অমিতাভ দেব চৌধুরী
শেষে ফিরে আসি নিজেরই ঘরের দ্বারে
পৃথিবী তখন ঘন মেঘে অচেতন
আমার ফেরার পথে জাগে অনাদরে
একটি কুকুর---দেবতার আয়োজন ?
দূরে দূরে কত বট,জাম আর নিম
গাছেরা দাঁড়িয়ে,যেমন তাহারা ছিল
যাবার সময়,পৌষের গাঢ় হিম
ভেদ করে ফেলে সবার ঘুমের খিলও ৷
আমি ফিরে আসি নিজেরই ঘরেতে,একা
কারা যেন ছিল,কারা যেন গেছে চলে
উতল বাল্যে পেয়েছি তাদের দেখা
এখন কেবল তারারা একাকী জ্বলে
আর জ্বলে এক দীপ হে তোমার ঘরে
মা চলে যাবার আগে তা গিয়েছে জ্বেলে
দেবতা,তুমিও ভাগ হলে তারপরে ৷
ছুঁইনি কুঠার,গিয়েছি তাই হে জেলে ৷
মন্তব্য
ভালো লাগলো।
শুভেচ্ছা ।
দেবতা,তুমিও ভাগ হলে তারপরে ৷
ছুঁইনি কুঠার,গিয়েছি তাই হে জেলে ৷
হুমম ....
ভালো লাগলো।
আমি রীতিমত মুগ্ধ হলাম! আমার কুর্ণিশ জানবেন---
আপনার পরের কবিতার অপেক্ষায় রইলাম!
শুভেচ্ছা নিরন্তর
শেষ দু’টো লাইন তাড়া করে ফিরছে। পাঠকদের জ্ঞাতার্থে জানাই অমিতাভ দেব চৌধুরী উত্তর পূর্ব ভারতের একজন অত্যন্ত শক্তিশালী কবি। তাঁর কবিখ্যাতি গাঙ্গেয় বাংলা সহ বৃহত্তর বঙ্গভুবনে বিস্তৃত। সচলায়তনে তাঁর আগমন এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
কবিকে সুস্বাগতম। কবি তাঁর কবিতায় যে শক্তিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন তা আপনার জুড়ে দেয়া ক্ষুদে মানপত্ররূপ পরিচিতিকে ছাপিয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে আপনার পরিচিতিমূলক প্রশংসাবাক্য গৌণ হয়ে গেছে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
বাহ, পুরো কবিতা জুড়ে কি চমৎকার ছন্দের কারুকাজ। ৬+৮ যেন ফুল ফুটিয়েছে।
এখানে কমার ব্যবহার একটু ধন্ধে ফেলে দিল, যাহোক কবির ফায়সালাই চুড়ান্ত।
এখানে 'মাচলে' পড়তে হচ্ছে। আরেকটু মুন্সীয়ানা দেখানো যেত না?
জীবনানন্দের 'সমারূঢ়' কবিতায় বর্ণিত জটিল অধ্যাপক-সমালোচক সাহেবও এই কবিতার শক্তিময় বাণীর প্রশংসা না করে পারবেন না। কবিকে অভিনন্দন।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
নতুন মন্তব্য করুন