সচলায়তনের যারা নিয়মিত পাঠক অথবা যারা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখেন তারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন বুয়েট এ ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ন্যক্কারজনক মারামারিগুলো নিয়ে। এর পেছনে কারা আছে তা কমবেশি সবাই জানে। কিন্তু সমস্যা হলো প্রশাসন এদের পক্ষে বিধায় আইনগত ভাবে এদের কিছু করা আপাতত সম্ভব নয়।
এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে কোনভাবেই বুয়েট এর সম্মান বাঁচানো সম্ভব হবে না। অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাবে যদি সাধারন ছাত্রদের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের প্রতিরোধ গড়ে না উঠে। আমরা হয়ত সরাসরি কিছু করতে পারব না। কিন্তু আমাদের সবার লেখার শক্তি আছে। আমরা হয়ত তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি কিছু বলতে পারবনা, কিন্তু তাদের কুকীর্তি গুলো ত অবশ্যই ফাঁস করতে পারি, পারি তাদের পরিচয় সবার সামনে তুলে ধরতে। আমরা যারা প্রাক্তন বুয়েটিয়ান, তারা এই ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদেরকে চিনতে চাই।
আমার এ লেখটার উদ্দেশ্য খুবই সাধারন। বুয়েটের সত্যিকার সাধারন ছাত্র যারা তাদের কাছ থেকে এদের কুকীর্তির সত্যিকারের বিবরন চাই। এদের পরিচয় বিশদভাবে জানতে চাই। গত কয়েকদিনের আলোচনা গুলো থেকে অনেকের পরিচয়ই জানা গেছে। আরও যারা আছে তাদেরকেও চিনতে চাই।
কাজটা খুবই সহজ। আপনাকে শুধু এই ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের পরিচয় এবং তাদের কুকীর্তি সম্পর্কে যা যা জানেন তা এখানে নির্ভয়ে জানাতে হবে। সচলায়তন একটি মুক্ত প্লাটফর্ম। এই ব্লগ এ কমেন্ট এর মাধ্যমে আপনারা পারেন আমাদেরকে এই তথ্যগুলো দিতে। দয়া করে কেউ ভুল তথ্য দিবেন না। তবে কেউ কিছু জানলে তা লুকবেনওনা। তারপর এদের পরিচয় ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে। আর কিছু হোক না হোক, যদি মানুষের বাচ্চা হয়ে থাকে, অন্তত লজ্জাটুকু থাকবে।
মন্তব্য
রণক আহসান (০৪)- সি এস ই ডিপার্টমেন্ট।
তিতুমীর হলের সামনে গেলেই তার নামে টাঙ্গানো বড় ব্যানারটি চোখে পড়বে । ছাত্রফ্রন্টের উপর তার নেতৃত্বেই হামলা চালানো হয় ।বর্তমানে বুয়েট ছাত্র লীগের শীর্ষ নেতাদের একজন। হলে নিজে একটি রুম দখল করে থাকেন । ঐ রুমের জুনিয়রদের বের করে দিয়েছেন বহু আগেই । তার ভয়ে তিতুমীর হলের কেউ লীগের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কিছু বলার সাহস পায় না । উনার বহু আগেই বুয়েট থেকে বের হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও কোন খুটির জোরে হল দখল করে রেখছেন সেইটাই রহস্য।
ফায়রুজ (০৬) - সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট : ছাত্রলীগের মদদদাতা মুনাজ আহমেদ নূর স্যারের স্নেহধন্য ছাত্র। ফুটবল বিশ্বকাপের সময় মারামারির মূল হোতাদের একজন । ঐ সময় সে ০৫ ব্যাচের হাতে ক্যাফের সামনে মার খেয়েছিল। ক্লাশ বন্ধ করা নিয়ে সে ০৫ ব্যাচকে হুমকি ও গালিগালাজ করেছিল বলে কথিত আছে । বর্তমানে লীগের আগ্রাসী ভূমিকার অন্যতম নায়ক ।
মোকাম্মেল (০৬ )- তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর এবং তা হল নারীঘটিত অভিযোগ তবে অভিযোগের পক্ষে এই মুহূর্তে যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত না থাকায় এই মূহুর্তে বিস্তারিত বলছিনা।
আরো অনেক কিছুই শুনেছি তবে তথ্য প্রমাণ ছাড়া কিছু বলতে চাই না এই মূহুর্তে।
মোকাম্মেলের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ সত্যি এবং তার প্রতক্ষ্যদর্শীও অনেকে আছেন। তবে ১ট সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। ক্ষমতা আর নারীপ্রীতি ২টার জন্যই মোকাম্মেল সুপরিচিত
প্রত্যক্ষদর্শী কেউ কি জানাবেন এখানে?
EEE ডিপার্টমেন্টের (খুব সম্ভবত, সিউর না) ১জন মহিলা টিচারকে EME বিল্ডিং এর লিফটে মোকাম্মেল উত্যক্ত করেছিল। সেই ম্যাডাম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও সেটার কোন বিচার হয়নি। মোকাম্মেল নিজের ক্লাসের অনেক টিচারকে বিরক্ত করে। এটা WRE 06 এর সবাই জানে। কেউ ভয়ে মুখ খুলবে না, কিন্তু এটা সত্যি। টিচাররা পর্যন্ত অসহায় এদের কাছে।
নিরাপত্তার কারনে নাম জানাতে পারছি না
অনেককেই দেখি মোকাম্মেলের মত ছেলেদের প্রশ্রয় দিতে, সমর্থন দিতে। তারা কি এটা ভেবে দেখে না, মোকাম্মেলদের শিকার ১দিন তার বনও হতে পারে?
মোকাম্মেল আর ফাইরুজ এর ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভাব নেই, এটা বলতে পারি। আর মোকাম্মেল ১জন মানুষ যতটুকু নীচ হতে পারে, সে ততটুকু নিচেই চলে গেছে। গর্ব করে সে তার অনেক কুকীর্তির কথা বলে বেড়ায়। মেয়েদের উত্যক্ত করা তার জন্মগত স্বভাব। শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্য শিবির থেকে সে ছাত্রলীগে এসেছে। এতো এতো অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে কোন অ্যাকশান নিতে পারছে না কেউ। ব্লগ শেষ আশ্রয়, তাই এখানেই বলছি
বিশ্বকাপের সময় মারামারি করল ছাত্রলীগের পোলাপাইন আর দোষ পড়ল আমাদের ঘাড়ে। আমরা নাকি খেলা দেখার জন্য মারামারি করছি
পোস্টের উদ্দেশ্য যেটা বুঝলাম -
এদের লজ্জা যে নেই এটা বুঝতে না পারাটা একটা ব্যর্থতা বলবো আমি।
নামধাম কীর্তিকাহিনী আসলে কোন সমাধানের দিকে আমাদের নেবে? সচলায়তনে নাম প্রকাশ হলে কি এরা তাদের কুকর্ম বন্ধ করে দেবে? পত্রিকায় অস্ত্র হাতে এদের ছবি ছাপা হয়। তাতেও এদের কাজকর্ম বন্ধ হয় না।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ভাই, এখানে আদমশুমারীর তালিকা না করে বরং এখন যারা বুয়েটে আছেন, তাদেরকে আহ্বান জানান একেকটাকে ধরে পিটায়া পাছার হাড্ডি খুলে নিতে। তাগড়া জোয়ান পোলাপান একেকজন, কয়েকজনকে পিটানোর মতো মনোবল নাই? সবাইকে একীভূত করার মতো ব্যক্তিত্ব নাই? নিজের দিকে না তাকিয়ে সমষ্টির দিকে তাকানোর মানসিকতাসম্পন্ন কেউ নাই?
আর কিছু আবাল-সন্ত্রাসী-ফালতু পোলাপানের আর্কাইভ হিসেবে সচলায়তনকে ব্যবহার করতে চেয়ে পোস্ট দেয়া মোটেও ভালো কিছু না। আলাদা পোস্ট দিতে হলে সমস্যাকে আলোকপাত করেই দেয়া উচিত, যা ইতোমধ্যে আলোচিত হয় নাই। না হলে আগের পোস্টেই আলোচনা করা সম্ভব এই ইস্যু নিয়ে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
খুব দুক্ষজনক হলেও সত্য এটাই যে, বুয়েট এ এদেরকে পিটানোর মত কেউ নাই। ব্যপারটা বাইরে থেকে সহজ মনে হলেও হল এ থাকলে এটা মোটেও কোন বাস্তবসম্মত সমাধান মনে হবে না। আর বুয়েট এর বর্তমান বেশীরভাগ পোলাপান খুব ভীতু টাইপ। তাই আমি চাচ্ছিলাম তারা যেন অন্তত ব্লগ এর মাধ্যমে হলেও নিজেদের কথাটা প্রকাশ করতে পারে। অন্যান্য ব্লগ পড়ার অভিজ্ঞতা থাকার সুবাদে আমার মনে হয়েছিল এখানেই হয়ত এটার ভালভাবে প্রকাশ পাওয়া সম্ভব। যদি এই লেখার মাধ্যমে সচলায়তনের মূল উদ্দেশ্য ব্যহত হয়ে থাকে তাহলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কিন্তু এই মুহূর্তে অন্য কিছুর কথা মনে আসছে না যা দিয়ে বর্তমান ছাত্রদের উপকার হয়।
আপনার দেখানো পথে গেলে কি বর্তমান ছাত্রদের উপকার হবে?
নিজের কথা প্রকাশ করে কোনোই ফায়দা নাই মিয়া ভাই। যাদের বিপক্ষে এই কথা প্রকাশ করবেন, তারা ব্লগে কী প্রকাশ করলেন সেইটারে পুছে বলে মনে হয় আপনার? এদের দরকার রামডলা। এইটাই একমাত্র বাস্তবসম্মত সমাধান। আদমশুমারী কোনো স্থায়ী সমাধান না। আর কখনো কখনো সাহসী হওয়াটা প্রয়োজন, নিজের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থেই। বুয়েটে যারা এখন আছেন, এটা তাদের সময়। তাদের সাহসী হওয়াটা এখন সময়ের প্রয়োজন।
সচলায়তন বা অন্যান্য মাধ্যম তাদের হয়ে তাদের সমস্যা সমাধান করে দিয়ে আসবে না। এটা তাদেরকেই করতে হবে। সচলায়তন কেবল সমর্থন জানাতে পারে, এবং এটা সবসময়েই করে যাবে আশাকরি।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বুয়েটের ছেলেরা সবাই জেগে উঠতে জানে বড় কোন অঘটন ঘটার পর। সনি আপু মারা যাবার পর সেরকম কিছু একটা হয়েছিল। তবে এইবার যেন এত বড় মুল্য দিতে না হয়। সাধারন ছাত্ররা সবাই জেগে উঠলে আসলেই ১ দিনের ব্যপার এদেরকে খেদিয়ে বের করা। খালি একটু সঙ্ঘটিত হতে হবে।
মাইর দিলাম ,তারপর যে বুয়েটের ভিসি আর প্রো-ভিসি সোনার ছেলেদের রক্ষার জন্য আমাদের সাধারন ছাত্রদের উপর প্রতিশোধ নিবে, সেটার কি হবে। সবার আগে দরকার, এই পা-চাঁটা ভিসিদের সরানো। এরা প্রশাসন থেকে না গেলে কখনোই কিছু হবে না
এরকম হাইপোথিটিক্যাল ভয়ের কারণেই ফালতু পোলাপানগুলা আপনাদের ঘাড়ের উপর চেপে বসছে, এইটা কি বুঝতে পারেন? ভিসি, প্রো-ভিসি কী প্রতিশোধ নিবে? গোটা বুয়েটের সব ছেলেপেলের ছাত্রত্ব বাতিল করে দিবেন? এতো সোজা?
ভাই, পিতৃপ্রদত্ত যে মেরুদণ্ডটা আছে সেইটা টান করে দাঁড়ান এবার সবাই। অমেরুদণ্ডী প্রাণীর মতো নিজের জন্য না বেঁচে সবাইকে নিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন, সবাই মিলেই। নাইলে আজকে লীগের পাণ্ডাদের হাতে মার খাবেন। কালকে দেখবেন জাকের পার্টির পোলাপান এসে পিটায়ে যাচ্ছে। বলার কেউ নাই। আজকে ভিসি, প্রো-ভিসির প্রতিশোধের ভয়ে কিছু করার সাহস পাচ্ছেন না। কালকে দেখবেন ক্যান্টিনের মামুর ডরেও কাপড় নষ্ট করে ফেলছেন!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগো, মনে হয় মুর্শেদও সচলে এবং অন্যত্রও লেখার কথাই বলেছিলেন।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
মজাই লাগে আপনাদের ছটফটানি দেখে । ছাত্রফ্রন্ট একটা নাস্তিক বা বাম দল হবার কারনে আজ আপনাদের আহাজারি আর হাহুতাশে আকাশ বাতাশ ভারী হয়ে গেছে । আপনাদের ভাব দেখে মনে হচছে ছাত্রলীগ যেন এই মাত্র সন্ত্রাস শুরু করলো । আগে খুব ভালো ছিলো । অথচ এরা ক্ষমতা পাবার রাতটি থেকেই ভিন্নমতের ছাত্রদেরকে বুয়েটের হলছাড়া করেছে । কম্পিউটার বইপত্র চোথা নোট জ্বালিয়ে দিয়েছে । তখন আপনারা দূরে বসে মুচকি হেসে ত্রিপ্তির হাসি হাসছিলেন । এখন সেই গজব আপনাদের ঘাড়ে এসে চেপেছে । কেননা, ছাত্রলীগের ক্ষমতার প্রকাশ ঘটানোর জন্য দরকার প্রতিদ্বন্দ্বী । আর এখন তেলাপোকার মত করে হলেও প্রকাশ্যে ফ্রন্টই আছে বুয়ৈটে লীগের সামনে ।
একটা অন্যায় - একটা সন্ত্রাস কে যদি সবসময়েই অন্যায় আর সন্ত্রাস ভাবার মত সততা আপনাদের থাকতো - কোন দলীয় আর রাজনৈতিক বিবেচনায় না ভেবে.. তাহলে এই গজব আজ আপনাদের ওপর চাপতো না । বহু আগেই এদেরকে রুখে দেয়া যেত । ভাবছিলেন ঝড় অন্যদের উপর দিয়ে যাচ্ছে, আমরা নিরাপদে আছি..
অন্যায় অন্যায়ই সেইটা যার সাথেও করা হোক কিন্তু হায় !! আপনি কি এইটা বুঝেন নাই যে শিবিরএর জন্য বুয়েটের কারো কোন দরদ নাই । !!! শিবির মরলে কারো কোন যায় আসে না
মনে করেন আপনাকে আমার পিটানো দরকার। আপনি শিবির হলে সেই কাজ সোজা হয়ে যায়। আমার সাঙ্গপাঙ্গদের মগজের চাবিতো আছেই আমার কাছে। সেইসব মগজে এন্ট্রি দিয়ে দেব যে আপনি শিবির। সোজা, তাইনা? অদূর ভবিষ্যতে শিবিরের ডেফিনিশন কী হবে জানেন? আপনি হয় ছাত্রলীগ নাহয় শিবির।
হলোকাস্টের সময় এক কবির একটা লাইন মনে পড়ে গেল:
যখন তারা কম্যুনিস্ট মারতে আসল, আমি বললাম মারুক গে,
আমি কম্যুনিস্ট না।
যখন তারা ইহুদিদের মারতে আসল, আমি বললাম মারুক গে,
আমি ইহুদি না।
আর তারা যখন আমাকে মারতে আসল, তখন আমার জন্য বলার কেউ ছিলনা।
আগে প্রতিবাদ হয়নি, সেজন্য এখন করা যাবে না, এরকম হাস্যকর তর্ক করার কোন ইচ্ছা নেই। মুখ দিয়ে না পারি, কি বোর্ড দিয়ে প্রতিবাদ করে যাব
যখন তারা কম্যুনিস্ট মারতে আসল, আমি বললাম মারুক গে,
আমি কম্যুনিস্ট না।
যখন তারা ইহুদিদের মারতে আসল, আমি বললাম মারুক গে,
আমি ইহুদি না।
আর তারা যখন আমাকে মারতে আসল, তখন আমার জন্য বলার কেউ ছিলনা।
রাজন সাহেব, আপনার জন্যে কেউ কথা বলবে না। এইটা ওয়ান ম্যান আর্মির যুদ্ধ, চালায় যান। তবে আপনাদের মার খাওয়া নিয়ে জেনারেল ছেলেরা বাল ছিড়ে না। জেনারেল কোন ছেলের সাথে এমন হলে, এতক্ষুনে মারামারিতে বুয়েট বন্ধ থাক্তো। বুয়েটের ছেলেদের, আমাদের মেরুদন্ডহীন বানাবেন না ব্লগে! আমরা অতীতে পুলিশের সাথে মারামারি করেছিলাম। বুয়েটের ছেলেদের উপর যখন ০৬ এ পুলিশ নামিয়ে দেয়া হয়েছিল তখন আপনি ছিলেন না মনে হয়। তখন লাঠিচার্জের সাথে যুদ্ধ করেছিল ছেলেরা। কারন জেনারেল ছেলেরা মার খেয়েছিল।।
আচ্ছা তাহলে কি আপনি যদি এই লেখটা ১০ বছর আগে দেখতেন তখন এইটা বলতেন যে আরও আগে কেন দিলাম না? তাহলে বাংলাদেশ এ ছাত্র রাজনীতিই থাকতো না! সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যেই করুক না কেন সে অপরাধী। আরও আগে কিছু করা হল না কেন এই বিতর্কে আমরা নাহয় এখন না জড়াই। দেখেন, আপনি প্রাক্তনদের দোষ ধরছেন, আবার আমরা যেই ভুলটা করেছিলাম সেটাই হয়তো এখন করছেন। তাই আমার অনুরো্ বিতর্কে না গিয়ে সহযোগিতা করুন। সেটাই সবার জন্য মঙ্গলজনক হবে।
এইযে এতক্ষনে কেউ একজন এসে আসল বিষয়খানা পাড়লেন। সবাই যে কমেন্টে কমেন্টে বুয়েটের লেখাগুলোতে ঝড় তুলে ফেলছিলেন, তখন এই কমেন্টটা আসার দরকার ছিল।
যখন, শিবির, দলকে একই কায়দায় তাড়ানো হচ্ছিল তখন তো এত প্রতিবাদ তাদের করতে দেখিনাই। এখন হঠাৎ করে এত্ত কি এমন হয়ে গেলো যে সাধারণেরা এমন জ্বলে উঠলো? আসলে ঘটনা হলো ফ্রন্ট মাইর খেয়ে এখন লিখছে, আগে মাইর খাইনাই তাই লিখতোনা।
আর এইসব ঘটনা সাধারণ ছাত্রদের খুব একটা নাড়ায় না। সাধারন কোন ছেলে অন্যায়ভাবে মার খাচ্ছেনা। এমন কোন অবস্থা হয়নাই যে সাধারণ ছাত্ররা মাঠে নাম্বে। নিজেদের সমস্যা ফ্রন্ট পুরো সাধারণ ছেলেদের সমস্যা বলে জাহির করতে ব্লগ ফোরামে, বুয়েটের যে ইমেজ তৈরী করছে তার ২৫% সত্যি। বুয়েট এত্ত খারাপ অবস্থায় নাই।
এগুলো নিয়মিত ফ্রন্টেরই লেখালেখি। থাক, কি আর করবে তারা? মার খেয়ে মার দেয়ার মত বুকের পাঠা না থাকলে এখানেই প্রতিবাদ করুক।
(নিজেরা মারতে পারবেনা, বলে কিনা সাধারণ ছাত্ররা প্রতিবাদ করে না, মারেনা এসের। আরে আগে তোরা মারতো দেখি!)
এই লেখার অপব্যবহার হওয়ার আশংকা আছে। স্বনামে ছাত্রলীগের অন্যায় প্রতিবাদ করার মতন একজনও এখন বুয়েটে নেই দেখে অসহায়ও লাগছে এবং ঘটনার গুরুত্ব বাড়াচ্ছে
বুয়েট এর পরিস্থিতি ১ বছর আগেও এতটা খারাপ ছিলনা। আমি মোটামুটি নিশ্চিত এখনও ৯৫% ছাত্র রাজনীতি কোনভাবেই চায় না। তবে হাতে গোনা কয়েকটা বদ এর জন্য পুরো বুয়েট জিম্মি হয়ে আছে।
আর অপব্যবহারের আশঙ্কা আমিও উড়িয়ে দিচ্ছি না। এজন্য আমাদেরকে বিশেষ করে মডারেটরদের সচেতন হতে হবে।
কিছুটা অপব্যবহার হবে। তবে ব্যক্তিগতভাবে জানি, এর অনেক কিছুই সত্যি। ১০০% সত্যি তো বেহস্তে গেলেও পাবেন না
সাফি ভাই , পরিস্থিতি অকল্পনীয় । ব্লগে লিখে আপনি অবাক হতে পারেন , কিন্তু ক্যাম্পাসে থাকলে আপনি অবাক হতেন না কিছুতেই
বুয়েট ছাত্রলীগ এখন বুয়েটের প্রশাসনিক কাজও চালায় । তারা শুধু পোস্টার না বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে । উদাহরণস্বরুপ
র্যাগমুক্ত ক্যাম্পাস - সৌজন্যে বুয়েট ছাত্রলীগ (এইটার মানে কি কেউ আমাকে বুঝাবেন প্লিজ।)
সেদিন নতুন একটা বিজ্ঞপ্তি দেখলাম ফ্রন্টের হামলায় লীগের নেতা কর্মীরা বলে আহত হইসে এইজন্য বুয়েটের সবাইকে ছাত্রফ্রন্টকে প্রতিরোধের আহবান জানানো হইসে। ফ্রন্ট নাকি বহুদিন ধরে সমাজ , ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে ক্যাম্পাসে ।
ব্লগার ধুসর গোধূলি কথাগুলা ভালো বলেছেন ব্লগ বাংলাদেশে একটা শক্তিশালী মাধ্যম রূপে পরিণত হয়েছে সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই কিন্তু তা পরেও এর সীমাবদ্ধতাও আছে ব্লগে যেকোন অন্যায় বা অপ্রচারের বুদ্ধিভিত্তিক দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া যায় কিন্তু grass root activism এর পরিপূরক নিশ্চয় ব্লগ হতে পারে না। বুয়েত সন্ত্রাসিদের কাহীনি পড়ে জেনে ব্লগের পাঠকেরা হয়তো আপনাদের জন্য আহা উঁহু করে সমবেদনা দেখাতে পারেন, কিন্তু ultimately আপনাদের ছাত্রদের কাছ থেকেই এদের বিরুদ্ধ সম্মিলিত গণ প্রতিরোধ সংগঠিত না হলে এদের বুলিইং বিন্দুমাত্র বন্ধ হবে না, আওয়ামিলীগ পরের ইলেকশনে হেরে গেলেও এরা খালি ভোল পাল্টে ক্ষমতাসীন দলে চলে যাবে কিন্তু তাদের জ্বালাতন হতে মুক্তি পাবেন না ।
আপনারা যেরকম ছাত্রলীগ বিরোধী প্রচার চালাচ্ছেন তার ফল হিসেবে যেকোন সময় বুয়েট কর্তৃপক্ষ হলগুলোতে ইন্টারনেট নিষিদ্ধ করে দিতে পারে। আর সেসময় আশা করা যায় সাধারণ ছাত্ররা প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসবে, তাই যতখানি সম্ভব ইন্টারনেটভিত্তিক প্রচার চালাতে থাকেন, ছাত্রলীগ-ভিসি-প্রোভিসিকে খোঁচাতে থাকেন।
''নিজেদের সমস্যা ফ্রন্ট পুরো সাধারণ ছেলেদের সমস্যা বলে জাহির করতে ব্লগ ফোরামে, বুয়েটের যে ইমেজ তৈরী করছে তার ২৫% সত্যি। বুয়েট এত্ত খারাপ অবস্থায় নাই।''.....এই কথাটা যে কোন চ্যাটের বাল লিখছে জানি না......।তবে সে যে বুয়েট এর বড়ো আবাল সেটা বুঝলাম...।।মাথাই ঘিলু আছে বলে তো মনে হয় না......।
আমার এক বন্ধু আছে বুয়েটে... এই ঘটনা জানার পর ওকে জিজ্ঞাস করলাম মারামারির ব্যাপারে ও বলল কিছুই জানে না। আসলে এইসব সরকারি ভার্সিটিগুলাতে বেশীর ভাগ পোলাপাইন নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকে ... এদের বুকে কোন সাহসও নাই। এদের ধারনা আমি তো ভালো আছি। আমিও এক সরকারি ভার্সিটিতে পড়ি ... সব চোখের সামনে পানির মত দেখ তেসি _ হাতে গোনা ১০-১৫ টা পোলা "সাডাগিরি" দেখায় আর বাকি সব চোখ থাকতেও অন্ধ !!!
নতুন মন্তব্য করুন