রাশেদ দেখলো কোলকাতার ঠাকুরবাড়ীর লোকটা যিনি নোবেল পেয়ে বিরক্তিতে নাকমুখ কুঁচকে নিয়েছিলেন বেশ করে, যিনি দু দেশেকে জাতীয় সঙ্গীতময় করেছিলেন কলমের একআধটু খোঁচায়, সেই তিনি- ধর্ষিত হচ্ছেন।
তাঁর শুভ্র কেশ লাল হয়ে পড়ছে। তাঁর শুভ্র বসনে লাল গড়িয়ে যাচ্ছে। তাঁকে বেদম ধর্ষাণো হচ্ছে। মাঠে ঘাটে পথে প্রান্তরে উঁচুতলা কি নিচু তলা কিংবা তলাহীনতায় তাঁকে ওয়ান টু এর মধ্যেই ধর্ষিয়ে দেওয়া হচ্ছে অনেক করে।
তাঁর সাধশত জন্মবার্ষিকী তাই সবাই তাঁকে স্মরণ করছে প্রণাম করছে। ধর্ষিয়ে দিচ্ছে। রাশেদ সকালের কাগজটা হাতে নিতেই ‘তারুণ্যের রবীন্দ্রনাথ’ শিরোনাম তার চোখ ধর্ষিয়ে দিলো। কোন তারুণ্য? ডিজিটাল জুস পানরত তারুণ্য? পাশের বাসার ঈমনও কি তরুণ না? আর তার বন্ধূরা? যারা আরেক তরুণ মেয়ে বা তরুণীকে নেশা করিয়ে খুব করে ধর্ষিয়ে দিয়েছিলো? তারপর তার করা ভিডিও ছড়াবার ভয় দেখিয়ে রুটিন করে দিনের পর দিন ধর্ষাচ্ছিলো? কিংবা সেই হাফেজ তরুণ যে সাত আটের এক দেবশিশুকে রক্তাক্ত করে হোটেলরুমে ফেলে এসেছিলো? সেও তরুণ? রবীন্দ্রনাথ এইসব তরুণের? রাশেদ দেখলো রবীন্দ্রনাথ ধর্ষিত হচ্ছেন।
লুটিয়ে পড়ছেন। তাঁর জন্য ছড়া- রবি মামা দেয় হামা গায়ে লাল জামা ঐ। রাশেদের চোখের সামনে জোড়াসাঁকোর রাজকুমার হামাগুড়ি দিচ্ছে, তাঁর গায়ের সাদা জামা এখন লাল জামা ঐ। রাশেদের একটু হাসি চলে আসে। সে হাসি চাপার চেষ্টা করে। তারুণ্যের রবীন্দ্রনাথ। লেখাটার পাশে এক জোড়ার ছবি। উভয়ের শরীরে টিশার্ট। টিশার্টে ঠাকুরবাড়ীর সন্তান। তারা পোজ দিয়েছে। একবিংশের পোজ। এদের সাথে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক কি? শারীরিক না মানসিক? রাশেদ ভাবতে চেষ্টা করলো। তারা রবীন্দ্রনাথের সাথে সর্বোচ্চ কি করেছে? বড়জোড় কোন এক সকালে শৌচকর্ম সেরে গল্পগুচ্ছের পাতা ব্যবহার করে অশুচি থেকে মুক্ত হয়েছে? তারপর কে জানে, হয়তো টুইট করেছে- হেই গাইজ! গেস্ হোয়াট, আই জাস্ট ওয়াইপড্ মাই এস্ উইথ সাম বেঙ্গালি নোবেল ডুউডস্ রাইটিংস! :পি:পি এলওএল!! ধর্ষিয়ে দিয়েছে।
অবশ্যই। এখন রবীন্দ্রনাথকে তরুণেরা ঠাঁই দিয়েছে ফেইসবুক মগ টিশার্ট ফতুয়ায়। ছবির ছেলেটা হয়তো আজই ছবির মেয়েটাকে ঠাকুরের কোন একটা গানের কলি টেক্সট করবে। মেয়েটাও হয়তো হাও সুইইইট্ বলে ছেলের বিছানা গরম করে ফেলবে। রবীন্দ্রনাথকে যৌথ উদ্যোগে তারা ধর্ষিয়ে দেবে। আরও কতো বিছানা গরমের আমন্ত্রণপত্রে রবীন্দ্রের পায়ের ছাপ থাকবে? আরও কতো লিঙ্গ চোষণ হয়ে যাবে সে আমন্ত্রণের হেতু? রবি কি এতোকাল হামাগুড়ি দিতে থাকতে পারবে?
আরেক তরুণী বলছে, তরুণ রবীন্দ্রনাথকে দেখলে তার মাথার ঠিক থাকে না। রাশেদ পড়লো- শরীর গরম হয়ে যায়। রাশেদের মায়া লাগলো, বেচারী এই যুগের সব স্বাদ নিয়ে নিলেও, সে যুগের কিছু তো পায় নি, পাবে না। দুঃখিনী কি এখন গান গাইবে?- তোমারে দাও আশা পুরাও, দেহ জ্বলে জ্বলন জুড়াও? ধর্ষিয়ে দেবে?
ফেইসবুকেও আছে রবীন্দ্রনাথ। যে ফেইসবুকে একটা ছেলে একটা মেয়ে এক সপ্তাহের চ্যাট পরিচয়ের পর দুই দিনের রিকশায় ঘুরবার পর, তিন দিনের দিন বিছানা গড়াগড়ি খায়। সেখানেও তরূণেরা দয়া করে ঠাকুরকে ঠাঁই দিয়েছে। ই দেয়ালে। সবাই মিলেমিশে ধর্ষিয়ে দিচ্ছে। একটি রবীন্দ্রধর্ষণ সমবায় সমিতি। তাদের কারও কারও আবার গীতাঞ্জলী গল্পগুচ্ছ সঅব মুখস্থ। রাশেদের এক পরিচিত তরুণ আছে, লাহিড়ী না কি যেন নাম, সে টেপরেকর্ডার বাজানোর মতো করে গল্পগুচ্ছ আওড়ে যায়। সে উল্টে পাল্টে একাধিক রবীন্দ্রপ্রেমী তরুণীর সাথে রাত বারোটার পর কথা বলে, চ্যাট করে। কারো কারো সাথে রিকশায় ঘুরে, তার হাত পিছলে যায় মাঝেসাঝে। তার কিন্তু আবার মেয়েলোক পছন্দ না, সে বলে। তার চাই হৈমন্তী। রাশেদ আঁতকে ওঠে। হৈমন্তীকেও ধর্ষিয়ে দিচ্ছে? সেই মায়ার দেশের স্বপ্নটাকে? সেই সুন্দর স্বপ্নটাও লাল হয়ে পড়বে?
রাশদেকে একজন ফেইসবুক দেখিয়েছিলো একটু। এক মেয়ের প্রোফাইলে লেখা রবীন্দ্রনাথ তার জীবনের অনুপ্রেরণা। তার প্রিয় বই হ্যারি পটার টোয়াইলাইট সিডনি শেলডন রসময় গুপ্ত ইত্যাদি। তার প্রিয় গান ফুয়াদ মিলা হৃদয় মাইলি সাইরাস ব্রিটনি আয়রন মেইডেন ইত্যাদি। তার প্রিয় চলচ্চিত্র এমেরিকান পাই ইত্যাদি। তার এক্টিভিটিজ মৌজ মাস্তি পার্টিয়িং ডিজে লিভ টুগেদার উইড ভদকা। রবীন্দ্র ধর্ষিয়ে দিচ্ছে। মেয়ের মেসেন্জার আইডি দেওয়া আছে। মেসেন্জারে কি করে সে? রাত বারোটার পর সাইন ইন করে? ওয়েবক্যাম চালু করে? ওপারে কে থাকে? তারপর কি করে সে? বইয়ের তাক কিংবা সিডি কভার থেকে কি ঠাকুর অসহায় তাকিয়ে থাকেন? রাশেদ আশা করে খুব করে যেন ধুলো জমে থাকে ঠাকুরের উপর তাহলে কিছু দেখতে পাবেন না তিনি। নইলে ধর্ষিয়ে দেবে তাঁকে।
দেশের কিছু রবীন্দ্র সাধনার প্রতিষ্ঠান আছে। এগুলোতে মা-বোনেরা তাদের ছোটদের নিয়ে আসেন। তাদের ছোটরা নিজ স্বংস্কৃতিকে জানবে। জানবেই। যতই ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ুক আর হিন্দী ছাড়া কথা বলতে না পারুক। তাদের গুরুদায়িত্ব। তারা পালন করবেন করবেনই। ছোটরা হ্যানা মন্টানা পোকেমন ছাড়া কথা কইতে পারে না। একটু বড় মেয়েরা শিইলা মুন্নিকে নাচে ফেল ধরিয়ে দেবে। দাম মারো দাম দীপিকার ট্যাটু দেখলে তারা হাইপার হয়ে পড়ে, তাদেরও লাগবে। তারা কয়দিন পড়ে তাদের নিচের যন্ত্রটার মুখে পিয়ার্সিং করে সুন্দর রিং লাগিয়ে নেবে। তারা শীঘ্রই ডিজের মিউজিকে ড্যান্সফ্লোর কাঁপিয়ে দেবে। তারা প্লেস্টেশান ক্লাব ফুটবলে হাপিয়ে উঠতে উঠতে ওঠে না। কিন্তু না, তারা গাইবে রবির গান। তারা আগুণের পরশমণি গাইবে অনেক দরদে। তারা রবিকে ধর্ষিয়ে দেবে। একটা রবীন্দ্রভাবাপন্ন প্রতিষ্ঠানের এক সদস্যকে রাশেদ চেনে, যে রবীন্দ্রনাট্যে অংশ নেয়। তাকে ব্যাক্তিগত ভাবে চেনে রাশেদ। তার একাধিক গার্লফ্রেণ্ডকেও চেনে সে। যাদের ছেলেটা মাতারি বলে সম্বোধন করে। ছেলেটাকে চেনে রাশেদ। সে কি রবীন্দ্র দর্শনে সিক্ত? নাকি রবীন্দ্র ধর্ষণে লিপ্ত? দেদারসে ধর্ষিয়ে দিচ্ছে। আরেক রবীন্দ্রনাট্যকার আছে, ঠাকুরকে ট্যাগোর বললে গোস্সা করে। সে তার অনুজ তরুণী নাট্যকর্মীর ব্লাউজে হাত ঢুকিয়ে দিতে চায়। তারও রবির মতো কেশ দাড়ি। সে চোখে জল এনে রবির ‘প্রাণ’ আবৃত্তি করে। ধর্ষিয়ে দেয়।
এরা সব মিলে সাধশত জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সব করবে। গান গাইবে। আবৃত্তি করবে। ভাষণ দেবে। ধর্ষণ। ধর্ষণ। ধর্ষণ। ধর্ষণ। ধর্ষণ। ধর্ষণ। ধর্ষণ। ধর্ষণ। ধর্ষণ। ধর্ষণ। ধর্ষণ। ধর্ষণ। ধর্ষণ। ধর্ষণ। ধর্ষণ। ধর্ষণ। ধর্ষণ। ধর্ষণ।
রাশেদ আজ ঘর থেকে বের হবে না। কারণ সে আতংকিত। জগদীশ বসু দেখিয়েছেন গাছেরও প্রাণ আছে। আর কোন বসু দেখাননি গানেরও প্রাণ আছে, কিন্তু রাশেদ জানে, আছে। সে গানকে বার বার বারংবার গণধর্ষিত হতে দেখতে পারবে না। সে জানে আজ সবাই আগুনের পরশমণি গাইবে, গাইবে আলো আমার আলো, আমার মুক্তি আলোয় আলোয়। দরদে তারা জল প্রসব করবে চোখ থেকে। কিন্তু আজকের পর তারা গানের কলি ভুলে যাবে আর রবিকে ধর্ষিয়ে দেবে। ছেলেগুলো পান্জাবি পড়া থাকবে, মেয়েগুলো শাড়ী। ছেলেগুলোর পকেটে থাকবে রাজা কিংবা সেনসেশান। মেয়েগুলো আগুন লাগা কামনায় তরল হয়ে যাবে। রাত নামলেই ছেলেগুলো মেয়েগুলোর গ্রীবায় দাঁত নখ বসিয়ে দেবে। স্তনবৃন্ত আঁচড়ে ছিড়ে ফেলবে। মেয়েগুলো হাতে রেডওয়াইন নিয়ে সুখ মেশানো কষ্টের কুৎসিত রব তুলবে। রাশেদ কোন লো-কাট শাড়ী পড়া পিঠ দেখানো, শাড়ী পেটিকোটের নিচে উঁচু উঁচ্চতর উঁচ্চতম কোন ব্র্যাণ্ডের লন্জারি পড়া তরল ললনা দেখতে পারবে না। রাশেদ তাদের আমার নিশীথ রাতের বাদল ধারা কিংবা নয়ন তোমারে গাইতে দেখতে পারবে না। সে সেচ্ছায় রবিধর্ষণ দেখতে পারবে না। রাশেদ দেখতে চায় না তারা রবিকে স্মরণ করছে প্রণাম করছে। ধর্ষিয়ে দিচ্ছে। ধর্ষিয়ে দিচ্ছে। ধর্ষিয়ে দিচ্ছে। ধর্ষিয়ে দিচ্ছে। ধর্ষিয়ে দিচ্ছে। ধর্ষিয়ে দিচ্ছে। ধর্ষিয়ে দিচ্ছে। ধর্ষিয়ে দিচ্ছে। ধর্ষিয়ে দিচ্ছে। ধর্ষিয়ে দিচ্ছে। ধর্ষিয়ে দিচ্ছে।
রাশেদ বাইরে যাবে না। সে একটা বিড়ি ধরিয়ে কেরোসিনের টিন হাতে একটা চেয়ার টেনে বসবে। তার টিভিটা নষ্ট, অন করলেই লাল নীল আলোরা ছুটোছুটি করে আর কিছু না। রাশেদ টিভি ছেড়ে তাকিয়ে থাকবে। সে আজ শুধু লাল দেখবে। কিন্তু তাকিয়ে থাকবে। যতটুকু পারে হামাগুড়ি দেয়া লাল রবিকে সে সঙ্গ দেবে। তাকিয়ে থাকবে। তাকিয়ে থাকবে। হাতের কেরোসিন দিয়ে মনে মনে সে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল জ্বালিয়ে দেবে। জ্বালাতে জ্বালাতে ক্লান্ত রাশেদ হয়তো ঘুমে এলিয়ে পড়বে। মরার মত ঘুম দেবে সে।
রবি একা একা হামাগুড়ি দিতে থাকবে তার শরীরে সাধশতগুণ সাধশত ধর্ষণের ছাপ নিয়ে।
*
মনোজ
মন্তব্য
আপনার স্যাটায়ার খুব তীব্র, সন্দেহ নাই। কিন্তু কি যে বুঝাইতে চাইছেন, তাই খোলাসা হইল না.........
স্যাটায়ার যে ধরতে পারসেন, কিন্তু কি বুঝাইসি তা ধরতে পারেন নাই ... এই জিনিসটা তো আমার কাছেই খোলাসা হইলো না
পূরোহিতের লেখা বইলা মনে হইলো।
শব্দটা "সার্ধশত"।
নাকি সাধ শত বুঝাইতে চাইছে?
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
অথবা, শত শত...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কিছুই বোঝা গেল না। নাকি আমিই বুঝলাম না।
শাহনাজ আপনি ই বোঝেন নাই। আফসোস
ভালো হয়েছে লেখাটি....
জেনে ভালো লাগলো এভাবে চিন্তা করার মানুষ এখনো কিছু আছে.... ধর্ষিত হওয়া আর ধর্ষিত হতে দেখা ই যেনো এখন আমাদের নিত্য নৈমিত্তিক ব্যপার হয়ে দাড়িয়েছে.
ধন্যবাদ লেখককে
খুব ভালো লেগেছে এবং মজা পেয়েছি।
শ্রীলংকার জাতীয় সঙ্গীতেও নাকি রবিবুড়োর হাত আছে। তেমনটা হলে মোট তিন দেশের জাতীয় সঙ্গীতে তিনি আছেন। তাঁকে ঘিরে করা আচরণের যে ছবিটা আপনি দেখালেন, ওটা একটা খন্ডিত অংশ বলেই মানি। আপনার লেখায় বেশ কিছু নতুন শব্দ পেলাম। আগে পাইনি এগুলো। তারপর বলি, রবিবুড়োটার প্রতি ভালোবাসা নিয়ে একদল কেবলই পঁচিশে বৈশাখের অপেক্ষায় না থেকে তাঁকে জীবনের প্রতিটা ধাপেই খুঁজে নেবে নিজের প্রাণের তাগিদেই। তাঁর জন্য শ্রদ্ধাঞ্জলি। আপনি লেখা চালিয়ে যান। লেখায় দম্ আছে কিন্তু আপনার। এটাই কী সচলে প্রথম পোষ্ট আপনার? স্বাগতম আপনাকে। শুভকামনা।
আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা যা বলে, আমি যা জানি, তা নিয়েই লিখলাম। যা জানি না, জেনে লিখবো।
'একদল' যে আছে তা আমিও জানি, সেইসব 'সত্য' দের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা আছে থাকবে।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এটা আমার দ্বিতীয় লেখা। আগে 'ডিম্ব কিংবা অশ্বডিম্ব' নামে একটা লেখা লিখেছিলাম।
ভালো লাগেনি। যেই অবক্ষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে, সেগুলোর সাথে রবীন্দ্রনাথের কী সম্পর্ক ঠিক বুঝলাম না।
লেখাটা কয়েকবার পড়লাম। আগাগোড়া ডার্ক টোনের এই লেখায় হুমায়ুন আজাদের ছাপ স্পষ্ট। কিন্তু যুক্তিগুলো স্পষ্ট না। ফেইসবুকে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে গ্রুপ থাকলে কোন যুক্তিতে তা ধর্ষণ তা বোঝা গেল না।
- এই জায়গাগুলো অত্যন্ত দুর্বল লাগলো। ব্যক্তি লাম্পট্যের সাথে রবিভক্তির সংঘাতটা পরিষ্কার না।
রবীন্দ্রনাথ অনুপ্রেরণা হলে অ্যামেরিকান পাই ভালো লাগা যাবে না? হ্যারি পটার, সিডনি শেলডন ভালো লাগা যাবে না? আজকের কোন কিশোরীর যদি আয়রন মেইডেন ও রবীন্দ্রসঙ্গীত দুইটাই একসাথে ভালো লাগে তাহলেই রবীন্দ্রনাথ ধর্ষিত হয়ে যাবে?
বড়ই উদ্ভট যুক্তি। বড়ই আজিব সরলীকরণ।
অনেক আবেগ নিয়ে লেখা বুঝতে পারছি, কিন্তু নিয়ন্ত্রণহীন আবেগের জন্যই লেখাটা কোন ছাপ ফেলে না।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
রাইট, ৫৬ হাজার বর্গমাইলের নায়কের নামও মনে হয় রাশেদ।
এই লেখটা অর্থপূর্ণ হয় নাই।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আপনি বলতে চাচ্ছেন যে ছেলে বা লোক ব্যাক্তিগত জীবনে এতোটা কুৎসিত কুরুচিপূর্ণ তারা যদি বেশ আবেগ দেখিয়ে রবীন্দ্রচর্চার ভাব ধরে সেটা হিপোক্রিসি ভণ্ডামী তথা রবীন্দ্রধর্ষণ নয়? একটা ছেলে যদি একইসাথে তিন গার্লফ্রেণ্ডের সাথে সহবাস করতে করতে এবং অলরেডি আরও তিনজনকে রেইপ করে ফেলে বলে যে সে ভালোবাসা কি জিনিস তা বোঝে, এবং আপনাকে বোঝাতে আসে- তাহলে সেটা শব্দটার অপমান তথা ধর্ষণ নয়? সেটা আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য?
মেয়েটার প্রোফাইলের ব্যাপারটা আপনি অর্ধেক দেখেছেন পুরোটা দেখেননি, তাই হতাশ হলাম। যে মেয়ে রবীন্দ্র অনুরাগী তার গানের তালিকায় প্রিয় বইয়ের তালিকায় রবীন্দ্রের ছাপ থাকবে। যদি না থাকে, আর তার কর্মকাণ্ড হয় ডিজে পার্টিয়িং মাস্তি তাহলে যদি আমি একে একে দুই যোগ করি এবং আপনি বলেন বড়ই আজিব সরলীকরণ- তাহলে সেটা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য।
কে কি করে ব্যাক্তিগত জীবনে, তাতে আমার কিছু আসে যায় না। কিন্তু ভণ্ডামীর সংস্পর্শে কিঞ্চিত আগুনের আবির্ভাব ঘটে আমার শরীরে। আমার এই লেখাটা সেইসব ভণ্ডামীকে মার্ক করে লেখা। প্রাসঙ্গিক ভাবে আর যা এসেছে- তা এসেছে।
আগে একটু ঠান্ডা হন ভাই।
আপনার লেখা প্রসঙ্গে আমার ব্যক্তিগত মত:
১। কোন লেখকের জীবনযাপন ও সাহিত্য রচনার মাঝে যোগসূত্র আছে, থাকতেই পারে। কিন্তু এই দুইটা এক কথা নয়। লেখার চরিত্রগুলোর দর্শন কিন্তু লেখকের জীবন দর্শন হতেও পারে, নাও হতে পারে।
রবীন্দ্রনুরাগী হলে রবীন্দ্রনাথের মত জীবন যাপন করতে হবে, তার দর্শনকে মানতে হবে - ভুল কথা।
আমি তার সাহিত্যকর্মের ভক্ত, কিন্তু সেটা আমার পাঠের রূচি। এইবার আমার ইচ্ছা হলে ডিজে পার্টি করবো, ইচ্ছা হলে আয়রন মেইডেনের গান শুনবো - কার বাপের কী!
২। আপনার কথা মানতে গেলে ভীষণ বিপদ। কারণ -
যে পাঠক দস্তয়ভস্কির অনুরাগী তাকে জুয়াড়ি হতে হবে, জীবনানন্দ দাশের অনুরাগী হলে হতে হবে অন্তর্মুখী, বিষণ্ণ, একাকী; শার্ল বোঁদলেয়ারের অনুরাগী হলে রক্ষিতা গমন ছাড়া উপায় দেখি না।
আর রামকৃষ্ণের অনুরাগী হলে তো কথাই নেই! পরমহংস হয়েই থাকতে হবে সারাটা জীবন।
একটা ছেলে কি করলো তাতেই ভালোবাসা শব্দ ধর্ষিত হয়ে গেল? এইটা তো ঐ ছেলের সমস্যা ভাই, ভালোবাসার অর্থ তাতে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয় না।
পল ভের্লেইন উভকামী ছিলেন, ড্রাগ এডিক্ট ও অ্যালকোহলইক তো বটেই। বউ-বাচ্চা ছিল, আবার র্যাঁবোর সাথে সম্পর্কও ছিল। কবিতাতে উঠে এসেছে তার ভালোবাসার কথা। কই রস আস্বাদনে তো কারও সমস্যা হচ্ছে না।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
... হুমম্ ... বুঝতে পেরেছি। বেশ ...
আবারও 'পুরোটা' ধরতে পারলেন না- ছেলেটা কি করলো তাতে কি আসে যায়? কিছুই না। কিন্তু কি করে- কি বলতে বা দাবি করতে এলো তাতে আসে যায়। ছেলেটা কি করলো তাতে সমস্যা কি? করুক!! 'ভালোবাসা'র তাতে কিছু আসবে যাবে না। কিন্তু যখন সে ওসব করে 'ভালোবাসা' ব্যাখ্যা করতে আসবে, দাবি করবে সেও ভালোবাসায় সিক্ত, এবং সেই দাবি প্রতিষ্ঠা করতে ফাইট দিবে, তখনই একটু প্রোবলেম হইয়া যায়।
কই পল ভের্লেইন আর কই আমার উদাহরণের রেইপিস্ট পোলা, আপনি তো পোলার পরিস্থিতি বুঝানোর জন্যে পল কে টেনে এনে তাঁকে ধর্ষিয়ে দিলেন ভাইজান .... এখন একটু পরে আপনি পোলাটাকে ডন জুয়ান এর সাথে মিলানো শুরু করবেন না তো?
খুব সাধারণ একটা উদাহরণকে "ধর্ষণ" ট্যাগ লাগানো অর্থহীন।
আপনার লেখায় ধর্ষণ শব্দের পৌণপুনিক ব্যবহার দৃষ্টিকটু ও অনাবশ্যক। এটা আপনার মূল বক্তব্যকেও ব্যাহত করছে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
বুঝতে ব্যর্থ হইলাম। এত ধর্ষণ কেন?
লেখাটা ভালো লাগে নাই। যুক্তিগুলো কেমন দানা বাঁধে নাই। কেউ অন্তরে শতভাগ রবীন্দ্রনাথ ধারণ করতে পারে, কিন্তু তাই বলে কারো দশভাগ ধারণ করাটা রবীন্দ্রনাথের ধর্ষণ নয় মোটেই। ব্যক্তিগত ত্রুটির দায় রবীন্দ্রনাথের উপরে বর্তায় না, বর্তানো উচিতও নয়।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ভুল বুঝেছেন, দশ ভাগ ধারণ করাটা মোটেই রবীন্দ্র ধর্ষণ না, বলতে চেয়েছি দশ ভাগ ধারণ করে ‘একশ ভাগ ধারণ করি’ দেখানোটা অর্থাৎ নির্লজ্জ ভণ্ডামীটা রবীন্দ্র ধর্ষণ। এইখানে যাদের কথা বলেছি লক্ষ্য করবেন তারা রবীন্দ্র প্রসঙ্গে বেশ আবেগী দরদি।
তানিম্ভাইয়ের এই কথাগুলোর সাথে পূর্ণ একমত। যুক্তিগুলো আসলেই দুর্বল ...
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
আমি লেখাটা পড়েছি ... ভাই আপনার বক্তব্য শুনে এটুকু বুঝতে পারলাম, আর কেউ ... করুক বা না করুক ...আপনি নিজে ... করলেন আপনার লেখাটা দিয়ে। লেখাটা বাজে টোনে লেখা। সবকিছুতেই খারাপ যারা দেখে তাদের টোন এটা। আপনার অনেক গুলো পয়েন্ট আছে যেগুলো সত্য। অনেক ক্ষেত্রেই এই 'সার্ধশত" উৎসব পালন করতে গিয়ে লোকজনের বাড়াবাড়িটা, আপনার আমার ভালোলাগার সাথে মিলতে নাও পারে। কাউকে গালি দিয়ে যদি বলেন...এই তুই কিন্তু গালি খাবার কাজ করছিস...তখন কেউ কিন্তু আপনার কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনবেনা।
প্লিজ ভাববেন না যে আমি আমার এই কমেন্ট টা দিয়ে আপনাকে পাল্টা এটাক্ করছি -
প্লিজ ভালো কিছু থাকলে আমাকে দেখান, জানান ... প্লিজ প্লিজ প্লিইইইজ :( ... বহুদিন মানুষের মাঝে ভালো কিছু দেখি না, প্রকৃতি আর শিল্পের কাছে হাত পাততে হয় সুন্দর এর জন্য :(
এত নেগেটিভ হলে তো মুশকিল!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
সঅবকটা ইন্দ্রিয়কে ওভারটাইম খাটিয়ে কড়া সার্চলাইট দিয়ে সুন্দর ভাল খুঁজবার চেষ্টা করছি বহুদিন ধরে, পাচ্ছি না মুশকিল যে, সেটা আমিও ধরতে পারছি।
আপনি বোধহয় নিখাঁদ প্রকৃতিতে অনেকটা সময় কাটান, না? ... আমি আবার ২৪/৭ আমাদের সভ্য ভব্য ঢাকা শহরে থাকি। আমি 'সভ্য সমাজে' থাকি তো, তাই একটু মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।
বুঝলাম না, আমাকে বকা দিলেন ?
যাই হোক, আমি কই থাকি সে আলোচনা অপ্রাসঙ্গিক।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
লেখাটা ভালো লাগলো না
ধারণা করি ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের তারুণ্যের খণ্ডচিত্রটাই আপনি দেখেছেন কেবল...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই গল্পে পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট ছাড়া আর কাউরেই ছহিহ কায়দা মোতাবেক রবীন্দ্রচর্চা করার ইখতিয়ার দেখি না।
রবীন্দ্রনাথ রবি বেশি ঠাকুর কম হলে সবকিছু ঠিক থাকে। রবি কম ঠাকুর বেশি হয়ে গেলে শুধু রবীন্দ্রনাথ না, সব আদমসন্তানরে নিয়েই গিয়ানজাম সৃষ্ট হয়।
সোজা সাপ্টা বলি-
এই লেখাটা ভণ্ডামী নিয়ে লেখা। একজন মানুষ ব্যাক্তিগত জীবনে কি করে তা নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নাই। আমি ভালো খারাপ বিচার করতে আসি নাই। যে ব্যাক্তি তার জীবনে কোনভাবেই 'দেশ' এর বিন্দুমাত্র খবর রাখে না, সমাজ এর খবর রাখে না, রবীন্দ্রনাথ এর খবর রাখে না, সে যদি বলে আমি দেশ কে ভালোবাসি, আমি দেশপ্রেমী, আমি সমাজসচেতন, আমি রবীন্দ্রঅনুরাগী- তখন আমি ধর্ষণ দেখতে পাই।
আমার ভণ্ডামীতে ব্যাপক এলার্জি, আমি আজকাল অবিধানে একটাই শব্দ দেখতে পাই, ঘুরপাক খায়- হিপোক্রিসি ... হিপোক্রিসি ... হিপোক্রিসি ...
আমি যখন কাউকে দেখি যে ব্যাক্তিগত জীবনে আমার লেখায় বর্ণিত কাজগুলোর মতো কাজ করে ... এবং একই সাথে অনেক দরদ দিয়ে 'আমার মুক্তি আলোয় আলোয়' গায় ... তখন আমার কান্না পায়, কারণ আমি গানটাকে লাল হয়ে যেতে দেখি, দেখি সে ধর্ষিয়ে দিচ্ছে আমার প্রিয় গানটাকে :'(
*
এখন কেন কান্না পায় ধর্ষণ দেখি, আপনারা যদি তা বুঝতে না পারেন এবং বলেন, এইডা কিসু হইলো?? ... তাহলে ইটস্ ও কে।
আপনার বক্তব্য লেখার চেয়ে আপনার জবাবেই বরং আমার কাছে বেশি স্পষ্ট হয়েছে। লেখায় রাগ বেশি। তাতে সমস্যা নেই, কিন্তু আরেকটু গুছিয়ে সেটাকে নির্দিষ্ট করতে না পারলে অস্পষ্টই রয়ে যাবে।
আমার ধারনা এই লেখাটা সম্ভবত এক বসায় লিখেছেন।
আপনার লেখার ক্ষমতা ভালো বলে মনে হয়েছে আমার। আরেকটু গুছিয়ে লিখুন, পড়তে ভালো লাগবে।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
সবার প্রতিক্রিয়া দেখে আমারও এখন মনে হচ্ছে আরও অনেক ডিটেইলসে যাওয়া উচিত ছিলো। আমি ধরেই নিয়েছিলাম কিছু জিনিস পাঠকেরা সহজেই ধরে নিতে পারবেন, তাই স্কিপ করে গিয়েছিলাম। গতকালকেই লেখাটা প্রকাশের তাড়া ছিলো, তাই সময়ের অভাবে ৩০ মিনিটে লেখাটা শেষ করেছিলাম। তারপরও মনে হচ্ছিলো এতেই হবে। এখেন দেখছি, না
রাগ আসলেই অনেক অনেক বেশী- লেখায় আর মনে।
অনেক সময় নিয়ে লিখবো আগামীতে, পরামর্শের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
লেখাটা পড়ে কেন যেন ধর্ষন শব্দটার সাথে লেখকের ব্যক্তিত্বের মিলটাই বেশি মনে ধারনা দেয়। লেখাটা এককথায় কুৎসিত। মানুষের হিপোক্রেসি আছে সত্য তবে সেই হিপোক্রেসিকেও যে এত নোংরাভাবে তুলে ধরা যায় জানতাম না। লেখাটা পড়ে হিপোক্রেসির চেয়ে লেখকের লেখনীতে বেশি ঘৃনা জন্মায়। আর যুক্তিগুলোও খুব জেনারেলাইড। দিনের শুরুতেই একটা কুৎসিত লেখা পড়ার জন্য সারাদিন আফসোস করতে হবে।
এই মন্তব্যটিও আমার কাছে খুব গাঢ় মনে হল। বিশেষ করে শেষের লাইনটা এভাবে না বললেই ভালো লাগতো।
যতক্ষণ সত্য কথা বলছি, ততক্ষণ কেউ আমার কথাকে কুৎসিত বললে- তা আমি হাসিমুখে গ্রহণ করবো। এরচেয়ে কুৎসিত সব বাস্তব অভিজ্ঞতা আমার আছে, যা আমি সবচেয়ে ভদ্র ভাষায় তুলে ধরলেও কুৎসিত দেখাবে। সেসব এড়িয়ে গেছি কারণ ভয় ছিলো, আপনি এবং আপনারা আছেন বলবার জন্য
আরেকটা ব্যাপার মনে হলো- কোন চলচ্চিত্রকার যদি একাত্তরের নারী ধর্ষণের যথাসম্ভব বাস্তবঘেঁষা উপস্থাপন করতে চান তাহলে তা দেখতে বেশ বীভৎস কুৎসিত হবার কথা, কারণ বাস্তবে তা তাই-ই। সেটা দেখে কি আপনি বলবেন- ধর্ষণ আছে সত্য তবে সেই ধর্ষণকেও যে এত নোংরাভাবে তুলে ধরা যায় জানতাম না। চলচ্চিত্রটি দেখে ধর্ষণ বা ধর্ষকের চেয়ে চলচ্চিত্রকারের চলচ্চিত্রের উপর বেশি ঘৃনা জন্মায়। ... ?
আরেকটা ব্যাপার মনে হলো- কোন চলচ্চিত্রকার যদি একাত্তরের ধর্ষণ গণধর্ষণের যথাসম্ভব বাস্তবঘেঁষা উপস্থাপন করতে চান, তবে সে দৃশ্যটা দেখতে চূড়ান্ত বীভৎস কুৎসিত নোংরা হবার কথা। কারণ বাস্তবে তা তাই-ই। সেটা দেখে কি আপনি বলবেন- ধর্ষণ হয়েছিলো সত্য তবে সেই ধর্ষণ যে এত নোংরাভাবে তুলে ধরা যায় জানতাম না। চলচ্চিত্রটা দেখে ধর্ষণ বা ধর্ষকের চেয়ে চলচ্চিত্রকারের চলচ্চিত্রের উপর বেশি ঘৃনা জন্মায়। ... ?
(একই মন্তব্য দুবার হয়ে যেতে পারে, দুঃখিত, প্রথমটা গেছে কিনা বুঝে উঠতে পারিনি )
লেখাটা যেমন-তেমন, প্রথম মন্তব্যটা পড়েই দাঁতগুলো সব বের হয়ে গেলো! স্পাইনাল হাসি উঠতাছে খালি!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দুর্দান্ত লেখা।
লেখার প্রতিটা ঘটনা/বিষয়কে খণ্ডিতভাবে দেখলে ভুল বোঝার অবকাশ থাকে। কিন্তু পুরোটা মিলে, আমার ধারণা, লেখকের বক্তব্য (রবিভক্ত কয়েকটা টাইপের হিপোক্রেসি) বুঝতে সমস্যা হয় না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমি এই ব্যাপারটাতে খুব অবাক হয়েছি, আমার নিজের কাছে বারবার পড়ে মনে হচ্ছিলো বিষয়বস্তু সহজে বোঝা যাচ্ছে, আমার পরিচিত বেশ কিছু মানুষও এক পড়ায় আমার বক্তব্য ধরতে পেরেছিলো। কিন্তু এখানে অধিকাংশের ক্ষেত্রে সমস্যাটা কি হলো? তারা- যতদূর বুঝছি, এক পায়ের বেশী দূর দেখতেই পারছেন না, প্রতিটি টুকরো নিয়ে আলাদা আলাদা করে আলোচনা ভাবনা এনে মূল থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। ... তবে স্বীকার করি সময় নিয়ে আরো গুছিয়ে বিস্তারিত লেখা উচিত।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
লেখার বিষয়বস্তুর চেয়ে উপস্থাপনায় আপত্তি বেশি।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
একটু আক্রমণাত্মক উপস্থাপনা। আমার কাছে এই আক্রমণটাই বরং ভালো লেগেছে। এই উপস্থাপনার কারণেই লেখাটাকে জীবন্ত মনে হচ্ছে, নাহলে মিনমিনে পানসে হয়ে যেত।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
প্রথমেই স্বীকার করি, আমার রবীন্দ্র জ্ঞান সীমিত। লেখাটা পড়ে ধারণা হল একজন রবীন্দ্র ভক্ত কিছু রবীন্দ্র "ভন্ড" দের কাজ কর্ম দেখে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে এই লেখা লিখেছেন। কিন্তু অবাক হচ্ছি, এই রবীন্দ্রাবেগপূর্ণ লেখার ভাষাটা রাবীন্দ্রিক না হয়ে সেই 'ভন্ড', 'ডিজিটাল জুস' পানরত তরুণদের ভাষার সাথেই বেশি মিলছে কেন? এটা "স্যাটায়ার", না "হেইট স্পীচ" ঠিক ঠাহর করতে পারলাম না।
আমি যদি ডিজের মিউজিক না লিখে 'সঙ্গীত' লিখি, এবং তার সাথে ড্যান্স ফ্লোর না লিখে নৃত্যতল বা নৃত্যমঞ্চ লিখি তাহলে যে পরিবেশ পরিস্থিতির কথা বুঝাতে চাইছি তা কি বোঝানো যায়? গোলযোগ লেগে যায় না? ঠাহর করবার কি দরকার, এটা স্যাটায়ারও না হেইট স্পীচও না, এটা একটা- লেখা।
কি বলব বুঝতে পারড়ছি না! আপনার কথার মূল বিষয় ঠিক আছে। কিন্তু উপস্থাপনটা একটু কেমন জানি হয়ে গেল না...?
ধর্ষাণো...ধর্ষিয়ে...ধর্ষাচ্ছিলো....হা হা হা...পুরোই ধর্ষণ!
১
টার্গেটবিহীন বোম্বিং মনে হল। কীসে আপনার আপত্তি? যৌন সম্ভোগে? রবীন্দ্রনাথে? যারা যৌন সম্ভোগে করে তাদের রবীন্দ্র বিষয়ক আগ্রহের প্রতি? আপনি কী আগ্রহকে ফ্যাশন মনে করে ক্রুদ্ধ? যদি তা-ই হয় তাহলে তাদের এই কপট প্রীতিকে ফায়ারিং স্কোয়াডে দিতে গিয়ে যৌন সম্ভোগকেও কেন ক্রসফায়ারে পড়তে হল? পড়ে মনে হল হালের যৌন সম্ভোগ রীতি, রবীন্দ্রনাথের প্রতি আগ্রহ দেখাবারা ক্ষেত্রে কোন না কোন ভাবে অন্তরায় বলে আপনি মনে করছেন। পয়েন্টা আসলে কী? লোক দেখানো রবীন্দ্র প্রীতি যদি আক্রমণের লক্ষ্য হয়ে থাকে তাহলে তার সাথে নারী পুরুষের কামকেলির কী যোগ?
এই মন্তব্যের প্রশ্নগুলোই আমার মনে এলো। রবীন্দ্রনাথ নিয়ে আগ্রহের বাড়াবাড়ির সাথে বহুগামীতা বা প্রণয়ের স্বল্পস্থায়ীত্ব নিয়ে আপনার বিষোদগার কি করে এক সূত্রে এলো, সেটা বোধগম্য নয়।
যদি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে লোকে কম জানে, আর সেই কম জানাটা নিয়েই বেশি জানার ভাব দেখায়, তাহলে সেটা নিয়ে তিরস্কার করা যায়, ঠিকাছে।
কিন্তু কে ব্যাক্তিগত জীবনে কি করছে, সেটার সাথে রবীন্দ্রনাথকে 'ধর্ষন' করার কি সংযোগ বুঝিনি। যদি ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে তিরস্কার করাকে রবীন্দ্রভক্তি প্রকাশের পথ হিসেবে ধরে নেন, তাহলে বলতে হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অত্যন্ত উদারমনা ছিলেন।
মানুষের রোমান্টিক লাইফ কার কোথায় কেমন, সেটা নিয়ে উনি বিন্দুমাত্র বিচলিত হতেন বলে মনে হয় না।
ভালো থাকবেন।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
একজন মানুষ সুন্দরের চর্চা করলে সৌন্দর্য প্রেমী, অনুরাগী হলে সে কুৎসিত কিছু করতে পারবে না। যদি করতে পারে, তবে সে ভণ্ড। একটি মানসিকতার প্রতিফলন ব্যাক্তিগত জীবনে দেখা না গেলে, বাস্তবে সেই মানসিকতা আসলে নেই-ই। ‘মানসিকতা আছে’ টা লোকদেখানো। আপনি যদি বলেন একই সাথে সুন্দর ও অসুন্দর এর পূজারী হওয়া যায়, সাধনা করা যায়- তাহলে আমার আর কিছু বলবার নেই। আপনি যদি বলেন, আমার বর্ণিত বিভিন্ন মানুষের কাজগুলো এমন কুৎসিত কিছু নয়- তাহলেও আমার কিছু বলবার নেই। ধর্ষণ কেনো আসলো? .... একজন পুরুষ যদি আপনার চোখের সামনে, শারীরিক ক্ষুদা মেটানোর জন্য নিজের শরীরের একটা অংশের সাথে একটি বিশেষ কাজ করে এসে... শব্দটি ব্যাবহার করলাম না, আপনার রুচিতে লাগতে পারে ... কাজটি করে এসে আপনার সদ্য জন্ম নেয়া দেবশিশুটিকে হাত তুলে নেয়, তখন আপনার কেমন লাগবে? সেই কুৎসিত হাতে আপনার সৃষ্ট সৌন্দর্যটিকে দেখে?
আর..
??? ... এ ব্যাপারে কি আর বলবো, অনেক রোমান্টিক ...
চরম লাগলো। রবীন্দ্রনাথের সাথে সর্বত্র এই অবক্ষয়ের সংযোগগুলা আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে ধরতে পারি নাই। তবে, লেখকের দৃষ্টিতে ধর্ষণগুলা পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে তাই ভালো লাগলো
মানুষকে ছোট করা হয়েছে.."মানুষ এত বড় যে, আপনি যদি মানুষ শব্দটা একবার বলেন, যদি মন থেকে বলেন" , তাহলে বুঝবেন এই মহাকাশের সব কিছুতে তার অধিকার আছে ... আর আমার বাক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে, আমরা আগের চেয়ে বেশি রবীন্দ্র চর্চা করছি ..
মানুষ আসলেই অনেক ‘বড়’, চারপাশে তাকালেই আমার অনেক ‘বড় মাপের মানুষ’ দেখতে পাওয়া উচিত ছিলো, যাদের ‘সঅবকিছুতেই’ অধিকার আছে। আমি বুঝতে পারিনি, লজ্জিত দুঃখিত ক্ষমা চাইছি। বুঝিয়ে বলবার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। ধন্যবাদ।
এক কথায় কুৎসিত, অসভ্য, বর্বর। পৃথিবীর সব কুৎসিত বিষয়ের প্রতিবাদ যদি কুৎসিতভাবে করা হয় তাহলে কোনদিনই সুন্দরের জন্ম হয় না। অসভ্য আর সভ্য মানুষের পার্থক্য এখানেই। ধর্ষণের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আপনি আর একজনকে ধর্ষণ করে ফেলতে পারেন না। যে মানুষ সবকিছুর মধ্যে ধর্ষণ দেখে তার মনের বিকৃতি বোঝার জন্য খুব বেশী জ্ঞাণী হবার দরকার নেই।
ভাষার থেকে বিষয়টাই অবাক করলো। হিপোক্রেসি মানুষের সহজাত ব্যাপার। রবীন্দ্র-ধর্ষণ বলে যা বোঝানো হয়েছে, তার কোন প্রতিকার আছে কিনা জানা নেই। কিন্তু, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতই নিজের কুরুচী ঢাকার ঢাল হিসেবে কিছু মানুষ (তাদের সংখ্যা খুব বেশি নয় বলেই আমার ধারণা) কবিগুরুকে ব্যাবহার করছে। কিন্তু, প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় বন্ধু-বান্ধবের সামনে যেভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে যা কোন কিছু বলা যায়, সেভাবে সবখানে বললে অনেক বেশি বিরূপ প্রতিক্রিয়া আসার কথা।
অবশ্য, ধর্ষণ শব্দের বারংবার ব্যাবহারে যারা তীব্রভাবে প্রতিক্রিয়া জানালেন, তাতে একটু অবাক-ই হলাম। এখানে, যে সব শ্রেণীর মানুষের কথা বলা হয়েছে, তাদের মানসিক কদর্যতার ব্যাপারে আপনাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই, কিন্তু, লেখকের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ আপনাদের সহ্যের উর্দ্ধে!!!!
সব মিলিয়ে লেখক সাহেবকে আরো একটি চিন্তার খোরাক সরবরাহ করায় ধন্যবাদ।
সারমর্ম: তুই বিনপি'রে খারাপ কইছস, তারমানে তুই আমিলিগ!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ব্যপক বিনোদনমূলক মন্তব্য।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এই সারমর্ম উৎপাদনের ফ্লোচার্টটা কি শেয়ার করবেন একটু?
মন্তব্যের শেষ লাইনটা বাদে বাকি অংশ আপনি অথবা মন্তব্যকারী কারো জন্যেই লেখা হয়নি। তারপরও আসেন সহজ ভাষায় বিজ্ঞান বোঝার চেষ্টা করি। আগামী কয়েক ঘন্টা আমার কোনো কাজ নেই।
*** *** ***
মন্তব্যকারী বলছেন,
মন্তব্যকারী বলতে চান, "তাদের মানসিক কদর্যতার ব্যাপারে আপনাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই"। এটা মন্তব্যকারীকে কেউ বলে দেয়নি। তিনি আবিষ্কার করেছেন। মন্তব্যকারী আবিষ্কার করেছেন যে, লেখকের ভাষার সঙ্গে যারা একমত নয় তারা "এখানে, যে সব শ্রেণীর মানুষের কথা বলা হয়েছে" তাদের পক্ষে। কেউ যদি পাকিস্তানের বিরোধিতা করে তাহলে তাকে ইন্ডিয়ার সমর্থক ধরে নেয় এরকম এক শ্রেণীর মানুষ আছে। বিএনপি'কে নিয়ে কেউ কথা বললে যেমন ধরে নেয়া হয় সে আওয়ামী লিগের সমর্থক। সেরকম মন্তব্যকারী বলতে চান লেখকের বিরোধীতা যারা করছেন তারা রবীন্দ্র বিরোধীও। কারণ লেখক রবীন্দ্রনাথকে ভালোবাসেন।
উদাহরণ দেই, ধরেন আমার দাড়িওয়ালা রামছাগল পছন্দ না। কেউ কেউ সেটা শুনে সিদ্ধান্ত নেয় আমার কার্ল মার্ক্সকেও পছন্দ না। কারণ কার্ল মার্কসেরও দাড়ি আছে।
'ঘরেও জ্বালা বাইরেও জ্বালা' টাইপের ব্যপার।
*** *** ***
তো মোটামুটি সহজ ভাষায় সারমর্মের ফ্লো-চার্ট হচ্ছে এই। এবার বুঝতে না পারলে আর কিছু করার নেই। আবার বলছি, ওই মন্তব্যটা অবশ্যই আপনার জন্য ছিল না। ব্যাপারটাকে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হাহাহা ... ও কে, এড়িয়ে গেলাম। আপনার সব কমেন্টের বক্তব্যই আমার বেশ ভাল লাগলো .. ধন্যবাদ
প্রথমে লেখাটার জন্যে লেখককে ধন্যবাদ দিতে চাই, লেখাটা উগ্র ও ধারালো কিন্তু অব্যর্থ।
সচলায়তন পড়ছি অনেকদিন ধরে, মন্তব্যও করেছি, এখানকার অধিকাংশ লেখা হয় শক্তিশালী, সাহিত্যমান সম্পন্ন। কিন্তু অবাক ব্যাপারটা দেখি মন্তব্যকারীদের মানষিকতায়, প্রায় সব ক্ষেত্রেই এঁদের মতের মিল হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে বেশ অদ্ভুত লাগে, এখানে তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখি আলোচনা হয় একতরফা।
অন্তত এই লেখাটার মন্তব্যগুলো পড়ে আমার মনে হচ্ছে সচলরা আসলে একটা পাত্রে থাকেন যে পাত্রটা যথাসময়ে কোনো একদিকে হেলে পড়ে আর তাই সব সচলদের একদিকেই গড়িয়ে পড়তে হয়।
শেষে, লেখাটা অব্যর্থ কেন বলি? থাক, না বলি, সেটা কমেন্টগুলো পড়েই বোঝা যাচ্ছে।
আপনার মন্তব্যটায় মজা পেলাম বলে প্রতিমন্তব্য করছি। আশা করি পার্সোনালি নিবেন না। গুনে দেখালাম, লেখক বাদে মোট ১৯ জন অতিথি এবং ১৪ জন সচল/হাচল মন্তব্য করেছেন। কার ভালো না খারাপ লেগেছে এই বিশ্লেষণে গেলাম না। কিন্তু আপনার বক্তব্যটা কি টিকলো?
রু ভাই, আমাকেই আবার দায়িত্ব দিলেন বক্তব্য( আসলে আমার বক্তব্য না, আমার পর্যবেক্ষণ ) টিকলো কি না যাচাই করার জন্যে? একমাত্র অছ্যুৎ বালাই এর করা মন্তব্যটি বাদে বাকি সচল/হাচলদের করা মন্তব্য আবার দেখে আপনিই বলুন না?
আপনার পর্যবেক্ষণটা, আমার সচলাভিজ্ঞতামতে, অন্ধের হাতি দেখার মতো হয়েছে। হাতির অবশ্যই সাপের মতো লেজ আছে, কুলার মতো কান আছে, থামের মতো পা আছে; কিন্তু হাতি কুলাও না, থামও না, সাপও না।
বাংলাব্লগের ব্লগারদেরকে (সচল অনেকটা ব্লগিংয়ের ধাঁচে লেখক সমাবেশ) মোটাদাগে দুইভাগে ভাগ করা যায়: ছাগু এবং নন-ছাগু। সচলে ছাগু না থাকায় ওই ধরনের যে কোনো লেখায় আপনি সবই একতরফা আলোচনা পাবেন।
দ্বিতরফা আলোচনা হয় সেসব ক্ষেত্রে, যেখানে ছাগুসম্বন্ধীয় কোনো বিষয় প্রধান না। যেমন, ডাক্তার ইউনুস ও গ্রামীণের আকাম-সুকাম, মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট যাত্রায় বিশ্বাস-প্রমাণ, আনিসুল হক বা হুমায়ূন আহমেদের আবেগের ব্যবসায়, বাংলাদেশ ক্রিকেট টীমের জয়-পরাজয় - এসব ব্যাপারে সচলদের মতামত মোটামুটিভাবে দুইপক্ষেই থাকে।
লেখায় ভাষার ব্যবহার নিয়ে এক একজনের অভিমত এক একরকম। যেমন, এই লেখার ভাষার সমালোচনা করেছেন কেউ কেউ। আবার কেউ কেউ ওই ভাষাটিকেই শক্তিশালী উপস্থাপনার মাধ্যম হিসেবে দেখেছেন।
লেখায় ব্যবহৃত উদাহরণের যথার্যথতা নিয়েও সব সচলের মতামত একরকম না। এই লেখায় যারা সমালোচনা করেছেন, তাদের অনেকেই লেখার উদাহরণগুলো (বা সেগুলোর সাবসেট) যথার্থ বলে মনে করেন নি।
সচলে সুশীল*, অপেক্ষাকৃত কম সুশীল এবং সুশীলতা নিয়ে মাথা না ঘামানো পাবলিক - সব প্রকারের লোকই আছে। যেমন, এ পোস্টে কেউ কেউ সুশীল ভাষায় রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে ভণ্ডামির বিরুদ্ধে লিখলে ভালো হতো বলে মত প্রকাশ করেছেন, কেউ কেউ সুশীলতার মায় রে বাপ ধর্ষণের জন্য 'ধর্ষণ'ই যথার্থ শব্দ বলে মনে করেছেন।
পোস্টলেখক সচলে নোতুন হলেও যথেষ্ট ভালোভাবেই মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যে অংশ নিয়েছেন। আমি নিশ্চিত তিনি এখানে নিয়মিত হলে সচলকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন।
আপনাকেও সচলে আরো নিয়মিত হওয়ার আহবান জানাই। আশাকরি আপনার পর্যবেক্ষণে তাতে আরো সম্পূর্ণ চিত্রটাই দেখবে।
[* সুশীল সম্পর্কে একটা নোট দেয়া জরুরী। কিছু সুশীল আছে যারা প্রকৃতপক্ষে ছাগু; কিন্তু সুশীলতার পোশাক পড়ে ম্যাৎকার করে। ইনফ্যাক্ট, ব্লগজগতে তাদের কীর্তিকলাপের জন্য 'সুশীল' শব্দটাই গালি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এখানে সুশীল বলতে সেইসব ময়ূরপুচ্ছধারী ব্ল্যাকবেঙ্গল গোটদেরকে বুঝানো হয় নি।]
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সচলে ছাগু না থাকায় ওই ধরনের যে কোনো লেখায় আপনি সবই একতরফা আলোচনা পাবেন।
এক্ষেত্রে আমার আপত্তি থাকার কোনো কারন নেই।
ডাক্তার ইউনুস ও গ্রামীণের আকাম-সুকাম, মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট যাত্রায় বিশ্বাস-প্রমাণ, আনিসুল হক বা হুমায়ূন আহমেদের আবেগের ব্যবসায়, বাংলাদেশ ক্রিকেট টীমের জয়-পরাজয় - এসব ব্যাপারে সচলদের মতামত মোটামুটিভাবে দুইপক্ষেই থাকে।
মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট যাত্রাকালের কিছু পরে আমি ব্লগ জগতে আসি, তাই স্বীকার করছি তখন সচলে কি ধরনের আলোচনা হয়েছে আমি জানি না।
বাকি ক্ষেত্রগুলোতে আমার পর্যবেক্ষণ হল, বেশিরভাগ সচল নিষ্ক্রিয় থাকেন, আলোচনায় অংশ নেন পাঁচ-ছ'জন। এই পাঁচ-ছ'জনের মধ্যে একজন একপক্ষে থাকেন, বাকিরা সবাই আরেকদিকে।
আর এই পোস্টের ব্যাপারে কি বলবেন? এখানে ছাগু বিষয়ক কিছু নেই, কোন আপাত বিখ্যাত ব্যাক্তির মানুষ নিয়ে খেলা নেই, একজন ব্যাক্তির বিষয়ভিত্তিক ধারনা বেশ সাহিত্যাকারেই এসেছে। এখানে এরকম একমুখিতার কারন কী?
এ পোস্টে তো একমুখিতা নেই।
অনেকের কাছে পোস্ট ভালো লেগেছে, অনেকের কাছে মোটেই ভালো লাগে নি, অনেকের কাছে এ দুয়ের মাঝামাঝি। যেমন, আমার কাছে বক্তব্য ও সাহিত্য দুটোই দুর্দান্ত মনে হয়েছে, কারো কারো কাছে বক্তব্যে সমস্যা আছে, কারো কাছে বক্তব্যের প্রকাশভঙ্গি ও ভাষায় সমস্যা আছে, কারো কারো কাছে শুধু সমস্যা ভাষায়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আপনার কথা ঠিক। তবে আমি কিন্তু হাতিকে কুলা, থাম বা সাপ বলতে চাই নি, আমিও একথাই বলছি যে হাতির সাপের মতো লেজ আছে, কুলার মতো কান আছে, থামের মতো পা আছে।
খুব ভাল কড়া ধরনের স্যাটায়ার হল। আমার দারুন মনে ধরেছে।
আরাম করে গালি দিয়েছেন বোঝা গেল। প্রাণ ভরে গালি মনের ক্ষোভ মেটানোর অধিকারও আপনার অবশ্যই আছে। আমি কেবল বলতে চাই যে, আপনার ক্ষোভ মেটানোর স্টাইল আমার ভালো লাগে নি। মানে, গালিটা ন্যায্য হতে পারে কিন্তু সেটা শুনতে আমার ভালো লাগে নি।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সবই ঠিক আছে, রবীন্দ্র প্রীতিকে যদি ফ্যাশন বা স্টাইল হিসাবে নেওয়া হয়, শুধুমাত্র আমার ভাব বা দেখাবার জিনিস হিসাবে নেওয়া হয়, সেটা খারাপ।
আবার যে বর্তমান রোমান্টিকতার কথা আপনি বলেছেন, একের অধিক প্রেমিক-প্রেমিকার সাথে শারিরীক সম্পর্ক, এবং তাদের মাঝে যিনি সবচেয়ে ক্ষমতাধারী বা বিত্তবান, তাকে জীবনসঙ্গী হিসাবে নেওয়া, এবং তারপরো কারো সাথে আবার পরকীয়া, এগুলোও খারাপ।
কিন্তু দুইটা খারাপের মাঝে মিল খোঁজার চেষ্টাটা বোধহয় সবসময় ঠিক হলনা, আমার জীবনে দুজন নারী থাকলে কি আমি রবিন্দ্রনাথ পড়তে পারবোনা, নাকি রবীন্দ্রনাথ পড়লে আমি অন্য কোন ভাষার কোন ফিল্ম বা গান শুনতে পারবোনা?
এবং আপনার লেখার সবকিছুই ঠিক আছে, কোথাও কোন ভুল নেই, এটাও ঠিক না।
রবিন্দ্রা-প্রীতিকে স্টাইল হিসাবে দেখানো অবশ্যই ঠিক না, তবে আপনার অনেক গুলি যুক্তিই অযৌক্তিক।
মজাক পাইলাম, বিয়াপক মজা। লেখা পইড়া মজা, মন্তব্য পইড়া আরো মজা।
সাধ ও তার বচন
দেরীতে পড়া হলো এই পোষ্ট। পোষ্টের বক্তব্যগুলো আমার কাছে প্রতিক্রিয়াশীলই মনে হলো। অর্থহীন প্রতিক্রিয়া। আপনি যা লিখেছেন, দেশে রবীন্দ্রনাথের তো এত দুর্দিন চলতেছে মনে হয় না। বরং বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ অতীতের তুলনায় অনেক বেশী শক্তিশালী অবস্থানে আছেন বলে মনে হয়। পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় তো অবশ্যই। ডিজুশ সংস্কৃতি মাঝে মধ্যে দাঁত ফোটালেও, রবীন্দ্রনাথেরই জয় হয়েছে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
নতুন মন্তব্য করুন