নিজ পরিচয়ে সচলে নিবন্ধন করলাম। লেখালেখি কবিতা দিয়েই শুরু হোক।
পৃথিবী প্রসবের গান
যিশু মহমমদ
০১.
গন্তব্যের কথায় প্রায় প্রতিটি জুতাই সন্দেহ প্রবণ। আর আমরা যারা হাঁটতে শিখেছি, পায়ে
ডানা লাগিয়েছি হাঁটতে, তাঁরা কেউই রজনীর ভিতর খয়েরি আভিশাপের জানালাটা ছুঁই নি।
আমরা কেউই পার হতে পারিনি ধূর্ত কালোজামের ঠাট্টা। ছোটবেলার গন্ধের ভেতর ঝাঁক ঝাঁক
পয়সা লুকিয়ে আছে, আমরা এখনো আঁধারে যেতে পারি নি পয়সার সমান। চাঁদের
উদর ফেটে যে সিঁড়ির জন্ম আমাদের সুশোভন ত্বকের ভিতর তা উল্টে যায়। আমরা উল্টো
করে হাঁটি, উল্টো করে কাঁদি আর পিছিয়ে পড়ি মুখে চাবুকের দাগ নিয়ে। পাতার মর্মরে
এসব কেবলি স্মৃতির ব্যাপার। এসব কেবলি মৃত্যুর মতো চোখা আলপিন। চিঠি লিখে কাউকে, কোন
বন্ধুকে এসব সমান্তরাল আত্মহত্যার কথা জানিয়েছি? আমাদের আত্মজীবনী লেখার দায় না হয় ফেরেস্তার
কাছে রইল কিন্তু দৃশ্যের দায় কি এড়ানো যায় কোন দিন?
আজও জানি না আমাদের আত্মহত্যার বেতন কত। লজ্জায় লাল ঘোড়ার ভেতর উবে গেছে আমাদের
ট্রাউজার খোলার দৃশ্য। আর হাঁটতে হাঁটতে যে দিন সিদ্ধ ডিমের কুসুমে আশ্চর্য লাল হয়েছিল গান,
গানের গন্ধ সেই দিন চাঁদ পেয়েছিল তার তিন বন্ধু। একজন ঘড়ি পরা আন্ধ ভিখারি, একজন স্তনহীনা
বেশ্যা আর একজন আর একজন সূর্যের বিপরীত দেখা কবি। এরা সকলে আত্মহ্যার গল্পে রঙ ওঠা
সাঁতারে হারিয়েছে তাঁদের লাল, নীল খয়েরি প্রিয় জুতাগুলো।
০২.
পরিত্যক্ত চোখ টাঙিয়ে দিলাম দক্ষিনের আত্মহত্যায়। ছুঁড়েছি নিঃসঙ্গ আভিজ্ঞতাগুলো আর
জলের জলের জ্যামিতিতে সে কবেই ধরা দিয়েছি চাবির তোড়াসহ। অথচ বোঝনি সূর্যের
নিঃশেষে কেন বহুপুরাতন শিকারীও ভুলে যায় মুখের ভাঁজ। কেন ধনুক নেমে আসে
আলেয়াপাখির রঙ হতে। বিকেলের অর্থে নিহিত যে বাঘ তার আভিধান ঘেটে জেনেছি
ডোরাকাটা ধৈর্যেও স্বীকারোক্তি। আর বুড়ো সিংহের ভাঙা লেজে যে সোনার বেদনা জেগেছিল
তা বারবার বলতে গিয়েও ভুলিনি একদিন পাথরের মধ্যরাত্রি উল্টে নিজের নাম লিখেছি। পাথরটাকে
দুভাগ করে নাও, দেখবে কোন আঙুলই তাকে আজো আয়ত্ত্ব করতে শিখেনি। এতে পাথরের
আড়ালে শ্বাপদ মরে যায়, পোষা নখ মরে যায। অনুমানের ট্রেনে চড়ে ভুল গন্তব্যের বেলুন
বাজিয়েছি, আগুন বাজিয়েছি। আগুন মানে পরস্পর সন্দেহ। আয়ুর সমান আঙুল নিযে বামে
তাকিয়েছি আমার ছায়াটা মরে গেছে, আমার জলের বোধ পুড়ে গেছে তাই তোমার কাছ
থেকে ছুটি নিয়ে সমীরণ পাখির কাছে গেলাম। এতে করে জন্মের পার্থক্যে মধ্যহ্নের বয়স
নেমে এসেছিল। তোমার মাঝে যেহেতু আবছা কিছু গান ছিল, আবসন্ন স্নানের উড়াল ছিল
আর ভুরভুরে গন্ধছিল অলৌকিক মেঘের তাই আনুভব করেছিলাম চিহ্ন সঞ্চয়।
আচ্ছা এও কি মেনে নেয়া সম্ভব; আমার পরবাসী অশ্র“ চুরি করে যে মূক আয়নার উন্মীলন
হয়েছিল তার আহংকার আমার কাঠবাদমী আলোর বিরুদ্ধে?
রচনাকার- যিশু মহমমদ।
মন্তব্য
সচলে স্বাগতম !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
শিরোনাম ভাল লাগেনি। শিরোনামের কথাগুলি নিচে বিশেষ দ্রষ্টব্য হিসেবে দিতে পারতেন।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
কবিতা ভালো লেগেছে।
সচলায়তনে স্বাগতম।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কবিতা ভালো লেগেছে।
সচলে স্বাগতম।
...........................
Every Picture Tells a Story
সচলে স্বাগতম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এটা কেমন কবিতা! নিকটাও একটু অন্যরকম মনে হচ্ছে।
কবিতা ও শিরোনাম দুইটাই মাথার উপর দিয়ে গেল।
???
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
নতুন মন্তব্য করুন