• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

বুয়েট নিয়ে কিছু কথা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৯/০৩/২০১১ - ৪:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বার বার ফোন বাজছে, কিন্তু কেউ ফোন ধরছে না।
অবশেষে ওপাশ থেকে সাড়া পাওয়া গেল।
"হ্যালো।"
"গৌতম'দা, আজকে কিন্তু আপনাকে মারতে পারে ওরা। তাড়াতাড়ি সরে পড়েন।হলে থাকবেন না।"
"কি করবে ওরা?করুক। আমি এখন ডাইনিং এ। খাওয়ার পরে কথা বলি।"
গৌতম খেতে বসে। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই___

"বাঁচাও, আমাকে মেরে ফেললো ।"

না, এমন কিছু বলে না গৌতম। বললেও খুব একটা লাভ হত না। বাসা থেকে আসার সময় তাদের সবাইকে শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে বিপদ থেকে দূরে থাকতে। রাজনীতি থেকে দূরে। অনেক দূরে।

আচ্ছা সনি'র মৃত্যুর পর কি তার বিচার চেয়েছিল তার বাবা-মা????চাইলে তা ঘোরতর অন্যায় হয়েছে। তারাই তো আমাদের শিখিয়েছে, নিজে বাঁচলে বাপের নাম???কে যাবে নিজেকে অন্যের জন্য বিলিয়ে দিতে?

কে জানতো গৌতমের ঐ খাওয়া আর হয়ে উঠবে না। অবশ্য আর কোন খাওয়াই হয়ে উঠতো না, যদি না রণক মিয়া এণ্ড গং তাকে মৃত ভেবে ফেলে না যেত।
কি আর করার মরে নাই যখন তখন হাসপাতালে নিতে তো হবে। হাসপাতালেও তো স্বাচীপ। বুঝতে হবে। এরপর লাগাও ফোন প্রভোস্টকে, ডিএসডাব্লিউ, আর ভিসিকে।

এইদফা তাদের বর্ণনা দেই। ইনাদের কোন একজনের সন্তান এই বৎসর কোন এক পরিষদ হইতে অষ্টম হইয়াছেন। তাহাকে শিক্ষক পদে নিয়োগ দান করিতে হইবে। অতএব
"আই ওয়েলকাম অল এইট অফ ইউ এজ লেকচারার অফ বুয়েট।"
কিন্তু এক্ষেত্রেও একটু বিধি বাম, বুয়েটের সব শিক্ষক তো আর ভিসি পুত্র নন, যে মেনে নিবেন।
তো যাই হোক, তারা এলেন ঘণ্টা দুয়েক পর। না,না তেনারা কিন্তু কুমিল্লা থেকে আসেন নাই, কিংবা টঙ্গী।
তেনারা এসেছেন মেডিক্যালের ঠিক উলটো পাশের বুয়েট কোয়াটার থেকে। বুঝতেই পারছেন, তেনারা কত ব্যস্ত। ঘর হতে দরজা সেতো শত সহস্র দূর।
এসেই শুরু করলেন,"কি মজা, কি মজা,আইছি সার্কাস দেখতে। ঐ দেখা যায় সার্কাস।"
এ যেন বান্দর নিজেরে টিভিতে দেখে বলে ওঠে,"এই যে হইতেছে সার্কাস।"

তারা সবাই তো আগের থেকেই তৈরি। "আল্যামনাই এর টাকা আমরাও কিছু খাই স্যার, আপনারা আর কত খাবেন?" এরপর আর তাদের কিইবা বলার থাকতে পারে। আর কত খাবে? নতুনদের না হয় একটু খেতে দিক।

আসলে কি দোষ ছিল গৌতমের? কি এমন করেছে সে? কি দোষ সেই ছেলের যে আগের দিন তাকে সিগারেট ধরিয়ে দিয়েছে। সেও খেয়েছে মাইর। ছেলেটা সেদিন দেখেছে হলে এক গাদা লোক থাকলেও আকাশ কিভাবে পরিষ্কার দেখা যায়।
নতুন ভবনের টেণ্ডারবাজি বন্ধ করবার চেষ্টা, কিউবি মডেম ব্যবহারের উপর চাঁদা আরোপ, আর ক্রেডিট কার্ড এর জন্য চাঁদা নেওয়া, মেসখরচের সাথে ছাত্রলীগের তহবিলের জন্য টাকা আদায় এগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলা;
পোস্টার টাঙ্গানো এই হল গৌতম।

হয়তো একটু ডায়েরীও লিখতো।

আসলেই কি লিখতো?

চুরি করা মালে সবাই পোদ্দারি করতে পারে। রণক করতেছে। ডায়েরী তো আর রণক ছাত্রলীগের হাতে দেয়নি। তারা চুরি করেছে। বেটার টু সে, মার খাবার পর গৌতমের রুম তছনছ করার সময় পাওয়া গেল ডায়েরী। গৌতমের ডায়েরী।

ছেলেটা রাজনীতিবিদ হয়ে উঠছে বটে। আওয়ামী লীগের নেতারা তাকে লুফে নিবে।
বাবা রণক, একটু ভেবে দেখো তো বাবা, শেষ কবে বুয়েটের কেউ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে প্রযুক্তি কোটা ছাড়া আর কোন কোটায় সুযোগ পেয়েছে????কোটা কিন্তু, স্বাভাবিক পোস্ট না।
নাকি সে হতে চায় লীগের তারেক জিয়া?কিন্তু এক টেণ্ডারে তারেক জিয়া হওয়া সম্ভব নয় রে বাছা, সম্ভব নয়।

কাহিনীটা শুনি ফোনে। ছোট ভাই বাসায় ফিরেছে। আমার বাবা-মা সবাই খুশি ছেলের কিছু হয়নি। ছেলে কোন কিছুতেই জড়ায়নি। মা-বাবার লক্ষী ছেলে।
ঢাকাইয়া পোলা হবার সুবাদে এবং বাপের টাকা থাকবার কারণে এখন থেকে সে দৈনিক গাড়িতে করে ক্লাসে যাবে। আব্বা নামিয়ে দেবে। গাড়ি নিয়ে আসবে। আহ কি নিশ্চিন্ত।

কিন্তু বাবা-মা খুশী হলেও আমি হলাম না। বাকি ছেলেগুলো কি করবে?????
কথা বললাম নিজের ভাই এর সাথে। কি হচ্ছে, কি হয়েছে রে?

সে যা শোনালো তা সমুদ্রের এক বালতি জল বটে। কিন্তু তবুও তা যথেষ্ট। বাকী সাগর পূরণ করলো আমার বন্ধুরা, পরিচিত শিক্ষক এবং ছোট ভাইয়ের বন্ধুরা।

রাজন, ফ্রণ্টের ছেলে। আমার ছোট ভাইয়ের ব্যাচ।টিউশনি করে , নিজের খরচ চালায়। রুমে কোন কম্পিউটার নাই। বুয়েট ছাত্রদের কাছে যেটা অকল্পনীয়। কোন তোশক নেই রুমে। আদর্শবাদী ছেলে।

ছেলেটা আজ অনেকদিন ধরে ক্লাসে যায়না, হলে যায় না। গিয়ে কি হব? ১০১২ যে আর ১০১২ নেই। সোহরাওয়ার্দী আর সোহরাওয়ার্দী নেই।

আমি ছিলাম ৩০৪ এ। খারাপই লাগে ভাবতে। করিডরে দাঁড়ালে সারা হলে কোথায় কি হচ্ছে সবই দেখা যায়, আর সেদিন গৌতমকে যেন কেউ দেখলো না।

মার্কেটের চাঁদা এখন যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি গুনতে হয়, ফটোকপির মামার ভয় পায়। লীগের ছেলেদের কাজ ফ্রি করতে হয়। গালিগালাজ তো ডেইলী বিষয়।
বছরখানেক আগেও দেশে ছিলাম। এখনও মনে আছে। সেদিন এই লীগের এক সুপুত্র মার খেয়েছিল বিশ্বকাপের সময়। সম্ভবত ফায়রুজ নাম, মুনাজ আহমেদ নূরের সুপুত্র, স্নেহধন্য। মুনাজও মাহশাল্লাহ, বাঘের বাচ্চা। বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী। একাধারে শিক্ষক, অভিনেতা, লীগাধিপতি ইন বুয়েট, টেকনো এবং লুচি। আমি তখন কাগজপত্র নিয়ে দৌড়াদৌড়িতে ব্যস্ত। এই ফায়রুজ সেদিন মার খেয়ে ল্যাংটা হয়ে ছিল, আর এই মামারাই সেদিন ওকে বাঁচাতে গিয়েছিল।
রাস্তার চাঁদাবাজি নিয়ে একবার কথা বলেছিলাম মুস্তাক এর সাথে। পলাশি গিয়ে যেকাউকে জিজ্ঞেস করেন মুস্তাকের দোকান কোনটা, দেখিয়ে দিবে।
পুলিশ নেয় ১০, লীগ ১০, মালিক সমিতি২০।
এই হল রাজনীতি।
বুয়েটে উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট থাকলেও হলগুলোতে তা প্রোভাইড করা হয় না। যেকারণে হলের ছেলেদের বাইরের প্রোভাইডারদের কাছ থেকে মাসিক ভিত্তিতে সঙ্গযোগ নিতে হয়।
তো লীগ বেশি না, ২০ টাকা হারে চাঁদা তুলছে কিউবি মডেম এর জন্য।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের জন্য ১০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে, নতুন বুথ হয়েছে বুয়েটে সেটার জন্য।
ভর্তির সময় ছাত্রলীগের তহবিলের নামে টাকা নেওয়া হয়েছে।
মেস আর ক্যাণ্টিন তো পুরনো জায়গা টাকা মারার। সেখানে তো তাদের অবাধ বিচরণ। তাদের পকেট ভারী হয়েছে, আর ছাত্রদের ডাল আরও পাতলা হয়েছে।
স্মৃতি ভবনের আশেপাশে খালি জায়গায় ভবন উঠবার কথা, সেটা নিয়েই শুরু হয়েছে টেণ্ডারবাজি।
আর পুরো বিষয়ে প্রতিবাদ করেছে গুটি কয়েক ছাত্র। গৌতম, রাজন আর কয়েকজন।
যেখানে গৌতমকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে গিয়ে মার খেতে হয়, সেখানে ব্যক্তি স্বাধীনতা কতটুকু আছে তা আমার জানা নেই।

ছাত্রলীগ নাকি পোস্টারিং করেছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গোউতম তার ডায়েরীর পাতায় কিছু লিখেছে।
এই এক যুক্তিতে ছাত্রলীগ তাকে পেটালো?????ভালো তো, বঙ্গবন্ধু তোমার নাম উজ্জ্বল হচ্ছে দিনে দিনে।

আসলে কি আর বলবো। এটা আমাদের দোষ। আমরাই ওদের বাড়তে দিয়েছি, আমাদের নীরবতাই ওদের শক্তি হয়েছে।
অনেক দূরে আছি, হয়তো তাই মনে হচ্ছে কিছু করা দরকার। বুয়েট যে দেশের জন্য কি কি করেছে অনেকে তা জানে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, মেডিক্যাল এদের ছাড়া বর্তমান বাংলাদেশ কল্পনা করা যায় না। তাই যখন দেখি বুয়েটের ভিতরে ঘুণ ধরেছে তখন খারাপ লাগে, ভীষণ খারাপ লাগে।

A.A. Assaduzzaman
Macquarie University
Australia.


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইয়া আমরা কি করব বলুন। একটা লেখা শেয়ার করলেও ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়। হলের কেউ যদি কোন পোস্টে লাইক ও দেয় তাহলেও মার খাওয়ার ভয়ে আছে। ফেসবুকে কিছু করা যাচ্ছে না । ব্লগই আমাদের শেষ আশ্রয় :(

igol এর ছবি

হল এর অবস্থা এতটা খারাপ!ঃ( সবাই মিলে কিছু বলে না কেন? কয় জন লাগে এই কয়টা পোলারে টাইট করতে। হল এর পোলাপাইন তো এই রকম ছিল না। খুবই দুঃক্ষ পাইসি ঃ(

অতিথি লেখক এর ছবি

হলের অবস্থা অনেক আগে থেকেই এরকম । নিজের ব্যাচমেটকেও যদি কেউ এসে পিটায় যায় কেউ আগায় আসে না । সবাই মিলে কেন কিছু বলে না এইটা জানি না । আমরা বুয়েটিয়ানরা নিজেদের কে অনেক বড় মনে করি তো । কিন্তু যদি একবার চোখের রঙিন চশমা টা খুলে নিজেদের দিকে তাকাই তাহলে অনেক লজ্জা পাব।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আপনারা কিছু লিখছেন না কেন? আর কোথাও না পারলে সচলায়তনে লিখুন।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

লিখা শুরু হচ্ছে ,কেউ কেউ লিখছে । আরো লেখা আসবে । অন্যান্য ব্লগে কিছু লিখা হয়েছিল কিন্তু সেগুলো দ্রুত হারিয়ে যায় । সচলের লিখাগুলো মানুষ বেশি দেখতে পায় । কিন্তু এই লিখা গুলো খুব কম ছাত্রই সাহস করে শেয়ার করে এইটা একটা সমস্যা । ফলে অনেকেই আবার পড়তে পারেনা ।
এবার তোরা মানুষ হ
নরকের এক বেলা

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

লেখা শেয়ার করার দরকার নেই। স্বনামে বর্তমান ছাত্ররা এসবে জড়াবেন না। যেখানে বুয়েটের শিক্ষকরা জড়িয়ে গেছেন সেখানে স্বনামে জড়িয়ে পড়লে সমস্যা আছে।

কিন্তু এসব বিষয়ে লেখার দরকার আছে। যেসমস্ত প্লাটফরম লোকে পড়ে বেশী সেসমস্ত প্লাটফরমে বেনামে লিখুন। ফোনে ফোনে লেখার কথা বলুন। বেনামে লেখার লিংক ইমেইল করুন। সিনিয়ারদের এসব বিষয়ে লিখতে বলুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই , একটা সমস্যা হচ্ছে লীগের বিরুদ্ধে বললে অনেক ছাত্রই মনে করে ফ্রন্টের হয়ে কথা বলতেসি । একজন ছাত্র যে নির্মম ভাবে মার খেল আর কেউ কোন প্রতিবাদ করল না এই মানবিক বিষয় টা কেন একজন বুয়েটিয়ানকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে ? আমাদের ১৪ বছরের শিক্ষা জীবনে আমরা কি শিখলাম তাহলে। অনেক মানুষ বলে ফ্রন্টেরও দোষ ছিল তাই মার খাইসে । আবার কেউ বলে কি দরকার ছিল ওদের ছাত্রলীগের সাথে লাগতে যাওয়ার । এসব কথা শুনলে কান্না পায় । অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি একটি ছাত্র সংগঠনের প্রধান নেতা এভাবে মার খেত তাহলে সেখানে ক্লাস হতে পারত না। কিন্তু হায়রে আমার বুয়েট সবকিছুই যেন স্বাভাবিক এখানে । গৌতম দা ছাত্রদের জন্য কি কম করেছে । পোষ্য কোটা নাইট শিফট চালুর চেষ্টা হল যখন , ইইই বিভাগের শিক্ষক DMC তে লাঞ্ছিত হল যখন , কারা সবচেয়ে আগে প্রতিবাদ করে ছিল ? বুয়েটিয়ানরা কি সব ভুলে গেছে । আমি তো ফ্রন্ট করিনা বা ফ্রন্টের রাজনৈতিক মতাদর্শেরও অনুসারী নই । কিন্তু কোন মানুষটা ভাল আর কোন মানুষটা খারাপ এইটা তো তাদের কাজ আর আচরন দেখেই বোঝা যায় । গৌতমদা মার খাওয়ার পর বুঝতে শিখেছি এই বুয়েটে আমি যদি মার খাই আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধুটিও হয়তো বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসবেনা । এ কেমন জায়গায় পড়ি আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে চোরের মত , আর যারা অপরাধি তারা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াবে । লজ্জা লজ্জা ।

অমিত আহমেদ এর ছবি

এভাবেই দেশের মেরুদণ্ড একদিন গুঁড়িয়ে যাবে। দেশ আর কখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। ব্যক্তিগত স্বার্থ কিভাবে-কখন এতো বড় হয়ে দাঁড়ায় তাই ভাবি।

একজন পাঠক এর ছবি

আর একটি বিষয়, আহসান উল্লা হলের দুটো রুম আমাদের দুজন "সোনার ছেলের" দখলে। এ ব্যাপারে পরবর্তী তে আলোচনা আশা করছি।

ছন্নছড়া_মানুষ এর ছবি

ভাইয়া আমরা কি করব বলুন। একটা লেখা শেয়ার করলেও ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়। হলের কেউ যদি কোন পোস্টে লাইক ও দেয় তাহলেও মার খাওয়ার ভয়ে আছে। ফেসবুকে কিছু করা যাচ্ছে না । ব্লগই আমাদের শেষ আশ্রয়

কেউ কেউ প্রতিবাদ করার খুব অল্প পরিমান প্রয়াস চালায়,কিন্তু আমরা সবাই জানি কোন কিছু হলে আমরা কারো কাছে প্রতিকার চাইলেও পাবনা। ভাইয়া এখানে এমন একটা পরিস্থিতি শুরু হয়েছে যে কেউ কিছু শুরু করতে গেলেই তাকে কমপক্ষে জুনিয়র কোনো ছেলের হাতে একটা থাপ্পড় আর এটা দিয়ে রক্ষা না পেলেতো ডি.এম.সি. অবধারিত। আপনি এর প্রতিকার কার কাছে চাইবেন? DSW?? DSW কিসসু করতে পারবে না;একটা নপুংশক তদন্ত কমিটি গঠন করা ছাড়া। আর সে যদি চক্ষুলজ্জায় কিছু করতেও চায়, প্রো ভি.সি. আর মুনাজ স্যার জাত গেলেও, জীবন দিয়ে হলেও সোনার ছেলেদের রক্ষা করবে? আমার মাথায় তো একটা প্রশ্ন প্রায় ঘোরে; বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ভ্যাকাণ্ট হয়ে যায় কিন্তু ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের কিছুই হয়না। স্যারেরা বেতন পেয়েছে, কন্সালটেন্সি করেছে, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়ে নেতাদের কোচিং ক্লাশ ব্যাবসা ভালো হয়েছে,নেতা আরো নেতা হয়েছে, সাধারন ছাত্ররা কি বালটা পেয়েছে?? ফেসবুকে "আমার খুব খারাপ লাগছে তুমরা কেমন আছ","হুররে কাল ক্লাশ বন্ধ," এ টাইপের স্ট্যাটাস ছাড়া কেঊ কিছু দিতে পারে না। কেউ ভয়ে দিতে পারে না; কেউ আবার প্রয়োজনবোধই করে না। ভাইয়া ব্লগে এ নিয়ে লেখালেখি শুরু হয়েছে।
সচলায়তনের আরও একটি লেখা
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/38100
স্বাক্ষর শতাব্দ এর একটি লেখা
http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=14815

ভালো লাগছে; খুব চাপাস্বরে হলেও এটা নিয়ে অনেকেই কথা বলছে। ভাইয়া আপনারা এগিয়ে আসুন। ব্লগ, ফেসবুকের মাধ্যমে সবাইকে জানান। করনীয় কিছু উপদেশ দেন। পরিচিত স্যারদেরকে এসব নিয়ে কথা বলুন। সবকিছুর পরেও খুব খুব আশা করি হয়ত একদিন সবাই জেগে উঠবে।আমাদের প্রিয় বুয়েট টিকে থাকবে।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

এই মুনাজ স্যার কি পুরকৌশলের মুনাজ আহমেদ নূর?

একজন পাঠক এর ছবি

হ্যাঁ। নাটের গুরু পুরকৌশলের।

অতিথি লেখক এর ছবি

উনি উনার ক্যারিশমাটিক ফিগারের জন্য স্টুডেন্টদের কাছে জনপ্রিয় । কিন্তু উনি যে তলে তলে এরকম এইটা বোঝা যায় না । উনি তো একটা নাটকেও অভিনয় করসেন স্টুডেন্টদের সাথে । তবে DSW ও খুব লোক সুবিধার না । উনি ভিসি হইতে চাইসিলেন সেইটা না পেরে DSW পদ টা বগল দাবা করেছেন । শুনেছি উনার রুমে লীগের পান্ডাদের অবাধ বিচরন ।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ক্যারিশমাটিক ফিগারটা কি শারীরিক?

অতিথি লেখক এর ছবি

ক্যারিশমাটিক ফিগারটা কি শারীরিক?

:)) :)) :))

একজন পাঠক এর ছবি

২১শে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে একটা প্রোগ্রামের অনুমতি চাইতে গেলে এই DSWর আমিনুল আমার এক বন্ধুকে জি‍জ্ঞেস করে - কোন দল কর? নিরীহ সেই বন্ধুটি তখন চরম ভ্যাবচ্যাকা খেয়েছিল। সে আরো অবাক হয়েছিল যখন ও বিল্ডিং থেকে বের হওয়া মাত্রই লীগের পোলাপান তাকে ঘীরে ধরেছিল।ওই বদমাইশগুলোকে কে খবর দেয়েছিল????? আমি হলফ করে বলতে পারি এই আমিনুলই লীগের কুত্তাগুলারে পাঠাইছিল।

একজন পাঠক এর ছবি

sonar chelera room dhokhol kore class mate der pitiye sorkari chakri chae.......ronok, mom, polas, fayruz ader dhore lengta kore rastae chere deya uchit.......desher mongol hobe.......ki paise ki era......ekta jaiga silo setakeo kolushito kore felse...........r valo lage na akhane porte.........kobe je mukti milbe

মৃত মানব এর ছবি

আমাদের শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষকদের এই লেজুরবিত্তিক রাজনীতি প্রীতি এদের এই মাথায় তুলে দেয়ার কারন। নাহলে কি সরকারী দলীয় রাজনীতি করেন না এমন শিক্ষকদের ক্লাবের মডারেটর পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার পর প্রথমদিন বহুল পরিচত এক ক্লাবের কার্যকরী পরিষদের এক পদে আসীণ ছাত্রের বক্তব্যে "আরাজনীতিক সংগঠন" কথার প্রতিবাদ করেন এইভাবে যে, ".... এর মানে কি রাজনীতি খারাপ?...." ? মানে বুয়েটের কোন ক্লাবও আজ আর "আরাজনীতিক সংগঠন" হতে পারবে না!!!
আরও ভাল লাগে যখন শুনি "...... এই ধরনের কর্মকান্ড আমরা বন্ধ করতে পারবো না। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে পরে না। এটা ফৌজদারী আইনের বিষয়......" আসলে বাবর, জলিল, আলতাফের পর অনেকদিন এমন বাণী শুনি নাই। বুয়েট এই শূন্যতা ঘুচালো কিছুটা!!!

অনেক আশাবাদী করে এদের সব কাজই.... এই যেমন রাজউকের প্লটের লটারীতে পূন:নির্ধারণ করা বিজয়ীদের নাম ঘোষনার জন্য নিরপেক্ষ বুয়েট (!!!) - এর সীল দিতে আস্বীকার করায় বুয়েটে সেই বিরূদ্ধাচরণকারীর সহকারীর নতুন পদ সৃষ্টি হয় রাতারাতি এক দলীয় শিক্ষককে বসানোর জন্য, যা আসলে সেই বিরূদ্ধাচরণকারীর মেয়াদ শেষে বিদায়ের আগের কয়টা দিনে ও.এস.ডি. করার নামান্তর প্রকৃতপক্ষে।

শুধু শুধু কমলমতি(!!!) ছাত্রদের দোষ দিয়ে কি লাভ? ছোটরা বড়দের অনুকরণ, অনুসরণ তো করবেই। এতে তাদের কি দোষ?

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

এইসব শিক্ষকদের নাম দেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

কেমিক্যাল ডিপার্টমেন্টের ১জন টিচারের নাম বলতে পারি। তিনি হচ্ছেন, মনোয়ার স্যার

একজন নির্বাক দর্শক এর ছবি

ভাইয়া দুইটা ঘটনা বলি-
লিমন(০৭)-ই।ই।ই। ইনার মুখের শব্দ শুনলে কেন জানি আমার পিলে কেঁপে ঊঠে। লম্বা চওড়া ফিগার। চলাফেরা একদম বাংলা ছবির ভিলেনের মত। ইনাকে সব মারামারিতে সামনের সারিতেই পাওয়া যাবে। ইনার ক্যাফেতে বাকি খাওয়ার পরিমাণ দাড়িয়েছে ১০ হাজার টাকা মাত্র। তা ইনি একদিন ই।আর।পি বিল্ডিং এ ঢুকে শিক্ষক এর সামনে একটি মেয়েকে চড় দিয়ে এসেছেন। তার চপেটাঘাতে মেয়েটি উল্টে পড়েছিল শুনেছি- লিমন ভাইকে কিছুই করা হয়নি...।(কে করবে????)

মোকাম্মেল হোসেন (০৬) গুনধর এই ভাইটি শুনেছি কলেজে থাকতে ছাত্রশিবির করত। তার বাবা জামায়াত কর্মী। এখন মোকাম্মেল ভাই লীগের নেতা।
তা ৩১ শে জানুয়ারি বাইক যোগে একটি ছেলে এবং মেয়ে যাচ্ছিল বুয়েটের ভিতর দিয়ে। ১১ টা নাগাদ হবে। তো ভাইয়া এবং তার সহযোদ্ধারা এই বেলাল্লাপনার প্রতিরোধে বাইক থামাল। খুব ভাল। শুনেছি এরপর মোকাম্মেল ভাই কোন কথাবার্তায় গমন না করে সরাসরি সেই মেয়েটাকে জড়িয়ে কিছুক্ষনের জন্য ধ্বসাধ্বস্তি করে দৌড়ে পালিয়ে গেছিলেন।

এই গুণধর ভাইগুলির দাপট এবং মানসিকতা এবং বুয়েট, আমাদের ভয়...। বাকি কথা অনেক বারই বলা হয়েছে

অতিথি লেখক এর ছবি

কোন ১জন মহিলা টীচারকে উত্যক্ত করে পরেও মোকাম্মেল পার পেয়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক আশ্রয়ের কারনে। জুনিয়র টীচারদেরকে নানাভাবে বিরক্ত করার খ্যাতিও তার কম না। আর তার লুচ্চামির কাহিনী মোকাম্মেল কে চিনে কিন্তু জানে না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না

দ্রোহী এর ছবি

অবশেষে বুয়েটের উঠানও ভরে উঠছে শেখ হাসিনার সোনার ছেলে দিয়ে। ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা, এই দেশ তোমাদের। যাকে খুশি, যখন খুশি পেঁদিয়ে পোঁদের খাল তুলে ফ্যালো। (y)

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বুয়েট অবশেষে না, বুয়েটে অনেক আগে থেকেই শিক্ষকদের একাংশের ইতরামিপুষ্ট সোনার ছেলেরা ছিলো।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ফেসবুক থেকে এর ছবি

ফ্রন্টের ছেলেদের মারা ঠিক হয়নাই । লীগের উচিত শুধু শিবির পেটানো । শিবির সমর্থকদের এগারো টা কম্পিউটার একরাতে পুড়িয়ে ফেলা (এমনকি smriti হলের সিনিয়রদের সহ) খুব ভালো কাজ ছিলো । মুক্তিযুদ্ধকে দুই কুকুরের লড়াই, ইসলাম নিয়ে প্রগতিশীল কথা ডায়েরীতে লেখা এইসবের জন্য গৌতমকে পেটানো অনেক অন্যায় হয়েছে । ছাত্রলীগের চাদাবাজদের ধিক্কার জানাই ।

অতিথি লেখক এর ছবি

বাহ লীগের কাজ দেখি শুধুই পেটানো আর পোড়ান !!!
দয়া করে এই খানে শিবিরকে টেনে আনবেন না। শিবির এক নোংরা আবর্জনা। বর্তমানে যে রকম ছাত্ররাজনীতি চলছে, তাতে ছাত্রদল, শিবির, ছাত্রলীগ কারো মাঝে কোন পার্থক্য নেই। এরা ক্ষমতা পেলেই কুকুর হয়ে যায়, তাদের অনেক পিতার সুনজর পেয়ে।

অতিথি লেখক এর ছবি

শুধু পেটানো আর পোড়ানো ক্যান হবে । মাতবরী করা সব জায়গায় , স্যারদের সাথে দুর্ব্যবহার , হলের রুম দখল করে রাখা , নিজেরাই বুয়েট কেমনে চলবে ঠিক করা এই গুলা বাদ দিলেন ক্যান। লীগের নেতাকে দেখলে সালাম দেওয়া হলের ছেলেদের জন্য বাধ্যতামূলক । নতুন ব্যাচের পোলাপাইনগুলারে সিটের বিনিময়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখায় দলে টানতেসে , কি আর বলব।

আর লীগ,শিবির , দল সবই এক । এদের কোন রাজনৈতিক আদর্শ নাই । এই যে ফায়রুজ ২ বছর আগেও সে দল করত । এখন নাকি সে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সৈনিক । ফাইরুজ যখন আমাদের সামনে মার খেল তখন অনেক খারাপ লাগসিল যে এভাবে একজনকে পিটাচ্ছে সবাই , কিন্তু এখন লজ্জা হয় এই ভেবে যে এদের জন্য আমরা মায়া দেখাইসিলাম ।

লীগ বঙ্গবন্ধুর নাম নিয়ে বড় বড় কথা বলে ।বাংলাদেশে জাতির পিতার ১ নম্বর অবমাননাকারী হইল ছাত্রলীগ। বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে এরা কোন খারাপ কাজ করতেই বাকি রাখে নাই ।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামি লীগের ভরাডুবি হবে সবাই লিখে রাখেন । লীগের জন্যেই হবে আর কোন কারন লাগবেনা।

বিবেক এর ছবি

বুয়েটের এই নেতাগুলি প্রকৃতপক্ষে "তেনা" ছাড়া কিছুই না। বুয়েটের সবচে হ্যাডমওয়ালা ছাত্রনেতাকেও বাইরের কোন ভার্সিটির একই দলের নেতা *ল দিয়েও পুছে না। এই ছাগলের বাচ্চারা আসছে লাফাইতে।

আমি একজন প্রাক্তন ছাত্র। আমি আমার সময়ের নেতাদেরও যেমন দেখেছি, তেমনি এখনকার নেতাদের কথাও যা শুনছি, তাতে দেখা যাচ্ছে এদের বলদামির মাত্রা বিন্দু মাত্র কমে নাই। আমার ভাবতেই অবাক লাগে, উপরের একটা মন্তব্যে যা বলা হয়েছে -

তা ৩১ শে জানুয়ারি বাইক যোগে একটি ছেলে এবং মেয়ে যাচ্ছিল বুয়েটের ভিতর দিয়ে। ১১ টা নাগাদ হবে। তো ভাইয়া এবং তার সহযোদ্ধারা এই বেলাল্লাপনার প্রতিরোধে বাইক থামাল। খুব ভাল। শুনেছি এরপর মোকাম্মেল ভাই কোন কথাবার্তায় গমন না করে সরাসরি সেই মেয়েটাকে জড়িয়ে কিছুক্ষনের জন্য ধ্বসাধ্বস্তি করে দৌড়ে পালিয়ে গেছিলেন।

এই রকম মাদারচোদের মতো কাজ তো অন্তত আমি আমাদের সময় কাউকে করতে শুনি নাই। কিংবা করলেও অরাজনৈতিক সংঘবদ্ধ ছাত্ররাও ছাড়তো না, এই ব্যাপারে নিশ্চিত। খুব নির্মম একটা সত্যি কথা হচ্ছে, বুয়েটের ছাত্ররা অধিকাংশই মেধার দিক থেকে যতোটা অগ্রসর, সাহস কিংবা মেরুদণ্ডের ক্ষেত্রে ততোটা নয়। আমি বলছি না যে সাহস মানে একদম দাঙ্গা হাঙ্গামা, এর বাইরেও নিজেদের শক্ত অবস্থানের মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করা যায়।

বর্তমান ছাত্রদের প্রতি তাই একটাই অনুরোধ থাকবে, নিরব না থাকার জন্য। হঠাৎ করে একা কথা না বলে, নিজেদের মধ্যে সংঘবদ্ধ হও- প্ল্যান করো এবং চাপ সৃষ্টি করো। একটা কথা নিশ্চিন্তে বিশ্বাস করতে পারো, বুয়েটের এইসব ছাত্রনেতারা নিশ্চিতভাবেই কারো হাতের পুতুল, কারো হাতের ইশারাতেই এরা নড়ছে- কিন্তু এদের নিজেদের সাহস খুবই কম। সম্মিলিত প্রতিরোধে এরা যে কী পরিমাণ ভয় পেতে পারে, তা হয়তো তোমরা এখন চিন্তাও করতে পারছো না। জাস্ট নিজেদের মধ্যে ঐক্য বাড়াও, বাকিটা আপনিই হবে।

ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে হয়তো খুব বেশি কিছু করার নেই- তবু একটা আশ্বাস দিতে পারি, আমরাও এর বিরুদ্ধে সোচ্চার। আমরাও অনেকে ভাবছি কিছু একটা করার জন্য।

আপাতত ব্যক্তিগত শুধু একটা প্রতিশ্রুতিই দিতে পারি- এইসব শুয়োরদের, যাদের ছবি এখানে দেখতে পেলাম- তাদের কারো সিভি যদি কোনদিন হাতে পাই, তাদের যাতে চাকরি না হয় আমার প্রতিষ্ঠানে তার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। শুধু তাই না, অন্য যেসব প্রতিষ্ঠানে বন্ধু বান্ধব আছে, সেখানেও চেষ্টা করবো যাতে এদের কেউ চাকরিতে না ঢুকতে পারে।

দল কারো চিরদিন ক্ষমতায় থাকে না। লীগের পতনের পর কোন শালা এদের বাঁচায়, সেটাই দেখা যাবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই যারা এখন ছাত্রলীগ করে তারা অনেকেই আগে ছাত্রদলের সাথে জড়িত ছিল । এরা বেঁচেই থাকবে । এদের বাঁচানোর জন্য দুইটা দল আসে না । দুই গ্রুপেরই গুন্ডা দরকার ।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

লীগের পতনের পর এদেরকে বিএনপি-জামাত বাঁচাবে।

বুয়েট কর্তৃপক্ষের একটা বিরাট অংশ দলমতনির্বিশেষে এদেরকে রক্ষা করে এবং বুয়েটকে বাঁশ দেয়। ব্যক্তির পরিবর্তন হবে; কিন্তু কাজের পরিবর্তন হবে না।

গৌতম ডায়েরিতে ঠিক কী লিখেছিলো?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

লিখেছিল এবং তার ব্যাখ্যা এখানে পাবেন । এবং ছাত্রলীগ চুরে করা ডায়ের দিয়ে কি প্রচয়ার চালাচ্ছে তা ছাত্রলীগের যেকোন সোনার ছেলের ফেসবুকে প্রোফাইলে ঢুকলেই দেখতে পারবেন গৌতমের ডায়েরী নিয়ে বুয়েট ছাত্রলীগের মঞ্চস্থ নাটক

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নাই। এখানেই বলেন, সে কী লিখেছিলো।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইয়া ফ্রন্টের ব্যাখ্যা এইখানে পাবেন । তবে ছাত্রলীগের পোস্টারগুলা একবার দেখে থাকলে ব্যাখ্যা পড়ার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। নিছকি প্রতিহিংসা পরায়ন পোস্টার। গৌতমের ডায়েরী নিয়ে বুয়েট ছাত্রলীগের মঞ্চস্থ নাটক

অমিত আহমেদ এর ছবি

লীগের পতনের পর এদেরকে বিএনপি-জামাত বাঁচাবে।

এটাই ট্রাজেডি।

অতিথি লেখক এর ছবি

১৪ই ফেব্রুয়ারীর শিক্ষানীতি বাতিল আন্দোলনের উপর পোস্ট পড়ে ভেবেছিলাম একটা লেখা দিবো, ছাত্রদের কেন মিছিল করতে হোল, প্রশাসন আর শিক্ষকরা কেন সামনে থাকল না। সময়ের অভাবে দিতে পারি নাই। ভাগ্যিস, দেই নাই! নাহলে এখন আমাকে লজ্জায় পড়তে হতো। -রু

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

লেখায় পুরো আক্রমনে বিষয়টা নাটকীয়ভাবে আলোকপাত করায় ধন্যবাদ। প্রতিটা ঘটনায় প্রতিবাদের জন্য কেউনা কেউ থাকে। এবারে কি কেউ নেই?

একজন পাঠক এর ছবি

সব নাটের গুরু VC ar Pro-VC....এই দুইটা(stupid) কে buet থেকে বের করে দিলে সব ঠিক হএ যাবে...।

অতিথি লেখক এর ছবি

শোনা যায় ভিসি সাহেব নাকি বহু আগে শেখ হাসিনার প্রাইভেট টিউটর ছিলেন। কথা যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে নিশ্চই ওনার খুঁটির জোরও খুব বেশি।

একজন ছাত্র এর ছবি

নাটের গুরু ভিসি এবং প্রো-ভিসি না। আসল ব্যাপার হচ্চে, আমাদের মধ্যে যে হিংসা, বিদ্দেষের রাজনীতি আছে সেটাকে আমাদের এই বিদ্যাপীঠ থেকে বের করার ব্যাবস্থা করতে হবে। দেশের সার্থে আমাদের কুলোশিত ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা উচিত এখনই।

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

জঘন্য এবং ভাষাতীতভাবে ঘৃণার্হ! এর প্রতিকার কেন সাধারণ ছাত্রেরা করছে না?

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

অতিথি লেখক এর ছবি

এইখানে তো রাজনৈতিক হিংসা বিদ্বেষের কিছু দেখলাম না। লীগ চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি করে , ফ্রন্ট প্রতিবাদ করসে দেখে মারসে । রাজনীতির কোন ব্যাপারই নাই এইটার মধ্যে। এইটা হইল সন্ত্রাস , গুন্ডামি। গৌতম কুমার দে DMC তে , বুয়েট থেকে হেটে হেটে DMC গেলেও তো ২ ঘন্টা লাগার কথা না । একজন ভিসির বা DSW এর যদি মানবিকতা থাকত তাহলে তো সে হাসপাতালে যাওয়া নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভুগতোনা। ছাত্রলীগ গৌতমদাকে পিটায় পোস্টারিং করে যাচ্ছে ক্যাম্পাসে মিছিল করে যাচ্ছে । আর DSW বলে সাক্ষী লাগবে । সে কি বুয়েট ভর্তি পোস্টার গুলা চোখে দেখে না ?? ।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ নামে নতুন এক কার্টুন শুরু হইসে। ৬১ জন সিনিয়র টিচারকে ডিঙ্গায় প্রোভিসি নিয়োগ পায় । এইগুলা কিসের আলামত । স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে এদেরকে নিয়োগ দেওয়াই হচ্ছে ছাত্রলীগকে পালার জন্য ।

একজন পাঠক এর ছবি

বুয়েটের সোনার ছেলেরা...রনক আহসান(০৪), বিতু(০৫), রানা(০৬), মোকাম্মেল(০৬), পলাশ(০৬), ফাইরুজ(০৬), মম(০৭), সামি(০৭), তন্ময়(০৭), মাসুম(০৭), সোয়েব(০৬), ওয়ালিদ(০৭), জিয়া(০৭)...

হাসিব এর ছবি

লেখায় ও কিছু মন্তব্যে ঘটনা শুনে বুঝলাম বুয়েট দেশের বাইরের কোন প্রতিষ্ঠান না। এবং বুয়েটে এগুলো আগেও ছিলো, এখনও চলছে আগের মতোই। হয়তো একটু বেশি প্রকাশ্যে। ছাত্রদের রাজনৈতিক চেতনা জাগ্রত না হলে এর হাত থেকে নিস্তার নেই।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আওয়ামীলীগরে ডুবানোর জন্য ছাত্রলীগ একাই যথেষ্ট...
লেখাটার জন্য ধন্যবাদ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

নজরুল ভাই শুধু আওয়ামী লীগকে ডুবাইলে তো সমস্যা ছিলনা । শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলাকেও ডুবাচ্ছে । আসলে এদের নিয়ে কমেন্ট করলেও মুখে খারাপ কথা চলে আসে । আগে শিবিরকে ঘৃণা করতাম এখনও করি কিন্তু ঠিক এই মুহূর্তে আমি শিবিরের চেয়েও ছাত্রলীগকে বেশি ঘৃণা করি । সামনা সামনি এদের কাজ কারবার না দেখলে আসলে বিশ্বাস করা যাবেনা এদের আস্পর্ধা।
একজন বুয়েটিয়ান

অতিথি লেখক এর ছবি

আরেকজনের কথা বলতে ভুলে গেছেন সবাই। সবকিছুর নাটের গুরু আমাদের শ্রেদ্ধেয় রানা ভাই! তাহার চেহারা দেখলেই তিনি যে বাটপার প্রকৃতির লোক, বুঝতে দেরি হয় না। আমাদের আউলার ডাইনিং এ তিনি সকল নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ২টা করে তরকারি নেন। ফিস্টের সময় হলের বাইরে তার বন্ধুদের জন্য আলাদা খাবার বরাদ্দ থাকে। পরীক্ষা পিছানোর সময় তিনি সবসময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। গুণধরদের কথা আর নাই বল্লাম

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

পুরা নাম, বিভাগ, ছবি প্রকাশ করেন। এগুলো অনলাইনে থাকলে ভবিষ্যতের জন্য ভালো।

একজন পাঠক এর ছবি

ডিজিটাল বাংলা গড়ার সোনার পুত্র রানার ফেসবুক একাউন্ট

অতিথি লেখক এর ছবি

রানা ভাই যে, মাশাল্লাহ কি নুরানী চেহারা

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

দু:খজনক।

বিভ্রান্ত একজন এর ছবি

একটা জিনিস ঠিক বুঝতে পারছিনা, এই পোস্টের ফেসবুক শেয়ারের সংখ্যা মাঝে মাঝেই দেখি কমে যাচ্ছে। এই পোস্টটা কী ফেসবুকে শেয়ার করার কিছুক্ষণ পরেই শেয়ারকারী আবার সরিয়ে নিচ্ছে? এরকম হবার কারণটা কী?

অতিথি লেখক এর ছবি

কিছুক্ষনের জন্য শেয়ার যে করছে সাহস করে সেইটাই বা কম কি ভাই এই দুঃখের মধ্যেও না হেসে পারছিনা

গোপন বার্তা! এর ছবি

কিউবি মডেম ছিল একটা মার্কেটিং অফার। এই অফার টা প্রথম পায় সম্পূর্ণ নন-পলিটিক্যাল একটা ছেলে। বাট একা সাতটা হলে সে মার্কেটিং করতে পারবেনা দেখে সে কয়েকটা ফ্রেন্ড এর নাম দেয়। তার একটি কারণ, প্রতিটা হলে চেনে এমন একজনের নাম দিলে মডেম বেশি বিক্রি হবে।
কিউবি কিনতে গেসিল একটা ছেলে, তাকে কিউবি থেকে বলে "আপনাদের বুয়েটে আমরা কভারেজ দিলে কেমন সেল হতে পারে? আপনি কেমন সাহায্য করতে পারেন এ ব্যাপারে?"
তখন সে মডারেটর হতে পারবে বলে ইচ্ছা প্রকাশ করে। এবং কন্ডিশন ছিল সে পোস্টারিং করবে, বিনিময়ে প্রতিটি মডেম এ ২০ টাকা সে পাবে। প্লাস, পরে সব কিউবি রিচার্জ এর জন্যে কার্ড তার কাছে পাওয়া যাবে। সে ৩% করে লাভ পাবে। মানে ৫০০ টাকার কার্ডে ১৫ টাকা। এইটা তো চাদাবাজি না।
বুয়েটে ব্র্যাকনেট ইউজ করে সবাই। মডারেটর থাকে। তাদের নেটবিল ফ্রি। বিনিময়ে তারা মডারেশনের দায়িত্ব পালন করে।
এইটা কিউবির অফার ছিল। যে কোন ছেলে সুযোগটা নিতে পারতো। এইটা আপনি ওদের কাছে গিয়ে বললে, আপনার এলাকার জন্যে আপ্নাকেও এমন অফার তারা দিতে এক পায়ে খাড়া। সো, এইটা চাদাবাজি না। ফ্রন্টের প্রব্লেম হলো তাদের চোখে সবকিছুই খারাপ।
আমি দুইটা দলের কথাই এখন বল্বো।
লীগ তো লীগই। তারা যা ইচ্ছা তাই করছে। আজকাল লীগের ছেলেদের জন্যে সিনিয়রদের আর সম্মান নাই। যারা লীগ করে তারা সিনিয়র চো*এ না। বুয়েট প্রশাসন নিয়ে কি বল্বো? স্বয়ং স্যারেরাই আন্দোলন থামিয়ে ফেলসে ভয়ে, সাধারণ ছেলেরা কি করবে? তাদের কীর্তির কথা তো উপরেই পড়লেন। এবার ফ্রন্টের কথা কিছু বলি। জুনিয়রদের চেপে ধরে, পোস্টার বেচবে। তাদের দলের পত্রিকা বেচবে। মাঝে মাঝে সেমিনার করবে বলে টাকা তুল্বে। হ্যা সেটা তারা বলে ঐচ্ছিক। কিন্তু এমনভাবে ধরে সে আপনি পকেট থেকে টাকা বের না করা পর্যন্ত ছাড়বেনা। তাব্লীগ টাইপ পেইন।
ফ্রন্ট যেরকম ইন্ডিভিজুয়াল পেইন দেয়, সেটাও কম বিরক্তিকর না।
লীগ দেয় সার্বজনীন পেইন। সব দল্কেই বাইর করে দিতে হবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ফ্রন্ট আপনাকে কি রকম ইন্ডিভিজুয়াল পেইন দিয়েছে জানাবেন দয়া করে?

গোপন বার্তা! এর ছবি

ফ্রন্টের কেউ নাকি? গায়ে লাগ্লো? রুমে রুমে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা বিপ্লব বোঝানো, এক্সাম থাকলে বলা, নিজের জন্যে পড়ে কি লাভ? দেশের জন্যে লড়তে হবে। জোর করে পাঠচক্রে নিয়ে যাওয়া! একটু গোবেচারা ছিলাম বলে জুনিয়র অবস্থায় পাগল বানায় ফেলসিল শালারা বাচ্চারা। পড়সিলাম রুমমেট! পালাবো কোথায়? ( ফার্স্ট হ্যান্ড একপেরিয়েন্স। আমাকে যে জ্বালিয়েছে তাকে গালি আমি দিবোই।)
১. লীগ খোজে তাদের যারা মারদাঙ্গা! সবাই যাদের ভয় পাবে, তাদের দলে ভেড়াতে। নয়লে আপনি দমন করবেন কেম্নে? বিশ্বকাপের কথা মনে আসে? সারাদেশে মানুষ পেপারে পড়লো, বুয়েটে সিনিয়র জুনিয়উর মারামারিতে বুয়েট বন্ধ! বাহ! কি ভাল ইমেজ তৈরী হচ্ছে! আসল ঘটনা ছিল লীগের আধিপত্য। তিন চার জন জুনিয়র লীগ, আর ৭-৮ জন সিনিয়র লীগ মারামারি করলো। পুরো বুয়েট বন্ধ হয়ে গেলো। নাম নেবার সাহস আমার নাই। জানলে মেরে ফেলবে। আরো কত বল্বো? হাজার হাজার সমস্যা, মেইন সমস্যা প্রশাসন সাথে আসে। সো এগুলা আপ্নারা জানবেন। পজিটিভ ব্যাপার হলো, লিখছে তো সবাই। আমি ভাব্লাম, শুধু একদিক কেন জানবেন? সবই জানেন।
ফ্রন্ট-লীগ মারামারিতে আমি খুশি। দুইপক্ষই মার খেয়ে ভুত হোক।

২. আর ফ্রন্ট খুজবে তাদের যাদের ব্রেইন ওয়াশ করতে কষ্ট হবেনা। যারা একটু ব্যাতিক্রম, পড়াশোনা ( নট একাডেমিক পড়াশোনা) করে একটু ভিন্ন, চিন্তা করে ভিন্ন। তাদেরকে দলে ভেড়ানো সহজ। আরো সহজ সেগুলাকে, যেগুলা একটু ভোতা। কাপরে চোপরে ব্যাক্তিত্ব একটু কম ফুটে ওঠে। যারা একটু পাত্তা কম পায়, তাদেরকে টানা আরো সোজা। অবাক হয়ে দেখতাম হলে সে জুনিয়র ছেলেগুলাই ভ্যাঙ্গার্ড বিক্রি করতে আগে আসে। আগে আগে দেয়াল্গুলা লিখতে, রুমে রুমে টাকা তুলতে দৌড়ায়। রুমে রুমে এসে কিউবার, রাশিয়ার গল্প শোনাবে। কোথাত্থেকে আমেরিকা তেল লুটে নিচ্ছে, কোথায় আগ্রাসন হচ্ছে। কেন দেশের ইন্ডাস্ট্রিগুলা বন্ধ করে শোষণ বন্ধ করতে হবে, এইসব বুঝাবে! আরে বাল আমেরিকার মারে বাপ। আগ্রাসনের মারে বাপ। ইন্ডাস্ট্রিয়ালের মারে বাপ। তোর মারে বাপ। আমি সমাজতান্ত্রিক না। তোকে কতবার বললে তুই ব্রেইন ওয়াশ করা থামাবি?
আমি ছাত্র-রাজনীতিকেই ভয় পাই। ঘৃণা না। ভয় পাই।
কিউবি চাদাবাজি না। নেট এ লেখার স্বাধীনতা আসে বলে সবই চাপায় দেবেন, তা হয় না। আমি চাদাবাজি দিফেন্ড করতে লিখিনাই। যিনি কিউবি বুয়েটে আন্সেন, একটু খোজ নেন। তিনি নন-পলিটিক্যাল এক বড় ভাই। আমি চিনি বলেই লিখছি। বাট মিথ্যা কে সত্য বানানো উচিত হচ্ছেনা। যেহেতু নন-পলিটিক্যাল ছেলেরাও এটাতে আছে, এটা তাদের জন্যে বিব্রতকর। দোকানদার একটা এলাকায় মোবাইলের সিম কার্ডের পোস্টার লাগায়। মানুষ সিম কিনে। সে লাভ করে। পরে আবার কার্ড বেচে। এইটা বিস্নেস। নট চাদাবাজি।

অতিথি লেখক এর ছবি

না আমি ফ্রন্টের কেউ না । ফ্রন্ট আমাকে কখনো এভাবে এপ্রোচ করেনি। আমি বুঝতে চাচ্ছি আপনার মত বুয়েটিয়ান্দের মানসিকতা কে । ছাত্রলীগের সন্ত্রাস আর ছাত্রফ্রন্টের রাজনৈতিক আদর্শ প্রচারকে আপনারা একই কাতারে ফেলে দেখছেন । এইটাই আমাকে অবাক করে। নজরুল হলের কি অবস্থা ?? ক্যান্টিন টা সারাক্ষনই ছাত্রলীগের গুন্ডাদের দখলে । নজরুল হলে ছাত্রলীগ অফিস খুলে রেখে দিসে । আর আপনের কাছে ফ্রন্টের টাই দোষ। রাজনৈতিক প্রচার করার কি অধিকার তাদের নেই ?? আসলে আপনাদের মত লোকদের কারনেই বুয়েটের এই অবস্থা । লীগ অপরাধ করসে আর আপনি বলতেসেন লীগ-ফ্রন্ট মারামারি করসে । যারা পুরো ঘটনা জানে তারা বলবে পুরা বিষয়ইটাই একতরফা। পলাশিতে মার্কেট হচ্ছে সেই মার্কেট থেকে ছাত্রলীগ কত টাকা লুট করার ধান্দায় আসে জানেন। স্মৃতি হলের পাশে বিল্ডিং হচ্ছে সেখানে কারা লুটপাট চালাচ্ছে জানেন । এগুলার প্রতিবাদ তো ফ্রন্ট ছাড়া কেউ করবে না । আপনার আমার মত অরাজনৈতিক পোলাপাইন তো নিজেদের ধান্দা নিয়েই ব্যস্ত। ফ্রন্ট সবসময়ই খারাপ কাজের প্রতিবাদ করেছে । কাজেই তাদের জন্য আমার সহানুভুতি আছে । আমার কাছেও তো ভ্যানগার্ড নিয়ে আসছিল আমি তো কিনিনাই ওত গায়েও লাগে নাই। হয়তো আপনার রুমমেট ছিল দেখে আপনের বেশি খারাপ লাগসে। কিন্তু ফ্রন্ট লীগ মারামারি করসে এইটা আপনে কোনভাবেই বলতে পারেন না । মার দিসে একটা পক্ষই আর সেইটা লীগ । দু পক্ষ মার খাওয়ার কোন চান্স নাই কারন লীগ করে গুন্ডারা আর ফ্রন্ট করে তারাই যারা একটা বিশেষ আদর্শে বিশ্বাস করে ।

গোপন বার্তা! এর ছবি

"রুমে রুমে এসে কিউবার, রাশিয়ার গল্প শোনাবে। কোথাত্থেকে আমেরিকা তেল লুটে নিচ্ছে, কোথায় আগ্রাসন হচ্ছে। কেন দেশের ইন্ডাস্ট্রিগুলা বন্ধ করে শোষণ বন্ধ করতে হবে, এইসব বুঝাবে! আরে বাল আমেরিকার মারে বাপ। আগ্রাসনের মারে বাপ। ইন্ডাস্ট্রিয়ালের মারে বাপ। তোর মারে বাপ। আমি সমাজতান্ত্রিক না। তোকে কতবার বললে তুই ব্রেইন ওয়াশ করা থামাবি?"

এক কাতারে ফেলি নাই। আমি ২ টা দলের প্রব্লেমই আসুক তা চাইতেসি। তবে এটা সত্য লীগের আগ্রাসনের তুলনার ফ্রন্টের পেইন কিসুই না।
আমার মতো ছেলেদের জন্যে বুয়েটের যা হবার হোক। আমি ফ্রন্টের পেইন খাইতে রাজী না। কোন জুনিয়রকে ঘন্টার পর ঘন্টা ব্রেইন ওয়াশ করা হোক আমি তাও চাইনা। লীগ থাকুক তাও আমি চাইনা। ক্যাম্পাসে মারামারি হোক তাও চাইনা। কেউ মার খাক, তাও চাইনা।

"পলাশিতে মার্কেট হচ্ছে সেই মার্কেট থেকে ছাত্রলীগ কত টাকা লুট করার ধান্দায় আসে জানেন। স্মৃতি হলের পাশে বিল্ডিং হচ্ছে সেখানে কারা লুটপাট চালাচ্ছে জানেন । এগুলার প্রতিবাদ তো ফ্রন্ট ছাড়া কেউ করবে না।"
কামন ম্যান! প্রতিবাদ কর। নো প্রব্লেম। বাট এখন আমি জুনিয়র কমোডরদের টাকা চাইতে এলে ফিরিয়ে দিয়ে যে আনন্দ পাই, তা বলার মতো না।
ইভেন রাজন নামের আমাদের ব্যাচেরই এক ছ্যাচড়াকে টাকা না দিয়ে তাড়িয়ে আমার লাফাইতে ইচ্ছা করসিল।
"আপনার আমার মত অরাজনৈতিক পোলাপাইন তো নিজেদের ধান্দা নিয়েই ব্যস্ত। "

ইয়েস আমি আমার ধান্দায় থাকতে চাই। আমার মতো বেশিরভাগই তাই চায়। বাপ-মা পাঠায়সে পড়তে। বাপের টাকা ফ্রন্টকে দিতে না। আমেরিকা রাশিয়ার গল্প শুনতে না। বিপ্লব করতে না।

"ফ্রন্ট সবসময়ই খারাপ কাজের প্রতিবাদ করেছে । কাজেই তাদের জন্য আমার সহানুভুতি আছে ।"

অহে পান্ডে? কোন বাল্টা ছিড়তে পারসে? পোস্টারিং করে কি হইতেসে? রাস্তাটায় এখন পর্যন্ত লেগুনা চলা থামাইসো? প্রতিবাদ করতেস, পোস্টার লাগায়েই যাচ্ছ। টাকা তুলেই যাচ্ছ। কোন বাল্টা বন্ধ করতে পারসো? একদিন রাস্তায় অবস্থান ধর্মঘট করো। কোন লেগুনা চলতে দিবানা। জেনারেল পোলাদের ডাক। টাকা তুল্বানা, শুধু ডাকবা। দেখ, আমার মতো আবালেরা আসবে।
তারপর স্পেসিফিক অভিযোগ আনো, প্রশাসনের অমুক দুর্নীতির বিরুদ্ধে এইদিন অবস্থান ধর্মঘট, জেনারেল পোলাদের ডাক। প্রমিজ আসবো আমরা আবালেরা। স্পেসিফিক কিসু নাই, খালি এনোনিমাস অভিযোগ, এননিমাস পোস্টারিং। কার বিরুদ্ধে, প্রমাণ কি? কিছহু জানিনা। এমনি কি আর আমার মতো এত্তগুলা আবাল লাফায় লাফায় যাবে?

শুধু লাফাইলে হবেনা। ইফেক্টিভ কিছহু করলে ভাত পাবা। আম্রিকা রাশিয়া কিউবার গল্পে ............ থাক। বললাম না। সনি আপা মারা গেসিলেন (হত্যা), তখন জেনারেল পোলারা আন্দোলন করসিল(ইনিস্যেটিভ করসিল নিঃসন্দেহে ফ্রন্ট) সাথে। সেইটার মতো কিছহু কর ভাই। এননিমাস পোস্টারিং করবা , আর মাইর খাবা। আমরা কি করতে পারবো?
তাই বলছি, ২ টাই বন্ধ করে দাও, ল্যাঠা চুকে গেল। :)

সবজান্তা এর ছবি

মন্তব্যে আপত্তির অপশনটা খুঁজে পেলাম না। তাই এখানেই আপত্তি জানিয়ে গেলাম।

অহে পান্ডে? কোন বাল্টা ছিড়তে পারসে? পোস্টারিং করে কি হইতেসে? রাস্তাটায় এখন পর্যন্ত লেগুনা চলা থামাইসো? প্রতিবাদ করতেস, পোস্টার লাগায়েই যাচ্ছ। টাকা তুলেই যাচ্ছ। কোন বাল্টা বন্ধ করতে পারসো?

কথাগুলির টোন ভালো লাগলো না।

অতিথি লেখক এর ছবি

পোষ্য কোটা ও নাইট শিফট বাতিলের আন্দোলন কারা করেছিল ? DMC তে বুয়েট শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদ কারা করেছিল একটু খোজ নিয়ে আসবেন । এখন যদি ফ্রন্ট অবস্থান ধর্মঘট ডাকে লীগ কি তা করতে দিবে বলে আপনার মনে হয় । অথবা ফ্রন্ট কেন আমার মত কয়েকজন সাধারন ছাত্রও যদি উদ্যোগ নেয় আপনারা কি এগিয়ে আসবেন?? ভাবুন ।তারপর এইসব মন্তব্য করবেন । ছাত্রলীগ কি কি করে আর কি কি করেনা সেইটা আপনিও দেখতেসেন আমিও দেখতেসি । আমরা জেনেও চুপ আসি আর ফ্রন্ট প্রতিবাদ করতে যেয়ে মার খাইসে। হ্যা সনি আপুর মত কিছুর দিকেই বুয়েট যাচ্ছে ভাই ।এইটা বুঝি দেখেই আমার মত কয়েকজন গাধা আপনার সাথে আজাইরা যুক্তি তর্ক করে যাচ্ছে । কারন আমরা চাইনা ওইরকম ঘটনা আবার ঘটুক। প্রশাসনের দলীয়করনের কথা তো পেপারেই উঠসে তাহলে আমরা কেন প্রতিবাদ করছিনা বলতে পারেন ?? এমনকি শিক্ষকরাও ভয়ে পিছিয়ে গেছেন । কারন কি ?? নিজেকে প্রশ্ন করুন । আপনার সাথে আমার আর তর্ক করার ইচ্ছা নাই । ভাল থাকুন বাবা-মার স্বপ্নপূরন করুন একজন সফল ইঞ্জিনিয়ার হোন ।
ধন্যবাদ

গোপন বার্তা এর ছবি

অদ্ভূত! প্রিয় বুয়েটে লীগের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লিখছি।
আবার ব্রেইন ওয়াশ এর বিপক্ষে লিখলে, টাকা তোলার কথা লিখলে আপনি রাগ করছেন কেন ভাই? ফ্রন্টকে এত্ত ভালবাসেন? ফ্রন্ট ও প্রশ্নের বাইরে না। তাদের ত্রুটি গুলো নিয়ে লিখলে তারা হয়তো আরো শুদ্ধ হবে। তাদের ত্রুটি গুলাও লেখার দরকার আছে, বড় ভাইদের। আপনি রাগ কইরেন না কমোডর।

হাসিব এর ছবি

একটা কোয়েশ্চেন। জীবনে কখনো অন্যায়ের প্রতিবাদের রাস্তায় নামছেন? হ্যাঁ, না একটা জানালেই হবে।

গোপন বার্তা! এর ছবি

উফ! এত্ত নাটকীয় কমেন্ট করলে প্রতিপক্ষ কোন্ঠাসা.........
আমাদের যখন ২-২ চলতেসিল তখন লীগের ২ পক্ষের মারামারি চলতে চলতে হলে এসে পড়ে। আমার কয়েক রুম পরেই আমাদের ব্যাচের তন্ময়, অন্তুদের রুমে মারতে আসে অনেকে। আমরা ৫-৬ জন হকিস্টিকের সামনে দাঁড়িয়ে বলসিলাম, হলে মারামারি করতে পারবেন না। বাইরে করিয়েন। (তাদের গ্যানজ়ামে হলে কেন ঝামেলা হবে?) নাহিদ ভাই, নামে ০৫ ব্যাচের এক ভাই (৬.৫ ফুট লম্বা মনে হয়), দুই হাত বাড়িয়ে ২ দল্কে আলাদা করে মারামারি করতে দেয় নাই। আমিসহ আমরা ৫-৬ জন চারপাশে দাঁড়িয়ে দেয়ালএর মত করে মারামারি ঠেকাইসিলাম।
যখন ঢাকা ভার্সিটিতে আর্মি মাইর দেয় ২০০৭ এ। আম্রা ফ্রেন্ডরা মিলে বুয়েটে রাত কাটাতে আসি। (তখনো বুয়েটে ভর্তি হয়নি)। এই ফ্রন্টের সাথেই মিছিল করসিলাম। শুধু ক্ষেপে গিয়ে।

ধুর কাকে কৈফিয়ত দিচ্ছি?! আমিও বোকা! আপনার মন্তব্যে উস্কানিত! হে হে

একজন পাঠক এর ছবি

এই পোস্ট যিনি দিসেন তিনি কিছহুই জানেন না। হয় তিনি অস্ট্রেলিয়ার নাম ইউজ করে এখান থেকেই লিখসেন বায়াসিং কথাবার্তা, নয়তো পরিবর্তিত শোনা কথা। কারণঃ
গৌতম ভাইকে মারা হইসে ডাইনিং এ না। বহু দূরের আহসানুল্লা কেন্টিনে। তিনি খাচ্ছিলেন না, ফ্রন্টের মিটিং ছিল। রনক এন্ড গং মিটিং থামিয়ে মারসে। তার আগের দিন ক্যাফেতে মামুন ভাইকে মারা হইসে। কারা মারসে বুঝতেই পারছেন। অস্ট্রেলিয়া বসে এত্ত ডিটেইলস দুর্নীতির ইনফরমেশন পাইলেন, কে কত টাকার ভাগ পায়! আমরা এখানে বসেই পাই না। সো, এটা অনুমেয় ইহা ফ্রন্টের কারো কাছ থেকে ইনফো নিয়ে লেখা। ভাইটাই নিয়ে যে গল্প ফাদলেন! আপনার ভাই হলেই থাকে না। নাহ, নট পসিবল।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি যদি এত কিছু জানেন তাহলে আপনি কেন লিখছেন না । বসে থাকবেন না সত্য টা প্রকাশ করুন ।

অতিথি লেখক এর ছবি

তাহলে কী ওনার এগুলো লীগের কারো কাছ থেকে ইনফো নিয়ে লেখা উচিত ছিল? লীগের ছেলেরা তো ঠিকই বলে বেড়ায় গৌতম একটু হাতে পায়ে ব্যাথাটেথা পাইসে, তেমন কিছু না। কে কত টাকা ভাগ পায় এইটা সত্যই জানার যদি প্রয়োজন মনে করতেন তাহলে তো এগুলো অস্ট্রেলিয়া কেন, দোজকে গেলেও কানে আসতো। আর এমনভাবে জিজ্ঞেস করলেন, মনে হইতেসে ওনার ভাই হলে যদি থাকে তাইলে বড় ভাইয়ের লেখা পোস্টের কারণে তাকে আপনারা ধরে পিটাবেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

অযথা এরকম বিষোদগার না করলে হত না! বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পরে ফ্রন্টের সাথে একমাত্র সাক্ষাত মাঝে মাঝে উনারা মাসিক ভ্যানগার্ড পত্রিকা বিক্রি করতে আসেন তখন। শুধুমাত্র নিজের মতাদর্শ প্রচার করা ছাড়া এরা আর অন্য কিছুতেই নেই। অনেক কিছুতে মতের অমিল থাকলেও ফ্রন্টের মতাদর্শকে আমি শ্রদ্ধা করি। কিছু মানুষ আছে, এরা স্বর্গে গেলেও ঝামেলা খুঁজে বেড়ায়, এদের সাথে তর্ক করার কোন মানে নেই

সাফি এর ছবি

কমিশন আর চাঁদাতো এক জিনিস না। কমিশনের টাকা আসবে কিউবি থেকে, চাঁদার টাকা আসবে ছাত্রদের থেকে। আমি কিউবি মোডেম এ চাঁদাবাজিমূলক যা শুনেছি সবই ছাত্রদের থেকে নেওয়া হয়েছে।

গোপন বার্তা! এর ছবি

কিউবি চাদাবাজি না। নেট এ লেখার স্বাধীনতা আসে বলে সবই চাপায় দেবেন, তা হয় না। আমি চাদাবাজি দিফেন্ড করতে লিখিনাই। যিনি কিউবি বুয়েটে আন্সেন, একটু খোজ নেন। তিনি নন-পলিটিক্যাল এক বড় ভাই। আমি চিনি বলেই লিখছি। বাট মিথ্যা কে সত্য বানানো উচিত হচ্ছেনা। যেহেতু নন-পলিটিক্যাল ছেলেরাও এটাতে আছে, এটা তাদের জন্যে বিব্রতকর।
দোকানদার একটা এলাকায় মোবাইলের সিম কার্ডের পোস্টার লাগায়। মানুষ সিম কিনে। সে লাভ করে। পরে আবার কার্ড বেচে। এইটা বিস্নেস। নট চাদাবাজি। আপনি মোবাইলের কার্ড কিনলে দোকান্দারের লাভটা কিন্তু আপনার পকেট থেকেই আসে। ৫০ টাকার কার্ডে কেনেন আপনি। হয়তো ৪৮ টাকা পায় কোম্পানি, ২ টাকা দোকানদার। আপনি কিন্তু মোবাইলে ৫০ টাকায় পাবেন। কিউবির কার্ডটাও সেরকমই। আর সিম কিনলে দোকান্দারের যেমন কমিশন থাকে, কিউবির মডারেটররেও থাকবে। সিম কিনলে যেমন লাভটা আপনার পকেট থেকে যায়, এখানেও তাই। বুঝতে পারসেন?
আপনি যদি বুয়েটের হন, তাহলে ব্র্যাকনেটে বসেই লিখছেন মে বি। আপনার মডারেটরের কাছে আপনি সার্ভিস পান। বিনিময়ে তার নেটবিল ফ্রি করে ব্র্যাকনেট। কিউবির কাসে যান, তারাও আপনাকে একটা এলাকার জন্যে নানান অফার দিবে।
যেহেতু নন-পলিটিক্যাল ছেলেরাও এটাতে আছে, এটা তাদের জন্যে বিব্রতকর।

গোপন বার্তা! এর ছবি

এনিওয়ে ভুলেও কিউবি মডেম কিনতে যাবেন না। আমি ধরা খাইসি। বুয়েটে কভারেজ নাই। এক ফ্রোরে এট এ টাইম একজনের বেশি লগিন করতে দেয়না। অদ্ভূত পেইন। তাদের সব কথাগুলাই মিথ্যা। তারা আগে মডেম বেচতেসে, দেন কতটা বিক্রি হলো, সেটা দেখে কভারেজ দিবে। আমি বিক্রি করে দিসি ঢাকার ফ্রেন্ডকে।

হাসিব এর ছবি

সব দল্কেই বাইর করে দিতে হবে।

পুলাপানের এইরকম অরাজনৈতিক ভুদাই মানসিকতার কারণে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগঠিত হওয়া যায় না।

দুর্দান্ত এর ছবি

ঠিক আছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

যেখানে বুয়েটের মাথাতেই ঘুন ধরেছে, এরকম ভুদাই পোলাপান ভবিষ্যতে আরো বেশি করেই আসবে।

হাসিব এর ছবি

শুধু বুয়েট না, এই চেহারাটা মোটামুটি সব জায়গাতেই। কিছু কম বা কিছু বেশি। অন্যায়ের প্রতিবাদ না হলে সেই অন্যায় আরো জেকে বসে। এইটা এইসব ছাত্রদের বোঝা উচিৎ।

গোপন বার্তা! এর ছবি

আপনার এই কমেন্টের আগেই আমি এইটা নিচে লিখসিলাম। টাইম তো কমেন্টের সাথে দেয়া থাকেই।

"এনিওয়ে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ না হইলেও অন্তত এইসব দলীয় ছাত্র-রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।
লীগ ও থাকতে পারবেনা। বাসদ-জাসদ ও পারবেনা।
ছাত্র ইউনিয়নের মতো বিশুদ্ধ ছাত্র-সংগঠন থাকতে পারে। এককালে বুয়েটে ছাত্র ইউনিয়ন ছিল। এখন বিলুপ্ত।"

এই হলো, এই অধম ভুদাইয়ের চিন্তাধারা! এই ভুদাই আরো মনে করে যে সংগঠিত হতে দলীয় রাজনীতি থাকতে হবেনা। রাজনৈতিক ছায়া ছাড়াও বিশুদ্ধ কয়েকটি ছাত্র-সংগঠন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রাজনীতি চালু রাখা যেতে পারে। এই ভুদাইরা যখন লীগকে গালি দেয় তখন সবাই সাথে আছে। আবার যদি ফ্রন্টকে কিছু বলে তখন এই ভুদাই "ভুদাই" । কারণ,
১. ফ্রন্টের সাপোর্টার।
অথবা
২. সংখ্যালঘু স্নেহ!

আমি বাজি ধরতে পারি, যদি ক্ষমতায় যায় বাসদ, তাহলে এই গৌতম, রাজন্রাই হবে রনক, ফাইরুজ। আর তখন মাইর খাবে রনক, ফাইরুজ নামের অন্য কেউ। ( আমি এক্স্যাক্ট পারসন মিন করতেসিনা। নামগুলা রূপক অর্থে) । কারণ দলীয় রাজনীতি থাকলে আমাদের দেশে ছেলেরা সেই দল করবে যেই দল ক্ষমতায়,
(কারণ : ১. ফিউচার, চাক্রি , রেফারেন্স.........
২. ক্ষমতা নিয়ে ক্যাম্পাসে চলাফেরা। )
এইটা আমাদের দেশে বহুদিন হবেই। কারণ উপরের লেভেলেই তো গলদ।

৮০ নাম্বার মন্তব্যে লিখেছেন একজন বড় ভাইয়াঃ
"ছাত্র ফ্রন্ট পত্রিকা বিক্রি করে। কিন্তু তা ভয়ে কেহ নেয় এটা চরম শত্রুও বলতে পারেনা। আর ছাত্র সংগঠন ছাত্রদের কাছে চাদা না নিয়ে গদফাদারদের টাকায় চলবে না কি? ছাত্র ফ্রন্ট যে কাজে চাদা নেয় সেই কাজে ব্যয় করলে দোষ কি?"
ছাত্র ফ্রন্ট ছাত্রদের রুমে রুমে কালেক্ট করা টাকা নিজেদের আদর্শে ব্যয় করছে। এরপর যদি ক্ষমতায় যায়, তখন বলবে, "ছাত্র সংগঠন ছাত্রদের জন্যে হলের রুম দখল না নিয়ে গদফাদারদের টাকায় চলবে না কি? ছাত্র ফ্রন্ট বুয়েট থেকে রুম নিয়ে কাজ করলে দোষ কি?"

ঠিক এই যুক্তি দিয়ে ছাত্রলীগ নজ্রুল হলে রুম নেবার পায়তাড়া চালাচ্ছে।

মোটকথা দলীয় ছাত্র-রাজনীতিতে প্রশাসন সাথে থাকে। সো প্রশাসনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোন রব তো ওঠেই না। ক্ষমতাসীন দলের একাডেমিক প্রশাসন + সেই দলের ছাত্র-কর্মীরা একে অপরের রক্ষাকর্তা হয়ে সাধারণ ভুদাইদের শাসনকর্তা হয়ে যান।
এই ব্যাপারখানা, শুধু আমার না, অনেক ভুদাইয়ের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। তাইতো ভুদাইরা মিলে ফেসবুকে একটা গ্রুপ খুলসে। আর কি আশ্বররয যে!!! আমাদের সাথে ভুদাইরা বাড়তেই আছে। আরে আমাদের স্যারেরাও যে ঢুক্তেসেন গ্রুপে!

http://www.facebook.com/nopoliticsinBUET

ইশ বুয়েটে দুয়েক্টা হাসিব্বাই থাক্তো!!!! তাহলেই তো বজ্রমুষ্ঠিতে সবাইকে আমরা রুখে দিতে পারতাম! ইশ ইশ ইশ......
আর ভাইয়া কোন রাজনৈতিক অভুদাই দলে আছেন?

হাসিব এর ছবি

ছাত্র ইউনিয়ন বিশুদ্ধ দল এটা যে মনে করে এরকম নির্বোধের সাথে শিক্ষামূলক বাতচিত চালানো সময় নষ্ট। ছাত্র রাজনীতিবিদ থেকে জাতীয় রাজনীতিবিদ বের হওয়া উচিত এই সাধারণ জ্ঞানটাও নাই আপনার। মূল সমস্যা রাজনীতির নাকি রাজনৈতিক সংস্কৃতির এইটা মাথায় নিয়ে উত্তর খোঁজার চেষ্টা নেন। রাজনৈতিক সংস্কৃতির শুদ্ধতা রাজনীতি দিয়ে আনা সম্ভব। এর অন্যথা চাপান উতর উল্টো ফল দেয়।

আর গ্রুপের কথা বলে কী বুঝাইলেন আরেকটু ঝেড়ে কেশে বলেন। বীর পুঙ্গব বুয়েটিয়ানদের (সাথে সেইখানকার অবস্থান নিতে অক্ষম শিক্ষকসমাজ) অরাজনৈতিক ভুদাই গ্রুপে জয়েন করাটারে ঐ প্রতিষ্ঠানে ভুদাইয়ের সংখ্যা কত বেশী সেইটার পরিচায়ক হিসেবে তরজমা করলাম। এই ধরণের অভ্যাস আছে বলেই ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে ক্যাম্পাস হওয়া সত্ত্বেও জাতীয় রাজনীতিতে বুয়েটের তেমন কোন অবদান মনে করতে পারি না।
পি.এস. আমি কোন দলে নাই রে ভাইটু। তবে যেইসময়টা ইউনিভার্সিটিতে পড়তাম রাস্তায় নেমে লীগ দল পুলিশের পিটা খাইয়াও অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি। এইরকম নামধাম লুকিয়ে ইংরেজি বাংলা মিশিয়ে ইউনিয়ন ভালো আর সব রাজনৈতিক দল খ্রাপ এইরকম প্রলাপে অংশ নেই নাই। পারলে রাস্তায় নামেন। এইভাবে নামধামের লিস্টি করে কিছু হবে না। এরা গেলে এদের মতোই আরেক দল আসবে।

গোপন বার্তা এর ছবি

"ছাত্র ইউনিয়ন বিশুদ্ধ দল এটা যে মনে করে এরকম নির্বোধের সাথে শিক্ষামূলক বাতচিত চালানো সময় নষ্ট।"

ছাত্র-ইউনিয়ন কোন রাজনৈতিক দলের ছাত্র-সংগঠন জানতে মন চায়। আমার চাচা তিতুমির হলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ছাত্র ইউনিয়ন থেকে। ওনার কাছে বিস্তারিত জেনেছিলাম তখনকার রাজনীতি নিয়ে।

আরেকজনকে নির্বোধ ডেকে আলোচনার সমাপ্তি করে তৃপ্তির ডিগবাজি খাওয়া বেশ সহজ। আমার লাস্ট কমেন্টের শেষে "আপনার মতো মূর্খের সাথে তর্কের মানে নাই" লিখে দিলেই যেমন ডিগবাজিটা আমার ছিল। :(

"মূল সমস্যা রাজনীতির নাকি রাজনৈতিক সংস্কৃতির এইটা মাথায় নিয়ে উত্তর খোঁজার চেষ্টা নেন। রাজনৈতিক সংস্কৃতির শুদ্ধতা রাজনীতি দিয়ে আনা সম্ভব। এর অন্যথা চাপান উতর উল্টো ফল দেয়।"

"আমি কোন দলে নাই রে ভাইটু। তবে যেইসময়টা ইউনিভার্সিটিতে পড়তাম রাস্তায় নেমে লীগ দল পুলিশের পিটা খাইয়াও অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি। "

ভাইয়া পিটা খাইয়া কি শুদ্ধতা আন্সিলেন কোন ক্যাম্পাসে আমার জানতে ইচ্ছা করে। 'মূল সমস্যা রাজনীতির নাকি রাজনৈতিক সংস্কৃতির' সেই তর্ক কোত্থেকে আস্লো? এইসব তাত্ত্বিক তর্ক তো আমি স্কুলেই করে আসছি ভাইয়া। সংস্কৃতির ঠিক হবার গ্যারান্টি নাই, এট লিস্ট ক্যাম্পাস তো আগে বাচাও! আর নিজ দলের সংস্কার কে কবে করসে (রাজনৈতিক) দল্গুলাতে? তার চেয়ে অরাজনৈতিক ছাত্র-সংগঠন ভাল ভুমিকা রাখতো। সেখানে ছাত্ররা নিঃসন্দেহে কোনো স্বার্থের লোভে ঢুক্তো না। ওঃ সরি, আমি তো ভুদাই। ভাইয়া তো ভুদাইদের সাথে তর্ক করেন না।
তবে ভাইয়া, জানেন কিনা? আপনার মত নিরাপদ দূরত্বে থেকে সুন্দর বাংলা লিখে নিজেকে টিপু সুলতান জাহির করা অনেক সোজা। নয়লে আপনার মতো ৪-৫ টা হাসিব্বাই আমাদের পুরো ইউনিভার্সিটিতে নাই, বিশ্বাস করিনা। নিজের ফ্যান্টাসিতে নিজেকে নায়ক ভাবতে আমরা সবাই ভালবাসি। এই ভার্সিটিতে আসলে দেখতাম ভাইয়া কেমন সুলতাঙ্গিরি করতেন!
আমাদের তো স্যারেরাসহ সবাই গ্রুপে জয়েন করতেসে। ইশ প্রতিবাদ করার সীমা আমাদের কত ক্ষুদ্র!!!! ইশ ইশ ইশ সৃষ্টিকর্তা কয়েকখান হাসিব্বাই প্রেরণ করে যদি আমাদের এই দুর্দশা থেকে উদ্ধার করিতেন, তাহলে যুগে যুগে হাসিব্বাইদের নাম জপে জপে আমরা ডিগবাজি খাইতাম।

"ইরকম নামধাম লুকিয়ে ইংরেজি বাংলা মিশিয়ে ইউনিয়ন ভালো আর সব রাজনৈতিক দল খ্রাপ এইরকম প্রলাপে অংশ নেই নাই। "

ভাইয়া, আমি লেখক+টিপু সুলতান+রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বসম্পন্ন+অসীম সাহসী+ প্রখর বুদ্ধিমত্তার অধিকারী কোন সুবোধ না। খুব সাধারণ নির্বোধ। আমি বুয়েট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে দেখেই কিছু ফ্যাক্ট জানাতে বসছি। ভাইয়া আমি যেভাবে কথা বলি, সেভাবেই লিখে ফেললাম। সাধারণ অনেক ছেলের মত আমিও পুরোপুরি বাংলায় কথা বলতে পারিনা, বেশ কিছু ইংরেজী শব্দ কথায় চলে আসে, সরি, থাঙ্ক্ইয়ু টাইপ আর কি। তবে লেখার ক্ষেত্রে পুরোপুরি বাংলা লেখাই উচিত মনে হয়, দেখতে অনেক ভাল লাগে। অভ্যাস নেইতো লেখার তাই গুছিয়ে, সুন্দর করে লিখতে পারছিনা। ইংরেজী বাদ দিয়ে লিখবো।
"ইউনিয়ন ভালো আর সব রাজনৈতিক দল খ্রাপ" এইটা কবে বললাম ভাইয়া? মানে, আপনি না একটা কার্টুন!!!! সবই চাপায় দিবেন নাকি? বলেছি ইউনিয়নের মতো (আমি জানি তারা ছাত্র-সংগঠন, অরাজনৈতিক না, রাজনৈতিক তবে দলীয় না) রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন থাকতে পারে। কিন্তু সরকার বা বিরোধী রাজনৈতিক দল্গুলোর নিজস্ব ছাত্র-সংগঠন ক্যাম্পাসে না থাকুক (বাইরে থাকুক) ।

ভাইয়া আপনি আর বুয়েটের সবাইকে ভুদাই ডাকার দরকার নাই। আপনি ফ্যান্টাসিতে রক্ত ঝরিয়ে লড়াই করে যান আপনার। আমরা ভুদাইরা একটু চিল্লাফাল্লা করে দেখি! আর আমি এখানে হয়তো কয়েকজনের কাছে অগ্রহণযোগ্য হচ্ছি। জুনিয়রদের ফ্রন্টের পেইন দেওয়া, ব্রেন ওয়াশ করা নিয়ে লিখাটাও দরকার ছিল। বাপ-মা পড়তে পাঠায়, সেখানে ব্রেন ওয়াশ করে করে ছেলেগুলাকে ভবঘুরে, ভিন্নধারার বাউন্ডুলে পড়ালেখা থেকে দূরে সরানোর চেষ্টারারও সমালোচনা করার প্রয়োজন আছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

বাপ মায়ের স্বপ্ন যে বুয়েট নিয়ে সে বুয়েটের আজ কি বেহাল রাজনৈতিক অবস্থা! ভাবতেই খারাপ লাগে। :(

Ochatro  এর ছবি

লেখা এবং কমেন্ট গুলো পড়লাম । বুয়েট যে এত খারাপ জায়্গা তা জানতে পারলাম। নিজেরাই নিজেদের কে এত খারাপ বলছেন আপনারা । ফেইস বুকে স্ট্যাটাস দিতেও নাকি ভয়। ভাল লাগল বুয়েটের ঘরের খবর জেনে। কয়েক টা অভিমত পড়ে আমার হাসিই পেল। বুয়েটে যারা আসে তারা সব সময় বাবা মার কাছ থেকে এত আদর পায় যে নিজেরা আর মাথা তুলে কথা বলতেই পারে না। ভালই জানলাম । আরেকটা কথা, বুয়েটের ছেলেরা যে নিজেরা নিজেরা প্রকাশ্যে কামড়া কামড়ি করে তার প্রমান তো এখানেই ।

অতিথি লেখক এর ছবি

জেনে আমাদেরকে ধন্য করেছেন। আপনি যে কষ্ট করে জেনেছেন সেজন্য আমরা বুয়েটিয়ানরা আপনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই চ্যাতেন কেন? জানানের জন্যেই ত লিখেছেন। জানলাম। কষ্ট খুব একটা হয় নাই জানতে। আপনারা তো খলাখুলি ভাবেই লিখেছেন।
তবে একটা কথা না বলে পারতেসি না। এক মাত্র বুয়েটের পলাপাইনেরেই দেখি নিজেদের ইনস্টিটিউট নিয়ে এত কমপ্লেইন করতে। পারেন ও আপনেরা।
খালি নাকি গলায় কমপ্লেইন।

সজল এর ছবি

নাকি গলায় কমপ্লেইন করলেও বুয়েটিয়ানরা এখনো বুয়েট নিয়ে কথা বলছে কারণ বুয়েট সংশোধনের অযোগ্য হয়ে যায়নি, তারা এখনো ভাবছে বুয়েটকে নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব। যেদিন বুয়েট পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে, তখন বুয়েটিয়ানরা এসব কথা বলা বন্ধ করে আলু পুড়িয়ে খাওয়ার মতলবে অন্য কোন ভার্সিটিতে আগুন লাগার জন্য আপনার মত তক্কে তক্কে থাকবে।
আমি নিশ্চিত, বুয়েটিয়ানরা আপনাকে হাসির যোগান দিতে পেরে ধন্য হয়েছে। সবকটা দাঁত বের করে হাসতে থাকুন।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অতিথি লেখক এর ছবি

ছিঃ! কি যে বলেন। আপনার মত লোক যারা অন্যের পোঁদে আঙ্গুলি প্রবিষ্ঠ করার জন্য সর্বদা তৈরী থাকে, তাদের উপরে বুয়েটের পোলাপাইনের খেপার যোগ্যতা আছে নাকি! অন্যের পোঁদে আঙ্গুলি প্রবিষ্ঠ করার মত নীচ তো সবাই হতে পারে না।
সালাম গুরু, আপনাকে সালাম

অতিথি লেখক এর ছবি

মুখ খারাপ করার মতো কিছু লিখি নাই আমি। আপনাদের জানা উচিত এক্জন আউট সাইডার এ কাছে লিখা গুলির কি ইম্প্রেশন হতে পারে।
যাই হোক। এখানে যে নন বুয়েট নট ‌এ্যলাউড সেটা জানলাম।
সালামের উত্তরে ওয়ালাইকুম সালাম।

হাসিব এর ছবি

কোন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট থাকলে সেইটা বলেন। বুয়েট নিয়ে ক্ষোভ উদগীরণের জন্য এই পোস্ট দেয়া হয় নাই বলে আমার বিশ্বাস।

অতিথি লেখক এর ছবি

মডারেটরদের অনুরোধ করব, এরকম বিদ্বেষপুর্ন মন্তব্য পাবলিশ না করতে। এসব মন্তব্যের কারনে আলোচনা অন্যদিকে ঘুরে যায়

অতিথি লেখক এর ছবি

এটি বিদ্বেষপুর্ন লেখা ভাবলে ভুল করবেন। আপনারা যারা সমাধান খুজছেন, তাদের বলছি, প্রাইভেট University গুলোতে কেন পলিটিক্যাল দল প্রভাব ফেলতে পারে না সেইটি খুজে দেখুন।

শামীম এর ছবি

এগুলোর পেছনে প্রশাসনিক প্রশ্রয়ের ব্যাপারটা একটা মূল চালিকাশক্তি। এই ব্যাপারে প্রথম আলোতে একটা মৃদু রিপোর্ট করেছিলো -- আসল ঘটনা আরেকটু গা শিউরানো রকম। তবে বুয়েটের ভেতরে সকলে একইরকম না। এ্যাতদিনের সম্মান ধুলায় মিশায় যেতে দেবে না কেউ।

এই প্রসঙ্গে একটা তথ্য: এর আগে বিএনপির সময়ে শাহজাহান স্যার প্যানেলের ৮ নম্বর সিরিয়াল থেকে ভিসি হলেও উনি আসলে ছিলেন সবচেয়ে সিনিয়র। মাঝখানে একবার চাকুরী ছেড়ে কয়েকবছর ইরাকে কাজ করে এসেছিলেন বলে হিসাবের মারপ্যাচে জুনিয়র হয়ে গিয়েছিলেন। এবার নজরুল স্যার কতজনকে টপকে হয়েছেন ভাবতেই অবাক লাগে।

আরও অবাক লাগে যে, বুয়েটের নিয়মাবলীতে লেখা আছে - "চ্যান্সেলর সাহেব ভিসি নিয়োগ করবেন।" --- শিক্ষকদের মধ্য থেকে করতে হবে বা সিনিয়রিটি মেনে করতে হবে এমন কোন ধারা-উপধারা নাই। উনি যদি একজন মুদি দোকানদারকেও এনে ভিসির পদে বসিয়ে দেন তবুও আইন ভঙ্গ হবে না!!!

প্রো-ভিসির খুব একটা দরকার বুয়েটে ছিল কিনা সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ ব্যাপার। হাবিবুর রহমান স্যার (=প্রোভিসি), অ-নে-ক জুনিয়র। উনি স্পেশাল গ্রেড প্রফেসর নন - সচিবের সমপর্যায়ে এমন অন্তত ৪০ জন সিনিয়র প্রফেসর আছেন বুয়েটে। এমনকি ডিপার্টমেন্টের হেড হতেও ওনার আরও দশ বছর লাগবে। ডিন আরও পরে। অথচ এখন উনি সমস্ত ডিন বা হেডদের উপরে খবরদারী করছেন। প্রথম আলোর খবরে আরও কিছু জানবেন।

এরপর আসে তথাকথিত বঙ্গবন্ধু পরিষদের চেয়ারম্যানকে রেজিস্ট্রার বানানোর চেষ্টা। -- সেই কামাল সাহেবই নাটের গুরু বলে মনে হয়। খবর দেখুন।

এইসব ভয়ংকর ব্যাপারগুলো আড়াল করতেই লীগকে বাড়াবাড়ি করতে দিয়ে ছাত্রদের মধ্যে এমন গ্যাঞ্জাম পরিকল্পিতভাবেই ছড়ানো হয়েছে কিনা সেটা আলোচনার মূলে আসতেই পারে।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

বুয়েটের এসব নিয়ম-কানুন সম্পর্কে সাধারন ছাত্ররা প্রায় অজ্ঞ। এধরনের নিয়ম-কানুন থাকলে যে কোন প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি হতে বাধ্য। কেউ কি পারবেন এসব নিয়ম-কানুন নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট দিতে

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইয়া বুয়েটের নিয়মাবলী বা অধ্যাদেশ টা কোথায় পেতে পারি জানাবেন কি ?

শামীম এর ছবি

আমিও জানি না। প্রাইভেট ভার্সিটিতে শিক্ষকতা করি বলে কলিগ হিসেবে বুয়েটের সিনিয়র শিক্ষকগণকেও পাই। বন্ধুমহলেও বুয়েটের শিক্ষক আছেন। নিয়মাবলীগুলো এবং বাকী তথ্যগুলোর উৎস ওনারাই। এর বেশি ঝেড়ে না কাশাই ভাল হবে - কারণ বিরূদ্ধপক্ষের কাছেও এই মন্তব্য উন্মুক্ত।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেকেই বুয়েটের অধ্যাদেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন । বুয়েটের অধ্যাদেশ সাধারন ছাত্ররা জানেনা । কিভাবে পাব তাও জানি না । ওয়েবপেজ ঘেটে কিছু পাচ্ছি না । তবে টেন্ডার নোটিশ দেখা যায় । এই তালিকা টা দেখতে পারেন । তবে টেন্ডার কাকে দেওয়া হচ্ছে সেইটা কোথাও প্রকাশ করা হয় না ।
[url= http://www.buet.ac.bd/?page_id=211]BUET TENDER NOTICE[/url]

ঝঞ্জাট  এর ছবি

সচিবের সমমর্যাদা সম্পন্ন প্রফেসসর বলতে শামিম ভাই কি বুঝাইতে চাইলেন , সচিবের সমান বেতন স্কেলে বেতন পান এমন কিছু . কারণ আমার জানা মতে আগে VC সচিবের সমমর্যাদা সম্পন্ন থাকলেও এখন আর তা নাই . প্রফেসসর হয়ে তো সচিবের সমান মর্যাদার প্রশ্নই আসে না . যদিও বেতন স্কেল এক .

শামীম এর ছবি

মুছিতব্য

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

শামীম এর ছবি

বেতন স্কেলের কথাই বোঝানো হয়েছে।
মর্যাদার ব্যাপারটা বাদ দিতে পারেন। ;)

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

মোশাররফ হোসেন ... এর ছবি

ছাত্র ফ্রন্ট পত্রিকা বিক্রি করে। কিন্তু তা ভয়ে কেহ নেয় এটা চরম শত্রুও বলতে পারেনা। আর ছাত্র সংগঠন ছাত্রদের কাছে চাদা না নিয়ে গদফাদারদের টাকায় চলবে না কি? ছাত্র ফ্রন্ট যে কাজে চাদা নেয় সেই কাজে ব্যয় করলে দোষ কি?

অতিথি লেখক এর ছবি

ব্যক্তিগত সম্পর্কের খাতিরে অনেকেই চাঁদা দেওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করতেই পারে, সেটাকে ছাত্রলীগের কাজের সাথে তুলনা করাটা হাস্যকর।
আসলে চাঁদা শব্দটা এখানে ইউজ না করাই উচিত। চাঁদা বলতে আমরা সেটার খারাপ অর্থটাই আগে ভাবি। চাঁদা তোলার কথা শুনলে অনেকেই চাঁদাবাজির কথা ভাবতে পারেন।

গোপন বার্তা! এর ছবি

সমস্যা আছে। আপনার ইচ্ছা আপনি করেন সেই কাজে ব্যয়। আপনার টাকা নিয়ে করেন। কর্মীদের টাকা নিয়ে করেন। সাধারন ছাত্রদের থেকে টাকা তুল্বেন কেন? তারা যদি আপনার আদর্শে চলতো, তাদের রুমে রুমে তো যেতে হবেনা। টাকার একটা বাক্স রাখেন। টাকা পড়বে। ভয়ে টাকা দিতাম আমি বলিনাই। তবে যেভাবে চেপে ধরতেন, টাকা পকেট থেকে বের না করলে রুম থেকে যেতেন???? ভাঙ্গার্ড তো বাদই দিলাম। ২ টাকার ঐ পত্রিকা জোর করেই গছানো হতো। ২ টাকা ভাংতি নাই, বল্লেও নিতে হতো। বলতেন, রুম্মেট থেকে নিয়ে দাও। অনেস্টলি, ঐ পত্রিকা কয়টা ছেলে নেবার পর পড়ে? ১% ও না।
গ্যাস, তেল রক্ষা............ যে সেমিনারটা হইসিল শহিদ মিনারে তার আগের দিন রাতে টাকা তুলসিল তারা। আমাকে রুম্মেট ভাইয়া বলসিল," তুই তো ১০০ টাকা দিবি।" লজ্জায় পরে ৫০ টাকা দিসিলাম। বাট আই ডোন্ট সাপোর্টেড ইট।
এনিওয়ে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ না হইলেও অন্তত এইসব দলীয় ছাত্র-রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।
লীগ ও থাকতে পারবেনা। বাসদ-জাসদ ও পারবেনা।
ছাত্র ইউনিয়নের মতো বিশুদ্ধ ছাত্র-সংগঠন থাকতে পারে। এককালে বুয়েটে ছাত্র ইউনিয়ন ছিল। এখন বিলুপ্ত।

একজন পাঠক এর ছবি

এখানে বর্তমান অনেক জুনিয়র(আমার থেকে) বুয়েটিয়ান কমেন্ট করছে বুঝতে পারছি। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে করা বেশিরভাগ অভিযোগই সত্য, তবে এখানে যেটা লক্ষ্য করছি অনেকেই অনেক ঘটনার অতিরঞ্জন করছেন, অথবা অন্যের মুখে শোনা কাহিনী জানাচ্ছেন। আমার একজন খুব কাছের বন্ধূ এককালে ছাত্রলীগ করতো কিন্তু কান্ডকীর্তি দেখে বীতশ্রদ্ধ হয়ে দূরে সরে এসেছে। কাজেই সেই সুবাদে অনেক কিছুই জানি। তাই দয়া করে অযথা ডাইনিংয়ে দুই কাপ নেওয়া, কিউবির মডেমের চাদাবাজি ইত্যাদি ট্রিভিয়াল কিংবা ভুল ইনফর্মেশন দিয়ে মানুষজনকে বিভ্রান্ত করবেন না।

অভিযোগ করলে করুন ছাত্রলীগের পোলাপান এবং শিক্ষকেরা বুয়েটের বাঁধন, সেবা, মুর্চ্ছনারে মতো অরাজনৈতিক সংগঠনগুলোতে ইনফিলট্রেট করবার চেষ্টা করছে সেটা নিয়ে, বা হলের ফাংশন আয়োজনের দখল নিয়ে যে গুটিবাজি চলছে তা নিয়ে লিখুন। বুয়েটে যখন প্রথম আসি তখন এমনও রুম দেখেছি যেখানে তিন রাজনৈতিক দলের তিনজন একসাথে থাকতো হাসিঠাট্টা করতো ... কিন্তু এখন মনে হয় আবার অন্ধকার যুগ ফিরে আসছে। সনি আপুর মতো আরেকজন প্রাণ না দেওয়া পর্যন্ত এরা থামবে বলে মনে হচ্ছে না।

অতিথি লেখক এর ছবি

যে যা জানেন এখানে তাই শেয়ার করছেন। কারন মুখ খোলার মত অবস্থা নেই। তাই অযথা কি ট্রিভিয়াল কি ট্রিভিয়াল না, সেটার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমরা কিভাবে এদের রুখতে পারি

অতিথি লেখক এর ছবি

যে যা জানেন এখানে তাই শেয়ার করছেন। কারন মুখ খোলার মত অবস্থা নেই। তাই অযথা কি ট্রিভিয়াল কি ট্রিভিয়াল না, সেটার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমরা কিভাবে এদের রুখতে পারি

(Y)

অতিথি লেখক এর ছবি

আরেক সোনার ছেলে রিদুয়ান সাইদ রানা

একজন পাঠক এর ছবি

আমার একটা অনুরোধ, যারা যারা চিহ্নিত ছাত্রলীগ গুন্ডা, বিশেষ করে যাদের নাম মন্তব্যগুলোর মধ্যে উঠে এসেছে, তাদের ছবি অথবা ফেসবুক একাউন্ট যেন এখানে শেয়ার করা হয়। তাহলে এদেরকে চিনে রাখতে সুবিধা হবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ফ্রন্ট আবার কবে এত শক্তিশালি হল বুয়েটে ? আমাদের সময় তো প্যানেল দিতে যেই কয়্জন লাগে সেই কয় জনই ছিল ঐ দলে। আরেকটা কথা ছাত্র দল কি এখন একেবারেই অস্স্তিত্বহীন নাকি? আমাদের সময় তো অধিকাংশ ঘটনার লিডে থাকত ছাত্র দল, লায়ন আর তার সংগের ছেলেরা। লীগ তো একেবারে কোনঠাসা ছিল। তবে ইউকসু নেতারা খুব খারাপ ছিল না। লীগ বা দল সবাইকেই টিউশনি করে খরচ চালাতে দেখ্তাম।
দিন বদ্লাচ্ছে আরকি। একটা প্রশ্ন, বুয়েটে যারা পড়তে আসে তারা তো সবাই ভরতি এক্জাম দিয়েই চানস পায় নাকি ব্যাক ডোর আছে ?

অতিথি লেখক এর ছবি
আসমানী-মডু এর ছবি

প্রিয় অতিথি লেখক,
আপনার এই লেখাটিকে ক্রিটিসিজমের চেয়ে ব‌্যক্তি কুৎসা বলে বেশী মনে হচ্ছে। আপনি আলোচ্য ব্যক্তির যে কয়টি ব্যাপার চিহ্নিত করেছেন:
১। শিবির থেকে ছাত্র লীগে বদল
২। 'শ' এর সাথে প্রেম (অপ্রয়োজনীয়)
৩। বিভিন্ন জায়গায় প্রেমের সন্ধান (অপ্রয়োজনীয়)
৪। বুয়েটের ক্যাম্পাসে মেয়েদের সাথে ধ্বস্তাধ্বস্তি (আরো বিস্তারিত ভাবে)
৫। ব্যার্থ প্রেমিকাকে রুমে আটকে রাখা

এই লেখা থেকে ব্যক্তিগত ব্যাপারগুলো সরিয়ে, আরো পাকাপোক্ত তথ্য প্রমান সহ আবার লেখা জমা দিন। এই লেখাটি আমরা মডারেশনের আওতায় নিচ্ছি। দুঃখিত।

অতিথি লেখক এর ছবি

১, ৩ এবং ৪ পুরোটুকুই সত্যি। ২ এর ব্যাপারটা সত্যি মিথ্যা যাই হোক, সেটা ব্লগে প্রকাশ করা সম্পুর্ন অনুচিত। ৫ এর ব্যাপারে কিছু জানি না

একজন পাঠক এর ছবি

এখানে ব্যক্তিগত ব্যাপার কোনগুলো - ???
শ' এর সাথে প্রেম (অপ্রয়োজনীয়)--কোন প্রেক্ষিতে- যেখানে সবসময় আমরা তাকে শ এর সাথেই সবাই ক্যাম্পাসে দেখে আসছে??
বিভিন্ন জায়গায় প্রেমের সন্ধান (অপ্রয়োজনীয়)--সেটা সে করে বেড়াচ্ছে এবং যার প্রেক্ষিতে এই ঘটনার ঊত্থান??
তথ্যপ্রমাণ বলতে কি দিতে হবে তা-মেয়েটাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে তার ছবি, ভয়েস রেকর্ড- জানালে খুশি হব??
এই উপরের লেখার কোন বিষয়গুলো প্রমাণ করা হয়েছে তা বলবেন কি??? সবাই আমরা যা দেখে এবং শুনে আসছি তাই জানাতে চেষ্টা করছি...।।
বুয়েটের ক্যাম্পাসে মেয়েদের সাথে ধ্বস্তাধ্বস্তি- যেটুকু ঘটেছে তা আরো বাড়িয়ে লিখতে হবে...।। যেটুকু দেখা তাই লিখেছি...।
আমিও দুঃখিত...।। আপনাকে দুঃখিত করতে পেরে...।।

অতিথি লেখক এর ছবি

"শ" এর ব্যাপারটা না লিখলেও পারতেন। মোকাম্মেল বুয়েটে আসার আগে শিবির ছিল, এটা নিশ্চিতভাবে জানে চিটাগং এর সবাই। জোর জবরধ্বস্তির কথাও পুরাপুরি সত্যি, কয়েকজন প্রতক্ষ্যদর্শী আছেন। আর গেস্ট রুমে আটকে রাখার ব্যাপারটা এই প্রথম শুনলাম, তবে মোকাম্মেলের মত ছেলের পক্ষে কিছুই অসম্ভব না

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লিখার অনেকাংশ সত্যি, কিন্তু "শ" এর ব্যাপারটি প্লিজ বাদ দিয়ে লিখাটি দিন, সেটা সবার জন্য ভালো হবে। সবাই জানুক।
মডারেটরের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, প্রমান দেওয়ার মত রিস্ক কেউ কি নিতে চাইবেন! যেখানে ছাত্ররা শেয়ার করতে ভয় পাচ্ছে, সেখানে প্রমান দেওয়ার মত অবস্থা কি আছে?

একজন পাঠক এর ছবি

বুয়েটের অবস্থা আশনংকাজনক মনে হচ্ছে।

মোশাররফ হোসেন ... এর ছবি

@ গোপন বার্তা,
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ রক্ষা বা কয়লা সম্পদ নিয়ে সেমিনার কি ছাত্র ফ্রন্ট এর দলগত কোন এজেন্ডা? এ বিষয়ে সেমিনার বা আন্দোলনে আপনি টাকা দিয়ে যে অভিযোগ তুললেন তাতে উৎকণ্ঠিত হলাম। কারণ, ছাত্রাবস্থায় যে মনোভাব ধারণ করছেন তা দেশের স্বার্থ রক্ষায় কোন ভূমিকা না রেখে বহুজাতিকদের ধামাধরা হওয়ার আশঙ্কা জাগায়।
বুয়েটে ছাত্র ইউনিয়ন কিন্তু ছাত্র ফ্রন্ট বা অন্য বামপন্থী সংগঠনের সাথে অনেক আন্দোলন করেছে। এমনকি ২০০২ সালে ইউকসুতে নির্বাচিত বার্ষিকী সম্পাদক মুমুকে ছাত্রদল অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলে ছাত্র ফ্রন্ট তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। ছাত্রদল লাগাতার হামলা চালিয়েও সাধারণ ছাত্রদের কণ্ঠ বন্ধ করতে পারেনি।
ছাত্র ফ্রন্ট শক্তিশালী থাকলে সাধারণ ছাত্রছাত্রী এতটা অসহায় বোধ করতো না।
আর একটা পত্রিকা কিনে পড়া না পড়া ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু যারা কিনবেন তা পড়ার আগ্রহ না পেলে তা হয়তো যারা বিক্রি করছেন তারা ভেবে দেখবেন। কারণ পড়ার জন্যই তো সেটা ছাপানো হয়। আর পড়ার সময়, টিউশনির সময়, আড্ডার সময় থেকে যে সময় দিয়ে যারা পত্রিকা বিক্রি করেন তার বিনিময়ে আপনার মতো কারো টিটকারিও তাদের সইতে হচ্ছে।
ভেবে দেখবেন, তারপরও এরা এ কাজ কেনো করে?

নর্থপোল এর ছবি

কেন যে করে তা আসলেই রহস্য। তারা ইংগ-মার্কিন কর্পোরেট প্রতিপক্ষ না কি জানি থেকে দেশের তেল গ্যাস বাচানোর জন্য কত কিছু করে। ছোট ভাইদের কাছ থেকে চেয়ে চিনতে টাকা (দূর্জনেরা বলে চাঁদা) নিয়ে মিটীং করে। আবার এই শ্রেনী সংগ্রামের রক্ত সৈনিকেরাই আবার মার্কিন ভিসার জন্য হা পিত্যেশ করে মরে।

আমার রুম্মেট ছিলেন ইউনিয়নের বিশাল নেতা। যাকে বলে রীতিমত সাধারন সম্পাদল টাইপ পদে (সঠিক পদ এখন মনে নাই, বছর দশেক আগের কথা)। ৯/১১ এর পরে তখন মার্কিন ভিসার ম্যালা কড়াকড়ি। ভিসা না পেয়ে তার মলিন মুখ দেখে আমারই মায়া হোত। শেষে সোনার হরিন হাতে পেয়ে এখন মার্কিন সম্রাজ্যের কর্পোরেট কামলা। সারা দিন খেটে খুটে রাতে বাসায় এসে ছেলে মেয়েদের মনে হয় গল্প করেন এককালে দেশের তেল গ্যাস রক্ষার জন্য কত ত্যাগ স্বীকার করেছেন।

তাই আমার মনে হয় কেন এরা এত কস্ট করে দুটাকার পত্রিকা গছানোর চেস্টা করে? যাতে এক্সময় লোকদেখানো বলতে পারেন যে বয়স্কালে কত কি উদ্ধার করেছেন? বুয়েটে যত ন্যায় ও সত্যের পক্ষে আন্দোলন হয়েছে, যাতে সাধারন ছাত্ররা সতঃস্ফুর্তভাবে অংশ নিয়েছে, তার জন্য কোন ফ্রন্ট বা ইউনিয়নের দরকার ছিল না, পরবেও না। আপনারা আপনাদের ধান্দাবাজী নিয়া দূরে থাকেন।

দেখছি তো তথাকথিত বাম ধারার রাজনীতি। মেনন সাহেব নাকি এক ভিকারুন্নেসা দিয়ে কোটিপতি। ইনু সাহেব এখন ক্ষমতায় গিয়ে হাসিনার আচলের নিচে। যে যায় ক্ষমতায় যেই হয় রাবণ। ছ্যাঃ

একজন পাঠক এর ছবি

উপ্রে দেখেন নাই লিখেছে এরা সব আনস্মার্ট পোলাপান কাজ না পেয়ে এসব করে...।। যে বলতে পারে-
আগ্রাসনের মারে বাপ। ইন্ডাস্ট্রিয়ালের মারে বাপ। তাকে আপনি দেশ ভাবনার কথা বলেন????

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।