রবীন্দ্রনাথ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১২/০৪/২০১১ - ১২:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অমিতাভ দেব চৌধুরী

বহুদিন পরে আমার ঘরের কোণে
আকাশের ঝারি বৃষ্টি তো অকারণে
নামলো এবং মেললো ঘরেতে পাখা
শেষে দেখি ঘর, ভুলে তার আংরাখা,

উড়ে যেতে চায় আকাশের মেঘলোকে...
চিৎকার করি ৷কাঁপি সে ঘরের শোকে
বলি, আয় আয়, পৃথিবীর ছবি তুই
আকাশ তো তোর মাটি নয়,শুধু মই ৷

মেঘলোকে এক দর্পণ রাখা আছে
তবু তারও বড় দর্পণ এই ঘাসে
শিশিরবিন্দু হয়ে কাঁপে থরোথরো
সেই দর্পণে নিজের মুখটি পড়ো ৷

ঘর ছেড়ে একা মাথায় আকাশ নিয়ে
গাছের তলায় কাঙালের মতো গিয়ে,
বুঝি এ শহর খরার প্রতিচ্ছবি ৷
কী করে সেখানে বৃষ্টি নামালে কবি ?


মন্তব্য

সাদা-মডু এর ছবি

প্রিয় অমিতাভ দেব চৌধুরী, সচলায়তনে আপনাকে স্বাগতম।

লক্ষ্য করুন, সচলের নীড়পাতায় একজন লেখকের একটি লেখা প্রকাশের একটি রীতি এখানে প্রচলিত। তাই যতক্ষণ নীড়পাতায় আপনার একটি লেখা প্রকাশিত, ততক্ষণ পর্যন্ত দ্বিতীয় লেখাটি পোস্ট না করার অনুরোধ করা হচ্ছে। একই লেখকের একাধিক লেখা নীড়পাতায় সচলের অন্যান্য লেখকদের পাঠকের মনোযোগ প্রাপ্তির অধিকারকে বহুলাংশে সীমিত করে বলে এই ব‌্যবস্থা দীর্ঘদিন যাবত প্রচলিত।

ধন্যবাদ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় লেখাটি নীড়পাতায় আসতে না দিলেই কি ভালো হতো না?
একই লেখকের দুটো কবিতা নীড়পাতায় দেখতে ভালো লাগছে না আসলে

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

আবার ছন্দের সেই সুললিত-সুক্ষ্ম-কারুকাজ। প্রথম স্তবকটি দেখি,
বহুদিন পরে (৬) আমার ঘরের কোণে (৮)
আকাশের ঝারি (৬) বৃষ্টি তো অকারণে (৮)
নামলো এবং (৬) মেললো ঘরেতে পাখা (৮)
শেষে দেখি ঘর, (৬) ভুলে তার আংরাখা, (৮)

সেইসাথে যুক্ত হয়েছে আবহের স্রোতস্বিনী। এইভাবে যদি দেখি,
বহুদিন পরে আমার ঘরের কোণে আকাশের ঝারি
বৃষ্টি তো অকারণে নামলো এবং মেললো ঘরেতে পাখা
শেষে দেখি ঘর, ভুলে তার আংরাখা,

আন্ডারলাইন করা অংশগুলো লক্ষ্যণীয়। পংক্তিতে পংক্তিতে অন্ত্যঃমিলের সাঁকো পেরিয়ে আবহের ধারা প্রবর্ধিত হয়েছে এভাবেই।

পুরো কবিতায় যে বর্ষা ও প্রকৃতির যে স্নিগ্ধ রূপটি ফুটে উঠেছে তা নিঃসন্দেহে মোহনীয়। মাটির পৃথিবীর রূপটি আকাশের চাইতেও আপন ও কাম্য হয়েছে। বড়ই ভালো লাগলো।

সেই দর্পণে নিজের মুখটি পড়ো ৷

এই চরণটি পুরো কবিতার নির্মোহ অভিজ্ঞানকে হরণ করে নিলো কি? কবি তো শুধু আপন মনে এঁকেই যাবেন। সেখানে নির্দেশনা থাকবে কেন? তেমন প্রয়োজন দেখিনা।

ইস, কেন যে প্রথম পাতায় একাধিক লেখা প্রকাশের বিষয়টি সাদা-মডুর নজরে এলো! প্রতিদিন সকালে সচলায়তনের পাতা খুলেই এমন প্রাণ জুড়ানো কবিতা পড়তে কার না মন চায়!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।