অক্ষমের শেষ হাতিয়ার নাকি গালি। কোন শালা এই কথা বলছে আমার জানা নাই কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ নিজেকে অক্ষম রূপে আবিস্কার করি। তখন গালি দিলে মনটা শান্ত হয়। ঠান্ডা মাথায় কিছু যুক্তির অবতারনা করা বরাবরই কঠিন বলে মনে হয়। নিজেকে প্রবোধ দেয়ার জন্য, অবস্থান সম্পর্কে পরিচ্ছন্ন ধারনার জন্য, ঘটনা পরম্পরা বিশ্লেষনের জন্য, সর্বোপরি নিজের সংকীর্ণতা যাচাইয়ের জন্য কিছু পুরনো কাসুন্দি ঘাটতে চাই। আপনার ইতিহাস ভীতি বা গন্ধভীতি থাকলে কেটে পরতে পারেন। নিশ্চিত থাকুন আমি আপনাকে গালি দিতে আসবো না।
শৈশব থেকে শুরু করা যাক। তখন তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। রংপুর জিলা স্কুলে নতুন ভর্তি হয়েছি। ১৯৯১ সাল। আমার একটা ফুটবল আছে। বিশ্বকাপ ফুটবল ’৯০ এর পর আম্মু কিনে দিয়েছিল। তবে ক্রিকেট খেলাটা শুধু নাম শুনেছি। কখনো খেলিনি। আব্বাকে দেখতাম খেলা দেখতে। দীর্ঘ সময় ধরে হয় বলে আমি দেখি না। একদিন বিকালে তিন তলার দুই ভাইয়া মাঠে নিয়ে যেয়ে ব্যাট বল হাতে ধরিয়ে খেলাটা শেখালো। মানে নিয়ম কানুন আর কি। সাথে কিছুক্ষন ব্যাটিং। উত্তেজনায় টগবগ করতে করতে সেদিন ঘুমাতে গেলাম। পরদিন স্কুলে পাশের বন্ধুটির কাছে নিজের ক্রিকেট জ্ঞান জাহির করতে যেয়ে সে জিজ্ঞেস করে বসলো কোন দল সাপোর্ট করি। আমি আমতা আমতা করি।আব্বার মুখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নাম শুনেছি। সেটা বলতেই বন্ধুটি হেসে উড়িয়ে দিয়ে বললো আসল দল হল পাকিস্তান। গত সপ্তাহের খেলা দেখিস নি? পাকিস্তানের ২ বলে ৬ রান দরকার। ওয়াসিম আকরাম নেমেই ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা মেরে দলকে জেতাল। ডাউন দ্য উইকেট কি বস্তু সেটা জিজ্ঞেস করার সাহস পাইনা, তবে পাকিস্তান আর ওয়াসিম আকরামকে বেশ যুতসই মনে হতে থাকে সাপোর্ট করার জন্য। দেখতে দেখতে ৯২ সালের বিশ্বকাপ চলে আসলো। তিন তলার ডাক্তার আংকেল বললেন পাকিস্তান মুসলমান দল। রমজান মাসে খেলা। ওদেরই জেতা উচিৎ। আমিও ততদিনে সেরকমই আশা করতে আরম্ভ করেছি। আব্বাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি কোন দল? তিনি উত্তর দিলেন, খেলা তো খেলাই, এখানে দলাদলির কি আছে? উত্তরে আমি মোটেও সন্তুষ্ট হলাম না। পাকিস্তান যখন জিতে গেল তখন ভাবলাম, যাক, একটা মোক্ষম কাজ হল বটে। তারপরেই চলে গেলাম গাইবান্ধায় ঈদ করতে। সবার মুখেই টগবগ করে ক্রিকেট ফুটছে। আমার ৫ খালা আর ৫ মামা। মোটামুটি অনেকেই এসেছে ঈদ করতে। বাড়াবাড়ি রকমের আনন্দ চারদিকে।
চার নম্বর খালুকে আমার বেশ পছন্দ তার মজার আর ভয়ের গল্পের জন্য। খালুকে লাফ দিয়ে যেয়ে জিজ্ঞেস করলাম আপনি কোন দল? উনি পালটা জানতে চাইলেন তুমি কোন দল? পাকিস্তান! উনি গম্ভীরভাবে একটু হেসে চুপ করে আছেন। আমি নাছোড়বান্দা। বলেন না খালু কোন দল। উনি বললেন বাংলাদেশ।
-ধুর! বাংলাদেশ তো খেলে নাই।
-তাতে কি?
-আপনি পাকিস্তান না?
বেশ চিন্তার রেখা ফুটে তার মুখে। মনে হয় কি যেন বলতে যেয়ে থেমে যান। তারপর নিজের বা হাত তুলে আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললেন এই দাগটা নিয়ে কিভাবে পাকিস্তান করবো বাবা? আমি অবাক এবং একটু ভয় পাই। হাতের তালুতে এপিঠ-ওপিঠ একটা সেলাইয়ের চিহ্ন।
-এটা কি?
-এটা গুলির দাগ।
-আপনি গুলি খেয়েছেন!! কিভাবে??
-আমার গুলি শেষ হয়ে গিয়েছিল। তখন পিছু হটার সময় একটা গুলি এসে হাত ফুটা করে দিয়ে গেল। ওদের অনেক গুলি। শেষ হয় না।
আমার চেনা জগৎ, পরিচিত পরিবেশ, স্কুলের বন্ধু, বিকালের মাঠ সবকিছু নিয়ে একটু ধাক্কা খাই। মুক্তিযুদ্ধ অনেকটা গল্প-নাটকের ব্যাপার। প্রতিবছর “ওরা এগার জন” আর “আলোর মিছিল” পর্যন্তই তারা আমার জগতে প্রবেশ করে। সেই জগৎটা একটু কেঁপে ওঠে। শিশুসুলভ কৌতুহলে খালুকে বলি তারপর কি হল? তারপর নৌকায় করে ইন্ডিয়ায় গেলাম। সেখানে ডাক্তার অপারেশন করে সেলাই করে দিল। ব্যথা পান নাই? উনি বলেন পাঁচজন লোক তার উপর চেপে বসে তারপর ডাক্তার অপারেশন করেছিল আর উনি ডাক্তারকে তার জানা সমস্ত গালি দিচ্ছিলেন। আমার ক্ষুদ্র মাথাতে ঢোকে না। ডাক্তারকে কেন গালি দিলেন? উনি শুধু হাসেন। বড় হলে নাকি আমি বুঝতে পারবো।
বড় হয়ে বুঝতে আমার সময় লাগে আরো ১৬ বছর। পায়ে একটা কাটা যায়গায় সেলাই করতে যাই রংপুর মেডিকেলে। অতি ব্যস্ত ডাক্তার যখন এনেস্থেসিয়া দিয়ে সেটা কার্যকর হবার আগেই সেলাই শুরু করে দিলেন তখন হঠাৎ বুঝতে পারলাম খালু কেন ডাক্তারকে গালি দিচ্ছিলেন আর ডাক্তারই বা কেন গালি খেয়ে স্যরি বলেছিলেন। লোকাল এনেস্থেসিয়া তখন ভ্রাম্যমান হাসপাতালে বাঘের দুধের মতই দুর্লভ।
অনেকবছর পরে খালুকে হঠাৎ ফোন করে জিজ্ঞেস করলাম, খালু আপনি কোন সেক্টরে ছিলেন? নিজেকে খুব ছোট, অক্ষম আর কাপুরুষ মনে হতে থাকে। খালু বলেন, কেনরে বাবা। এতদিন পর হঠাৎ? লজ্জায় মাটিতে মিশে যেয়ে বলি, না এমনি। ১১ নম্বর সেক্টর। তবে সার্টিফিকেট দেখতে চাস না, দেখাতে পারবো না। নেয়া হয় নাই। আচ্ছা খালু আপনার হাতে গুলি লাগে কবে? ২৬শে নভেম্বর, রসুলপুর স্লুইসগেট অপারেশনে। ১১ নম্বর সেক্টরে শুরু করলেও পরে আমরা কয়েকজন ৬ নম্বর সেক্টরে চলে আসি। গাইবান্ধার কাছে থাকা যায় বলে। নিজের এলাকা। -তখন তো যুদ্ধ প্রায় শেষ পর্যায়ে, হাতে অপারেশনের পর কি আবার যুদ্ধে ফিরে আসছিলেন? –হ্যা, কয়েকদিন পরেই আবার যোগ দেই। কিন্তু হঠাৎ এসব জানতে চাস কেন বাবা? আমি পরিস্কার কোন উত্তর দিতে পারি না। একথা সেকথা বলে জানতে চাই, ক্রিকেট খেলা দেখছেন না? “দেখি মাঝে মধ্যে। বাংলাদেশ তো বাদ
পরে গেল”। পাকিস্তানের খেলাটা দেখছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে? খালু কিছু না বলে দীর্ঘশ্বাসের মত শব্দ করে একটু হাসেন। আমার আর কিছু বলার সাহস হয় না।
সাত জন বীরশ্রেষ্ঠ, আটষট্টি জন বীর উত্তম, একশ পঁচাত্তর জন বীর বিক্রম, চারশ’ ছাব্বিশ জন বীর প্রতিকের কথা ভেবে হাঁটুটা কেঁপে ওঠে। পিঠে হাত দিয়ে নিশ্চিত হতে পারি না, লম্বা হাড়খানা কি জায়গামত আছে?
“........ফেব্রুয়ারীতে, পবিত্রভূমির পূর্বাংশের হিন্দুয়ানি মুসলিমরা যখন ভারতের উসকানিতে রাস্তায় নেমে তুমুল বিক্ষোভে দেশের শান্তি নষ্ট করছিলো, তখন শান্তির বার্তা নিয়ে ঢাকার বিশাল মাঠে কমনওয়েলথ দলের বিরুদ্ধে ফেব্রুয়ারীতে মাঠে নামে পাকিস্তান দল। আর তাদের দলের হয়ে ওপেন করতে নামে রকিবুল নামের এক তরুণ, তার ব্যাটে এক বেখাপ্পা স্টিকার। তাতে বদ্বীপের মানচিত্র, আর তার পাশে লিখা "জয় বাংলা"। ঠিকই আন্দাজ করেছেন, এই তরুণ এই পূর্বাংশের প্রতিনিধি। খেলার সাথে রাজনীতি মেশানোর মত অবিমৃশ্যতা পূর্বের নির্বোধেরা ছাড়া আর কেইবা করবে! মুক্তিযুদ্ধ নামের এক রাজনৈতিক ঘটনায় সেই বদ্বীপ স্বাধীনতা পেয়ে গেলে রকিবুলের আর টেস্ট ক্রিকেট খেলা হয়নি। অনেক বছর পর বিবিসিতে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সে বলে এই জন্য নাকি তার কোন আফসোস নেই!”(ref: http://www.sachalayatan.com/sajaldash/37934)
বাল্যবন্ধুর প্রফাইলে দেখি স্টেডিয়াম থেকে নতুন ছবি আপ্লোড করা হয়েছে। দুহাতে দুটো সবুজ পতাকা নিয়ে তার মুখে কস্মোপলিটান হাসি। একটা পতাকা অযথাই লাল। স্মার্ট ডিজুসরা আমাকে বলে Grow up man. It’s just a game, don’t now mix up with liberation politics!!! আমি ভাষা খুঁজে পাই না। Liberation is politics and they hate politics. What about humanity?- come’on man, পুরনো ইতিহাস ঘেটে কি লাভ। ঠিক সেই মুহূর্তে আমি উপলব্ধি করি আমি অক্ষম। কারণ আমার মুখে গালি চলে আসে।
- রিসালাত বারী
মন্তব্য
পাখাপোমাচু
আমি অক্ষম তাই গালিই ভরসা। তাও পুরো গালি দিতে পারি না। মানবতাবাদীরা পাকিস্তানীদের গালি দিলে তেড়ে আসে।
গালি দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য ফেসবুকের একাউন্ট-টাই ডিএক্টিভেট করে দিয়েছিলাম। আর একটু হলেই সামাজিক এবং পারিবারিক জীবন হুমকির মুখে পড়ে যাচ্ছিল। একদিন পর মনে হল এটা তো পলায়ন, আরো লজ্জার। বরং কিছু হাতিয়ার যোগার করা যায় কিনা দেখি। নয়ত অক্ষমতা প্রকাশ করে আবার গালিই দিব।
-রিসালাত বারী
খুব ভালো লাগলো। সামনে আরো লিখবেন আশা করি। গালি দেওয়ার অভ্যাস নাই। মাথার চুল ছিড়ে চান্দিতে চাঁদ উঠেছে। -রু
অসাধারণ লেখা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কেন জানি মাঝে মাঝে গালিও দিতে পারিনা, রুচিতে বাধে ! শুধু এক বুক জ্বালা গুমরে কাঁদে।
আমি গালি প্রায় দিইই না, দিলেও 'মোরন' টাইপ। কিন্তু সমস্ত যুক্তির উত্তরে কুযুক্তি শুনতে শুনতে মাঝে মাঝে রক্ত মাথায় উঠে যায়। লেখাটা ভালো লাগলো।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ঠিক! আজকাল মুক্তিযুদ্ধ মানে পলিটিক্স! সব জায়গাতেই একই কথা শুনতে হয়! ভাল লেখা...
-কথাটা একেবারে ঘাঁ দিয়ে গেল, অসাধারণ লেখা।
ধৈবত
http://www.facebook.com/home.php?sk=question&id=1696546179824&qa_ref=na#!/home.php?sk=question&id=192518547451111
উপাত্তগুলো দেখুন। ১৪% একটি শক্তিশালী মাইনরিটি...নিরপেক্ষতা যোগ করলে ২৩% দাড়ায়...মাঝেমধ্যে বাঙালিদের মনোভাব দেখে চমকে উঠি। আমাদের বিবেকহীনতার কোন সীমা নেই
অসাধারণ
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
অসাধারণ লাগলো, পুরাই অস্থির হয়ে গেলাম
অসাধারণ লেখা।
গালির দরকার হলে গালি অবশ্যই প্রযোজ্য। তার সাথেই যুক্তি চলে, যার কাছে যুক্তির মূল্য আছে। বাঙ্পাকিদের জন্য গালির বিকল্প নাই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাইদা, বাল্যবন্ধু কলিগ শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় সবাইকেই গালি দিতে হয়। আবারো বিকল্প খুঁজতে শুরু করেছি। আপাতত মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টায় আছি।
-রিসালাত বারী
এইমাত্র দুটো নিখাদ ক্রীড়াপ্রেমীর ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে আসলুম। সবাই ডিজুস হয়ে গ্যাছে, আমরাই শ্লার ক্ষ্যাত রয়ে গ্লাম।
"Liberation Politics" টার্মটা জীবনে সেদিন প্রথম শুনলাম এক ডিজুসের কাছ থেকে। আমি ক্ষ্যাতের মত হতবুদ্ধি হয়ে পরি।
-রিসালাত বারী
অযথাই লাল একটা পতাকার জন্য এক বুক ভালোবাসা...
দারুণ লেখা!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
পলিটিক্সের সংজ্ঞা কী? আমার মনে হয় যা কিছুর সংজ্ঞা আছে, যা কিছুর নাই, সব পলিটিক্স ...
লেখাটা ভালৈছে .... পাখাপোমাচু
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
পাখাপোমাচু একটা অর্থহীন শব্দসমষ্টি, কোন গালি না। এইটা মনে হয় ব্যবহার করা যেতে পারে।
"একটা পতাকা অযথাই লাল" শেষ অংশটা ঠিক গুলির মতই ছেদ করলো বুকে .... লোকজনের লাফালাফি দেখলে গালি দিতেও ইচ্ছা করে না ... গালি তো মানুষে বোঝে রে ভাই অমানুষ বুঝে না ...
- অর্ফিয়াস
হামার দ্যাশের লাগি গর্ব হয়। দ্যাশের ছইলের লেখাখান মাহেল হইছে!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অসাধারণ......
অসাধারণ একটি লেখা। আশা করি আরও লিখবেন।
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
দেশের জন্য কিছু করতেছি এমন আমার মনে হয় না। উপদেশ দেয়ার আগে দৃষ্টান্ত স্থাপনের মত যোগ্যতা তো আসলে অর্জন করতে পারি নাই। এইটা নিয়ে মানসিক দ্বন্দ্বে আছি।
অসাধারণ।
অসাধারণ!!!
- আয়নামতি
সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা মন্তব্য করার জন্য। সচলে এটা আমার প্রথম লেখা। অক্ষম আক্রোশে ফেসবুকে লিখেছিলাম যদি আমার ক্ষোভের সামান্য কিছুটাও তুলে ধরতে পারি। হিমু ভাইয়ের কথায় সচলে প্রকাশ করলাম। সবাইকে শুভেচ্ছা।
-রিসালাত বারী
চমৎকার।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই সার্টিফিকেট নেননি, কারণ তারা তো আর সার্টিফিকেটের জন্য যুদ্ধ করেননি। যদি জানতেন তাদের এদিন দেখতে হবে, তবে সব সাফ করেই তারা অস্ত্র ছাড়তো।
গালি দিয়েও কাজ হয় না। নির্লজ্জদের কিছুই হয় না।
অলস সময়
আমার মুখে এক দলা থুতু জমে ওঠে।তাই ভালভাবে গালি টাও দিতে পারিনা।আমি একবারেই অক্ষম...
দুর্দান্ত! "একটা পতাকা অযথাই লাল।" অসাধারণ!!
অসাধারণ...
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অসাধারণ এই লেখাটির জন্য ধন্যবাদ রিসালাত। নিয়মিত আপনার লেখা চাই।
আসুন আমরা নিয়মিত মানবতা োদাই এবং পাকিস্তান দলটির পতাকা ওড়াই খেলার দিন বাদে অন্য দিনও।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
অসাধারণ! নিয়মিত লিখুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আপনার অনুভূতিকে স্যালুট!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আফসোস, সৃাধীনতা নিয়ে কথা বললে আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করে আমার বনধু রা, পাকিস্তানের বিপক্ষে বললে বলে আমি ভারতের সাপোর্টার ।।।।।।। বড়ই আজব আমাদের মানসিকতা।
ফাটানো লেখা।
নিয়মিত লেখার অনুরোধ জানাই।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
লিখুন নিয়মিত।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমরা ভাই খেত ই রইয়া গেলাম, খেলার মধ্যে রাজনীতি আনি, পাকি আব্বাদের সাথে সামান্য গন্ডগোল কে মনে রাখি, লাল সবুজ দেখে শিহরিত হই, মুখে চান তারা আকাইতে পারি না, ভুইলা যাইতে পারি না ২৫ মার্চ, ৯ মাসের লাখ শহীদ, come on man , be man, man হইতে পারলাম না , তবে খুব আশা যদি human হইতে পারি
মাহবুব বাবুই
খুবই ভাল লেগেছে রিসালাত ভাই। চালিয়ে জান। আমরাতো আছিই আপনার সাথে।
- নাজরেন
দুর্দান্ত লেখা। আশা করছি নিয়মিত লিখবেন সচলায়তনে।
অসাধারণ। আমি আমার চোখের জল আটকাতে পারলাম। কিন্তু কেন জানিনা। ঐ অযথা লাল পতাকাটাই আমার সবকিছু।
এক কথায় অসাধারণ লেখা।
--
কালো ও সাদা
অসাধারণ ....আহ সত্যি যদি কিছু করতে পারতাম....এত অসহায় লাগে
অসাধারন লিখা, বারী ভাই । আপনার ফিলিংসের প্রতি হ্যাটস অফ! (আরযেডএস-০০)
--আধাঁর
অসাধারণ লাগলো, সচলে স্বাগতম, নিয়মিত লিখতে থাকুন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আবার তারা দাগিয়ে গেলাম।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তখন আমার মুখ ফুটেছিল হাত নড়ানোর অধিকার ছিল না তাই আজকে আমিও তারা ঠুকে গেলুম।
অসাধারণ ............
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন