নরকের এক বেলা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৭/০৩/২০১১ - ৮:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বুয়েট ক্যাফেতে বড় পর্দায় খেলা দেখছিল নরক হাসান , আর মনে মনে হাসছিল । শ’ দুয়েক বুয়েটিয়ান বসে আছে তার পেছনে । না শুধু বসে নেই, মনের সুখে ভুভুজেলা বাজাচ্ছে তারা । এরা নিশ্চয়ই কৃতজ্ঞ তার কাছে , ছাত্রলীগের কাছে , এভাবে তাদের খেলা দেখার সুযোগ করে দেওয়ায় । নরক মনে মনে ভাবে , যাক আগামী ২ বছর অন্তত আরামে থাকা যাবে । বেকুব গৌতমের কথা ভেবে হাসি পায় নরকের , ব্যাটা কি মনে করেছিল নিজেকে ? বুয়েটের রক্ষাকর্তা ? বুঝ শালা এইবার , কত ধানে কত চাল। তোর ঐসব নীতিকথার দিন কি আর আছে । বুয়েটিয়ানরা এখন বুঝে খালি মাস্তি আর ফুর্তি ।এই যে দেখ কি সুন্দর খেলা দেখার ব্যবস্থা করে দিলাম । এতেই ওরা খুশি। তুই ব্যাটা কিনা ভেবেছিলি এরা তোর সাথে তাল দিবে । মুচকি হাসে নরক , এরই মাঝে একটা উইকেট পরে যায়, ভুভুজেলার আওয়াজ দ্বিগুণ হয় ।মানুষজনের নাচানাচি দাপাদাপিতে উৎসব মুখর বুয়েট ক্যাফে । কে বলবে এখানেই দু’দিন আগে মার খেয়েছে কোন ছাত্র । মোবাইল টা বেজে উঠে নরকের , DSW এর ফোন , নরক অনিচ্ছা স্বত্তেও ফোন টা ধরে। খেলার মধ্যে ফোনে কথা বলাটা তার পছন্দ নয় । DSW নরকের কুশলাদি জানতে চায় , কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা জিজ্ঞেস করে ।নরক হাসে আবারও , নিজের শ্বশুরবাড়িতেও বোধহয় মানুষ এত সুখে থাকতে পারে না । ক্যাফের চারপাশটা একবার দেখে নেয় নরক । নাহ সব ঠিক আছে , চারপাশে শুধু লীগের পোস্টার , সবার হাসি হাসি মুখ , ফ্রন্টের পোস্টার গুলা খুব দ্রুতই সরিয়ে ফেলেছে তার কর্মীরা । হাইকমান্ডের থেকে বড়সড় একটা দাও মারতে হবে , ভাবে নরক। কর্মীদের কে একটু দেখাভাল না করলেই নয় এবার , অনেক করল তারা এ যাত্রা । অবশ্য VC, DSW, Pro-VC এরাও কম করেনি নরক আর লীগের জন্য । তাদের প্রতিদানটাও সুযোগমত দিয়ে দিবে নরক । এখন বুয়েটের রাজা সেই, প্রজাদের সে দু’হাত ভরে দিতে চায় । নরক মনে মনে ভাবে , VC , DSW এদের সব ইচ্ছাই সে পূরণ করবে । ওদের ইচ্ছা আর কিই বা হবে হয়তো নিজেদের নাতি পুতি কে টিচার বানাতে চাইবে । হোক না, টিচারের নাতি টিচার হবে না তো কি । শুধু টেন্ডারগুলা নরককে দেখিয়ে দিলেই হয় । কয়েকটা ঘাড় ত্যারা টিচার নাকি আবার আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে , এই জন্যে VC ভয়ে কাঁপাকাঁপি , নরককে দেখে লোকটা কিছু শিখল না , বেয়াদবদের শক্ত হাতে কিভাবে দমন করতে হয় তা তো দেখিয়েই দিল সে । ভিসির কান্ডজ্ঞান দেখে কিছুটা বিরক্ত হয় নরক । তাকে দেখে কেন কিছু শিখেনা লোকটা । সে কি সুন্দর ভাবে ম্যানেজ করছে সবকিছু । প্রতি হলে চেইন অফ কমান্ড ঠিক করে দিয়েছে, ছাত্রদের পেট্রলিং এর ব্যবস্থা করেছে । কোন ছাত্র ঘাড় ত্যারামি করলেই সাথে সাথে খবর হয়ে যাবে । অবশ্য ছাত্র গুলা খুবই লুলা টাইপ , নরক জানে এরা সহজে ঝামেলা করবেনা । বিশেষ করে গৌতমের অবস্থা দেখার পর তো আরও না। আর করবেই বা কেন? লীগ কি কম করছে তাদের জন্য । এই যে খেলা দেখার ব্যবস্থা করে দিল এইটা কি আর কেউ করতে পারত ? তাদের যখন ছুটির দরকার হয় , পরীক্ষা পিছানোর দরকার হয় তখন কি নরক তাদের ফিরিয়ে দেয় ? না দেয় না । কাজেই তারা এখন নরকের সাথেই থাকবে। হঠাৎ করে বুয়েটিয়ানদের উল্লাস চরমে উঠে , নরকের চিন্তায় ছেদ পরে , প্রতিপক্ষ অলআউট, কর্মীরা নরকের হাত ধরে টান দেয় তাদের সাথে নাচার জন্য , অনিচ্ছা স্বত্তেও উঠে নরক । তার পেছনে আনন্দে নাচছে পুরা বুয়েট , নরক মনে মনে বলে, " দেখ গৌতম দেখ "।

* এই গল্পের সকল স্থান, চরিত্র ও ঘটনা কাল্পনিক। কোন জীবিত বা মৃত ব্যক্তির সাথে মিলে গেলে তা অনভিপ্রেত কাকতাল মাত্র ।

লেখক - কোন এক হতভাগ্য


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

বুয়েটের এতো খারাপ অবস্থা হোলো কিভাবে?

অমিত এর ছবি

আমরা যখন ছিলাম, এর থেকে অবস্থা ভাল ছিল ? বড় বন্ধ পেয়েছি দুইবার, সনি হত্যা ! সকালে ক্লাস করতে যেয়ে কত অসংখ্যবার গেট বন্ধ পেয়েছ মনে পড়ে ?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমি একটা ইম্প্লিকেশন বলি এইসব বন্ধের। প্রথমটা হোলো লেভেল ১, টার্ম ১ এ। ইস্যু কি ছিলো? মনেও পড়ে না। এই খেলা টেলা টাইপের কিছু। পোলাপান মিছিল করে টিচার্স কোয়ার্টার, ক্যাফেটিরিয়া আর ইএমই বিল্ডিংয়ে কিছু ভাঙচুর করল ব্যাস অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ।

আমার হোলো অপুরনীয় ক্ষতি। আমি বেশী পড়াশোনা করতে পারি না। এই বন্ধে আমার বইপত্রে গাছ গজিয়ে গ্যালো। বন্ধুদের নামই গেলাম ভুলে। দুবার ক্লাস শুরু হবে বলে নোটিশ এলো। ধুলা ঝেড়ে বই বের করতে গেলাম আবার পিছালো। সব মিলিয়ে ভয়াবহ খারাপ পরীক্ষা দিলাম। জিপিএ এলো ৩.২০। বুয়েটের প্রথম সেমিস্টারে এমন বাড়ি খেয়ে সারা জীবন সেই অভিশাপ বইতে হচ্ছে।

১৯৯৮ তে ক্লাস শুরু করে এই সব ধানাইপানাইয়ের চক্করে পড়ে বেরোলাম ২০০৪ এ। পাক্কা ছয় বছর। সোনালী দুটো বছর গেলো পানিতে। যেখানে পড়াশোনা করতে যাই কিংবা চাকরী করতে যাই এই সময়টা বড় আফসোস জাগায়।

সেদিনের যেই ছেলে গুলো এই সবে তাল দিতো তারাও খুব ভালো নেই। কিন্তু সঙ্গে ডুবিয়েছে হাজার হাজার ছেলের ভবিষ্যত। এই রকম অশুভ চক্র চলতেই থাকবে চলতেই থাকবে।

আমি যদি এখন ঢাকায় থাকতাম আমি পরিবারের সবাইকে প্রাইভেট ইউনি পড়তে বলতাম। ইটস নট ওয়র্থ ইট।

অতিথি লেখক এর ছবি

এই পোস্ট কেঠায় লিখসে রে শ্যালা ? : says বুয়েটছাতরলীগ্নেতা

------------
সাত্যকি
------------

বিবেক এর ছবি

মেকানিকালের ছাত্র ছিলাম না, তাই ক্লাস পাইনি- তবে বন্ধুদের মুখে শুনেছিলাম বর্তমান ভিসি ভালো মানুষ। কতোটা ভালো মানুষ, এখন বুঝতে পারছি। সম্ভবত আলী মর্তুজার মতো বেহায়াও একটু লজ্জা পেয়ে যেতো। আর ডি এস ডব্লুর কথা না বলি। এই 'মালের' ডিপার্টমেন্টের ছাত্র ছিলাম। এরকম পলিটিক্যাল পা চাটা পিস পাওয়া অসম্ভব। এই লোকের কাছ থেকে অন্তত লীগের বিরুদ্ধে এক মিলিমিটার পরিমান অ্যাকশনও আশা করা যাবে না। খারাপ লাগছে, বুয়েট আর যেমনই হোক, গত পাঁচ সাত বছরে এতো খারাপ ছিলো না।

একজন পাঠক এর ছবি

বাংলাদেশের জন্য বুয়েট এখন আর কোন দরকারী প্রতিষ্ঠান না। বুয়েট বাংলাদেশকে কি দিয়েছে? প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা খরচ করে ছাত্রদের পড়ায়। সেই ছাত্ররাই বের হয়ে নিজের সুখের জন্য দেশ ত্যাগ করে চলে যায়। আরে বালের পোলারা, বিদেশের গোলামিই যখন করবি, তখন বাংলাদেশের এত গুলো টাকা কেন নষ্ট করলি? বুয়েটর পোলা/মাইয়ারা থার্ড ইয়ার থাকতেই GRE দেয় বিদেশ যাওয়ার জন্য, তার মানে বুঝেন? অজুহাত "আমি স্কলারশীপ পাইছি/আমি ফান্ডিং পাইছি"। বুয়েটের সব শালারাই হিপোক্রেট, মুখে এক কথা, মনে অন্য কথা।

এ জন্যই বুয়েটের আর কোন দরকার নাই।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কথাটা ভুল। এই যে একজন ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বের হয় তাদের মূল্য দেয়া হয় কেমন? বুয়েটের অন্যতম কঠিন একটি বিষয় হোলো মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। সেই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে ২০০৪ এ ষষ্ঠ স্থান করে বেরিয়ে আকিজ টেক্সটাইলে আমাকে চাকরীর অফার দেয়া হোলো ৮ হাজার টাকার। সেখানে আমার সাথে পাবলিক ইউনি থেকে পাশ করে দুবছর আগেই ১৫ হাজার টাকায় চাকরী শুরু করেছে সমবয়সীরা। আমি পাশ করতে করতে তারা আরো উপরে।

এই অবস্থায় আমার মেধার প্রকৃত মূল্যায়ন দেশে হবে এই নিশ্চয়তা কিভাবে পাবো? বরং আমেরিকায় আমাকে পুরো ফান্ডিং দিয়ে মার্স্টাস করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। মেধার উপযোগী বেতনের সুযোগ থাকছে। উল্টো এই উচ্চতর ডিগ্রী, অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে ব্রেইন গেইনের সুযোগ তৈরী হচ্ছে। তাহলে কোনটা যুক্তিযুক্ত পথ এখানে?

পাগল মন এর ছবি

মন্তব্যে লাইক করার অপশনটা বড়ই মিস করছি মুর্শেদ ভাই। মন খারাপ

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

পাগল মন এর ছবি

বু্যেটের অবস্থা আমরা যখন শেষের দিকে তখনই খারাপ হওয়া শুরু করেছিল। এখন কী অবস্থা সেটা অবশ‌্য এই পোস্ট পড়েই সিদ্ধান্তে পৌছানো যাবে না। তবে এই ভিসি, ডিএসডব্লিউ আর প্রো-ভিসি যে ভাল কিছু করছে না সেটা বুঝতে পারছি।
বু্য়েটে সবসময়ই ক্ষমতাসীন দলের দাপট থাকে আর ফ্রন্ট মার খায়। আমাদের সময়ও ছাত্রদল ফ্রন্টের একজনকে পিটিয়েছিল কিন্তু এভাবে ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে রড/দা দিয়ে কোপায়নি। যেভাবে গৌতমকে মেরেছে সেটা বরং বেশি উদ্বেগের বিষয়। তাছাড়া পত্রিকায় দেখলাম, বুয়েটে দলীয়করণ অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে সেটাও উদ্বেগজনক।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

অতিথি লেখক এর ছবি

এরকম আজাইর‍্যা মন্তব্য কিভাবে মডারেশান পার হয়ে আসে সেটা ভেবেই অবাক লাগছে

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

দরকার আছে। তবে মন্তব্যকারীর নাম জানলে ভালো হতো। হোকনা সে ছদ্মনাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

সারা বছর যাদেরকে দেখি ভার্সিটিতে বসে, গীটার বাজায়ে, পার্টি করে; তারা পাস করে আমাদের সমান কিংবা তার চেয়ে বেশি বেতন পায়। মেধার মূল্যায়ন না হলে ব্রেইন ড্রেইন হবেই।

দুর্দান্ত এর ছবি

ভার্সিটিতে বসে, গীটার বাজায়ে, পার্টি করে
এগুলো করে ভাল ছাত্র হওয়া যায়না?

দুর্দান্ত এর ছবি

বুয়েটে সাম্প্রতিক ও চলমান অনভিপ্রেত রাজনীতি ও সাধারন ছাত্রদের ওপর তার প্রভাব আর বাংলাদেশের জন্য বুয়েটের প্রাসঙ্গিকতা - এই দুটোকে কি আকারে যুক্ত দেখা হচ্ছে, অথবা এই দুটিকে একে অন্যের কারণ বা ফলাফল হিসাবে কিভাবে চিহ্নিত করা যায়, সেটা ওপরের আলোচনা থেকে বুঝতে পারছিনা।

ছাত্ররাজনীতি আছে বলেই কি বুয়েটের ছাত্রদের পয়লা প্রথম চাকুরীতে কম বেতন অফার করা হচ্ছে? অথবা বুয়েটের ছাত্রদের 'বাজারদর' কমে গেছে (আমার ধারনা ভিন্ন) বলেই কি বুয়েটে ছাত্ররাজনীতিতে নতুন নতুন অনভিপ্রেত ধারা যোগ করা সম্ভব হচ্ছে?

ওপরে একটি মন্তব্যে একজন ড্রাইভারের বেতনের চাইতে বুয়েট থেকে পাশকরা প্রকৌশলীর বেতন কম বললেন। জানি ব্যাক্তিগত ভাবে এই পরিস্থিতি মেনে নেয়া কষ্টকর। কিন্তু যদি মেনে নেই যে শ্রমের বাজারদর শুধু চাহিদা-সরবরাহ দিয়েই নির্ধারিত হয়, তাহলে ড্রাইভারের বেতনের উদাহরনটি কি এটাই নির্দেশ করেনা যে বাংলাদেশর শিক্ষা ব্যাবস্থা একটি নির্দিষ্ট বছরে চাহিদার অনুপাতে যে পরিমান 'স্কিল্ড' ড্রাইভার তৈরী করে, তার চাইতে ঢের বেশী 'আনক্সিল্ড' উচ্চশিক্ষিত বেকার তৈরী করে।

একটা গল্প বলি। একটা ছোট গর্ত খোঁড়া হচ্ছে তাতে বড়জোর একটা বেলচার প্রয়োজন। বেলচাকে ডাকলেন। এগিয়ে এলো দশটি বুলডোজার। কাজ শেষে আপনি তাকে কি বেতন দেবেন? বেলচার নাকি বুলডোজারের?

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি তো বুঝতে পারলেন যে বুলডোজার দরকার নাই বা বুলডোজারকে দেয়ার মত কাজ আপনার কাছে নাই, তাহলে বুলডোজারগুলো যদি তাদের কাজ করতে সঠিক স্থানে যায় তাহলে আবার প্রশ্ন তোলেন কেন?

-নামুস

একজন পাঠক এর ছবি

সঠিক বলেছেন । বাংলাদেশে মেধার দরকার নাই, কামলা র দরকার । মেধাবী (so said) অভাগাদের আশ্রয় বুয়েট বন্ধ করে কামলা বানানোর প্রতিষ্ঠান করলে লাভ বেশি ।
বুয়েট এ যা হচ্ছে , এতে অধিকাংশ ছাএর কিছুই করার নাই । বুয়েট এ আরও বেশি দেশ এর অবস্থার প্রতিফলন । আমরা মনে হয় বুয়েট কে দেশ এর থেকে বেশি ভালবাসি, বুয়েট এর জন্য লজ্জা লাগে, দেশ এর জন্য লজ্জা লাগে না ।

অতিথি লেখক এর ছবি

তা, আপ্নে দেশে থাইক্যা কি বালখানা ফালাইলেন সেইট্যা জানবার মন চায়

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

গালি দিয়ে নিজেকে একই কাতারে নামিয়ে না নিয়ে যুক্তি দিয়ে ইস্যুটা হ্যান্ডেল করা জরুরী। এই মন্তব্যকারী মুখ ফুটে যেটা বলেছেন সেটা হয়ত অনেকের মনেই আছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমরা বাংগালীরা এমন একখান জাতি, আরেকজনের পাঁছায় আঙ্গুল না দিয়া থাকতে পারি না, সেটা আপ্নে আরেকবার প্রমান করায়ে দিলেন

পাগল মন এর ছবি

বাংলাদেশের জন্য বুয়েট এখন আর কোন দরকারী প্রতিষ্ঠান না।

বাংলাদেশের জন্য তাহলে দরকারী প্রতিষ্ঠান কোনটি, প্রাইভেট বিশ্ববিদ‌্যালয়?

বুয়েট বাংলাদেশকে কি দিয়েছে?

সেটা ঠিকমত স্টাডি করেন পেয়ে যাবেন।

বুয়েটের সব শালারাই হিপোক্রেট, মুখে এক কথা, মনে অন্য কথা।

এরকম জেনেরালাইজড একটি মন্তব্য কীভাবে মডারেশন পার হয়, সেটা জানতে চাচ্ছি।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

অমিত এর ছবি

"বাংলাদেশের জন্য তাহলে দরকারী প্রতিষ্ঠান কোনটি, প্রাইভেট বিশ্ববিদ‌্যালয়?"

এই বাের তর্ক শুরু না করার জন্য অনুরোধ করছি।

পাগল মন এর ছবি

বাংলাদেশের জন্য তাহলে দরকারী প্রতিষ্ঠান কোনটি, প্রাইভেট বিশ্ববিদ‌্যালয়?

এই লাইনটির জন্য দুঃখিত আমিও এটা নিয়ে কোন তর্কে যেতে চাচ্ছি না। কেউ আমার মন্তব্যে কষ্ট পেলে ক্ষমাপ্রার্থী।
মন্তব্যটা এডিট করতে পারছি না, নাহলে মুছে দিতাম। আবারো বলছি এরকম একটা মন্তব্য করা আমার একদমই উচিত হয়নি আমার যাস্ট তখন প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হয়েছিল বলে এরকম একটা উল্টাপাল্টা মন্তব্য করে বসেছি, আমি কাউকে কষ্ট দিতে চাইনি।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

হিমু এর ছবি

মনের কথাটা বলেছেন ভাইটু। সরকারের উচিত বুয়েট বন্ধ করে দিয়ে ওখানে একটা ভাতের হোটেল খুলে আপনাকে ক্যাশে বসিয়ে দেয়া। এতে করে দেশের টাকা বাঁচবে, অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।

সাইদ এর ছবি

ভাই কি ছাত্রলীগ নেতা নাকি??

স্বাধীন এর ছবি

বুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনা শুনেছি, অন্য ব্লগেও লেখা দেখেছি এবং পত্রিকাতেও দেখেছি , । দলীয় রাজনীতির এই আগ্রাসান যেভাবে ছাত্র এবং শিক্ষকদেরকে গ্রাস করছে তা দেখে একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে চরম হতাশা বোধ করছি।

এই লেখাটিতে গল্পের ছলে সাধারণ ছাত্রদের যে একটি চিত্র ফুঁটে উঠেছে সেটাও কিন্তু হতাশার। সাধারণ ছাত্ররা যদি একতাবদ্ধ হয় এই দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে তবে কিন্তু পরিস্থিতি ভিন্ন হতে বাধ্য। পত্রিকার খবর অনুসারে দেখা যাচ্ছে সাধারণ শিক্ষকেরা প্রশাসনের এই দলীয়করণের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হয়েছেন। সাধারণ ছাত্রদেরও উচিত দলীয় ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে এক হওয়া।

নোটঃ উপরে এক অতিথির করা মন্তব্যটি মুছে দিলে ভালো হয়। এই মন্তব্য আলোচনাকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য করা হয়েছে এবং আমার মতে সেটি বেশ কার্যকর হয়েছে। এই আলোচনা অন্য সময়ে করা যাবে। আপাতত বুয়েটের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হোক।

সাইদ এর ছবি

বুয়েট বাংলাদেশের একটি সম্পদ। এই একটা প্রতিষ্ঠান নিয়ে আমরা বাইরে যারা থাকি তারা অনেক গর্ব করে থাকি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এখানেও নোংরা বিষয়গুলো শুরু হল। একজন সাধারণ বাংলাদেশি হিসেবে চাইব বুয়েট তার সুনাম এবং ঐতিহ্য ধরে রাখুক।
@পাগল মনঃ আপনি

বাংলাদেশের জন্য তাহলে দরকারী প্রতিষ্ঠান কোনটি, প্রাইভেট বিশ্ববিদ‌্যালয়?

এই অপ্রাসংগিক মন্তব্য করে অবস্থা অন্য দিকে মোড় নেয়ার অজুহাত তৈরি করে দিচ্ছেন।

সাইদ এর ছবি

আমার এই

ভাই কি ছাত্রলীগ নেতা নাকি??

মন্তব্যটি ৬ নম্বর মন্তব্যের জবাবে করা।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

শুধু বুয়েটই নয়, বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরও একই অবস্থা। প্রায় সবগুলোই বিকৃত কুৎসিত ছাত্র রাজনীতির শিকার।

অতিথি লেখক এর ছবি

বুয়েটিয়ান দের অনুরোধ করব একটি বিচ্ছিন্ন মন্তব্যের কারনে মূল আলোচনা থেকে সরে যাবেন না । এরকম মন্তব্য (৬ নম্বর) উপেক্ষা করুন।
বুয়েটের ছাত্রদের ভূমিকা শুধু উদ্বেগজনক না কিছুটা লজ্জাজনকও । তবে বাস্তবতাও বুঝতে হবে । ছাত্রদের কোন সাধারন সংগঠন নেই । ছাত্রলীগের বাইরে একমাত্র ছাত্র সংগঠন ছিল ছাত্র ফ্রন্ট , যারা এখন নিজেদের জীবনের ভয়ে ক্যাম্পাসের বাইরে । এর আগে সাধারন ছাত্রদের আন্দোলন গুলোতে নামে বেনামে প্রত্যক্ষ পরোক্ষ ভাবে ফ্রন্টের অনেক ভূমিকা ছিল, এইটা কারো পক্ষেই অস্বীকার করা সম্ভব নয় । এখন প্রশ্ন হল ফ্রন্টের অবর্তমানে কারা এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নামবে ? আর প্রশাসন পুরোপুরিই ওদের কথামত চলে । আজকে যদি আমি প্রতিবাদ করতে গিয়ে মার খাই আমাকেই বলবে উস্কানিদাতা ।

অতিথি লেখক এর ছবি

ছাত্রলীগ যে গৌতম দা কে পিটিয়েছে শুধু তাই নয় তারা এই কথা গর্ব করে সব জায়গায় বলে বেড়াচ্ছে এবং সবাইকে হুমকি ধামকির উপর রাখসে। কিছু ফেসবুক ক্লিপিং দিলাম , আশা করি কি কারনে সাধারন ছাত্ররা অসহায় সবাই একটু বুঝতে পারবে





একজন পাঠক এর ছবি

৭ নং কমেন্টের জবাবে :
ব্রেন ড্রেন নিয়ে একটা কথা বলার ছিল --- দেশে আপনি ৮ হাজার টাকা বেতনের চাকরি পাচ্ছেন বলে বিদেশে মাস্টার্স এর ফান্ডিং এর লোভে পরে চলে গেলেন --- তাহলে আপনারে পড়ানোর জন্য যে সরকারী ভর্তুকি খরচ হলো তার কি প্রতিদান আপনি দিলেন? আগে চিন্তা করেন আপনি আপনার buet কে বা দেশ কে কি দিলেন তারপর এমন বড় গলায় বলেন যে --- আপনার মত মেধাবীকে দেশ কি মূল্যায়ন করলো !!

আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো :: এরকম লোকদের দেশের বাইরেই থাকা ভালো -- দেশে থাকলে দেশের কর্মক্ষেত্রে এরকম স্বার্থপরতার নজির গড়ে তুলতেন!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপনার জবাবে আপাতত কিছু বলছি না। এই পোস্টের আলোচনা প্রাসঙ্গিক রাখা জরুরী। এ বিষয়ে পরে কথা হবে আপনার সাথে। ধন্যবাদ।

বিদ্রোহীবালক এর ছবি

চাইলে প্রতিদান বাহিরে থেকেও দেয়া যায়। দেশে ফিরে যাবার পরও দেয়া জায়।দেশপ্রেম শুধু দেশে থাকলেই হয় না। যারা দেশ থেকে পয়সা পাচার করে দিচ্ছে তার সমতা এর জন্য দেশ এর বাহিরে থাকার যৌক্তিকতা আছে।আরো অনেক যুক্তি আছে বাহিরে থেকে দেশ এর সেবা করার।মনের মাঝে যাদের দেশকে ধর্ষণ করার ইচ্ছা তাদের শাস্তি দেবার জন্য উপায় খুজেন। বুয়েট এর চিন্তা বাদ দিয়ে বিগার পিকচার দেখেন। আপনার মত চিন্তা করলে ঠগ বাছতে গা উজার হএ যাবে।

ইঁচড়েপাকা  এর ছবি

ছাত্রলীগের অপকর্মের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়ে, ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে হেনস্তা হবার উদাহরণও আছে ।
আর লেখক ভাই :শুধু VC.DSW, আর pro-VC কেন campus ছাত্রলীগ কর্মীদের অন্যতম protector ও বর্তমানে BUET ছাত্রদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের sponsor যোগানদাতা civil এর জনাব মুনাজ স্যারের নাম ভুলে গেলেন কিভাবে আপনি??

একজন পাঠক এর ছবি

post টা facebook এ আমার এক classmate এর,
"mitsubishi electromech a 2 ta written and 2 ta viva newar pore aj bollo salary 14000 and 3 yrs agreement , trainee period 1 yrs"

ভাই, ঢাকা শহরে driver এর বেতন ও দশ হা‌জার টাকা।

একজন ছাত্র এর ছবি

মুক্তমনা আর সচলায়তন এ ব্লগ দুটোই সবচেয়ে নিয়মিত পড়ি। প্রতিদিন অন্তত একবার করে সচলের পাতায় ঢু মারি,পছন্দের,কৌতুহলের কোন শিরোনাম দেখলেই পড়ে ফেলি,এই সচলের জন্য আমার পাঠ্যবই তার অগ্রধিকার অনেকদিন অনেকবার হারিয়ে ফেলেছে। ভালো লাগে পড়তে,তার সাম্প্রতিক বিষয়ের অবতারণা,কিছু বিষয়ের প্রতিবাদ প্রচারণা,গুরুগম্ভীর আলোচনা,জীবনচরিতের হাস্যরসবোধ,কবিতার বিশ্লেষন,জীবনবোধ আর ব্যক্তিদর্শনকে ছোটগল্প, প্রেম আর কবিতার মধ্যদিয়ে টেনে হিঁচড়ে তুলে এনে একটা প্রাণবন্ত ব্লগআড্ডা,তর্ক আর চিন্তার আদান প্রদান এর মাধ্যম করে তোলার প্রয়াসটাকে খুব ভালো লাগে।
সবচেয়ে ভালো লাগে সচলদের শব্দচয়ন (ব্যকরনগত যোগ্যতা অর্থে নয়, শালীনতা এবং সুপাঠ্যতার অর্থে )।
আমি কয়েকটি ব্লগে দেখি তারা যাচ্ছেতাই বিষয় নিয়ে লেখালাখি করে; হুজুগে তাল তোলে এবং সবচেয়ে খারাপ লাগে, তাদের মন্তব্যকারীদের মন্তব্যের শব্দচয়ন দেখে। তারা বিষয়ের গুরুত্ব বাদ দিয়ে ব্যক্তিকে আক্রমণ শুরু করে,কথায় কথায় আবেগীয় কুরুচিপূর্ন বাক্যের ছড়াছড়িতে যা দাঁড়ায় তাকে আমি ব্লগআড্ডা বলতে পারি না।

বুয়েটের সব শালারাই হিপোক্রেট, মুখে এক কথা, মনে অন্য কথা।

একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সকল ছাত্রছাত্রী কখনোই খারাপ না,সে প্রতিষ্ঠান যেমনই হোক,এটা আমরা সবাই জানি।তারপরও এ ধরনের ব্যক্তি আক্রোশ বা ক্ষোভ থাকতেই পারে। তিনি পোষ্টার সাঁটিয়ে, চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে,সামুদের ব্লগে প্রচার করতেই পারেন। কিন্তু এধরনের লেখার বিষয়বস্তুর সাথে এই ধরনের মন্তব্য সচলের পাতায় আশা করিনা।

আমি নিজেও একজন বুয়েটিয়ান।এখানে কেউ কেউ খুব সিরিয়াসলি ক্লাশ করে,মনযোগের ১০০% দিয়ে চিন্তায় অস্থির হয় তার টার্মের রেজাল্ট নিয়ে,১ম বিশ্বের একটা ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তির আশায় বুয়েটকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে পিছপা হয়না,তাদের কথা শুনলে মনেই হয়না তারা সমস্যাজর্জরিত এই বাঙলাদেশে জন্মেছিল। কেঊবা সারারাত মুভি দেখে,আড্ডাদিয়ে,দুরালাপনে ব্যস্ত সময় কাটিয়ে ঘুম আমার যায় যায়না করতে করতে কোনমতে ক্লাশে যায়,অনেকে ক্লাশরুমটাকেই ভাবে এটাই বুঝি তার পড়ার টেবিল একটু ঘুমালে বা ক্ষতি কি?এখানে কেউ কেউ সারাদিন রাত থিসিস পেপারের লিঙ্ক খোঁজে,পড়ে আর পড়ে একটা একটা মৌলিক বিষয়ের আশায়।এখানে কেউ নিজ উদ্যোগে প্রোজেক্ট আর প্রবলেম সলভে ব্যস্ত থাকে। কেউ আঁতলামি বাতলামি কোন কাতারেই যোগ দিতে পারেনি বলে বিষন্ন উদাসীনতা নিয়ে পথ চলে। এখানে অনেকের চোখে স্বপ্নের তারা জলজল করে,এখানে অনেকেই খুব হ-তা-শ,অনেকে কেমন জানি উদাস।এসবকিছুর বাইরে আরো এক প্রকার কারা যেন আছে,তাদেরকে অনেকেই ভয় পায়,স্যারেরাও মনে হয় ওদেরকে ভয় পায়,আমিও ভয় পায়,খুব ভয় পায়।
শুধু এইটুকু বুঝতে পারি অনেকেই চাপা ক্ষোভ নিয়ে ক্লাশ করে,পরীক্ষা দেয়,অসহায়ের মত চেয়ে চেয়ে দেখে তার সময়গুলো চলে যাচ্ছে,পঙ্গুর মত ন্যায় অন্যায়গুলো নিয়ে ভাবতে থাকে। কিচ্ছু করতে পারে না,কিচ্ছু বলতে পারে না,করতে ভয় পায়,বলতে ভয় পায়। ভুল করে কিছু বলে ফেললে পায়ের নিচে ভুমিকম্প হতে থাকে, চারিদিকে তাকিয়ে দেখে এখনও আহসানউল্লাহ হল ঠিক আছে, তিতুমীর হল ঠিক আছে, শহীদ মিনারটাও ঠিক আছে, ই.এম.ই. ভবনটাও ঠিক আছে। তবু আমি অনুভব করতে থাকি ভুমিকম্প শুরু হয়ে গেছে, এ ভুমিকম্প না থামাতে পারলে বুয়েট জাপান হয়ে যাবে, প্রিয় আহসানউল্লাহ হল ভেঙ্গে যাবে, তিতুমীর হলটাও, ই.এম.ই. ভবনটাও ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে, কিছু মানুষের গবেষণা করা তথ্য উপাত্তগুলো হারিয়ে গিয়ে সব বুয়েট থেকে বিদেশ চলে যাবে, শহীদ মিনার আর সাদা কালো থাকবে না, হাস্যকর ওভারব্রীজটাও থাকবে না, শুধু সনি আপুর জন্য নির্মিত স্মৃতিসৌধটি থেকে যাবে। ওটি থেকে যাবে আর অনেক দিন পর কোন এক জেদী প্রশ্ন করে বসবে কি হয়েছিল বুয়েটের? বুয়েট কেমন ছিল??যেমন আমরা করি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড দেখতে কেমন ছিল??

একজন পাঠক এর ছবি

কয়েকজন মহান ছাত্রঃ
ফায়রুজ সিভিল ০৬:

রনক সিএসই ০৪:

ওয়ালি ইইই ০৭:

বুয়েট অ্যালামনাইদের এইসব শুয়োরদের চিনে রাখা জরুরি।

অতিথি লেখক এর ছবি

ওয়ালি ইইই ০৫। ইইই ০৭ নয়

বুয়েট অ্যালামনাই এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদের বড় ভাইয়েরা মুকী ও টগরকে বুয়েট থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছিল । আমরা কি কিছুই করতে পারব না মন খারাপ
অ্যালামনাইদের কি কিছু করা সুযোগ আছে ? পারলে আপনারা এগিয়ে আসুন। বুয়েট কে নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচাই সবাই মিলে । মন খারাপ

অনিচ্ছুক  এর ছবি

আমি বুয়েটে ভর্তি হবার পরে সনি আপুর নিহত হবার সময়ে বুয়েটের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারি। তখন মুকি যেভাবে সন্ত্রাসি কর্মকান্ড শুরু করেছিল, একই ভাবে এখন বুয়েটে লীগ সেইভাবেই কাজ কর্ম শুরু করেছে। তখন কার মত আজও বুয়েটকে আরেক জন সনি আপুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আমার মনে হয় প্রসঙ্গটা ‌ছিল বুয়েটে ‌ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব। জনৈক একজন পাঠক সাহেব সেই প্রসঙ্গ থেকে বুয়েটের দরকার আছে না নাই টাইপ ফালতু আলাপের সূচনা করেছেন। ঐ প্রসঙ্গটা আর আলোচনা না হোক।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ছাত্রলীগ আর বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে ছাত্রদল যেই লুম্পেন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে আমার ব্যক্তিগত মতে এর বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধের কোন বিকল্প নাই। এই প্রতিরোধপর্ব কবে শেষ হবে জানিনা। তবে প্রতিরোধের বিকল্পহীনতার ব্যাপারে নি:সন্দেহ।

স্বাধীন এর ছবি

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ছাত্রলীগ আর বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে ছাত্রদল যেই লুম্পেন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে আমার ব্যক্তিগত মতে এর বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধের কোন বিকল্প নাই। এই প্রতিরোধপর্ব কবে শেষ হবে জানিনা। তবে প্রতিরোধের বিকল্পহীনতার ব্যাপারে নি:সন্দেহ।

চলুক

পথিক... এর ছবি

বুয়েটের বাঁধনও লীগের তাণ্ডব থেকে রেহাই পায় নাই। বাঁধন এর নেতৃত্ব দিচ্ছে এখন ছাত্রলীগ। বাঁধনকে বলা হতো অরাজনৈতক সংগঠন। বাঁধন এর সভায় প্রকাশ্যে নাকি বলা হইছে যে, "রাজনীতি কি খারাপ ? রাজনীতি থাকলে সমস্যা কোথায় ?"

একজন পাঠক এর ছবি

অল্প কথায় বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ।

উদাসী বুয়েটিয়ান এর ছবি

বাঁধন এর নেতৃত্ব দিচ্ছে এখন ছাত্রলীগ। বাঁধনকে বলা হতো অরাজনৈতক সংগঠন। বাঁধন এর সভায় প্রকাশ্যে নাকি বলা হইছে যে, "রাজনীতি কি খারাপ ? রাজনীতি থাকলে সমস্যা কোথায় ?"

বাঁধন এখনও পর্যন্ত অরাজনৈতিক এবং বাঁধন বুয়েট জোনের কর্মী-সমর্থক,অনেক রক্তদাতা এবং সিনিয়র ভাইয়েরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করে যাচ্ছে একে রাজনৈতিক কলুষমুক্ত রাখার। সম্প্রতি মুনাজ আহমেদ নুর স্যার; বুয়েট কর্তৃক নির্ধারিত বাঁধনের নতুন মডারেটর, বাঁধনের বার্ষিক অনুষ্ঠানে এসে
"বাঁধন একটি অরাজনৈতিক সংগঠন"
এই বাক্যের প্রতি তার আপত্তি জানিয়ে তিনি বলেন, "রাজনীতি থাকলে ক্ষতি কি? রাজনীতি কি খারাপ?রাজনৈতিক সংগঠন মাত্রই কি খারাপ?"
পরবর্তীতে এই ধরনের বাক্য যেন ব্যবহার না করা হয় সেদিকেও তিনি ইঙ্গিত করেন।
সেদিন স্যারের এই প্রশ্ন গুলোর অনেক উত্তর মাথায় এসেছিল,সবগুলোই হয়তবা অথিতিদের কারোই পছন্দ হত না। উত্তর গুলো জোর গলায় বলতে খুব ইচ্ছে হয়েছিল। বলতে পারিনি, কষ্ট নিয়ে চেপে গেছি। এ উত্তরগুলো আমরা সবাই কি কমবেশী জানিনা?জানি তবু এড়িয়ে যাই।এদেরকে কি উত্তর দেয়া যায় বলতে পারেন? বলতে পারেন কেন আমরা এড়িয়ে যাচ্ছি?

নীল রোদ্দুর এর ছবি

সম্প্রতি মুনাজ আহমেদ নুর স্যার; বুয়েট কর্তৃক নির্ধারিত বাঁধনের নতুন মডারেটর, বাঁধনের বার্ষিক অনুষ্ঠানে এসে
"বাঁধন একটি অরাজনৈতিক সংগঠন"
এই বাক্যের প্রতি তার আপত্তি জানিয়ে তিনি বলেন, "রাজনীতি থাকলে ক্ষতি কি? রাজনীতি কি খারাপ?রাজনৈতিক সংগঠন মাত্রই কি খারাপ?"
পরবর্তীতে এই ধরনের বাক্য যেন ব্যবহার না করা হয় সেদিকেও তিনি ইঙ্গিত করেন।
সেদিন স্যারের এই প্রশ্ন গুলোর অনেক উত্তর মাথায় এসেছিল,সবগুলোই হয়তবা অথিতিদের কারোই পছন্দ হত না। উত্তর গুলো জোর গলায় বলতে খুব ইচ্ছে হয়েছিল। বলতে পারিনি, কষ্ট নিয়ে চেপে গেছি। এ উত্তরগুলো আমরা সবাই কি কমবেশী জানিনা?জানি তবু এড়িয়ে যাই।এদেরকে কি উত্তর দেয়া যায় বলতে পারেন? বলতে পারেন কেন আমরা এড়িয়ে যাচ্ছি?

ভাইয়া, বাঁধন, বুয়েট জোনের একজন সিনিয়র কর্মী এবং উপদেষ্টা হিসেবে এইটুকু বলতে পারি, মুনাজ স্যারের বাঁধনে রাজনীতি প্রবেশ করানোর ইচ্ছা থাকলেও তিনি পারবেন না। কারণ,

১. স্যার ভাবতে পারেন, বাঁধনের মত একটা স্বেচ্ছাসেবী, জনপ্রিয় সংগঠনে তিনি রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটাতে পারলে উনার রাজনৈতিক সুনাম বাড়বে, কিন্তু তিনি কোন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীকে গুন্ডামি বাদ দিয়ে ছেঁড়া স্যান্ডেল পায়ে যে বিপদাপন্ন মানুষটা তার স্বজনের জন্য রক্তের খোঁজে আসে, তার জন্য রক্ত যোগাড় করে দেবার কাজ করাতে পারবেন না। যদি পারতেন, তাহলে আমরাও বাঁধন কে রাজনীতি মুক্ত রাখার জন্য চেষ্টা করে যেতাম না। ছাত্রদল, ছাত্রলীগের ছেলেরা এইখানে কি হচ্ছে দেখার জন্য ঢুঁ মারতে পারে, কিন্তু নেতৃত্ব, আর্থিক ফায়দা এইগুলো বাদ দিয়ে রক্ত সংগ্রহের কাজ করার মানসিকতা দেখাতে পারলে আমরা তাদের স্বাগত জানাবো, নাহলে নয়।

২. বাঁধনের মডারেটর কে হবেন, সেটা নির্ধারণ করে বুয়েট প্রসাশন, কিন্তু বাঁধন কিভাবে চলবে, কারা এর নেতৃত্ব দেবে তা নির্ধারণ করে সংগঠনের সংবিধান এবং বাঁধনের আন্তরিক কর্মীরা। বাকিরা আসলে বহিরাগত এবং অতিথি। এই কথা কাউকে বুঝিয়ে দেবার প্রয়োজন হয় না। আমরা কারোর সাথেই কখনোই বিরোধে যাবো না, কেবল নীরবে আমাদের কাজ করে যাব। রক্তের প্রয়োজন হলে মানুষ তাদের কাছেই যাবে, যারা সত্যিই তাদের পাশে দাঁড়াবে, অন্য কোথাও না।

হাসি

-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়

একজন নির্বাক দর্শক এর ছবি

আরও চিনুন


বন্ধন(০৭)

[img]http://a7.sphotos.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-ash1
/166116_143828702338256_100001333828333_199242_3820683_n.jpg[/img]
রাফি(০৬)


মম(০৭)

অতিথি লেখক এর ছবি

হতাশ মন খারাপ

মীর তাজবিনূর শরীফ

অমিত আহমেদ এর ছবি

কী আর বলবো!

একজন পাঠক এর ছবি

ভাইরে,কি আর বলব!!! এখন এমন কোন জায়গা নাই,না বুয়েট,না মেডিক্যাল,যেখানে রাজনীতি নাই!!! আমার ছোট বোনকে বুয়েটে পড়ার ব্যপারে নানাভাবে উৎসাহ দেই। কিন্তু এই যদি হয় অবস্থা!!!

একজন BUETian এর ছবি

আমি এইখানে কিছু কথা না বলে পারলাম না। বাংলাদেশের সব ইউনিভার্সিটি তে রাজনীতি আছে। বুয়েটে ও আছে। কিন্তু কতুটুকু আছে। অনান্ন ইউনিভার্সিটি তে মানুষ মাইরা ফেললেও কন সারা শব্দ হই না। আর বুয়েটে এ আহত করলেও তা নিএ তোলপাড় হয়ে যায়। এই তা নিএ হইচই হয়। বুয়েট এক্ টা সেন্সিতটি জায়গা।বাংলাদেশের বুয়েট এক্মাত্র ইউনিভার্সিটি যেখানে ২৪ ঘন্তা ইলেক্ট্রিসিটি থাকে। পানি থাকে। অনান্ন ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি তে কারেন্ট এর অভাবে ল্যাব করতে পারে নাই এরকম নজির আসে। একবার পানির অভাবে বুয়েট এর আশে পাশে র জাইগা থেকে বুয়েট পানি নিতে লকজন দল বেধে আশ্ছিল এরকম নজির আসে। বুয়েট কেন ২৪ ঘন্তা ইলেক্ট্রিসিটি থাকে তাদের কেন থাকে না সেই টা নিএ আন্দলন হইসিল DMC থেকে। মেডিকেল এ ভরতি পরীক্ষয়া নিএ জালিয়াতি হয়ার পর তারা বুয়েট এ আশ্ছিল এবং চাইসিল বুয়েট এর মত এক্সাম সিস্টেম করতে। এই ইলেক্ট্রিসিটি পানির সুবিধা সরকার করে দেয় নাই। বুয়েট এর স্যার রা বুয়েট এর বাজেট থেকে এই সিস্টেম করে নিসেন। কাজেই বুয়েট এর স্যার রা খারাপ হইলেও বাংলাদেশের অন্নান্ন ইউনিভার্সিটি চাইতে ভাল। বাংলাদেশ গরিব দেশ। এইখানে রিসার্চ এর জন্য যে পরিমান টকা পয়শা লাগে তা এই দেশের ইউনিভার্সিটি গুলার নাই। তারপর ও বাংলাদেশ যা রিসার্চ হয়ই তা বুয়েট এই হয়ই। বুয়েট এর পোলা পান রা দেশে থাকে না বাইরে যায়। বাইরে তারা আপ্নারা দেশে থাইকা যে কাজ করেন তার চাইতে বেশি কাজ করে দেশের জন্য, এটা নিশচিত থাকেন। তারা world er এর সবচেয়ে বড় skycraper ডিজাইন করসে। তাদের ডিজাইন করা system NASA te চলে। intel অ্যান্ড nasa বুয়েট দিয়া ভরা। আপনি যে core 2 duo কম্পিউটার দিয়া এই ব্লগে লিখতেসেন সেইটার core চালানর অন্যতম থিওরি ডিজাইন করসে বুয়েটিয়ান। বুয়েটিয়ান রা বাইরেরে ইউনিভার্সিটি তে পড়ান। তাদের কাছ থেকে নর্থ আমেরিকান যাদের আপ্নারা রিসার্চ করে বলে জানেন তারা রিসার্চ শেখে। MIT হক আর Berkely হোক কিছু কিছু সাবজেক্ট আসে যা পড়তে হইলে বুয়েটিয়ান এর লেখা বই টেক্সট বই হিশেবে তাদের পরতে হবেই। এগুলা আমার নিজের চখে দাখা জিনিশ। বাংলাদেশের বেশিরভাগ ইউনিভার্সিটি র লাইব্রেরি তে বই এর সংখা কম। তারপর ও বুয়েট এর লাইব্রেরি সমৄদ্ধ। আপ্নারা দেশে থাইকা কি করসেন। বুয়েট এর ১০ টা পলা বাইরে গালে যে এক্তা যে দেশে থাকে সেই টাই energypac এর মত world class কম্পানি তইরি করে। আপ্নারা দেশে থেকে চাকরি করছেন আয় করছেন । সেই হিশাব করলেও তারা আপনার চাইতে বেশি রেভেনুএ দেশ রে দিসে। স তি কথা বলতে বুয়েট তেমন কোন ততপর রাজনিতি নাই। student দের ৯৯% রাই কোন ধরনের রাজনিতির শাথে জুক্ত না এবং তারা ধালাও ভাবে ভাল-খারাপ যেকন ধরনের রাজনৈতিক করমকান্দের সমুলে উতপাটন চায়। তাদের এই সব নিয়া ছিন্তা করার ও সমই নাই। পড়ে, ল্যাব করে, report লেখে আর তার মাজখানে জততুকু recreation করা সমভব করে। এই জন্য BNP, AL ba front জেই হক বুয়েটে খুব একটা সুবিধা করতে পারে নাই। বুয়েট পলাপান্দের এই বাল সাল রাজনিতি নিয়া চিন্তা করার ও স ময় নাই। তাই নি্দৄ ষট কোন দল নাই। যখন যে দল ক্ষমতায় আশে সেই দল হম্ভি তম্ভি দেখায়। তাই বুয়েট এর মেন সমস্যা হইল যততুকু রাজনিতি আসে সেইটা। বুয়েট এর সংবিধানে পরিশকার ভাবে বুয়েট কাম্পাসে স্টাফ, শিক্ষক, ছাত্র দের মাঝে যে কোন ধরনের রাজনইতিক কমকাণ্ড নিসিদ‌ধ যা আমার মতে অন্য কোন ইউনিভার্সিটি র সংবিধানে নাই। তাই বুয়েটে যদি পুরাপুরি রাজনিতি নিসিদ‌ধ করা হয় তাহলে রাতারাতি বুয়েট এর এই সব সমস্যা উবে যাবে। এর শাথে রনক স হ আর ও কয়েক টা শুঅরের বাচচা যাদের কে উপরে চিহ্নিত করা হইসে আর DSW ছাগলদারে (আমি যখন ছিলাম তখন এক্ টা সাগল সিল, মাঝখানে ভাল স্যার আশ্ছিল, এখনা আবার সাগল আশ্ছে কিনা জানি না) বার করে দেয়া যায় that’s enough. আপনা রা হয়তো অনেকে বলবেন ধালাও ভাবে রাজনিতি নিসিদ‌ধ না করতে। ভাই কোন সিস্টেম perfect না। বুয়েট ছোটখাটো সমস্যা যা আসে তার জন্য কোন রাজনিতি বা student politician er দরকার নাই। student সমস্যা শমাধানের জন্য student ইউনিয়ন থাকে যা বাইরের ইউনিভার্সিটি গুলতেও থাকে যে টা সব ধরনের পলিটিকাল activities থেকে ফ্রী বা কোন নামধারি পার্টি হএ কাজ করে না। তাই অনান্ন ইউনিভার্সিটি যদি চায় student politics থাকুক but from 99% buetian wants no politics in BUET campus. ভাই সাথ‌রথপরের মত শুনাইতেসে। কিন্তু কিছু করার নাই। বুয়েট এ এক্তা ভাল জিনিশ establish করা যত সহজ অ্যান্ড জত তারাতারি সমভব অন্ন জায় গায় সেটা হবে না। after all বাংলাদেশের নরমাল পচনশিল কারেন্ট এর বিরুদ্ধে আমরা এত দিন ধইরা টিকা আসি এবং সাতার কাটতেসি। আর মনে রাইখেন বুয়েট বাংলাদেশের জন্য কি করসে এই টা কোন দিন বইলা শেশ করা যাবে না। বুয়েট গ্রামেরের স্কুলে র এক টা ছেলেরে উথানর শাথে শাথে ওর ফুল্ গরিব পরবার এ উঠায় আনসে। এবং এরকম শত শত পরিবার কে। এই খানে একজন এক্তা কথা বলসে বুয়েট কে মনে হয় বাংলাদেশের চাইতে ও বেশি ভালবাসি। মনে হয় না। আশলেই ভালবাসি। and truly to say BUET in more powerful and popular even than Bangladesh in some cases. এখন হইত cricket আশ্ছে। কিন্তু এরকম হইছে বুয়েট কে দিয়া বাংলাদেশ কে চিনসে। বুয়েট এর grduate কে দেখা বিশ্বাশ্ করে নাই বাংলাদেশে নিরক্ষরতার হার এত কম। by the way BUET undergrad study system পৃথ্বী র অনেক ইউনিভার্সিটি র undergrad system থেকে ভাল। কাজেই আমার কথা হচ্ছে খালাখালি নপুংশকের মত হা হুতাশ আর বদনাম না করে সমস্যর সমাধান বের করেন। আমার কাসে যেটা এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে এবং সবসময়ই মনে হয় ban student politics from BUET. বুয়েট থেকে শুরু হক অভ্যুত্থান...।। http://www.facebook.com/nopoliticsinBUET

একজন পাঠক এর ছবি

আপনার মন্তব্যের সাথে পুরোপুরি একমত হতে পারলাম না। সম্ভবত এ কারণেই পারছি না কারণ আমি ব্যক্তিগতভাবে ছাত্র ফ্রন্ট কর্মীদের চিনি। বিশেষ করে গৌতমদাকে চেনে না বুয়েটের হলে এমন ছাত্র কম পাওয়া যাবে বলে আমার ধারণা। আর এনারা কি ধরণের চিন্তা-চেতনা থেকে রাজনীতি করেন তা যদি কারো জানা থাকে তবে ছাত্ররাজনীতি সম্পর্কে তার ধারণাই পাল্টে যাওয়ার কথা, যেমন পাল্টেছে আমার। সরাসরি রাজনীতি না করলেও এবং একই আদর্শে বিশ্বাস না করেও নির্দ্বিধায় বলতে পারি ছাত্রফ্রন্টের রাজনীতি যদি ছাত্ররাজনীতি হয় তবে প্রতিটি ছাত্রের উচিৎ ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া। নিষ্ক্রিয়তা কখনোই সমাধান না। ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করলেই কি আপনার ধারণা এই রনক, মোকাম্মেল, রানা, লিমনরা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে? যদি তাই মনে করেন তবে আপনার বাস্তববুদ্ধি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। বুয়েটে যখন চাঁদাবাজি-দখলদারিত্বের স্বর্গরাজ্য তৈরি হতে যাচ্ছিল তখন তা ঠেকানোর কথা কি আপনার-আমার মতো তথাকথিত জেনারেলদের মাথায় এসেছিল? তা তো আসেনি! এসেছিল গৌতমদার মতো ঐ গুটিকয়েক ছাত্রফ্রন্ট কর্মীর মাথায়। শক্তি তাদের যাই হোক তারা কথা বলতে দু'দন্ড ভাবে নি। তার প্রতিক্রিয়ায় এমন পরিণতি হতে পারে তা কি তারা জানতো না? আর আমরা জেনারেলরা? তাকিয়ে দেখেছি! আর ইচ্ছে হলে দুটো সহমর্মীতার কথা মুখ দিয়ে বের করেছি তাও অধিকাংশ নির্বিকার থেকেছি।
সনি হত্যার পর শুনেছি পরদিন বুয়েটে ক্লাশও হয়েছে! কী নির্লজ্জতার প্রকাশ! এই ছাত্র ফ্রন্ট কর্মীরাই মাত্র ২২জন নিয়ে অনশন শুরু করে। আর সেই ২২জন একসময় হয়ে যায় হাজার হাজার ছাত্রের মিছিল!
আর আমরাই সেই মহাকৃতঘ্ন জেনারেল(!) যারা গৌতমদাকে চোখের সামনে রক্তাক্ত হতে দেখেও নির্বিকারচিত্তে ক্লাশ-পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছি।
এই যদি হয় অরাজনৈতিক নিরপেক্ষতা, তবে আমি একে ঘৃণার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করি!
আমি এখনও মনে করি ক্যাম্পাসে রাজনীতির নামে যে নৈরাজ্য-সন্ত্রাস চলছে, একে ঠেকানো যাবে একমাত্র এর বিকল্প একটি রাজনীতির শক্তিতে, আদর্শবাদের রাজনীতির শক্তিতে। যে আদর্শের দীপ্তি আমি গৌতমদার মধ্যে দেখেছি। আর জেনারেল? থাক....তাদের কথা নাই বা বললাম।

ফাহিম হাসান এর ছবি

তারপর ও বাংলাদেশ যা রিসার্চ হয়ই তা বুয়েট এই হয়ই।

জোশের চোটে বেশি হয়ে গেল না ভাই?

মোশাররফ হোসেন ... এর ছবি

স্বার্থপরতার কথা লিখতে বা বলতে একসময় শিক্ষিত মানুষেরা লজ্জা পেতো।
আইয়ুব খান যে অধ্যাদেশ দিয়ে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করেছিল তা দিয়ে বুয়েট চলছে। BUET এর আসবাবপত্রে এই সেদিনও EPUET লেখা ছিল যা পরিবর্তন করার দাবি করেছিল ছাত্র ফ্রন্ট; পরে সনি হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনের সময়ে '৬১র অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি ওঠে বুয়েটের সকল ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে।
অবাক করা যে বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকে না। অথচ Engineer হয়ে দেশে নানা সেক্টরে দুর্নীতিতে তারা যুক্ত হয়ে পড়েন। ছাত্রাবস্থায় অন্যায়ের সাথে আপোষ করে চলে ন্যায়ের জীবনযাপন করা অসম্ভব।
আর মূল রাজনৈতিক ধারার পরিবর্তনের সাথে ছাত্রদের যুক্ত রাখতে চায় ছাত্র ফ্রন্ট।
আইনস্টাইন বলেছিলেন একজন প্রশিক্ষিত কুকুর বা রোবট দিয়ে অনেক কাজ করানো যায়; কিন্তু মানুষকে মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন না হলে চলে না।
আমরা নিজেরা তত বড় মানুষ হতে পারছিনা কিন্তু যারা হতে চাইবে তাদের খাটো করে দেখতে পারি না। শেষ পর্যন্ত সবাই নাও পারতে পারে কিন্তু চেস্টা করাটাকে থামিয়ে দেয়া অনুচিত।
ছাত্র ফ্রন্ট সে লক্ষের কথাই বলে। কারো নির্দেশ মেনে কখনো সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ফলে রাজনীতি করার অধিকার বন্ধ হলেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছাত্ররা প্রতিবাদ ছাড়বেনা।

অছাত্র এর ছবি

ছাত্রলীগ নামধারীদের অপকর্ম বুয়েটেঃ
http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=10&id=154645&hb=1

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।