গতকাল টাইগারপাস মোড়ে একটা বাজে ঘটনা দেখলাম।
তিনজন চলিশোর্ধ্ব লোক একটা বাইকে করে মোড় ক্রস করছিল। কারো মাথায় হেলমেট নাই। এক ট্রাফিক কনস্টেবল বাইকটা আটকালো। ওমনি তিনজনের খিস্তি খেউড় শুরু। বারবার তারা একটা কথাই বলছে, কাদের গাড়ি আটকাইছ জানো, আমরা ছাত্রলীগ-
কিন্তু ওই তিনজনের মধ্যে ছাত্রসুলভ কোন অভিব্যক্তি নেই। বয়সও অধ্যয়ণকালসীমা অতিক্রম করেছে বলেই মনে হয়।
এদিকে কনস্টেবলটিও কম যায় না। সেও বেদম গালাগালি করছে। একেবারে বিব্রতকর পরিস্থিতি।
এদিকে এই লোকগুলো আসলেই ছাত্রলীগ কিনা সেটা বোঝার কোন উপায় নেই। কারণ এমন কোন সনাক্তকরণ নিদর্শন নেই তাদের কাছে। আর ছাত্রলীগ হলে যে কতটুকুন আইনের ঊর্ধ্বে যাওয়া যাবে সে ব্যাপারে কোন দিক-নির্দেশনা নেই কোথাও। অগত্যা ট্রাফিক পুলিশটি শুধু গালির পিঠে গালি বসিয়ে এদের ছেড়ে দিল।
১৯৯৭ সালে আমি এইচএসসি পরীক্ষা দেই। ছাত্রলীগ অধ্যুষিত একটা কলেজ থেকে। তখন একটা চমৎকার(!) জিনিস হতো। পরীক্ষা শুরুর মিনিট দশেক আগেই কলেজ ছাত্রসংসদের ভিপি এসে কে কে ছাত্রলীগের কর্মী কক্ষ পরিদর্শকদের চিনিয়ে দিয়ে যেতেন। প্রশ্ন দেয়ার আগে স্যাররা গম্ভীর মুখ করে বলতেন, যাদের দেখিয়ে দেয়া হলো তারা বাদে কেউ নকল তো দূরে থাক ঘাড়টা নাড়াবার চেষ্টা করো না, পরিণতি ভালো হবে না।
পরীক্ষার সময় তাই হতো। ওরা বই খুলে নোট খুলে লেখত, অন্যরা সুবোধ বালকের মতো ঘাড় গুঁজে আপন মনে লিখে যেত।
তাই ছাত্রলীগ'-এর নাম করে কেউ যেন ফ্রি স্টাইলে চলতে না পারে সে জন্য ছাত্রলীগ আইডি কার্ড চালু করা হোক। কার্ডে স্পষ্ট করে উল্লেখ থাকুক কতটা আইন লঙ্ঘনের অধিকার থাকবে এই কার্ডধারীর। আমরা আমজনতাও এদের কার্ড দেখে সমঝে চললাম। কী বলেন?
অনুষ্টুপ
মন্তব্য
প্রস্তাবটা ভালোই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
সুন্দর প্রস্তাব।
সুপ্রিয় দেব শান্ত
সরকারী দল আইডি করা উচিত, নইলে দলের পান্ডারা মাইন্ড করবে।
মর্মান্তিক।
ছাত্রলীগের আইডি থাকলে কি এই অপকর্ম জায়েজ হতো? আইডি দিয়ে লাভ কী? এদের দরকার গণপিটুনি। অপকর্ম করে ছাত্রের রেফারেন্স দিলেই গণ। ব্যস।
আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। (সৌজন্যে: বিবেক)
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
সমস্যা তো সেখানেই। আইন শুধু ওনারা হাতে তুলে নিবেন, আমরা নই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী, বিশ্বশান্তি অগ্রদূত, জলবায়ূ পরিবর্তন মোকাবেলার সাহসী নেত্রী হার এক্সেলিন্সি শেখ হাসিনার কাছে আবেদন পেশ করলাম।
চিন্তায় আছি এমপি মন্ত্রীরা না জানি কবে ছাত্রলীগের মাইর খেয়ে মরে। এমপি-মন্ত্রীদের সবার জন্য শুল্ক-ফ্রি ছালা বরাদ্দ করা হৌক।
অথবা, পুটু রক্ষার জন্য হোমিওপ্যাথি ওষুধের ছিপি
চমৎকার প্রস্তাব।
বিনা দ্বিধায় হাত তুললাম
পাছায় লোহার রড গরম করে দাগ দিয়ে দেওয়া হোক
ছাত্রলীগ হলো গ্যাটো।
*Gato= Government authorized terrorist organisation.
এর চেয়ে সবাইকে বাধ্যতামূলক ভাবে ছাত্রলীগ করতে হবে এরকম আইন করলেই তো সব সমস্যা মিটে যায় ।
তখন আমরা সবাই রাজা
শুধু ছাত্রলীগ না, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ আরো যত লীগ আছে সবার নামে আইডিকার্ড বরাদ্দ করা হোক। এরপরে যদি বিএনপি আসে তখন আবার যারা যারা বিএনপি করে তাদের নামে কার্ড দেয়া হবে। আশা করা যায়, দশ বছর পরে দল-লীগ-জামাত কর্মী এরকম সব্বাই অন্তত একটি করে আইডি পাবে। তারপরে সবগুলানরে দেশ থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে হবে, তাহলেই দেশে চিরতরে শান্তি ফিরে আসবে।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
মন্তব্য করমু না, পথেঘাটে ধোলাই খাইতে রাজী নাই। কি কইতে কি কমু, আর দেশে যাইয়া পোন্দানি খামু। কিছু দোস্ত আছে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা, এখনো ফর্মে আছে, ওগোরে ধইরা ছাত্রলীগের এট্টা ডান্ডিকার্ড ম্যানেজ কইরা ফালামু। মাস্টার্স শেষ হইছে তো কি হইছে, ডাবল, ট্রিপল মাস্টার্স লমু। পুষ্টিবিজ্ঞানে আর গ্রন্থাগারবিজ্ঞানে ডিপ্লোমা লমু। তাছাড়া পিএইচডি বাকী আছে না!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নতুন মন্তব্য করুন