অসম
ক্যাটেগরি:
১
সুমনের বিস্ফোরিত চোখজোড়ার পলকহীন দৃষ্টি সহ্য করতে পারেনা মুরাদ। সরে গিয়ে জানালার সামনে দাঁড়ায়। বেশি সময় নাই ওদের হাতে। দ্রুত এখান থেকে সরে পড়তে হবে।
আপাততঃ গা ঢাকা দিতে হবে কিছুদিনের জন্য। মোটা অংকের টাকার টোপ হিসেবে সুমনকে মুরাদ আর ওর গুটি কয়েক বখে যাওয়া বন্ধু মিলে তিনদিন আগে উঠিয়ে এনেছিলো।
সুমনের বাবা নাম করা ব্যবসায়ী। একনামে ঢাকার সবাই চেনে। এরকম পরিবারের ছেলের জীবনের বিনিময়ে লাখ পাঁচেক টাকা হাতের ময়লা ধরেই ওরা সুমনকে উঠিয়ে আনার ছকটা কেটেছিলো। আর সুমন বন্ধু হওয়াতে ওদের প্ল্যানটাকে প্রাথমিকভাবে সার্থক করতেও বেগ পেতে হয়নি তেমন। বিশাল বিত্তের মাঝে থেকেও সুমন ছিলো অতিমাত্রায় সাদাসিধে ধরনের আর বন্ধুবাৎসল। বন্ধুদের উপর বিশ্বাস ছিলো অসীম। যার চরম মূল্যটা তাকে জীবন দিয়েই দিতে হলো।
মুরাদরা কী ঘুণাক্ষরেও ভেবেছিলো, সুমনের বাবাটা ভেতরে ভেতরে এতোটাই কৃপণ! সামান্য কটা টাকার জন্য ব্যাটা নিজের একমাত্র ছেলেকে পর্যন্ত পুছলো না! অবিশ্বাস্য।
২
সকাল থেকেই আজ মুজিব মিয়ার শরীরটা কেমন ম্যাজ ম্যাজ করছে। চোখ বুঁজে শুয়েই থাকতে ইচ্ছা করছে তার। কিন্তু কোনো উপায় নাই। আজ গাড়ী নিয়ে না বেরুলেই নয়। হাতে মাত্র কালকের দিনটাই বাকী। আগামীপরশু ছেলের ভর্তির টাকাটা জমা না দিতে পারলে, মুজিব মিয়ার এতোদিনের কষ্ট জলেই ভেসে যাবে হয়ত। ভাবনাটা আসা মাত্রাই ধড়ফড় করে বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ে। দুই মেয়ের পর একমাত্র আদরের ছেলে। পড়া লেখায় অনেক মেধাবী। ট্যানেল্টপুলে বৃত্তি পাওয়া থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের দুটো পরীক্ষাতেই এ প্লাস পাওয়া ছেলে। গত বছর মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় পাশ দেবার পরও টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারেনি ছেলেটা। এই শোকটা অনেকদিন মুজিব মিয়ার বুকে থেকে থেকে ঘাই দিয়ে গেছে। ছেলেটা এই অভিমানেই ঘর ছেড়ে লাপাত্তা হয়ে গিয়েছিলো। গেলো সপ্তাহে ছেলে নিজেই এসে জানিয়ে গেছে, যদি মুজিব মিয়ার পক্ষে হাজার দশেক টাকা যোগাড় করা সম্ভব হয়, তবে নাকি ইউনির্ভাসিটির এক বড়ভাইয়ের সুপারিশে তার ভর্তির ব্যবস্হা করা সম্ভব।
ছেলেকে ডাক্তার বানাতে না পারার কষ্টটা এবেলা মুছে ফেলবার তাগিদে মুজিব মিয়া প্রায় জান বাজি রেখেই গত পাঁচদিন পাগলের মতো দিনরাত সিএনজি চালিয়েছে। সিএনজি থেকে চার হাজার তুলতে হবে বাকী টাকা করিম মিয়ার কাছে সুদে যোগাড় করার বন্দোবস্ত হয়েছে। তবে আজ সিএনজি নিয়ে বেরুতে না পারলে তার চার হাজার পূর্ণ হবেনা…..ভাবনাটা মুহূর্তেই মুজিব মিয়ার শারীরিক অস্বস্তিটা ভুলিয়ে দেয়। দ্রুত বেরিয়ে পড়ে গ্যারেজের উদ্দেশ্যে। গ্যারেজ থেকে সিএনজি নিয়ে গুলিস্তানের কাছাকাছি পৌঁছাতেই রাস্তার মোড়েই প্রথম যে যাত্রী হাত তুললো সে মুরাদ। সিএনজি থামিয়ে মুখ বাড়ালেই অস্ফুট শব্দ বেরোয় ভবিষ্যত ডাক্তারের মুখ থেকে - 'বাবা'!
- আয়নামতি এর ব্লগ
- ৮৫৮বার পঠিত
মন্তব্য
এটা অসাধারণ প্রতিভাময়ী আয়নামতির লেখা! ভুলক্রমে নামটা দিতে ভুলে গিয়েছিলাম
তাই দ্বিতীয় দফায় নামসহ দিয়েছিলাম। এত জলদি ছাপা হয়ে যাবে ভাবিনি! সচল আসলেই খুব ভালু, আমি মুগ্ধ 
নাহ্, নিজের প্রতিভায় না, সচলের আন্তরিকতায়। কৃতজ্ঞতা সেজন্য। এটা অণুগল্পের ক্যাটে গেলেই ভালো হত মনে হয় 
হাজার কোটি লাইক রে ভাই <3 ... চোখের জলে মনে হইলো সকালটা সুন্দর হলো।
আপনার অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা ভাইয়া। কিন্তু লেখাটা সত্যিকার অর্থেই তেমন জাতের হয়নি। আসলে আমি কোনোভাবেই লেখালেখির সাথে জড়িত নই। এমন উৎসাহ পেলে একদিন সত্যিই কিছু একটা লেখে ফেলবো! পোষ্ট পড়বার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
প্রথম ঘটনাটা পত্রিকার পাতা থেকে নেয়া নাকি? খুব চেনা ঘটনা মনে হচ্ছে। নাকি এরকম ঘটনাগুলো আজকাল পত্রিকা জুড়ে থাকে বলেই চেনা লাগছে। মেডিক্যালে ভর্তি হবার টাকা যোগাড় করতে পিতা পুত্রের এই দ্বিমুখী প্রচেষ্টার উপস্থাপনটা চমৎকৃত করেছে।
কিছু কিছু টাইপো রয়ে গেছে, দেখবেন কি?
আর পোষ্টের নীচে লেখকের নামটা দেয়া জরুরী।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
গতকালই সবগুলো মন্তব্যের উত্তর দিয়েছিলাম, কেন আসেনি ঠিক জানিনা। যদিও বার বারই (ক্যাপচা পাজীটা)বলা হচ্ছিলো এই 'তুমি মানুষ নও, ভাইরাস! আমি চোখ পাকিয়ে, বলেছে তোমায়!' ভাব নিয়ে উত্তর লিখেই গেছি........
হয়ত সেকারণেই মন্তব্যগুলো আসেনি। আবারও সবগুলো মন্তব্যের উত্তর করতে চেষ্টা করছি।
নামের ব্যাপারে ভবিষ্যতে সর্তক থাকবো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
------------------------------------------------------------------------------------------------------
না ভাইয়া ঘটনাটা কাকতালীয় ভাবে মিলে গেছে, আমি পত্রিকাতে পড়ে লেখিনি। আর একেবারে অবাস্তব ঘটনা তো নয়, তাই হয়ত আপনার পরিচিত ঠেকছে। টাইপোর বিষয়ে আপাততঃ লজ্জিত হওয়া ছাড়া আমার কিছু করার নেই
কোনজায়গাতে যেন গুলমাল ঠেকতিছে।
ডাক্তার আর ইউনিভার্সিটি একটু গোলমেলে হয়ে গেল না?
তবে পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে হলে কারো সুপারিশেই কিন্তু কোন কাজ হবে না, ভর্তি পরীক্ষায় অ্যালাও হওয়া মাস্ট, নাহলে খোদ চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতিও কিছু করতে পারবেনা।
তবে এটা যদি বোকা বাবাকে বুঝ দেবার জন্যে ছেলেটার বকাবাজি হয়, তাহলে চলে।
নাম দিতে ভুলে গেলে তো হবে না। কিন্তু গল্প চলুক।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম (সেটা খুব আগের কথা না!), তখন কিন্তু এরকম টাকা দিয়ে ভর্তি হয়ে যাবার গল্প শুনেছি। ভর্তি পরীক্ষায় না টিকলেও লাইন ঘাট জানা থাকলে সব নাকি সম্ভব! একই ধরণের অভিযোগে কিছু ছাত্র আর কর্মচারি বহিষ্কার হয়েছে এমন খবরও পড়েছি।
বাকিটা খোদা মালুম!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
কোন্ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিক কত সালের কোন্ স্পেসিফিক ঘটনা জানালে ভালো হয়।
ছাত্র ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে 'একই রকম' অভিযোগটা আসলে কীরকম সেটাও জানা দরকার। পরের মুখে ঝাল না খাওয়াই ভালো।
আমার জানামতে এখনো বাংলাদেশে যে জিনিসটা সম্পূর্ণরূপে দুর্নীতি মুক্ত সেটা হলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় (ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিকেল কলেজ সহ) ভর্তি প্রক্রিয়া। একজন প্রাক্তন ভিসি, উক্ত পদে বহাল থাকাকালীন তাঁর নিজের সন্তান ভর্তি পরীক্ষায় অ্যালাও না হওয়ায় পরে ভারতে পড়তে পাঠিয়েছেন, রাবি সম্পর্কে আমি কিন্তু নিজে এইরকম স্পেসিফিক দৃষ্টান্ত দিতে পারবো।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলছি।
খুব সম্ভবত ২০১০ সালের ঘটনা, নয় তো ২০০৯। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন 'শিক্ষার্থী'কে বহিষ্কার করা হয়। রেজিস্ট্রার বিল্ডিং-য়ের কিছু কর্মচারীর সহযোগিতা নিয়ে এরা ভর্তি পরীক্ষায় নির্বাচিত না হয়েও ভর্তি হন এবং চার/পাঁচ বছর নিয়মিত শিক্ষাজীবন কাটিয়ে শেষ বর্ষের কিছু আনুষ্ঠানিতা পূর্ণ করার সময় ধরা পড়েন। এর পর ঐ বিভাগগুলোতে 'সাফাই অভিযান' চলে, আরো কিছু ভর্তি অনিয়মের নিদর্শন পাওয়া যায়, জড়িতরা শাস্তিও পায়।
খোঁজাখুঁজি করলে হয়ত রেফারেন্সও পাওয়া যাবে। সে সময় লেখালেখি হয়েছিল এসব নিয়ে।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
এইটা সম্পর্কে আমি বিস্তারিত জানি না। তবে ব্যাপার হলো এই ক্ষেত্রে তো আসলে ভর্তিই হয় নাই! রেজিস্ট্রার অফিসের অসৎ কর্মচারী/দের সহায়তায় ভুয়া কাগজে চালাচ্ছিল তত দিন, ডিগ্রি নেবার সময়ে ঠিকই ধরা পড়েছে। আপনার কথা মতে তাদেরকে তাহলে স্বীকৃতি বা ডিগ্রি কিছুই দেয়া হয় নাই, কারণ ভর্তিটাই ভুয়া ছিল, তাই না!
আরো মনে রাখা দরকার ভর্তি পরীক্ষার খাতা/MCQ Sheet এগুলো আবার নতুন করে কোডেড হয়ে যায়, কোন্টা কার খাতা তা বের করাই তো এক বিশাল সমস্যা হয়ে যাবে একা কারো পক্ষে! এই ভর্তি পরীক্ষায় অ্যালাও না হওয়া কাওকে, তদবিরে বা টাকা খেয়ে যে কাওকে ভর্তি করানো সম্ভব না এইটা আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি।
মনে রাখবেন, ব্যক্তিবিশেষের দুর্নীতিতে যদি ভর্তি হয়ই, তাহলে কিন্তু সেটা 'ভুয়া ভর্তি'ই হবে, মানে সে আসলে ভর্তিই হয় নাই, এক্ষেত্রে ছাত্রকেও একরকম ধোকা দেয়া হয়েছে। এরকম ঘটনা ঘটলে তা কোন না কোন সময়ে ধরা পড়ার সম্ভাবনাই বেশি, এবং এই রকম ছাত্র ডিগ্রি পাবে না, যেমন আপনার উল্লেখিত ক্ষেত্রে পায় নাই। তারমানে এই না যে টাকা নিয়ে উপরের মহলে বা ব্যক্তিবিশেষকে ধরাধরি করলেই তা বৈধ ভর্তি হয়ে যাবে।
'টাকা দিয়ে ভর্তি হবার' বা 'লাইন-ঘাট ঠিক করে ভর্তি হবার' কোন তথ্য কেউ জানলে অবশ্যই তা প্রকাশ হওয়া উচিত। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি যুদ্ধ অন্যতম কষ্টের জিনিস, যারা এইটা ফেস করে নাই তারা ব্যাপারটা সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারা মুশকিল। যারা শেষ পর্যন্ত সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও মেডিকালে ভর্তি হয় তারা এই যুদ্ধে টেকার অ্যাবিলিটি নিয়েই হয় বলেই এত কষ্ট করে পরীক্ষা দেয়া এবং নেয়ার মূল্যটা থাকে!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
যাযাবর আপু, মানিক ভাইয়ার মন্তব্যের উত্তরে বলেছি, 'ভবিষ্যৎ ডাক্তার' ভাবনাটা আসলে মুরাদের বাবার ছিল। আমি তেমন করে প্রকাশ করতে পারিনি তো তাই গোলমাল বেঁধে গেছে। আর বখে যাওয়া মুরাদ যেখানে সহজ সরল বন্ধুর প্রাণটা নিতেও কুন্ঠিত হয়না, সেখানে অশিক্ষিত বাবাকে বোকা বানানোর জন্য গল্প তৈরী করা, ওর জন্য খুব কঠিন কাজ তো হবার কথা নয়- বলুন? ..............................আমি মালতীলতা স্কুলে ক্লাষ ষেভেন পর্যন্ত পড়েছি মাত্র। বেণীমাধবকে দেখে সেই যে লেখাপড়া শিকেয় তুলেছি
যেকারণে ভার্ষিটি তো অনেকই দূরের ব্যাপার এষ এষ ষিটাও পাশ দেয়া হয়নি......তাই ভার্ষিটিতে আসলেই কী হয়, তা আমার জানার বাইরে 
অনেক ধন্যবাদ আপু লেখাটা পড়বার জন্য।
আমার কিন্তু গল্পটা ভালো লেগেছে। আমারো সেরকমই মনে হচ্ছিল, সেই জন্যেই জিজ্ঞেস করলাম।
শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়ে মানুষকে বিচার করতে যাওয়াটা একটা বড় বোকামি মনে হয় ইদানীং, এটা ঠেকে শিখছি। ছোটবেলায় পড়েছি, "সুশিক্ষিত লোক মানেই স্বশিক্ষিত"। আসলেই সুশিক্ষিত হবার জন্যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক নয় কিন্তু।
লেখালেখি জারি থাক, সাথে নিজের মতো করে পড়তে ও জানতে থাকাও।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আজ কাল বিশ্বাস করার মত মানুষের অনেক অভাব।
labin rahman
বিশ্বাস করার মত মানুষের বড্ড অভাব।
labin rahman
বিশ্বাস করার মত মানুষের বড্ড অভাব।
labin rahman
তারপর অনেক মানুষই আছেন যাদের উপর চোখ বুঁজেই বিশ্বাস করা যায়। ভালো মানুষগুলো আছেন বলেই না পৃথিবীটা আজও এত সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে
আপনি নিয়মিত লেখা শুরু করেছেন মনে হচ্ছে
চালিয়ে যান, ডাক্তার আর ইউনিভার্সিটি একটুখানি গোলমাল হলেও লেখায়
তাই তো মনে হচ্ছে! আপনাদের ভাত মারবো বলে কোমর বেঁধেছি
কাল মন্তব্যের উত্তরে কী লিখেছিলাম আজ ভুলে গেছি ভাইয়া। তবে মানিক ভাইয়ার মন্তব্যের উত্তরে বলেছি ঘটনা। আর ঠিকমত প্রকাশ করতে না পারার জটিল প্রতিভার কাছে গল্প বিনা বজ্রপাতেই শাহাদাত বরণ করেছে 
পড়বার জন্য ধন্যবাদ 
সচলে এটাই কি আপনার প্রথম লেখা? আপনার অনেক মন্তব্য দেখলেও লেখা বোধহয় এই প্রথম পড়লাম। ভাল লেগেছে। লেখালেখি চলতে থাকুক।
এটি আমার দ্বিতীয় লেখা আপু। আমি আসলে কোনভাবেই লেখক নই। চেষ্টা করছি আর কী
অনেক ধন্যবাদ উৎসাহ দেবার জন্য। শুভকামনা।
এরকম বখে যাওয়া ছেলের জন্য বাবার প্রাণান্তকর চেষ্টা?! গল্পের আইডিয়াটা চমৎকার, কিন্তু গাঁথুনিটা জমেনি বলে সেরকম জমলো না মনে হয়। তবে লেখালেখি জারি থাকুক।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ঠিক! ব্যর্থতাটা সম্পূর্ণই আমার ভাইয়া, ঠিকমত প্রকাশ করতে পারিনি। আপনাকে ধন্যবাদ পোষ্ট পড়বার জন্য।
মন খুলে লিখতে থাকুন আয়নামতি দিদিমণি। আপনার মন্তব্যগুলো যতটা সপ্রতিভ, এই লেখাটা ততোটা নয়।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়ামণি। মন্তব্য করি স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে, আর লেখছি প্রাণ বাঁচাতে( ক্যাপচা কিভাবে জ্বালায় সে তো আর জানেন না
) দোয়া রাখবেন পুলসিরাত যেন জলদি পার হয়ে যাই 
অনেক ধন্যবাদ পড়া-উৎসাহ দেবার জন্য।
গল্পে পিতার অনুভুতি খুব সুন্দর ভাবে এঁকেছেন। ভর্তি সমস্যা সত্যি কারের সমস্যা। গল্পে প্রবন্ধে আরো বেশি আসা উচিৎ। ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপা আপনার সহৃদয় মন্তব্যের জন্য। জ্বী ভর্তি সমস্যা নিয়ে আরো বেশি লেখা আসা উচিৎ। ভালো থাকুন।
আইডিয়াটা ভাল লাগল। আরো লিখুন। শুভেচ্ছা রইল।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
বাহ!!!!!! মুগ্ধ হলাম!!!!
আমাদের এই আলোচনা গল্প থেকে মনোযোগ অন্য দিকে সরিয়ে নিচ্ছে হয়ত, কাজেই খানিকটা অস্বস্তি নিয়েই প্রতিমন্তব্য করছি।
আপনার কথায় ভুল নেই, ওরা ভর্তিই হয়নি।
কিন্তু শেষ কথা কিন্তু এটাই যে, ওরা আমার সতীর্থ হয়ে স্ব-নামে আমারই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল। শেষ পর্যন্ত ধরা না পড়লে ওদের ঝোলায় ঐ ডিগ্রীই থাকত যা আমার আছে। যে শিক্ষাবর্ষে ওরা পড়েছে, নিশ্চিতভাবেই ঐ শিক্ষাবর্ষে সমান সংখ্যক শিক্ষার্থী ঐ সুযোগ হারিয়েছে। ওরা ভর্তি হয়েই পড়ুক আর না হয়েই পড়ুক, ওরা 'ছাত্র' হয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আই ডি কার্ড নিয়েই ছিল।
ভর্তি পরীক্ষাটা হয়ই অল্প আসনে নির্দিষ্ট সংখ্যার যোগ্যতম ছাত্র ছাত্রী বাছাই করে নেয়ার জন্য। বাছাই পরীক্ষায় বা প্রক্রিয়ায় কোন গলদ থাকুক আর না থাকুক, যদি যোগ্যতমদের ডিঙ্গিয়ে অল্প কজন অযোগ্য ঢুকেও পড়ে ঐ 'লাইন ঘাট জানা'র সূত্রে, কাগজে কলমে ওরা ভর্তি হোক আর না-ই হোক, ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার মূল উদ্দেশ্য ঠিকই আঘাত পায়।
হয়ত 'কয়েকজন দূর্নীতিবাজ'ই এ অপকর্ম করছে, কিন্তু এটা যে হচ্ছে এটাই ভয়ের এবং শেকড় উপড়ে না ফেললে এ যে বাড়তেই থাকবে এটা নিশ্চিত। সরকারি কলেজগুলোতে তো এমন হওয়াটা রীতিমত 'ওপেন সিক্রেট'।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো 'কলেজ' না হোক, এ কামনাই করি।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
নতুন মন্তব্য করুন