একজন সাকিব আল হাসান এবং কিছু দুধের মাছি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৩/০৩/২০১১ - ২:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ক্রিকেটের সাথে বাংলাদেশীদের আবেগ জড়িত। আর এই বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় নাম অবশ্যই সাকিব আল হাসান। বলতে হয় আসলে সাকিবই আমাদের ক্রিকেটের ব্রান্ড এম্বাসেডর। কারণ দেড় বছর ধরে ওয়ার্ল্ড অলরাউন্ডার রাঙ্কিং এ ১ নম্বর পজিশন দখল করে রাখা চাট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু বাংলাদেশের একদিনের খারাপ পারফরমেন্সেই আমরা ভুলে যাই এই সাকিব আল হাসান আমাদের কি দিয়েছে। ভুলে যাই বাংলাদেশের ক্রিকেটে এই সাকিব আল হাসান ই হলেন সবচেয়ে ধারাবাহিক খেলোয়ার। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ পেয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জয়। কিন্তু এইসব ব্যাপার কি আদৌ বুঝেন কিছু বাংলাদেশী সমর্থক, প্রাক্তন খেলোয়ার আর সাংবাদিকরা?

সাংবাদিকরা শুরু থেকেই সাকিব আল হাসানের পেছনে এমন ভাবে লেগে আছেন যেন সাকিব আল হাসানের সাথে তাদের পূর্ব জনমের শত্রুতা। এর শুরু মাশরাফি-সাকিব বিতর্ক দিয়ে। তারা নাকি একে অপরকে দেখতে পারেন না। অথচ আমি আজ পর্যন্ত ২ জনকে যতগুলো ম্যাচ একসাথে খেলতে দেখেছি সবসময়ই লক্ষ্য করেছি যে সাকিব উইকেট পেলে মাশরাফি আর মাশরাফি উইকেট পেলে সাকিব দৌড়ে এসে ২ জন ২ জনকে আলিঙ্গন করত। কখনই মনে হয়নি যে তাদের মাঝে খারাপ সম্পর্ক আছে। মিডিয়া যখন তাদের নামে এসব গুজব ছড়ানো শুরু করে তখনও তারা সবসময়ই তা নাকচ করে এসেছেন। ইদানিং মাশরাফি প্রথম আলো তে নিয়মিত লেখেন। সেই লেখা পরলেও বুঝবেন যে মিডিয়া তাদের নামে যা ছড়িয়েছে তার বিন্দুমাত্র ও সত্য হওয়ার কথা না। সাকিব নিজেও কিছুদিন আগে বলেছেন যে মাশরাফি সবসময়ই তার মাথার উপর বড় ভাইয়ের মত ছায়া হিসাবে থেকেছেন। একসাথে খেললে হয়তো ২-১ বার কথা কাটাকাটি হতেই পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তাদের মাঝে দা-কুমড়া সম্পর্ক।

তারপর বলা যায় আশরাফুল-সাকিব কে নিয়ে কিছুদিন আগেই মিডিয়াতে রটানো অপপ্রচার। সাকিব নাকি আশরাফুলকে দেখতে পারেন না।কারণ, সাকিব নাকি আশরাফুল উইকেট পাওয়ার পর মলিন মুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঘটনা কতটুকু সত্য তা নিচের লিঙ্ক দেখলেই বুঝবেন।
http://www.sachalayatan.com/rajputro/37832
সাকিবই কিন্তু আশরাফুল উইকেট পাওয়ার পর সবার আগে দৌড়ে এসে তাকে অভিনন্দন করেছেন। কিন্তু ৩য় উইকেট পড়ার পর আসলেই ক্যাপ্টেন হিসাবে সাকিব ওই নৃত্তে অংশগ্রহণ করলে জিনিসটা দৃষ্টিনন্দন কিছু হতো না। আর গতকাল ম্যাচ শুরুর আগেও দেখলাম সাকিব আশরাফুলের কাঁধে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন! তাই বলা যেতে পারে এটাও সাকিবকে নিয়ে রটানো আরেকটি হলুদ সাংবাদিকতার নিদর্শন!!

আরেকটি হলুদ সাংবাদিকতার নিদর্শন হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারের পর ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন নিয়ে ভুয়া নিউজ রিপোর্ট!! বাংলা ভিশন চ্যানেলের জনৈক টিভি রিপোর্টার এক মিনিট তেরো সেকেন্ডের একটি রিপোর্ট বানিয়েছেন। যেখানে আমাদের অভিযুক্ত সাকিব বেশ হাসি হাসি মুখে বলেছেন যে ইচ্ছা করে ব্যাটসম্যানরা আউট হয়ে গেছেন। রিপোর্টারের মতে, এটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচের পরের সম্মেলন। অথচ ওইটা আদৌ সেদিনের সম্মেলন নয়। এটা ছিলো আয়ারল্যান্ডের ম্যাচের পরের সম্মেলন। নিচে বাংলাভিশনের রিপোর্ট আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের পরে সাকিবের আসল সম্মেলন- ২টারই ভিডিও লিঙ্ক দিলাম।
বাংলাভিশনের মিথ্যা-রিপোর্ট –
http://www.youtube.com/watch?v=mCHPiCpYhCg&feature=player_embedded
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের পরে সাকিবের আসল সম্মেলন –
http://www.youtube.com/watch?v=dgfbB18kvKE&feature=player_embedded

এইবার আসা যাক আমাদের প্রাক্তন খেলোয়ার সুজন চাচার কথায়। বাংলাদেশ হারার পর তিনি সাকিব আর জেমি সিডন্সকে মিডিয়াতে ধুয়ে ফেলছেন। আসেন তার কথার কিছু নমুনা দেখি।
- বাংলাদেশ টিম এর কোন গেমপ্ল্যান নাই
- সাকিবের অল্প বিদ্যা ভয়ংকর রুপ নিচ্ছে
- বড় প্রশ্নটা আমাদের কোচ সিডন্সকে নিয়েই। চার বছর ধরে কোচিং করিয়েছেন তিনি বিশ্বকাপে এই লজ্জা উপহার দেওয়ার জন্য! কোচিংয়ের জন্য এত আয়োজনের পর এই ফল! এর জন্য তো কোনো প্রোফাইলধারী কোচের প্রয়োজন নেই, রিকশাওয়ালাকে দায়িত্ব দিলেও এর চেয়ে খারাপ করতে পারবে না।
- সিলেটের খেলোয়ারদের নিয়েও আমি এই বাংলাদেশ দলকে হারাতে পারবো।
- বাংলাদেশের উচিত ইংল্যান্ডের সাথে জয়ের চিন্তা বাদ দিয়ে হারানো গৌরব ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করা।
- বাংলাদেশ দলে এখন ভাঙ্গনের সুর। এটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

জানিনা আমাদের সুজন চাচার এত ক্ষোভ কেন সাকিব আর সিডন্সের উপর। কোচ হতে না পারার দুঃখই হয়তো এর কারণ।

এইরকম আরো অনেক জিনিস আছে যা করাই হচ্ছে আসলে সাকিবকে হীন করার জন‍্য ।আসেন, আমরা সেদিকে না যাই। এইবার আপনাদের কিছু মজার তথ্য জানাই। গতকাল বাংলাদেশ জেতার পর আজকে এক চ্যানেলে সুজন চাচার সাক্ষাতকার দেখলাম। আজকে তিনি বললেনঃ
- আমি জানতাম বাংলাদেশ ঠিকই ফিরে আসবে।
- সাকিব কিন্তু দলকে খুব সুন্দর ভাবে পরিচালনা করেছেন।
- দলকে খুব ঐক্যবদ্ধ মনে হয়েছে।

একেই মনে হয় বলে দুধের মাছি। ধিক্কার সুজনের মত মন মানসিকতার প্রাক্তন খেলয়ারদেরকে এবং কতিপয় বাংলাদেশি সমর্থকদের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে হারার পর ৭টা দিন সাকিবের উপর দিয়ে কি গেছে তা এই ছবিটাই বলে দিচ্ছে। এই অশ্রু যত না আনন্দের তার থেকে হয়ত অনেক বেশি কষ্টের!!

আমরা মনে প্রাণে সবসময়ই চাই বাংলাদেশ দল জিতুক। কিন্তু আমাদের সবসময়ই মাথায় রাখা উচিত যে আমরা বিশ্বের সবচেয়ে ভালো কাতারের দলগুলোর একটি নই। আমরা শুধু ক্রিকেট বিশ্বে একটি emerging nation। এখনো আমাদের আরো অনেক দূর যেতে হবে। এখনো আমরা হাহুতাশ করি বিশ্বকাপে কেন মাশরাফি নেই। কারণ আমাদের দলে মাশরাফি ছাড়া এখনো সেরকম বিশ্বমানের বোলার নেই। এখনো তামিম সাকিব কোনো ম্যাচে খেলতে না পারলে আমরা বাংলাদেশ দলের জয়ের সম্ভাবনা নাকচ করে দেই। কারণ, আমাদের দেশে এখনো তাদের কোন বিকল্প নেই। কিছুদিন আগে যদি আমরা দেখি তাহলেই দেখা যাবে যে আগে আমাদের ক্রিকেট ছিল হাবিবুল বাশার কেন্দ্রিক। কিন্তু এখন আর বাংলাদেশের ক্রিকেট একজনের উপর নির্ভর করে না। এখন আমাদের আছে তামিম,সাকিব, মাশরাফি, শফিউল, ইমরুল। অর্থাৎ বাংলাদেশের ক্রিকেট দিন দিন উন্নতি করছে। কিন্তু একটা খারাপ পারফরমেন্সেই আমরা ভুলে যাই এদের পূর্ব সাফল্য। নেমে যাই এদের মুন্ডুপাত করতে। হামলা করি তাদের বাড়িতে। হায়রে সমর্থক!!! কিন্তু সবচেয়ে কষ্ট লাগে যখন দেখি কিছু প্রাক্তন খেলোয়াড়রাও শামিল হয়ে যায় এসব আজাইরা সমর্থকদের কাতারে!!!

আমি বাংলাদেশ দলের খুব ক্ষুদ্র একজন সমর্থক। কিন্তু এতটুকু হয়তো বুঝি যে কোনও ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশ দল তার সমর্থকদের কাছে যে সাপোর্ট প্রত্যাশা করে হয়তো তার থেকে অনেক বেশি প্রত্যাশা করে হারলে। আমরা যদি জয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে নাচতে পারি, তাহলে কেন পরাজয়ে সাহস হয়ে এই ১১ জনের পাশে দাঁড়াতে পারি না!!! কেন হারার পর ওদের মনোবল ভেঙ্গে দিতে আমরা (সমর্থক, প্রাক্তন খেলোয়ার আর মিডিয়া) উঠেপড়ে লেগে যাই। জয় পরাজয় যাই হোক আমরা কি তাদের পাশে থেকে তাদেরকে ভালো খেলতে উদ্বুদ্ধ করতে পারি না? ক্রিকেটের দিনবদলের থেকেও তাই মনে হয় অনেক বেশি দরকার আমাদের মনোভাব বদলের।

tazbinur_shovon@yahoo.com


মন্তব্য

কুটুমবাড়ি [অতিথি] এর ছবি

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ৫৮ রানের ইনিংসটা হয়ে একদিক থেকে ভালোই হয়েছে। কিছু দুধের মাছির পরিচয় জানতে পারছি। দেঁতো হাসি

এনকিদু এর ছবি

"খারাপ সময়" এজন্য মাঝে মাঝে খুব প্রয়োজনীয় হয়ে উঠে। দুধের মাছিদের চিনে নেয়ার জন্য এরকম একটা সময় দরকার ছিল।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

জটিলয লাগলো। কথা সত্য ... ... আমরা কতগুলো 'হাড়ে-হারামজাদা'কে চিনলাম।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ

মীর তাজবিনূর শরীফ

তাসনীম এর ছবি

পোস্টের মূল বক্তব্যের সাথে সহমত।

তবে সমর্থক হিসাবেও আমরা বেশ উগ্র। দল ভালো করলে ক্যাপ্টেনকে নব্যুওয়াত দেই আর খারাপ করলে তাকে পুঁতে ফেলি। দুটোর কোনোটাই ভালো নয়।

আরেকটি হলুদ সাংবাদিকতার নিদর্শন হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারের পর ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন নিয়ে ভুয়া নিউজ রিপোর্ট!! বাংলা ভিশন চ্যানেলের জনৈক টিভি রিপোর্টার এক মিনিট তেরো সেকেন্ডের একটি রিপোর্ট বানিয়েছেন। যেখানে আমাদের অভিযুক্ত সাকিব বেশ হাসি হাসি মুখে বলেছেন যে ইচ্ছা করে ব্যাটসম্যানরা আউট হয়ে গেছেন। রিপোর্টারের মতে, এটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচের পরের সম্মেলন। অথচ ওইটা আদৌ সেদিনের সম্মেলন নয়

ওটা আয়ারল্যান্ডের ম্যাচের পরে। কিন্তু সাকিবেরও একটু সতর্ক জবাব দেওয়া উচিত ছিল। মিডিয়াগুলোতো মহাপুরুষরা চালায় না। মুখের কথা ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে ফেরৎ পাঠাতে ওরা ওস্তাদ। যেটা বেচা যায় সেটাই তারা বেচে।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

তবে সমর্থক হিসাবেও আমরা বেশ উগ্র। দল ভালো করলে ক্যাপ্টেনকে নব্যুওয়াত দেই আর খারাপ করলে তাকে পুঁতে ফেলি। দুটোর কোনোটাই ভালো নয়।

এজন্যই তো বললাম দুধের মাছি। আয়ারল্যান্ডের ওইরকম হাই টেনশন ম্যাচের পরে এইরকম রসিকতা কেন জানি খুব একটা বেখাপ্পা মনে হয় নি। তবে সাকিবের অবশ্যই আরেকটু সতর্ক হওয়া উচিত ছিল

মীর তাজবিনূর শরীফ

MIU1 এর ছবি

গুঘাটকদের আর দোষ কি, দেশের জনগণ খেতে চায় আর তাঁরাও মনের মাধুরী দিয়ে গুপাঁক (হলুদ সাংঘাতিকতা) করেন!
আমার তো মনে হয় সাকিবের কলাম প্র-কালোর সম্পাদনার গুড় লেগে অমন হয়েছে! আর কোনো গুঘাটক যদি অমন গুড় কারো গায়ে অতি যত্ন নিয়ে লাগিয়ে দেন, তাহলে তার মুখ থেকে মিষ্টি মিষ্টি কথা বের হওয়াটাই স্বাভাবিক! তাই পত্রিকায় প্রাক্তন খেলোয়াড়দের নাম নিয়ে যা লেখা হয়, তাও যে গুঘাটকদের গুড় লাগানোর প্রয়াস ছিল না এটা কিন্তু আমরা কসম কেটে বলতে পারি না!
যাই হোক, আসল কথা হলো প্লেয়ার বলেন আর সাংবাদিক বলেন, এরা সবাই একে অন্যের পরিপূরক মাঝখানে আমরা আমজনতারা এই যে মাতামাতি, ফালাফালি আর লেখনীর বুতাম চাপছি এতেই এদের সফলতা! নাকি মিছা কইলাম???

ধুসর গোধূলি এর ছবি
ধুসর গোধূলি এর ছবি

সুজন যখন খেলতেন, একজন মোটামুটি মানের বাংলাদেশী খেলোয়াড় হিসেবেই খেলেছেন। তিনি বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ‌্যে অবশ্যই 'দ্য বেস্ট' ছিলেন না। তো তাঁর মতো একজন মোটামুটি মানের খেলোয়াড় যদি বাংলাদেশ দলের কোচ হয়, তাহলে বাংলাদেশ দলের কোয়ালিটি কোন পর্যায়ে থাকবে? আমি সুজনের ঠ্যাঙ ধরে টানছি না। কিন্তু সর্ব-বাস্তবতা মেনে নিলে তাঁর মতো কেউ বাংলাদেশ দলের কোচ হওয়ার যোগ্য না। ফুলস্টপ।

উপমহাদেশের সমর্থক হিসেবে বাঙালীরাও একটু বেশিই আবেগপ্রবণ, একথা ঠিক। কিন্তু এই আবেগের যথাযথ নিয়ন্ত্রণটাও আমাদের নিজস্ব ধারাতেই ধরে রাখা উচিৎ। আমরা কেনো ভারতীয় কিংবা পাকিস্তানীদের মতো নিজেদেরকে উগ্র করে তুলবো? খেলায় জিতে বিজয়োল্লাস দেখিয়ে রাস্তায় মহিলাদের সাথে মাত্রাতিরিক্ত ফাত্রামি করে ফেলা কোনো সভ্য সমর্থকের কাজ হতে পারে না। প্রতিপক্ষ কিংবা নিজের দলের বাস লক্ষ্য করে পাটকেল ছোঁড়া কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। খেলোয়াড়দের বাড়ির জানালায় ঢিল মারা, মাঠে পানির বোতল ছুঁড়ে মারা— এইসব মানসিকতার দর্শক অন্তত বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গণে ছিলো না এই সেদিন পর্যন্তও। এগুলো সমানভাবে ক্ষতিকর, বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশীদের জন্য এবং সর্বোপরী বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য। ক্রীড়া সাংবাদিকেরা এই দিকে আলো না ফেলে সাকিব-সিডন্সের পশ্চাতে অঙুলিপ্রবিষ্টকরণে মনোযোগী বেশি।

কালুপেপারে এক রামছাগল ক্রীড়া সাংবাদিক লিখেছে,

নোমান মোহাম্মদ, নাগপুর থেকে লিখেছেন:
হুম, প্রোটিয়াদের সমীকরণটা পাল্টে যেত কাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতলে। সম্ভাবনা জাগিয়েও বাংলাদেশ তা করতে না পারায় তাই একরকম নির্ভার হয়েই আজ খেলতে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা।

আলু পেপারের উটপোঁদ, তার সাগরেদ তারেক- এগুলাও কম যায় না কোনোদিক দিয়েই। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় আগে এই আদমগুলা গ্রামে গ্রামে ঘুরে হাডুডু খেলার রিপোর্ট তৈরী করতো গ্রামের ইউনিয়ন মেম্বারদের জন্য। আলু-কালু এসে এদেরকে নিয়োগ দিয়েছে স্পোর্টস রিপোর্টার হিসেবে। তো এইসব রিপোর্টারদের কাছ থেকে এর চেয়ে ভালো আর কী-ই বা আশা করা যায়!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

লিংকটা কি ঠিক আছে? এখানে তো এরকম কিছু পেলাম না চিন্তিত

ধুসর গোধূলি এর ছবি

লিংকটা ঠিক নাই পিপিদা।

কালু পেপারের লিংক ঠিক থাকে না। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা এরা খবরটা অনলাইন এডিশন থেকে সরায়ে ফেলছে। কিন্তু ই-ভার্সন থেকে সরাতে ভুলে গেছে।

kalupaper_2

আগে থেকে কপি করে রাখা অনলাইন ভার্সন—
kalupaper_1

একজন কলকাতায় বসে কিংফিশারের বোতলে পেপসি ভরে সেটা গিলতে গিলতে নাগপুরের রিপোর্ট লিখে আরেকজন কারওয়ান বাজারে বসে গ্লেনফেডিশের বোতলে চোলাই ভরে সেটা গিলতে গিলতে সেই রিপোর্ট ছাপায়। এগুলা হলো আমাদের দেশের শীর্ষস্থানীয় পেপারের স্পোর্টস রিপোর্টার! চিন্তা করে দেখেন এরা কেমন ক্রীড়া সাংবাদিক! খেলা না দেখেই, ফলাফল না জেনেই একজন রিপোর্ট করে বসে! আরেকজন কোনো কিছু না দেখেই সেই রিপোর্টটা ছাপায়, কতোবড় রামছাগল!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

কথাগুলো বেশীমাত্রায় সত্য। আর এইকারণেই বেশি কষ্ট লাগে

মীর তাজবিনূর শরীফ

অতিথি লেখক এর ছবি

যাই হোক, আসল কথা হলো প্লেয়ার বলেন আর সাংবাদিক বলেন, এরা সবাই একে অন্যের পরিপূরক

দুই দলের মাঝে সামান্য তফাৎ আছে বলেই মনে হয় ইদানিং কালে। একদল দেশের জন্য লড়ে, আরেকদল দেশের মানুষের খোরাক যোগানোর জন্য লড়ে!!!

মীর তাজবিনূর শরীফ

পাগল মন এর ছবি

সাকিব ইংল্যান্ডের সাথে ম্যাচের পরে বলেছে এই সাতদিনে সে অনেক কিছুই শিখেছে। আশা করি সে তার শিক্ষাটা ভবিষ্যতে কাজে লাগাবে।
সে সন্দেহাতীতভাবে আমাদের সেরা খেলোয়াড় এবং এখন পর্যন্ত আমার দেখা বাংলাদেশের সেরা ক্যাপ্টেন। তার কাছ থেকেও আরো পরিণত ব্যবহার আশা করব ভবিষ্যতে। সাংবাদিকরা যতই হলুদ সাংবাদিকত করুক না কেন, সাবেক খেলোয়াড়রা যতই কটু কথা বলুক না কেন তাকে উত্তেজিত হওয়া চলবে না। তাকে মাথা ঠান্ডা রেখে নিজের কাজ করে যেতে হবে। তার কাছ থেকে আরেকটু আশা তো আমরা করতেই পারি, তাই না? মানুষতো তার পছন্দের মানুষের কাছেই আবদার করে।
আমরা সাপোর্টাররা সাকিব বাহিনীর সাথে আছি, থাকবো সবসময়।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

অতিথি লেখক এর ছবি

এতদিন সাকিব শুধু মুদ্রার এক পিঠ দেখেছে। অন্য পিঠ নতুন নতুন দেখতেছে তো, তাই হয়ত মানিয়ে নিতে পারে নাই

মীর তাজবিনূর শরীফ

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

১. দল জিতলে খুশি। লড়াই করে হারলে ঠিকাছে। কিন্তু, লজ্জাজনকভাবে হারলে তাদেরকে কোলে তুলে নাচবো সেটা আশা করা ঠিক হবে না। এরকম পরিস্থিতিতে দুয়ো ধ্বনি বেরোবেই মুখ থেকে। কিন্তু তার মানে আবার দলের প্রতি সমর্থন ত্যাগ করা নয়। একদিন দুয়ো দিলেও পরের খেলায় অবশ্যই চিৎকার করে সমর্থন করতে থাকবো। ইংল্যান্ডের সঙ্গে খেলায় কিন্তু সমর্থক কম ছিলনা! তবে যে কোনো পরিস্থিতিতেই দুয়ো দিয়ে মিছিল করা, ঢিল ছোঁড়া এরকম উগ্রতা নিন্দনীয়!

২. মিডিয়া নিয়ে কিছু বলার নেই। বলে লাভ হবে বলেও মনে করিনা।

৩. সাকিবের প্রতি সমর্থন অবশ্যই আছে। বাংলাদেশ দলের দলনেতা বলেই। কিন্তু তাতে তার মধ্যমা প্রদর্শন জায়েজ হয়ে যায় না। প্রাক্তন খেলোয়াড়দের প্রতি তার মন্তব্যও গ্রহনযোগ্য নয় আমার কাছে। সহজে বোঝাবার চেষ্টা করি, কেউ একজন যদি বিদ্বেষ নিয়ে আরেকজনকে পেটায় তবে আমি নির্যাতিতের পক্ষে, কিন্তু দুজন যদি পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষ নিয়ে মারামারি করতে থাকে তাহলে আমি দুজনকেই অপছন্দ করবো!

৪. প্রাক্তন খেলোয়াড়দের মন্তব্য আমি শুনতে চাই। ভালো খারাপ বিবেচনার সুযোগ আছে। দলের প্রতি নিশ্চয়ই তারা সহনশীল হতে পারতেন আরো বেশি। কিন্তু একসঙ্গে পাঁচজন প্রাক্তন খেলোয়াড় কেনো কিছু বলছেন সেটা বিবেচনা করাও দরকার। কেউ নিন্দা করলেই তাকে শত্রু/সুবিধাবাদী ভেবে বসাটা ভালো লক্ষণ নয়। সমালোচনার সত্যতাও বিচার করা দরকার। হ্যাঁ এই ক্ষেত্রে আমি চাই এইসব আলোচনা/সমালোচনা টুর্নামেন্টের পরে হোক। আমি চাইনা খেলার মাঝেই আমাদের খেলোয়াড়রা এইসব আলোচনা/সমালোচনা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ুক।

৫. আপনার এই লেখাটা ভালো লাগেনি। আবেগী মনে হয়েছে। বাংলাদেশ হেরে যাওয়ার পরদিন যদি এটা লিখতেন তাহলে আপনার সঙ্গে একমত না হলেও আপনার অনুভূতিকে সন্মান করতাম। জয়ের পর এরকম অনুভুতি কোনো ভালো ধারণা তৈরি করেনা!

৬. কথা প্রসঙ্গে বলে যাই, আমার দেশের জয়ে সবাইকে অভিনন্দন। আমার দেশ নিশ্চয়ই আরো ভালো করবে। কিন্তু ইংল্যান্ডের সঙ্গে জয়ে (যেভাবে জিতেছে) ব্যক্তিগতভাবে আমি খুশি নই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে হারটাকে আমি বরং দৈব বিপাক ভেবে মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু শফিউলের ব্যাটে বাংলাদেশের জয় অপ্রত্যাশিত। মিডল অর্ডারের এরকম ভেঙে পড়া কোনো খুশির খবর নয়। লটারি পেলে খুশি হওয়া যায় ঠিক কিন্তু তাতে বাহবা দেয়ার কিছু নেই। বলে রাখি, এটা আমার ব্যক্তিগত বিবেচনা। আমি খেলার ব্যাকরণ বুঝি না। বোদ্ধাদের দৃষ্টিতে এভাবে জেতাও কোনো ভালো বিষয় কিনা তা আমার জানা নেই।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাজ্জাদ মারুফ এর ছবি

ছবিতে খেয়াল করলেই দেখা যায় বোলিং কোচ পন্ট এর হাতে বেসবল গ্লোভস। জানিনা খেলা শেষেও কোচ রা গ্লোভস হাতে ঘোরে কিনা।
প্রাক্তন খেলোয়াড়দের কাছে আমিও মতামত আশা করি। তাদের মতামত হবে খেলোয়াড় সুলভ। কিন্তু যখন তারা বলে এই কোচ এর চেয়ে একজন রিক্সাওালাও ভাল কোচ, আমি সিলেট দল নিয়ে আয়ারল্যান্ড জিম্বাবূয়ে রে হারাইতে পারি যখন তাদের জন্য কোনো সম্মান নয়।
আপনি বাংলাদেশ জিতলে বাহবা দিতে রাজি নন। কিন্তু হারলে দুয়োধনি দিতে একপায়ে খাড়া । এসব ব্যক্তিগত বিবেচনা নিজের কাছেই রাখেন না কেন?
আপনার লেখা আবেগিও লাগেনি যৌক্তিক ও লাগেনি। কি লেগেছে তা আর নাই বা বললাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

সহমত। ব্যক্তিগত এরকম নিচু আক্রমন কথার মাঁর প্যাঁচ দিয়া সমর্থন করা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

১. বেসবল গ্লাভসের ব্যাপারটা বুঝতে পারিনি! কোন ছবির কথা বললেন?

২. প্রাক্তন খেলোয়াড়দের মতামত মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা মানে কিন্তু তাদের সব কথা হালাল বলা নয়। এতো অল্পতে ভূল বুঝলে কিভাবে হবে!

৩. বাংলাদেশ জিতলে আমি বাহবা দিতে রাজি নই তা আপনাকে কে বলল?! কী সর্বনাশ! আমিতো আমার ওই মন্তব্যটি শুরুই করেছি সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে! আমি বলেছি, যেভাবে জিতেছে সেটা খুব সুখকর বিষয় নয়। গত জয়টা অনেকটা লটারি জেতার মত।

৪. যাঁরা অনেক ভালো খেলা বোঝেন তাঁরা কেউ যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করলে আমার ধারণা পরিবর্তিত হতে পারে। সেজন্যেই বলেছি এরকমভাবে জেতাটা যে খুব ভালো কিছু নয় সেটা আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস।

৫. রণদীপম বসু নামের একজন সচলের কথা মনে পড়ে গেল। উনি ওনার স্বাক্ষর হিসেবে গ্রীক কবি ইউরিপিডিস-এর একটা কথা ব্যাবহার করেন, "চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মাঝে কোনো মাহাত্ম্য নেই"। এই বাণীটি সম্পর্কে আপনার মতামত কী?

৬. আমি আবেগে আপ্লুত হয়ে কিছু লিখিনি বলেই আমার মন্তব্য আপনার কাছে আবেগী মনে হয়নি। তবে যৌক্তিক কেনো মনে হয়নি সেটা বুঝতে পারছি না! যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে বলুন, আপনার যুক্তি অকাট্য হলে মেনে নেব। "কী লেগেছে" সেটা না বলার কারণও বুঝতে পারছি না! আপনার জন্য আবারো গ্রীক কবি ইউরিপিডিস-এর বাণী, "চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই। তা প্রকাশ করতে যদি লজ্জাবোধ হয়, তবে সে ধরনের চিন্তা না করাই বোধ হয় ভাল।"

৭. বালকের "এই প্রথা ভাঙুক" লেখাটি পড়ে দেখেছেন? আপনার কাছ থেকে এখানে মন্তব্য আশা করছি।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

কোনও লেখা সবার কাছে ভাল লাগবে সেটা কখনোই সম্ভব না। তাই আপনার এই ক্রিটিসিজমকে মাথা পেতেই মেনে নিলাম। কিন্তু পাল্টা যুক্তি দেওয়ার নগণ্য চেষ্টা করলাম।

১. আমার মনে হয় না কোনও দলই ইচ্ছা করে হারে না,তাই না? সবদিন যে ভালো যাবে এমন কোন কথা নেই। হারলে সমালোচনা করেন ঠিক আছে, কিন্তু তা অবশ্যই মাত্রা অতিক্রম করে নয়। 'তবে যে কোনো পরিস্থিতিতেই দুয়ো দিয়ে মিছিল করা, ঢিল ছোঁড়া এরকম উগ্রতা নিন্দনীয়! ' আপনার এই কথার সাথে আমিও সহমত। বাসায় বসে সমালোচনায় আমারো আপত্তি নাই। কিন্তু সেটা যদি কারো বাসায় হামলার মাধ্যমে হয় সেখানে আমার ঘোর আপত্তি। পুরা লেখায় আমি সেতাই বুঝাইতে চাইছি। সেইটা বুঝাতে না পারলে অবশ্যই তা আমার অক্ষমতা।

২. বলার অনেক কিছুই আছে। এক্ষেত্রে আপাতত লাভ লোকসান নিয়ে চিন্তা করতে চাচ্ছি না। হয়ত একদিন মানুষের কলমের খোঁচায় এইসব সাংবাদিকরা কলম ছাড়তে বাধ্য হবেন। আশা করতে আর দোষ কি!!!

৩. মধ্যমা প্রদর্শনের বিষয়টা নিয়ে ব্যাপক জল ঘোলা হইছে। কিন্তু ব্যাপারটার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ উদ্রেকের কিছু কারণ আছে। আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে সাকিব আর বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সম্পর্ক এখন অনেকটা সাপে-নেউলে টাইপের। সাকিব যদি আসলেই ম্যাচ চলাকালীন সময়ে ওই আঙ্গুল দেখিয়ে থাকে তা মিডিয়ার দ্রিশ্তিতে অবশ্যই পড়ার কথা। আর দৃষ্টিতে পড়লে অবশ্যই পরের দিন সকল না হলেও কিছু কিছু পত্রিকায় তা আসার কথা। কিন্তু ৫ তারিখের কোনও পত্রিকায় এই জিনিস কিন্তু আসে নি। প্রথম এই বিষয় জানা যায় অজ্ঞাত এক প্রাক্তন(!) খেলোয়ারের বেনামি চিঠিতে। আর তারপরই নেটে চলে আসে ওই ছবিটি। এত কৌশলী একটি ছবি যে কোনও দর্শকের তোলা হতে পারে না তা আন্দাজ করা যায়। আর কোনও সাংবাদিকই যদি ছবিটি তুলে থাকেন তবে তা কেন পরের দিনের পত্রিকাতে আসলো না তাও একটা প্রশ্ন!!!

তবে সাকিব যদি আসলেই এহেন কাজ করে থাকেন তবে তা অবশ্যই নিন্দনীয়।

৪. আগেই বলেছি সমালোচনারও একটি সীমারেখা আছে। কিছু প্রাক্তন খেলোয়ার কিন্তু মিডিয়াতে সমালোচনার সাথে সাথে বাংলাদেশ দলকে উৎসাহ ও দিয়েছেন। আর ২-১ জন কি করেছেন তা হয়ত আপনার জানাই আছে। বিশ্বকাপের পরেই হোক আর আগেই হোক এসব ভিত্তিহীন আজাইরা কথাবার্তা (এইসব সমালোচনার কাতারেও পড়ে না) কখনোই কোনও দলের জন্য ভালো হতে পারে না।

৫. বাংলাদেশ হেরে যাওয়ার পরে লিখলে হয়ত এরকম কিছু দুধের মাছির সন্ধান দিতে পারতাম না। এই অনুভূতি যে জয়ের পর হয় নি তা প্রমাণ করার হয়ত আমার জন্য একটাই উপায় আছে। আর সেটা হল ফেসবুক। আপনি চাইলে আমি আপনাকে আমার আইডি দিতে পারি যাতে আপনার এই ভ্রান্ত ধারণা আমি ভাঙ্গতে পারি।তাই রিপ্লাই এর অপেক্ষায় রইলাম

৬. এই ব্যাপারে আমিও আপনার সাথে সম্পূর্ণ সহমত

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ইচ্ছে করে যে কেউ হারেনা তা আমি মানি। আপনার ভাবনা আর আমার ভাবনায় খুব অমিল দেখছিনা এই ক্ষেত্রে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে হারে আমি দলকে দুয়ো দেইনি। ওই পরাজয়টাকে আমি দৈব দুর্বিপাক বলে মনে করেছি।

সাকিবের মধ্যমা প্রদর্শন ব্যাপারটি মিথ্যে নয়। সেটি যদি পত্রিকায় না এসে থাকে তাহলে তা একটা ভালো ব্যপার হয়েছে। সাংবাদিকদেরকে এজন্য অভিনন্দন। কিন্তু ঘটনাটি যে সত্যি তা নিশ্চিত করেছের সেসময় গ্যালারীতে উপস্থিত থাকা একজন সচল।

প্রাক্তন খেলোয়াড়দের সব মন্তব্য ঠিক আছে তা বলিনি। বলেছি, যে কেউ সমালোচনা করলে তা বিবেচনা করা উচিত নিজেদের স্বার্থেই।

যে'কদিন নিজস্ব একাউন্ট পাচ্ছেন না সে'কদিন লেখা/মন্তব্যের শেষে নাম জুড়ে দিন। এটা করা জরুরী।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

তাহলে বলতে হয় সাকিবকে এখনো অনেক কিছু শিখতে হবে। দর্শকদের কটু মন্তব্য প্রথম শুনতেসে তো,তাই হয়ত খৈ হারায় ফেলছিল। যাই হোক, এত কিছুর পরও আশা করব সাকিব তার ভুলগুলো থেকে শিখবে এবং দর্শকরাও আরেকটু সহনশীল হবে।

কিছু প্রাক্তন খেলোয়ারদের সমালোচনা তো বিবেচনাযোগ্যও হয় না। আমি এটাও মানি যে পত্রিকাতে সাকিব একটু বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে গেছিল। তবে তারপরও বলব, এই মুহূর্তে সাকিবকে গালমন্দ না করে আমাদের উচিত তাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে তার পাশে দাঁড়ানো।

মীর তাজবিনূর শরীফ

সাজ্জাদ মারুফ এর ছবি

ছবিতে খেয়াল করলেই দেখা যায় বোলিং কোচ পন্ট এর হাতে বেসবল গ্লোভস। জানিনা খেলা শেষেও কোচ রা গ্লোভস হাতে ঘোরে কিনা।
প্রাক্তন খেলোয়াড়দের কাছে আমিও মতামত আশা করি। তাদের মতামত হবে খেলোয়াড় সুলভ। কিন্তু যখন তারা বলে এই কোচ এর চেয়ে একজন রিক্সাওালাও ভাল কোচ, আমি সিলেট দল নিয়ে আয়ারল্যান্ড জিম্বাবূয়ে রে হারাইতে পারি যখন তাদের জন্য কোনো সম্মান নয়।
আপনি বাংলাদেশ জিতলে বাহবা দিতে রাজি নন। কিন্তু হারলে দুয়োধনি দিতে একপায়ে খাড়া । এসব ব্যক্তিগত বিবেচনা নিজের কাছেই রাখেন না কেন?
আপনার লেখা আবেগিও লাগেনি যৌক্তিক ও লাগেনি। কি লেগেছে তা আর নাই বা বললাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

বর্ণে বর্ণে সহমত। সমালোচনার ভাষা আরো সংযত হওয়া উচিৎ। আর সাকিব যেটা বলেছে, হয়তো ওর যায়গায় অন্য কেউ হলেও তাই-ই বলতো। ওর বয়সটাও তো দেখতে হবে। এতো চাপ আর হেনস্তা একটা ২৩ বছরের মগজ আর মন এর নিতে পারার কথাও নয়।

আর আমরা সুজন টাইপ খেলোয়াড়দের খেলাও তো দেখেছি। কেমন খেলতো তারা? সাকিবের যোগ্যতার ধারে কাছেও নেই তারা।
এই পর্যন্ত সাকিব আর মাশরাফিই সেরা।

বন্দনা

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। আমিও আপনার সাথে সহমত। তবে সাকিব হয়ত চুপ থাকলেও মন্দ করত না। কারণ, silence is the most powerful way to reply

মীর তাজবিনূর শরীফ

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

খুব ভাল হয়েছে।এ ধরনের সমর্থকদের ধিক্কার...

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ

মীর তাজবিনূর শরীফ

মুস্তাফিজ এর ছবি

পুরোনো খেলোয়াড়দের আর দোষ কোথায়। ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ স্থানে থাকার সময় ওরা যে সমাদর পেয়েছে তার কিয়দংশ এখন পেলেও এরকম অর্বাচীনের মত কথা হয়তো আসতোনা। সে সময়ের সুখের জীবন কেই বা ভুলতে চায়।
আর সাংবাদিক? তাদের কথা আর নাই বা বললাম। সম্ভবত বাংলাদেশে সবচাইতে যোগ্যতাহীন লোকেদের সমাগমই বেশী সেখানে।

...........................
Every Picture Tells a Story

অতিথি লেখক এর ছবি

হাবিবুল বাশার কিন্তু সুজনের থেকেও বেশি সমাদর পেয়েছেন। কিন্তু ২ জনের সমালোচনার ধরণে কিন্তু আকাশ-পাতাল তফাৎ!!!!

মীর তাজবিনূর শরীফ

রিয়াদ মাসুদ এর ছবি

দারুণ লাগলো। পুরো লেখাটাই মনের মত হয়েছে।
রিয়াদ

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটির সাথে একটি ছবির লিঙ্ক দিয়েছিলাম। জানি না কেন লিঙ্কটা আসে নি। তাই পুনরায় লিঙ্কটা দিলাম

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে হারার পর ৭টা দিন সাকিবের উপর দিয়ে কি গেছে তা এই ছবিটাই বলে দিচ্ছে। এই অশ্রু যত না আনন্দের তার থেকে হয়ত অনেক বেশি কষ্টের!!

মীর তাজবিনূর শরীফ

guast_writer এর ছবি

ছোট একটা ছেলে, তার উপরে এত বড় দায়িত্ত্ব! তবে সবই খেলার অংশ। বড় টুর্নামেন্ট তাছাড়া নিউজিল্যন্ডের সাথে ওভাবে সিরিজ জয় আমাদের প্রত্যাসাটা বাড়িয়ে দিয়েছিল।

কিন্তু সাকিবের একটা বি,কে,এস,পি সার্কেল তৈ্রী হয়েছে টিমে। এরা ওর চামচামি করে দলে টিকে থাকছে।
এটা ভাল লক্ষন না। দলটা মোটেও ভাল খেলছে না। অনেক দূর্বলতা বেরিয়ে আসছে। ইংল্যান্ডের সাথে আমরা জিতেছি কিন্তু আমরা খুব খারাপ ব্যাট করেছি। শফিঊলের কাছে আমরা বড় জোর কৃ্তজ্ঞ হতে পারি। আত্ম তৃপ্তির কোন সুযোগ নেই এখানে।

আমাদের পারফরমেন্স নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছে। টেস্ট স্টাটাসের বয়স কমত আর হলোনা। আয়ারল্যান্ডের উন্নতির গ্রাফ আমাদের চেয়ে আনেক ভাল। যেতে হবে আর বহুদূর। তৃপ্তির ঢেকুর তুললে হবে না।

অতিথি লেখক এর ছবি

পুরোপুরি সহমত আপনার সাথে। উন্নতির এখনো অনেক বাকি। আমি শুধু বলতে চেয়েছি যে আগের থেকে বাংলাদেশ অনেক উন্নয়ন করেছে, ইনশাল্লাহ আরো করবে। আর সেক্ষেত্রে আমাদের উচিত বাংলাদেশ দলকে উৎসাহ যোগানো, ধিক্কার দেওয়া নয়।

মীর তাজবিনূর শরীফ

অতিথি লেখক এর ছবি

সুন্দর প্রানবন্ত লেখা। সমালোচনা কিন্তু তথ্য নির্ভর। তবে একটা জিনিস পৃথিবী জন্ম থেকেই কিছু নিন্দুকের জন্ম হয়েছে। এদের কিছু বলে লাভ নাই, কুকুরের যেমন লেজ সোজা হয় না, এদেরও মুখের ভাষা বন্ধ হবে না। এরা মনে হয় সিধু চাচার উত্তোরসূরী। যাক আল্লাহ এদের জ্ঞান দান করুন। আমিন।
কামরুজ্জামান স্বাধীন।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ

মীর তাজবিনূর শরীফ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।