নারীনীতিঃআমি,আপনিও কি মুফতি আমিনির দলে?

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/০৩/২০১১ - ৮:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ সকালে পত্রিকা খুলতেই দেখলাম নারী নীতিমালা মন্ত্রি সভায় অনুমোদিত হয়েছে। তারপর থেকেই ভয়ে ছিলাম কখন তথাকথিত ইসলাম রক্ষাকারি দের লাফালাফি শুরু হয়।এখন দেখলাম তেনারা হরতাল ডেকেছেন।
তেনাদের প্রধান আপত্তি সম্পত্তিতে নারীর সম অধিকার নিয়ে। এই বিষয়ে আমি অনেকের সাথে আলোচনা করেছি এবং দেখেছি যে শুধু তথাকথিত ইসলাম রক্ষাকারিরাই নয় অনেক উদার (তথাকথিত চিন্তিত ) ব্যক্তিও এই বিষয়ে এক ই কাতারে। আবার কিছু কিছু আছেন যরা নারীর অধিকারের ব্যাপারে বেশ সচেতন কিন্তু সমপত্তির ব্যাপারটা আসলেই কেমন যেন নেতিয়ে পরেন মন খারাপ ।অথচ নারীর সমঅধিকারের অনেক খানিকই নির্ভর করে সম্পত্তি তে তার সমঅধিকারের উপর। নারীর প্রতি সহিংসতার কারনের গভীরেও এর বিশেষ ভুমিকা আছে। এই বিষয়ে আপত্তি জানাতে বার বার ব্যবহার করা হয় ইসলাম কে। ধরমের প্রতি চরম উদাসিন কেউ কেউও এই বিষয়ে চরম ধার্মিক হয়ে জান চোখ টিপি । তাই জানতে ইচ্ছা করে আসলেই ইসলাম এই ব্যপারে কি বলে। আমার যেহেতু ইসলাম ধর্ম বিষয়ক বিদ্যা খুবই কম তাই এই বিষয়ে কেউ জানলে আওয়াজ দিয়েন।আর ধর্মের গুল্লি মারেন আসলে আমি আপনি ই বা এই বিষয়ে কি ভাবি? সচল সচলাদের চিন্তা জানতে মন চায়।

-জলতরঙ্গ


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

এই দেশে কেন- পৃথিবীর কোনও দেশেই নারীর সম অধিকার পাওয়ার ব্যাপারটা আমার কাছে হাস্যকর লাগে। দুনিয়া যতদিন কায়েম থাকবে ততদিন এটা সম্ভব নয়।

কিন্তু সম্পত্তি আইন বদলানো দরকার নানা কারনে।

একজন লোকের যদি দুটি মেয়েই কেবল থাকে তবে তার সমস্ত সম্পত্তিতে শুধু মাত্র তার দুই কন্যারই অধিকার থাকা উছিত।
দেখা গেল ভদ্রলোক সারাজীবন ধরে খেয়ে না খেয়ে কষ্ট করে একটি বাড়ি করে গেল আর তাতে তার ভাই বা আর কারো কোনও কন্ট্রিবিউশন নেই। সেখানে তার মৃত্যুর পর শুধু তার পুত্র না থার কারনে তার সম্পত্তিতে তার ভাইরা ভাগ বসানোর অধিকার রাখে কি করে?
বাবার সাথে সাথে কন্যারাই তো কষ্ট করেছে ঐ সম্পত্তিটুকু করতে, নাকি? তাহলে তাদের অর্জিত ধনে অন্যে কি করে কোন যুক্তিতে ভাগ পেতে পারে?

বন্দনা

অতিথি লেখক এর ছবি

ঠিক কথা।কিন্তু সেটা ভাই থাকলেও কি প্রযোজ্য নয়?

অতিথি লেখক এর ছবি

"পৃথিবীর কোনও দেশেই নারীর সম অধিকার পাওয়ার ব্যাপারটা আমার কাছে হাস্যকর লাগে। দুনিয়া যতদিন কায়েম থাকবে ততদিন এটা সম্ভব নয়।"- হাস্যকর কথাটা কেন ব্যবহার করলেন বুঝলাম না , প্রায় অসম্ভব হলেই কি কোন ব্যাপারকে হাস্যকর বলা যায়?

অতিথি লেখক এর ছবি

সম অধিকার কথাটা শুনলেই আমার হাসি আসে যে। ওটা এমন এক অসম্ভব বস্তু যা কল্পনাতেও সম্ভব হয় বলে মনে হয় না আমার। যারা এসব বলে তারা কথার কথা বলে। আমি কথায় ভুলতে রাজি নই। তাই, যা ছেলে ভোলানো মনে হয় তাই দেখেই হাসি।
আমার বোধ করি হাসি রোগ আছে...

বন্দনা

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার বোধ করি হাসি রোগ আছে

--ভালোই তো দেঁতো হাসি
নারীর সম- অধিকার আসলেই অনেক দূরের ব্যপার তবে এই লেখাতা কিন্তু সম্পত্তিতে নারীর সম অধিকার নিয়ে আর সেটা কিন্তু অসম্ভব নয়।
-জলতরঙ্গ

দুর্দান্ত এর ছবি

নারীর সমান অধিকারের সমর্থন ইসলামে খুঁজতে গেলে হতাশ হওয়ার সম্ভাবিলিটি বেশী। আপনি কোরআনের সুরা নিসা (বিশেষ করে আয়াত ৩৪) একটু মনযোগ সহকারে পড়ে দেখুন, আমার কথা পরিস্কার হবে।

কিন্তু সমস্যা সেখানে না। সমস্যা আরো গভীরে। বন্যপ্রানী সংরক্ষন বা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একটি সমাজ যখন আলাদা করে নারীর অধিকার আইন তৈরী করার পথ বেছে নেয়, তখন সে সমাজ স্বীকার করে নেয় যে নারী আলাদা একটি সম্প্রদায়, আলাদা প্রজাতি, এবং এই প্রজাতি দুর্বল, একে সংরক্ষন করা সমাজের সবল (পুরুষ) এর দায়িত্ব।

দেশে যেটা হয়, সেখানে নারীর অধিকার উচু করে তুলে ধরার চাইতে পুরুষের কুকীর্তিকে টেনে নামানোটাই বেশী জরুরী। যেটার প্রয়োজন ছিল, সেটা হল একটা কার্যকর সামাজিক সদাচরন আইন। যার মাধ্যমে একজন মানুষের যেসব আচরনে আরেকজন মানুষের সমান অধিকার ব্যহত হয়, সেগুলোকে দমন করা যাবে।

এমন মানব সমাজ ক'বে গো সৃজন হবে?

অপছন্দনীয় এর ছবি

এর চেয়ে বেশী একমত হতে পারতাম না কোন ব্যাপারে।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

একজন পাঠক এর ছবি

এমন মানব সমাজ ক'বে গো সৃজন হবে?

দাদাগো, হবে হয়তো কোনোদিন। তবে আমার-আপনার কপালে তেমন দিন নাই। (আশা করে গেলাম শুধু ইমো হবে)

রব

অতিথি লেখক এর ছবি

"দেশে যেটা হয়, সেখানে নারীর অধিকার উচু করে তুলে ধরার চাইতে পুরুষের কুকীর্তিকে টেনে নামানোটাই বেশী জরুরী। যেটার প্রয়োজন ছিল, সেটা হল একটা কার্যকর সামাজিক সদাচরন আইন। যার মাধ্যমে একজন মানুষের যেসব আচরনে আরেকজন মানুষের সমান অধিকার ব্যহত হয়, সেগুলোকে দমন করা যাবে।"

চরমভাবে সহমত। কিন্ত যতদিন আমরা সেই উচ্চতায় যেতে পারছি না ততদিন কি আমরা আমিনির লাফালাফি দেখব? সকল মানুষের সমুধিকার অনেক বিশাল ব্যপ্তিতে আলোচনা দাবি করে,যা এই পোষ্ট এর আওত্তের বাইরে, তাই শুধু একটা পয়েন্টেই আলোকপাত করতে চেয়েছি।
"এমন মানব সমাজ ক'বে গো সৃজন হবে?" চলুক

-জলতরঙ্গ

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সম-অধীকার?

সুরা আন নিসার আয়াত ৩৪ কি বলে দেখি আসুন [১-৫]:

Men are the protectors and maintainers of women, because Allah has made one of them to excel the other, and because they spend (to support them) from their means. Therefore the righteous women are devoutly obedient (to Allah and to their husbands), and guard in the husband's absence what Allah orders them to guard (e.g. their chastity, their husband's property, etc.). As to those women on whose part you see ill-conduct, admonish them (first), (next), refuse to share their beds, (and last) beat them (lightly, if it is useful), but if they return to obedience, seek not against them means (of annoyance). Surely, Allah is Ever Most High, Most Great.

অনুবাদ:

পুরুষেরা নারীদের উপর কতৃত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোকচক্ষুর অন্তরালে ও তারা হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্ক্ষা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।

সম্পত্তির ব্যাপারে সুরা আন নিসা আয়াত ১১:

Allah commands you as regards your children's (inheritance); to the male, a portion equal to that of two females; if (there are) only daughters, two or more, their share is two thirds of the inheritance; if only one, her share is half. For parents, a sixth share of inheritance to each if the deceased left children; if no children, and the parents are the (only) heirs, the mother has a third; if the deceased left brothers or (sisters), the mother has a sixth. (The distribution in all cases is) after the payment of legacies he may have bequeathed or debts. You know not which of them, whether your parents or your children, are nearest to you in benefit, (these fixed shares) are ordained by Allah. And Allah is Ever All-Knower, All-Wise.

অনুবাদ:

আল্লাহ্ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেন: একজন পুরুষের অংশ দু’জন নারীর অংশের সমান। অত:পর যদি শুধু নারীই হয় দু-এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে| যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অত:পর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যেেতর পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ্ কর্তৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ।’

সুতরাং পরিষ্কারভাবে কুরানে বলে দেয়া আছে নারীর অবস্থান কি রকম হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। যদি নারীর সম-অধীকারের জন্য ভিন্ন আইন করা হয় তাহলে প্রথমে কুরআনের বিপক্ষে অবস্থান নিতে হবে। আপনি যদি সেই অবস্থান নিতে চান তাহলে আপনাকেও এর বিপক্ষে অবস্থান নিতে হবে। রাজী আছেন?

[১] http://noblequran.com/translation/surah4.html
[২] http://quran.com/4
[৩] http://www.bangla-quran.co.uk/index.php
[৪] http://www.mukto-mona.com/Articles/nondini/bikolangoNari.htm
[৫] http://en.wikipedia.org/wiki/Women_in_Islam

অতিথি লেখক এর ছবি

সুতরাং পরিষ্কারভাবে কুরানে বলে দেয়া আছে নারীর অবস্থান কি রকম হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। যদি নারীর সম-অধীকারের জন্য ভিন্ন আইন করা হয় তাহলে প্রথমে কুরআনের বিপক্ষে অবস্থান নিতে হবে। আপনি যদি সেই অবস্থান নিতে চান তাহলে আপনাকেও এর বিপক্ষে অবস্থান নিতে হবে। রাজী আছেন?

-হ আমি রাজি আছি দেঁতো হাসি ।আপ্নে চিন্তিত
লেখায় তো বলসিই

ধর্মের গুল্লি মারেন আসলে আমি আপনি ই বা এই বিষয়ে কি ভাবি? সচল সচলাদের চিন্তা জানতে মন চায়।

-খালি ধর্মের কথা তো জানতে চাই নাই।ধর্মের কথা জানা দরকার আমিনি দের সাইজ করার জন্য।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

-হ আমি রাজি আছি দেঁতো হাসি ।আপ্নে চিন্তিত

গুড। শুধু রাজি থাকলেই হবে না। কাজে কম্মে সেটার প্রতিফলন থাকতে হবে।

এবার এর পক্ষে শক্ত করে কলম (কিবোর্ড) ধরুন। বিভিন্ন ধর্মে বিশেষ করে কোরআনে কোথায় এবং কেন নারীকে ছোট করা হয়েছে সেগুলো সর্ম্পকে লিখুন। বাংলাদেশে সম-অধীকারের আইনের সংশোধন হয়ে কি হওয়া উচিত সেটা নিয়ে আলোচনা করুন।

পাগল মন এর ছবি

কোরআনের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক কোন আইন করা বাংলাদেশে বেশ কঠিন ব্যাপার বলে আমার মনে হয়, কেননা এই একটা কথা বলেই অনেককে ক্ষেপিয়ে তোলা যাবে যে এই আইন কোরআনের বিরুদ্ধে, ইসলামের বিরুদ্ধে।
তবে আমি আশাবাদী, এই আইনটি আলোর মুখ দেখবে। কিন্তু এরপরে, আইনের সঠিক বাস্তবায়নের ব্যাপারে ঠিক ততটাই হতাশাগ্রস্থ। মন খারাপ

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

অতিথি লেখক এর ছবি

কোরানের বিরুদ্ধে গিয়ে সরকারের পক্ষে নারীর সমান সম্পত্তির অধিকারের আইনটা করা কঠিন হবে কেন? ইসলামী রাজনীতীবিদদের জন্য??? অথচ এটা করলে দেশের নাড়িদের একট বড় অংশের সমর্থন তারা পাবে!

এই একটা ব্যাপারে আমি সরকারের ওপর আমার সমর্থন দিচ্ছি!

---থাবা বাবা!

অতিথি লেখক এর ছবি

ঠিক কথা। আসলে আমাদের মনের কথা টা আগে জানা জরুরী।আমরা কি আমাদের বোন দের কে তাদের ভাগ দিতে প্রস্তুত? যদি থাকি তাহলে আসেন আমিনি দের একটা দৌড়ানি দেই, আর নাহলে নিজেদের বন্দুক আমিনিদের কান্ধে না রাখি। স্পষ্ট মতামতের জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
-জলতরঙ্গ

অতিথি লেখক এর ছবি

ওঁয়া ওঁয়া ইয়াল্লা ভাইজান এইসব কি বলেন? জিবনে প্রথম একটা পোস্ট দিলাম, তার ফলাফল এমন ভয়ানক হবে ভাবি নাইতো।আপ্নারা ছিনিওর ভাই বেরাদররা আছেন আপ্নারা লিখবেন,আমি পাঠক মানুষ এইসব কি আমার কাজ মন খারাপ ? সচল এ স্বাগতম বললেন না যে মন খারাপ
-জলতরঙ্গ

অতিথি লেখক এর ছবি

সচলে স্বাগতম (F) (F) (F)

অতিথি লেখক এর ছবি

দেঁতো হাসি

নিবিড় এর ছবি

লেখাটা পড়ার সার্চ দিয়ে বিডি নিউজের খবরটা পড়লাম তবে তেমন আশাবাদী হতে পারলাম না। কারণ ঐখানে দেখলাম ৯৭ এর নারী নীতি "প্রায়" পুরোটা গ্রহণ করা হয়েছে তবে এখানে আসলে ৯৭এর কোন অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে তা না জেনে নিশ্চিত ভাবে খুব খুশি হতে পারলাম না। আর আমাদের সংবিধানের ১৯(১) এবং ২৮(২) তে অনেক আগেই নারীর রাষ্ট্রীয় এবং নাগরিক জীবনে সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে কিন্তু সেটা কোন সরকারই বাস্তবায়ন করতে পারে নাই হয়ত দেখা যাবে আমিনির ভয়ে কয়েকদিন পরেই আবার সরকার তাদের সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনার সিদ্ধান্ত নিবে বা নতুন নারীনীতির বিশেষ বিশেষ অংশ স্থগিত করবে। হাজার হইলেও ক্ষমতার প্রশ্ন আসলে আমরা সবাই অতি ধার্মিক হয়ে যাই।

আর লেখাটা আরেকটু বিস্তারিত হলে হয়ত ভাল হত হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

হয়ত দেখা যাবে আমিনির ভয়ে কয়েকদিন পরেই আবার সরকার তাদের সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনার সিদ্ধান্ত নিবে বা নতুন নারীনীতির বিশেষ বিশেষ অংশ স্থগিত করবে।

-ভয়টা সেখানেই

হাজার হইলেও ক্ষমতার প্রশ্ন আসলে আমরা সবাই অতি ধার্মিক হয়ে যাই।

-এইকথাটা ব্যকতি জীবনেও ঠিক তাহলে। সবাই মুখশে ঢাকা মন খারাপ । তাহলে আর রাজনীতিবিদদের দোষ ধরে লাভ কি? তিনারাও ত মানুষ দেঁতো হাসি

আর লেখাটা আরেকটু বিস্তারিত হলে হয়ত ভাল হত

তা তো হইতোই বাট অলস তা করতে ভালু লাগে।
-জলতরঙ্গ

অপছন্দনীয় এর ছবি

যদিও আমি ঠিক সচল নই, আধখানা হাচল, তবুও মতামত যখন চাইলেনই তখন বলি, সম্পত্তিতে সমান অধিকার অনেক আগেই নিশ্চিত হওয়া উচিত ছিলো, তবে এখনো যে হয়েছে (যদি আসলেই হয়ে থাকে) তা-ই বা কম কি। এখন যদি বাকিগুলো বাদ দেয়া যেতো (চার বিয়ে এবং এতদসংক্রান্ত লুচ্চামি, বউ পেটানো ইত্যাদি) তাহলে আরেকটু ভালো হতো এই আর কি।

তথাকথিত "উদার" দের ব্যাপারে যা বললেন সত্যিই, অনেক দেখেছি এমনিতে খুব "আধুনিকমনা"(!), সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে মহা সোচ্চার, কিন্তু ধর্মের ব্যবহার করে করা অমানবিক কাজগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখালে বলেন এটা "অপব্যবহার"।

বাকি ক্ষেত্রে দুর্দান্তর প্রথমদিকে করা কমেন্ট আর মুর্শেদ ভাইয়ের কমেন্টের সাথে একমত।

সচল সচলাদের

এই পার্থক্যটা না করলেও পারতেন।

পাগল মন এর ছবি

এখন যদি বাকিগুলো বাদ দেয়া যেতো (চার বিয়ে এবং এতদসংক্রান্ত লুচ্চামি, বউ পেটানো ইত্যাদি) তাহলে আরেকটু ভালো হতো এই আর কি

চার বিয়ে, বউ পেটানো এগুলো কী বাংলাদেশে বৈধ নাকি? অ্যাঁ

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

অপছন্দনীয় এর ছবি

চার বিয়ে বৈধ, যদি বিয়ের আগে বর্তমান স্ত্রীদের "অনুমতি" নেয়া হয়ে থাকে। "অনুমতি" মানে তাদেরকে জিজ্ঞেস করা এবং তাঁদের কাছ থেকে হ্যাঁ সূচক উত্তর পাওয়া - সেটার জন্য কোন সাক্ষী প্রয়োজন নেই এবং ব্যাপারটা ঠাট্টাচ্ছলেও হতে পারে।

শহরে হলে মেয়র বা পৌরসভার চেয়ারম্যান আর গ্রামে হলে উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে বসে আগে ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করার একটা নিয়ম আছে শুনেছিলাম, কিন্তু সেটা বাধ্যতামূলক কিনা জানি না, কেউ কোনকালে এই আলোচনা করেছে বলে শুনিনি।

বউ পেটানোটা প্রাসঙ্গিক কুরানিক বিধান হিসেবে চলে এসেছে, খুব সম্ভবতঃ বাংলাদেশে প্রচলিত আইনে বৈধ নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

বউ পেটানোটা প্রাসঙ্গিক কুরানিক বিধান হিসেবে চলে এসেছে, খুব সম্ভবতঃ বাংলাদেশে প্রচলিত আইনে বৈধ নয়।"
-তাহলে দেখা যাচ্ছে কোরআনের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক আইন বাংলাদেশে আছে, তাহলে সম্পত্তিতে সম-অধিকার এর বেলাতে আমিনিদের লাফালাফি কে পাত্তা দেওয়া কেন?
-জলতরঙ্গ

পাগল মন এর ছবি

নারীর সমঅধিকারের অনেক খানিকই নির্ভর করে সম্পত্তি তে তার সমঅধিকারের উপর। নারীর প্রতি সহিংসতার কারনের গভীরেও এর বিশেষ ভুমিকা আছে

সম্পত্তির ক্ষেত্রে সমঅধিকারের সাথে নারীর সমঅধিকার জড়িত এব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই কিন্তু এটাই সব কথা নয়। আর আমি মনে করি না নারীর প্রতি সহিংসতার ক্ষেত্রে এই সম্পত্তির কোন "বিশেষ" ভূমিকা আছে।
আর আইন তো কতই আছে দেশে, কয়টা বাস্তবায়ন হয়? সুতরাং আইন করলেই হবে না সেটার বাস্তবায়নে নজর দিতে হবে। আজ সরকার আইন করলো, নারীরাও সমান অংশ পাবে কিন্তু কেউ যদি না দেয় তাহলে কয়টা নারী আদালতে যাবে সে জন‌্য? আর গেলেও যে ন্যায়বিচার পাবে তার নিশ্চয়তা কে দিবে?
আসলে সবার আগে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার তাহলেই ৯০% সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

অতিথি লেখক এর ছবি

নারীরাও সমান অংশ পাবে কিন্তু কেউ যদি না দেয় তাহলে কয়টা নারী আদালতে যাবে সে জন‌্য?

একজনও যদি যেতে চায় বর্তমান আইনে সে সুযোগ কোথায়?
আর গেলেও যে ন্যায়বিচার পাবে তার নিশ্চয়তা কে দিবে?-সে নিশ্চয়তা তো আমাদের দেশে কোন খানেই নাই।
সবার আগে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার তাহলেই ৯০% সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।--ঠিক।
কিন্তু আপনি আপনার কন্যা সন্তানের প্রতি আপনার মানসিকতা পরিবর্তন করলেই কিন্তু বর্তমান আইনে সম্পত্তি বিলি ব্যবসথা সমস্যার সমাধান হয় না। সেজন্য ই আইন টা পরিবরতন হওয়া জরুরী... মানসিক তা তো বটেই।

অতিথি লেখক এর ছবি

"যদিও আমি ঠিক সচল নই, আধখানা হাচল, তবুও মতামত যখন চাইলেনই তখন বলি, সম্পত্তিতে সমান অধিকার অনেক আগেই নিশ্চিত হওয়া উচিত ছিলো, তবে এখনো যে হয়েছে (যদি আসলেই হয়ে থাকে) তা-ই বা কম কি।"--আরে আমি তো সবার মতামতই জানতে চেয়েছি।অধিকার নিশ্চিত হয়েছে কিভাবে বলি? আমিনি দের লাফালাফি কিন্তু শুরু হয়ে গেছে! এইজন্যই নিজেদের চাওয়াটা সম্পরকে পরিস্কার ধারণা থাকা চাই।
"[b]সচল সচলাদের...এই পার্থক্যটা না করলেও পারতেন।[/b]"-তাইইই তো খাইছে । তবে আসলে আমি নারীদের মনোভাবটাও জানতে চাইছিলাম, কেননা এইবিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা টা একটু অদ্ভূত।
-জলতরঙ্গ

অপছন্দনীয় এর ছবি

সেটাই তো বলছিলাম, তাঁরাও সচল হাচল অতিথি, আমার আপনার মতই। খালি খালি একটা আ-কার জুড়ে দিয়ে আলাদা করার কি দরকার।

সাফি এর ছবি

নারীনীতিতে কি আছে সেটা বা তার লিংক লেখায় আশা উচিত ছিল বলে মনে করি। নারীর সমঅধিকারের বিরুদ্ধে ধর্মের বাইরে মোল্লাদের যুক্তি কি?

অতিথি লেখক এর ছবি

এটা আসলে সয়ংসম্পুর্ন পোস্ট নয়। এই ব্যাপারে কেউ বিস্তারিত লিখবেন এটাই এই পোস্টের উদ্দেশ্য।
-জলতরঙ্গ

আহসান (অতিথি) এর ছবি

আমি বুঝিনা সম্পত্তি নিয়া এত ত্যানা প্যাচানির মানেটা কি!! যার সম্পত্তি, সে যদি নিজে উইল করে তাইলে তার উইল অনুযায়ী সম্পত্তি ভাগ হওয়া উচিত। আর যদি উইল না করেই ধরাধাম ত্যাগ করে, তাহলে তার সম্পত্তি ভাগ হওয়া উচিত (মোট সম্পত্তি)/(বউ+সন্তান সংখ্যা)। এক্কেরে সহজ ঐকিক নিয়ম। এইখানে সন্তান ছেলে না মেয়ে সেটা নিয়ে ত্যানা যদি কেউ প্যাচায় তাইলে তারে তার আইন সুদ্ধা গদাম।

--- আহসান (দ্রোহের মন্ত্র)

অতিথি লেখক এর ছবি

আর বউ মড়ার সময় তার সম্পত্তি কি (মোট সম্পত্তি)/(জামাই+সন্তান সংখ্যা)...!

--- থাবা বাবা!

অপছন্দনীয় এর ছবি

ত্যানাটা মনে হয় আগেই প্যাঁচানো ছিলো, কেউ উইল না করলে তার সম্পত্তি "মুসলিম পারিবারিক আইন" অনুসারে ভাগ করা হতো। কাজেই আইন সুদ্ধ, এবং সম্ভবতঃ মুসলিম আইনের সোর্স সুদ্ধ "গদাম" যদি দিতে চান এতদিনের মহা ধার্মিকদেরই দেয়া উচিত।

অতিথি লেখক এর ছবি

আর "মুসলিম পারিবারিক আইন" অনুসারে উইল করাতেও অনেক ঝামেলা আছে যতদূর জানি।আপনি চাইলেই আপনার সম্পত্তি আপনার কন্যাসন্তান কে ইচ্ছামতো দিতে পারবেন না।সেজন্য হেবা দলিল করতে হবে। এবং সেটা করতে আবার আপনাকে পয়সা খরচ করতে হবে...উকিল এর ঝামেলা তো আছেই।

অতিথি লেখক এর ছবি

এছাড়াও উইল কারির মৃত্যুর পর ওই উইলের সঙ্গে সংশ্লিস্টরা যদি উইল মানতে নারাজ হয় তখন আসলে ওই উইল কার্যকর করা যায় না। তাই একমাত্র পথ হলো হেবা করা।

--
কালো ও সাদা

অতিথি লেখক এর ছবি

আরেকটা কথা না লিখলেই নয় যে ১৯৬১ সালে আইউব খান যখন অর্ডিনেন্সের মাধ্যমে মুসলিম পারিবারিক আইন প্রচলন করেন, তখন আমিনিরা কোথায় ছিল? নাকি তাদের বাপ লাগে জন্য কিছু বলে নাই ? এই আইনের মাধ্যমে মুসলিম পারিবারিক ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী আধুনিকতার ছোয়া দেয়া হয়। এই আইনের কয়েকটা যুগান্তকারি বিষয়ের মধ্যে- বিবাহ রেজিস্ট্রি, মৌখিক তালাক বন্ধ, মেয়েদের শর্ত সাপেক্ষে তালাক প্রদানের ক্ষমতা এবং উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে এতিম ছেলেদের সঙ্গে এতিম মেয়ে বাচ্চার সম্পত্তিতে অধিকারের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাহলে যে আধুনিক মুসলিম পারিবারিক আইন ১৯৬১ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে তাকে আরো আধুনিক করলে কোরানিক আইনের সঙ্গে খেলাপের যুক্তি ধোপে টেকে না।
এ তো গেল মুসলিম আইনে নারি অধিকার ও আধুনিকতার কথা, কিন্তু হিন্দু আইন তো সেই প্রাগৈতিহাসিক কালেই পড়ে রইল তার কি হবে? হিন্দু আইনে এখনো বিবাহ রেজিস্ট্রার, ডিভোর্স, পৈতৃক সম্পত্তিতে মেয়েদের অধিকার নেই। সুখের কথা এই যে সরকার এটা নিয়ে কাজ করছে এবং খুব শীঘ্রই এটা হয়তো পাশ হয়ে যাবে। আধুনিক যদি করতেই হয় তবে সব ধর্মের আইনকেই আধুনিকি করন করা হোক।

সম্পত্তিতে নারীর সম অধিকারের কথা বললেই একটা কথা প্রায়ই শুনি যে মেয়েদেরকে তো বিয়ের সময় দেনমোহরের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে আবার ছেলেদের সমান ভাগ চাওয়াটা কি অন্যায় নয় ? একথার জবাব কি কারো জানা আছে? থাকলে জানাবেন।

--
কালো ও সাদা

অতিথি লেখক এর ছবি

সম্পত্তিতে নারীর সম অধিকারের কথা বললে দেন মোহর ছাড়াও আরো একটা যুক্তি দেখানো হয়। স্ত্রীর ভরণ-পোষনের সকল ও একতরফা বাধ্যতামূলক দায়দায়িত্ব কিন্তু পুরুষের। আবিবাহিতজীবন। এমনকি সম্ভবতঃ হাইকোর্টের একটা রায়ের পরে বাংলাদেশে পুরুষের এই দায়িত্ব বিবাহ-বিচ্ছেদের পরেও প্রাক্তন স্ত্রী পুনর্বিবাহ না করা পর্যন্ত সম্প্রসারিত - আইনগতভাবে। আপাতদৃষ্টে সম্পত্তিতে সমানাধিকারের প্রশ্নে এইসব আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক একতরফা দায়িত্বও অনেকের চোখে অসমান, বৈষম্যমূলক বা কনফ্লিক্টিং মনে হয়। এক বন্ধুর সাথে বিতর্কে এই প্রসঙ্গটা উঠেছিল। এরই বা কি জবাব ?

মনমাঝি

আহসান (অতিথি) এর ছবি

@ থাবা বাবা,
আসলে আমারই বলা উচিত ছিল যে সমীকরণে স্বামী আর স্ত্রী ভ্যারিয়েবল দুইটা ইন্টারচেঞ্জেবল। আরও কিছু ছোটখাট ব্যাপার হিসাবে এনে একটা পরিপূর্ণ সম্পত্তি বন্টনের সমীকরণ তৈরী করা যায়। নারী পুরুষে ভেদাভেদ রাখার তো দরকার নেই এখানে।

@ অপছন্দনীয়,
আমার গদাম কার উদ্দেশ্যে সেটা সামুতে আসিফ মহিউদ্দীন পরিষ্কার ভাবেই উল্লেখ করেছেন। এখানে বিস্তারিত সেটা বলে একটা অফটপিক ক্যাওয়াজ লাগাতে চাচ্ছি না।

--- আহসান (দ্রোহের মন্ত্র)

অপছন্দনীয় এর ছবি

আমি অফটপিক মন্তব্য করে থাকলে দুঃখিত। আপনার পোস্টে কোন রেফারেন্স ছিলো না বোধহয়।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

চরম ব্যাস্ততার মধ্য আছি, তা'ও একটু ঢুকে গেলাম।

কোরআনের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক কোন আইন করা বাংলাদেশে বেশ কঠিন ব্যাপার বলে আমার মনে হয়, কেননা এই একটা কথা বলেই অনেককে ক্ষেপিয়ে তোলা যাবে যে এই আইন কোরআনের বিরুদ্ধে, ইসলামের বিরুদ্ধে।

আসলেই কঠিন। তবে বাংলাদেশ যেহেতু শরিয়া ল'তে পরিচালিত হয়না সেক্ষেত্রে কোরানের সাথে সংঘর্ষ না ঘটিয়েও কাজ করার সূযোগ আছে। যখন ল পড়তাম, তখন দেখেছিলাম যে মুসলিম পারিবারিক আইনের সাথে শরিয়া আইনের অনেক কিছুতেই পার্থক্য আছে। তার পরও শরিয়া আইন (বা কোরানিক ল) এবং দেশের প্রচলিত কাষ্টমারী ল বা অনুমোদিত ল একসাথে চলতে পারে। যেমন, বিবাহিত পুরুষ নতুন বিয়ে করতে গেলে আগের স্ত্রীর অনুমতি লাগবে। এর ব্যাতিক্রম হলে আইনানুযায়ী শাস্তির বিধান রয়েছে। তবে এ'ও বলা হয়েছে যে স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে বিয়ে করার জন্যে শাস্তি হলেও নতুন বিয়ে কিন্তু অবৈধ হবে না। এখানেই শরিয়া এবং প্রচলিত আইন পাশাপাশি চলছে।

শরিয়া আইনের প্রয়োগ নিয়ে আবার কথা হতে পারে। ইন্দোনেশিয়ার বান্দা আচে শরিয়া আইনশাষিত অন্যতম বৃহত্তম জনগোষ্ঠি। সেখানে মেয়েদের মাথা অনাবৃত দেখা গেলে শরিয়া আইনের বিধানমতে ৩ দিনের জেল হয়। কিন্তু, আচেতে ইয়াং মেয়েরা মাথা ঢাকলেও ওড়না বা আলখেল্লা পরেনা। ফলে স্তন এবং নিতম্বরেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অ্যাঁ

মুফতি এবং মোহাদ্দিসরা সময়োপযোগী করে আইনের পরিমার্জন করতে পারেন, ইসলাম তাদের এই অথরিটি দিয়েছে। কিন্তু পরিতাপ যে তারাই আজ ধর্মান্ধতা এবং কুসংষ্কারে এমনভাবে আচ্ছন্ন যে মানবকল্যানে ধর্মকে আইনানূগভাবে ব্যবহারের পথ ক্রমশ রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। প্রগতিশীলতার বা জনকল্যানের কোনও ঠাঁই নেই তাদের কাছে।

আরেকটা কথা, আমরা যদি নারীর অধিকারের কথা না বলে মানবাধিকারের কথা বলি, সেটা আমার কাছে অধিক সন্মানজনক মনে হয়। এতে করে নারীকে নেগেটিভ ডিস্টিংকশনের লজ্জা থেকে কিছুটা হলেও রেহাই দেওয়া যায়। একসময় জেন্ডারের কিছু কাজকাম করতাম, মনে আছে সম্ভবত ২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের স্লোগান ছিলো,

\"নারীর অধিকার নয়, বলো মানবাধিকার\"

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। কিছু কিছু মুসলিম রাস্ট্রতেও সমপত্তিতে নারীর সমানাধিকার আছে মনে হয়।আমাদের দেশে ধরমের চেয়েও ব্যক্তিগত লোকসান এর ভয় ই মনে হয় প্রধান অন্তরায়।
-জলতরঙ্গ

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

এর পিছনে বিভিন্ন কারন থাকে। তবে আপনি ঠিক ধরেছেন, স্বার্থই এখানে মূখ্য। তবে সম্পত্তি এখানে মূখ্য হলেও, আরও অনেক বিবেচ্য ফ্যাক্টর আছে। দুঃখ এখানেই যে আমরা নারী অধিকার রক্ষায় অনেক মুসলিম দেশ থেকে অনেক কিছুতেই পিছিয়ে আছি। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাকিস্তান থেকেও। মন খারাপ

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সাফি এর ছবি

নারীদিবসের স্লোগান হিসেবে কথাটাতো স্ববিরোধী হয়ে গেল কস্কি মমিন!

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আমার কাছে কিন্তু স্ববিরধী মনে হচ্ছেনা। যখনই আমরা নারীর অধিকার নিয়ে কথা বলি, সংগতভাবেই ইন্টারপ্রিটেশন হয় যে নারী অধিকারবঞ্চিত। কথাটা দুঃখজনক কিন্তু খুবই সত্যি। কিন্তু কথা হচ্ছে নারীকে আমাদের মানুষ ভাবতে সমস্যা কোথায়?

আমাদের সমাজে যে শুধু নারীর অধিকারই ক্ষুন্ন হচ্ছে তা তো না। শিশু, প্রবীন, শারিরীকভাবে চ্যালেঞ্জড মানুষ, সংখ্যালঘু, এদের অধিকারওতো প্রতিনিয়ত লঙ্ঘন হচ্ছে। লৈঙ্গিক, সামাজিক, বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন দলের মানুষের অধিকারগুলো ভিন্ন ভিন্ন। মাতৃদুগ্ধ পান যেমন একান্তই শিশুর অধিকার তেমনই নির্বিঘ্নে মন্দিরে-চার্চে যেতে পারা হিন্দু-ক্রিশ্চিয়ানের অধিকার। কিন্তু যখনই আমরা মানবাধিকারের কথা বলি, তখন কিন্তু অধিকারবঞ্চনার সব ফর্মগুলকেই বৃহাদায়তনে এ্যাড্রেস করা হয়। একজন মানুষ হিসেবে প্রত্যেকের বিশেষ এবং সাধারন অধিকারগুলো উঠে আসে। তাই আমার মনে হয়েছে যে শ্লোগাটায় নারীকে একজন মানুষ হিসেবে বিবেচনায় এনে তার অধিকারগুলো তুলে ধরার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

নারীনীতি, ব্যাপারটা শুনতে কেমন যেন লাগে। কেন সবার জন্য সমান নীতি হবে না? নারীর জন্য আলাদা নীতি প্রণয়ন করতে হয় কেন? নারী কি সংখ্যালঘু?

বাংলাদেশের দেওয়ানী আদালতে যে কয়েক লক্ষ ঝুলন্ত মামলা অহেতুক লাখ লাখ মানুষকে হয়রান করছে তার মূল কারন মুসলিম পারিবারিক আইনের সম্পত্তি বিভাজন আইন। এই আইনের হাজারো ফুটো যা দিয়ে শত শত মামলার বিষদাঁত বেরোয়। এইসব আইন অবিলম্বে সংস্কার করা উচিত।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অপছন্দনীয় এর ছবি

সবার জন্য সমান নীতি

চলুক

ধুসর গোধূলি এর ছবি

অধিকার অনধিকার পরের কথা, আগে কথা হলো হরতাল দিলে পিটায়া পাছার ছাল তুলে নেয়া। বাঞ্চোতের দল খেলা পাইছে। আফগানিস্তানে আক্রমন হলে হরতাল মারে, সালমান রুশদী বই লিখলে হরতাম মারে। কোন চুদির্ভাই বাংলাদেশে হরতাল না দিয়ে আফগানিস্তানে গিয়ে যুদ্ধে যোগ দিছে? কোন ছাগলটা হরতাল দেয়ার আগে স্যাটানিক ভার্সেস পড়ে দেখছে? এখন লাগছে নারী-নীতি নিয়ে। আমার নানী একটা কথা বলতেন মেজাজ খারাপ হলে, "হাতে বাড়ির ভাত খাইয়া, মোল্লায় মরে পেট নামাইয়া"। নানা জনের নানা কথায় কান দেয়া আমিনীদের জন্য কোনো কথা ব্যয় করার দরকার দেখি না। পেয়ারা গাছের ডালা ভেঙে পাছা পাতাইল্যা কয়েক প্রস্থ বাড়ি মারলেই হরতাল আর নারী-নীতির ভূত বাপবাপ করে পালাবে। রামছাগল কোথাকার!

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার মন্তব্যটা একদম কবিতার মতো লাগছে। দেঁতো হাসি ঠাট্টা না কিন্তু !

মনমাঝি

শামীম এর ছবি

আমি সমান সম্পত্তির পক্ষে।

এই প্রসঙ্গে ইসলামী আইন তখনই কার্যকর হবে বা সমর্থন করবো যখন বাকী বিষয়গুলোও ইসলাম মেনে সত্যিকার ভাবেই কার্যকরী হবে। ইসলামে উল্লেখিত বাকী অধিকার রক্ষায় ঠনঠন, শুধু সম্পত্তির বেলায় সেই আইন দেখানোর মত সুবিধাবাদী মনোভাব কোনক্রমেই সমর্থন করি না।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

সচলে এটা আমার প্রথম পোষ্ট, আমি মূলত পাঠক (মুলোদা নই দেঁতো হাসি )।কিন্তু এই ব্যপারটা নিয়ে চারদিকের মানুষের হঠাত ধামিক বনে যাওয়া দেখে বিরক্ত হয়েই লিখলাম। আপনি ঠিক আমার মনের কথাটাই বললেন।
-জলতরঙ্গ

অতিথি লেখক এর ছবি

ধুসর গোধূলি, আমার প্রথম পোস্টেই আপনার ক্ল্যাসিক মন্তব্য পেয়ে খুবই আনন্দিত দেঁতো হাসি । তবে একি ব্যবস্থা সিজনাল আমিনিদের জন্য ও নেওয়া দরকার মনে হয়।
-জলতরঙ্গ

অতিথি লেখক এর ছবি

সূরা আন নিসা পড়ুন। জানতে পারবেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল। আপনার এই মন্তব্যগুলো ইসলাম বিরোধী। জেনে মন্তব্য করুন।

অপছন্দনীয় এর ছবি

কাকে বলেছেন জানি না, তবে সূরা নিসার রেফারেন্স যখন টানলেন তখন মাঝখানে কথা না বলে পারলাম না। আমি ওই সূরা পড়েছি, আপনি পড়েছেন? পড়লে আসুন না দেখি, দেখা যাক ইসলাম কত কল্যানময়ী কথা বলেছে ওখানে? পড়েও যদি না বুঝে থাকি তাহলে আপনার কাছ থেকে জেনে-বুঝে নিতে চাওয়া নিশ্চয়ই অন্যায় নয় - বিশেষ করে আপনি যখন জেনেছেন, বুঝেছেন এবং জেনে মন্তব্য করেছেন?

অতিথি লেখক এর ছবি

"[b]সূরা আন নিসা পড়ুন। জানতে পারবেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল। আপনার এই মন্তব্যগুলো ইসলাম বিরোধী। জেনে মন্তব্য করুন।[/b]"- নিদিষ্ট ভাবে বলুন কোন মন্তব্যটি ইসলাম বিরোধী। আর ইসলাম অথবা অন্য ধর্মের অসঙ্গতি নিয়ে আলোচনা করা যাবে না, সচলায়তনে এমন কোন নিয়ম আছে নাকি??!!

-জলতরঙ

অতিথি লেখক এর ছবি

কাকে বললেন? আর ইস্লামের অসঙ্গতি নিয়ে আলোচনা করা যাবে না, সচলে এমন কোন নিয়ম আছে নাকি???!!
-জলতরঙ্গ

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আচ্ছা বলুন তো সার্ভে তে দেখা গেছে নাস্তিক এবং অবিশ্বাসীরা বিশ্বাসীদের চেয়ে ধর্ম সর্ম্পকে ক্যানো বেশী জানে? সুত্র: http://articles.latimes.com/2010/sep/28/nation/la-na-religion-survey-20100928

তাসনীম এর ছবি

কারণটা হীরক রাজা বলেছেন- যত জানে তত কম মানে হাসি

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

কারণটা হীরক রাজা বলেছেন- যত জানে তত কম মানে

--হুম...তার কারন মনে হয় যত জানে তত ফাকি গুলো ধরা পরে। চিন্তিত
ধুররর আপ্নে ও সচলে স্বাগতম বললেন না, খেলুম ই না রেগে টং
-জলতরঙ্গ

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় সর্বজনাব বদরুদ্দীন উমরকে কোট করছি-

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে একদিকে যেমন নারী অধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি বিষয়ে সভা-সমিতি মিছিলসহ নানা অনুষ্ঠান এ বছরও হয়েছে তেমনি জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য কিছু ধর্মীয় রাজনৈতিক দল নারী অধিকারের বিরুদ্ধে, নারী-পুরুষের সমঅধিকারের বিরুদ্ধে মিটিং মিছিল সমাবেশ করে ৪ এপ্রিল সারাদেশে পূর্ণ দিবস হরতালের ডাক দিয়েছে। এদের এই কর্মসূচির আশু কারণ ৭ মার্চ মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠকে নারী উন্নয়ননীতি ২০১১-এর খসড়া অনুমোদন। মুসলিম আইন অনুযায়ী নারীরা সম্পত্তির উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে পুরুষের অর্ধেক ভাগ পায়। নারী উন্নয়ননীতিতে এ আইন বহাল রেখে তাদের প্রাপ্য সম্পত্তির ওপর নারীর পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। সরকার যদি বিপ্লবী সরকার হতো তাহলে সম্পত্তির উত্তরাধিকার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করত। কিন্তু এই সরকার তা না করলেও জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক দলগুলো এই সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মিটিং মিছিল সমাবেশ করে তাদের ৪ এপ্রিলের হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তাদের এই সিদ্ধান্তের শরিক হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী ছাড়া ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটি, যার মধ্যে আছে ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশ, খেলাফত আন্দোলন ইত্যাদি। খোদ আওয়ামী লীগের জোটভুক্ত ধর্মীয় সংগঠনও এ ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য ধর্মীয় সংগঠনগুলোর শরিক।
উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তির দুই ভাগ পুরুষ ও এক ভাগ নারীর অংশ বহাল রেখে অন্যান্য ক্ষেত্রে নারীর সমঅধিকারের কথা সরকারি সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে। এর মধ্যে ইসলামের বরখেলাফ কিছুই নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও অন্যান্য ক্ষেত্রে অর্থাত্ শিক্ষা, ব্যবসা, বাণিজ্য, চাকরি ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমঅধিকারের বিরোধিতার উদ্দেশ্যেই এরা ইসলামের ও শরীয়ত আইনের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্যই তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কিন্তু এদের এই কর্মসূচির দ্বারা যে কিছুই হওয়ার নয় এটা অবধারিত। আগেই বলা হয়েছে যে, হাজার রকম ঘাটতি সত্ত্বেও নারীর অধিকার অর্জন ও ক্ষমতায়ন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হচ্ছে। এ পরিবর্তন এক ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ার অন্তর্গত। কোনো প্রতিক্রিয়াশীল কর্মসূচির মাধ্যমেই একে রোধ করা যাবে না। এর দ্বারা এই ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর কোনো লাভ তো হবেই না, উপরন্তু ক্ষতির যথেষ্ট সম্ভাবনা। কারণ এ নিয়ে বাড়াবাড়ি হৈ-হুল্লোড় করলে তার প্রভাব তাদের নিজেদের ঘরেও বাড়বে এবং নির্বাচনে দাঁড়ালে তাদের বাড়ির মেয়েরাই গোপনে তাদের বিরুদ্ধে ভোট দেবে

(আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও ফতোয়াবাজি,আমার দেশ, ১০/০৩/১১)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

অতিথি লেখক এর ছবি

উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তির দুই ভাগ পুরুষ ও এক ভাগ নারীর অংশ বহাল রেখে অন্যান্য ক্ষেত্রে নারীর সমঅধিকারের কথা সরকারি সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে। এর মধ্যে ইসলামের বরখেলাফ কিছুই নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও অন্যান্য ক্ষেত্রে অর্থাত্ শিক্ষা, ব্যবসা, বাণিজ্য, চাকরি ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমঅধিকারের বিরোধিতার উদ্দেশ্যেই এরা ইসলামের ও শরীয়ত আইনের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্যই তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

বুঝলাম না। তার মানে কি, সম্পত্তিতে নারীদেরকে পুরুষের সমান আধিকার দেয়ার প্রস্তাব করা হয় নি?

তাহলে এত কলরব কিসের ?

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

নীতিমালায় উত্তরাধিকার সম্পদে নারী-পুরুষের সমবণ্টনের কথা নেই
নতুন নারী নীতিতে বড় পরিবর্তন নেই
রোজিনা ইসলাম
নতুন জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালায় তেমন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই। উত্তরাধিকার ও সম্পত্তির বিষয়ে শুধু ভাষাগত হেরফের হয়েছে মাত্র। ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনে উত্তরাধিকারের বিষয়ে যা ছিল, এ নীতিমালায় তা-ই রয়েছে।
প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে নারীনেত্রীরা বলেন, নীতিমালার কোথাও উত্তরাধিকার সম্পদে নারী-পুরুষের সমবণ্টন বা সম-অধিকারের কথা বলা হয়নি। ২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার সম্পদ ও উত্তরাধিকার শব্দ দুটি বাদ দিয়েছিল, এখন তা যুক্ত করা হয়েছে মাত্র।
অথচ সম্পদে নারীকে সমানাধিকার দিয়ে সরকার নারী উন্নয়ন নীতিমালা অনুমোদন করেছে এমন অভিযোগে ৪ এপ্রিল হরতাল ডেকেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের শরিক ইসলামী ঐক্যজোট। এ প্রসঙ্গে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নারী উন্নয়ন নীতি, ২০১১ মুসলিম উত্তরাধিকার আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। এর কোথাও উত্তরাধিকার সম্পদে সমান অধিকারের কথা উল্লেখ নেই। এ নিয়ে হরতাল ডাকা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম দেখ্লাম খবরটা। এখন ও গেল না আঁধার মন খারাপ
-জলতরঙ

অতিথি লেখক এর ছবি

তাইতো মনে হচ্ছে মন খারাপ । তবে কলরব (এই সংক্রান্ত আলোচনা) টা মনে হয় দরকার আছে।
-জলতরঙ্গ

একজন পাঠক এর ছবি

যদি কারো কাছে ১৯৯৭ এবং বর্তমান নারী নীতির সফট কপি বা স্ক্যান কপি থাকে অনুগ্রহ করে আমাকে মেইল করবেন। আমি পুরোটা পড়তে চাই। যদি কারো কাছে আগের নীতি বা আইন থাকে সেগুলো পাঠালেও উপকৃত হব।
মেইল-

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।