শিরোনাম:: 'হিরণ্ময়'
মনন:: আবহমান বাংলা।
লিখিত:: ১৭ মে ২০১১।
--- কবি মৃত্যুময়
সোনালি স্রোত রূপোলি আলোয় সোনাঝরা
বিকেলের রঙে হৃদয়ে রক্তসূর্য আঁকে- দেখি অপলক!
দীঘল জীবনজালে সুবর্ণ শরীরে এঁকেবেঁকে
স্বচ্ছ সলিলে মীণগণ অধরা অস্থির তবু আশা জাগে
জেলের মুমূর্ষু পালে বৈরাগী হাওয়া লাগে- দেখি সহাস্য তারে!
প্রাণহীন তরী সোনালি স্রোতে এলে অনন্ত যৌবনা, দিকহারা
দূরের কোন অজানা পথে সে হারায় বারবার- অপেক্ষায় চেয়ে থাকি!
তীরে ডুবন্ত বালক-অবাধ দস্যিপনা, কৃষক সবুজ বোনে-স্নেহে তার
আঙুলের ফাঁকে সোনা জ্বলে উঠে, কখনো রূপোলি বা
ওপাড়ে প্রদীপ ম্লান হলে পুঁথিসাঁঝ বসে- অমিয় সুরে বাধা পড়ি!
হিরণ-নদীর পাশে যদি কখনো ফিরে আসো আর
স্ফটিকের মত শিশিরকণা হয়ে নরম ঘাসফুলে বসো তখন
দূরে বিকেল হলে সোনালি স্রোতে একবার ফিরে দেখো তুমি-
আমি হয়ে আছি নদীটির রং, তার ক্লান্তিহীন অবাধ যৌবন!
ছবি স্বত্বাধিকারী: তিমুর মোস্তাকিম
মন্তব্য
ভালো লাগলো। তবে মনে হয় আরো ভালো করা যেতো।
ধন্যবাদ ভাইয়া। পরবর্তীতে আরো যত্নবান হব।
চমৎকার!!!
অতীত
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বহুবর্ণা!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
হ্যা ভাইয়া, আমাদের নদী রূপে, ব্যবহারে বহুবর্ণা!! ধন্যবাদ জানবেন।
খুব সুন্দর একটি কবিতা। কবিকে ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপু পড়ার ও মন্তব্যের জন্য। শুভ কামনা জানবেন।
দারূন। ছবিটাও চমৎকার, স্রোতগুলো আসলেই সোনালি।
অসংখ্য ধন্যবাদ জানবেন। সোনালি স্রোতই কবিতাটির মূল উপজীব্য। আর তিমুর অসাধারণ ছবি তুলে।
এমনি কৌতুহল থেকে জানতে চাচ্ছি, 'স্বচ্ছ পানিতে মাছেরা অধরা' এভাবে লেখলে কী কবিতার কোন ক্ষতি হবে বলে ভাবেন আপনি? বলে নেয়া ভালো, আমাকে বোমা মেরে উড়িয়ে দিলেও এক লাইন কবিতা বেরুবে না কিন্তু কবিতা পড়ি, ভালো লাগা থেকেই পড়ি। লেখালেখির দৌড়ও আমার এই মন্তব্য পর্যন্ত। আমার কৌতুহলকে 'আষ্ফালনের তীর' ভাববেন না প্লিজ! কবিতা এবং ছবি দুটোই ভালো লেগেছে।
ব্যবহার করা যেত, তবে আসলে 'মাছ' এর পরিবর্তে মীণ ব্যবহার করতে চাচ্ছিলাম, আর মীণ এর সাথে পানি থেকে সলিল যুতসই মনে হল তাই আর কী!
আপনার অসীম ভদ্রতা দেখে আমিই শরমিন্দা! যা মনে হয় নিশ্চিন্তে লিখবেন কোন সমস্যা নেই! মন্তব্য পেলে খুউব ভালো লাগে। ধন্যবাদ রইল।
হিরণ্ময় মানে কি?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সমস্যা কি 'ণ্ম' নিয়ে ভাইয়া? এটা 'মূর্ধন্য নয়ে ম-ফলা'। হিরণ+ময় বা স্বর্ণময়।
...ভালো লাগলো উপমা, অলঙ্কার।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক শুভ কামনা জানবেন।
দৃশ্যগুলো সৌন্দর্যমন্ডিত। কবির ভাবনা ও দেখার গভীরতা আছে সন্দেহ নেই। কিন্তু কবিতার কারিগরি ব্যাপার-স্যাপারে কবিকে আরো যত্নবান হতে হবে।
আপনার যথাযথ মন্তব্যগুলো পেয়ে কী যে ভালো লাগছে বোঝাতে পারব না সুমন ভাই!!!! অনেক কিছু শেখার যে বাকি আছে সুমন্দা!!! সামনে যত্নবান হব!!!!
প্রতিটি কবিতায় মন্তব্য করার চাইতে একবাক্যে বলে ফেলি - তুমি লিখতে থাকো, তোমার হাতের ভেতর বিমূর্ত হয়ে প্রাণ পাক ভেতরের সব পদাবলী! অবিরাম শুভেচ্ছা,
শুভেচ্ছা গুলো মাল্যসম পেয়ে গেলাম গলে..............
নতুন মন্তব্য করুন