কেস স্টাডি ০১
শুরুতেই আপনাদের একটা দুঃসংবাদ দিই। দুঃসংবাদটি প্রথম শুনি আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে। ওর জবানীতেই বলিঃ
"আর্কি'র ০৪ এর এক ভাই (নাম জানি না) এক আপু কে নিয়ে ক্যাফে তে বসেছিলেন। ঐ সময় কিছু ছেলে আর এক ছেলের (যে কিনা ওই আপু কে পছন্দ করে) নেতৃত্বে ক্যাফেতে আসে। ওনাদের (০৪ এর ভাই+ ওই আপু) দিকে তাকাতে থাকে। ভাইয়া আপু কে সি এন জি তে তুলে দিতে চাইলে তারা বাঁধা দেয়। এবং ওই আপুকে নজরুল হলের গেস্ট রুমে আটকে রাখে। ওই সময় রুমের ভেতর আর এক জনই (নেতা ছেলে) ছিল। রুম ভেতর থেকে আটকানো ছিল। এক ঘন্টার মত সময়।"
রেফারেন্সের অভাবে খবরটা শেয়ার করতে পারছিলাম না। আর হলের অধিবাসিরাও নিরাপত্তার অভাবে ঘটনাটা চেপে যাওয়াকেই বুদ্ধিমানের কাজ মনে করেছে। কিন্তু, বিডিনিউজে খবরটা আসামাত্রই অনেকেরই টনক নড়ে। প্রশাসন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু জানে না বা জেনেও না জানার ভান করে আছে।
কেস স্টাডি ০২
এইবার আমরা আরো একটা দুঃসংবাদ শুনি।
থার্টিফার্স্টের রাতে মোকাম্মেল নামের এক ছাত্রলীগ নামধারী পাণ্ডা মদ্যপ অবস্থায় সাঙ্গোপাঙ্গো নিয়ে এক তরুণীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া তথ্যমতে, আশেপাশের মানুষজনের ধাওয়া খেয়ে সে আহসানউল্লা হলে এসে আশ্রয় নেয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই ঘটনা আমরা সাধারণ ছাত্ররা জানতে পারি মাত্র ক'দিন আগে বিডিনিউজ মারফত। সজ্ঞানে কিংবা অজ্ঞানে সবাই ঘটনাটা গোপন রেখে দেয়। এইখানে বলে রাখি, এই মোকাম্মেল WRE ডিপার্টমেন্টের ছাত্র এবং কলেজে থাকাকালীন সময়ে সে শিবিরের রাজনীতি করতো বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের ভূমিকা যেমন রহস্যময়, তেমনি ছাত্রলীগের মাথা নরক জাহানের বক্তব্যও স্বাভাবিকভাবেই তারা চ্যালাপোলাদের এই ধরণের কর্মকাণ্ড করতে আরো উৎসাহিত করবে বলেই মনে হয়।
গল্পবাজের ডায়রি থেকে
সাড়ে তিন বছর হল, ক্যাম্পাসে আছি। এই দীর্ঘ সময়ে 'রাজনীতি' নামক বস্তুটি কখনো-সখনো আমাদের চায়ের টেবিলে বাড়তি আনন্দ বা উত্তেজনা যোগ করেছে, এমনটা মনে পড়ে না। ইদানীং যে কী হল, আলাভোলা ইঞ্জিনিয়ারগুলো হঠাৎ করেই সব রাজনীতি সচেতন হয়ে উঠলো। কই আমরা লাইব্রেরিতে বসে নীম্যান সাহেবের গুষ্ঠি উদ্ধার করবো, তা না, র্যাগ কর্ণারে বসে মামা লীগের পোলাপানের কীর্তিকলাপের গল্প করতে করতে আমাদের বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে বেজে যায়। বন্ধুদের মধ্যে অনেকের জবান আবার একটু বেয়াড়া গোছের। মামা লীগের পোলাপানের মা-বাপ তুলে গালিগালাজ না করলে এদের সিঙ্গারা-সমুচা হজম হয় না। গালি দিয়ে আবার চারপাশে একটু দেখে নিই, মামা লীগের কেউ আবার আমাদের দেখছে না তো? এহেন অপরাধের দরুণ আমাদের কাউকে না আবার গৌতমদার মত আইসিইউ তে পড়ে থাকতে হয়, কে জানে।
ফুটবল পাগলার ডায়রি থেকে
স্পষ্ট মনে আছে, গতবারের চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমিতে যখন বার্সা ইন্টারের কাছে হেরে বসলো, আমার এন্টি-বার্সা বন্ধুরা আনন্দে আত্নহারা হয়ে বার্সাবিরোধী মিছিল শুরু করে দিলো। হলে থাকি না, কিন্তু খোমাখাতার কল্যাণে হলের এইসব গরম খবর পেতে দেরি হয় না। কোন এক বিচিত্র কারণে আমার এই বন্ধুগুলোকে খুব হিংসে হচ্ছিল। এক অদ্ভূত অসাধারণ জীবনের অংশীদার হতে না পারায় খানিকটা দুঃখও হচ্ছিল। হ্যাঁ, আমার বন্ধুরা এরকমই। ওরা বার্সার আনন্দে উল্লসিত হয়ে কিংবা পরাজয়ে উদ্বেলিত হয়ে মিছিলে বেরোয়, সম্রাট কিংবা সনির জন্য ওরা মিছিলে বেরোয়, অবৈধ পোষ্য কোটার প্রতিবাদে ওরা নির্ভয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। সেই বন্ধুদেরই সহপাঠীদের কেউ কেউ যখন গৌতমদাকে আইসিইউতে পাঠিয়ে মামা লীগের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অশ্লীল বিজয় মিছিল করে, তখন খারাপ লাগে বৈকি। অবাক হয়ে ভাবি, এও কী সম্ভব? বুয়েটে এমন দ্শ্য দেখতে হবে, এ ছিল আমার কল্পনারও অতীত। আমার অন্য ভার্সিটির বন্ধুরা বলেন, আরে, বুয়েট তো আর বাংলাদেশের বাইরের কিছু না। সারা দেশে যা ঘটতেসে, তার রিফ্লেকশন তো এখানেও পড়বে---এটাই স্বাভাবিক। আমি কিছু বলতে পারি না। অক্ষমের মত কাতরাতে থাকি। চোখ বন্ধ করে ক্যাম্পাসে ঘোরাফেরা করি। আমি এবং আমার বন্ধুরা।
ফেসবুকখোরের ডায়রি থেকে
এদিকে ছাত্রলীগের চ্যালাপোলারা খোমাখাতায় স্ট্যাটাস দিয়ে বেড়াচ্ছে, "এরপর থেকে যারা ব্লগে কিংবা ফেসবুকে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড নিয়ে লিখবেন, তারা দয়া করে নিজের নাম-পরিচয় প্রকাশ করবেন।" স্বীকার করছি, আমরা ভীরু, আমরা কাপুরুষ, আমাদের হ্ৎপিন্ড আছে, ওতে স্পন্দন নেই, আমাদের মেরুদণ্ড আছে, কশেরুকা নেই, আমাদের মস্তিষ্ক আছে, মগজ নেই, কিন্তু আমরা আপনাদের বিবেকহীন নই। আজকের এই ভয় খাওয়া ছেলেগুলোই কাল মাথা তুলে দাঁড়াবে। যার লক্ষণ ইতিমধ্যে এখা দিয়েছে খোমাখাতাতেই। আমাদের এক বন্ধু বুয়েটের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে দু'পর্বের একটি চমৎকার লেখা লিখেছেন। লেখা দুটি শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারছি না। পাঠকদের অনুরোধ করবো, এ অবস্থার উত্তরণের জন্য কী কী করা যেতে পারে সে বিষয়ে কীবোর্ড খুলে পরামর্শ দিতে। দু-চারটে বরাহ সন্তানের জন্য আমরা আমাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠানকে এভাবে চোখের সামনে ধ্বংস হয়ে সেতে দিতে পারি না।
১।কুনো ব্যাঙ্গের হৃৎপিণ্ড
২।কুনো ব্যাঙ্গের হৃৎপিণ্ড (Part 2)
---নামে কিবা আসে যায়
মন্তব্য
কতৃপক্ষ কি জানে, নাকি জানেনা তা ঠিক বুঝলাম না...। বুয়েটের বেশিরভাগ ছাত্রই ঝামেলাতে যেতে চায় না... রাজনৈতিক শক্তির বিরুদ্ধে একা কিছু করাটাও বোকামি... কিন্তু তবুও কিছু না কিছু তো করতে হবে...যে ঘটনাগুলো জানালেন তা স্বনামে না হলে 'নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক' হিসাবে তো কতৃপক্ষকে জানাতে পারেন...
-
বঙ্গসন্তান
"ছাত্রলীগের আগের কমিটির নেতাদের ছাত্রত্ব শেষ হওয়ায় এবং বর্তমানে অনুমোদিত কোনো কমিটি না থাকায় প্রশাসন মনে করে, ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। " এই যদি হয় প্রো ভিসির বক্তব্য তাহলে কার বিরুদ্ধে কাকে বলব। প্রোভিসি আর বঙ্গবন্ধু পরিষদ ছাত্রলীগকে পালতেসে , অথচ এই ছাত্রলীগের কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটিরই অনুমোদন নেই । আর কোন অভিযোগ করতে গেলেই তো প্রমাণ চাবে। অথচ এদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় প্রমান এদের পোস্টার গুলাই , ক্যাফেতে, হলের সিড়িতে অথবা হলের ক্যন্টিনে। আর আসলে এরা কোন রাজনৈতিক শক্তি না এরা সন্ত্রাসি শক্তি, এদেরকে ঝেটিয়ে বুয়েট থেকে বিদায় করাই একমাত্র করণীয়।
বুয়েট কে যারা নষ্ট করতে চায়, তাদের প্রতিরোধ কর ।
আপনার দেওয়া লিঙ্ক দুইটা দেখা যাচ্ছে না
এ ব্যাপারে লিঙ্ক দুটির লেখকের দ্ষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। শিগগিরি লিঙ্ক দুটি দেখতে পারবেন বলে আশা করা যাচ্ছে
---নামে কিবা আসে যায়
অনেকেই বলে, ব্লগে লিখে কিছু হয় না। সেই দিন কিন্তু এখন আর নেই। অবৈধ পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে আমরা যখন আন্দোলন করছিলাম, তখন কিন্তু এই সচলের মানুষজন আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলো। খুব সম্ভব ষষ্ঠ পাণ্ডবাদার একটা লেখা জনমত গঠনে খুব কাজে লেগেছিলো। ব্লগ তাই এখন আর কোন ফেলনা জিনিস নয়। আপনি শুধু ভয় পাবেন না, বুয়েটের পরিস্থিতি নিয়ে আরো লেখা দিন। এই লেখাগুলো বুয়েটের অনেক স্যারের চোখেও পড়বে, আমরা জানি। অনেকেই তো পরিস্থিতি সম্পর্কে ঠিকমত জানেই না। ওদের জানানো দরকার। সুদিন আসবেই
---আশফাক
ফেইসবুক লিঙ্কগুলো প্রাইভেসি সেটিংস ঠিক করতে হবে , রেস্ট্রিক্টেড আছে মনে হচ্ছে ...
লেখাটা ভালো লাগলো, বুয়েটের অবস্থা জেনে খুব খারাপ লাগলো , এমন অবস্থা চিন্তাই করতে পারছিনা
হুমম... লিঙ্ক দু'টো এক্সেস করা যাচ্ছে না.... অথচ ক'দিন আগেই দেখা যাচ্ছিলো....
আরেকবার ট্রাই করে দেখুন। এখন এক্সেস করতে পারার কথা।
---নামে কিবা আসে যায়
একটা লিস্ট বানান এই সব পাতি নেতাদের , সব জায়গায় শেয়ার করেন, ওদের যেন বয়কট করা হয়। পাস করে কেমন করে দেখা যাবে.....................
কিছু নাম তো বিডিনিউজের লিঙ্কেই আছে। এ ছাড়াও গৌতমদার বিরুদ্ধে এ্যাকশনে মাসুম-০৭, শোয়েব-০৬, ওয়ালিদ-০৭, জিয়া-০৭, নরক জাহান-০৪ নেত্ত্ব দেয় বলে অভিযোগ আছে। আর মোকাম্মেল ও ফাইরুজের নাম তো ছেলেপেলেকে ফিসিফিস করে উচ্চারণ করতে হয়---উনারা এতোই ক্ষেমেতাবান
---নামে কিবা আসে যায়
একটা গনপিটানী দেবার সময় চলে আসছে। এবং মাইরটা সাধারন ছাত্রদের হাতেই খাবে কয়েকদিনের মধ্যে।
তাই, না? ব্লগে কয়েকটা নেট ফ্রিক বসে কুক্কুর কুক্কুর করে। আসলে এইসব ফ্রিকদের সামনে কেউ কথা বলতে দেখে না। কোন এক্টিভিটিসেও দেখিনা। ব্যাক্তিগতভাবে বুয়েটের অনেকগুলা ব্লগারকে আমি চিনি। এরা হলেন, রুম-বাসীনি। এরা মাঠে আসেনা, ক্লাবে আসেনা। বুয়েটের কোন প্রোগ্রামে খাবার টাইমের আগে আসেনা। .....................
এই ফ্রিকগুলা সারাদিন রুমে বসে বসে ভাল লেখা দিয়ে আহা উহু করে করে নিজেকে সচেতন বিবেক জাহির করে। আর বাকিদের গালি দেয়, মেরুদন্ডহীন, কশেরুকা নাই, বিচি নাই বলে বলে। প্রশাসন নিয়ে কোন কথা নাই, ছোটখাট পাতিদের পিছে লাগা।
দেখি আসল কান্ডারী, লীগের মূল ছাত্রনেতাকে নিয়ে একটা লেখা দাও তো সোনা ফেসবুকে। ভিসি সাহেবের দূর্নীতি নিয়ে কিছু লিখে দাওতো সোনা। অদ্দুর করতে পারবেনা। শুধু পাতি নেতা নিয়ে লিখে, নিজেকে বীর জাহির করতে পারবা। গনপিটুনীটা কে দেবে সোনা? তুমি?
চরম সত্যি কথা আর এটাই বাস্তবতা
এটাকে কি নিরব হুমকী বলে?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আজও মনে পড়ে বুয়েট এর ভর্তি পরীক্ষার দিনটার কথা কত আশা ছিলো .. নাহ হয়নি,বুয়েট এ চান্স না পাওয়ার দুঃখে দেশ ছাড়া হলাম এখনো আফসোস করি,কিন্তু একটার পর একটা ঘটনা বন্ধুদের ব্লগে বা প্রোফাইলে পড়ে এখন মনে হচ্ছে এরকম অবস্থায় পড়লে কি করতাম তখন?? যেখানে নিজের মতামত প্রকাশ করার মতো স্বাধীনতা নেই যেখানে রাজনীতি হয়ে যায় সব কিছুর নির্ধারক শক্তি সেখানে একসাথে মাথা তুলে দাড়াবার শক্তিটাই বা কতজন রাখে???হয়তো আজকে দেশের থেকে অনেক দুরে থাকি, বুয়েটিয়ান ও নই আমি কিন্তু তারপরও দেশের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাকে নিয়ে চোখ বুজে গর্ব করতাম দেশের বাইরের মানুষের কাছে সেটার এই অবস্থা দেখে খারাপ লাগে আরও বেশি খারাপ লাগে যখন বুঝি কিছুই করতে পারবনা .... দেশের মেরুদন্ড অনেক আগেই ভেঙ্গে দাওয়া হয়েছে শিক্ষা ব্যাবস্থা নষ্ট করে তারপরও যারা যুদ্ধ করে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে এধরনের অপচেষ্টা প্রবল ঘৃণার উদ্রেক করে,রাজনীতি মুক্ত শিক্ষাঙ্গন দেশের ছাত্র সমাজের একমাত্র দাবি হওয়া উচিত এখন ...
-অর্ফিয়াস
শুধু বুঝলাম, যে বুয়েটকে রেখে এসেছিলাম ২০০৬ এ তার উজ্জ্বল রঙ ফিকে হয়ে আসছে। এই নব্য বুয়েটকে আমি চিনিনা।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সহমত প্রকাশ করছি জাহিদ ভাই।
মোকাম্মেল এবং তার বন্ধুদের অনেকেই নারীলিপ্সার জন্য বিখ্যাত। অবাক লাগছে বুয়েটে পড়েও এসব ঘটনা এতোদিন জানতে পারিনি। এতোটআই কি মেরুদন্ডহীন হয়ে পড়ছি আমরা
দেখতে চাই না এমন বুয়েট।
বাংলাদেশের অনেক ইউনিতেই এখন এই অবস্থা। আশার কথা হল, এগুলোর বিরুদ্ধে কলম ধরবার মত শক্তিও বুয়েটিয়ানদের হাতেই আছে।
যখনি দাঁড়াবে তুমি সম্মুখে তার
পথকুক্কুরের মত সংকোচে সত্রাসে যাবে মিশে।
পেশিশক্তিবাজেরা খুব শিগগিরি বুঝবে, বুয়েট এদের জায়গা নয়।
ব্লগে, ফেসবুকীয় নোটে এমন লিখা আরো আসুক।
সাত্যকি
বুয়েটের এই দশা দেখতে হবে কখনও ভাবি নাই। আমাদের সময়ে রাজনীতির এতটা উপদ্রব ছিল না। ঘাড় ধরে নেতাগুলিকে শিক্ষা দেয়া উচিত - কিন্তু কেউ দিবে না।
-তারিকুল ঐক্য
বুয়েট থেকে বের হবার পর বুয়েট অনেক বদলে গেছে। আমি কোনো পলিটিকাল দলকে দূষবার আগে আমার মনে হয় বুয়েট এর সাধারন ছাত্রের মান কমেছে। বুয়েটে ছাত্রদের টেন্ডারবাজি শুনেছি। কিন্তু শ্লীলতাহানির অভিযোগ শুনেছি বলে মনে পড়েনা। আর নজরুল হলে তো রুপক ভাই, জাহিদ ভাই, মহিউদ্দিন ভাই, কিনবা সহপাঠী আহসান বা আদনান ছিল, তাই নজরুল হলে এই গুলা চিন্তাও করা যায়নি। দূরভাগ্য আমাদের যে আমরা যোগ্য উত্তরসূরী রেখে আসতে পারিনি। এই লজ্জা আমার ও আমাদের।
ঘোড়ার ডিম
আসভ্য না হয়েও আধুনিক হওয়া যায়।
নজরুল হলই একমাত্র হল যেখানে নির্দলীয় ছাত্র সংসদ ছিল এবং যতদূর জানি ২০০৭ পর্যন্ত এখানে কোন রাজনৈতিক দলই আধিপত্য বিস্তার করতে পারে নি। আমার মনে আছে শিবিরের শুভ, লোকমান এবং আরো কয়েকজন একবার তাদের একটা প্রকাশনা নিজেদের রুমে পর্যন্ত নিতে পারেনি। আহসান ভাইয়ের সাথে সেদিন আমরা যারা আব্দুল হাইয়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম, তারা সবাই বাধা দেই এবং কিচ্ছুক্ষনের মধ্যে আরো অনেকেই নিচে নেমে এসে রুখে দাড়ালে শিবিরের পোলাপান লিফ্লেট গুলো নিয়ে কেটে পরে।
বিএনপি ক্ষমতা থাকাকালিন সময়ে ছাত্রদলের লায়ন ভাই, পরবর্তীতে ছাত্রদলের সভাপতি মাসুম ভাই নজরুল হলেরই বাসিন্দা ছিল। তা সত্ত্বেও হলে তারা কোন প্রভাব-ই বিস্তার করতে পারেনি সাধারন ছাত্ররা একতাবদ্ধ থাকার কারনে।
সেই হলে এমন ঘটনা শুনে মনটা তিক্ত হয়ে গেল।
-রিসালাত বারী
বুয়েটের সমস্ত অপকর্মের প্রধান দায় বুয়েট কর্তৃপক্ষের। কর্তৃপক্ষ জানে না, এমন কোনো আকাম বুয়েটে হয় না। হল ডাইনিংয়ের মেস ম্যানেজারীর চুরি থেকে ক্যাফের চাঁদাবাজি, পরীক্ষা পেছানো, ভাঙচুর সবকিছুর পেছনেই তাদের আস্কারা থাকে। একজন সাধারণ ছাত্র নকল করে ধরা পড়লে বুয়েট থেকে বহিষ্কার করা হয়; কিন্তু লেজুড়ওয়ালা ছাত্রেরা একা এক রুম দখল করে থাকে। এদের বিরুদ্ধে কখনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। বুয়েটে যারা রাজনীতি করে, তাদেরও ৯৯%ই ভীতু, কর্তৃপক্ষের তেমন কিছু করা লাগবে না, শুধু আকামের জন্য বহিষ্কার করা শুরু করলেই এরা টাইট হয়ে যাবে। অবশ্য এতে কর্তৃপক্ষের কাজ একটু বেড়ে যায় এই আর কি। বুয়েট বন্ধ না হলে নানাবিধ সমস্যা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
---নামে কিবা আসে যায়
একেবারেই একমত। এই ভিসি প্রো-ভিসি সরকারী দলের পা-চাঁটা দালাল। এদেরকে দিয়ে আর যাই হোক বুয়েটে কখন এসব কুকুরদের নিবারন করা যাবে না
সব কিছুই কি তবে চলে যাবেই নষ্টের দখলে? !!
সব কিছুকেই কি নষ্টদের দখলে চলে যেতেই হবে???????
দু:খজনক...........
কি শুরু হলো বুয়েটে? রাজনৈতিক দলগুলো বুয়েটের মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে একেবারে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া দরকার।
সুপ্রিয় দেব শান্ত
পেশিশক্তিবাজেরা খুব শিগগিরি বুঝবে, বুয়েট এদের জায়গা নয়।
ব্লগে, ফেসবুকীয় নোটে এমন লিখা আরো আসুক।
পেশিশক্তিবাজেরা খুব শিগগিরি বুঝবে, বুয়েট এদের জায়গা নয়।
ব্লগে, ফেসবুকীয় নোটে এমন লিখা আরো আসুক।
এখনো বুয়েট মানেই দেশের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রদের আড্ডাখানা...সেই বুয়েট এর ছাত্ররা এধরণের কাজ করার সময় বা মানসিকতা কোথায় পায় আমি বুঝিনা...ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা মেডিকেল নিয়েও এধরণের কথা শুনি মাঝে মাঝেই...দেশটা তবে কার ভরসায় বাচবে?
মোকাম্মেল আর তার বন্ধুদের জন্য কিছুদিন পরে কোন মেয়ে বুয়েটে আসবে কিনা সন্দেহ। জগতে নারী ছাড়া মোকাম্মেল গং আর কিছু চিনে কিনা সন্দেহ! ফেইসবুকে এরা ফেইক প্রোফাইল খুলে বুয়েটিয়ান পরিচয় দিয়ে বুয়েটের বাইরে মেয়েদের সাথে প্রেম করে বেড়ায়। যতদিন পর্যন্ত সেই মেয়ের ভালো মানুষীর সুযোগ নিতে পারবে, ততদিন সেই মেয়েকে রাখবে, তারপর ছুড়ে ফেলবে। এরকম কিছু নারীলিপ্সু ছেলে এখন বুয়েটে মাথা গজিয়ে দাড়িয়েছে
ফেসবুক নোট'টা পড়লাম। পড়লাম এই লেখাটাও। আগেও বোধ'য় একজায়গায় বলেছি, আবারও বলছি- পরিস্থিতি বদলাতে হবে বর্তমান ছাত্রদেরই। সিনিয়র'রা 'কিছু একটা' করবে কিংবা জুনিয়রেরা রুখে দাঁড়াবে- এই চিন্তায় নিজের গা বাঁচিয়ে হয়তো চলে যাওয়া যাবে, কিন্তু এই পরিস্থিতির উত্তোরণ কখনোই ঘটবে না। নিজেরা এই কীটগুলোকে নর্দমায় ফেলে না যেতে পারলে ভবিষ্যতে এই ঘা'য়ের আঁচর নিজের শরীরেও এসে পড়বে। বাঁচন নাই।
ফেসবুক নোট লিখিয়ের লেখনী পছন্দ হয়েছে। অনুরোধ করবো সচলে (নিয়মিত) লেখার চেষ্টা করতে, যদি ইতোমধ্যেই লেখা শুরু না করে থাকেন। অগ্রিম স্বাগতম জানিয়ে রাখলাম।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
There are 2 types of students now in BUET according to the DSW .
1. Chatra League (DSW'S TORIKAR LOK)
2. The General Students.
TORIKAR LOK are now getting priority in all types of functional works in hall and campus.
বাংলায় লিখলে পড়তে ভালো লাগে।
লিংক দেয়া দুটো লেখাই পড়লাম
.....
ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে যা কিছু বলেছিলাম সব তুলে নিলাম। আমরা পাকিদের অধম, আমরা রাজাকারদেরও অধম।
বোকামানুষ
হতাশা আর লজ্জা !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
লিংক দেয়া লেখা দুটো পড়া যাচ্ছেনা
আমরা বন্ধুরা কিছু উদ্যোগ নেবার কথা ভাবছি। আপনারাও কিছু সাজেস্ট করুনঃ
১। ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে পোস্টারিং করা যেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে মামালীগের পোলাপানের কাছে ধোলাই খাবার ভালো সম্ভাবনা আছে
২। প্রতিবাদস্বরূপ সবাই মিলে একদিন ক্লাস বর্জন করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে স্যারেরা পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবেন বলে মনে হয়। তবে সব ডিপার্টমেন্টের সাড়া পাব বলে মনে হয় না
৩।ভিসি কিংবা ডিএসডব্লিউ'র কাছে ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে সাধারণ ছাত্রসমাজের পক্ষ থেলে এ্যাপ্লিকেশন দেয়া যেতে পারে। তবে যদ্দূর জানি, বর্তমান ভিসি কানাডার এ্যাম্বাসেডর হবার জন্যে ব্যস্ত আছেন আর ডিএসডব্লিউ কে যারা ব্যক্তিগতভাবে চেনেন, তারা জানেন, তিনি কতোটা নিম্ন প্রজাতির প্রাণি। তার কাছ থেকে কোন সাহায্য পাব, এমনটা আশা করা বাতুলতা
---নামে কিবা আসে যায়
ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধের চেয়ে কর্তাস্থানীয় শিক্ষকেরা যাতে লেজুড় না ধরেন, সেটা আগে করেন। ভিসি, ডিএসডাব্লিউই কালপ্রিট হলে তাদের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার আশা না করে মিছিলের টার্গেট তাদেরকে করেন, কাজ হবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বুয়েট আর আগের মত নাই
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
আমি নজরুল ইসলাম হলের রেসিডেন্ট। মোকাম্মেল ভাই এর রুমের মাত্র ৩রুম পরে থাকি এবং উনাকে ব্যাক্তিগত ভাবে আর খুব ভাল ভাবে চিনি। মোকা ভাই ছাত্র রাজনিতির সাথে জড়িত, কিন্তু এখানে লেখক মহোদয় যেসব তথ্য দিয়েছেন বা এর আগেও কয়েকটা লিখায় যা লিখেছেন তার সাথে বিন্দুমাত্র একমত হতে পারছি না।
Mokammel Hossain is a man who's got something called personality.
আর লেখক মহদয় এর লিখাগুলো HSCতে একটা অধ্যায় পড়েছিলাম, "Power Of The Media" - সেইটারি অপপ্রয়োগ ছাড়া আর কিছুই মনে হল না...... আপনার এবং আপনার information source এর নিরপেক্ষতার ব্যাপারেও ঘোরতর সন্দেহ পোষন করছি......
বিডিনিউজ কি তাহলে ভুল খবর ছাপলো আপনি বলতে চান?
" Mokammel Hossain is a man who's got something called personality. "
মাতাল মোকা যখন 31st রাত ১ টায় তার কৃতকর্মের পর নজরুলে পালানোর পথ খুজতেসিল , ঐ ঘটনার চার সাক্ষির নাম আমি নিজেই জানি । ঘটনার ৩০ মিনিটের মধ্যেই তিতুমীর হলের অধিকাংশ ছাত্র ঘটনা টা জেনে যায় , মিডিয়া জানার বহু বহু আগে , আমি নিজেও জানসি মিডিয়া জানার বহু আগে , আর লেখকের নিরপেক্ষতা নিয়ে তোমার সন্দেহ আছে অথচ মোকা কে নিয়ে কোন সন্দেহ নাই । এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে তুমি লীগের লেজুড় । একটা প্রশ্ন করতে চাই তুমি বুয়েটিয়ান হয়ে মোকাকে সাপোর্ট কর তোমার লজ্জা করেনা ?
প্রিয় বুয়েট নষ্টদের অধিকারে চলে যাচ্ছে; কিছু করতে পারিনা বলে একটা অপরাধ বোধ আমাদের অনেককেই তাড়া করে।আহসান উল্লাহ
হলে প্রকাশ্যে একজনকে রড নিয়ে তাড়া করল,দুই গ্রুপে রাতের বেলায় চাকু দেখিয়ে একে অপরকে শাসাল,এক গ্রুপের(এখন অবশ্য আর গ্রুপভেদ এর কথা শোনা যায় না) মহান নেতা সিদ্ধান্ত নিলেন যে অপেক্ষাকৃত দুর্বল গ্রুপের সদস্যদের ঘরে,বিছানায়,টেবিলে,ড্রয়ারে কোথাও কোন ধারাল অস্ত্র (যেমন রড,ফল কাটা চাকু,স্ট্যাম্পও ইত্যাদি) থাকলে খুঁজে বের করে তথাস্ত সেই ছাত্রের শাস্তির বিধান করে ক্যাম্পাসে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার মহান দায়িত্ব তাদেরই,যথাবিহিত কাজ হল।একরাত্রে ক্যাম্পাসের পরিচিতজনদের কে বা কাহারা বিভিন্ন হলে কয়েকজনকে পিটিয়েছিল,শুনেছিলাম ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের কাছে বিচার চেয়েছিল,কিন্তু কালক্রমে প্রশাসন তা ভুলিয়া গিয়াছিল।ফুটবল বিশ্বকাপের সময় এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল, মারামারি করতে গিয়ে একটা ছেলে তার মাথা ফাটাল,জুনিয়র(০৬) সিনিয়রকে(০৫) "কুত্তার বাচ্চা হলে আসিস দেখে নেব" বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিল,সিনিয়র দের গায়ে থাপ্পড় দিল,ক্যাম্পাসে বেধড়ক মারামারি হল। এগুলো কোন সমগ্র ব্যাচ এর সাথে ব্যাচ এর সংঘর্ষ ছিল না। জুনিয়র সিনিয়র দন্দও ছিল না। এটা একটা বিচ্ছিন্ন কয়েকটি রাজনৈতিক পুঙ্কটার বিরুদ্ধে ০৫এর ছেলেদের একটা সম্মিলিত প্রতিবাদ ছিল বলা যায়। আমি বলছিনা যে ওই ঘটনায় ০৫ এর কোন দোষ ছিল না বা ০৫ ব্যাচের কেঊ রাজনৈতিক মদদে ছিল না। দোষ-গুন বিচারে উভয় পক্ষেরই শাস্তি পাওয়া উচিত ছিল। ওই ঘটনার নেপথ্যে কারা ছিল? কেন ঘটল? কিভাবে ঘটল?
এর সব কিছুই ক্যাম্পাসে অবস্থানরত সবার কাছেই পরিষ্কার ছিল?শুধু প্রশাসনের ভুমিকাটাই আমাদের কাছে পরিষ্কার ছিলনা। প্রশাসন কিছু বললা না কেন?আমার মনে হয় এই ঘটনাটা ক্যাম্পাসের বর্তমান ছাত্রদের মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল।কারন একটা কথা আগের ঘটনাগুলোর ভিত্তি করে জেনেছিলাম যে বুয়েট এ ধরনের যে কোন ঘটনার সাথে প্রকটভাবে জড়িত ছাত্রদের বহিষ্কার করে।সেখানে আমরা সবাই দেখলাম এসব রাজনৈতিক নেতাদের বহিষ্কার কি(?) শাস্তি তো দূরে থাক জামাই আদর শুরু হয়ে গেল।ক্যাম্পাসের কোন কাজেই এখন সাধারণ ছাত্ররা নেতৃত্ব দিতে পারে না; গুরুদের অনুমতি ছাড়া।এর কারন ছাত্রদের অপরাগতা বা ব্যর্থতা তা কিন্তু পুরোপুরি না। আপনি কোন একটি প্রোগ্রামের জন্য DSW বা প্রশাসনের কাছে যান আপনাকে কুকুর শেয়ালের মত করে তাড়িয়ে দেবে। ওই একই কাজের জন্য নেতারা গেলে তখন কিভাবে জানি সুসম্পন্ন হয়ে যায়,স্পন্সরের আবেদন পত্রে রেফারেন্স পেতে কোন কিছু ব্যাখ্যা করতে হয় না,কারন তাদের চোখে মুখে লেখা আছে তারা রাজনৈতিক।
গৌতমদার ঘটনাটার পরে প্রশাসন নোটিশ দিল, ক্যাম্পাসে কতৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত সকল ধরনের পোষ্টার বা ব্যানার লাগানো নিষিদ্ধ।তা সকলের পোষ্টার ছাত্রলীগ নিজ দায়িত্বে সরিয়ে ফেলল শুধু ছাত্রলীগের বড় ব্যানারটা বুয়েটের প্রধান গেটে লাগানো থাকল, বুয়েট প্রশাসন তা দেখলই না।হলে হলে যে স্বঘোষিত কমিটির পোষ্টার সাঁটানো তা কি স্যারদের নজরে পড়েনা নাকি কানে পৌঁছায় না?
ছোট খাট অনেক ঘটনায় ঘটে যাচ্ছে। ব্লগেরই আরেকটি লেখায় পড়লাম কোন এক রাজনৈতিক ক্যডার নাকি ডিপার্টমেন্টে গিয়ে সবার
সামনে একটি মেয়েকে থ্রেট করে আসে কেউ তাকে কিছু বলতে পারে না।
গৌতমদাকে পিটিয়ে জখম করে,রক্তাত্ত ছবি আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের ফেসবুকের মাধ্যমে।বুয়েটের কেউ ফেসবুকে তা শেয়ার দেয়ার বা একটু সহমর্মিতার বাক্য জানানোর সাহস রাখেনা।
ছোট হোক বড় হোক ওদের দারা প্রতিদিনই কিছু না কিছু ঘটছে হলে,গেস্টরুমে,ডাইনিংএ,ক্যান্টিনে,ক্যাফেতে,ক্যাম্পাসে,পলাশীতে।কেউ কিছু বলে না,বলতে পারে না;ভয় পায়,সবাই ওদের খুব ভয় পায়।
সাধারণ ছাত্রদের মান কমেছে,যুগের সাথে তাল মিলিয়ে স্বার্থপর ও আত্মকেন্দ্রিক হয়েছে।এদের জীবনটা কেমন জানি নিস্তরঙ্গ হয়ে যাচ্ছে,এরা পড়ে,কম্পুটারটায় গেইম খেলে, মুভি দেখে,আরও কিছু দেখে,রিপোর্ট লেখে,আজকের দিনের আবশ্যিক কার্য ফেসবুকের পেইজ খুলে বসে থাকে,চ্যাট করে,CGP, GRE,Scholarship নিয়ে এদের মস্তিষ্ক যায় যায় অবস্থা,শুধু মানবিক এবং অন্যের মানিসিক অবস্থা নিয়ে ভাবার সময় এদের কমে যাচ্ছে।
তবু এতকিছুর পরেও এত ছাত্র একসাথে এত ভীতু হল কিভাবে?এত আত্মকেন্দ্রিক হল কেন তারা? একটা ছোটগল্পের একটা উক্তি কে একটু অন্যভাবে বিবৃত করিঃ "একটা অন্যায়ের যুক্তিযুক্ত বিচার না হলে শুধু ঐ ঘটনার সমাপ্তি ঘটেনা বাবু পরবর্তী অন্যায়ের প্রতিবাদ করার যে স্পৃহা তাও ঝিমিয়ে যায়।"
এই যদি অবস্থা হয়, তাহলে মেরুদন্ডে থেরাপি নেয়া দরকার।
কথায় কথায় 'গৌতমদার' আগমন দেখে কয়েকটি কথা না বলে পারলাম না...।
আমরা যারা বুয়েটের রাজনীতি নিয়ে কথা বলে সাধু সাজার চেষ্টা করছি ...
প্রশ্ন-১- আমরা নিজেরাও ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নইত ?
প্রশ্ন-২- ব্লগ এ লিখাটা কি আমাদের সংগঠন থেকে পাওয়া দায়িত্ব ?
প্রশ্ন-৩- নাম প্রকাশের বাধ্যবাধকতা না থাকার সুযোগে কি আমরা হলুদ সাংবাদিকতাকে নতুন মাত্রা দিচ্ছি ?
গৌতমদাকে লেখক ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না। যা কিছু দেখেছি, শুনেছি---তার প্রেক্ষাপটেও এ লেখা।
আর আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন, লেখক কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত নন।
---নামে কিবা আসে যায়
১। ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকলে বুয়েট ছাত্রলীগের নোংরামি নিয়ে কথা বলা যাবে না?
২। যদি ছাত্রফ্রন্টের কেউ এই ব্লগটা লিখেও থাকে, তার বক্তব্য কি ভুল? যদি ভুল হয়, সেটা দেখিয়ে দিয়ে আপনিও একটা ব্লগ লিখুন না, এখানেই!
৩। আপনি নাম দেননি কেনো? বক্তব্যে যদি হলুদ রঙ মিশে থাকে, সেটা আপনি দেখিয়ে দিন।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ঘটনা ঘটলো ৩১ ডিসেম্বর রাতে, নিউজ এ আসলো এপ্রিল এর ৫ তারিখ অথচ এখানে অনেকেই বলেছে তারা ঐদিন থেকেই ঘটনা জানত। তাহলে তারা তিনমাস কাউকে জানায়নি কেন ? আর আমাদের সাংবাদিক ভাইরা এই তিন মাস কোথায় ছিল ?
ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে কেউ যদি ব্লগ এ লিখে তাহলে তার বক্তব্য নিয়ে আমরা সাধারন ছাত্ররা সন্দিহান হয়ে পরতে পারি। এখানে নিরপেক্ষতার বিষয় টা মনে হয় তখন আর সুস্পষ্ট থাকেনা।আমরা সাধারন ছাত্ররা চাই লীগ ফ্রন্ট সবার কথাই এখানে বলা হোক।কাউকে গা বাঁচিয়ে যখন একটি নির্দিষ্ট মহলকেই আক্রমন
করা হয় তখন পুরো ব্যাপারটাকে একটি নির্দিষ্ট চক্রের প্রোপাগান্ডা ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না।
।
তিন মাস পরে বলা হয়েছে বলে কি ঘটনা মিথ্যা হয়ে গেছে? যদি ঘটনা মিথ্যা হয় সেটা আমাদের বলেন। আপনি একজন সাধারণ ছাত্র হিসেবে লীগ ফ্রন্ট সবার কথা আমাদেরকে বলে দিন, কেউতো আপনাকে মানা করছে না। এই নির্দিষ্ট মহলটি কী ধোঁয়া তুলসি পাতা? তাদের বিরুদ্ধে অমূলক কথা বলা হচ্ছে? বুয়েট ছাত্রের নামে নারী নির্যাতনের অভিযোগ শুনে আপনার সাধারণ ছাত্র সুলভ বিবেক একটুও নাড়া খায় না, একটুও লজ্জা লাগে না। আর নির্দিষ্ট মহলের নামে কিছু বলাতে আপনি আসছেন প্রপাগান্ডা বিষয়ক আপনার মূল্যবান মতামত জানাতে।
আপনার অবগতির জন্য জানাই, বুয়েট বেশিদিন আগে ছাড়িনি, বুয়েটে কী হচ্ছে, না হচ্ছে তার খবর এখনো রাখি। সাধারণ ছাত্রের লেবাসে এসে সবকিছু ডিনাই করে গেলেন, আর সব বিশ্বাস করে ফেললাম এত সহজ না সবকিছু।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
তুমি বুয়েটিয়ান হয়ে মোকাকে সাপোর্ট কর তোমার লজ্জা করেনা ?----- কী জাতের প্রশ্ন হল এইটা???
মোকাম্মেল ভাই কি বুয়েটিয়ান না? সে বুয়েটে চান্স পেয়েছে, পড়ছে & পাশও করবে নিজের যোগ্যতায়, কার অনুগ্রহে না বা ছাত্রলীগের পাওয়ারে না।
আর আমি লীগের লেজুড়? বুঝছি না যে আমার খুব মেজাজ গরম হওয়া উচিত না বন্ধুদেরকে ডেকে এনে দেখিয়ে হাসাহাসি করা উচিত...... দরকার পড়লে লীগের কয়েকজনকে ডেকেও দেখাই কী বলেন?
নাম তো লুকাইনি। Department of Materials & Metallurgical Engineering. আপনার ভূত থেকে ভূতে মার্কা তথাকথিত ইনফরমার(!!) দিয়ে খোঁজ লাগান তো দেখি আমি কত বড় লীগের লেজুড়? নাকি নিজেই এবার মাঠে নামবেন?
১টা প্রশ্নঃ আপনার বিরুদ্ধাচরন তো করা হয়ে গেল একটু, তাই না? তা, এখন আমার নামেও কি সচলায়তন-এ এরকম হাবিজাবি উলটাপালটা লিখা শুরু হবে? আমার কি ভয় পাওয়া উচিত???
যত্তসব!!!!
মোকার সাথে তোমার সম্পর্কটা কিরকম সেটা প্রমাণ করার জন্য এই লাইনটাই যথেষ্ট ,
ছাত্রলীগের প্রতি তোমার মনোভাব কেমন সেইটা এখান থেকে স্পষ্ট ।
আমি লেখক না , আমি একজন বুয়েটিয়ান, আর কিছু বলবনা তুমি কারো লেজুড় কিনা সেইটা পাঠরা এবং বুয়েটিয়ানরাই ভাল বুঝবেন
দেখা যাচ্ছে মোকার পক্ষে যে কথা বলছে সে নাম ঠিকানা সবই দিতে সাহস পাচ্ছে, অন্যরা সেটা পাচ্ছেনা। এই ব্যাপারটা আপনি ভেবেছেন আদীব? এটার কারণটা কী হতে পারে?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সাধারণ ছাত্ররা রুখে না দাঁড়ানো পর্যন্ত এদের অত্যাচার সহ্য করতে হবে। বুয়েটের প্রশাসন কিছুই করবে বলে হয় না। আমি প্রাক্তন বুয়েট ছাত্র, বুয়েট প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে কখনই খুব বেশি উচ্ছ্বসিত নই। ওনারা তুচ্ছ কারণে ছাত্র বহিষ্কার করে ক্ষমতা জাহির করেন, যেখানে হাত দেওয়া প্রয়োজন সেখানে ভুলেও যান না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
একমাত্র সমাধান হচ্ছে বুয়েটের বর্তমান ছাত্রদেরই রুখে দাঁড়াতে হবে। আমার অভিজ্ঞতা বলে যে, এইসব ব্যাপারে প্রশাসন কিংবা শিক্ষকদের থেকে সাহায্য পাওয়ার আশা খুব ক্ষীণ।
বুয়েটের ছাত্রদের মেধা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ খুব কম, এ কথা সত্যি। কিন্তু খুব দুঃখজনক সত্যি হচ্ছে যে আমাদের দেশের অধিকাংশ ভালো ছাত্রই বেশ স্বার্থপর ধরনের হয় (আবারো বলি, সবাই না)। নিজেদের ক্ষতির নূন্যতম আশংকা থাকে এমন কিছুতে তাঁরা নিজেদের জড়াতে চায় না। ঠিক তাঁদের যে দোষ তাও না, তাঁদের বড় হয়ে উঠার প্রক্রিয়ার মধ্যেই খুব কৌশলে এই স্বার্থপরতাটুকু বাবা-মা'রা ঢুকিয়ে দেয়। আর দুঃখজনক হচ্ছে, বুয়েটে এরকম ছাত্রের সংখ্যা আজকাল একদম ফেলে দেওয়ার মতো না (নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি)। এই সমস্যাগুলি আসলে সাধারণ ছাত্রদের সচেতনতার অভাব থেকেই সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ ছাত্ররা সচেতন থাকলে, তাঁদের নিজস্ব কোন ফোরাম থাকলে এই ব্যাপারগুলি ঘটতে পারতো না।
যাই হোক, বর্তমান ছাত্রদের জন্য আশার ব্যাপার এটাই হতে পারে যে বুয়েটের এইসব নেতা ফেতাদের সাহসের দৌড় সাধারণত খুব বেশি হয় না। সম্মিলিত এবং পরিকল্পিত প্রতিরোধের মুখে এরা পালাতে বাধ্য, এরকমই হয়েছে সবসময়।
শুভ কামনা থাকলো সবার জন্য।
অলমিতি বিস্তারেণ
নিজের নাম ঠিকানা প্রকাশ করার সাহস আমি রাখি কারন ঠিককে ঠিক আর ভুলকে ভুল সরাসরি রাখঢাক না করে বপ্লার সাহস আমার আছে এবং যেকোনো কারও ভুলের বিপক্ষে সরাসরি তা বলার সাহসটা বরাবরই থাকবে সে যতবড় যেই হোক না কেন ইনশাল্লাহ। দুয়া করবেন। <<তাসনিম
আর লেখক মহোদয়ের ত প্রপাগান্ডা নিয়েই ব্যাস্ত, তাই তাঁকে কিছু বলে কোন লাভ নাই বিধায় এই বারে আর কিছু নাই বা বললাম। তবে আবারও অনুরধ করব, কিছু না-কে অনেক বড় কিছু বানানোর প্রয়াসটা বাদ দেন।
আপনি বার বার লেখককে কেন ডিকটেট করছেন? সে কী লিখবে না লিখবে, সেটা আপনার বলে দিতে হবে কেন? আপনি তার কোনো স্টেটমেন্ট নিয়ে দ্বিমত থাকলে জানিয়ে যান, তাহলেই তো হয়?
দ্বিমত প্রকাশ করা এক জিনিস, আর কে কী লিখবে সেটার ওপর খবরদারি করা ভিন্ন জিনিস। দুইটার মধ্যে পার্থক্য করতে পারা শিক্ষার একটা অংশ। গৌতম নামের ছেলেটাকে যারা পিটিয়েছে, তাদের সাথে আপনার আচরণের মৌলিক কোনো পার্থক্য দেখতে পেলাম না।
ছাত্রলীগরা দোয়া ছাড়াই যা করছে...তাদের কৃতকর্মের সাফাই গাওয়ার জন্য বশংবদেরও অভাব নেই দেখছি।
আপনি আগামী সকালে তিনটা রুম দূরে হেঁটে গিয়ে মোকাকে বইলেন যে এমন দিন আসবে যে একটা কিলও মাটিতে পড়বেন না- একজন বড়ভাই দোয়া জানিয়েছে এই বলে। দিন সবার সমান যায় না। ধরা কে সরা জ্ঞান করার আগে এটা মাথায় রাখতে পারে ঐ আহাম্মকটা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বুয়েটের অবস্থা দেখে বেশ বিরক্ত লাগছে। আমাদের সময়ের কথা মনে আছে, ছাত্রদলের ১০/১২ জন ছাত্র মিলে সাধারণ ছাত্রদের বিরাট মিছিলকে বুয়েটে ঢুকতে বাঁধা দিচ্ছিলো, তখন সবাই মিলে ধাওয়া দিয়ে আমরা ঠিকই ঢুকেছিলাম। আর ছাত্রলীগ আদতেই ভীরু, এদেরকে এত ভয় পাওয়ার কী আছে জানি না। আমরা যখন শিবির তাড়ানোর জন্য ক্যাম্পাসে মিছিল বের করতাম, তখন দেখা যেত এরা দূর থেকে পরিস্থিতে পর্যবেক্ষণ করছে, তারপর সাধারণ ছাত্রদের বিশাল জমায়েত হলে সমাপনী বক্তৃতা দিয়ে ভাব নিত। আমরা সাধারণ ছাত্ররা যখন শিবির তাড়ানোর জন্য মাঠে নামতাম তখন ভিসি ছিল জামাতপন্থী, হলের দারোয়ানরা ঠিকই আমাদের নাম প্রশাসনের কাছে দিয়ে দিতো।
আমাদের সময় আমাদের বেশির ভাগই ভীরূ ছিলাম সেটা অস্বীকার করছি না, তাই বলে এই ১০/১২ টা কুলাঙ্গারের ভয়ে পুরা বুয়েট কাঁপছে, এটা দেখতে মোটেই ভালো লাগছে না। ১০০ জন মিলে একটা মিছিল বের করা যায় না? আমরা তো পরীক্ষা পেছানো নিয়ে বেশ বড়সড় মিছিলই বের করি, তাইলে কাজের সময়ে কেনো পারি না?? এরা কি ৫০০০ ছাত্রকে ধরে পেটানোর ক্ষমতা রাখে?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
মারলাম। তারপর দেখবেন পা-চাঁটা ভিসি আর প্রো ভিসি সোনার ছেলেদের রক্ষার জন্য এগিয়ে আসছে। দেখা যাবে যে আমাদেরকেই বুয়েট থেকে বহিস্কার করছে
আমিতো কাউকে মারতে বলিনি। এদের করা অন্যায়ের নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদ করতে বলছি। মিছিল, মানববন্ধন কতরকম উপায়ই তো আছে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আসলে ছাত্রলীগের মূল শক্তি হল বুয়েট কর্তৃপক্ষ । বুয়েট কর্তৃপক্ষের অবস্থা এখন যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি খারাপ। যেসব শিক্ষক নিরপেক্ষ তারাও কোনঠাসা অবস্থায় আছে । অবস্থা চিরদিন এরকম থাকবে না , ছাত্রলীগ যা করছে তার ফল শুধু বুয়েট জীবনে না তারা পরবর্তী জীবনেও পাবে । ছাত্ররা সব সহ্য করছে এর কারন বুয়েটের বেশিরভাগ ছাত্রের কাছে নিজের শিক্ষাজীবন ক্যারিয়ার ও পরিবার টা আগে (শুনতে ভাল না লাগলেও এইটাই সত্য) । হ্যা মিছিলের জন্য হয়তো ১০০ জন পাওয়া যাবে কিন্তু সেই ১০০ জনকে মাঠে নামাতে অন্তত ১০ জন এরকম ছাত্র লাগবে যাদের কে হয়তো মার খেতে হবে , যারা হয়তো বুয়েটে ক্লাশ করতে পারবেনা বেশ কিছুদিন । সমস্যা হল এরকম দশজন খুজে পাওয়া , কেউ কি চাবে এসবের মধ্য দিয়ে যেতে ?। ব্যাপারটা যদি এমন হত যে আজ মিছিল করলাম আর কাল ফল পেয়ে গেলাম তাহলে এত সমস্যা হত না । ছাত্ররা হয়তো তখনি জাগবে যখন অত্যাচার চরম সীমায় পৌছাবে , হয়তো যখন সনি আপুর মত কেউ মারা যাবে তবে আমাদের মনে যে ঘৃনা জমা হয়ে গেল তা এত সহজে ধুয়ে মুছে যাবে না ।
যদি ব্যাপারটাকে সফল ভাবে সংগঠিত না করা যায়, তবে অনেকে ঝামেলায় পড়বে সে ব্যাপারে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু সাধারন ছাত্রদের মাঝে ১০০ জনও পাওয়া যাবে না, যারা ব্যাপারটার শেষ দেখে নিতে চাইবে? মজার শোনালেও বলি, ফেসবুকে সংগঠিত হয়ে আফ্রিকা আর মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে সরকার পতন ঘটিয়ে ফেলেছে সাধারন জনতা, আর এখানে হাতে গোণা কয়েকটা কীটকে সরানো যাবে না!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ভাইয়া সাধারন ছাত্রদের মধ্যে ১০০ জন এরকম লোক পাওয়াই কঠিন হয়ে পরেছে যারা এসব বিষয় নিয়ে Care করে । তাদের নিজেদের স্বার্থে যতক্ষন সরাসরি আঘাত না লাগে ততক্ষন তারা কিছুই বলবেনা। কিন্তু ক্যান্টিন থেকে চাঁদাবাজী করলে তাদের যে ক্ষতি হয় এইটা তাদের কে বুঝাবে। একটা মেয়ে লাঞ্ছিত হয়েছে , হোক না , আমি সাবধানে থাকব, আমার প্রেমিকা কে সাবধানে রাখব । অমুক মার খেয়েছে, আমি চুপচাপ থাকব তাইলে মার খাবনা, এই হল বেশিরভাগের (Almost সবার) মনোভাব । যদি প্রতিবাদী একশ জন থাকত তাহলে অবশ্যই তারা বসে থাকত না । আর এইটা এদের দোষ না । আমরা ছোট বেলা থেকেই শুধু নিজেদের নিয়েই ভাবতে শিখেছি । এমনকি বুয়েটের অনেক বড় বড় প্রশাসনিক সিদ্ধান্তও খুব কম ছাত্রছাত্রী জানার চেষ্টা করে।
আশা করি খুব শিঘ্র আশু প্রতিকার পাওয়া যাবে।
সাধারন ছাত্রদের মধ্যে যারা অতি সাধারন তারা নিরবে কিছু করতে পারে। ভীতিকর এই রাজনীতি বিদ দের মধ্যে কেউ কেউ আছে যারাও সামগ্রিক ঘটনা প্রবাহে খুশি নয়। হয়ত সুবিধা বঞ্ছিত বা পরিস্তির চাপের শিকার। তাদের খুজে বের করা আর তাদের ব্যবহার করা গেলে কাজ সহজ হবে। পাশাপাশি ছাত্রদের অনেকের আত্মিয়, পারিবারিক বন্ধু কিনবা পরিচিত জন সরাসরি কেদ্রিয় রাজনীতির সাথে জড়িত। তাদের সেচ্ছায় এগিয়ে আসতে হবে আর ঘটনা গুলো তাদের নজরে আনা যেতে পারে। সময়ে কাজে দিবে।
প্রক্রিয়া গুলো সময় সাপেক্ষ মনে হতে পারে কিন্তু কার্যকর। আমাদের সময় আমরা এই প্রক্রিয়ায় সুফল পেয়ে ছিলাম।
MME এর ছোট ভাইকে বলছি......... personality সম্পন্ন লোক যে সব সময় সুচরিত্রের ব্যক্তি হবেন এমন কনো বেদ বাক্য কোথাও লেখা নাই। নারী শিকাড়ে মকা তার personality কে ব্যবহার করতে পারে। নারী ছেলেদের personality দেখে মুগ্ধ হয়। কিন্তু তুমি যেভাবে মোকার personality এর গুন গাইলে তা তোমার personality এর জন্য ক্ষতিকর।
নাজ়ির '০০
MME
+447540451667
ধন্যবাদ নাজির ভাই'০০ ফর ইওর কন্সারন।
আমার personality নিয়ে আমি যথেষ্ট সতর্ক আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব ইনশাল্লাহ।
নতুন মন্তব্য করুন