অশীতিপর বৃদ্ধ যখন অভুক্ত শরীর নিয়ে ঘর্মাক্ত দেহে রিক্সায় প্যাডেল মারে,
তখন প্যাসেঞ্জারের সিটে বসে প্রিয়ার সাথে নির্জনতার সুযোগ নিতে নিতে ভাবি;
ভালোই তো আছি।
রাস্তার পাশে ধূলোধূসর দেহে যখন অভুক্ত মা তার শিশুকে নিয়ে ভিক্ষা করে,
তখন চোখটাকে রঙিন কাঁচ দিয়ে আড়াল করে, দুটি টাকা ছুড়ে দিয়ে মহত্বের বুলি আউরে ভাবি;
ভালোই তো আছি।
গভীর রাতে যখন অজস্র কিশোরীর সম্ভ্রম বিকোয় একমুঠো ভাতের দামে,
তখন চাইনিজ রেস্তোরায় বসে স্যুপে চুমুক দিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে ভাবি;
ভালোই তো আছি।
রাস্তার পাশে যখন কোন শিশু তার শৈশব বিসর্জন দিয়ে আমাদের জুতা পালিশ করে,
তখন "জুতা-তে যেন চেহারা দেখা যায় এমনভাবে পালিশ কর"-এই হুঁশিয়ারি দেই আর ভাবি;
ভালোই তো আছি।
এতকিছুর পরেও আমাদের ভাল থাকা কিন্তু থেমে থাকে না।
নাম না জানা অজস্র শোষিত-নিপীরিত জনগণের রক্তঝরা ঘামের তৈরী অট্টালিকায় বসে ভাবি,
ভালোই তো আছি।
ভালো হয়তো আছি,
কিন্তু সব ভুলে গিয়ে ভাল থাকার নিরন্তর এই প্রচেষ্টায়
আজ হয়ত আমরা আর মানুষ নেই।
মন্তব্য
কোথাও পড়েছি পড়েছি বলে মনে হচ্ছে।
বিষয়ভাবনা আন্তরিক। ভাবছি, বিজ্ঞাপনের ভাষা কবিতায় কতটুকু শোভা পায়।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
মুর্শেদ ভাই এর মতই মনে হল কোথায় যেন পড়েছি। তবুও পড়ে ভাল লাগল। কবির নাম নেই কেন ??
@মুর্শেদ ভাই ও ইশতিয়াক ভাই - হায় হায়...এইটা কি শুনাইলেন???জীবনে প্রথম কবিতা লিখেই এই অপবাদ শোনা লাগলো।কবিতাটা তো আমিই লিখলাম।আসলে অনেক কমন ব্যাপার নিয়ে লেখা বলে হয়ত মনে হচ্ছে যে আগে পঠিত এবং তার জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।
নতুন মন্তব্য করুন