সপ্তাহান্তে হাতে কিছু সময় পেলে যে কয়টা জিনিস করতে পছন্দ করি, তার মধ্যে সবার ওপরে থাকে নতুন খাবারদাবার নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট। বলাবাহুল্য, তার মধ্যে অনেকগুলোই ফ্লপ হয়, দ্বিতীয়বার আর কখনোই করা হয় না। কিন্তু এর মধ্যেও কিছু কিছু খাবার বের হয়ে আসে, যেগুলো পাকাপাকিভাবে আমাদের প্রিয় রান্নার তালিকায় ঢুকে যায়, তার চমৎকার স্বাদের গুণে বা সহজ রান্না-পদ্ধতির গুণে। আজকে সেরকমই একটা রান্না হাজির করছি--মোরগ মোসাল্লাম।
মোরগ মোসাল্লাম। বা আস্ত মুরগীর রোস্ট বলেও চালিয়ে দিতে পারেন অনায়াসে। অনেকেরই পছন্দের খাবার---তবে এটা দেশী পদ্ধতিতে বানাতে সময় আর শ্রম লাগে অনেক বেশী। আজকে যেভাবো দেখাবো, সেটা খেতে অসাধারণ, খাটনিও তুলনামূলক কম, দেখতেও সেইরকম খানদানি, পোলাওয়ের সাথে ভয়াবহ জমে, বিশেষ করে ঝোল যেটা তৈরী হবে। দাওয়াতে খাওয়ানোর জন্য আদর্শ। করতে খাটনি মাঝারি ধরনের, আপনার পরিশ্রম ১ ঘন্টার মত, আর বাকী সময় ওভেনের বেক, নো নাড়ানাড়ি কারবার। করতেও এমন কোন মহার্ঘ্য জিনিস লাগেনা (আদা-রসুন, ধনে-জিরা, হলুদ-মরিচ, দৈ, গোলমরিচ আর একটু বাদাম, আর হ্যাঁ, ব্লেন্ডার আছে তো?)
এই রেসিপিটার মালিক হলেন ভারতীয় অভিনেত্রী আর ফুড রাইটার মাধুর জাফরে। বিবিসি বা ডিসকভারি চ্যানেলে তার ক্যানক্যানে গলার রান্নার অনুষ্ঠান হয়ত দেখেছেন কেউ কেউ। মূলত অভিনেত্রী এই মহিলার বেশ অনেকগুলি রান্নার বই আছে, তার ২টা বছর দুয়েক আগে হাতে আসে ১) এ টেস্ট অফ ইন্ডিয়া ২)ইন্ডিয়ান কুকিং। প্রথমটায় লেখক খুব প্রাঞ্জল ভাষায় ভারতের বিভিন্ন অংশের খাদ্য বৈচিত্রের কথা লিখেছেন, মুগ্ধ হয়ে পড়েছি। যেকোন গুরমের অবশপাঠ্য। ২য়টা মূলত অনেকগুলি রেসিপির সমন্বয়, তবে সবগুলো রেসিপিই অত্যন্ত যত্নসহকারে বানানো, পড়লে আর রাঁধলে বোঝা যায়। মুর্গ মোসাল্লামের রেসিপি সেখান থেকেই নেওয়া।
রেসিপিটা মোটামুটি ৩ ভাগে ভাগ করা যায়:
১)ব্লেন্ডারে দৈ এর সাথে আরো কিছু মশলা ব্লেন্ড করে মুরগির গায়ে মাখিয়ে ফ্রিজে রেখে দেওয়া
২)সেই ব্লেন্ডারেই আরো কিছু মশলা ব্লেন্ড করে এই মশলামিক্সকে তেলে ভাজা
৩)ভাজা মশলাটা মুরগির গায়ে মাখিয়ে ফয়েলে মুড়িয়ে ওভেনে ঢুকিয়ে দেয়া। ব্যাস!
চলেন রেসিপিতে।
ধাপ ১: (২০ মিনিট)
একটা ব্লেন্ডারে লিস্টি ধরে জিনিসগুলো ঢেলে ব্লেন্ড করে বেশ একটা পেস্ট তৈরী করেন(লিস্টি: ১ ইঞ্চি সাইজের আদা (না ছিললেও চলে), রসুনের ২ টা বড় কোয়া, ৬ টেবিলচামচ দৈ, আধা চাচামচ করে হলুদ আর গোলমরিচ গুঁড়া, ১ চাচামচ করে মরিচ আর লবণ)।
এবার একটা বড় বাটিতে ১ কেজি/সোয়া ১ কেজির চামড়া ছাড়ানো ১ টা মুরগী নিয়ে হাত দিয়ে আচ্ছামত মশলাপেস্টটা মাখান, মুরগীর ভেতরে আর বাইরে। হাতে যত মশলা মাখামাখি হবে, খেতে তত মজা হবে, 'গ্রান্টিড'। তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার তোয়াক্কা না করে মুরগী আর মশলা আচ্ছামত মাখামাখি করেন।
মাখানো হয়ে গেলে ফ্রীজে রেখে দেন ১ রাত, বা বাইরে ঘন্টা দুয়েক। যত বেশী সময় রাখবেন, সোয়াদ তত খুলবে।
ধাপ ২(২০ মিনিট)
এবার ঐ ব্লেনডারে আবার লিস্টি ধরে কিছু জিনিস ব্লেন্ড করে পেস্ট বানান (লিস্টি: ১ টা বিদেশী বড় পেঁয়াজ, ২০০ গ্রাম মত, রসুনের ৪ টা কোয়া, দেড় ইঞ্চি আদা, আধামুঠ বাদাম, ২ চাচামচ করে ধনে আর জিরা, আধা চাচামচ হলুদ ১ চাচামচ মরিচ গুঁড়া, আর দেড় চাচামচ লবণ)।
পেস্ট তৈরী হয়ে গেলে, একটা প্যানে আধা কাপ তেল দিয়ে মাঝারি গরম করেন। এবার গরম তেলে এই মশলা মিক্স ঢেলে ভাজেন, ১০-১২ মিনিটর মত। শেষে ২ টেবিলচামচ লেবুর রস, অল্প গোলমরিচ গুঁড়া আর এক চিমটি গরমমশলা গুঁড়া দিয়া নামান। গন্ধে জিভে জল আসার কথা, না আসলে কোথাও কোন একটা গন্ডগোল করছেন, আমার দোষ নাই।
৩য় ধাপ (২০ মিনিট + ওভেনে দেড় ঘন্টা )
মুরগিটা বের করে একটা বড় সাইজের এলুমিনিয়াম ফয়েলের মাঝখানে বসান। এবার ভাজা মশলাটা মুরগীর সারা গায়ে মাখান, ভিতরে আর বাইরে, আগের মতই ঈমানী জোশ নিয়ে। কোন দিক যেন বাদ না পড়ে।
এবার মুরগীর চারপাশে ফয়েলটা মুড়ে প্যাকেট বানায় ফেলেন, যাতে ফাঁকফোকর তেমন একটা না থাকে। প্যাকেটের "সেলাই" অংশটা যেন মাটি থেকে কমসেকম ২ ইঞ্চি উপরে থাকে, না হলে যে ঝোল তৈরী হবে, সেটা বের হয়ে যেতে পারে। দরকার হলে আরো ফয়েল নিয়ে মুরগীটা আরেকবার ঢেকে দেন।
ওভেন গরম দেন, ৩৫০ ফারেনহাইট বা ১৮০ সেলসিয়াসে। গরম হলে মুরগীর প্যাকেট ঢুকিয়ে দেন, দেড় ঘন্টার জন্য। দেড় ঘন্টা পর বের করে বুকে ছুরি চালিয়ে দেখুন রান্না শেষ হয়েছে কিনা, নাহলে আরো ১৫ মিনিট করে করে রান্না করুন যতক্ষণ না সিদ্ধ হচ্ছে।
বের করে নিজে খান, আপনার প্রিয়জনকে খাওয়ান. আর ভাল লাগলে এই বান্দাকে একবার জানাতে পারেন, বান্দা খুশী হবে।
পরিশিষ্ট ১: আমার ডিয়েস্লার নাই, খালি ৪ বছর পুরোন একটা পয়েন্টেন্শুট ক্যাম্রা আছে, ছবি তোলার হাতও পয়েন্টেন্শুট গোত্রের, তাই ছবি খুব ভাল না
পরিশিষ্ট ২: পোস্টের শিরোনাম কী দেব, ভেবে না পেয়ে আমার প্রিয় বিরিয়ানী পোস্টের (হাসিব ভাইয়ের লেখা) আদলেই দিয়ে দিলাম। উনি মাইন্ড করবেননা আশা করি
পরিশিষ্ট ৩: আপনার ব্লগীয় নামের মধ্যে যদি "ধুধূ" প্রান্তর লুকিয়ে থাকে, অর্থাৎ নামের আগের অংশে "ধু" আর পরের অংশে যদি "ধূ" থাকে, তাহলে আপনার জন্য রেসিপি চেঞ্জ হইবেক। আধা কাপ তেলের বদলে, অতি অবশ্যই,
পুরো ১ কাপ খাঁটি-দেশী-গাওয়া ঘি।
--দিফিও
মন্তব্য
আমার ফ্ল্যাটমেট, আমারই জুনিয়র, তার নতুন তাইওয়ানিজ বান্ধবী হয়েছে। আজকে তাকে বাড়িতে এনেছিল, রান্না করে খাওয়াতে হল। আপনার বিরিয়ানিই রাঁধলাম। খেতে যে হয়েছিল সে আর কী বলব। তিনবার করে সবাই নিলাম, তারপর এঁটো হাতে বসে আরো ঘন্টাখানেক আড্ডা হল। ছোঁড়া আমাদের বাড়ির বিরিয়ানির আগেই বেশ বিজ্ঞাপন করে রেখেছিল, তা বালিকার সামনে ভালই মর্যাদারক্ষা হল, আর কী!
এইটাও একদিন টেরাই করুম, তারপর ফীডব্যাকও পাবেন আগের মতই...
বাহ বেশ বেশ! আপনাদের আনন্দ আমিও ভাগ করে নিলুম! এটা টেস্ট করে জানাবেন কেমন হল
সামনের মাসেই টেরাই মারুম।
পড়েই জিভে জল এসে গেলো গো ................
সুপ্রিয় দেব শান্ত
হুম খেতে গিয়ে আমারো জিভে জল আসে
এই রেসিপি পড়ার আগে দয়া করে মুখে রুমাল চাপা দিন- নইলে ইয়ে মানে জল ঝরবে।
জিহ্বা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে গেল..............
ধন্যবাদ! তা সপ্তাহান্তে ফাঁক পেলে জিহ্বা একটু নিয়ন্ত্রণ হারালে তেমন একটা সমস্যা না
আপনার রেসিপির বিরিয়ানি প্রতি সপ্তাহে খাওয়া হয়। এই সপ্তাহে এটা নামামু।
না রাইন্ধাই পাঁচালাম।
ধন্যবাদ! নামায়া জানায়েন কেমন হইল!
আপনি তো পাকা রাঁধুনি দেখছি! বেশ সহজ মনে হলো মোরগ মোসাল্লামের রন্ধন প্রণালীটা। ধন্যবাদ ভাইয়া। সাহসে ভর করে একদিন করতে চেষ্টা করবো। আপনার বিরিয়ানির রেসিপিটা এই পোষ্টের শেষে জুড়ে দেবেন প্লিজ? আমি বিরিয়ানি রান্না করতে আগ্রহবোধ করছি উপরের মন্তব্য পড়ে। ছবি তো ভালোই এসেছে, স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ওটা মোরগ আপনার একটা ধন্যবাদ পাওয়া আছে, আজকে দিয়ে গেলাম। নিকের শেষে 1 বসানোর কায়দাটা আপনার কাছ থেকে নকল করে মন্তব্য করতে সহজ হচ্ছে এখন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
যাক, আমি এতদিন সন্দেহে ছিলাম আপনি সেই আদি আয়নামতি নাকি তার ক্লোন...
@ অপছন্দনীয়, আরে নাহ্ আমিই সেইজন
ধন্যবাদ, আমার আগের সব লেখাগুলো এখানো নির্লজ্জভাবে প্লাগ করে দিলাম
মাফিয়া---যেকোন আড্ডায় একটা উপভোগ্য খেলা
অবশেষে বিরিয়ানি রেসিপি: পর্ব দুই!
এমআইটি ফ্যান্টাসি: আবজাব কথন
মহাগামলার বিজ্ঞাপনগুলো
চেয়েছিলাম মেঘ, সাথে বৃষ্টিও পাওয়া হয়ে গেলো ধন্যবাদ সে জন্য। একটা একটা করে ট্রাই করবো। সিদ্দিকা আন্টির বই দেখে একবার আলুরদম করেছিলাম, কহতব্য নহে এমন জঘন্য হয়েছিলো খেতে। কারণ আন্টির কিছু ব্যাপার বেশ ধোঁয়াশা, বুঝিনা ঠিকমত। ট্রাই করে বলবো কেমন লাগলো। সে পর্যন্ত আপনি রান্নায় হাত পাকাতে থাকুন
আহহা...এইটা ট্রাই মেরে দেখতে হবে...
আপনার খানিকটা মশলা ভেজে নিয়ে মাখিয়ে দেয়ার ব্যাপারটা কখনো করে দেখিনি। তবে কয়েকদিন আগে এর কাছাকাছি একখানা এক্সপেরিমেন্ট করেছিলাম। প্রায় একই রকম মশলা দিয়ে, পার্থক্য হচ্ছে আগের মত এইবার আমি আর অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়ে দেইনি। তার বদলে চামড়াসুদ্ধ মুরগীর চামড়ার নিচে মশলাগুলো ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম। রোস্ট করেছি ১৫ মিনিট স্লটে - প্রথমে 325F তারপরে 350F - তারপরে 400F - তারপরে একঘন্টা ধরে আবার 325F - প্রতি ৩০ মিনিটে একবার উল্টে দিয়ে। ফলাফল হচ্ছে চামড়াটা পুড়ে ঝামা হয়ে গেছে, কিন্তু ভেতরে মাংস ঠিকঠাকমত নরম।
সেইসাথে রোস্টিং প্যানের গ্রীল র্যাকে মুরগী রেখে নীচে খানিকটা পানি ঢেলে দিয়েছিলাম - লেবুর রস মেশানো। সেটা বাষ্প হয়ে দিব্যি ভেজা ভেজা রেখেছে সবকিছু।
তবে ওই মুরগীটা মাল্টিপারপাস মুরগী হয়েছিলো। ওটা দিয়ে রুটি খেয়েছি, ভাত খেয়েছি, খানিকটা মাংস ছোট ছোট করে কেটে নুডলসের মধ্যে দিয়ে খেয়েছি, মাংসের কুচি আর মায়োনিজ মিশিয়ে সেটা দিয়ে স্যান্ডউইচও বানিয়ে খেয়েছি । এক সপ্তাহের মাংসের চিন্তা হাওয়া।
আপনি তো দারুণ রোস্ট করেছেন দেখা যায়! যেই দেশে থাকি, সেখানে দেখি যে আস্ত মুরগীর রোস্ট জিনিসটা সবার খুব প্রিয়, প্রায় "কমফোর্ট ফুড" পর্যায়ে পড়ে। এবং আপনার মতই, সেই রোস্টটা থেকে ডিনার, স্যান্ডুইচ, চিকেন স্টক অনেক কিছুই বানানো হয়।
রোস্টিং প্যানের নিচে লেবু পানি রেখে বাষ্প দিয়েছিলেন--আপনার তো চমৎকার রান্না বিষয়ক জানাশোনা দেখা যায়
চামড়ার নিচে মশলা দিতে দেখে আরেকটা মুরগী রোস্টের কথা মনে পড়ে গেল, এটা এখনো করিনি তবে করবো একদিন
হুম, মশলা একই না হলেও মাখানোর টেকনিক অনেকটা এই রকমেরই। কিন্তু আমি অনেক সময় নিয়ে মুরগীর ঠ্যাং (একটুখানি কেটে)আর পিঠের দিকেও মশলা ঢুকিয়েছিলাম। তবে ঠ্যাং বাঁধলেও পেটের মধ্যে আস্ত লেবু দেয়ার কথা মাথায় খেলেনি, তার বদলে খানিকটা মশলা আর খানিকটা মটরশুঁটি ভরে দিয়েছিলাম।
রান্না বিষয়ক জানাশোনা ঠিক না। কথায় আছে না, প্রয়োজন উদ্ভাবনের জননী? মা তো রয়ে গেছে দেশে, কিন্তু ভোজনরসিক জিভখানা তো আর দেশে ফেলে আসতে পারিনি - বাধ্য হয়ে মাঝে মাঝে উদ্ভাবন করতেই হয় সবই নিয়তির খেলা
অসাধারণ! বিরিয়ানি রেসিপির লিংকটি শেয়ার করলে আনন্দিত হব।
চমতকার রেসিপি। বিরিয়ানি রেসিপির লিংকটি শেয়ার করলে আনন্দিত হব।
শম্পা এবং আসমা খান, ধন্যবাদ! বিরিয়ানি রেসিপির লিনক ১৩ নম্বর মন্তব্যে দিয়ে দিয়েছি।
সত্যি এত সহজ??
আমি রান্না-বান্না করতারি না, ভাল্লাগেনা। তবে খেতে খুবই ভাল্লাগে, আপনি বা কৌস্তুভ রান্না করে দিলে হয় না? আমি শুধু টেশ করে বলতাম সব ঠিকাছে কিনা!
আপনার রেসিপিলেখনপদ্ধতিগুলো দারুণ।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হুম, এভাবেই তো বানাই আর খাওয়াই, মন্দ হয় না, লোকে খেয়ে ভালই বলে। আর টেস্টের ব্যাপারে আপনার আগ্রহ আছে সেটা আগের পোস্টেই দেখেছি, আমিও খাইয়ে আনন্দই পাই চলে আসুন একবার এইদিকে, আমার আর কৌস্তুভের হাতের রান্না খেয়ে বলবেন কোনটা ভাল
হে হে হে
একটু ঘৃত খাই বলে এ্যামনে ভরা মজলিশে খোটা মারবেন! আল্লায় সইবো গরীবের লগে এই মাস্তানি?
আপনার রেসিপিটা জোশ। প্রথমে ভাবছিলাম সাথে সংযুক্ত ফটুকটা বুঝি আপনারই। ফয়েলে প্যাচানো মুর্গার'টা না, পাচকের যে হাস্যোজ্জল খোমা দেখা যাচ্ছে, সেটা।
মনে হইতেছে এই মুর্গা মাসাল্লাম খুব শীঘ্রই ট্রাই করুম। ঘরে অবশ্য ঘৃত বাড়ন্ত, তাও করুম। তবে স্বভাবতঃই খানিকটা কাস্টমাইজড হবে। আপনাকেও বলে দেই, প্রথমবার মশলা দিয়ে মুর্গাটাকে খাবলাখাবলি করার আগে একটা টুথপিক নিয়ে মুর্গার গতরটা খানিকটা কেচে নিয়েন। তাইলে স্বাদের পরিমান কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার কথা।
বাকিটা পরে কমুনে, খাইয়া।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আহা আপনের ঘি এর কথা আর ভুলি কিভাবে, তাই বললাম আর কি! এইটা টেস্ট করলে জানায়েন কেমন হইল। কেঁচার বুদ্ধিটা ভাল দিছেন, আগে মাথায় আসে নাই। তবে কাঁটাচামচ দিয়ে না কইরা টুথপিক দিয়া করতে বললেন, তাই ভাবতেছি মস্করা করলেন কিনা
কী যে কন! মশকারী করুম ক্যা?
কাঁটাচামচ দিয়ে কেচাকেচি করলে মুরগা আর মুরগা থাকবে না, মোরব্বা মাসাল্লাম হয়ে যাবে। সেইজন্যই বলছিলাম, টুথপিকের কথা। টুথপিকের ঘাঁই অনেক ভেতর পর্যন্তও যাবে আবার মুরগা ফ্যাতাফ্যাতাও হবে না।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
১০-১২ মিনিট? পুড়ে গেলে?
অনেক অনেক ধন্যবাদ রেসিপির জন্য। আমি রান্না করলে আওয়াজ দিব।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
নাহ পুড়বেনা, কারণ তেল আছে, আর আঁচ মাঝারি, দরকারমত নেড়ে দেবেন।
রান্না করলে আওয়াজ দেবেন, খুশী হব
আমি এই সপ্তাহে রান্না করবো, তবে আস্ত মুরগী না, কাটা মুরগী দিয়ে। দেশী মুরগীর তরকারীর মত।
কাটা মুরগী দিয়ে রান্না করলাম। খুব মজা। আপনি কোন ধরনের বাদাম দিয়েছেন? Almond? খোসা সহ?
ধন্যবাদ! আমি সাধারণ চীনা বাদাম দিয়েই করেছিলাম, তবে আমন্ড হলেই সনচেয়ে ভাল মনে হয়।
নতুন মন্তব্য করুন