বিয়ে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৮/০৫/২০১১ - ১০:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিদেশেই জন্ম, শিক্ষিত, এক প্রজন্ম বিদেশেই বিয়ের বন্দোবস্ত কি ভাবে করছেন তারা, তাদের প্রবাসী পিতামাতা, বন্ধু বান্ধব? কিভাবে বর কনে পরিচিত হচ্ছে, বাকদান, ঘটকালি, বিয়ে দেশের মতই কি সেসব অনুসঠান? চলুন দেখি কিছু কিছু অনুসঠান। দুজনাই বাঙ্গালী, হাইটেক প্রফেশনাল, বাংলাদেশের একটি এন জি ওর পক্ষ থেকে ঘুর্নিঝড় সিডরের জন্য ডোনেশন সংগ্রহ করতে গিয়ে পরিচয় দুজনার। খবর পেয়ে দুই পরিবার মহা খুশিতে বাকদানের অনুসঠান করেন রেস্টুরেন্টে। বাংলিশ প্রজন্মের ঝল মলে হীরের আংটির অনুসঠান উপলক্ষে লেখা একটি কবিতা।

স্বীকৃতি

কী-বোর্ডে আঙ্গুল, মনিটরে চোখ
মেঘে মেঘে বেলা হোল, ফুটে গেলো শিমুল অশোক।

সবকিছু থেকেও কি যেন নেই, তাই মনে হয়,
সঙ্গীর দরকার, এই তো সময়।
মনে মনে খুজে ফিরি কাংখিত মুখ,
ভাগ করে নেবো দুজনে, দুজনার সুখ দুঃখ সুখ।

কত দিন দেখেছি তোমায়, বুঝিনি তো কেউ,
হটাৎ অন্তরে ঢেউ ওঠে, অনুভুতির ঢেউ।
কখোন যে জ্বললো আলাদিনের যাদুর প্রদীপ!
মনের গভীরে দিয়ে গেল জোৎস্নার টিপ!!
খুলে গেল হৃদয়ের দুটি উন্মুখ বাতায়ন,
সেখানে প্রানাধিক পিতা, মাতা, বোন, বন্ধু, স্বজন।

হে শ্রদ্ধেয় গুরুজন, হে মোর অদৃস্ট নিয়তি,
এই শুভক্ষনে তোমাদের সাক্ষি রাখিলাম,
ওগো মোর হৃদয়ের রাজা, আজ তোমার
স্বীকৃতির আংটি পরিলাম!!!

এই বিদেশেও খুব সুন্দর বিয়ে হচ্ছে। বাংলিশদের বিয়ে হচ্ছে মসজিদে, মন্দিরে, চার্চে, এবং অতি অবশ্যই রেজেস্ট্রি করে!!! পার্টি হচ্ছে দামি হোটেলে, ব্যাংকয়েট হলে, মিউজিয়ামে, দুই একর জমির উপরে আলিশান বাড়ীর আংগিনায় বাহারি তাবু খাটিয়ে, বা রেস্টুরেন্টে, কমিউনিটি সেন্টারে!!! এক বিয়েতে ডেজার্টই ছিলো হরেক রকমের, ছোট ছোট মাটির সানকিতে জমানো খাটি দুধের ক্ষীর থেকে শুরু করে পরিচিত সব রকমের মিস্টি, দই, পুডিং, কত রকমের যে কেক!!! নাহ, শুধু শুধু জিভে পানি এনে লাভ নেই খাবারের বর্নানায়, আর আসলে ঐ সব খাবার হচ্ছে,’হার্ট এটাক ইন দি প্লেট’, স্বাস্থ্য সচেতন পাঠকদের সন্মানে আমি এখানেই ইতি টানলাম।

বিয়ে হচ্ছে বাংগালী বাংগালীতে, বাংগালী পাকিস্তানীর, বাংগালী ইন্ডিয়ানের, বাংগালী কানাডিয়ানের, বাঙ্গালী আফ্রিকানের, বাঙ্গালী গায়ানিজের, বাঙ্গালী ইনুইটের(এক্সিমো) সাথে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বর আসে পাঞ্জাবি, শেরোয়ানী, পাগড়ী, নাগ্রা পরে, মাঝে মাঝে স্যুট পরে। বর ঘোড়ায় চড়ে আসে, বন্ধুদের কাধেঁ চরে আসে, কখনো কখনো বিশ বাইশ জন সাদা, কালো চাইনিজ, বাঙ্গালী, অবাঙ্গালী সমবয়সি বন্ধু, সব্বাই একই রঙ্গের পাঞ্জাবী, ওরনা পরে আসর মাতানো গানের সাথে সাথে নাচতে নাচতে বরকে নিয়ে প্রবেশ করে। বিয়ের কনে আসে সালংকারা শারি পরে, আসে লেহেংগা পরে, সত্যিকারের কাঁধে করা পাল্কিতে করে আসে, ঝল মলে চাদরের সামিয়ানার নীচে সুরেলা গায়কের গানের সাথে সাথে আসে, কখনো কখনো কনে তার সব শারি পরা বিদেশি বান্ধবীদের সাথে ঢোল বা কোন বাদ্যযন্ত্রের বাজনার তালে তালে আসে, কৃত্তিম উপায়ে বানানো কুয়াষার মধ্যে দিয়ে স্বপ্নের মত করে আসে অনুসঠানে! লাল কার্পেট মারিয়ে স্টেজে রানীর মত গিয়ে বসে!!!

দেশের মতই বিয়ের অনুসঠান গুলি হচ্ছে, পান চিনি, এনগেজমেন্ট, আইবুড়ো ভাত, হলুদ, মেন্দি, আকদ, বিয়ে বৌভাত। কোন কোন হলুদ এবং বিয়ের অনুসঠানের জৌলুসের মাঝে বসে মাঝে মধ্য নিজের গায়ে চিমটি কেটে বুঝতে চেস্টা করি না এটা হিন্দি সিনেমা নয়, বিয়ের আসরে বসেই চাক্ষুস দেখছি!!! এখানকার বিয়েতে দেশের মতই চেস্টা থাকে সুন্দর করে সামাজিকতা এবং ধর্মীয় রীতি নীতিকে অনুসরন করা। দেশের মতই বিয়ের আগে ছেলে মেয়ের মনে জীবনের পরের পর্বের জন্য ভাবনা থাকে, সংষয় থাকে। আনন্দ, রোমাঞ্চ, বিস্ময় মনকে কুড়েঁ কুড়েঁ খায়। বধু সাজে ঘর থেকে অনুসঠানে যাবার সময় বন্ধুর মত বাবাকে বিস্মিত মেয়ে বলে ‘আব্বা আজকে না আমাকে বউ বউ লাগোছে দেখতে’। মেয়ের দিকে তাকিয়ে বাবা উত্তর দেয় ‘মা আজকে যে তোমার বিয়ে, তুমিতো বৌ আজকে’। বলতে বলতে কি যে হোল, কোথা থেকে যে পানি এলো বাবার চোখে, কন্ঠ কেন ভারি হয়ে গেলো, বাড়ী ভর্তি মা, খালা, বোন, বান্ধবিরা কেন যে কেদে আকুল হোল! কন্যা বিদায় কি এত কস্টের!!!

এতদিনের বসবাসের নিজের ঘরে ফিরানীতে ফিরে এসে কনে তার বোনের কাছে শোনে, ’আপা, দুলাভাই, এক সপ্তাহের মধ্য ঘর খালি করেন, নাহলে কিন্তু আগামি সপ্তাহে বাসার সামনের ড্রাইভ ওয়ে থেকে গ্যারেজ সেলে পকেটের পয়সা দিয়ে কিনে নিতে হবে আপনাদের এই ঘরের যাবতীয় জিনিস’। কাঁদো কাঁদো স্বরে তখন কনে বলে, ‘এই ঘর, খাট পালং, টেবিল, চেয়ার কি কেনা বেচার জিনিস, মানুষের স্মৃতির কি বিকি কিনি হয়?’ কৌমার্যের চৌকাঠ ডিঙ্গিয়ে বিয়ের পিড়িতে বসা অনেক অনেক আনন্দের, কিন্তু পিছনে জীবনের সবচেয়ে অকৃত্তিম স্মৃতিরাও কত আকুল হয়ে যে তাদের পিছু টানে!!!!

ভিন্ন দেশের, ধর্মের, বর্নের, সমাজের ছেলে যখন বাঙ্গালী মেয়েকে বিয়ে করতে আসে তখন কি হয়??? তাহলে এখন চলেন যাই যেখানে প্রথম মেয়ের বাড়ীর দু’টি পিচ্চিসহ মোট নয়জন ধর্মান্তরিত একটি ছেলেকে দেখতে গেছে ঘটকের বাড়ীতে। মেয়ের বাবা প্রথমেই ‘ডেসক্রাইভ ইয়োরসেলফ’ দিয়ে শুরু করলেন। তার পর শুরু হোল প্রশ্ন করা। ছাপানো পারিবারিক পরিচিতি আগেই জানা হয়ে গেছে অনেক কিছু। যেটা জানা হয়নি সেই সব প্রশ্ন, যেমন। হাইস্কুলে মারামারি করে কিম্বা ড্রাংক হয়ে কখোনো জেলে গেছো কিনা, কিম্বা, কতজন গার্লফ্রেন্ড ছিল, তাদের সাথে কেন ছিন্ন করেছো সম্পর্ক ইত্যাদি। শেষ প্রশ্নটি ছিল বিশ্ব জুরে ধর্ম সমন্ধে এত নেগেটিভ প্রপাগান্ডা স্বত্তেও কেন ধর্মান্ত্রিত হয়েছো???

তারপর শারি, ফুল, আলোর মেলায় ধুমধামের বাঙ্গালীর বিয়ে, যেখানে বিদেশি বর যাত্রির ঘনিসঠ জনেরা অনেকেই এসেছে শারি, পাঞ্জাবী পড়ে, বর এসেছে পাগরি, শেরোয়ানি, নাগ্রা পড়ে। খাবার ছিল বাঙ্গালী বিয়ের খাবার(কম ঝালের), ঘরে বানানো আমের আচার, পিঠে, মিস্টি সহ। হলে প্রত্যকটি টেবিলের সেন্টার পিস ছিলো দেশ থেকে আনা নকসি কুলোয় তবক দেয়া পান!! বিদেশিদের জন্য চকলেট।

আনন্দ কোন অংশেই কম হয়নি! গেট ধরার মজা যাতে সবাই উপভোগ করতে পারে সেজন্য ব্যাংক্যেওয়েট হলের ভিতরেই লাল কার্পেটের পথের উপরে শাড়ি দিয়ে সাজানো অস্থায়ী গেট বানিয়ে রঙ্গিন ফিতা দিয়ে পথ আটকে গেট ধরার আয়োজন করেছে কনের ছোট ভাই, তার বন্ধু বান্ধব। চমৎকার একটি নাটক দেখিয়েছে তারা। গেট মানি হিসেবে বরের বন্ধু কনে পক্ষকে সোনার মোহর হিসেবে ধরিয়ে দিল সোনালী মোড়কে পয়সার মত চকলেট। উভয় পক্ষই প্রস্তুত ফাঁকির জন্য, ধরা পরলো বর এর বন্ধুবান্ধব, টাকা ছাড়া গেট খোলা হবে না অগত্য গড়িমশি করে পকেট থেকে অবশেষে চমৎকার এক টাকার খাম বের করলো, উভয় পক্ষই রাজি হয়ে ফিতে কেটে, বাঙ্গালীর সাজে বাবা মায়ের সাথে বর চলেছে স্টেজের দিকে। তাদের আগে আগে চলেছে বিদেশি বরের ছোট্ট ছোট্ট তিন বিদেশি ভাগ্নি, শারি পরে ডালার থেকে ফুলের পাপড়ি ছিটাতে ছিটাতে গেল, তারপর এক জন ড্রাম বাজিয়ে, বিয়ের আনন্দকে সবার মনে ছুইয়ে দিল! গেটের কাছে কনে পক্ষের হতভম্ভ ছেলের মেয়েরা তখোন ও দাঁড়িয়ে, বর তাদের আবারো ফাকি দিয়েছে উপরে নীচে কিছু আসল ডলার আর মাঝ সব সব সব কানাডিয়ান টায়ার এর ডলার!!!

টিপ চন্দনে আঁকা কুমারীর মুখ, রুপ, অপরুপ,
চারিদিকে এত হৈ চৈ, অন্তরে সে যে চুপ, নিশ্চুপ
আকাশ কুসুম স্বপনে----
ঊল্লাসিত বিয়ের লগনে!!!

আভাসে, ইংগিতে, আঁধো আঁধো সংলাপে,
শিহরিত হিয়া থরথরে কাঁপে,
আজ বিয়ের গান বাজে রে, বিয়ের বাজনা বাজে!!

হটাৎ মনে তার অলৌকিক দ্বার খুলে যাবে।
কাংখিত কুমার তখন সেই শ্বাশত কথাটি শুনাবে!
বধু সাজে সেই সেই অপরুপ কুমারী,
প্রেমের মদিরায় হয়ে যাবে, অনন্যা এক মায়াময়ী নারী!

আলোভরা দুটি চোখের তারা হবে মুগদ্ধ অপলক;
প্রগাঢ় সেই দৃস্টিই বুঝি অমর রুবাই, পদাবলী শ্লোক!!!

আসমা খান, অটোয়া।


মন্তব্য

নীড় সন্ধানী এর ছবি

বাহ, খুব চমৎকার লাগলো বিয়েবর্ণনা। চলুক

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

বিয়ে বর্ননা মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

মর্ম এর ছবি

লেখা ভাল হয়েছে। চলুক। চলুক

কিছু বানান বড় চোখে লাগল, ঠিক করে নিলে ভাল হয়।
শুভেচ্ছা।

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

লেখাটি পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। গত পয়ত্রিশ বছর প্রবাসী। গত এক বছর ধরে ফের বাংলার সাথে দেখা সাক্ষাৎ অনলাইনে। আমি নিজেই বিব্রত বানান নিয়ে, কিন্ত কোন সহজ সমাধান পাচ্ছি না। তবে চেস্টা আছে উন্নতির। আশা করি ভবিষ্যতে কিছুটা হলেও ভালো হবে। অনেক শুভেচ্ছা, ভালো থাকবেন।

ঋষি নারাং এর ছবি

একেবারে শে-রাকাম বর্ণনা দিলেন গো ভাইজান। কবিতাও শে-রাম খাসা হয়ে'চে'। গোটা লেখায় উৎসব-উৎসব ভাব বড়ই উপভোগ করলাম। বিয়ের আনন্দে আমিও একটা ছড়াগান লিখে ফেললাম দেঁতো হাসি
যারা ফাঁকিবাজ পাঠক, মাঝখানে লাইন বাদ দিয়া বাদ দিয়া টাইনা টাইনা পড়ে... তাদের জন্য আমার এই ছড়াগান নিষিদ্ধ কইলাম।

মালটি-এথনিক বরযাত্রী,
হর্ষে নাচে প্রাণ মম।
বাদ যাবেনা একটি শিশু
গায়ানিজ টু এসকিমো।

নাচে, গানে, অনু-"সঠানে"
চিমটি কাটিয়া দেখি।
বাস্তবের এই হেঁয়ালী আবার
হিন্দি সিনেমা নাকি?

মেয়ের বাবার ভারী গলা,
"ডেসক্রাইব ইয়োর সেল্‌ফ্‌ !"
রাতারাতি ধার্মিক হইলা
পাইলা কোথায় হেল্‌প্‌‌?

ড্রিংক কইরা চক্ষু তোমার
লাল হইছে কেন ?
মারামারি খুন-খারাবি
করছো নাকি কোনো?

পাত্র বলে "আব্বাজান !"
নেভার ডিড আই কিল
ড্রিংকিং তো একটু-আধটু
ওই টা নো-বিগ-ডিল চোখ টিপি চোখ টিপি

ধামকি মারে কনের বইন
দেখতে গাতুম-গুতুম
"আপা তোমার ফার্নিচার
গ্যারেজ সেলে বেচুম !!" অ্যাঁ অ্যাঁ

গেইট ছাইড়া, ট্যাকা নিয়া
গুনতে বইসা দেখি।
পাত্র হালায় বাটপার
ডলারে দিছে ফাঁকি !! রেগে টং রেগে টং

বিয়ের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। আপনার ছড়াটি অপুর্ব সুন্দর হয়েছে। শুভেচ্ছা রইলো, ভালো থাকবেন।

ঋষি নারাং এর ছবি

একেবারে শে-রাকাম বর্ণনা দিলেন গো ভাইজান। কবিতাও শে-রাম খাসা হয়ে'চে'। গোটা লেখায় উৎসব-উৎসব ভাব বড়ই উপভোগ করলাম। বিয়ের আনন্দে আমিও একটা ছড়াগান লিখে ফেললাম দেঁতো হাসি
যারা ফাঁকিবাজ পাঠক, মাঝখানে লাইন বাদ দিয়া বাদ দিয়া টাইনা টাইনা পড়ে... তাদের জন্য আমার এই ছড়াগান নিষিদ্ধ কইলাম।

মালটি-এথনিক বরযাত্রী,
হর্ষে নাচে প্রাণ মম।
বাদ যাবেনা একটি শিশু
গায়ানিজ টু এসকিমো।

নাচে, গানে, অনু-"সঠানে"
চিমটি কাটিয়া দেখি।
বাস্তবের এই হেঁয়ালী আবার
হিন্দি সিনেমা নাকি?

মেয়ের বাবার ভারী গলা,
"ডেসক্রাইব ইয়োর সেল্‌ফ্‌ !"
রাতারাতি ধার্মিক হইলা
পাইলা কোথায় হেল্‌প্‌‌?

ড্রিংক কইরা চক্ষু তোমার
লাল হইছে কেন ?
মারামারি খুন-খারাবি
করছো নাকি কোনো?

পাত্র বলে "আব্বাজান !"
নেভার ডিড আই কিল
ড্রিংকিং তো একটু-আধটু
ওই টা নো-বিগ-ডিল চোখ টিপি চোখ টিপি

ধামকি মারে কনের বইন
দেখতে গাতুম-গুতুম
"আপা তোমার ফার্নিচার
গ্যারেজ সেলে বেচুম !!" অ্যাঁ অ্যাঁ

গেইট ছাইড়া, ট্যাকা নিয়া
গুনতে বইসা দেখি।
পাত্র হালায় বাটপার
ডলারে দিছে ফাঁকি !! রেগে টং রেগে টং

বিয়ের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

ঋষি নারাং এর ছবি

একেবারে শে-রাকাম বর্ণনা দিলেন গো ভাইজান। কবিতাও শে-রাম খাসা হয়ে'চে'। গোটা লেখায় উৎসব-উৎসব ভাব বড়ই উপভোগ করলাম। বিয়ের আনন্দে আমিও একটা ছড়াগান লিখে ফেললাম দেঁতো হাসি
যারা ফাঁকিবাজ পাঠক, মাঝখানে লাইন বাদ দিয়া বাদ দিয়া টাইনা টাইনা পড়ে... তাদের জন্য আমার এই ছড়াগান নিষিদ্ধ কইলাম।

মালটি-এথনিক বরযাত্রী,
হর্ষে নাচে প্রাণ মম।
বাদ যাবেনা একটি শিশু
গায়ানিজ টু এসকিমো।

নাচে, গানে, অনু-"সঠানে"
চিমটি কাটিয়া দেখি।
বাস্তবের এই হেঁয়ালী আবার
হিন্দি সিনেমা নাকি?

মেয়ের বাবার ভারী গলা,
"ডেসক্রাইব ইয়োর সেল্‌ফ্‌ !"
রাতারাতি ধার্মিক হইলা
পাইলা কোথায় হেল্‌প্‌‌?

ড্রিংক কইরা চক্ষু তোমার
লাল হইছে কেন ?
মারামারি খুন-খারাবি
করছো নাকি কোনো?

পাত্র বলে "আব্বাজান !"
নেভার ডিড আই কিল
ড্রিংকিং তো একটু-আধটু
ওই টা নো-বিগ-ডিল চোখ টিপি চোখ টিপি

ধামকি মারে কনের বইন
দেখতে গাতুম-গুতুম
"আপা তোমার ফার্নিচার
গ্যারেজ সেলে বেচুম !!" অ্যাঁ অ্যাঁ

গেইট ছাইড়া, ট্যাকা নিয়া
গুনতে বইসা দেখি।
পাত্র হালায় বাটপার
ডলারে দিছে ফাঁকি !! রেগে টং রেগে টং

বিয়ের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

পাঠক Nasiruddin Ahmed এর ছবি

Lekha jemon chamatkar montobbo gulo o temoni apurba!Lekhika ebong pathak ubhoi ke anek shuveccha!

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

সময় নিয়ে পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ নাসির ভাই। ভালো থাকুন।

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

কী সুন্দর বর্ণনা!!! পড়তে খুব ভালো লাগল। চলুক

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

লেখাটি পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানবেন।

 মঞ্জুলা এর ছবি

আপনার গল্পে দেশি বিয়েতে পাশ্চাত্তের সংমিশ্রন খুব সুন্দর ফুটে উঠেছে ।

আশালতা এর ছবি

বিষয় বস্তু ভীষণ ইন্টারেস্টিং কিন্তু ক্যানভাস টি বড় হয়ে গিয়েছে মনে হল । আর একটুখানি ফোকাসড হলে আরও ভালো লাগত ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।