঙ্কর একদল সাইবর্গ সৃষ্টি হয়েছে। জৈব-মস্তিষ্কসম্পন্ন রোবটিক-দেহধারীদের উম্মত্ত একটা সেনাবাহিনী গবেষনাগার ভেঙে বেরিয়ে পড়েছে। প্রত্যেকের একমাত্র ধ্যানজ্ঞান – পৃথিবীর চূড়ান্ত ধ্বংসসাধন।

এখন মানবজাতির অস্তিত্ব স্রেফ একজন মাত্র মানুষের উপর নির্ভর করছে। তিনি ক্যাপ্টেন বেন : স্পেস কোরের এলিটস্য এলিট স্পেস কমাণ্ডো।

কিন্তু সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত হাতে ক্যাপ্টেন বেন ডিফেন্সিভ শীল্ডগুলি আর্ম করলেন, ক্রুদের আদেশ দিলেন থ্রাস্টার ফায়ার-আপ করতে।

এমন সময়, নীচের ইঞ্জিনিয়ারিং ডেক থেকে একটা টপ লেভেল অতি-জরুরী ভয়েস-মেসেজ ভেসে আসলো :

“বেন~জি সোনা, তোমার ডিম আর বেকন তৈরি !”

বেন~জি সোনা পেপার-ম্যাশের স্পেসশীপটা হাত থেকে বিছানার উপর ফেলে দিলেন, রোবটগুলি খেলনার বাক্সে দ্রুত ঢুকিয়ে ফেললেন। তারপর একদৌড়ে নাশতা খেতে নীচতলায় চলে গেলেন।

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

মূলঃ ফিল গার্ডনার
অনুবাদঃ মনমাঝি


মন্তব্য

মহা. জাতক এর ছবি

আমার স্ত্রী এবং আমি-এইটা ভালো বুঝতে পারি নি।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

আমার স্ত্রী এবং আমি---এইটা বুঝি নাই।

অন্যগুলো ভালো লাগলো।

কৌস্তুভ এর ছবি

একটা কথা বলি, কিছু মনে নিয়েন না। আপনার এই অণুগল্পানুবাদগুলোর সবসময় রসগ্রহণ করতে পারি না। জায়গায় জায়গায় মনে হয় অষ্পষ্ট। সেই জন্যেই আগের পোস্টটায় মন্তব্য করা হয় নি। এটা মূল গল্পের স্টাইল হতে পারে, বা অনুবাদের সময় আপনি রূপান্তর করেছেন, সেটা বুঝতে গেলে মূলটা পড়তে হবে। তারই চেষ্টায় আছি, তবে সময় মেলে না...

অতিথি লেখক এর ছবি

@ মহাজাতক, সবুজ পাহাড়ের রাজা এবং কৌস্তভ ভাই,

সবার জবাব একসাথেই দিচ্ছি। গল্পগুলি কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আমি বুঝতে পারছি "আমার স্ত্রী এবং আমি" গল্পটা অনেকেরই বুঝতে অসুবিধা হয়েছে। আসলে মূল গল্পটা এরকমই। তবে এর মধ্যে ছোট্ট একটা টুইস্ট আছে যা গল্পটাকে শেষমেশ একদম আপসাইড-ডাউন করে দেয়, এবং এই টুইস্টটা ধরতে না পারলে এটা বুঝতে অসুবিধা হওয়ারই কথা। মুশকিল হলো, আমার আবার এরকম টুইস্টওয়ালা গল্পই বেশি পছন্দ। এতেই আমি মজা পাই। আমি বেছে বেছে ওগুলিই অনুবাদ করি এবং মনে মনে প্রার্থনা করি : রসাস্বাদনে পাঠকরাও আমার সহযাত্রী হবেন। এটুকুই বলতে পারি যে, সহযাত্রী হয়েও কেউ গন্তব্য পর্যন্ত আমার সাথে থাকতে না পারলে সেটা আমারই দূর্ভাগ্য। তবে, একটা বাদে আশা করি বাকিগুলি একদম অবোধ্য হয় নি।

মনমাঝি

তুলিরেখা এর ছবি

আমি অন্যগুলো কোনোরকমে খানিকটা খানিকটা বুঝলেও "আমার স্ত্রী এবং আমি" একেবারেই বুঝলাম না। এটা কি নায়কের নার্সিসিজম এর দিকে নির্দেশ করছে? নাকি আর কিছু ? চিন্তিত

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

ঐ রকমই কিছু একটা হবে। চিন্তিত

মনমাঝি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

দূর্দান্ত! "আমার স্ত্রী এবং আমি" আজ রাতভর ভাবাবে।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ, রোমেল ভাই। অবশেষে একজন কারো ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে। হাসি "আমার স্ত্রী এবং আমি"-তে তারিখ ধরে আগের ঘটনা পরে এবং পরের ঘটনা আগে - এভাবে ভাবুন। মিলছে না ? ওটাইতো আসল বক্তব্য। কাহিণীর ধারাবাহিকতা ধরে এগুলে এর প্রথমাংশটুকু আসলে দ্বিতীয়াংশ সম্পর্কে একটা কল্পনা যা বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে মিলিয়ে যায়। এটা আসলে কখনো-সখনো বিয়ে বা বিবাহিত জীবন সম্পর্কে বিবাহিত পুরুষের একটা প্রচলিত আক্ষেপের একটা ভিন্নতর প্রকাশ। তাদের মনে ব্যাচেলরত্ব ও বিবাহিত জীবন, কল্পনা ও বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব - এতাই এর উপজীব্য। গল্পটা পড়ে আমার অন্তত তাই মনে হয়েছিল। অন্য কিছুও হতে পারে অবশ্য। প্রথম গল্পে শেক্সপীয়রের বিষয়টা নিশ্চয়ই বুঝেছেন। শেক্সপীয়রের নাটকগুলি আসলে শেক্সপীয়রই লিখেছিলেন, নাকি তাঁর সমসাময়িক অন্য কেউ - ইংরেজদের সাহিত্য জগতে এটা অনেক পুরনো একটা বিতর্ক। ফ্রান্সিস বেকনসহ আরো কারো কারো নাম এসেছে এপ্রসঙ্গে। গল্পের শেষে দা ভিঞ্চি কোডের ড্যান ব্রাউনের উল্লেখটা এই বিতর্কটা নিয়ে, বা সেই সাথে ড্যান ব্রাউনকে নিয়েও হয়তো, একধরনের স্যাটায়ার বা হিউমার। ব্রায়ানের আলমারি নিয়ে আমার নিজেরই একটু সন্দেহ আছে। আমার কাছে মনে হয়েছে এটা ড্রাগ-এ্যাডিক্টদের নিয়ে লেখা। যেখানে ধোঁয়া-টা মনে হয়ে একধরনের মরালিস্টিক কাহিণী যার মেসেজ হচ্ছে - ধোঁয়া দেখলেই দেখলেই দৌড় দিয়ে দেখতে যেয়ো না - ডোন্ট রাশ ইন হোয়্যার দেয়ার ইজ স্মোক। এসবই অবশ্য আমার ব্যক্তিগত ইন্টারপ্রিটেশন, মূল লেখকের উদ্দিষ্ট অর্থ না-ও হতে পারে। তবে এই "অস্পষ্টতা'-ই আমার কাছে উপভোগ্য।

মনমাঝি

বইখাতা এর ছবি

সব গল্প ভাল করে বুঝিনি তবে 'ব্রায়ানের আলমারি' বেশ ভাল লেগেছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ বইখাতা।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

অনুবাদ চলুক।

মূল গল্পগুলো এখানে পাওয়া যায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। হ্যাঁ, ওখান থেকেই নেয়া। ঠিক আছে তো ? হাসি

মনমাঝি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

লিঙ্কের জন্যে ধন্যবাদ। হাসি

আর হ্যাঁ, অনুবাদ চলুক।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

কী ঘটনা?! আমারো মনে হয় আপনার মতো টুইস্টেড মাইন্ড, (এইটা বলায় আবার মাইণ্ড খেয়েন না!), আমার তো গল্পগুলো দারুণ লাগলো!! দেঁতো হাসি

আমার কিনা 'আমার স্ত্রী এবং আমি' টাই বেশি মজা লাগলো!! হা হা হা!!! অন্যগ্রহে গল্পটা সুন্দর আর যেখানে ধোঁয়া দারুণ! ড্যান ব্রাউনের পাঞ্চ লাইনের জায়গাটা বরং হালকা লাগলো আর ব্রায়ানের আলমারি অনেক কিছু হতে পারে, আমার মাথায় বেশ কিছু ডার্ক আইডিয়া খেলে গেছে!

ধন্যবাদ ফিল গার্ডনারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্যে। লেখায় তারা আর ফেসবুকে শেয়ার দিলাম। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নাশতারান এর ছবি

"ব্রায়ানের আলমারি" পড়তে গিয়ে শুরুতে পাঠক ভাবে ব্রায়ান একটা আলমারির পাল্লা খুলে এক অদেখা জগতের সন্ধান পায়। কিন্তু আসলে ব্রায়ান নিজেই আলমারির মধ্যে আজন্ম বন্দি। টুইস্ট এখানেই।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

মূল গল্পটা পড়লাম কেবলই।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অতিথি লেখক এর ছবি

তারা, শেয়ার আর ভালো লাগা প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ যাযাবর।

আমার কাছে আসলে জলবৎতরলং বেমালুম হজম করে ফেলা যায় এবং পরমুহুর্তে ভুলে যাওয়া যায় - এমন ফকফকা গল্পের চেয়ে বরং ব্রেনের কোষে খোঁচা মারে এমন গল্পের আকর্ষন বেশি। তাছাড়া আরো দুটো জিনিষ আমি বিশ্বাস করি - ১। সবকিছু তাৎক্ষনিকভাবে বোঝা যাবে ("পড়িবামাত্র ইহার পাঠককে বুঝাইয়া দিতে (বা বোধগম্য হইতে) বাধ্য থাকিবে"), এমন প্রত্যাশা বা দায় গল্প ও গল্পলেখকের ঘাড়ে বাধ্যতামূলকভবে না চাপানোই শ্রেয়। তা নাহলে অনেক রস থেকেই আমরা বঞ্চিত হব। এখানে পাঠকেরও একটা দায়িত্ব আছে বলে আমার মনে হয়। ২। সবসময় সব লেখার কেবল একটিমাত্র সুনির্দিষ্ট অর্থ থাকতেই হবে এবং সেটা শুধুই লেখক নির্মান করবেন, এমনটা তো না-ও হতে পারে। আমারতো মনে হয় একাধিক অর্থ থাকা খুবই ভ্যালিড এবং তার নির্মানে পাঠকও অংশগ্রহন করতে পারেন -- লেখক বা লেখা => পাঠক, এরকম একরৈখিকভাবে না ভেবে বরং একটা দ্বিমুখী কথোপকথনের মাধ্যমে।

মনমাঝি

নাশতারান এর ছবি

ভুল জায়গায় মন্তব্য

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

কল্যাণ এর ছবি

দারুণস চলুক

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

মন মাঝি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

****************************************

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।