শুরুতেই বলে রাখি এই পোস্টটি একেবারেই খটমটে কাজেই যারা পড়বেন সম্পূর্ণ দায়িত্বে পড়বেন এবং যারা শেয়ার করবেন তারাও অবশ্যই নিজ দায়িত্ব শেয়ার করবেন ।
আমরা যারা বর্তমানে বুয়েটে পড়ছি তারা সবাই বুয়েটের অবস্থা সম্পর্কে কমবেশি জানি। এই পোস্টটিতে মূলত বাস্তবতার নিরিখে এই মূহুর্তে আমাদের কি করার আছে সেদিকেই আলোকপাত করা হয়েছে । প্রথমে বুয়েটের বর্তমান কিছু বিদ্যমান সমস্যার দিকে চোখ দেওয়া যাক।
১. ছাত্রলীগের লাগামহীন আচরন
২. ক্যাম্পাসে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য সহিংসতা
৩. চাঁদাবাজি
৪. প্রশাসনিক কাজে বঙ্গবন্ধু পরিষদের খবরদারি
৫. রওনক বাহিনীর বিভিন্ন অপকর্ম
যারা এই চারটি সমস্যা কে মানতে রাজি নন তাদের কে অনুরোধ করব আর পড়ার আগে এই পাঁচটি বিষয়ের সত্যতা যাচাই করে আসতে। এমন কোন কঠিন কাজ নয়। বিভিন্ন হলে একটু কষ্ট করে সাবধানে খোঁজ নিলেই হবে। আর ক্লাব গুলোতে খোঁজ নিলেই দেখতে পারবেন বেশিরভাগ ক্লাবগুলোর মডারেটর হিসেবে কাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ।যারা পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে একমত তারা পোস্টের পরবর্তী অংশ পড়তে পারেন।
এবার একজন বুয়েটিয়ানের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে এই অবস্থায় তার কি করার আছে । অথবা কেনই বা এই অবস্থায় তার কিছু করতে হবে । তার উত্তরে বলছি যারা বুয়েটকে ভালবাসেন তারা কোনভাবেই চাননা এই প্রতিষ্ঠানটি হাতে গোনা কিছু কুলাঙ্গারের জন্য নষ্ট হয়ে যাক। যদি এই অবস্থা চলতে থাকে সন্দেহ নেই বুয়েটের অবস্থা কিছুদিনের মধ্যেই অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ ধারন করবে যা কোন বুয়েটিয়ানেরই কাম্য হতে পারে না । সনি আপু মারা যাওয়ার পূর্বেও এইসব লক্ষণ দেখা গিয়েছিল । প্রশাসনের আস্কারা পেয়ে ছাত্রলীগ এখন বেপরোয়া , কাজেই বলার অপেক্ষা থাকে না যে এদের দুঃসাহস আরো বাড়বে ।
এদের দুঃসাহসিকতার অল্প কিছু নমুনা হলঃ
ছাত্রফ্রন্টের গৌতম কুমার দে কে পিটিয়ে আহত করা। এই ঘটনার যথেষ্ট প্রতক্ষ্যদর্শী আছে । ঘটনাটি শহিদ স্মৃতি হল থেকে অনেক জুনিয়র টিচার দেখেছেন বলেও জানা গেছে ।
ক্যাম্পাসে আক্রমনাত্মক মিছিল এবং পোস্টারিং।
ছাত্রলীগ সদস্য মোকাম্মেল কর্তৃক একাধিক বার যৌন নীপিড়ন। (এসব কারনে বর্তমানে মোকাম্মেল কে নজরুল হল ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি পদ থেকে অপসারন করা হয়েছে)। একজন টিচারের সাথেও সে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করে বলে অভিযোগ আছে ।
এবার দেখা যাক কারা করছে ছাত্রলীগ এবং কেনই বা করছে । বুয়েটিয়ান মাত্রই চিনে এমন কয়জন ছাত্রলীগ কর্মীর কথা বলা যাক
ফাইরুজ – বুয়েটিয়ান মাত্রই একে চেনে , দুই বছর আগেও সে ছাত্রদল করত শুধুমাত্র ক্যাম্পাসে নিজের ক্ষমতা দেখাতে সে ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছে ।
মোকাম্মেল- শিবিরের সাবেক কর্মী, অথচ ছাত্রলীগ যখন শিবির নিধনে হলে যেয়ে শিবির কর্মীদের রুম তছনছ করে মোকাম্মেল ও তাতে অংশ নেয় । যারা চট্টগ্রাম থেকে বুয়েটে পড়তে এসেছে তাদের প্রায় সবাই মোকাম্মেলের কাহিনী জানে ।
মিকাত – ম্যাক হিসেবেই বেশি পরিচিত। এই আদম ও ছাত্রদল করত এখন লীগ করে। ক্যাফেটেরিয়ায় এর বাকির পরিমান জানলে অনেকেরই চোখ কপালে উঠবে।
লিমন- ইইই(০৭) ব্যাচের ছাত্র । গুন্ডামির জন্য প্রসিদ্ধ। সে আহসানউল্লাহ হলের ক্যান্টিনের ফ্রিজ বিক্রি করে দিয়েছিল ।
রওনক- সবার নাটের গুরু । তিতুমীর হলের রাজা । এই পশুটি লীগের সব কার্যক্রম বর্তমানে নিয়ন্ত্রন করে। ০৪ ব্যাচের ছাত্র হলেও কোন খুটির জোরে এখনো সে হলে থাকে সেইটাই অনেকের কাছে বিশাল প্রশ্ন ।
এরা ছাড়াও আছে শোয়েব ,মম, রানা ,বন্ধন, রকি প্রমুখ ।এরা সবাই শুধু মাত্র নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ছাত্রলীগের পরিচয় নিয়েছে। এখন যদি বিএনপি ক্ষমতায় থাকত তাহলে এদের বেশিরভাগই ছাত্রদল করত।
এরা নিজেদের রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে দাবি করলেও সামান্যতম রাজনৈতিক চেতনা এদের মধ্যে নেই।
পাঠক শুনলে অবাক হবেন এরা নিজেদের ছাত্রলীগ বলে দাবি করলেও আসলে এদের সাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাগজে কলমে কোন সম্পর্ক নেই । বুয়েট ছাত্রলীগ কমিটি পুরোপুরি অনুমোদনহীন । অর্থাৎ এরা যদি কালকে আপনাকে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দিয়ে যায় তার জন্য কিন্তু কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আপনাকে কোন জবাব দিবে না । অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা বারাবারি করলে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে প্রায়ই ঐ শাখার কার্যক্রম স্থগিত করা হয় । কিন্তু বুয়েটে সেটি সম্ভব নয় , কারন বুয়েটে তো ছাত্রলীগের কোন কমিটিই নেই !!! কাজেই যারা সত্যিকারের ছাত্রলীগ প্রেমী বা আওয়ামী লীগ প্রেমী তাদেরকেও বলি এরাই কিন্তু আপনার দল কে ডুবাচ্ছে কাজেই এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো কিন্তু আপনারও দায়িত্ব।
এখন কথা হল যদি এদের কোন খুটির জোর নাই থাকে, তাহলে প্রশাসন কেন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না । হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন বুদ্ধিমান পাঠক প্রশাসনেই আসলে বড় সমস্যা । আজকে যদি আপনি প্রশাসনে এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন কালকেই এরা এসে আপনাকে পিটিয়ে যাবে । আর প্রশাসন মূলত নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ নামক সংগঠন দ্বারা। হ্যা এদের এতটাই দাপট যে বুয়েটের ভাল চান এমন শিক্ষকরাও আজ অসহায় ।
বুয়েটে প্রতি বছর অসংখ্য টেন্ডার নোটিশ দেওয়া হয় । আমরা কেউ কখনো কি জানতে পারি কাকে কিভাবে এই টেন্ডার গুলো দেওয়া হচ্ছে । এইটাই কি স্বাভাবিক নয় ছাত্রলীগ নামধারীরা প্রশাসনের সহায়তায় এই সব টেন্ডারের দিকে তাদের কালো হাত বাড়িয়ে দিবে।টেন্ডার নিয়ে গোলাগুলিতেই কিন্তু সনি আপুর মৃত্যু হয়েছিল । সর্বশেষ স্মৃতী হলের পাশে নির্মিতব্য ভবনের টেন্ডার নিয়ে ছাত্রলীগের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে যেয়েই ছাত্রফন্টের গৌতম মার খায় বলে অভিযোগ আছে ।
এই অবস্থায় আমরা সাধারন ছাত্ররা কি করতে পারি ? আসলে যদি প্রশাসনেই গলদ থাকে তাহলে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে হাজার প্রতিবাদ করেও কোন লাভ হবে না । অন্যদিকে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বলতে গেলে নিজেদেরই মার খাওয়ার সম্ভাবনা বেশি, যেটাতে বেশিরভাগ বুয়েটিয়ানের ঘোরতর আপত্তি। হ্যা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বলা আপনার জন্য হয়তো এই মূহুর্তে কঠিন কিন্তু প্রশাসনের বিরুদ্ধে কিন্তু আপনি কথা বলতে পারেন । সশরীরে কিছু করতে পারছেন না অসুবিধা নেই ব্লগে লিখুন , বুয়েটে পড়েছে এমন বড়ভাইদের মেইল করুন, যেসব শিক্ষকদের বিশ্বাস করতে পারেন তাদের জানান । প্রশাসনের টনক নড়তে বাধ্য। যেভাবে পারুন এই প্রশাসনের অপকর্মের বিরোধীতা করুন । আমরা যদি চুপ করে থাকি সনি আপুর মত আর কাউকে হয়তো আমাদের হারাতে হবে। আমরা এতগুলো বুয়েটিয়ান মিলে কি বুয়েটকে রক্ষা করতে পারবনা ?
আজকাল বুয়েট ছাত্রলীগ বিরোধী কোন ব্লগ লিখলেই একদল লীগ প্রেমি এসে বলা শুরু করে এই ব্লগ ফ্রন্টের লোক লিখসে । মনে রাখবেন ছাত্রলীগ নামধারীদের অপকর্মের বিরোধীতা করা মানেই ছাত্রলীগ বিরোধিতা করা নয় । আমি ছাত্রফ্রন্টের বা ছাত্রদলের কেউ নই, বুয়েটের একজন ছাত্র মাত্র।
-আগুন্তক
মন্তব্য
আমি প্রব্লেম স্টেটমেন্টেই সমস্যা দেখলাম।
আমি একটু রিফ্রেইজ করি।
১. সন্ত্রাস ও প্রতিক্রিয়াশীলতার চর্চা করে এরকম ছাত্রসংগঠনগুলোর লাগামহীন আচরন
২. ক্যাম্পাসে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য সহিংসতা
৩. চাঁদাবাজি
৪. প্রশাসনিক কাজে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনগুলোর খবরদারি
৫. সন্ত্রাস চর্চাকারি দলগুলোর বিভিন্ন গ্রুপ/বাহিনীর বিভিন্ন অপকর্ম
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
বুয়েট নিয়ে এই লেখাগুলো শেয়ার করছি, বন্ধুরাও দেখলাম নোট লিখছে, আমরাই ৩০০-৪০০ বার শেয়ার করছি একেক্টা লেখা। টনক আদৌ কারো নড়তে তো দেখছি না। আমি জানি আমার ফ্রেন্ডলিস্টের স্যাররাও পড়ছেন। স্যারেরাও শেয়ার করছেন। কিন্তু আসলে এভাবে কিছু করা কি সম্ভব বলে আপনি মনে করেন??
এদিকে বলছেন, শিক্ষকেরাও অসহায়, আবার বলছেন, শিক্ষকদের জানাতে। স্যারেরা কি জানেনা?? স্যারেরা আপনার চেয়ে বেশি জানে, কোথায় কি হচ্ছে।
পত্রিকায় আসছে, তারপরেও দেখি নেতাদের কিছু আসে যায় না। তারা এইসব পাত্তায় দেয় না। আর ব্লগে লিখে কি হবে? তারা এসব পড়েনা। আর আপনি যদি বলেন, তাদের পরে চাকরি বাক্রির সমস্যা হবে, এভাবে লিখতে থাকলে আর শেয়ার করতে থাকলে, তাহলে বলি, খোঁজ নিন, সাবেক নেতারা সবাই দারুন দারুন সরকারী চাক্রী করছে।
সব লেখা একইরকম হয়ে যাচ্ছে। সমাধান ছাড়া শুধু আলাপ। যেখানে বাইরের ভাইয়ারা শুধু একশানে যেতে বলেন।
একটি সমস্যার কারণে সাধারণদের পক্ষে কিছু করা সম্ভব না। কারণ নেতার অভাব। আপনি লিখছেন ভাল কথা। কিন্তু সত্যিকারের একশানে যাওয়া আপনার পক্ষে কি সম্ভব? আমার সামনে কেউ থাকলে আমি সাথে যেতে রাজী। কিন্তু একা সবার সামনে দাঁড়ালাম আর পিছনে তাকিয়ে দেখলাম কেউ এলনা, তাহলে তো হবেনা।
সাধারণ ছাত্রদের পক্ষে সামনে দাঁড়ানো সম্ভব না, তাই রাজনৈতিক কেউ, যেমন ফ্রন্ট বা ছাত্রদলের কেউ যদি সামনে এসে দাঁড়ায় তাহলে আমাদের সমর্থন দিতে সুবিধা হতো। আন্দোলনে নামা যেত। তাছাড়া আর কোনভাবে কারো টনক নড়বে বলে মনে হচ্ছেনা।
আমাদের হলে নোটিস টাঙ্গানো যেখানে তথ্য দিতে সাধারণ ছাত্রদের ডাকা হয়েছে। বলা আছে, পরিচয় গোপন রাখা হবে।
তথ্য সেখানে দিয়ে আসতে পারেন কিন্তু। যেহেতু আপনি লিখছেন, সেহেতু আশা রাখি আপনি সমস্যাগুলো সম্পর্কে অবগত হয়েছেন এবং একটা উৎস আছে কথাগুলোর অথবা আপনি সাক্ষী। আমি যেতে পারছিনা, কারণ জিজ্ঞাসাবাদে আমাকে যখন জিজ্ঞেস করবে," তোমার তথ্যের উৎস কি?"
তখন তো আমি বলতে পারিনা, সচলের অতিথি লেখক আমার তথ্যের উৎস!
গৌতম দাকে মারতে অনেক ছেলেই দেখেছে, তারা যাচ্ছেনা সাহসের অভাবে। স্যারেরাও যদি দেখে থাকেন, তাহলে তারা কিন্তু তদন্ত কমিটিকে জানাতে পারেন।
আচ্ছা যারা ঘটনা দেখেছে তারা তদন্ত কমিটি সাক্ষ্য দিতে যাবে কোন সাহসে ? তদন্ত কমিটির মধ্যে লীগকে মদদ দেওয়া শিক্ষক থাকার সম্ভাবনা ৯৯%।
লেখকের নাম আগন্তুক না হয়ে আগুন্তক কেন হলো?
ভাল লেগেছে।
এই বুয়েটকে আমি দেখিনাই। কষ্ট পেলাম খুব।বুয়েট ছেড়ে আসছি ২০০৭ এ, এই ৪ বছরে বুয়েট এর এত খারাপ অবস্থা, কল্পনা ও করতে পারছিনা।
আমি তো ১৯৯৭ থেকেই একই অবস্থা দেখছি!
এই সমস্যা গুলোর জন্য উভয় পক্ষই দায়ী! দলভিত্তিক রাজনীতি কেন নিষিদ্ধ হবে না এটা নিয়ে না আছে শিক্ষকদের মাথা ব্যথা না আছে ছাত্রদের মাথা ব্যথা!
আগে ছাত্র শিক্ষকদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে! শিক্ষক রা আছেন নিজেদের ধান্দাবাজিতে ব্যস্ত আর ছাত্রদের ভিতর এক গ্রুপ কিভাবে দলীয় চাটুকারীতা করা যায়, আর আরেক গ্রুপ কিভাবে জলদি দেশ ত্যাগ করা যায় সেই চিন্তায় ব্যস্ত!
Moiin
এই সমস্যা গুলোর জন্য উভয় পক্ষই দায়ী! দলভিত্তিক রাজনীতি কেন নিষিদ্ধ হবে না এটা নিয়ে না আছে শিক্ষকদের মাথা ব্যথা না আছে ছাত্রদের মাথা ব্যথা!
আগে ছাত্র শিক্ষকদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে! শিক্ষক রা আছেন নিজেদের ধান্দাবাজিতে ব্যস্ত আর ছাত্রদের ভিতর এক গ্রুপ কিভাবে দলীয় চাটুকারীতা করা যায়, আর আরেক গ্রুপ কিভাবে জলদি দেশ ত্যাগ করা যায় সেই চিন্তায় ব্যস্ত!
আপনারা যারা অনেকেই বুয়েটের ছাত্ররা লিখছেন তাদের ভাবনা চিন্তার সাথে পরিচয় আছে মোটামুটি। বুয়েট বিষয়ে অনেকগুলো লেখাই পড়লাম। মুহসীন হলের ঘটনা আপনারা দেখেছেন? ঢাবিতে আবু বকরের করুণ মৃত্যুর খবর আপনাদের অজানা নয়। একটা কথা আমি আপনাদের কারো লেখারি মাঝে পাইনি। অনেকেই প্রতিবাদ প্রতিরোধের পথ হিসেবে বলেছেন ব্লগে লেখা, স্যারদের জানানো, এদের চাকরির রাস্তা বন্ধ করে দেয়া, আওয়াজ তোলা, ঘৃণা তৈরি করা, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়া...
এগুলো সবগুলোর মাঝে একটা বিশাল ফাঁকি আছে। সেটা হল, 'আসেন সবাই করি'- সবাই নামে না কোন মানুষ নাই। একটা চড় হজম করতে পারবেন প্রতিবাদের বিনিময়ে? পারলে ভালো। রড আর চাপাতির সামনে দাঁড়াতে পারবেন সত্যের জন্য? যদি গৌতমের পরে একজনও পারেন, বুয়েট বাঁচবে। রনকের wall সবাই দেখতে পারেন। ওরা আমাদের এইসব বালখিল্য কথাবার্তা দেখে নিশ্চয়ই খুব আনন্দ পায়। সুযোগ থাকলে জেনে আমাকে জানিয়েন।
সভ্যতা নপুংশকের ভালোবাসায় তৈরি হয়নি, বীরের আত্মদানে সৃষ্টি হয়েছে।অহেতুক বুয়েটের মাহাত্ম নিয়ে কান্নাকাটি করার দিন ফুরিয়ে আসছে।
নতুন মন্তব্য করুন