বেশ কিছুদিন আগে অষ্টম শ্রেনীতে পড়া একটা বিষয় খুঁজতে যেয়ে প্রায় গলদঘর্ম হয়েছিলাম। পাঠ্যপুস্তক গুলোর কোন পি ডি এফ ভার্সন বা অনলাইন ভার্সন কোথাও পাইনি। এর বেশ কিছুদিন পর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বেশ কিছু বইয়ের পি ডি এফ ভার্সন আপলোড করা হয়। কিন্তু তাতেও থেকে যায় অনেক সমস্যা। লিঙ্কগুলো সুবিন্যস্ত না এবং চট করে কোনোটা পাওয়া বেশ কঠিন।
আজকে পত্রিকায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পাঠ্যপুস্তকের ই-বুক উদ্বোধনের সংবাদে বেশ উচ্ছসিত হয়ে উঠি তাই। দ্রুত ঢু মারতে গেলাম লিঙ্কটায়। আশা করেছিলাম কাঠখোট্টা কিছু লিঙ্কের সমাবেশ আর বইগুলোর পি ডি এফ ভার্সনই বোধহয় পাব। তা হয়নি, বরং সাইটটি দেখে আমি বেশ চমৎকৃত। শিশুদের কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন কার্টুন আর রঙের সমাহার সেখানে ঘটেছে। প্রথম শ্রেণী থেকে নবম-দশম শ্রেণী পর্যন্ত ট্যাবগুলোর একটায় ঢুকে এবার রীতিমত মুগ্ধ আমি। কাঠের বুক শেল্ফে সারিবদ্ধ ভাবে সাজানো এক একটা বই। দেখেই ইচ্ছা হয় একটু নেড়েচেড়ে দেখি। বইয়ের উপরে ওপেন এবং ডাউনলোড দুটো অপশনই আছে। একটা বই ওপেন করলাম। তারপর আবারো মুগ্ধ হতে হলো। স্রেফ স্ক্যান করে তুলে দেয়া হয়নি, বরং মনে হয় চোখের সামনে ঝকঝকে অফসেট কাগজে ছাপানো একটা বই। কাজটা ফ্ল্যাশে করা হয়েছে, চাইলেই ফুলস্ক্রিন করা যায়, অথবা একটা পৃষ্ঠায় ক্লিক করে জুম করা যায়, আবার যেকোন পেজ-এ লাফ দিয়ে চলে যাওয়া যায়। পৃষ্ঠাগুলোর কোনায় মাউস নিয়ে গেলে একটু আলগা হয়ে আসে, সেটাকে টেনে ধরে চমৎকার পাতাও ওলটানো যায়!
একটা বই নামিয়ে ফেললাম। নামানোর পর জিপ ফাইল এক্সট্রাক্ট করে যা পেলাম তাতে কিছুটা হতাশ হতে হলো। একটা ফোল্ডারে প্রতিটা পেজের জন্য একটা করে এস.ডাব্লিউ.এফ(shockwave flash object) ফরম্যাটের ফাইল পাওয়া গেল, এছাড়া একটা movie.swf আর একটা index.html ফাইল। এটা চালানোর জন্য ফ্ল্যাশ প্লেয়ার থাকা জরুরী। অবশ্য মিডিয়া প্লেয়ার ক্লাসিকেও চালানো যায় যদি কোডেক ইন্সটল করা থাকে। শিশুদের জন্য জিনিসটা ব্যাবহার-বান্ধব কিনা তা বিবেচনা করে দেখা দরকার। আধুনিক শিশুরা অবশ্য প্রচুর স্মার্ট, একবার দেখিয়ে দিলেই পারবে। index.html থেকে ওয়েব ব্রাউজারেও বইটা খোলা যাবে।
মূল-পাতা থেকে 'সাহায্য' নামে যে লিঙ্কটা আছে সেখানে এডোব ফ্ল্যাশ প্লেয়ার আর উইনরারের ডাউনলোড লিঙ্ক দেয়া আছে। সবমিলিয়ে অত্যন্ত চমৎকার উদ্যোগ যা প্রশংসার দাবী রাখে এবং ডিজিটালাইজেশনের পথে একটা সুস্পষ্ট পদক্ষেপ বলেই রায় দেয়া যায়।
এবার কিছু ঋণাত্বক কথাবার্তা। ওয়েবসাইটটি ভয়ংকর স্লো। এক একটা লিঙ্কে যেতে এত বেশি সময় লাগে যে মনে হওয়া স্বাভাবিক লিঙ্কটা বোধয় কাজ করছে না। দ্বিতীয়ত বইগুলো ফ্ল্যাশে হওয়ায় খুলতে যথেষ্ঠ সময় নেয়। পাশাপাশি একটা পি ডি এফ ভার্সনও মনে হয় রাখা উচিৎ আমাদের ইন্টারনেট স্পিডের কথা মাথায় রেখে। একই কথা ডাউনলোডের জন্যও প্রযোজ্য। এক একটা বইয়ের সাইজ দাঁড়িয়েছে চল্লিশ মেগাবাইটের উপরে! ফ্ল্যাশে বইগুলো দেখতে খুব সুন্দর সন্দেহ নেই কিন্তু স্বল্প সময় এবং খরচে নামানোর জন্য পি ডি এফ রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ।
লিঙ্ক ১ - পাঠ্যপুস্তক ই-বুক
লিঙ্ক ২ - জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড
-রিসালাত বারী
মন্তব্য
জেনে খুবই ভাল লাগছে। আমাদের সময় লেখাপড়ার জন্য এরকম উৎসাহব্যঞ্জক ব্যাপার-স্যাপার থাকলে ভালই হত, উৎসাহ দেওয়ার জন্য লিকলিকে বেতের চেয়ে এই সুন্দর বইয়ের তাক বেশি কাজে দেবে আশা করছি।
একটু স্লো মনে হল, তবে ফিচার সুন্দর, অনেক দেরিতে করলেও সাধুবাদপ্রাপ্য। আরো কাজও করতে হবে।
পিডিয়েফ করে রাখাটা খুবই জরুরি। দেশে তো নেট স্পিড এমনিতেই স্লো। বেশি ভারি জিনিস তুলে রাখলে ব্যান্ডওয়াইডথ খাবে খামোকা।
পদক্ষেপটা প্রশংসনীয়, কিন্তু এর টার্গেট অডিয়েন্স কারা?
পিডিএফের কিছু টার্গেট অডিয়েন্স কল্পনা করা যেতে পারে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আমি ডাউনলোডেবল যে কোনো ফরমেটের প্রবল বিরোধীতা করি। নীচে কারন বলেছি।
আমি সকালে ঘন্টাখানেক টিপাটেপি করেও কিছুতে ঢুকতে না পেরে বাদ্দিছি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বইগুলোর পিডিএফ আগেই ছিলো। নতুন ফ্ল্যাশবেইজড যে জিনিস পয়দা করা হয়েছে সেটা জঘন্য। দেশ থেকে কেউ ওগুলো খুলে দেখবে না এটা আগে থেকেই বলে দেয়া যায়।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
হাসিব ভাই, বইয়ের পিডিএফ কি জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ওয়েবসাইটে পাবো? শুধু বর্তমান ভার্শনগুলো?
আমার মনে হয় এই ওয়েবসাইটটা ইন্টারঅ্যাকটিভ হলে বাচ্চাদের জন্যে ভালো। সেরকম কিছু অনেক আগেই হতে হতো, আর এখন ফান্ডিং মেরে কেটেও যদি কিছু দাঁড় করায় তবুও হোক! তবে স্পিড এত খারাপ হলে চলবে না!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
যদিও বাংলাদেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী এটার সদ্ব্যবহার করতে পারবে না, কিন্তু তবুও এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। শহুরে শিক্ষার্থীরা যদি বইগুলো ডাউনলোড করে নিজেদের কমপিউটারে বা দোকান থেকে প্রিন্ট করে নিয়ে আসে, তাহলে তো পাঠ্যপুস্তকের সীমিত সাপ্লাইয়ের উপর চাপ কম পড়ারই কথা।
বেশ কয়েকটি ই-বুকের সাইজ বেশী ফলে অনলাইনে পড়া কষ্টকর। সরাসরি যেকোনো পৃষ্ঠায় যাওয়া ছাড়া জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের পিডিএফ ভার্সনের চেয়ে এর বাড়তি কোন সুবিধা দেখতে পাইনি। বরং আগের তৈরি পিডিএফ ভার্সনের বইগুলো ডাউনলোড করলে তা কম সময়ে করা যায় (সাইজ ছোট) এবং ডাউনলোডের পর সরাসরি যে কোন পৃষ্ঠায় যাওয়া যায়। এটি উদ্বোধনের ০৩ মাসের মধ্যে আবার এত দূর্বলভাবে ই-বুক উদ্বোধনের কি প্রয়োজন ছিল তা বোঝা যায় নি। এর গুণগত মান আসন্ন ১২,০০০ টাকার ল্যাপটপের মতই মনে হয়। তাছাড়া এতে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডও অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এটুআই প্রোগ্রাম যেখানে শিক্ষার মানোন্নয়নে এত বড় ভূমিকা রাখছে, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটাতে চাইছে তার তুলনায় ই-বুক এটুআই প্রোগ্রামের একটি দূর্বল উদ্ভাবন এবং অনর্থক অর্থের অপচয় বলে মনে হয়।
আশা করছি অতি শীঘ্র এর উন্নয়ন সম্ভবপর হবে।
আজমীন সুলতানা
অ্যাডভোকেট
বাহ। দারুণ উদ্যোগ...
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
প্রশংসনীয় উদ্যোগ এবং সঠিক দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সাইটটিতে ঢুকতে পারিনি তবে আপনার স্ক্রিনশট দেখে আন্দাজ করছি আইপ্যাডের ডিজাইন অনুসরন করা হয়েছে। ফ্ল্যাশ ব্যবহারের সিদ্ধান্তটা খারাপ নয়। তবে ভবিষ্যতে ভিন্ন টেকনোলজি ব্যবহার করতে হবে হয়ত।
পিডিএফ হিসেবে তুলে দিলে ডাউনলোড করার সুবিধে হোতো সত্যি। কিন্তু ডকুমেন্টগুলো কন্ট্রোল থাকতো না। বইয়ে কোনো পরিবর্তন হলে সেটা সবার কাছে পৌছে দেয়া যাবে না। বরং বিভিন্ন ভার্সনের কারনে কনফিউশন বাড়বে বই কমবে না। তাই আমি ডাউনলোডেবল যে কোনো ফরমেটের প্রবল বিরোধীতা করি। বরং ইন্টারনেটের সুবিধা বাড়িয়ে, ভালো সার্ভার ব্যবহার করে সরাসরি অনলাইন এক্সেসের ব্যবস্থা করতে হবে।
স্ক্রিবডের মতো কোনো সার্ভিস ব্যবহার করে, ডাউনলোড ডিজেবল করে আপ করা যায় তাহলে।
বইয়ে পরিবর্তন কে করবে? থার্ড পার্টি? এর সমাধান সহজ। পরিবর্তনের অধিকার ২৫৬বিট এনক্রিপশন দিয়ে লক করে রাখা।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
না। সরকার কোনো ভুল শুধরাতে পারে, পরিবর্তন আনতে পারে ইত্যাদি।
সরকার পরিবর্তন আনে নতুন বছরের নতুন ভার্সনে। যখন প্রিন্টেড কপিতে পরিবর্তন হবে। তখন অনলাইনেও নতুন ভার্সন আপ করা হবে। দুঠো হুবহু এক হবে। সংস্করণের নম্বর, প্রকাশের তারিখ থাকবে। এটা কোন ঝামেলাই না সিন্ক্রোনাইজ করা।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
তাছাড়া নক অফফ কপির কথা ভাবুন। ধরুন ধর্ম বইয়ে কেউ ইচ্ছে করে বিশেষে উদ্দেশ্যে পরিবর্তন করে একটা আলাদা পিডিএফ ছাড়লো। এখন সাধারণ মানুষ কিভাবে বুঝবে কোনটা আসল কোনটা নকল?
এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পিডিএফ লাগে না। বাংলাদেশে বইয়ের পাইরেটেড কপি পাওয়া যায়। কপিগুলো প্রস্তুত করতে প্রথমে মূল বই ট্রেসিঙে ফটোকপি করা হয়। তারপর সেটা থেকে প্লেট তৈরী করে ছাপানো হয়। নতুন ট্রেসিং তৈরী করে সেটা রিপ্লেস করে প্রিন্ট করা কোন সমস্যা না। সাবোটেজ করার ইচ্ছে থাকলে সেটা পিডিএফ ছাড়াও করা যাবে। পিডিএফ থাকলে নতুন কিছু সুবিধা হবে যেটা আমি উপরে হিমুর কমেন্টের উত্তরে বলেছি।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
কেন? স্কুলে ইন্টারেনেটের সুব্যবস্থা থাকতে হবে, এবং নিজের নামানো বইয়ের সাথে বোর্ডের লিংকে দেয়া বইয়ের সামান্য তারতম্য পেলেই তা বোর্ডের সাইটে গিয়ে চেক করে নিতে হবে। আমার মনে হয় স্কুলের কোন বাচ্চা তার বইয়ের সাথে অন্যদের বইয়ের মিল না পেলে এব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ অবশ্যই করবে। বাচ্চারা কিন্তু বোকা না!
আর এখন সব ক্লাসের ফাইনাল পরীক্ষাগুলো না হলেও, বাকি সব বড় পরীক্ষা (নতুন সিস্টেমে ক্লাস ফাইভের শেষে, ক্লাস এইটের শেষে, এবং দ্বাদশ শ্রেনীর শেষে; আর পুরনো সিস্টেমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা), সব বোর্ড থেকে নিয়ন্ত্রিত অভিন্ন প্রশ্নপত্রে হয়, কাজেই বই এক না হলে বিপদ, এবং শিক্ষার্থীরা এ ব্যাপারে খেয়াল করতে বাধ্য।
(শহরে বাবা-মারা যেভাবে সন্তানদের পেছনে লেগে থাকেন, আর যেভাবে এখন শিক্ষার্থীরা স্কুলের ক্লাসের চেয়েও বেশি কোচিং আর প্রাইভেট টিউশনি অ্যাটেন্ড করে, তাতে বই আলাদা থাকলেও সেটা শহরে ওভারলুক করে যাবার সম্ভাবনা ক্ষীণ মনে হচ্ছে)।
তবে একটা জিনিস সম্পর্কে আমি আসলে জানি না, বইতে কি এনসিটিবির লোগোটাকে বা অন্য কোন ধরণের ইলেক্ট্রনিক মার্কিং ব্যবস্থা করা যায় নাকি, যা বোর্ডেরই বই তা প্রমাণ করবে?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধরন
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
<দেয়ালে মাথা ঠুকবার ইমো>
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এই উদ্যোগের টার্গেট অডিয়েন্স মনে হয় আপাতত শূন্যের কোঠায়, তবে ইন্টারনেট এবং তার স্পিড দুটাই সহজলভ্য হলে একটা অডিয়েন্স তৈরি হয়ে যাবে। ডাউনলোডেবল ভার্সনের ব্যাপারে মুর্শেদ ভাইয়ের আশংকা পুরোপুরি যৌক্তিক, তবে বিকল্প একটা অবশ্যই দরকার।
কিন্তু এই মুহুর্তে আমি যেটা নিয়ে আশঙ্কায় আছি তা হলো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনলাইন লাইব্রেরীর অভাব। ব্যক্তিগত ভাবে নীলক্ষেতের কাছে আমি আজীবন ঋণী। পঞ্চাশ থেকে তিনশ টাকার মধ্যে বয়েলস্টেড, ডর্ফ, করকরান, সেড্রা স্মিথদের বই কিনতে না পারলে গ্রাজুয়েশন শেষ করতে পারতাম কিনা সন্দেহ আছে। নীলক্ষেত যদি তুলে দেয়া হয় তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রী বিরাট বিপদে পড়বে। সেই অবস্থা উত্তরণের একমাত্র বিকল্প হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন লাইব্রেরি। এই ব্যাপারে কোন উদ্যোগ কি নেয়া হচ্ছে?
উদ্যোগ টি ভাল সন্দেহ নেই । কিন্তু at what cost ?সরকারী প্রকল্প A2I কত ঠাকা খরচে এই উদ্যোগ টি বাস্তবায়ন করেছে কেউ জানাবেন কি ?
কয়েক দিন আগে ও এ প্রকল্প জাতীয় ই-তথ্যকোষ
নামে একটি আবর্জনা ভান্ডার তৈরী করেছিল অনেক আড়ম্বরে ।
পিডিএফের কিছু টার্গেট অডিয়েন্স কল্পনা করেছেন একজন কিন্তু এরা মূল ব্যবহারকারীর কত শতাংশ ?
ডিজিটালাইজেশেনে এটি একটি সহায়ক কাজ কিন্তু আমাদের সরকার আমলারা এই সহায়ক কাজ গুলা করে
( মূল কাজগুলা বাদ দিয়ে )আনন্দে বগল বাজাবে আর জাতীয় সম্পদের অপচয় করবে এটাই আপত্তি এবং আশংকার বিষয় ।
Internet Explorer 8 ব্যবহার করে A2I এর ওয়েব সাইটটি দেখলে তার html code সহ দেখা যায় ।
টাকার পরিমাণ নিয়ে ধারনা নাই, তবে যতটুকু জানতে পারলাম, পাঠ্যপুস্তক ই-বুকের প্রকল্পটির অর্থায়ন করছে ইউএনডিপি।
প্রকল্পে কাগু জড়িত থাকলে খরচ এক রকম হবে, আবার ধরেন গিয়ে কাগু যদি না থাকে তাহলে খরচ আবার আরেক রকম ...
হাসতে লজ্জা হয় না? উনি নিপাট ভদ্রলোক, তাই এক দর, মূলামূলি যে করে না এজন্য তারে ধন্যবাদ দেন।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
মূল প্রকল্পটি হচ্ছে Access to Information (A2I) এর অধীনে জেলা তথ্য বাতায়ন
জাতীয় ই-তথ্যকোষ , অনলাইনে জিডি , সরকারী ফর্মের অন লাইন প্রাপ্তি সহ আরও অনেক কাজ । তবে সাম্প্রতিক কাজ কর্ম দেখে মনে হচ্ছে ”উনার কুমিরের সাত ছানা” দেখাচ্ছেন অথবা ”প্রচারেই প্রসার” এ আপ্ত বাক্যে কাজ চালাচ্ছেন
বোর্ড থেকে যে বই ছাপান হয় তা পর্যাপ্ত না। এবার ভারত থেকে বই ছাপিয়ে আনতে হয়েছে নাকি! বই আমরা ছাপালেও তা ঠিক সময়ে নাকি পৌঁছায় না স্কুলে স্কুলে।
গত প্রায় দশ বছরের উপরে হতে চললো প্রতিটা ছাত্র-ছাত্রী কিছু পুরনো মানে আগে অন্য কারো ব্যবহৃত বই পায়, সাথে কিছু নতুন বই, অনুপাতটা মনে নেই এখন। আমার ছোট ভাই যখন স্কুলে ছিল তখন সে এরকম পুরনো-নতুন বই মেশানো পড়ে এসেছে, আমি পাই নাই। একটা বাচ্চাকে পুরানো, ব্যবহৃত বই দেয়াটা তার শিক্ষার আগ্রহ হ্রাস করে মনে করি আমি, শিক্ষা-মনোবিজ্ঞানীরা ভাল বলতে পারবেন।
এ প্রেক্ষিতে আমার কাছে এই উদ্যোগ ভালো মনে হয়েছে।
ওয়েবসাইটটা অসম্ভব স্লো। এর আগেও একদিন ভালো করে দেখতে পারি নাই একই কারণে। তবে যেটুকু দেখলাম, আর আপনার দেয়া ছবিতে আর বর্ণনা পড়েও আমার ভালো লাগছে। আর আশা করছি এটা দ্রুত পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করবে, স্পিড বাড়ানোর জন্যে যা করণীয় তা করা হবে, অ্যাকসেস বাচ্চাদের জন্যে সহজ হবে।
লেখাটা ভালো লাগলো।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
থামেন রে ভাইজানেরা আরেট্টু আগাপিছা ভাবেন আগে, পিডিএফ কপি অবশ্যই পাশাপাশি দরকার, কিন্তু এই ফ্ল্যাশ এরও দরকার আছে, আমি ফ্ল্যাশের পক্ষে কইটা কথা বলতে চাচ্ছিলাম...:
ফ্লাশ (শুধুমাত্র Apple iOS > iPhone and iPad বাদে) দুনিয়ার তাবৎ কম্পিউটার, ট্যাবলেট এবং মোবাইল অপােরটিং সিসটেমে চলে এবং তাতে ঝকঝকে বাংলা দেখায় (কাগুর মাল এবং ইনিকোড, যেকোন বাংলা)। এমনিতে বাংলা বর্ণমালা এখনো সকল প্লাটফর্ম এবং অপারেটিং সিসটেমে দেখা যায়না (কাগুর মাল না, ইউনিকোড দিয়ে লেখা হলেও যায়না, দেখা গেলেও উলট পালট দেখা যায় (উদারণ: Mac এ Firefox বাদে আর কোন ব্রাউজারে বাংলা ঠিকমত আসে না, Android এ এখনো বাংলা মোটেই দেখা যায়না, এবং আমি এ কথা বলছি প্রচলিত মোটামুটি সব ঘোটালা সিসটেম ঘেটে দেখার পর, তাই বাংলা কোন অপারেটিং সিসটেম এ কোন সফ্টওয়ারে কিভাবে দেখতে হবে সে বিষয়ে এখানে জ্ঞান হাজির করার কোন দরকার নাই। সেগুলা ঘোটালা আমি করে দেখেছি, হয়না।)
কিন্তু এই ফ্ল্যাশ বইগুলো দিব্বি সবখানে খুলছে! এবং ভালোই টপাটপ খুল্লো (আমি জিপির পচা নেট দিয়েই খুল্লাম), Mac এ ক্রোম, সাফারি, Android এ ডিফল্ট ব্রাউজার, লিনাক্স এবং উইন্ডজে খুলে দেখলাম, সবখানে চকচকে বাংলায় 'আমার বই' দেখা যাচ্ছে! ইউনিকোড পিডিএফ দিয়েও যেটা সবখানে সম্ভব না।
(অনেকে বলবেন দরকার কী! দরকার আছে। দরকার আছে, প্রযুক্তির পেশাদারিত্বের বহিপ্রকাশের জন্য। দরকার আছে, কারন প্রযুক্তি এত দ্রুত বদলায় যে আগামি বছর যে হাফপ্যান্ট পরে ধানক্ষেতের মধে্য দিয়ে পিচ্ছি ছেলেটা একটা Android tablet নিয়ে দৌড়াবেনা এইটা আপনি আমি কেউ জানিনা।)
এ্যান্ড্রয়েডে অপেরা দিয়ে বাংলা দেখায় তো!
এক বছর পরের একটা সিন খেলে গেলো চোখের সামনে। এক পিচ্চি, ধানক্ষেতের পাশে আলের ওপর বসে অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট ছাড়লো। কিছুক্ষণ পর স্ক্রিনে ভেসে উঠলো কাগুর রক্তপিপাসু হুলিয়া। পিচ্চি আতঙ্কে চিৎকার করে উঠে ট্যাবলেট হাতে ধানক্ষেতের মাঝখান ধরে কোণাকুণি দিলো দৌড় ...
আপনার নিকটা ভালো হয়েছে। পারফেক্তো।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ঐ, তুই এত বানান ভুল করিস কেন? সবসময়ে তাড়াহুড়া!
তবে সব জায়গায় সব মাধ্যমেই একই রকম ভালো করে দেখতে পাবার কথাটা আমারো মনে ধরলো। আর জিনিসটা ভারি ইন্টারঅ্যাক্টিভ, ছোটদের জন্যে কেন, আমার নিজেরই চমৎকার লাগছে! মনে হচ্ছে ডিজনির ওয়েবসাইটে ঢুকেছি!
এখনই চেক করলাম আবার, স্পিড তো ভালোই মনে হলো, তখন কী হয়েছিল বুঝলাম না!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আজকে ইবুকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। এর ডেভেলপার দলের সাথে আলাপ হল। ত্রিশ পেরোয়নি এমন কয়েকজন উজ্জ্বল তরুণ। মাত্র তিন মাসের মধ্যে তারা এটি সম্পন্ন করেছে। এর মূল টার্গেট অডিয়েন্স হচ্ছে প্রায় এক কোটি প্রবাসী বাঙ্গালী। তাদের দিকে লক্ষ্য রেখে এটি টাচ স্ক্রীন (আইপ্যাড/আইফোন) ও মোবাইল সাপোর্ট করে। এছাড়াও দেশে যারা টেক্সটবুক পায়নি বা ছিঁড়ে গেছে - তারা সেগুলো ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে পারবে।
এর নেগেটিভ দিকগুলো নিয়ে আলাপ হলো। জাতীয় টেক্সটবুক বোর্ড সম্পূর্ণ ইমেজ আকারে বইগুলো দিয়েছে। পিডিএফ টেক্সট আকারে দিলে অপটিমাইজ করে সাইজ কমানো যেত। ফলে দেশের ভেতরে অনেকের অনলাইনে বা মোবাইলে ব্যবহার করতে সমস্যা হবে। তবে আশার ব্যাপার হচ্ছে ইন্টারনেট স্পিড বাড়ছে (আমার আইএসপি কিউবি বিনে পয়সায় ডবল স্পিড দিচ্ছে এ মাস থেকে)।
আজকে শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বললেন যে ৩০৬ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে ২০০০০ স্কুলে ল্যাপটপ, ইন্টারনেট কানেকশন আর প্রজেক্টর দেয়া হবে। এটুআইয়ের আরেকটি উদ্যোগের আওতায় শিক্ষকদের শেখানো হচ্ছে মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট তৈরি করা।
ইবুক প্রকল্পের খরচ সম্পর্কে জানলাম যে ব্যয় খুবই নগন্য হয়েছে - ডেভেলপারদের বেতন ছাড়া কোন বাণিজ্যিক লাভ কাউকে দিতে হয়নি। এটি হোস্ট করা হয়েছে দেশীয় সার্ভারে।
এটুআই প্রকল্পটিতে প্রায় পুরোটাই ইউএনডিপি অর্থায়ন করে এবং এর টেন্ডার প্রসেস থেকে রিক্রুটমেন্ট প্রসেস সবই করা হয় ইউএনডিপির অফিস থেকে কঠোর নিয়ম মেনে (এখানে সরকারী প্রভাব খাটে না)। আর ইউএনডিপির টাকা বেশী বা কম খরচ হয়েছে কিনা সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ নয় - কারন এটি পুরোটাই অর্থনৈতিক সহায়তা। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মত বেশী পয়সা খরচ করিয়ে সুদ নেবার জন্যে বসে নেই তারা।
জাতীয় ই-তথ্যকোষের মত অনেক উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে যেগুলো গুগল সার্চের সাথে তুলনা করলে আবর্জনার ভান্ডার মনে হতে পারে অনেকের কাছে। কিন্তু এগুলো দেশীয় জনবলে গড়া সম্পূর্ণ দেশীয় উদ্যোগ এবং বেবী স্টেপস মাত্র। তথ্যকোষ ভান্ডার সমৃদ্ধ করা একটি চলমান প্রক্রিয়া। যেখানে আমাদের প্রাপ্তিগুলো শূণ্যের কোঠায় এবং সরকারী প্রকল্পে নানা চ্যালেঞ্জ বর্তমান সেখানে এই ধরনের কিছু প্রাথমিক পদক্ষেপ আমাদেরকে আশার আলো দেখায়।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
আমি কেবলই 'আমার বই'- প্রথম ভাগ পড়ে আসলাম! কী জানি তখন কী হয়েছিল, কিন্তু এখন দিব্যি ভালো স্পিডেই সব খুলে গেল! আমার বেশ পছন্দ হয়েছে যা দেখলাম তা!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বাহ! তরুণদের কথা শুনে ভালো লাগলো।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ইচ্ছে থাকলে টার্গেট অডিয়েন্স এটা ভালো কাজে লাগাতে পারবে।
ফ্ল্যাশে ডেভেলপ করা, অ্যাপলের প্রোডাক্টে খুলবে কী করে? আমার আইফোনে খুলছে না। টাচ স্ক্রিন হয়তো অ্যান্ড্রয়েড বা অন্য ফোনের জন্য কাজ করছে। নাকি আলাদা সাইট আছে এর জন্য?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
কেন ফ্ল্যাশের বিকল্প আছে তো অ্যাপল প্রডাক্টের জন্যে। সেটা ইনস্টল করা যেতে পারে।
http://www.redmondpie.com/install-flash-frash-on-iphone-4-how-to-video-guide/
(কমেন্টের নিচে কমেন্ট করতে পারলাম না, মনেহয় একটু ঘাপলা আছে। অথবা আমি হয়ত ভুল করছি কোথাও।)
@প্রকৃতিপ্রেমিক: কথা সত্য। কিন্তু Android এর একদম প্রথম দিকের অপেরা চেষ্টা করেছিলাম, ভার্সনটা ভালো ছিল না, অনেক গেন্জাম করত। তাই বাদ দিয়েছিলাম অপেরা ব্যবহার।
@হিমু ভাই:
@হাসিব: জী। কথা সত্য পুরোপুরি মানছি।
@যাযাবর ব্যাকপ্যাকার: আর বলিস না! বানান ঘাপলা আমার সারাক্ষনই হতে থাকে । শুধরাতে হবে।
@রেজওয়ান: আমার জানা মতে (এবং দেখা মতে) আই-ফোন এবং আই-প্যাড এ সাধারণ কোন উপায়ে ফ্ল্যাশ দেখা যায়না। চেষ্টা করে দেখতে পারেন, পারলে জানান দিয়েন। Apple পুরোমাত্রায় এবং প্রকাশে্য ফ্ল্যাশ বিরধী।
আর গুগলের কথা বল্লেন তাই মনে পড়ল, গুগল বট বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফ্ল্যাশের টেক্সট পড়তে পারেনা, সার্চেও দেখায়না।
তবে আপনার কথাগুলো পড়ে ভালো লাগলো।
স্লো স্পিডের ব্যাপারটা এখন আর প্রযোজ্য না। গতকাল সারাদিন যে অবস্থা ছিল তা থেকে উত্তরণ লক্ষণীয়। বোধয় সার্ভার বা ব্যান্ডউইডথের কোন ঝামেলা ছিল। এই মুহূর্তে বেশ দ্রুত বিভিন্ন ট্যাবে ঢোকা যাচ্ছে এবং বইগুলো যথেষ্ঠ দ্রুত খুলছে। রেজওয়ান ভাইয়ের কমেন্ট পড়ে ভালো লাগলো।
চমৎকার হয়েছে সাইটটি, তবে স্লো। স্পিড বাড়াতে হবে। তারপরেও ধীরে ধীরে কিছুটা ডিজিটাইজেশন হচ্ছে এই মন্দের ভালো।
এখন যেহেতু বইগুলো সব অন-লাইনে পাওয়া যাচ্ছে, এগুলোকে লেকচার উপোযোগী করে খান একাডেমির মত ভিডিও তৈরী করা যায় না? বুয়েটের সবারই তো কোন কোন সময় টিউশনির অভিজ্ঞতা হয়েছে। এখন সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কয়েকজন মিলে একেক বিষয় ধরে এগিয়ে গেলে এক বছরের মাঝে সবগুলো বিষয়ের উপর লেকচার বানানো সম্ভব। তাহলে অজপাড়া গাঁয়ে যেখানে ভালো শিক্ষক থাকে না সেখানে এই সব ভিডিও কাজে লাগানো সম্ভব। তবে এতে বুয়েটের পোলাপাইনের টিউশনি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে । ভিডিও বানাতে লাগে ফ্রি ক্যামস্টুডিও ভিডিও ক্যাপচার এবং মাইক্রোসফট পেইন্ট অথবা যেকোন ফ্রি পেইন্ট সফটওয়ার। সচলায়তন থেকে এরকম কোন প্রজেক্ট হাতে নেওয়া যেতে পারে। কর্তৃপক্ষ কি বলে?
স্বাধীন,
অপটপিক একটা মন্তব্য করি। চিন্তাভাবনাটা একটু বুয়েটের চৌহদ্দির বাইরে নিয়ে যাওয়া না?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
বুয়েটের চৌহদ্দির মাঝেই থাকি তো সারাক্ষণ তাই চিন্তাভাবনা গুলো বুয়েট ঘিরেই হয় বেশি, এই আর কি। এনি ওয়ে, অনটপিকে তো কারো কোন মন্তব্য পেলাম না
চমৎকার উদ্যোগ। ওয়েবসাইটের ডিজাইন খুব পছন্দ হল। ক্লাস ওয়ান-টুর বাংলা বই পড়লাম কতদিন পর।
আমিও
...........................
Every Picture Tells a Story
আমিও! বাকি 'আমার বই' গুলো আগামি কয়েকদিনে পড়ে ফেলবো!!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ভালো উদ্যোগ বলেই মনে হচ্ছে, সরকারকে আন্তরিক সাধুবাদ সুন্দর উদ্যোগের জন্য.... এমনিতে সরকারের দোষ দেখামাত্র আমার দাত মুখ খিচে যায়, হাজারটা অভিযোগ করি...... তো আজকে সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে মতামত জানানোর সুযোগ পেয়ে মনে হলো সুযোগটা কাজে লাগাই। মূল টার্গেট অডিয়েন্স যে প্রবাসী বাংলাদেশীরা তা আমার জানা ছিল না, এ প্রসঙ্গে মনে হলো আমার জানা মতে বাংলাদেশের ইংরেজী মাধ্যমের শিক্ষার্থীরাই যেখানে শিক্ষাবোর্ডের বই পড়ে না (বাংলা এবং খুব সম্ভব ধর্ম বাদে) সেখানে প্রবাসী বাচ্চাকাচ্চারা শিক্ষাবোর্ডের বই পড়বে এটা আশা করাটা হয়তো একটু বেশী হয়ে গেলো। যাই হোক তারপরেও আমার দেশের শিক্ষাবোর্ডের বইয়ের অনলাইন সংস্করণ আছে এটা চিন্তা করতেই আমার ভালো লাগছে আরো অনেক ভালো লাগলো প্রজেক্টের অর্থায়নের সচ্ছতার কথা আর এর পেছনের মানুষগুলোর কথা জানতে পেরে (রেজওয়ান ভাইকে ধন্যবাদ তথ্যের জন্য)।
সরকারের এখন উচিত হবে তাদের এই প্রচেষ্টাকে যথাসম্ভব সার্থক করে তোলা, মূলত দুই ভাবে; দেশে নেট স্পীড এবং এর বিস্তার বাড়ানোর যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে....... আরেকটি বিষয় যেটি আমার মতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, পাঠ্যবইয়ের মান আরো উন্নত করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ইংরেজী মাধ্যমের অনেক বইতে বিশেষ করে বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে প্রচুর ইলাস্ট্রেশন (ভালো বাংলা মনে আসছে না) থাকে যাতে শিক্ষার্থীরা একটি বিষয় সহজে বুঝতে পারে, তো এরকম কিছু করা যায় কিনা তা চিন্তা করে দেখা যেতে পারে। এক্ষেত্র অবশ্য বই বানানোর খরচ অনেক বেড়ে যাবে এবং ফলস্বরূপ সরকারকে ভর্তূকী বাড়াতে হতে পারে। দেশে অনেক জ্ঞানী গুণী মানুষ আছেন তারা আরো ভালো পরামর্শ সরকারকে দিতে পারবেন। সবশেষে লেখককে অনেক ধন্যবাদ চমৎকার পোস্টের জন্য।
চমৎকার উদ্যগ। প্রবাসে আমার ছেলে মেয়েদের বাংলা পড়িয়েছি, বহুকস্টে, অনেক পুরস্কার দিয়ে। অটোয়াতে আমরা পরবর্তি প্রযন্মের জন্য বই দেশ থেকে আনিয়েছি, এখন যদি অনলাইনে পাঠ্য বই পাওয়া যায়, সেটা খুবই খুশির খবর। অটোয়া কার্ল্টনের প্রাথমিক স্কুল শিক্ষাবোর্ডের অধীনে বাংলা অন্যান্য এশিয়ান ভাষার সাথে সাথে শেখানোর জন্য শনিবারে এলাকার প্রাথমিক স্কুলে পরিচালিত হচ্ছে বোর্ডের তত্বাবধানে। অশেষ ধন্যবাদ, এই পোস্টটির জন্য।
সম্প্রতি সময়ে ফ্লিপ পেজ বলে একটি প্রযুক্তি এসেছে। যার মাধ্যমে ডকুমেন্টকে প্রায় আসল বইয়ের কাছাকাছি নিয়ে আসা যায়। পাঠ্যবইগুলো পিডিএফ কিছুদিন আগেই করা হয়েছে যেটা অন্যান্যরাও বলেছেন আর অনলাইন রিডেবল কন্টেন্টের জন্য রেডি টুল পাওয়া যায় যার মাধ্যমে একজন মানুষ সকাল থেকে বিকেল কাজ করলেই কেজি থেকে মেট্রিক পর্যন্ত আপলোডের উপযোগী করে নিতে পারে।
সরকারী টেন্ডারবাজীর পরে যেই সার্ভারগুলো নেয়া হয় সেগুলো অনেক সময়েই মানসম্মত হয়না, ধীর, সীমিত ব্যান্ডউইডথ ইত্যাদি সমস্যা থাকে। নাহলে তরতাজা সার্ভারে বইগুলো সুপাঠ্য হবার কথা।
এপেলের সাথে ফ্ল্যাশের মারপিট অনেকদিনের। তাই বইগুলো ফ্ল্যাস ও ইমেজ বেজড দুরকম ভার্সন থাকে। ফোন অথবা আইপ্যাড থেকে পড়লে সিএসেস+ইমেজ ভার্সন পাবেন তাই বাংলার রেন্ডারিং নিয়ে সমস্যা হবার কথা না।
সবশেষে ইবুক স্টোর খোলার রাস্তা খুঁজছি। সবচেয়ে বড় সমস্যা প্রকাশকদের রাজী করানো।
তারপরে সমস্যা কপি প্রোটেকশন। এখনো সাশ্রয়ী কোন রাইট ম্যানেজমেন্ট এনভারোমেন্ট পাচ্ছিনা। কারো পরামর্শ থাকলে শেয়ায়ার করতে পারেন।
ফরিদ
www.Boi-Mela.com
নতুন মন্তব্য করুন