• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

কওমী মাদ্রাসায় আমার কয়েকটা দিন - ২

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০২/০৩/২০১১ - ৯:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কওমী মাদ্রাসায় আমার কয়েকটা দিন

আমার স্মৃতিচারন শুরু করার আগে কওমী আর আলিয়া মাদ্রাসা নিয়ে কিছু কথা বলি। কওমী মাদ্রাসাগুলো চলে সম্পূর্ণ সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ওদের নিজস্ব একটা শিক্ষা বোর্ড আছে, ওরা নিজেরাই নিজেদের সিলেবাস ঠিক করে। সরকারি অনুদান বা সহায়তা নেয় না বলে ওরা পুরোপুরিই ব্যক্তির দয়া নির্ভর। দান-সদকা, কোরবানির চামড়া অথবা চাঁদা তুলেই ওরা খরচ মেটায়। আলিয়া মাদ্রাসা অন্যদিকে শুরু থেকেই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় চলে। মাদ্রাসাগুলো এমপিও ভুক্তি বা অন্য সব ক্ষেত্রে স্কুলের মতই সুবিধে পায়। ওদের দাখিল, আলিম পরীক্ষা এসএসসি, এইচএসসি'র সমতুল্যতাও পেয়েছে। রাজনৈতিক দর্শনের দিক থেকে জামায়াত বা শিবির সাধারনত আলিয়া মাদ্রাসা থেকেই তাদের কর্মী সংগ্রহ করে থাকে। আর কওমী মাদ্রাসা নির্ভর দল হলো ইসলামী ঐক্যজোট (শায়খুল হাদিস, আমিনী, ... ), ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন (চরমোনাই পীর), ইত্যাদি। যতদুর জানি জেএমবি একটু আলাদা, কিন্তু এর বাইরে হরকাতুল জিহাদ বা এই ধরনের যেসব দলের কথা শোনা যায় তারা মুলত কওমী মাদ্রাসা নির্ভর।

আলিয়া মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করে অনেক ছাত্ররাই মুল ধারার পড়ায় ফিরে আসতে চায়। কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হয়েও যায়। ইংরেজীতে ভয়াবহ দূর্বলতা অনেক ক্ষেত্রেই ওদের ক্যারিয়ারে সফলতা পেতে বাধা হয়ে দাড়ায়। কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের অবশ্য সে বালাই নাই। ওরা পাস করে কোন কওমী মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে, মসজিদে ইমাম বা মুয়াজ্জিন হয়, এ পর্যন্তই তাদের ক্যারিয়ার। এই উপমহাদেশে কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের উচ্চশিক্ষার সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান দেওবন্দ মাদ্রাসা।

এবার আমার নিজের কথায় ফিরি। মাগরিবের পর সবাই রাতের খাওয়া সারতাম। খরচ কমানোর জন্য দেখা যেত প্রতিদিনই একই তরকারি রান্না হচ্ছে। সেই সবজি আর শুটকি দিয়ে রান্না করা ঝোল ঝোল তরকারি। সাথে আমার জন্য একটা ডিম ভাজিও থাকত। এত ঝাল আমার কোনদিনই সহ্য হতো না। রাতের খাওয়া সেরে শুরু হত পড়া, এশা পর্যন্ত চলত। এশার পরে পড়া হতো আরো কতক্ষণ। রাত ৯/১০ টা বাজলে মশারি টাঙ্গিয়ে সবাই ঘুম। ঘড়ি ছিল একটাই, হুজুরের কাছে। হুজুরের কথামতই চলত সব কিছু। সন্ধ্যে নামলেই আমার প্রচন্ড একা লাগতো। বুক ধড়াস ধড়াস করে ভীষন ব্যথা করত। আমি আমার বিছানায় গুটিসুটি মেরে কাদতাম। ভীষনভাবে মা'কে মনে পড়ত। মনে হত আমি একা একা মরেই যাব। প্রথম রাতে হুজুর আমার খারাপ অবস্হা দেখে আমাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিলেন, মাদ্রাসার এক ছাত্রের সাথে। বাসার যাওয়ার জন্য বেরুতেই আমি পুরো ভাল। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে হঠাৎ আমি চলে আসায় বাবা-মা'তো ভীষন খুশী। রাতটা বাসায় থেকে পরদিন সকালে আবার ফিরলাম মাদ্রাসায়। এরপর কোন রাতে অবশ্য হুজুর আর বাসায় যেতে দেননি। আমি রোজ কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়তাম।

মাদ্রাসায় ছেলেরা দুষ্টুমি করত। একদল ছেলে অভিভাবক ছাড়া একলা থাকলে যেমনটা হওয়ার কথা তেমনি। একবার এক দুষ্ট ছেলে আরেক হাবাগোবা ছেলেকে হলুদ, গরম তরল খাইয়ে দিয়েছিল গ্লাসে নিয়ে। এইটা নিয়ে বেশ হাসির ঝড় বয়ে গিয়েছিল ছেলেদের মধ্যে। সব রুমেই আলাদা আলাদা হুজুর ছিলেন। হুজুরদের কাছে সব সময়ই বেত থাকত। বিভিন্ন অপরাধ, মুখস্হ বলতে গিয়ে ভুলে যাওয়া এসবের জন্য বেত চলত। একটা সাধারন ধারনা ছিল, হুজুর যে জায়গায় মারে সেইটা নাকি বেহেশতে যায়। আরও একটা ভুল ধারনা ছিল, না পেটালে নাকি হেফজ করা হয় না। কিন্তু আসলে সবার মুখস্হের ক্ষমতা সমান হয় না। কিছু ছেলে সহজে মুখস্হ করতে পারে না, ওদের ওপর দিয়েই ঝড় যেতো বেশি। আমি খুব শান্ত-শিষ্ট ছিলাম, মারের ভয়ে অনেক সময় নিয়ে পড়া করতাম। হুজুর আমাকে কখনো মারেননি। আমার মনে হয়েছে কয়েকটা ব্যপার কাজ করত। হুজুর আমাকে নতুন পরিবেশে অভ্যস্ত করিয়ে নিতে চাইছিলেন। প্রথমবার পড়া দিতে গিয়ে তাই মনে হয়েছিল আমার। ভয় পাইয়ে দিতে চাননি শুরুতেই। আরেকটা ব্যপার ছিল, আমি এসেছিলাম অনেকটা স্বচ্ছল পরিবার থেকে। সবার থেকে আমার সবকিছুই আলাদা ছিল। আমার তোষক পুরু ছিল, আমি লুঙ্গি পড়তাম না, খাবারের ব্যপারে বাছাবাছি করতাম। এটাও সম্ভবত মাথায় থাকত।

একটা বিকেল আলাদা করে মনে আছে। সেদিন একটু বাতাস বইছিলো। আমরা খেলতে গেলাম না। মাদ্রাসার একটা নির্মাণাধীন বিল্ডিং ছিল। সেটার দোতলায় আমরা কজন বসলাম। গল্পের আসর জমল। ওদেরও অনেক গল্প ছিল, জোকস ছিল। কিছু স্যাটায়ারও হল। আমি বলেছিলাম আমার মাদ্রাসার আগের জীবনের কথা, স্কুলের কথা। ওদের অনেকের জীবনের গল্পও শোনা হল। সবার গল্প মোটামুটি এক রকম - সবার গল্পেই একটা দুঃখের ছোয়া আছে। মাদ্রাসার সবাই জেনে গিয়েছিল আমার কথা। আমাকে বলত, আচ্ছা তুমিই সেই ছেলেটা, যে রোজ রাতে কাঁদে? আমি হাসতাম। বিকেলটা আর পুকুরে গোসল এ দুটোই ছিল আমাদের বিনোদন। পত্রিকা বা অন্য বই এসবের কোন সুযোগ ছিল না।

এভাবে একটা সপ্তাহ কাটলো। একই রকম দিন কাটে, একই রকম রাত। বৃহষ্পতিবার বিকেলে বাবা এলেন আমাকে নিয়ে যেতে। সাধারনত ছাত্ররা বাড়ি যেত শুক্রবারে, আমি যাচ্ছি আগে। শনিবার সকালে ফেরত আসার কথা আমার। যেতে আমি এতোটা উদগ্রীব হয়ে ছিলাম বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায়ও নেয়া হয়নি। কিন্তু আর কখনো ফেরাও হয়নি সেই মাদ্রাসায়। বাসায় গিয়ে মা'কে জড়িয়ে ধরে কাঁদলাম। বললাম, রোজ রাতে আমার বুকে ব্যথা হয়, আমি কাঁদতে কাঁদতে ঘুমোতে যাই। আমি তোমাদের ছেড়ে থাকতে পারবো না। বাবা-মা'রও তো ভালো লাগতো না আমাকে ছেড়ে রাখতে। তাই তারা ভাবলেন আর এমন আবাসিক মাদ্রাসা না। এরপর ভর্তি হলাম বাসার কাছাকাছি একটা মাদ্রাসায়। খুব ভোরে যাব, দুপুরে বাসায় ফিরবো খেতে। খেয়ে আবার চলে যাব। সন্ধ্যে পর্যন্ত মাদ্রাসায় থেকে বাড়ি ফেরা। রাতে আর একা থাকতে হবে না, ভাবতেই ভালো লাগলো।

এই মাদ্রাসাটা ছিল পুরোপুরি অন্যরকম। আগেরটার পুরো উল্টো। প্রথম দিনই বুঝতে পারলাম ভুল করে ভুল জায়গায় চলে এসেছি। (ক্রমশ)

আতিক
atiq(ডট)atiq_atiq(ডট)yahoo(ডট)com


মন্তব্য

সচল জাহিদ এর ছবি

আগ্রহ নিয়ে পড়ছি। পর্বগুলো আরেকটু বড় হলে ভাল হয়। তবে আপনার গল্প শেষ করার পদ্ধতিটি চমৎকার। দুই পর্বের শেষেই লক্ষ্য করলাম লেখাটি পাঠককে আগ্রহ ধরিয়ে রাখছে।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

rahil_rohan এর ছবি

সহমত

অতিথি লেখক এর ছবি

পড়া শেষ করে মনে হোল এতো ছোট কেন, আরেকটু বড় হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু স্ক্রল করে উপরে উঠে দেখি একেবারে ছোট না, পড়তে ভালো লাগছিল বলে খুব চট করে শেষ হয়ে গেল বলে মনে হয়েছে।

মাদ্রাসা সম্পর্কে আমার ধারণা খুব কম। ওদের সিলেবাসে কী থাকে পারলে জানাবেন।
-রু

কৌস্তুভ এর ছবি

ওই দেখো, ভাবলাম আবাসিক ছেড়ে এমনি স্কুলে ভর্তি হলেন বুঝি, খুশি হয়ে উঠেছিলাম! চলুক...

নাশতারান এর ছবি

ভালো লাগছে। চলুক ...

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অপঠনপঠনপটীয়সী এর ছবি

ভাল লিখেছেন ভাই......চালিয়ে যান

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

চলুক। বড়ো বড়ো পর্বে চলুক...

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লেগেছে আপনার পর্বটা, একটু বড় করে লিখবেন প্লিজ। গতকাল লিখেননি,অপেক্ষা করেছিলাম। মাদ্রাসার কোন সিষ্টেম বা সিলেবাস সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। আশা করি আপনি বিস্তারিত লিখবেন।

শারমিন ববি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধুর!!! আপনি মিয়া ভালা লুকনা, এইখানে কেউ শেষ করে? X( X( X( তাড়াতাড়ি ছাড়েন পরেরটা।

অতীত

সুপ্রিয় দেব শান্ত (অতিথি) এর ছবি

কওমী মাদ্রাসা নিয়ে আরেকটু বিস্তারিত লিখলে ভালো হতো।

পর্বগুলো আরেকটু বড় করে দেয়ার চেষ্টা করবেন। লেখা ভালো লেগেছে।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

rahil_rohan এর ছবি

ভালো লাগছে। চলুক ..

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আমার অবশ্য এই সাইজের লেখা পড়তেই ভালু লাগে। (খাইছে)
দারুণ লাগছে পড়তে।
তারপর...?

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতিথি লেখক এর ছবি

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আগ্রহ নিয়ে এই সিরিজ পড়ার জন্য। পর্বগুলো একটু ছোট হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এ জন্য সময় স্বল্পতাই দায়ী।

মাদ্রাসার সিলেবাস নিয়ে কিছু না লেখার মুল কারন ছিল, লেখাটাতে আমি স্মৃতির চেয়ে তথ্যের ভার বেশি দিতে চাইনি। আর আমার অল্প কদিনে সিলেবাস সম্পর্কে ধারনা পাওয়াটা সম্ভবও ছিল না, তার উপর আমার ডিসিপ্লিন ছিল হাফেজি। এখন সিলেবাস সম্পর্কে যা লিখছি পুরোটাই পরে জানা। মাদ্রাসার সিলেবাসকে মোটাদাগে তিন ভাগে ভাগ করা যায় - ভাষা সম্পর্কিত কোর্স, কুরআন-হাদিস বিষয়ক কোর্স এবং অন্যান্য। কওমী মাদ্রাসাগুলোতে অন্তত দুটো ভাষা শিখতে হয় - আরবি এবং উর্দু। ফার্সিও সম্ভবত একসময় শিখতে হতো। উর্দু শেখা নিয়ে আমি কথা বলেছিলাম। যা জেনেছি সেটা এরকম, উর্দু শেখানোর কারন হচ্ছে আমাদের সাবকন্টিনেন্টের অধিকাংশ ধর্মীয় বইয়ের মুল ভার্সন উর্দুতে লেখা। এর একটা বড় কারন অবশ্যই অধিকাংশ বড় আলেম দেওবন্দের গ্র্যাজুয়েট। কওমী মাদ্রাসার ছাত্ররা বাংলা, অংক এসব আরো কিছু বিষয়ও পড়ে, কিন্তু ওরা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে বোর্ডের বই পড়ে না (অন্তত পড়তো না)। আলিয়া মাদ্রাসায় বাংলা, ইংরেজি, সায়েন্সের বিষয় গুলো এইচ এস সি (আলিম) পর্যন্ত বোর্ডের বই পড়ানো হয় (আর্টস/কমার্সের কথা আমি জানি না)। ভাষা ওরা শুধু আরবি শেখে। ভাষা এবং কুরআন-হাদিস সংক্রান্ত অংশটা আলিয়াতে কওমী মাদ্রাসার তুলনায় অনেক কম থাকে।

বইখাতা এর ছবি

আরেকটু বড় করে লিখলে ভাল লাগবে। আগ্রহ পাচ্ছি। মাদ্রাসায় পড়েছে এমন কারো অভিজ্ঞতা জানার সুযোগ হয়নি।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

আগ্রহ নিয়ে পড়ছি।
চলুক।

তাসনীম এর ছবি

মাদ্রাসায় পড়ছে এমন কারো লেখা পড়ার সৌভাগ্য হয় নি আগে। আগ্রহ নিয়ে পড়ছি। পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

তবে সিনেমা বোধহয় দেখেছেন।

মনমাঝি

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুন লাগছে পড়তে। খুবই সুস্বাদু লেখা। আপনার লেখাটা পড়তে গিয়ে একটা মজার স্মৃতি মনে পড়লো। ছোট বেলায় খুব স্কুল ফাঁকি দিতাম। আমার স্কুল আর পড়ালেখায় ফাঁকি মারা ঠেকাতে আব্বা-আম্মা তখন একটা পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। স্কুলে না যাওয়ার কোন ভ্যানতারা আরম্ভ করলেই বলতেন আমাকে "লালবাগ মাদ্রাসায়" ভর্তি করে দিবেন। বলাই বাহুল্য, আগেই মাদ্রাসা জীবন সম্পর্কে একটা ভীতিকর ছবি আমার মনে আঁকা হয়ে গেছে (হয়তো তাঁদেরই কৌশলে)। ব্যাস্‌, মাদ্রাসার নাম শোনা মাত্রই এক দৌড়ে স্কুলে, কিম্বা পড়ার টেবিলে। আমার ঐ মাদ্রাসা-ভীতির কথা চিন্তা করে আপনার লেখাটা পড়তে এখন ভালো লাগার পাশাপাশি বেশ মজাও লাগছে।

মনমাঝি

দুর্দান্ত এর ছবি

আগ্রহ নিয়ে পড়ছি।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ইন্টারেস্টিং, খুবই ইন্টারেস্টিং। পরের পর্বের সাগ্রহ অপেক্ষায়...

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অতিথি লেখক এর ছবি

৩‌য় এবং শেষ পর্ব পোস্ট করেছি। পুরো সময় আপনাদের সমর্থনের জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

-আতিক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।