ভর ও ওজন
মোটর বাইকের ভর কত হতে পারে? ৬(1,2) কেজি? ১১৪~১৬৯(2,3) কেজি? ধরে নিচ্ছি আমাদের মোটর বাইক ৩০ কেজি (ব্যাটারি, মোটর সবকিছু সমেত)। মোটর বাইক যিনি চালাবেন তার ভর কত? বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ পুষ্টি-হীনতায় ভুগে। তারপরও ধরে নেওয়া হল পুষ্টি-হীন একজন বাংলাদেশি মানুষের ভর ৬০ কেজি। (ভর ৬০ কেজি হবার পরও পুষ্টি-হীন এমন সংখ্যা কত কে জানে।) তাহলে সর্বমোট ভর ৩০+৬০=৯০ কেজি। এবার প্রশ্ন, এই বস্তুকে ঠেলে বা টেনে নিয়ে যেতে কত কষ্ট করতে হবে? ৯০ কেজির বস্তা টেনে বা ঘাড়ে করে নিতে হলে খবর হয়ে যাওয়ার কথা। সুবিধা হল এর সাথে দুটা চাকা লাগানো আছে। ৯০ কেজির মোটর বাইক টানতে তাহলে বেশি কষ্ট হবার কথা নয়। আসুন কথা না বাড়িয়ে হিসাব করে দেখা যাক কতটুকু কষ্ট হবে। মোটর বাইকের ভরজনিত কারণে ওজন(4) কত হবে? ৯০×৯.৮১= ৮৮২.৯ নিউটন। আমরা যেহেতু ডিজাইন করছি, সবসময় সাবধানে থাকতে চাই। ৮৮২ নিউটন আমাদের কাছে নিরাপদ নয়। কেন? আমরা একজনের বাইকে দুজন চড়তেই বেশি পছন্দ করি, সাথে গাঁট্টি-বোচকা তো থাকতেই পারে। গার্ল-ফ্রেন্ড থাকলে তো কথাই নেই। আর যদি বাচ্চা কাচ্চা থাকে? সাবধানে থাকতে চাই। শুধু শুধু খোদা প্রদত্ত জীবন নিয়ে টানাটানি করে লাভ কি? আসুন বাইক ডিজাইন করি দ্বিগুণ ওজনের জন্যে, ৮৮৩x২=১৭৬৬ নিউটন।
ঘর্ষণ বল
১৭৬৬ নিউটন রাস্তার উপর দিয়ে টেনে নিয়ে যাবেন? ঘর্ষণ(5)(6) আছে? অবশ্যই। ঘর্ষণ না থাকলে পিছলে পড়ে যেতেন। ৮৮৩ নিউটন ওজনের জন্যে ঘর্ষণ বল কতটুকু? যেহেতু চাকায় গড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, এক্ষেত্রে কাজ করবে ঘূর্ণন ঘর্ষণ। আপনাকে চাকা গড়িয়ে নিতে হবে এই ঘূর্ণন ঘর্ষণের বিরুদ্ধে কষ্ট করে।(7) এই ঘর্ষণ বল হিসাব করতে দরকার সমীকরণ। কোথায় পাওয়া যায় ইকুয়েশন? কোন বই? ধুর, হাতের কাছে উইকি থাকতে এত চিন্তা কিসের? উইকি বলে,
ঘূর্ণন ঘর্ষণ বল = (ওজন ×গুণাঙ্ক)/চাকার ব্যাসার্ধ (5,7)
স্থিতি ঘর্ষণে তো চাকার ব্যাসার্ধ ছিল না। এর মধ্যে চাকার ব্যাসার্ধ কোথা থেকে আসল? তার মানে কি, যত বড় চাকা তত বেশি ভাল? হুম। কিছুটা ঠিক। কারণ চাকার ব্যাসার্ধ বেশি হলে রাস্তার সাথে তার সংযোগ ক্ষেত্রফল বেড়ে যায়। তাহলে গাড়ির চাকা বিশাল বানালে ভাল? সবসময় না। কেন? কারণ তাহলে ভরকেন্দ্র উঁচুতে উঠে যাওয়ায় বাইক নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমস্যা হবে। XL নামে বাংলাদেশে একটা বাইক পরিচিত যেটা চালাতে অনেকেই ভয় পান। আমাদের মোটর বাইকের চাকার ব্যাসার্ধ কত হবে? ০.৫ মিটার নাকি ০.৮ মিটার? ( 8 ) গড়পড়তা ০.৬ মিটার ধরে নিলে সমস্যা কি? বাকি থাকল গুণাঙ্ক। আচ্ছা বাই সাইকেল আর মোটর বাইকের গুণাঙ্ক কি এক? মনে হয় না। বাইকের কত হতে পারে? দেখে নিলাম এখান(9) থেকে। আমরা সর্বনিম্নটাই নিলাম। গুণাঙ্কের মান ০.০০৬২ তাহলে এবার এক চাকার জন্য ঘর্ষণ বল কত আসে?
ঘূর্ণন ঘর্ষণ বল = ((মোট ওজন/২) ×গুণাঙ্ক)/চাকার ব্যাসার্ধ = ৯.১২৪ নিউটন।
তাহলে দু চাকার জন্যে আমাদের সর্বমোট ঘর্ষণ বল কত হবে?
মোট বল = ২ x এক চাকার ঘর্ষণ বল = ২x৯.১২৪=১৮.২৪৮ নিউটন।
১৮ নিউটন বল কতটুকু? ১৮.২৪৮/৯.৮১=১.৮৬ কেজি।
একটা বাইক ঠেলতে মাত্র ১.৮৬ কেজি বস্তা ঠেলার সমান বল লাগে? তাহলে বাইক চলবে না কেন? ঠেলা দিলেই তো বাইক দৌড়ানোর কথা। এ বাইক অবশ্যই চলবে। চলুন দ্রুত প্রয়োজনীয় কাজ এবং ক্ষমতা হিসাব করি।
বাইকে যেন কত গতিতে চলার কথা? ও হ্যাঁ ৩৫ কিমি/ঘণ্টা অর্থাৎ কিনা ৯.৭২ মি/সে বা ১০ মি/সে. প্রায়। তাহলে বাইক ঠেলতে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা কতটুকু?
ক্ষমতা = কাজ/সময় =(বলxদূরত্ব)/সময়=বলx(দূরত্ব/সময়)=বলxগতিবেগ = ১৮.২৪৮x১০=১৮২.৪৮ ওয়াট।
সোলার সেল দিয়ে ১৮৩ ওয়াট ক্ষমতা দেওয়া সম্ভব না? একটা সোলার সেলের কর্মদক্ষতা ১৫% হলে (নাসা [NASA]থেকে ধার নিলাম না হয়।) কতটুকু সোলার সেল লাগে। শুরুতে হিসাব করি কত শক্তির সূর্যালোক লাগবে? ১৮৩/০.১৫=১২২০ ওয়াট। আমাদের সূর্যি মামা প্রতি বর্গমিটারে ১৩৬৬ ওয়াট(10) শক্তি দিয়ে থাকেন। তাহলে কত বর্গমিটার সোলার সেল লাগতে পারে? ১২২০/১৩৬৬=০.৮৯৩ বর্গমিটার। মানে দৈর্ঘ্য প্রস্থ কতটুকু? সোলার সেল বর্গক্ষেত্র হলে দৈর্ঘ্য=প্রস্থ= ০.৯৪৫ মি. (প্রায় ১ মিটার)। মোটর বাইক চলবে না মানে? দৌড়াবে। তাড়াতাড়ি বাজার থেকে সোলার সেল কিনে নিয়ে এসে গাড়িতে লাগান। কি ব্যাপার গাড়ি চলছে না? কোথাও কি কোন সমস্যা হল?
বাতাসের বাগড়া
সমস্যা কোথায়? বাতাসের মধ্যে দিয়ে বাইক ঠেলে নিয়ে এগুতে হবে। এক্ষেত্রে বাতাসের বাধা থাকবে। বাতাস এই বাইক ঠেলতে আর কতটুকুই বা বাগড়া দেবে? বাতাসের বাধা নিয়ে জানতে হলে খোঁচা মারতে হবে এই রেফারেন্স এ।(11) উইকির এই আর্টিকেলের ভিডিওটা কাজে লাগতে পারে। তো সমীকরণ পাওয়া গেল,(12-14)
বাতাসের বাধা = (১/২) x বাতাসের ঘনত্ব x গুণাঙ্ক x সম্মুখ ক্ষেত্রফল x (গতিবেগ)^২
বাতাসের ঘনত্ব = ২৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডে ১.১৮৩৯ কেজি/ঘনমিটার(15)
গুণাঙ্ক=১.৩ (মানুষ দাঁড়িয়ে থাকলে) (13)
সম্মুখ ক্ষেত্রফল=০.৮ বর্গমিটার(12)
গতিবেগ=১০ মি/সে.
তাহলে বাতাস কতখানি বাগড়া দিল?
বাতাসের বাধা=(১/২) x ১.১৮৩৯ x১.৩ x ০.৮ x (১০)^২ =৬১.৫৬৩ নিউটন
এ পরিমাণ বলের দ্বারা ক্ষমতা কত হবে? ক্ষমতার সমীকরণ আমরা ইতোপূর্বে লিখেছি,
ক্ষমতা=বাতাসের বাধাxগতিবেগ=৬১.৫৬৩x১০=৬১৫.৬৩ ওয়াট
এ ক্ষমতাকে যোগ করি আগের প্রাপ্ত ক্ষমতার সাথে,
সর্বমোট ক্ষমতা= ১৮২.৪৮+৬১৫.৬৩=৭৯৮.১১ ওয়াট।
এটা কি হল? এবার তো মনে হচ্ছে শুধু ধাক্কা দিলে আর চলছে না। এর সাথে একটা ঘোড়া লাগাতে হবে। এর চেয়ে বরং বাইককে চাঁদে পাঠিয়ে দিই। সেখানে তো বাতাস নেই, তাই বাতাসের ঘর্ষণও নেই। উপরন্তু ক্ষুদ্রতর অভিকর্ষজ ত্বরণের জন্যে চাঁদে ঘর্ষণ বল কম হবার কথা। তাই পৃথিবীতে বাইক চালানোর চেয়ে চাঁদে বাইক চালানো সহজ।আপাতত পৃথিবীতেই থাকি? পরে নাহয় চাঁদের হিসাব করা যাবে?
দক্ষতা
যা হোক পাওয়া গেল মোটর বাইককে পৃথিবীর মাটিতে টেনে নিয়ে যেতে মূল(Raw) ক্ষমতার পরিমাণ। এই শক্তি সরবরাহ করতে হবে একটি ইলেকট্রিক মোটরকে।(16) অবশ্যই ইলেকট্রিক মোটর ১০০% কর্মদক্ষ নয়। তাহলে কর্মদক্ষ কতটুকু? যেহেতু প্রয়োজনীয় মোটরের ক্ষমতা ১~৪ অশ্বশক্তির মধ্যে সেক্ষেত্রে তার কর্মদক্ষতা ৭৮.৮%(17) তাহলে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা লাগবে ৭৯৮.১১/.৭৮৮ = ১০১২ ওয়াট। এ মোটর লাগানো থাকবে বাইকের চাকার সাথে। এক্ষেত্রে মোটর বাইকের চাকায় লাগানো বেয়ারিং –এ কিছু ক্ষমতার অপচয় হবে। কিন্তু কতখানি? SKF বেয়ারিং এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী তা প্রায় ৩%(18) অর্থাৎ কিনা বেয়ারিং এর কর্মদক্ষতা ৯৭%। তাহলে সর্বমোট ক্ষমতা বেড়ে দাঁড়ালো ১০১২/০.৯৭=১০৪৪ ওয়াটে। ইচ্ছা করলে বেয়ারিং এর কর্মদক্ষতা ঘূর্ণন ঘর্ষণ থেকে হিসাব করে দেখানো যায়। জটিলতা পরিহার করা হল।
এর সাথে মোটর বাইকের চেইনের কর্মদক্ষতা হিসাব করতে চান? মোটামুটি ২০ দাঁতের চেইন যখন ৪০০ ওয়াটের বেশি শক্তি চাকায় বহন করে নিয়ে যায় তখন তাদের কর্মদক্ষতা থাকে ৯৮%।(19) তাহলে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা আরও বেড়ে দাঁড়াল ১০৪৪/০.৯৮=১০৬৫ ওয়াটে।
ত্বরণ
সুতরাং, চলন্ত অবস্থায় বাইকটিকে প্রতি সেকেন্ডে ১০৬৫ জুল শক্তি ক্ষয় করতে হবে ধ্রুব ৩৫কিমি/ঘণ্টায় বাইক চালাতে। কিন্তু বাইক কখনো কখনো থেমে থাকবে এবং থেমে থাকা থেকে তাকে চলা শুরু করতে হবে। যদি বাইককে ৫ সেকেন্ডে ০ থেকে ৩৫কিমি/ঘণ্টায় গতিবেগ প্রাপ্ত হতে হয় তাহলে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা=শক্তি/সময়। এক্ষেত্রে শক্তি=গতিশক্তির পরিবর্তন=(১/২)xভরx(গতিবেগের পরিবর্তন)^২ = ০.৫x৯০x(১০)^২=৪৫০০ জুল।
তাহলে ক্ষমতা = ৪৫০০/৫=৯০০ওয়াট। এবার চেইন, বেয়ারিং ও মোটরের কর্মদক্ষতা হিসাব করে এ ক্ষমতা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৪৫০/(০.৯৭*০.৯৮*০.৭৮৮)=১২০০ওয়াটে (প্রায়)
একটি বাইককে দিনে গড়পড়তা ৩ ঘণ্টা চলতে হলে সর্বমোট প্রয়োজনীয় শক্তি = ক্ষমতা x সময় = ১০৬৫x৩x৩৬০০= ১১৫০২০০০ জুল।
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ৩ ঘণ্টাই কেন চালাতে হবে? মফিজ সাহেব উত্তরা থেকে মতিঝিল যাবেন আবার দিন শেষে ফিরে আসবেন। উত্তরা থেকে মতিঝিলের দূরত্ব ২০ কিমি প্রায়।(20) তিনি উত্তরা থেকে মতিঝিল যাবেন আবার ফিরে আসবেন। তাহলে সর্বমোট অতিক্রান্ত দূরত্ব ২০x২=৪০ কি.মি.। মোটর বাইকের জন্যে ৪০ কি.মি. ধরে হিসাব করাটা কি নিরাপদ? ঢাকার রাস্তা, আপনি জানেন না কখন কোথায় কোন গার্মেন্টসের রাস্তা অবরোধ, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রগণ রাস্তা অবরোধ করেছেন অথবা কোন রাজনৈতিক দল কোথায় রাস্তা আটকে সমাবেশ করছে। সাবধানতার জন্যে অতিক্রান্ত দূরত্ব ধরে নিচ্ছি ১০০ কি.মি. প্রতিদিন। মোটর বাইকের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৩৫ কিমি/ঘণ্টা। ১০০ কিমি যেতে তার সময় লাগবে ১০০/৩৫= ২.৮৫ ঘণ্টা বা ২ ঘণ্টা ৫১ মিনিট। এক্ষেত্রে আমরা ৩ ঘণ্টা ধরে নিচ্ছি।
৩ঘণ্টার ২০% (ঢাকার রাস্তার জ্যাম বিবেচনা করে এবং সিগন্যাল বিবেচনা করে এটা ধরে নেওয়া হয়েছে) সময় তাকে ত্বরণ দিতে হলে ত্বরণে প্রয়োজনীয় শক্তি = ক্ষমতা x সময় = ১২০০x৩x৩৬০০x০.২= ২৫৯২০০০ জুল। (ঢাকার রাস্তার জ্যাম বিবেচনা করে এবং সিগন্যাল বিবেচনা করে ২০% ধরে নেওয়া হয়েছে)
সম্পূর্ণ শক্তি
অর্থাৎ, সমস্ত দিনে প্রয়োজনীয় শক্তি = ১১৫০২০০০+২৫৯২০০০ = ১৪০৯৪০০০ জুল=৩.৯১৫ কিলোওয়াট-ঘণ্টা = ৪ কিলোওয়াট-ঘণ্টা (প্রায়)
সৌরশক্তির হিসাব
এবার দেখা যাক সৌরকোষ থেকে আমরা ৮ ঘণ্টায় কি পরিমাণ শক্তি সঞ্চয় করতে পারি।
সহজ হিসাবে, ১৩৬৬ ওয়াট/বর্গমিটার x ৮x৩৬০০ = ৩৯৩৪০৮০০ জুল/বর্গমিটার। কিন্তু বছরের সব দিন এবং দিনের সব সময় (সকালবেলা, বিকালবেলা বা মেঘলা দিনে) ১৩৬৬ ওয়াট শক্তি আমরা সোলার সেল দিয়ে আহরণ করতে পারব না। শীতকালে যখন সূর্য আকাশে হেলে থাকে তখন এই শক্তি কমে যায় ১৩৬৬ ওয়াট থেকে ৩০০ ওয়াটে।(21) বাংলাদেশে শীতকাল এতটা প্রকট না বলে আমরা এদের গড় ধরে নিচ্ছি (১৩৬৬+৩০০)/২= ৮৩৩ ওয়াট/বর্গমিটার। শীতকালে দিনের দৈর্ঘ্য ৮ ঘণ্টার কম হলেও আমরা ধরে নিচ্ছি বাংলাদেশের দিনের দৈর্ঘ্য সবসময় ৮ ঘণ্টা। তাহলে সূর্য থেকে একদিনে গড়ে আহরিত শক্তি = ৮৩৩x৮= ৬.৭ কিলোওয়াট-ঘণ্টা।
সৌরকোষের কর্মদক্ষতা হিসাব করলে আসছে = ০.১৫*৬.৭ =১ (প্রায়) কিলোওয়াট-ঘণ্টা।
ব্যাটারির দক্ষতা
এই ক্ষমতা দিয়ে একটি লেড-এসিড ব্যাটারি চার্জ করতে হবে যার চার্জিং কর্মদক্ষতা হতে পারে ৪৫~৬৮%। ৫০% দক্ষতা ধরে এবার ব্যাটারিতে সঞ্চয়িত শক্তি = ০.৫*১=০.৫ কিলোওয়াট-ঘণ্টা প্রতি বর্গমিটার সোলার সেলে।
সৌরকোষের ক্ষেত্রফল
তাহলে ১৫% দক্ষ সোলার সেল দিয়ে মোটর বাইক চালাতে প্রয়োজনীয় সোলার সেলের ক্ষেত্রফল = ৪/০.৫= ৮ বর্গমিটার। সোলার প্যানেল বর্গক্ষেত্র হলে তার দৈর্ঘ্য ২.৮৩ মিটার x ২.৮৩ মিটার। আপনার বাসার দরজাটা কি একবার মেপে আসবেন? এটা কি উচ্চতায় ২ মিটার? কাছাকাছি। ১৫% কর্মদক্ষতার সোলার সেল ব্যবহার করলে আমাদের প্রয়োজনীয় সোলার সেলের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ আপনার ঘরের দরজার উচ্চতার চেয়েও বড়।
আমরা খেয়াল রাখি সোলার প্যানেল আমরা ধার করে ছিলাম NASA থেকে। এবার আমরা নাসার সোলার সেল ফেরত দিয়ে হিসাব করি আমাদের ৫% দক্ষ সোলার প্যানেল দিয়ে। দেখা যাক ক্ষেত্রফল কত আসে।
সৌরকোষের দক্ষতা x ব্যাটারির দক্ষতা x প্রয়োজনীয় শক্তি = ০.০৫x০.৫x৬.৭=০.১৬৭৫ কিলোওয়াট-ঘণ্টা/বর্গমিটার
তাহলে, সোলার প্যানেলের ক্ষেত্রফল = ৪/০.১৬৭৫ = ২৩.৮৮ = ২৪ বর্গমিটার !!! (সতর্কাবস্থানে)
২৪ বর্গমিটার কতটুকু? এ তুলনার দায়িত্ব আপনাদের। মফিজ সাহেব এখন কি করবেন এটার সিদ্ধান্ত দেওয়ার দায়িত্বও আপনাদের।
শেষ করার আগে আমরা একটা ইউটিউব ভিডিও দেখে মাথা ঠান্ডা করি?
সাহায্য (কৃতজ্ঞতা স্বীকার)
1. Electric Motorcycle || LIGHTEST || ZERO MOTORCYCLES [Internet]. [cited 2011 Mar 26];Available from: http://www.zeromotorcycles.com/lightest.php
2. 2010 Ducati Monster 1100 [Internet]. [cited 2011 Mar 26];Available from: http://motorbike-search-engine.co.uk/2010-motorcycles/ducati-monster-1100.php
3. Honda MotorBikeSpecs.net Motorcycle Specification Database [Internet]. [cited 2011 Mar 26];Available from: http://www.motorbikespecs.net/index.dyn?flag=2&model_id=5839777&make=Honda
4. Weight - Wikipedia, the free encyclopedia [Internet]. [cited 2011 Mar 26];Available from: http://en.wikipedia.org/wiki/Weight
5. Blau PJ. Friction science and technology: from concepts to applications. CRC Press; 2009.
6. Persson BNJ, Tosatti E. Physics of sliding friction. Springer; 1996.
7. Rolling resistance - Wikipedia, the free encyclopedia [Internet]. [cited 2011 Mar 26];Available from: http://en.wikipedia.org/wiki/Rolling_resistance
8. Tire Size explaination and charts [Internet]. [cited 2011 Mar 26];Available from: http://www.steelthundercc.com/tiresizes.html
9. Low-rolling resistance tires - Wikipedia, the free encyclopedia [Internet]. [cited 2011 Mar 26];Available from: http://en.wikipedia.org/wiki/Low-rolling_resistance_tires
10. Sunlight - Wikipedia, the free encyclopedia [Internet]. [cited 2011 Mar 26];Available from: http://en.wikipedia.org/wiki/Sunlight
11. Drag (physics) - Wikipedia, the free encyclopedia [Internet]. [cited 2011 Mar 26];Available from: http://en.wikipedia.org/wiki/Drag_(physics)
12. Cossalter V. Motorcycle Dynamics. Lulu.com; 2006.
13. Drag coefficient - Wikipedia, the free encyclopedia [Internet]. [cited 2011 Mar 26];Available from: http://en.wikipedia.org/wiki/Drag_coefficient
14. Drag (physics) - Wikipedia, the free encyclopedia [Internet]. [cited 2011 Mar 26];Available from: http://en.wikipedia.org/wiki/Drag_(physics)
15. Density of air - Wikipedia, the free encyclopedia [Internet]. [cited 2011 Mar 26];Available from: http://en.wikipedia.org/wiki/Density_of_air
16. Electric motor - Wikipedia, the free encyclopedia [Internet]. [cited 2011 Mar 26];Available from: http://en.wikipedia.org/wiki/Electric_motor
17. Electrical Motor Efficiency [Internet]. [cited 2011 Mar 26];Available from: http://www.engineeringtoolbox.com/electrical-motor-efficiency-d_655.html
18. http://www.skf.com/files/686798.pdf [Internet]. [cited 2011 Mar 26];Available from: http://www.skf.com/files/686798.pdf
19. Cameron A. Measuring drive-train efficiency. Human Power. 1999;46:5–7.
20. Uttara, Dhaka, Bangladesh to Motijheel, Dhaka, Bangladesh - Google Maps [Internet]. [cited 2011 Mar 27];Available from: http://maps.google.com/
21. Solar Energy [Internet]. [cited 2011 Mar 27];Available from: http://zebu.uoregon.edu/disted/ph162/l4.html
মন্তব্য
ব্লগে আমার বিচরণ খুব বেশি নয়। কিন্তু একটি পোস্ট দিয়েই যে সমস্ত মন্তব্য পেয়েছি এবং সবাই যেভাবে আমার ভুলের কারণে অপর প্রকৌশলী, জ্ঞানী গুণী এবং সম্মানী ব্যক্তিদের অবমাননা করেছেন সেজন্য আমি সেসব সম্মানী ব্যক্তির কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী। উপরে প্রদত্ত হিসাব নিকাশে কোন ধরনের ভুল থাকলে আমাকে জানানোর জন্যে অনুরোধ করছি এবং সূক্ষ্ম বিচার বিশ্লেষণ আহ্বান করছি। কারোও কোন বিষয়ে জানার আগ্রহ থাকলে প্রথমে রেফারেন্স গুলোয় চোখ বুলানোর অনুরোধ করছি। এরপরেও সমস্যা হলে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব ব্যাখ্যা প্রদান করার জন্যে। সবাইকে ধন্যবাদ।
ব্যাটারি আর ইনভার্টার মডিউলের ওজন হিসাবে আনেন নাই। মোটর বাইকে যে বৈদ্যুতিক মোটর ব্যবহার করবেন, সেটা নিশ্চয়ই সিঙ্গল ফেজ ইনডাকশন মোটরই হবে (যেহেতু ডিসি মোটর অনেক ব্যয়বহুল আর মেইনটেন্যান্স-দুঃসাধ্য)। ১২০০ ওয়াট বা ১২০০ ভোল্ট-অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারির ওজনও মারাত্মক হবে। কাজেই শুরুতে ওজনের হিসাবটা আরেকটু বেশি হবে।
এইভাবে নরকের দরজায় আবারও পিকেটিং করাটা ভালো চোখে দেখতে পারলাম না। জাতির ভরসা বিলাশ বিডি ভাইয়া আবার যদি এসে আমাদের ধমকায়, আপনাকে তার দায় নিতে হবে। সময় থাকতে নরকের এগজিট রুট থেকে সরে দাঁড়ান, পথের বাধা সরিয়ে দিন, দেশকে এগোতে দিন।
হিমু ভাই, মোটর বাইক ২ বর্গমিটারের সোলার প্যানেল নিয়ে এমনিতেই চলতে পারছে না। এর উপর আবার ইনভার্টার, বৈদ্যুতিক মোটর এসবের ভর চাপিয়ে দিলে কি করে হবে? ইনভার্টার এ শক্তির অপচয় হয় কিনা সেটা আবার বিবেচনা করতে হবে।
দেশ এগিয়ে যাক এটা আমরা সবাই চাই। তবে সেটা হোক বাস্তবসম্মত ভাবে। স্বর্গে যেতে হলে সোলার সেলের মোটর বাইক লাগে বলে জানা ছিল না।
স্বর্গের ব্যাপারটা একটুখানি তাত্ত্বিক, বুঝতে সমস্যা হলে আপনার আগের পোস্টে হিমু ভাইয়ের মন্তব্য এবং যে মন্তব্যের উত্তরে সেটা করা হয়েছে সেটা একটু দেখে নিতে পারেন।
হুম, গতবার আপনি বাতাসের বাধা হিসাবে না আনায় ব্যাপারটা কনফিউজিং ছিল। দেখা যাচ্ছে, মোট শক্তি খরচের ৭৫% এরও বেশী খরচ হচ্ছে বাতাসের বাধা পেরুনোয়! ইন্টারেসটিং!
ভাই,
জ্যামে পইড়া থাকলে কিন্তু গাড়ি চলবোনা। খাড়ায়া থাকবো। তখন না হয় একটু সোলার খায়া নিলাম
ব্যাটারী-ই তো নাই। সোলার খায়া রাখনের জায়গা নাই ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
কয়েকটি জিনিস লক্ষ্যনীয়ঃ
১) ড্র্যাগ কোইফিসিয়েন্ট এর মান এত হবেনা।
আপনার লিঙ্কমতে, দাঁড়ানো মানুষের ড্র্যাগ কোইফিসিয়েন্ট ১.০ - ১.৩। আপনি আপার ভ্যালু নিলেন, সমস্যা নেই। এবার দেখুন একই লিঙ্কে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের কোইফিসিয়েন্ট ১.৩ - ১.৫। আমি যদি এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের লোয়ার লিমিট নেই সেক্ষেত্রে বাতাসের বাধা একজন মানুষ আর এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে সমান হবে যেটা অসম্ভব। সুতরাং তথ্য একটু ভাল রেফারেন্স থেকে নিলে ভাল হয়।
সাধারণত মোটর সাইকেলের ক্ষেত্রে ড্র্যাগ কোইফিসিয়েন্ট এবং সম্মুখ ক্ষেত্রফলের গুনফল (Cd* A) এর মান ০.৪-০.৫ এর মত হবার কথা, আপনার ক্ষেত্রে তা হয়েছে ১.০৪। আমি কয়েকটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রকাশনা দেখেছি, রাইডিং এর সময় ড্রাগ বেশ কমে যায়। আপনার দাঁড়ানো মানুষের ক্ষেত্রে ড্র্যাগের মান আরোহী সহ মোটরবাইক চলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় এবং প্রযোজ্য নয়। রাইডিং এর সময় ড্র্যাগ ফোর্স বসে থাকার অর্থেক হয়ে যায়। আপনি চাইলে আমি পেপার পাঠাতে পারি। সেক্ষেত্রে ইমেইল এড্ড্রেস দিবেন।
২) আপনার বাতাসের ড্র্যাগ ফোর্স ক্যালকুলেশন স্থির বাতাসের ক্ষেত্রে। অর্থাৎ যদি বাতাসের বেগ শুন্য এবং তার মধ্যে দিয়ে আরোহী মোটর সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন এমন ক্ষেত্র।
প্রথমতঃ V বেগে চলমান মোটর সাইকেল আরোহীর ক্ষেত্রে Vw বেগের বাতাস গতির বিপরীতে আসলে (হেড উইন্ড) বাতাসের গতিবেগ মোটর সাইকেলের বেগের সাথে যুক্ত করে ড্র্যাগ হিসেব করতে হবে।
সেক্ষেত্রে, বাতাসের বাধা = (১/২) x বাতাসের ঘনত্ব x গুণাঙ্ক x সম্মুখ ক্ষেত্রফল x (V+Vw)^২
দ্বিতীয়তঃ V বেগে চলমান মোটর সাইকেল আরোহীর ক্ষেত্রে Vw বেগের বাতাস গতির দিকে আসলে (হেড উইন্ড) বাতাসের গতিবেগ মোটর সাইকেলের বেগ থেকে বিয়োগ করে ড্র্যাগ হিসেব করতে হবে।
সেক্ষেত্রে, বাতাসের বাধা = (১/২) x বাতাসের ঘনত্ব x গুণাঙ্ক x সম্মুখ ক্ষেত্রফল x (V-Vw)^২
সাধারনত প্রথম ক্ষেত্রই ডিজাইনে ব্যবহৃত হয়।
মনে রাখতে হবে মোটর সাইকেল বা সাইকেলের গবেষণায় ড্র্যাগ গুরুত্ত্বপুর্ণ এবং গুরুত্ত্বপূর্ন বিষয় হিসেবে বিবেচিত সবসময়। কোইফিসিয়েন্ট ( রোলিং রেসিস্ট্যান্সের জন্য ও ড্র্যাগ এর জন্য) আপনি সঠিক উপাত্ত ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন বলে আশা করি।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
১) স্যার ড্র্যাগ কো-ইফিশিয়েণ্ট এর মানের জন্যে আমি সর্বোচ্চ মান নিয়েছি কারণ সোলার সেল মোটর বাইকে লাগিয়ে রাখতে হবে। আমি যতটুকু জানি, এই কো-ইফিশিয়েন্ট এর মান নির্ভর করে জিওমেট্রি বা জ্যামিতিক আকৃতির উপরে। এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং এর জ্যামিতিক আকৃতি বোধহয় আয়তাকার (আমি সম্পূর্ণ জানি না)। এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং এর ক্ষেত্রফলের উপরে নির্ভর করে তার বাতাসের বাধা অবশ্যই মোটর বাইকের বাতাসের বাধার থেকে বড় হবে এবং অনেক গুনে বেশি হবে। তবে আমার জানার ভুল থাকতেও পারে।
রাইডিং এর ক্ষেত্রে ড্র্যাগ কমে যায়, এ বিষয়ে আমি বিস্তারিত জানি না। এক্ষেত্রে আপনার উল্লেখিত গবেষণা পত্র আমাকে পাঠিয়ে দিলে আমার অনেক উপকার হবে। আমাকে ই-মেইল করতে পারেন।
এই ঠিকানায়।
২) বাতাসের গতিবেগের ব্যাপারটা হিসাব করিনি জটিলতা পরিহারের জন্যে এবং আরও একটা ব্যাপার ধরে নিয়েছি, বাইক বাতাসের দিকে যতক্ষণ চলবে বিপরীতেও ততক্ষণ চলবে। তবে আপনার কথা ঠিকই আছে। আমরা ডিজাইন করি সবসময় সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বিবেচনা করে। একারনেই আমি ড্র্যাগ কোইফিশিয়েন্ট সর্বোচ্চ ধরে নিয়েছিলাম। আরও একটা ব্যাপার। মোটর বাইক অনেককেই দাঁড়িয়ে চালাতে দেখেছিলাম
বাতাসের বাধা মানুষ আর এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে সমান হবে কেন? মোট বাধা তো Cd এবং ক্ষেত্রফলের সমান... যেহেতু মানুষের কার্যকর ক্ষেত্রফল অনেক কম তাই বাধাও অনেক কম হবে বলে মনে হয়...
ইগল
বলতে চাইছিলাম Cd*ক্ষেত্রফলের সমানুপাতিক
ফিজিক্স পরা ছাড়ছি ৬ বছর হলো। ইন্টারে ফিজিক্স অনেক প্রি্য় বিষয় ছিলো। অনেক দিন পর ফিজিক্স পড়ার মজা পেলাম। যদিও পুরাপুরি বুঝে আসে নাই এখনো, তবে চেস্টা চালাচ্ছি।
-বহিরাগত
ধন্যবাদ, আপনার কষ্টসাধ্য পোস্টের জন্য।
ঘর্ষণ গুনাঙ্কের মানটা মাত্রাহীন (non-dimensional) ধরেছেন কি? দেখে তাই মনে হচ্ছে। যদি তাই হয় তাহলে বাসার্ধ দিয়ে ভাগ করার দরকার হবে না (যদিও মোট চাহিদার খুব বেশি হেরফের হবে না তাতে, শুধু হিসাবের খাতিরে বলা)।
ইগল
মূলত, ঘূর্ণন গুনাংক মাত্রাহীন নয়। 12 নং রেফারেন্সের বইটাতে ব্যাখ্যা করা আছে। বইটি গুগল বুকস এর প্রিভিউ মুডে কিছুটা পড়া যায়। আর প্রয়োজন হলে ডাউনলোড করে নিতে পারেন লাইব্রেরী.এনইউ থেকে।
কুম্ভীলোক
দুঃখিত কুম্ভিলোক বানান ভুল ।
-
কুম্ভিলোক
আবারও ভুল। কুম্ভীলোক বানান কুম্ভিলক হবে।
মূলত, ঘূর্ণন গুনাংক মাত্রাহীন নয়। 12 নং রেফারেন্সের বইটাতে ব্যাখ্যা করা আছে। বইটি গুগল বুকস এর প্রিভিউ মুডে কিছুটা পড়া যায়। আর প্রয়োজন হলে ডাউনলোড করে নিতে পারেন লাইব্রেরী.এনইউ থেকে।
কুম্ভীলোক
হ্যা মাত্রাহীন নয়, কিন্তু ব্যাস অথবা ব্যাসার্ধ দিয়ে ভাগ করলে মাত্র হীন হয়ে যায়| সেটাই বলা আছে আপনার ৭ নং রেফারেন্স এ
The force of rolling resistance, not adjusted for velocity, can be calculated by[3]:
F=Crr*Nf
where
F is the rolling resistance force,
Crr is the dimensionless rolling resistance coefficient or coefficient of rolling friction (CRF), and
Nf is the normal force
The force of rolling resistance can also be calculated by[1]:
F=Nf*b/r
where
F is the rolling resistance force,
r is the wheel radius,
b is the rolling resistance coefficient or coefficient of rolling friction with dimension of length, and
Nf is the normal force
যদি ডাইমেনশন থেকে থাকে তাহলে ০.০০৬২ টা কি আলোকবর্ষ নাকি আমস্ট্রং তা তো লিখলেন না...
igol ভাই, সবকিছু SI এককে হিসাব করেছিলাম তো তাই গুনাংকের মানও মিটারে। ০.০০৬২ আলোকবর্ষ হতে পারত কিন্তু আমস্ট্রং কি? আমি তো চিন্তা করছিলাম আপনি আবার নেইল আর্মস্ট্রং এর কথা বলছেন কিনা।
-
কুম্ভিলক
কিন্তু ভাইটু, আপনি যেখান থেকে মানগুলো নিয়েছেন (9) সেখানে একটু দেখে নিয়েছেন কি? সেখানে কিন্তু কোনো ডিমেনশন দেয়া নেই
http://en.wikipedia.org/wiki/Rolling_resistance#Rolling_resistance_coefficient_examples
এখানে গেলেও দেখতে পাবেন যে এই গুনান্কের মান গুলো দুটো ছাড়া সব Crr হিসেবে দেয়া| অর্থাৎ সাধারণ নিয়ম হচ্ছে নন ডাইমেনশনাল হিসাবে লেখা| আপনার ০.০০৬২ মানটিও আছে সেখানে, কোনো রকম ডাইমেনসন ছাড়াই| তাই বলছিলাম কি, খুউপ খিয়াল কইরা
আশা করি পরিস্কার করবেন|
ওহ ওটা টাইপো
আচ্ছা যদি সারা ঢাকা শহরের উপরে ফ্লাইওভারের ঢাকনা দিয়ে দেয়া হয় আর তার উপর সোলার প্যানেল বসিয়ে দেয়া হয় (+ সবগুলো দালানের ছাদেও বসানো হয়)
তাহলে সেখান থেকে তারের আঙুল (কিংবা জিহ্বা) দিয়ে ছুঁয়ে/চেটে পাওয়ার নিয়ে (কলকাতার ট্রাম যেমন নেয়) একখান মটরবাইক চালান যাবে না?
পরিস্থিতিটা চিন্তা করে হাসতেই আছি
-রিসালাত বারী
বাইক বাদ্দিয়া যদি পুরা ঢাকনার নিচে একটা করে চেয়ার দিয়ে রোপওয়ে বানায় নেই তাইলেই হয়। জ্যাম নাই। আর রোপওয়ে মানুষ নিয়ে যাওয়ার সময়ে একটু নিচু ঢালে যাবে, আর খালি চেয়ার আসার সময়ে বিপরীত ঢাল বেয়ে উঠবে - তখন মানুষের ওজন থাকবে না জন্য সোলার দিয়েই কাজ হওয়া উচিত। ব্যাটারি থাকবে স্টেশনারি, যা অন্য সময়ে চার্জ হতে থাকবে, যা পিক আওয়ারে একটু সহায়তা দিবে।
চেয়ার সিস্টেম হইলে ঐ মটরবাইকের চেয়ে ওজনও কম হবে বলে মনে হয়।
রোদ না থাকলে কিন্তু খবর আছে!
আর যদি [url=http://en.wikipedia.org/wiki/Maglev_(transport)]maglev[/url]এর মত বানাতে পারা যায় তাহলে ঘর্ষণ নিয়ে চিন্তা করা লাগবে না।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
বজ্রার গুন টানা আবহমান বাংলার একটা ঐতিহ্য। যেদিন রোদ থাকবে না সেদিন 'নিড টু রাইড' বেসিসে এই ঐতিহ্যের প্রচলন ঘটানো যেতে পারে। যিনি এই চেয়ারওয়েতে চড়বেন তিনি এই আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের চর্চা করে চেয়ারকে নিজের কাছে টেনে আনবেন। চেয়ার আর দড়ির সংযোগস্থলে একটা বেয়ারিং লাগিয়ে দিলেই হবে। যেহেতু একটু ঢালু থাকবে, চেয়ারে বসা মাত্রই সেটা ঘড়াৎ করে শেষ মাথায় চলে যাবে। এতে করে বিদ্যুৎ এবং সৌর- দুই শক্তিরই সাশ্রয় হবে। আবার পাবলিকের মধ্যেও ঐতিহ্য লালনের একটা প্রতিযোগিতা তৈরী হবে। যেটা খুবই ইতিবাচক।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চমৎকার পোষ্ট, পছন্দের তালিকায় নিলাম। এমন সহজ করে লেখা প্রযুক্তির বর্ণনা আগে কখনো পড়িনি।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আমি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র না।
তাই, অনেক পোস্টের অনেক জায়গায়
প্রথমত,
বিষয়বস্তুতে আমার কোনপ্রকার দক্ষতার অভাব আমারে এই পোস্ট এবং আগের পোস্টটার মন্তব্যপ্রতিমন্তব্যগুলো বুঝতে সমস্যা দিচ্ছে। কেউ একজন আমারে দুইটা আইডিয়া ঠিক আছে কিনা জানান -
ঠিক বললাম?
দ্বিতীয়ত,
পোস্টলেখকের জন্য কিছু পরামর্শ -
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আমার প্রথম পোস্টের উদ্দেশ্য ছিল প্রথম আলোর বিপক্ষে দেয়া মন্তব্য না ছাপানোর বিষয়টি নির্দেশ করা। সেখানকার হিসাব ভুল এবং সেখানে দেওয়া হিসাবের উদ্দেশ্যও ছিলনা বাইকের অবাস্তবতা প্রমাণ করা।
আগের পোস্ট আর এই পোস্টের উদ্দেশ্য ভিন্ন সে জন্যে রেফারেন্সে আগের পোস্ট উল্লেখ করা হয়নি।
আমার স্টাইল যদি সেরকম মনে হয়ে থাকে তাহলে দুঃখিত। সর্বোচ্চ চেষ্টা করব ভবিষ্যতে এধরনের স্টাইল এড়িয়ে যাবার জন্যে। আমি মোটেও দুই পক্ষ নিয়ে চিন্তা করিনি। অনেকেই আছেন যাদের জন্যে কিছু ব্যাপার বুঝতে সমস্যা হয়। তাদের কথা মাথায় রেখেই ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা করছিলাম মাত্র। তবে একটা ব্যাপার মোটামুটি সবাই হয়ত বুঝতে পেরেছে ২ বর্গমিটারের সোলার সেল দিয়ে মোটর বাইক চালানো সম্ভব নয়।
ব্লগ দুনিয়া বেশি আনাগোনা করা হয়নি বলে আমার আগের পোস্টের মন্তব্যে অনেকের কথোপকথন দেখে মনে হয়েছিল অনেকেই ফাইট করছে।
-
কুম্ভিলক (এই পোস্ট লেখক )
চূড়ান্ত নিশ্চিত না হয়ে কিছু বলতে চাচ্ছিলাম না আপনার পোস্টে। আগের টাতেও না, এটাতেও না। কিন্তু মোটামুটি নিশ্চিত যে ব্যাপারটায় সেটা নিয়ে হালকার উপর ঝাপসা কয়েকটা তথ্য দেই।
এখানে এক ধরনের বাহন আছে। বাই-সাইকেলের মতোই হালকা কিন্তু চলে মোটরে। এগুলোকে এখানে বলে 'মোফা'। পথেঘাটে বাই-সাইকেলের নিয়ম মেনেই চালানো যায়, কোনো লাইসেন্স লাগে না। তার কিছু আছে ১ কেডব্লিউ বা তারও কম ক্ষমতার। ৩-৪ ঘন্টা চার্জ দিয়ে মোটামুটি চল্লিশ কিলোমিটারের মতো পথ চলা যায়।
এখন, আমি যে ব্যাপারে নিশ্চিত না, সেটা হলো—
১) এই মোফাগুলোকে যদি সূয্যিমামার আলোতে চার্জ করতে চায় (স্থিতাবস্থায়) কেউ তাহলে কাহিনিটা কী দাঁড়াবে!
২) ব্যাটারি ফুলচার্জ করে রাস্তায় নামিয়ে চলতে থাকলে কাহিনি কী হবে (সোলার সেল লাগানো অবস্থায়)!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার উদ্দেশ্য যদি হয়ে থাকে দিনে কোনভাবেই এবং কোন অবস্থাতেও ৪০ কিলোমিটারের (নিরাপদ থাকার জন্যে অন্তত ২০ থেকে ২৫ কিমি ধরা উচিত বলে মনে করি) বেশি যাবেন না উপরন্তু ১৫% কর্মদক্ষ সোলার প্যানেল ব্যবহার করবেন (ব্যয়সাপেক্ষ যদিও) এবং সোলার সেলগুলো ভিডিওতে দেখানো ভাবে বাইকের সাথে লাগাতে পারেন (বাতাসের বাধা কমানোর উদ্দেশ্যে) শুধুমাত্র তাহলেই ২ বর্গমিটার সোলার প্যানেল ব্যবহার করা সম্ভব।
ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ করে রাস্তায় নামিয়ে চলতে থাকলে সেক্ষেত্রে ব্যাটারি সোলার সেল থেকে চার্জ হতে থাকবে। তারপরও নিরাপত্তার জন্যে দিন শেষে ব্যাটারি চার্জ করার জন্য (যদি প্রয়োজন হয়) অপরাপর শক্তি উৎসের সাথে লাগিয়ে রাখা উচিত। কেননা এক্ষেত্রে শক্তি ব্যয় এবং শক্তি সঞ্চয় এর নিরাপদ সীমা কাছাকাছি যা ব্যাটারির জীবন (ব্যাটারি লাইফ) খুব দ্রুত কমিয়ে আনবে।
-
কুম্ভিলক
পদার্থবিদ্যা যা শিখেছিলাম তার অনেকটাই ভুলে গেছি। কিন্তু এই হিসাবে মনে হয় একটু অসুবিধা আছে।
বাইক কিন্তু পুরো ওজন টানছে না, ওজনের অনুভূমিক (Horizontal) উপাংশ (component) টানছে। মাটির সাথে বাইকের কোনের কোসাইন দিয়ে ওজনকে গুন করলে আপনি অনুভূমিক উপাংশ পাবেন। ৯০ কোনে (অর্থাৎ খাড়া দাঁড়িয়ে থাকলে) ওজনটা কোন ফ্যাক্টর নয়, কেননা cos90 হচ্ছে শূন্য। মাটির ঘর্ষনটাই এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা। ৯০ কোন পুরো বাস্তবসম্মত না হলেও এর মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকা বাইক এর কাছাকাছি কোনেই থাকবে। আপনার হিসাব কিন্তু এই কোনটা ০ ডিগ্রি ধরে, এই হিসাব লিফটের ক্ষেত্রে হতে পারে, বাইকের নয়।
এটা আমার স্বল্প জ্ঞানের উপলব্ধি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
একটি বস্তু যখন সম্পূর্ণরূপে ৯০ ডিগ্রী কোণে খাড়া দাঁড়িয়ে থাকে তখন তাকে ঠেলে নিয়ে যেতে ঘর্ষণ বাধার বিপরীতে কাজ করতে হয়। যদি সমতল না হয়ে হেলানো হয় তাহলে ঠেলে বা টেনে উপরে তুলতে কষ্ট বেশি হবে কেননা ঘর্ষণ বলের পাশাপাশি বস্তুর ওজনের উপাংশ তখন বস্তুকে নিচের দিকে টানতে থাকবে। আর হিসাবে ওজন আনা হয়েছে শুধুমাত্র ঘর্ষণ বল বিবেচনা করার জন্যে। এছাড়া সরাসরি ওজন ধরে কোন ধরনের হিসাব করা হয়নি।
আর সহজভাবে কিভাবে ব্যাখ্যা করতে পারি? ধরুন কোন বস্তু সমতলে দাঁড়িয়ে আছে। এখন আপনার কথা অনুযায়ী আমরা তাকে আনুভূমিক দিকে টেনে বা ঠেলে নিয়ে যেতে চাই। এক্ষেত্রে যদি কোন বাধা কাজ না করে তাহলে শুধুমাত্র একবার ঠেলা দিয়ে তাকে ত্বরণ দিতে পারলেই আজীবন চলতে থাকার কথা (নিউটনের প্রথম গতিসূত্র)। যদি বলতে চান বাতাস বাধা দেবে তাহলে চাঁদে নিয়ে গিয়ে যদি একবার ঠেলা দিই তাহলে আজীবন চলতে পারার কথা যেটা কখনো ঘটে না। যদি বুঝাতে না পেরে থাকি বা নতুন কোন ধরনের দ্বিধা তৈরি করে থাকি তাহলে বলবেন, আবার ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করব।
-
কুম্ভিলক
আপনার ক্যালকুলেশনটা মনে হয় প্রথমবার ভালো মত দেখিনি। পরে দেখলাম আপনি ফ্রিকশন ক্যালকুলেশনের জন্যই ওজনটা ব্যবহার করেছেন। মাই ব্যাড।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নতুন মন্তব্য করুন