খান একাডেমি, বাংলাদেশের শিক্ষার হাল, অতঃপর...

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০৯/০৫/২০১১ - ১:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

খান একাডেমির ব্যাপারটা বেশ হুটহাট করেই হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত স্যাল খান ওরফে সালমান খান নামক এক ভদ্রলোক তার ভাগ্নিকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অংক বোঝাতেন। হার্ভাদ থেকে পাস করেছেন, নির্ঘাত অংকের ওস্তাদ। ভাগ্নিও স্কুলে বেশ ভাল করা শুরু করল। তার সুবাদে কয়েকদিনের মধ্যে ভাগ্নির বেশ কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবও জুটে গেল, সবাই স্যাল আঙ্কেলের কাছে অংক শিখবে। স্যালের শেখানোর মাধ্যমটাও বেশ মজার! ভার্চুয়াল ব্ল্যাকবোর্ডে লাল-নীল কালি দিয়ে আঁকাউকি করে তিনি অংক কষতেন বা কোন মৌলিক সূত্র বোঝাতেন, যা দিয়ে ভিডিও বানাতেন এবং ইউটিউবে আপ করে দিতেন। তা দেখে খুব সহজেই তার ভাগ্নি ও বাকিরা বেশ কঠিন ব্যাপার শিখে ফেলত। এক এক করে কয়েক বছরের মধ্যেই প্রায় ১০০০ ভিডিও তৈরী হয়ে গেল। স্যাল খানের শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বাড়তে থাকল।

এই উদ্যোগের কথা বিল গেটসের কানেও পৌছে গেল। কয়েকদিনের মধ্যে তিনিও স্যাল খানের অনুগত অনুসারীতে পরিণত হলেন। খান একাডেমির জন্ম অনেকটা এভাবেই। বেশ কিছুদিন হয়েছে খান একাডেমিকে গুগুল পুরস্কৃত করেছে। স্যাল খানের কথা এখন পুরো বিশ্বই জানে!

খান একাডেমির অনুগত অনুসারী না হলেও আমি এই উদ্যোগের বেশ ভক্ত। স্যালকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ই-মেইল করবার সময় একটা প্রস্তাব এল। তাদের প্রায় ১০০০টি ভিডিও গুগুলের অনুরোধে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হচ্ছে। বাংলাতেও নাকি হবে! আমার সাথে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি সংগঠন (আগামী / আগামী এডুকেশন ফাউন্ডেশন) যোগাযোগ করে জানাল তারা বাংলাদেশের শিশু-শিক্ষার্থীদের মাঝে এই ভিডিওগুলো পৌছে দিতে চান। প্রয়োজন শুধু এমন কিছু মানুষজন যারা ভিডিওগুলো বাংলায় অনুবাদ করবেন এবং আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে উপযুক্ত করে তুলবেন। গত ৫-৬ বছর যাবৎ আমি নানা ধরণের সামাজিক গঠনভিত্তিক কাজের সাথে জড়িত। একটি ছোটখাট যুবসংগঠনের (ওয়ান ডিগ্রী ইনিশিয়েটিভ) সাথে তার জন্মলগ্ন থেকে কাজ করছি। এই সংগঠনে প্রায় ১৫০০ সেচ্ছাসেবী আছে যারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তর থেকে নিজ নিজ দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশেই এর জন্ম, তাই দেশেই ৫০০-এর অধিক ছেলেমেয়ে কাজ করছে। কেউ কেউ গ্রামীণ প্রকল্পের সাথে জড়িত, কেউ বস্তিতে গিয়ে পথশিশুদের পড়াচ্ছে, কেউ বা পরিবেশবান্ধব জীবিকা নিয়ে কাজ করছে। আমার সাথে আগামী-র যোগাযোগ ওয়ান ডিগ্রী ইনিশিয়েটিভের সুবাদেই। ১ যোগ ১ এ ২ হয়... এভাবেই খান একাডেমির সাথে আমাদের যাত্রা শুরু।

কন্ট্রাক্ট ২০১০ সালের শেষের দিকে সাইন করা হলেও প্রকল্পের বাস্তবায়ন করতে করতে এই বছরের ফেব্রুয়ারী হয়ে গিয়েছে। এখন পুরোদমে কাজ চলছে! আগস্ট মাসের মধ্যেই ১০০০ ভিডিও বাংলায় অনুবাদ করতে হবে। কাজ শেষ করবার জন্য আমাদের প্রচুর অনুবাদক প্রয়োজন! এভাবেই বিশ্বে্র শ্রেনীকক্ষ এসে পরবে আমাদের দোরগোড়ায়।

একজন অনুবাদকের –
 ইংরেজি থেকে বাংলায় সাবলীলভাবে অনুবাদ করার যোগ্যতা থাকতে হবে (ইংরেজিতে লিখিত স্ক্রিপ্ট এবং ভিডিও থেকে)|
 বিজ্ঞান অথবা বাণিজ্য বিভাগ থেকে আসতে হবে এবং বাংলাদেশে পঠিত শিক্ষাক্রমে গণিতে পারদর্শী হতে হবে|
 নির্ভুল ও বিশুদ্ধভাবে জ্যামিতি, বীজগণিত, ক্যালকুলাস ও পরিসংখ্যান বুঝতে ও অনুবাদ করতে হবে|
 নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার মনভাব থাকতে হবে (যেমন, ৫ দিনে ১২টি স্ক্রিপ্ট, প্রতি স্ক্রিপ্টে ৬-১১ মিনিটের ভিডিও থাকবে)
 ‘অভ্র’ সফ্টওয়্যারে টাইপের সক্ষমতা থাকতে হবে|
 বাসায় ও অফিসে কাজ করতে হবে (অফিসে সপ্তাহে ৩ দিনের কম)
 নিজের দল গঠন করতে হবে, তথ্য সংগ্রহ করে এবং অন্য সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে স্ক্রিপ্ট অনুবাদের কাজটি করতে হবে|
 একটি বড় দলে সবার সাথে একসাথে কাজ করতে হবে এবং দলের অন্য সদস্যদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে|

যদি আপনি মনে করেন আপনি এমনই কোন প্রকল্পে অংশগ্রহণ করে নিজের যোগ্যতার প্রমান দিতে চান, তাহলে আজকেই ই-মেইলে পাঠিয়ে দিন –
• আপনার নাম
• ঠিকানা
• যোগাযোগ (ফোন, ই-মেইল)
• শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
• অভিজ্ঞতা (আবশ্যক নয়)

ই-মেইল করবার ঠিকানাঃ

স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আপনি পাচ্ছেন –
- খান একাডেমীর সুপারিশপত্র যেখানে প্রজেক্টে অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ থাকবে|
- প্রতিটি অনুবাদকৃত ভিডিওর শেষে কৃ্তজ্ঞতায় নাম উল্লেখ থাকবে ( যেমন, আপনি যদি স্ক্রিপ্ট অনুবাদ করে থাকেন, তাহলে খান একাডেমীর নেটওয়ার্কে থাকা অনুবাদকৃ্ত ভিডিওতে অনুবাদক হিসেবে আপনার নাম উল্লেখ থাকবে)।
- এ ছাড়া সাথে থাকছে বিভিন্ন বড় সংগঠনের সাথে কাজ করা, পরিবতনের ইচ্ছায় বাংলাদেশের জন্য এবং পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ।

বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুনঃ ০১৭৩২৭০৮১০২

দেশের জন্য বড় কিছু করার ভিত্তি হিসেবে পাশে থাকার সুযোগ হাতছাড়া না করে আজই আমাদের দলে যোগ দিন... সময় ফুরিয়ে যাবার আগে!

----

সাবহানাজ রশীদ দিয়া


মন্তব্য

ফরিদ এর ছবি

সচলে আমি আগেই লিখেছিলাম এই বিষয়ে
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/35301
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/35458
এখন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচেষ্টা চলছে জেনে খুশি হলাম। তখন তেমন সাড়া পাইনি। যদিও বেশকিছু ডিভিডি বিলি করতে পেরেছিলাম।

হাসিব এর ছবি

‘অভ্র’ সফ্টওয়্যারে টাইপের সক্ষমতা থাকতে হবে|

এই লাইনটা একটু ভুল হলো মনে হয়। ইউনিকোডে বাংলা টাইপ করতে পারলেই মনে হয় চলে। তাই না?

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ভালো উদ্দোগ। কিন্তু কিছু ব্যাপার চোখে লেগেছে।

(সম্ভবত) আপনাদের ফেসবুক পাতায় দেখলাম অনলাইনে অংশ নেয়া যাবে না। তারমানে আপনারা (ধরে নিচ্ছি আয়োজকরা) যে শহরে থাকেন তার বাইরের কেউ অংশ নিতে পারবে না। এই নিয়মটি কেনো! স্বেচ্ছাসেবক কে সরাসরি কেনো দেখা করতে হবে আপনাদের সঙ্গে!

নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার মনভাব থাকতে হবে (যেমন, ৫ দিনে ১২টি স্ক্রিপ্ট, প্রতি স্ক্রিপ্টে ৬-১১ মিনিটের ভিডিও থাকবে)

যাঁরা শ্রম দেবেন স্বেচ্ছায় তাঁদের উপর এই রকমের চাপ দেয়ার অর্থ কী! যার সপ্তাহে একটি অনুবাদ করার সময়/সামর্থ আছে সে অংশ নিতে পারবে না কেনো!

তৃতীয়ত,

বিজ্ঞান অথবা বাণিজ্য বিভাগ থেকে আসতে হবে এবং বাংলাদেশে পঠিত শিক্ষাক্রমে গণিতে পারদর্শী হতে হবে|
নির্ভুল ও বিশুদ্ধভাবে জ্যামিতি, বীজগণিত, ক্যালকুলাস ও পরিসংখ্যান বুঝতে ও অনুবাদ করতে হবে|

কেনো! খান একাডেমী কি কেবল অংক নিয়েই কাজ করে! যিনি বাণিজ্যে পড়েছেন অথচ ভালো বিজ্ঞান/গণিত বোঝেন তিনি কেনো অংশ নিতে পারবেন না!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

দিয়া এর ছবি

আপনি যেই ফেসবুক নোটের কথা বলছেন, তা হয়তোবা আপডেটেড না। একটি ভিডিও অনুবাদ করবার জন্য আমরা ৪টি ধাপ অনুসরণ করিঃ

প্রথমত, ভিডিও শুনে-দেখে তা ইংরেজি থেকে বাংলায় লিখিত রূপে অর্থাৎ স্ক্রিপ্টের আকারে তৈরী করা হয়। এরপর তা আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে যথাসম্ভব লোকালাইজ করা হয়।

দ্বিতীয়ত, একজন ভয়েস ট্যালেন্ট ঐ স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী ভিডিওতে ভয়েস প্রদান করেন। তখন ভয়েস ট্যালেন্টের সালমান খানের আঁকাউঁকির সাথে সিঙ্ক করে ডাবিং করতে হয়।

তৃতীয়ত, ডাবিং- এর অডিওগুলোকে ক্লিন করা হয়। ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজ, প্রপার সিঙ্কিং ইত্যাদি চেক করা হয়।

সবশেষে, বাংলা অডিও ও আসল ভিডিও কে মার্জ করা হয়। তখন বাংলা-ইংরেজি ব্যবধান কমাবার জন্য কিছু কিছু ফ্রেম স্টিল বা যোগ করা হয়।

এতকিছু খুলে বলবার কারণ, স্ক্রিপ্ট অনুবাদক বাদে অন্য কেউই আসলে অফিসের বাইরে বা আমাদের সাথে সামনাসামনি কাজ না করলে এই বিশাল প্রসেস সময়সীমার মধ্যে শেষ করা সম্ভব না। যখন-তখন অডিও রি-টেক করতে হতে পারে, বা ভিডিওতে ঝামেলা দেখা দিতে পারে। ৪-৫ ঘন্টার ক্রাঞ্চ টাইমের মধ্যে আসলে এক জায়গায় বসে দ্রুত এবং রিয়াল টাইমে কাজ করাটা অনেক বেশী কার্যকর!
--

সেচ্ছাসেবক হলেও আমরা সবাই একটা সময়সীমার মধ্যে আবদ্ধ। ৭ দিনে একটা করে স্ক্রিপ্ট করলে আমাদের ৭ দিনে ১টা করে ভিডিও তৈরী হবে। ৭ই আগস্টের মধ্যে ১০০০টি ভিডিও করতে গেলে আম্মাদের সপ্তাহে নিম্নে ৬০টি ভিডিও তৈরী করতে হবে। স্ক্রিপ্টের অপেক্ষায় ৭ দিন বসে থাকলে বাকি প্রসেস কবে শেষ হবে?! লোক বুঝে কাউকে ৭ দিনে ১টা আর অন্যদের ৭ দিনে ১০টা স্ক্রিপ্ট দিলেও তো ব্যাপারটা ভাল ঠেকে না। অন্যায় হয়ে যাবে!

শিশিরকণা এর ছবি

বাংলায় অনুবাদিত, ডাবিং কৃত কয়েকটি ভিডিও দেখেছি ইউ টিউবে ( আর কেউ দেখেছেন কি না জানি না, কারন ভিউ কাউন্ট ছিল ০ /১), আমার যা মনে হয়েছে
১, বাংলা কথার গতি আর ইংরেজিতে একি কথা বলার গতি সমান নয়। সালমান খানের আঁকিবুকির সাথে তাল মেলাতে গিয়ে পাঠিকাকে এক নিঃশ্বাসে বলে যেতে হচ্ছে। তাড়াহুড়ার কারনে গল্প বলার আমেজটি চলে গিয়ে মনে হচ্ছে দর্শক/শিক্ষার্থীকে ধমকানো হচ্ছে।
২, স্ক্রিপ্ট ধরে অনুবাদ অনেক কাঠখোট্টা লেগেছে। যদিও ভাবানুবাদের অনেক চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু সব ইংরেজি কথা বাংলায় অনুবাদ করলে সেই মজাটা টের পাওয়া যায় না, আজিব আজিব লাগে, এক্ষেত্রে এরকম কিছু একদমই বাদ দেয়া যেতে পারে।
৩, সালমান খানের আকিবুকি সবই ইংরেজিতে করা। এগুলা কি বাংলায় লিখে করা যায় না। যন্ত্রপাতি তো কিছু লাগে না। ডুডল প্যাড এর দাম খুব বেশি হলে ৫০ ডলার। ্যেহেতু ভলান্টিয়ারদের আপনাদের সাথে দেখা করে কাজ করতে বলছেন, সেজন্য এরকম ২/১টি রাইটিং প্যাড জোগাড় করে নিজের মতো করে ১৫ মিনিটের ভিডিও তৈরি করতে দিন। বিষয়বস্তু কতটুকু হবে সেটা ইংরেজি ভিডিও থেকে ধারণা নেয়া যেতে পারে।

উদ্যোগে শুভ কামনা

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

রু (অতিথি) এর ছবি

খুব ভালো উদ্যোগ, তাতে সন্দেহ নাই।

আগস্ট মাসের মধ্যেই ১০০০ ভিডিও বাংলায় অনুবাদ করতে হবে।

এই তাড়াটা কার? বেশি তাড়াহুড়ো করে কোয়ালিটি খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই জানতে চাইছিলাম। তাছাড়া মানসম্মত অনুবাদ করাটাও তো চাট্টিখানি কথা নয়। আর এমন কি করা যায় যে দেশের বাইরে যারা আছেন উনারা শুধু স্ক্রিপ্ট অনুবাদ করার সুযোগ পেলেন অন্তত? সাধুবাদ জানাই এই কাজে এগিয়ে আসার জন্য।

স্বাধীন এর ছবি

উদ্যোগটি প্রশংসনীয় কোন সন্দেহ নেই। যারাই স্বেচ্ছাসেবার ভিক্তিতে এই কাজে এগিয়ে এসেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে সরাসরি ডাবিং পছন্দ করি না। উপরে রাগিবের সাথে এই প্রসঙ্গে সহমত। স্যালের বলার ভঙ্গি এবং সহজ করে বলার ক্ষমতা এই দু'টো মিলিয়ে ভিডিও গুলো কার্যকরি হয়েছে।

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে যদি চিন্তা করি তবে আমি বলবো সবচেয়ে ভালো হয়, ক্যামস্টুডিও এবং পেইন্ট ব্যবহার করে নুতন করে ভিডিও তৈরী করা। দেশীয় বইগুলো যেহেতু অন-লাইনে রয়েছে সে ক্ষেত্রে একেকটি বিষয় ধরে লেকচার ভিডিও তৈরী করা যেন সবগুলো লেকচার শেষে সেই বিষয়টি একটি ছাত্রের আত্মস্থ হয়। একদম খানের মতো না হয়ে কাছাকাছি হলেও ক্ষতি নেই, কিন্তু সেগুলো বেশি কার্যকরী হবে। আর খানের ইংরেজীর ডাবিংগুলো তো থাকছেই। দেশ বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা স্নাতক, স্নাতকোত্তর যে কেউ এই কাজে অংশগ্রহন করতে পারেন। আমার নিজের ইচ্ছে আছে ভিডিও বানানোর এবং যদি করি তবে এভাবেই করবো। খানের ভিডিওগুলোর সাহায্য সব সময়ই নেওয়া যাবে। কিন্তু ডাবিং এর চেয়ে নিজদের মতো করে, নিজেদের দেশের পাঠ্যবইয়ের সমস্যাগুলো নিয়ে আমি ভিডিও তৈরীর পক্ষপাতি।

এই উদ্যোগটির প্রতিও সমর্থন রইলো।

rafiul এর ছবি

খুবই ভালো উদ্যোগ।
কিন্তু কেউ যদি সেচ্ছাসেবক হয় তাহলে তাকে কেনো একটা টাইম শিডিউল মেইনটেইন করতে হবে? যখন সময় পাবে, তখন কাজ করবে, সেচ্ছাসেবার ব্যাপারটাই তো এমন,তাই না!!!
আর যেহেতু সেচ্ছাসেবকদের দেখা করতে বলা হচ্ছে তাহলে তাদের মধ্যে যারা সত্যিই কাজ করবে তাদের একটা করে ডুডল প্যাড দিলে তো খুব বেশি খরচ পরার কথা না!!

আশা করছি এই ব্যাপারগুলো কাজ শুরুর আগে ভালো করে ভেবে দেখা হবে হাসি

Fuad Bin Omar এর ছবি

ইউ টিউব এর এই চ্যানেল http://www.youtube.com/user/KhanAcademyBangla এ গেলে খান একাডেমির সব বায়োলোজি, পদার্থ ও রসায়নের বাংলা পাওয়া যাবে; ওয়েবসাইটে দেখতে হলে http://www.khanacademybangla.com/ এ যেতে পারেন, কিন্তু এখানে শুধু বায়োলোজি পাওয়া যাবে, পদার্থ আর রসায়নের লিঙ্ক গুলো শীঘ্রই আপডেট করা হবে; এই কাজগুলোর বিস্তারিত জানতে পারবেন http://www.nascenia.com/working-with-khan-academy/

hasan al shuvro  এর ছবি

দুঃখিত, ভিডিও দেখে পোস্ট পড়ে যে আনন্দটি হয়েছিল, সম্পূর্নটুকুই মাটি হয়ে গিয়েছে।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজীতে করা ভিডিও বাংলায় ডাব করার কোন মানেই নেই, যেখানে পুরো কন্টেন্টটুকুই ইংরেজীতে আছে। এই ভিডিও'র টার্গেট অডিয়েন্স কে, ঠিক বুঝলাম না। বাংলাদেশের শিক্ষার্থী হলে কন্টেন্ট বাংলাতে হওয়া উচিত।

উপরে সবাই যেমন বলে গিয়েছেন, সালমান খানের ভিডিও'র সিলেবাসটুকু ঠিক রেখে নিজের মত করে ভিডিও করাটাই যুক্তিযুক্ত হবে।

আর স্বেচ্ছাসেবী হওয়ার যে শর্তগুলো দিয়েছেন, এগুলো মেনে দেশের বাইরের কারো পক্ষে কাজ করা প্রায় অসম্ভব।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।