আমি রাজাকারদের বিচার চাই। আমার বয়সী তেইশ চব্বিশ বছর বয়সের প্রায় সবাই তাই চায়। যার প্রতিফলণ গত নির্বাচনেই দেখা গেছে। জামাতে ইসলামী ভোট না পেয়ে মাটিতে গড়াগড়ি খেলো।
অথচ কিছুটা আশ্চর্য এবং দুঃখিত হয়ে দেখি আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্মের অনেকেই রাজাকারদের বিচার নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন এবং এর প্রয়োজনীয়তা নিয়েও কিছুটা দ্বিধান্বিত। ওনারাইতো মুক্তিযুদ্ধকে কাছ থেকে দেখছেন, বয়স তখন যত কমই থাকুক না কেন, কিছুটা বোধ বুদ্ধি তো তখন তাদের ছিল।
অবাক হয়ে যাই, তাদের মা্নসিকতা দেখে।
কিছুদিন আগে আমার পরিচিত এক নব্য মুসল্লীর সাথে কথা হল। উনি আমেরিকা প্রবাসী। বিয়ে করেছেন এক মার্কিন মহিলাকে (গ্রীন কার্ড এর আশায়)। গ্রীন কার্ড পেয়েছেন, দুটি সন্তান আছে এবং এখন তিনি তার মার্কিন স্ত্রীকে ধার্মিক মুসলিম করার জন্য জোর চেষ্টা করছেন। তিনি দেশে এসেছেন এক জামাতী পার্টির সাথে অনেক দেশ ঘুরে, পাকিস্তান হয়ে।
তার মুখে শুধুই পাকিস্তান বন্দনা। পাকিস্তানীরা আমাদের ভাই ভাবে, ৭১ এর কথায় তাদের চোখে পানি আসে (!!)।
তার মতে মুক্তিযুদ্ধের কারণে আমাদের অনেক বড় লো্কসান হয়ে গেছে। নাহলে এতদিনে আমাদের দেশে অন্তত একটি হলেও আণবিক চুল্লী থা্কত (!!!!!!!!!!!!!)।
সে কিভাবে এমন কথা বলে? ৭১ এ তার বয়স ছিল ১২/১৩। সে ত তখন কার রাজাকার না, পাকিস্তানী পরিবারেও তার জন্ম না। ঐ পরিবারে রাজা্কারীর কোন ইতিহাস নেই বলেই জানি।
এমন আরো কিছু লোককে দেখেছি। ভেবে পাই না কি করে এমন চিন্তা করতে পারে তারা। তাদের সুবুদ্ধি আসুক, এই প্রার্থনা করি। নইলে এমন দিন হয়ত খুব বেশি নেই যখন রাস্তা ঘাটে এদের মার খেতে হবে।
সোজা কথা।
আলু মিয়া
মন্তব্য
আরো ভালো লেখা চাই!
ধন্যবাদ
ভাই আলু মিয়া। বিষয়টাকে মানসিকতার বিবর্তন বলা যেতে পারে। এটা নেতিবাচকও হতে পারে। আমার বন্ধু ইদ্রিস ছাত্রলীগের নেতা ছিলো, পরে হয়ে গেলো শিবিরের নেতা। আরেক বন্ধু কামাল করতো শিবির, চলে আসলো ছাত্রলীগে। সবাই ইনডিভিজুয়াল পারস্পেকটিভ থেকে বিষয়গুলো দেখে থাকে। তাছাড়া পারিপার্শ্বিকতা মানুষের চিন্তায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে। তাই খেয়াল করে দেখে থাকবেন মুক্তিযোদ্ধা ফ্যামিলির পোলাপান শিবিরকে দেখতে পারেনা। তেমনই রাজাকার ফ্যামিলির পোলাপান শিবিরের বাইরে যেতে চায়না।
আরেকটা মত, শিবির এবং বামদলগুলো কিন্তু পোলাপানের চিন্তায় প্রভাব বিস্তারের জন্যে ব্যাপক অনুশীলন করে থাকে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নতুন মন্তব্য করুন