যুগে যুগে অনেক মহা মনীষী ও মহা বিজ্ঞানী মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করতে নানা রকম যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন। তাদের আবিষ্কৃত যন্ত্রাবলী দ্বারা অতীতে যেমন মানুষজন উপকৃত হয়েছে তেমনি বর্তমানেও হচ্ছে, আশা করি ভবিষ্যতেও হবে। যুগ যুগান্তরের এইসব মহা-মনিষী, মহা বিজ্ঞানীদের মধ্যে বাংলাদেশীদের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। কাল থেকে কালান্তরে এইসব বাংলাদেশী মহা-মনীষী পুঁথিগত বিদ্যা পরিহার করে তাঁদের গবেষণালব্ধ জ্ঞান দিয়ে আমাদের জ্বালানী ব্যতীত বায়ু, পানি সহযোগে যন্ত্রচালনার স্বপ্ন দেখিয়ে এসেছেন, আশা করি ভবিষ্যতেও দেখাবেন। এদের মধ্যে অনেকেই আবার নিরন্তর চলৎ যন্ত্রের স্বপ্নও দেখিয়েছেন। অনেকটা এরকমই একটি খবর অতি সম্প্রতি (২৩ মার্চ, ২০১১) প্রকাশিত হয় জনপ্রিয় দৈনিক “প্রথম আলো” যাদের স্লোগান হচ্ছে, “যা কিছু ভাল, তার সঙ্গে প্রথম আলো।”
খবরে প্রকাশিত অষ্টম শ্রেণী পাস যুবক জুবায়ের সৌরকোষ ও বায়ু-কল সহযোগে মোটরবাইক চালনার দাবী করেন। ওনার দাবী অনুসারে মোটর বাইক ঘণ্টায় ৩৫~৪০ কি.মি. বেগে চলতে পারে যা কিনা শক্তি সংগ্রহ করে থাকে ৩৬ ভোল্ট এর ব্যাটারি সহযোগে। এ পর্যন্ত সব কিছু ঠিক ঠাক ছিল। ঝামেলা বাধল যখন তিনি দাবী করে বসলেন শক্তি সংগ্রহের জন্যে ব্যাটারি সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে থাকে সৌরকোষ ও বায়ু-কলের উপরে। এ খবর পাঠান্তে আমার ৫ বছরে অর্জিত ৪ বছর মেয়াদী স্নাতক যন্ত্রকৌশল বিদ্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। উঠে পরে লাগলাম জাতিকে এই অজ্ঞতা হতে মুক্ত করার মহান দায়িত্বে। অতীব জটিল কঠিন হিসাব নিকাশের শেষে প্রথম আলোর মন্তব্যে গিয়ে পোস্ট করে আসলাম নিচের হিসাব নিকাশ।
“মোটর বাইকের ছবি দেখে মনে হচ্ছে সামনে পিছনে ২ বর্গমিটার ক্ষেত্রফলের সৌরকোষ লাগানো হয়েছে। একটি সৌরকোষের কর্মদক্ষতা ২০% হলেই তাকে অত্যন্ত ভালমানের সৌরকোষ বলা যায়। একজন
পূর্ণবয়স্ক হাল্কা পাতলা মানুষের ভর ৬০ কেজি
+ মোটর বাইকের ভর ৪০ কেজি
--------------------------------------------------
= ১০০ কেজি।
সর্বমোট ওজন ১০০×৯.৮১=৯৮১০নিউটন।
মোটর বাইকের গতিবেগ ৩৫কি.মি./ঘণ্টা = ৯.৭মি/সে.।
সুতরাং, উক্ত মোটর সাইকেল ঠেলতে ক্ষমতার পরিমাণ = কৃত কাজ/সময়
= (বল×দূরত্ব)/সময়
=(ওজন×দূরত্ব)/সময়
=(৯৮১০×৯.৭)/১সেকেন্ড
=৯৫.১৬ কিলো-ওয়াট।
আমাদের সূর্য-মামা একটি রৌদ্রকরোজ্জল দিনে প্রতি বর্গমিটারে ১৩৬০ ওয়াটের মতো শক্তি প্রদান করে থাকেন। সৌরকোষের কর্মদক্ষতা মাথায় রেখে আমরা ১৩৬০ ওয়াটের সূর্যকিরণ থেকে ১৩৬০×০.২=২৭২ ওয়াট শক্তি আহরণ করতে পারব।
তাহলে ৯৫.১৬ কিলোওয়াট বা ৯৫১৬০ ওয়াট শক্তি আহরণ করতে আমাদের ৯৫১৬০/২৭২=৩৫০ ঘণ্টা (প্রায়) সূর্যকিরণ দরকার। দিনে সূর্যকিরণ গড়ে ৮ ঘণ্টা করে ধরলেও উক্ত পরিমাণ শক্তি আহরণ করতে আমাদের প্রায় ৩৫০/৮=৪৩ দিন (প্রায়) লাগবে।
সুতরাং, মাত্র এক সেকেন্ড মোটর বাইক চালিয়ে মাত্র ৯.৭ মি. নিয়ে যেতে আমাদের ৪৩ দিন ধরে মোটর বাইকের ব্যাটারি চার্জ করতে হবে।
উপরন্তু মোটর বাইকের সামনে বায়ু-কল লাগানো হয়েছে যা শক্তি আহরণের চেয়ে শক্তি ক্ষয় আরও বাড়িয়ে দেবে। এত অল্প পরিসরে তার ব্যাখ্যায় আমরা না যাই।
প্রশ্ন হল পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষকের মাথায় এই সাধারণ হিসাব কেন আসেনি? মোটর বাইকের কর্মক্ষমতা হর্স পাওয়ারে হয় যেখানে সৌরকোষের ক্ষমতা নিতান্ত তুচ্ছ। বিজ্ঞানী সাহেব ব্যাটারি চার্জ শেষ হলে কি করেন তা জানতে আমি তীব্র আগ্রহ প্রকাশ করছি। তবে তার প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই।”
“সংবাদপত্র জাতির দর্পণ” – বাল্যকালে “সংবাদপত্র” রচনা মুখস্তকালে পাঠকৃত উদ্ধৃতি বিশ্বাস করে আশা করলাম প্রথম আলো আমার হিসাব নিকাশে খুশি হয়ে আমাকে মুসা ইব্রাহীমের ন্যায় আদর সমাদর করে ডঃ ইউনুসের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে পরবর্তী সম্ভাব্য নোবেল বিজয়ী হিসাবে উল্লেখ করবে। কোথায় কি। সেকেন্ডের পর মিনিট পেরুল, এরপর ঘণ্টা। এরপর দিন যায় যায়, তবুও আমার পোস্ট প্রকাশের নামগন্ধ নেই। তবে কি মডারেশনের নিষ্ঠুর তরবারিতে কাটা পড়ল আমার কষ্টার্জিত হিসাব নিকাশের ফলাফল? নাআআআআ, এ হতে পারে না। ব্যর্থতার গ্লানিতে ঘাড়ের ত্যাড়া রগ টনটন করে উঠল। যে করেই হোক আমার মন্তব্য প্রকাশ করতেই হবে। সুতরাং, “বদলে দাও বদলে যাও।” আমিও আমার বক্তব্য বদলে দিলাম। নিচের মত করে।
“অভিনন্দন জুবায়েরকে, শত সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেও এ ধরনের আবিষ্কার করার জন্যে।
বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই সব ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের খুঁজে আনার জন্যে প্রথম আলোকেও সাধুবাদ জানাই।”
এবার আর ঘণ্টা পেরুনোর দরকার হলনা। মিনিট-খানেক পরেই দেখতে পারলাম প্রথম আলোও সুন্দর মত আমার মন্তব্য প্রকাশ করে দিয়েছে। প্রমাণ স্বরূপ প্রথম আলোর সংবাদের লিঙ্কে গিয়ে নিচে পরীক্ষা করলেই সত্যতা যাচাই করতে পারবেন। দেশের উচ্চপর্যায়ের একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ভুল সংবাদের প্রমাণ সহ প্রতিবাদ লিপির যখন তার ওয়েবসাইটের “মন্তব্য” তেও জায়গা হয় না তখন প্রথম আলো বা কালের কণ্ঠ না পড়ে আমরা মতিকন্ঠ পড়লেই পারি।
আসুন আমরা বদলে যাই, বদলে দিই, স্বপ্ন দেখি নতুনের। স্বপ্ন দেখি বায়ু বা পানি সহযোগে যন্ত্রচালনার, নিরন্তর চলৎযন্ত্র আবিষ্কারের।
জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যে সংবাদপত্র পড়ুন।
কুম্ভীলোক
মন্তব্য
মোটামুটি ঠিক আছে, কিন্তু একটা জিজ্ঞাসা। একটা গাড়িকে কি তার ওজনের সমান বল দিয়ে ঠেলতে হয়? ওজন তো কাজ করে উল্লম্বভাবে, আর গাড়িকে নড়াতে গেলে একটা আ্নুভূমিক বল লাগবে, যেটাকে ওজনের সমান না হলেও জিনিসটা নড়বে, যেহেতু চাকার কারণে গাড়ির ঘর্ষণজনিত বাধা কম হবে।
আর দেশে পাওয়া যায় এমন সৌরকোষের গড় দক্ষতা ৫-১০%। ২০% দক্ষতার সৌরকোষ কেনার সাধ্য বাংলাদেশের ঐ তরুণের নাই, এটা নিশ্চিত।
সাধারণ মানুষের বোঝার সুবিধার্থে এবং হিসাবের জটিলতা পরিহারের জন্যে ঘর্ষণ গুণাঙ্ক পরিহারের চেষ্টা করছিলাম। তবে মনে হচ্ছে ব্যাপারটা ঠিক হয়নি।
সহজভাবে ঘর্ষণ গুণাঙ্ক ০.২ ধরে ক্ষমতা আসবে ১৯ কিলোওয়াট। সেক্ষেত্রে ব্যাটারি চার্জের ক্ষেত্রে ৮ দিন সময় লাগবে যা দিয়ে মোটর বাইক ১ সেকেন্ড চালানো যাবে।
যা হোক অতিথি লেখক হিসেবে সম্পাদনা আমার অধিকারের বাইরে।
তবুও ভুল থেকে যাচ্ছে। এটা তো ঘর্ষণ গুনান্ক নয়রে ভাই। এটা ঘূর্ণন গুণাঙ্ক। সাধারনত ০.০০৫।
http://en.wikipedia.org/wiki/Rolling_resistance#Rolling_resistance_coefficient_examples
সাথে বাতাসের ঘর্ষণএর জন্য বড়জোড় ০.০০২ (যদিও এটা অনেক বেশি, ৩৫ কিমি/ঘ তে প্রায় ০ হবে,,)। যোগ করে ০.০০৭। ৯৮১০*০.০০৭*৯.৭ = ৬৬৬ ওয়াট। তাই জিনিস টা আসলে অতোটা অসম্ভব না। শুধু ২.৫ বর্গ মিটার এর মত সোলার পানেল লাগবে. আসলে এরকম জিনিস আগেও হয়েছে..
http://www.ecofriend.com/entry/eco-bikes-pannon-rider-solar-powered-bike-saves-you-from-harsh-weather/
যদিও বেটা বায়ুকল লাগালে উল্টো আরো শক্তি খরচ ই করবে...
তাই অবিরাম গতি যন্ত্রের আবিষ্কার এর মত রুড সমালোচনা এই লোকের প্রাপ্য নয় (খুব খিয়াল কইরা )। যদিও অন্যায় ভাবে, তবুও প্রথম আলো তে আপনার কাটাছেড়া করা মন্তব্যটুকু ঠিক ই আছে
দেখুন অবিরাম গতিযন্ত্র ২ ধরণের। এক্ষেত্রে তা ২য় ধরণের গতিযন্ত্রে পড়বে যেখানে কর্মদক্ষতা ১০০% বা তার বেশি বলা হয়েছে। (সোলার প্যানেল ব্যবহার করে ব্যাটারি চার্জ করে তা দিয়ে মোটর বাইকের প্রয়োজনীয় শক্তি আহরনের কথা।)
একটু পরিবর্তন আছে যেহেতু দুটো চাকা তাই ওয়াটেজ ৬৬৬*২=১৩৩২ হবে। ভুল ধরতে গিয়ে ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী
প্রথম আলো দিন দিন আদ্যপান্ত ফান ম্যাগাজিন হয়ে উঠতেছে!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
মুনির হাসান গণিত উৎসবে ক্লাস এইটের বা্চ্চাদের খামাখা ক্যালকুলাস শেখানোর কাজে ক্ষান্ত দিয়ে কিছু ইন-হাউস ফিজিক্স ক্লাস নিলেও তো পারে। জাতিকে বিজ্ঞানমনস্ক করার প্রথম ধাপ হতে পারে নিজেদের ঘরের সাংবাদিকদের কিছু বিজ্ঞান শেখানো। গণিত উৎসবের নামে খালি ব্র্যান্ডিং চালাইলেই হবে?
মুনির হাসান কোন মাপের মানুষ আর গণিত অলিম্পিয়াড কী, এগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে এমন মন্তব্য করতেন না বলেই মনে করি।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
কেবলাকাতরতা আর পীরপূজা জিনিস দুইটা কাজ করে না আমার মধ্যে, তাই ধারণা থাকার পরও এমন মন্তব্য করতে পারি।
ধারণা কেমন আছে সেটা তো বোঝাই যাচ্ছে।
এটা বলে আপনি মুনির হাসানকে আনিসুল হক টাইপ কিছু ভাবছেন বলেই বোঝা যায়।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
কেন, আনিসুল হক কি খারাপ?
আনিসুল হক প্রথম আলোর কর্মকর্তা।
আর এই লেখার মন্তব্যে মুনির হাসান আসলো কোথা থেকে? আর (যে অর্থেই বলে থাকুন) এইটের বাচ্চাদের ক্যালকুলাস শেখানোতে কেন ক্ষ্যান্ত দিতে হবে? সবচেয়ে বড় কথা এ ধরনের বাক্যবানের শিকার কেন মুনির হাসানকে হতে হচ্ছে এখানে?
আজব!!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
কী ধরনের বাক্যবাণ?! আলুর সাংবাদিকদের বিজ্ঞান শিক্ষা দিতে বলা কি খারাপ? আশ্চর্য তো! মুনির হাসানকে শেখাতে বলবো না তো কি আসিফ নজরুলকে বলবো?
ধরনটা হচ্ছে: শ্লেষবাক্য
আপনি বলেছেন,
আপনার বা প্রথম আলো গ্রুপের কাছে গণিত উৎসব 'খালি ব্র্যান্ডিং' হতে পারে। মুনির হাসান স্যারের কাছে না। আরো হাজার মুভার্সের কাছে না। শিক্ষার্থীদের কাছে না। প্রথম আলো এইটা কাল থেকে না চালাইলেও এই উৎসব চলবেই। যতদিন এই মানুষগুলো আছে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
চলুক, মানা করি নাই তো। ব্র্যান্ডিঙের পাশাপাশি আলুর সাংবাদিকদের বিজ্ঞান শিক্ষা কর্মশালাও চলুক। স্যার মুনির হাসান অনুগ্রহ করে হাজারো মুভার্সসহ আলুর সাংবাদিকদের জন্যও সুশিক্ষিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সাংবাদিকতা অলিম্পিয়াড খুললে জাতি উপকৃত হবে।
কোন বিতর্কে জড়ানোর ইচ্ছা থেকে কমেন্ট করছিনা। আমি মুনির হাসানের কোন ফ্যান না। তবে আন্ডারগ্রেডে পড়ার সময় বিভাগীয় অলিম্পিয়াডগুলোতে প্রায়ই যেতাম, ওইখানে দেখতে পেয়েছি গণিত উৎসব সত্যিকারের উৎসব। বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে যে কয়টা ইমপ্যাক্টফুল ব্যাপার চালু হয়েছে, ম্যাথ অলিম্পিয়াড নিঃসন্দেহে প্রথম দিকে থাকবে। ডাচ বাংলা ব্যাংক বা প্রথম আলো হয়ত তাদের কর্পোরেট স্বার্থেই এই আয়োজনে সাহায্য করছে, কিন্তু জাফর ইকবাল স্যার, কায়কোবাদ স্যার আর মুনির হাসান এটাকে আন্তরিক আয়োজন হিসেবেই নিয়েছেন।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
"মুনির হাসানকে শেখাতে বলবো না তো কি আসিফ নজরুলকে বলবো?"
আপনি জাফর ইকবাল স্যারকে "নিজেদের ঘরের সাংবাদিকদের" বিজ্ঞান শেখাতে বললে কি ঠিক হতো?খেয়াল করবেন স্যার শুধু আলুতেই লিখে।আলু পত্রিকায় লিখলেই সবাই আলু হয় না।
হিমুভাই "মুনির হাসান কোন মাপের মানুষ আর গণিত অলিম্পিয়াড কী, এগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে এমন মন্তব্য করতেন না বলেই মনে করি"
আপনি মনে হচ্ছে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে কিছু শেখাতে বললে খুবই সেন্টু খান। জাফর ইকবাল স্যারকে শেখাতে বললে কোনো সমস্যা আছে? আর উনি তো প্রায় আলুপেপারের ঘরের মানুষই। আপনি আমি এই ব্যাপারে তর্ক চালিয়ে যেতে পারি, স্যার কিংবা আলু সাংবাদিকরা মনে হয় না দ্বিমত করবে।
আমি যদি বলতাম, মুনির হাসানকে কোদাল দিয়ে আলুর অফিসের সামনে মাটি কোপাতে হবে, তাহলে আপত্তির যথেষ্ট কারণ থাকতো, কারণ ওনার কাজ কোদাল নিয়ে না। আলুর বিজ্ঞানমূর্খ সাংবাদিকদের কিছু বিজ্ঞান শিক্ষা দিতে বলায় আপনি এত বিচলিত কেন?
আপনার শেষ কথাটা দেওয়ানবাগী পীরের এক মুরিদের মুখে শুনেছিলাম অনেক আগে। পীরসাহেব কোন মাপের মানুষ জানলে নাকি আমি ওনার উটের দুধ বিক্রির ব্যবসা নিয়ে মশকরা করতাম না, এরকম তিরস্কার করেছিলেন। এখন বুঝলাম, গণিত অলিম্পিয়াডে চুবিয়ে রাখলেও অন্তর থেকে পীরভক্তির আলকাতরা দূর হবে না।
কার কোন কাজ করা উচিত এর পুরোটাই আপনি ঠিক করে দিতে আসলে একটু ঝামেলা হয়ে যায় না ! 'সবজান্তা শমশের' হওয়া কি ভাল কোনো ব্যাপার হল ভাইটু?
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
চোখ ধুয়ে এসে দেখুন তো যা কোট করলেন সেখানে "উচিত" শব্দটাই আছে কি না? প্রস্তাব আর ঔচিত্য বিচারের মধ্যে তফাত করা শিখে তর্ক করতে আসলে সুবিধা হতো না? পীরের মুরিদ হওয়াটাই তো তর্ক করার জন্য যথেষ্ট না, বিদ্যা-বুদ্ধিও লাগবে সাথে।
ঠিক আছে-- আরও ঠিক করে কোট করি এইবার --
ঠিক কি কারণে ক্লাস এইটের বা্চ্চাদের ক্যালকুলাস শেখানোর কাজে ক্ষান্ত দিতে হবে ?(!)
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
ক্ষান্ত না দিলেও চলে, যদি উনি টাইম ম্যানেজ করতে পারেন। আর টাইম ম্যানেজ করতে না পারলে ক্ষান্ত দিলেও ক্ষতি নাই। ক্লাস এইটের একটা ছেলেকে ক্যালকুলাস শেখানো আর শেভ করার উপর ট্রেনিং দেয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ কাজ, কারণ তিন বছর পর দুইটা জিনিসই তাকে শিখে এবং চর্চা করে ফাটিয়ে ফেলতে হবে, পাঠ্যসূচি আর ফিজিওলজির কল্যাণেই। আপনি যদি দাবি করেন, ক্লাস এইটের বাচ্চাদের ক্যালকুলাস না শেখানোর ফলে তারা খুব বিপদে পড়ে যাবে, আমার কিছু বলার নাই, সেইটা আপনার মত।
তার মানে ম্যাথ অলিম্পিয়াড-টলিম্পিয়াড এইসব সব বাজে ব্যাপার--এইসব না হলেও কোনো ক্ষতি নেই তাই তো ?
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
প্রথমেই বিরাট একটা দীর্ঘশ্বাস। ম্যাথ অলিম্পিয়াড নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য আছে এখানে? চোখ আবার ধুয়ে এসে খুঁজুন।
রাজিব, আপনি তো দিনকে দিন আলুর সাংবাদিকদের মতো হয়ে যাচ্ছেন। কেবলা, পীর, সাইনবোর্ড-সর্বস্বতার চক্কর থেকে বের হয়ে সিন্দুকে সঞ্চিত বিদ্যাবুদ্ধি খুলে বের করে একটু প্রয়োগ করে দেখুন তো, কাজে আসে কি না। আপনি ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে আমার মুখ থেকে আমি-বলিনি-এমন-একটা-কথা বের করে তর্কে সুবিধা করতে চাইছেন কেন? আমি যা বলেছি, সেটার ত্রুটি পারলে খুঁজে বের করুন। না পারলে ভবিষ্যতে তক্কে তক্কে থেকে আমাকে প্যাঁচে ফেলার জন্য অপেক্ষা করুন। সব ম্যাচে কি গোল হয়, নাকি সব ওভারে উ্ইকেট পড়ে?
হিমু ভাই, আপনাকে প্যাঁচে ফেলার জন্য তক্কে তক্কে থাকার চেয়েও আমার জরুরি কাজ থাকার কথা । ম্যাথ অলিম্পিয়াডের কথা এখানে এজন্যই আনা হয়েছে যে ম্যা্থ অলিম্পিয়াডের জন্যই ক্লাস এইটের বাচ্চাদের ক্যালকুলাস বা এই জাতীয় জিনিসপত্র শেখানো হয় !
কেবলাকাতরতা, পীরপূজা, সাইনবোর্ড-সর্বস্বতা এসব খুব খারাপ-- আপনার কথা পুরোপুরি মেনে নিলাম--- কিন্তু খুব ভয়ে ভয়ে একটা কথা বলে যাই -- ইগো-সর্বস্বতাও কিন্তু খুব ভালো কিছু নয় ভাইয়া ! আপনাকে অনেক ভালো লাগে, অনেক ভালো থাকবেন !
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
ধরেন, আমি বললাম, সংসদে গিয়ে গালিবাজি না করে সাংসদরা লাইব্রেরিতে গিয়ে পড়াশোনা করলেই তো পারে। আপনি যদি তখন এসে বলেন, "তারমানে গণতন্ত্র-ফণতন্ত্র সব ফালতু জিনিস?" ... তখন ব্যাপারটা যেরকম, এখনও তো সেরকমই ঘটলো।
ইগো-সর্বস্ব সবাই। ইগোর গুঁতাগুঁতিতে সবাই সবসময় সুবিধা করতে পারে না, এইটাই তফাত। আপনার জরুরি কাজের জন্য শুভ কামনা রইলো। আর আপনার প্রিয় বিলাশ ভাইয়াকে পচাচ্ছিলাম দেখেই তো আপনি চেতে আছেন, তাই না? মন খারাপ করবেন না, এরকম ঢুঁশাঢুঁশি হবেই মাঝেমধ্যে।
শুভ কামনার জন্য ধন্যবাদ ! বিশ্বাস করুন, যুক্তির জায়গা থেকেই আপনার সাথে এখানে তর্ক করেছি -- চেতাচেতির কোনো ব্যাপার নাই-- আপনার যে কমেন্টটুকু আমি উদ্ধৃত করেছি সেটা চূড়া্ন্ত অযৌক্তিক মনে হয়েছে আমার কাছে ! বিলাশ ভাইয়ার জন্য আমার নিচের 'একজন পাঠক'-এর মত ফ্রি-সার্ভিস দেয়ার দরকার নেই, ওনার কিছু বলার থাকলে উনি নিজেই এসে সেটা বলে যাওয়ার যোগ্যতা রাখেন।
সব মানুষের ইগো থাকবে এটা স্বাভাবিক -- কিন্তু ইগো-সর্বস্ব মানুষকে আমার ঠিক
rational মনে হয় না ! কারণ, নিজের মতকে প্রতিষ্ঠিত করতে যেয়ে তারা অনেক সময় এমন সব আচরণ করে যেটার পরিণতি আসলে ভালো হয় না (কোনো প্রতিষ্ঠান, সংগঠন , এমনকি দেশের জন্যও)
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
আমি তো আমার "চূড়ান্ত অযুক্তি"র বিপরীতে যুক্তি শুনতে চাইছিলাম আপনার কাছে। সেটার বদলে আপনি আপনার মত দিচ্ছেন যে আমার প্রস্তাব চূড়ান্ত অযৌক্তিক। আপনার মত নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নাই, কারণ যুক্তিরহিত মতের কোনো আপত্তিমূল্য নাই।
আপনার প্রস্তাবনামতে ড. ইউনূস তাহলে একজন ইগো-সর্বস্ব মানুষ, তাই না?
এই জন্যই বোধহয় মতিকণ্ঠের জন্ম হয়েছে। হে হে হে..
আমার একটা প্রশ্ন আছে, সোলার পাওয়ারড গাড়ি যেগুলো আছে, সেগুলোর অপারেটিং সিস্টেমের সাথে এটার তুলনা করে বোঝালে আমার মত আমজনতার বুঝতে কিঞ্চিত সুবিধা হত। ৪৩ দিন বা ৮ দিন ধরে গাড়ি গরম করে ৯.৭ মিটার যাওয়া কোনো কাজের কথা নয়। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে যেগুলো বানানো হচ্ছে সেগুলো চলছে কিভাবে?
জুবায়ের সাহেব ভুল করেছেন মেনে নিয়ে, কি করলে তা শোধরানো যাবে এবং অমন কিছু একটা বানাতে খরচ কেমন পড়তে পারে?
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
এইখানে দেখতে পারেন।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
আপনি যেই লিঙ্কটা দিলেন ওটা বিদ্যুত চালিত , সৌরশক্তি চালিত নয়।
গুগল দেখেছি, ম্যালা পড়াশোনা করতে মন চাইছে না, তাই ভাবলুম দাদা যখন কষ্ট করে লিখেইছেন, ওনার কাছে শুনেই নাহয় শিখি।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
সোলার পাওয়ারড গাড়িগুলোর কিম্ভুত আকৃতি হয়ত আপনার নজরে এসে থাকবে। সেগুলো বাতাসের ঘর্ষণ কমিয়ে শক্তি-ক্ষয় কমানোর জন্যে এরোডিনামিক্যালি ডিজাইন করা হয়ে থাকে। এছাড়াও আরেকটা ব্যাপার লক্ষ করুন, আপনি বলছেন সোলার পাওয়ারড গাড়ি। তার মানে সোলার পাওয়ারড গাড়িগুলোর সোলার সেল শুধুমাত্র তাদের গায়েই লাগানো থাকবে এমন নয়। সোলার সেল থেকে বেশি শক্তি পাওয়ার উপায় হচ্ছে সোলার সেলের ক্ষেত্রফল বাড়ানো। এক্ষেত্রে গাড়িগুলো অপরাপর বৃহৎ আকৃতির সোলার স্টেশন থেকে শক্তি সংগ্রহ করে থাকে।
আধুনিক বিশ্বে যেসব সোলার পাওয়ারড গাড়ি বানানো হচ্ছে সেগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রেসের জন্যে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর যেসব গাড়িগুলো সাধারণ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলোর শক্তির কিয়দংশ আসে সোলার সেল থেকে। সেগুলোকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে ইলেকট্রিক গাড়ি। এছাড়া আধুনিক বিশ্বে অনেকেই গবেষণাগারের সোলার সেল ব্যবহার করছেন যেক্ষেত্রে সোলার সেলের কর্মদক্ষতা ৩০% পর্যন্ত যেতে পারে। কিন্তু তার পরও শুধুমাত্র সোলার পাওয়ারড গাড়ি এখনও পর্যন্ত অসম্ভব।
আমি বলছি না জুবায়ের সাহেব ভুল করেছেন। ভুল ঠিক আপেক্ষিক ব্যাপার। উনার সীমাবদ্ধ জ্ঞানে উনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। ওনার আবিষ্কার উনিই ভাল বুঝবেন যখন সেটাকে বাস্তবতার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে আমি মন্তব্য করতে উৎসাহী নই।
আপনি যদি প্রথম আলোতে প্রকাশিত রিপোর্টের ন্যায় একটি মোটর বাইকের কথা চিন্তা করেন যেটাকে বর্তমান সময়ে প্রচলিত অন্য যে কোন মোটর বাইকের সাথে তুলনা করা যায়, তাহলে ফুটবল মাঠের সমান একটা সোলার স্টেশন লাগবে যেখানে দিন শেষে বাইকের ব্যাটারি চার্জের জন্য নিয়ে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে ২ ডলার/ওয়াট রেটে হিসাব করে আপনি বের করে নিতে পারবেন। উইকির এই লিঙ্কটাও আপনার কাজে লাগতে পারে।
F = mg ব্যবহার না করে F = ma এর ধারনা ব্যবহার করা উচিত ছিল। মানে ঘর্ষণের ব্যাপারটা এড়িয়ে গিয়েও সামনের দিকে কার্যরত লব্ধি ত্বরণের একটা এস্টিমেট = a নিয়ে করলে ভালো হত। যাই হোক মূল ব্যাপারটা বুঝা গিয়েছে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
স্বীকার করছি। নিজের কিছু ভুল হয়েছে। আসলে অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবে লেখা একটা মন্তব্যে (প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশের জন্য) এত বেশি সময় দিতে চাইনি যেটা ভুল হয়েছে।
আপনার হিসেবটা ভালো করে বিশ্লেষণ করার সময় পাইনি, কিন্তু কোথাও ভুল থাকতে পারে। উইকি এবং ওয়েবে দ্রুত চোখ বুলিয়ে যা পেলাম তাতে মনে হলো ৩৫ কিমি/ঘন্টা বেগে মোটর সাইকেল চালাতে ২০০/২৫০ ওয়াট এর বেশি লাগার কথা না (বাতাসের ঘর্ষণ কম বা একেবারে না থাকলে। আপনিও অবশ্য বাতাসের ঘর্ষনকে অগ্রাহ্য করেছেন।)
http://en.wikipedia.org/wiki/Bicycle_performance
"175 W for a 90 kg bike + rider to go 9 m/s (20 mph or 32 km/h) on the flats (76% of effort to overcome aerodynamic drag), or 2.6 m/s (5.8 mph or 9.4 km/h) on a 7% grade (21% of effort to overcome aerodynamic drag)."
http://ijar.chiggins.com/bicycle-mpg-calculator/
উপরের লিঙ্ক দিয়ে ২০০ পাউন্ড ওজনের আরোহী এবং সাইকেল এবং ৩৫ কিমি/ঘন্টা (২০ মাইল/ঘন্টা) দিয়ে ওয়াটেজ পেলাম ১৭৪।
যে সমীকরণ ওরা ব্যবহার করেছে সেটি হলো উপরের ইউকির লিঙ্কের "Power required" সেকশনে দেওয়া আছে।
কোথায়? আপনার দ্বিতীয় লিংক ব্যবহার করে আমিতো পেলাম ১.২ কিলোওয়াটেরও বেশি। এক্ষেত্রে আমি ভর ধরেছি ২০০ পাউন্ড যা ১০০ কেজিরও কম। গতিবেগ ধরেছি ২৫ মাইল/ঘণ্টা যা ৪০ কিমি/ঘণ্টার কাছাকাছি।
আচ্ছা ওয়াটেজ যদি ১৭৪ হয়েই থাকে তাহলে মানুষজন মোটরবাইকে এত এত খরচ করে জ্বালানী তেল কেন কেনে? অন্য জ্ঞানী ভাইদের সাহায্য দরকার এখন।
আমি ২০০ পাউন্ড (প্রায় ১০০ কেজি) এবং ২০ মাইল/ঘন্টা (প্রায় ৩৫ কিমি/ঘন্টা) দিয়েছি ইনপুট। এরপর ১৭৪ ওয়াট পেয়েছি। ওখানে অবশ্য ২৪% মানুষের এফিশিয়েন্সি ধরে এটাকে ৭২৬ দেখিয়েছি, কিন্তু মোটর সাইকেলের এফিশিয়েন্সি এর চেয়ে বেশি হতে পারে।
যেটাই হোক, এটা আপনার ৯৫ কিলোওয়াট থেকে অনেক কম। আপনার ইকুএশন্স ঠিক আছে, কিন্তু এগুলো কি সঠিক প্যারামিটার এবং ইকুএশন্স কিনা আমি শিউর না। ঘুমাতে যাচ্ছি, কাল সময় পেলে দেখবো।
শুভ রাত্রি।
দেখুন, মানুষের কর্মদক্ষতা সর্বোচ্চ বলা যায়। মানুষকে আপনি প্রায় ১০০% কর্মদক্ষ কার্নোট ইঞ্জিন বলতে পারেন। আর সেক্ষেত্রে আপনি কিনা বলছেন মোটর সাইকেলের কর্মদক্ষতা মানুষের চেয়ে বেশি। আপনি তো তাপগতিবিদ্যায় আপনার অজ্ঞতার পরিচয় দিচ্ছেন। সাধারাণত একটি ইঞ্জিনের কর্মদক্ষতা ৫০% হলেই তাকে অনেক ভাল মানের ইঞ্জিন বলা যায়। আপনার সরবরাহকৃত লিঙ্কে ১৭৪ ওয়াট হচ্ছে Raw ওয়াটেজ। তার মানে ১০০% কর্মদক্ষ কোন যন্ত্র হলে সেক্ষেত্রে আপনি এ সুবিধা পাবেন। সেক্ষেত্রেও শুধুমাত্র সাইকেলের ক্ষেত্রে যেখানে সাইকেলের চেইন, প্যাডেল, চাকার ঘর্ষণজনিত শক্তি অপচয় অনেক কম। মোটর বাইকের ক্ষেত্রে যা অনেক অনেকগুন বেশি। উইকির লিঙ্কটাতে প্রদানকৃত ইকুয়েশনে K1 এর মান মোটর বাইকের ক্ষেত্রে কখনই এত কম (০.০০৫৩) হবে না। আপনি যখন কোন কিছু দাবি করে বসবেন তখন যার ভিত্তিতে দাবী করছেন সেটা একবার ভাল করে পড়ে আসলে কি ভাল হত না?
[আমি এখানে কাজের ছেলে (গবেষণা সহকারী), উপরন্তু আজ আবার একটা পরীক্ষা আছে। তাই আপনার ভবিষ্যত মন্তব্যের উত্তর প্রদানে কিছু দেরী হতে পারে বলে আমি অগ্রিম দুঃখিত।]
এইযে thermodynamics এর দিকগজ কে বল্সে আপ্নারে মানুশের কর্মদক্ষতা ১০০%?
http://en.wikipedia.org/wiki/Muscle#Efficiency
চ্ক্খু খুইলা দেখেন ১৮-২৬%। ওরে বাপ্রে আবার দেখি ঘবেশনা ও করেন
ধন্যবাদ আপনাকে আমার ভুল ভেঙ্গে দেওয়ার জন্যে। মানুষের কর্মদক্ষতা বুয়েটের একজন সম্মানী শিক্ষক বলেছিলেন বলে ক্রস চেক করিনি। তখন উনাকে জিজ্ঞেস করায় উনি বলেছিলেন মানুষ যা খায় দায় তার অনেকটা হজমে ব্যয় হয়। যে অংশটুকু থেকে শক্তি পাওয়া যায় সেটা হিসাব করলে মানুষকে আইডিয়াল কার্নোট ইঞ্জিন বলা যায়।
না ভাইটু এইখানে হজম এর কোনো বেপার নাই. সহজ বাংলায় বলা আছে মাসল এইফিসিএন্সি... মাসল যতটুকু শক্তি গ্রহণ করে আর তার থেকে কতটুকু কে যান্ত্রিক শক্তিতে পরিনত করতে পারে তার হিসাব..ATP তৈরী করতে প্রচুর খরচ হয় তাই।
মাইন্ড খাইয়েন না... আপনি যেভাবে অনেক স্যার, বড় ভাই কে উচ্চমাধ্যমিক এ ফিরে যেতে বলছিলেন তাতে মেজাজ খারাপ হইসিলো বৈলাই এত কথা বলসিলাম. আর আমিও ব্লগ লিখিনারে ভাই. এই কয়টা লাইন লেখতে জান বের হয়ে যাচ্ছে... টাইমের কথা বাদই দিলাম
আপনার লিঙ্কটি সাইকেলের জন্যে। খেয়াল রাখবেন মোটর বাইকে ভাল নিয়ন্ত্রনের জন্যে চাকার প্রস্থ বেশি থাকে যা ঘর্ষন বাড়িয়ে দেয়। আর আপনার কি মনে হয় আরোহী সহ মোটর বাইক ১০০ কেজির কম হবে?
এখানে বেশ কিছু স্কুটারের বর্ণনা আছে যেগুলো ২৫ থেকে ৫০ কেজির ভেতরে,
http://www.planetmobility.com/store/scooters/planet/titan/index.html
খবরের রিপোর্টের স্কুটারটিকেও এরকম কম ওজনেরই মনে হল। আরোহী সহ ১০০ কেজি হওয়া অসম্ভব নয়। সেই ১০০ কেজি ৩২ কি:মি: গতিতে যেতে লাগবে ১৭৮ ওয়াটের মত, যদি উপরের লিংকের হিসাব সঠিক ধরে নেই।
আপনার দেয়া সৌরশক্তির ২৭২ ওয়াটের হিসেবটা মাথায় রাখলে এটাকে আর অবাস্তব হিসেব মনে হচ্ছেনা।
দেখুন আপনার দেওয়া লিঙ্কটাতে বাইকের গতিবেগ অনেক কম আর আরোহীসহ তার ভর হিসাব করে আবার চিন্তা করে দেখুন। আমি তো বাইক অবাস্তব এটা বলিনি। অবাস্তব হচ্ছে বাইকের সামনে লাগানো সোলার প্যানেল আর বায়ুকল দিয়ে শক্তি সংগ্রহের চেষ্টা।
আমার মনে হয় হিসাবে কোথাও ভুল হচ্ছে। মেকানিক্সের সুত্র অনুযায়ী frictional resistance = fN; ঘর্ষন চাকার প্রস্থের উপর নির্ভর করে না, এটা নির্ভর করে উলম্ব বলের উপরে।
এছাড়া চাকাটি ছেঁচড়ে যাচ্ছে না, এটি গড়িয়ে যাচ্ছে। ফলে মেকানিক্সের বইয়ের সুত্রগুলো এখানে সরাসরি প্রয়োগ করা যাবে না, কারণ ওখানে একটা বস্তু ছেঁচড়ে যাচ্ছে হিসেবেই সমস্যা-সমাধান থাকে। এখানে ঘর্ষণ হচ্ছে চাকার সাথে অক্ষদন্ডে, যা পিচ্ছিলকারক বস্তু ব্যবহার করে অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
ঘর্ষণ গুনাংক দু ধরনের, স্থিতি ঘর্ষণ ও গতীয় ঘর্ষণ। এক্ষেত্রে যে কোন উচ্চ মাধ্যমিক পর্দাথ বিজ্ঞান বইয়ের ঘর্ষণ অধ্যায় দেখার জন্যে অনুরোধ করছি।
ঘর্ষণের দু'ধরনের গুনাংক আছে। coefficient of static friction এবং coefficient of kinetic friction। থামা থেকে চলা শুরুর সময় static friction এর গুনাংক ব্যবহৃত হয়। আর চলতে শুরু করলে kinetic friction গুনাংক কার্যকরী হয়।
মুর্শেদ ভাই এটা ঘুরনন গুনান্ক হবে। কারন চাকাটা গরিয়ে চলছে। গতিয় ঘর্ষণ থাকবে কিছু বিয়ারিং এ আর বাতাসের ঘর্ষণে
http://en.wikipedia.org/wiki/Rolling_friction#Rolling_resistance_coefficient_examples
অবশ্য জ্ঞানী লেখক এর মধ্যেই দাবি করসেন যে wiki জ্ঞান এর অভাব আছে | চাকার rolling resistance নাকি এত কম হইতেই পারে না >:(
হু, রোলিং রেস্টিট্যান্সটা কার্যকরী হবে এক্ষেত্রে।
মুর্শেদ ভাই, আমি প্রথম আলোতে প্রকাশের জন্যে যা লিখেছিলাম ১০~১৫ সময় ব্যয় করে, তাতে আমার মাথায় আসেনি এত ছোট সোলার প্যানেল দিয়ে কি করে এই মোটর বাইক চালানো যায় (যারা সোলার প্যানেল এবং অটোমবিলস জানেন তাদের সবার মাথাতেই আসার কথা)। তখন বিস্তারিত হিসাবে যাইনি। ব্লগ প্রকাশের সময় ছোট খাট সেই হিসাবটাই তুলে দিয়েছিলাম। আমার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল প্রথম আলোর প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ মন্তব্য প্রকাশের ব্যাপারটি। ব্লগে প্রকাশের পর সবাইকে দেখলাম আমার হিসাব নিকাশের ভুল বের করতে। অনেকই ভুল বের করেছেন এবং শেষ পর্যন্ত স্বীকার করেছেন ওই ছোট সোলার প্যানেল দিয়ে সম্পূর্ণরূপে সূর্য থেকে শক্তি আহরণ করে ওই বাইক চালানো সম্ভব নয়, যদিও তারা আমার প্রদানকৃত ব্যাখ্যার বিপক্ষে (আমার ব্যাখ্যায় যথেষ্ট ভুল আছে এটা আমিও স্বীকার করি)। সবার মতামত পড়ে এবং অনেকেরই না জেনে অনেক বিষয়ে মন্তব্য করা দেখে আমারও ইচ্ছা আছে পুরো ব্যাপারটা সম্পূর্নরূপে ব্যাখ্যা করে আরেকটা ব্লগ লেখার। আমি বুঝতে পারিনি বিষয়টি এতটা তর্ক বিতর্কের জন্ম দেবে।
চাকার রোলিং রেসিস্টেন্স কম হতে পারেনা বলেছিলাম নাকি? দুঃখিত। আমি মনে করেছিলাম বাইসাইকেল আর মোটর বাইকের রোলিং রেসিস্টেন্স ভিন্ন। আমি সহজ হিসাব করে দেখতে চাচ্ছিলাম ব্যাপারটা সম্ভব কিনা। ওইটুকু সোলার সেল আর বায়ু-কল লাগিয়ে সম্পূর্ণরূপে প্রয়োজনীয় শক্তি আহরণ। এটাকে সবাই ডিজাইন প্রব্লেম এ নিয়ে যাব বুঝতে পারিনি। তাহলে হিসাব নিকাশে আরেকটু সতর্ক থাকতাম।
http://en.wikipedia.org/wiki/Friction
থ্যাংকু। সেই ১৯৯৪ সালের (L1T1) পর আবার ঘর্ষন নিয়ে পড়লাম। আগে অনেক কম জানতাম।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
you are not actually working against the gravity, so how does g come ????
how is g playing the role here? definitely you are not sending the bike to moon
চাঁদে পাঠাচ্ছেন না তো মটর বাইকওয়ালারে !!!!!!!!!!!!! g আসলো কোথা থেকে ????
পৃথিবীতে সবক্ষেত্রেই g আসে। নাহলে আমরা তো আকাশে ভেসে ভেসে বেড়াতাম।
ওজনটাতে g আছে। এই ওজনের একাংশের বাঁধা অতিক্রম করে চলতে হয়।
আবারও, যারা ব্যাপারটা জানেন বা বুঝেন বা যুক্তিসঙ্গত তাদের সাথে তর্ক করতে ভাল লাগে। এক্ষেত্রে g লাগবেই এটা সবাই স্বীকার করবেন।
আমি বরং জুবায়ের সাহেবকে উৎসাহ দিয়ে একটা বুদ্ধি দিতে চাই। সোলার প্যানেলটা মোটরসাইকেলের সামনে ওরকম ব্যাখাপ্পা ঝুলিয়ে রাখার তো কোনো প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে রাতের বেলা এটা কোনো কাজেই আসবে না। এর চেয়ে প্যানেলটা বাড়ির চালে রেখে দিন, সঞ্চয়ী কোষ কিনে সৌরশক্তি জমা করে রাখুন। সেই ব্যাটারি দিয়ে মটরসাইকেল চালান কিংবা বাড়ির বিদ্যুৎ সরবারহ করুন।
অযথা প্যানেলটা বয়ে বেড়ানোর কোনো প্রয়োজন দেখিনা।
সেক্ষেত্রে এতটা বিতর্কের দরকারও হত না।
ভাই আপনি কোন জায়গা থেকে যন্ত্র কৌশল পাশ করেছেন? আপনার তো মনে হয় ইন্টারমিডিয়েট বলবিদ্যার ধারনাই নাই। গাড়ি অনুভূমিক ভাবে চলতে শুধু ঘর্ষণের বিরুধ্যে কাজ করতে হয়, আর গতি বাড়তে শক্তি লাগে।
আপনার হিসেবে:
Toyota Corolla Assista= 1300 kg + 4 persons * 70kg = 1580kg = 15499.8N
at 9.7m/s , Power = 15500 * 9.7 = 150.348kW
এইবার বলেন দেখি, Corolla Assista কিভাবে 2NZ-FE 1.3 L ইঞ্জিন এ চলে, যার আউটপুট 63 kW?
টোয়োটা কোম্পানি নিশ্চই মিথ্যা বলছে। \
http://en.wikipedia.org/wiki/Toyota_Corolla_(E140)
http://en.wikipedia.org/wiki/Toyota_NZ_engine#2NZ-FE_1.3_L
আমার হিসাবে ঘর্ষণ বল হিসাব করে করা হয়নি। যেটার সংশোধনী প্রথম মন্তব্যের জবাবেই দেওয়া হয়েছিল। টয়োটা কোম্পানি তো ভুল বলেনি। তাদের ওই গাড়িটা চলতে যদি ৬৩ কি.ওয়াট ও লাগে তাহলে বাইকের ক্ষেত্রে কত লাগতে পারে একটু অনুমান করার চেষ্টা করলেই বোঝা যায় মোটর বাইক ওই ছোট খাট সোলার সেল দিয়ে চলবে কি না?
একবার আলু'র শ্রদ্ধেয় দাদাজান নেজাইম্যা রাজাকাররে 'পাকী শিয়াল-শকুন' কইছিলাম। হালারা আমার মন্তব্য থিকা ঐ শব্দগুলা বাদ দিয়া প্রকাশ করছে। ওরা দিন বদলায়া দিছে ... মন্তব্যও বাদ যাইবো ক্যা???
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
আপনার হিসেবে গোলমাল আছে কোথাও। আপনি যা দেখিয়েছেন তা বস্তুকে ঠেলে নিয়ে যাবার হিসেব, এমনকি ঘর্ষন গুণাঙ্ক ব্যবহার করলেও তাই।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দেখুন ভুল বলার আগে কোথায় ভুল সেটা বের করে দেখাতে পারলে ভাল হত। আর সবাইকে আবারোও বলছি যে কোন উচ্চ মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ঘর্ষণ অধ্যায় ভালো করে পরে বুঝে আসার জন্যে।
আপনি বার বার সবাইকে উচ্চমাধ্যমিকের ঘর্ষণ অধ্যায় পড়ে আসতে বলছেন। আপনি ধরেই নিচ্ছেন, অন্যদের ঘর্ষণ নিয়ে ধারনা পরিস্কার না। পাঠকের কিছুই জানা নেই, কিছুই বুঝবেনা ধরে নিয়ে ফিজিক্সকে বদলে দিয়ে ব্লগ লিখলেন, সেটাতে স্বাভাবিক ভাবেই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগবে। হতে পারেনা, পাঠকদের অনেকেই উচ্চমাধ্যমিকের পরেও মেকানিক্স নিয়ে পড়াশোনা করেছে?
সবচেয়ে ভালো হয়, আপনি আপনার হিসাবের ভুলগুলো ঠিক করে একটা সঠিক ও যৌক্তিক হিসাব দিয়ে নতুন ব্লগ দিন অথবা কমেন্টে যোগ করে দিন। তেড়েফুঁড়ে এসে হাইকোর্টের রেফারেন্স দেয়া আপনার কেসকে শক্ত করছেনা।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সজল আপনি বোধহয় ০৩ ব্যাচের। আমি বলছি না সবার ঘর্ষণ নিয়ে ধারনা পরিষ্কার নয়। যারা প্রশ্ন করছেন এখানে ঘর্ষণ কোথা থেকে আসল তাদেরকেই আমি বলছি। পরবর্তীতে অনেকেই বলেছেন রোলিং ফ্রিকশান এর কথা। আর ফিজিক্স বদলে দেয়া হয়নি। আমার দেয়া ব্যাখায় ভুল আছে তবে আমি ফিজিক্স বদলে দিয়েছি বলে আমার মনে হচ্ছে না। আমার দেয়া ব্যাখ্যায় ভুল হচ্ছে ঘর্ষণ বল হিসাবের ক্ষেত্রে। এ ব্যাপ্যারে বিস্তারিত আলোচনা করে আরেকটা ব্লগ লেখার ইচ্ছা আছে।
হ্যা, আমি ০৩ ব্যাচের, তবে আশা করি এই আলোচনায় এটা প্রাসঙ্গিক না। আমার প্রথম কমেন্ট খেয়াল করুন, ওইখানে আমার কমেন্টের ভাষা এত রূঢ় ছিলনা, এখন রূঢ় হওয়ার কারণ আপনার বুঝতে পারার কথা। ফিজিক্সকে বদলে দেয়া বলতে অনুভূমিক বলের বদলে উল্লম্ব বল ব্যাবহার করা বুঝিয়েছি। বুঝতে পারছি আপনি সবার জন্য সহজ করে বুঝাতে গিয়েই এটা করেছেন। কিন্তু অডিয়েন্সের উপর আরেকটু বিশ্বাস করলেই ভালো হত। ফাইনম্যানের একটা ভিডিও দেখেছিলাম, ওইখানে উনি বলছিলেন, "আমি এটাকে সহজ করে বুঝাতে পারবনা, দুনিয়া যেমন তেমনই..." বা কাছাকাছি কিছু। সারমর্মঃ সহজ করতে গিয়ে এসেন্স ফেলে দিতে নেই।
যাই হোক সমালোচনায় মন খারাপ করবেন না, সময় নিয়ে ভালো ভালো পোস্ট দিন।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
নিচে বাইকের প্যাডেল ক্ষমতা হিসেবের একটি সমীকরন দিলাম। মোটরবাইকের ক্ষেত্রে এই প্যাডেল পরিচালিত হবে যন্ত্র দ্বারা, এই হচ্ছে পার্থক্য এবং সেক্ষেত্রে যেই যন্ত্রের কর্মদক্ষতা হিসেবে আনতে হবে।
যাই হোক আগে দেখুন আসলে কি পরিমান ক্ষমতা লাগে আপনার উপাত্ত মতেঃ
যন্ত্রকৌশল আমার বিষয়না, আমি পানিসম্পদ কৌশলী, তবে বলবিদ্যা সম্পর্কে কিছুটা জ্ঞান ছাড়া এই পর্যায়ে আসিনি। এখন আপনি বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিপূর্ন হিসাব করে দেখুন, নিশ্চয়ই সেটা আমাদের থেকে অনেক ভাল করবেন।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
স্যার আপনার হিসাব সম্পূর্ণ সঠিক। এতে কোন ভুল নেই। কিন্তু ঘূর্ণন গুণাঙ্কের মান কি বাইসাইকেল এবং মোটর বাইকের চাকার জন্যে এক হবে? যা হোক এক না হলেও কাছাকাছি হবে। এবার আরেকটা কথা একটা মোটর বাইক কিন্তু সবসময় চলবে না। থেকে থামা অবস্থা থেকেও চলতে শুরু করতে হবে। সেক্ষেত্রে কিন্তু এর মান আর এত ছোট থাকবে না। আমার ভুলগুলো ধরিয়ে দেবার জন্যে ধন্যবাদ।
একবার বলেছি আবারও বলি| এই ধরনের সৌরচালিত যন্ত্র খুবই সম্ভব| কোনরকম কোনো অবিরাম গতিযন্ত্রের ধারণা না এনেই|
বার বার উচ্চমাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান এর কথা বলছেন| কেন আপনি নিজেই তো দাবি করলেন এরপরে এইবিষয়ে আরো কিছু বিদ্যা ঘটে ঢুকিয়েছেন| চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার পরও একই ভাঙ্গা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছেন|
এখানে ঘূর্ণন এর ফলে চাকার সাথে রাস্তার যে "ঘর্ষণ" (ঘষে ঘষে চলে না, ঘূর্ণন, rolling resistance সেটার কথা বলছি) হয় আর তারফলে যতটুকু সক্তি খরচ হয় সেটুকু আমার দরকার গাড়িটা চালাতে| সাথে অত্যাল্প বাতাসের ঘর্ষণ ও চাকার বেয়ারিং এর ঘর্ষণ| সবগুলো যোগ করে ঘর্ষণ গুণাঙ্ক বড়জোর ০.০১ সম্ভব|
অর্থাৎ মোট শক্তি লাগবে ৯৮১০*০.০১*৯.৭ = ৯৫০ জুল/সেকেন্ড|
এখন হিমু ভাই এর বলা মতন যদি ১০% কার্যদক্ষতা ধরি তাহলে প্রতি বর্গমিটার থেকে শক্তি পাওয়া যাবে ১৩৬০*০.১ = ১৩৬ জুল/সেকেন্ড|
অর্থাৎ ৯৫০/১৩৬=৭ (নিরাপত্তা গুনিতক হিসাবে আরো ১.৫ গুন করে নিলাম... ) তাহলে দাড়াচ্ছে ১০.৫ বর্গমিটারএর ঢাউস একটা সোলার পানেল (যদিও তাতে নতুন করে বাতাসের ঘর্ষণ বাড়বে, কিন্তু ৩৫ কি.মি/ঘ তে তাও খুব বেশি হুয়ার কথা না) লাগিয়ে নিলে বন বন করে বাইক দৌড়াবে| কোনো রকম কোনো বাড়তি সময় ধরে ব্যাটারি চার্জ করা ছাড়াই|
তর্ক করতে আসলে তর্ক করেন যে এত বড় পানেল বাইক এর উপরে কেমনে লাগাবেন সেইটা নিয়ে| এইখানে সোলার প্যানেলএর কার্যদক্ষতা, বড় রকম সব ঘর্ষণ ও ঘূর্ণন জনিত বাধা সব হিসাবে ধরা হয়েছে| বাড়তি হিসাবে safety factor ও ধরা হয়েছে| কোনো জায়গায় কর্মদক্ষতা ১০০% ও ধরা হচ্ছে না| তাই কোনো রকম কোনো অবিরাম গতির ভুত দেখবেন না| তাই এই ধরনের যন্ত্রের সম্ভাব্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই| কথা হচ্ছে লোকটা শিক্ষিত হলে হয়ত বায়ুকল টা লাগতনা আর এইরকম প্রচলিত বাইক ব্যবহার করত না, একটু কম শক্তি খরচ করে, ঘর্ষণ কম হয় সেরকম একটা বানিয়ে নিতো| আর সেরকম হলে ৩/৪ বর্গমিটার এই কাজ হয়ে যেতো|
http://www.ecofriend.com/entry/eco-bikes-pannon-rider-solar-powered-bike-saves-you-from-harsh-weather/
এখানে দেখিয়েছিও যে এইরকম অলরেডি আছে|
যেরকম দেখছি আপনাকে কিছু বলেও লাভ নাই| তবে ভবিষ্যতে নিজেকে প্রকৌশলী দাবি করার আগে অন্তত ঘূর্ণন বাধার গুণাঙ্ক কি সেটা জেনে আসবেন| নাহয় ওই পদার্থবিজ্ঞান শিক্ষক এর মত আমাদের বাকি সবাইকে কেউ একই রকম ভাবতে পারে|
হিসাবটা আরেকটু সঠিক করে বলি।
p=F*v
গাড়ি চালাতে প্রতি সেকেন্ড এ প্রয়োজনীয় শক্তি (ক্ষমতা)=বাধা বল * গতি;
বাধা বল = ওজন * ঘর্ষণ গুণাঙ্ক + বাতাসের ঘর্ষণ + বিয়ারিং ও অন্য যন্ত্রাংশের ঘর্ষণ
এখন,
ওজন = ১০০ কেজি * ৯.৮১ = ৯৮১ N (ওহ আমি এতক্ষণ ডিফল্ট ৯৮১০ N ওজন ধরে আসছিলাম )
ঘূর্ণন এর ঘর্ষণ গুণাঙ্ক = ০.০০৫ (বাইক এর ক্ষেত্রে). অন্য যন্ত্রাংশের জন্য আরো ০.০০৫ যোগ করলাম হলো ০.০১।
বাতাসের ঘর্ষণ = ১/২ * বাতাসের ঘনত্ব* বাতাসের সাথে ঘর্ষণ তলের আয়তন*Cd *গতি*গতি*গতি
ধরে নিলাম ঘর্ষণ তলের আয়তন ১ বর্গমিটার
Cd = অনেক অনেক বেশি ধরে নিলেও ১.০
বাতাসের ঘনত্ব = ১.২
সুতরাং মোট শক্তি লাগবে = (৯৮১*০.০১*৯.৭) + (১/২*১.২*১*৯.৭*৯.৭*৯.৭*১) = ৯৫+৫৪৭ =৬৪২ নিউটন (দেখা যাচ্ছে বাতাসের ঘর্ষণে ভালই শক্তি ব্যয় হয়)
যদি factor of safety ১.৫ ধরি, মোট লাগবে ৬৪২*১.৫ = ৯৬৩ ওয়াট
১৩৬ ওয়াট প্রতি ১ বর্গ মিটার সোলার পানেল
যদি ৮ টা ১ বর্গমিটার এর সোলার পানেল লাগানো যায় তাহলে পাওয়া যাবে ১০৮৮ ওয়াট. যা থেকে বাইক চালিয়ে আরো ১২৫ ওয়াট বাচবে।
আপনার ব্যাখ্যা ভাল লাগল। আপনি বোধহয় প্রথম যন্ত্রকৌশলী যিনি ব্যাপারটা ভালভাবে ব্যাখ্যা করলেন। এধরনের বাইক আগেও ছিল তবে সোলার সেল এত ক্ষুদ্র ছিল না বোধহয়। এবং এত ক্ষুদ্র সোলার সেল দিয়ে সম্পূর্ণরূপে মোটর বাইকের চালনা শক্তি আহরণ করা হত না। লক্ষ করুন আমার ব্লগের কিছু কথা। "এ পর্যন্ত সব কিছু ঠিক ঠাক ছিল। ঝামেলা বাধল যখন তিনি দাবী করে বসলেন শক্তি সংগ্রহের জন্যে ব্যাটারি সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে থাকে সৌরকোষ ও বায়ু-কলের উপরে।"
তবে আপনার সাথে আরেকটা ব্যাপার আলোচনা করতে চাই। মোটর বাইক কিন্তু সবসময় চলন্ত থাকবে না। তাকে থামা থেকেও চলা শুরু করতে হবে। সেক্ষেত্রে কিন্তু ঘূর্ণন গুণাঙ্কের হিসাব আসবে না। তখন কি আমরা এই ধরনের সুবিধা পাব? আমাকে গোয়ারের মত এক মতবাদে বিশ্বাসী মনে করছেন কেন? এখানে যে ব্যাখ্যা আমি দিয়েছিলাম তা করেছিলাম ১০~১৫ মিনিটে। আর আগে কখনও ব্লগ না লিখায় বুঝতে পারিনি ব্যাপারটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। তাহলে পোস্ট করার আগে সাধারণ হিসাব না করে ডিজাইন প্রব্লেম হিসাবে সমস্যা সমাধান করে তারপর পোস্ট করতাম। যা হোক এখানে আলোচ্য বিষয় গুলো বিবেচনা করে মোটর বাইক এধরনের ছোট খাট সোলার সেল দিয়ে চালানো সম্ভব কিনা, সম্ভব হলে সোলার সেলের ক্ষেত্রফল কত হবে এবং তা কোথায় কোথায় লাগালে মোটর বাইক নিয়ে চলতে সমস্যা হবে এ ধরনের বিষয় নিয়ে ভবিষ্যতে পোস্ট দেবার ইচ্ছা আছে। সেক্ষেত্রে কোন ভুলভ্রান্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে বলে আমি মনে করি।
সবাই মিলে এত ঘষাঘষিতে আমি তো খেই হারিয়ে ফেললাম। উচ্চমাধ্যমিকের বইয়েও ফেরত যাওয়ার উপায় নেই। বল-গতির পাট চুকিয়েছি অনেক আগেই। আমি আম জনতা। এখন বলেন প্রআলোর সেই বিজ্ঞানীই ঠিক নাকি সচলের ব্লগলেখক যিনি সমালোচনা লিখেছেন তিনি ঠিক?
(প্রথম আলোর কেন হবে?) ফরিদ্পুর এর মেকানিক এর ফাকিটা হচ্ছে শুরুতে বেটারি চারজ করে নেয়াটা| কিছু সময় চালালে পরে এই গাড়ি আর চলবে না| সেটা বধয় উনি নিজেও জানেন না| জানার কথা ও না| যার জানার কথা সেই জানে না (এই সমালচক এটাকে যেভাবে ব্যখ্যা করছেন তাতে দুজনের টেকনিকেল জানার মধ্যে খুব বেশি তফাত দেখছি না) বরং বলা যায় ফরিদ্পুর এর এই লোকটাই কিছুটা ঠিক| অন্তত আরো কয়েক্গুন বড় (অনেক বেশি বড় অবশ্য ) পানেল লাগালে এই বাইক ঠিক এ চলতো| কিন্তু লেখক বুঝাইসেন চিরন্তন একটা অসম্ভব ঘট্নার মত এটা। সেটাই দুখ|
অদ্ভুত হলেও অনেক সমালোচনার পরে প্রায় সবাই আমার মতামতের পক্ষ নিচ্ছেন। চিরন্তন অসম্ভব ঘটনা তখনই যখন ওই আকৃতির সোলার সেল দিয়ে সে পুরোটা শক্তি সংগ্রহের চেষ্টা করবেন। ব্যাপারটা অনেকটা ৩ কিলোওয়াটের ব্যাটারি থেকে ৯ কিলোওয়াটের ক্ষমতা পাওয়ার মত যা অসম্ভব। সেই কথাটাই আমি বারবার বলতে চেয়েছি। আমার লেখার ব্যর্থতার কারণে অনেকেই বুঝতে পারেনি উল্টো আমাকে খোঁচা মেরে কথা বলছে সবাই।
আমাদের বাংলাদেশীদের নিয়ে একটা কৌতুক প্রচলিত আছে, নরকে আমাদেরকে ছেড়ে দিলে আমরা কেউই সেখান থেকে পালাতে পারবোনা কারণ একজন পালাতে গেলে অন্যরা তাকে টেনে আবার নরকে নিয়ে যাবে। একজন প্রায় অশিক্ষিত লোক একটা জিনিস চেষ্টা করছে, কোথায় তাকে একটু বাহবা দিবো, কিংবা ভুল হলে আমাদের আমেরিকান/ইউরোপিয়ান পিএইচডি ডিগ্রীর জ্ঞান দিয়ে সাহায্য করবো, এখানে তাকে পচানো শুরু করলাম!!
আরেকজনতো বলছে প্রথম আলো গণিত অলিম্পিয়াড বাদ দিয়ে সাংবাদিকদের বিজ্ঞান শিক্ষা দিতে। যেখানে প্রকৌশলী পিএইচডি ছাত্রের জ্ঞানের এই অবস্থা সেখানে আর্টস/কমার্সের সাংবাদিকদের বিজ্ঞান শেখালে যে কি হবে!
প্রথম আলোর গণিত অলিম্পিয়াডের কারণে দেশে গণিত সচেতনতা বাড়ছে, দেশের ছেলেমেয়েরা এমআইটি, ক্যালটেক, শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় ভর্তি হতে পারছে। আহা, আমাদের সময় যদি গণিত অলিম্পিয়াড থাকতো! তাহলে পিএচডি পর্যায়ে এসেও আমাদের এই অবস্থা হতো না!
মানুষ ভুল করতেই পারে। কিন্তু অন্যের ভুল দেখিয়ে দিয়ে তাকে ছোট করা বড় মনের লক্ষন নয়। নিজে শুদ্ধ করে মানুষের জন্যে কী করতে পারলাম সেটাই বড় কথা!
অন্যকে ছোট করে নয়, যেনো নিজের কৃতিত্ব দিয়ে আমরা বড় হতে পারি।
আশা করি দুইদিন পর বাসার ফিউজ হয়ে যাওয়া বাতি পাল্টানোর খবরও আলুপেপারে আসবে। "নষ্ট হয়ে যাওয়া বাতি পাল্টালেন ক্লাস ফাইভ পাশ শফিউল।" এতে করে নরক থেকে বের হওয়ার রাস্তা বিরাট চওড়া হবে।
বিলাশ বিডি ভাইজান কি জার্নালের পিয়ার রিভিউয়ারদেরও এই নরকের বস্তাপচা কৌতুকটা শোনান? কোডে ভুল থাকলে যখন কম্পাইলার এরর রিটার্ন করে, তখন কি কম্পাইলারকে এই বস্তাপচা কৌতুকটা শোনাতে ইচ্ছা করে?
আপনার মতোই অগ্রবর্তী চিন্তাভাবনা করতেন চট্টগ্রামের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এম এ লতিফ। তাই তো তিনি কচি এনজিনকে পৃষ্ঠপোষকতা করতে ছুটে গিয়েছিলেন। বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
নরক থেকে বের হবার রাস্তা যেখানে সকল বাঙালি বন্ধ করে দিচ্ছে, সেখানে আলুপেপার এগিয়ে আসতে পারে এই রাস্তা চওড়া করার জন্য। এইট পাশ যুবক জুবায়েরকে আলুপেপারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পাতার বিভাগীয় সম্পাদক বানানোর আকুল আবেদন জানাই। নরকের রাস্তা আটকানোর বিলাশিতা আমাদের আর চলবে না।
বি.দ্র.: পিএইচডি পর্যায়ের প্রকৌশলীদের উপর আপনার মনে হচ্ছে গোস্বা আছে। পোস্টের লেখক তো দেখলাম নিজেকে যন্ত্রকৌশলে স্নাতক দাবি করছেন [এই দাবি পরীক্ষা করে দেখা দরকার]। আপনি কোন পর্যায়ে এসে পিএইচডি প্রকৌশলীদের "জ্ঞানের এই অবস্থা" আবিষ্কার করলেন, জানতে মন চায়। অবশ্য ব্যাপার না, এরকম মাৎসর্য্য গোপন রাখাটাই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, প্রকাশ করে ফেললে দেশের ও দশের উপকার হয়।
ভাইজান কৌতুকটা যতোটা না বস্তাপচা আপনার তুলনাগুলা তারচেয়ে বেশি বস্তা পচা।
ভুল ধরিয়ে দেওয়া, এবং ভুল ধরিয়ে দিয়ে হই হই রই রই করা, পেপারকে প্রয়োজনীয়ভাবে পচানো, নিজেই নতুন ভুলের জন্ম দেওয়া, এবং আপনার মতো মানুষদের সেসব কাজকে সমর্থন দেওয়া, এগুলার সাথে পিয়ার রিভিউ জার্নাল এবং কম্পাইলার এরর এর তুলনা?
ধন্যবাদ, আপনার সাথে এই ভাঁড়ামোতে অংশ নেওয়ার আমার কোনো ইচ্ছে নাই। আপনি আপনার ভাঁড়ামো মার্কা কমেন্ট দিয়ে এই পোস্ট এর পাঠকদের বিনোদিত করতে থাকুন
বিলাশ বিডি ভাইয়া, এরকম পা ধরে টান দিলে নরক থেকে বের হবো কীভাবে?
হ্যাঁ। ওগুলোর সাথেই পিয়ার রিভিউ আর কম্পাইলারের তুলনা দিলাম। আপনার পছন্দ হয় নাই?
আমি তো এই পোস্টে তাকিয়ে দেখতে পেলাম, সবার আগে আমিই ভুল ধরিয়ে দিয়েছি। আর "আমার মতো মানুষ" কারা? তারা কী করে?
বিলাশ বিডি ভাইয়া, আপনি তো ভাঁড়ামো ইচ্ছা করে করেন না, স্বতস্ফূর্তভাবেই করে যান, যাকে বলে মুখ খুললেই এনটারটেইনমেন্ট। বিলাশ শব্দটা দেখলেই হা হা করে হেসে ফেলি। তো ভাইয়া, একটু দেখিয়ে যান না, "পিএইচডি প্রকৌশলীদের" "জ্ঞানের এই অবস্থা" বলতে আ্পনি কী বুঝিয়েছেন? আমাদেরও তো মাঝে মাঝে আপনার মতো লোকজনের হাতে আলোকিত হবার বিলাশিতা করতে মন চায়।
'বিলাশিতা' বানান ভুল। তোর দুই পয়েন্ট কাটা।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তুই কি তাহলে বলতে চাস, বিলাশ বানানটাও ভুল?? মাইক্রোসফট আর গোল্ডম্যান স্যাকস ভেজে খাওয়া আমাদের বিলাশ বিডি ভাইয়ার নামের বানান ভুল, এই বলতে চাস তুই? ছি ছি ছি! তুই তো জীবনে আর এমআইটি ক্যালটেকে চান্স পাবি না রে!
দিলি তো ব্যাপারটার বারোটা বাজায়ে! 'গোল্ডম্যান' কস ঠিকাছে, কিন্তু এই তাহাজ্জুদের সময়ে 'স্যাকস' শব্দটা উচ্চারণ করলি ক্যান? বি-লাশ ভাই ঠিকই কৈছে, তোর নরক থাইকা মুক্তি নাই! মুক্ত হইতে চাইলেই কইন্যাইয়া তোর 'লাশ' ফেলে দেয়া হবে নরকে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এখানে সম্ভবত এ তথ্যের অপব্যবহার প্রাসংগিক নয়-- তথ্যের সূত্র হিসেবে বিপন্ন বোধ করছি বলে বললাম ! বিলাশ ভাইয়া, সরি !
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
মাঝ নদীতে নৌকা নিয়া হঠাৎ করে বলবেন "এই পাগল নৌকা নাড়াইস না" --------সেইটাতো হবে না ভাইয়া @ রাজিব মুস্তাফিজ
বন্দুক থেকে গুলি আর টিউব থেকে পেস্ট বের করলে কি আর ফিরানো বা ঢুকানো যায়
এমআইটি ক্যালটেক শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কি প্রথম আলোর রেকমেন্ডেশন লেটার লাগে নাকি? সেটা যদি না লাগে তাহলে যাদের ওখানে যাওয়ার তারা এমনিতেই যেতো।
অসাধারণ বাণী। তা আপনি এখানে এই কমেন্টটা না করে নিজেকে একটু 'শুদ্ধ' করে নিলেই তো পারতেন? খালি খালি কে কার ঠ্যাং না ল্যাজ ধরে টানছে সেদিকে দৃষ্টি না দিয়ে নিজে টানাটানি বন্ধ করলেই তো হয় নাকি?
আর্টস কমার্সের লোকজন তাঁদের বিশেষায়িত ক্ষেত্র নিয়ে লিখলেই তো পারেন - সেগুলোর প্রয়োজন বিজ্ঞানের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। বিজ্ঞান নিয়ে লিখলেও সমস্যা নেই, সমস্যা দাঁড়ায় যখন তাঁরা বিজ্ঞানের নামে যা খুশি তাই খাওয়ানো শুরু করেন।
অপছন্দনীয় ভাইটু, আপনি আবার নরকের এক্সিট ডোরে অবস্থান ধর্মঘট নিলেন তো। এইসব করলে ক্যাম্নেকী?
বিলাশ বিডি ভাইয়া, আমাদের ক্ষমা করে দিন। নরক থেকে বের হওয়ার রাস্তায় উড়ালসেতু চাই। একটু আলুপেপারকে বলে আমাদের দুইজনের জন্য একটা এমআইটি আর একটা ক্যালটেকের সিট যোগাড় করে দ্যান না। পিলিজ লাগে। খুব উপকার হতো। এক্টু ভালু খেয়েপরে বাঁচার বিলাশিতা কত্তে পাত্তুম।
হা হা।
এমআইটি আর ক্যালটেকে ভাঁড়ামোর ডিপার্টমেন্ট থাকলে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। ওখানে না পেলে বাংলা সিনেমার ভাঁড় এর চরিত্রে চেষ্টা করে দেখেন।
তবে সবচেয়ে ভালো উপায় মনে হয় গণিত অলিম্পিয়াডকে অ্যাপ্রিশিয়েট করতে শেখা!
গণিত অলিম্পিয়াডকে অ্যাপ্রিশিয়েট করতে শিখলে আলুপেপারকে বলে এমআইটি আর ক্যালটেকে ভাঁড়ামোর ডিপার্টমেন্টে সিট যোগাড় করে দিবেন তো? প্রমিজ?
@ বিলাশ বিডি:
মন্তব্য পড়ে প্রতিমন্তব্য করেন। অপছন্দনীয় গণিত অলিম্পিয়াডকে কিছু বলেন নাই। প্রথম আলো গণিত অলিম্পিয়াডের মিডিয়া পার্টনার মাত্র। এর উদ্যোক্তা ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল ও ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ এবং তত্ত্বাবধায়ক মুনির হাসান।
আপনি যদি মনে করেন গণিত অলিম্পিয়াড এর জন্য আধপাতা বরাদ্দ করাতে মানুষ প্রথম আলোকে সেলাম ঠুকবে তাহলে ইয়াদ করায় দিলাম পাকিস্তান (ও শোয়েব আখতার) বন্দনায় এই পত্রিকা প্রথম পাতায় হেডলাইন দেয় আর কারিনা-সাইফ-শাহরুখের ফালতু সব খবর এক পাতা জুড়ে জিকির করে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আলু হলো ডিজ্যুস সুশীল পত্রিকা। সুশীল ও ডিজ্যুসদের খাদ্য সরবরাহ করাই তাদের বাণিজ্য।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ওই লোকটাকে কে পচালো এইখানে? সমস্যা তো প্রআর বিজ্ঞান পাতার সেই ছাগল গুলার যেগুলা বিজ্ঞান এর ব ও জানে না, আর সেইসব "জ্ঞানী" লোকের যারা এই ভুলটা দেখিয়ে দেয়ার বদলে (অন্ততপক্ষে ভুল কিনা সেইটা জানার চেষ্টাও তো করতে পারে) পেপারে নাম ফাটায়... আমরা ভাই ছুটু মানুষ মনটাও ছুটু বাঙালিত্ব বিসর্জন দিয়া মন্ঠা বড় কর্তাম্চাই| আর আপনের পিলিজ লাগে কেমনে বিবেকের পাঠ করতে হয় একটু শিখায়া দেননা ভাই |
একজন মানুষ কিছু একটা তৈরি করছে, তাকে কই উৎসাহ দিবেন, তা না, হুদাই তার ভুল ধরা। বাঙালি একজন আরেকজনের ভালো দেখতে পারে না। বিজ্ঞান শিক্ষা বন্ধ করে দিয়ে ফটকাবাজি শিক্ষা দেয়া হোক, যাতে এই আবিষ্কারগুলো দেখিয়ে আমরা নোবেল পুরস্কার পেতে পারি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
নতুন মন্তব্য করুন