রাত জেগে থাকার নেশাটা ক্রমশ পেয়ে বসেছে মাদকের মতো। শেষ রাতের দিকে ক্লাসিকেল সংগীত ছেড়ে দিয়ে মনের ক্ষুধা মিটিয়ে নিচ্ছি বেশ ভালোভাবেই। এখন উল্লেখ করার মতো তেমন কোন কাজই হচ্ছে না। টুকটাক কিছু মুভি দেখা, ক্লাসে বসে গল্পের বই পড়াও কমে গেছে। অথচ এসবই ছিল আমার কাজ। ইদানীং কমে যাচ্ছে কেন এটার কোন উত্তর আমার কাছে নেই। খুব আত্মকেন্দ্রিকতায় ভুগছি বেশ কয়েকদিন ধরে। মাঝে মাঝে প্রাণের মানুষটাকেও মনে পড়ে খুব। আশা করি আজীবন এভাবেই মনে পড়তেই পড়তেই চলে যাবে, উঠে আর আসবে না।
মধ্যরাতে পেটে কিছু না পড়লে মনে হয় সারা রাতটাই বৃথা গেল। প্রতিদিনই দলবল নিয়ে খেতে বের হই প্রায় তিনশত মিটার হেঁটে পলাশীর মোড়ে। নিঃশব্দ রাতে নিয়ন আলোর নিচে হাঁটতে ভালোই লাগে। হাঁটতে হাঁটতে সামান্য সময়ের মধ্যে কতো কিছু যে মনের ভেতর এসে ভীড় করে, চিন্তা কতো কিছু নিয়ে। কিন্তু দূর্ভাগ্য হলো এই পর্যন্ত আমার কোন ভাবনাই শেষ তরীতে এসে ভীড়তে পারেনি। শেষ তরীতে ভিড়বে কি, আমার ভাবনাকে আমি তো মনেই করি না যে তরীতে উঠার যোগ্য।
মাঝে মাঝে আবার মহাপুরুষ মনে হয় নিজেকে, এটা কিন্তু আমার দোষ না। আমি ইচ্ছে করেই এমনটা করি না। কোত্থেকে যেন এই মহাপুরুষ হবার বাসনা আমার ভেতর জেগে উঠেছে! হয়তো পারিপার্শ্বিকতা! যাই হোক, এভাবেই একদিন হাঁটছিলাম যথানিয়মে। সেদিন হয়তো অনেক ভাবে ছিলাম আমি। আমি মনে করি এটা আমার একটা গুন। যেদিন আমি ভাবে থাকি সেদিন আমার চিন্তাধারা একটু জাতে আসে। আমার কাজতো নাই, কী আর করব, এভাবেই চিন্তা করেই দিন কাটে, রাতও কাটে।
চারজনের দল একসাথে হাঁটছি। দেশের কোন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে বোধহয় কথা হচ্ছিল। আমি ভাবে থাকার কারনে একটু আলাদা হাঁটছি, কারোর কোন কথা স্পষ্টভাবে কানে আসছে না। হাঁটতে হাঁটতে সাদা একটি ফ্ল্যাড লাইট থেকে নির্গত সাদা আলোর দিকে টানা তাকিয়ে রইলাম। চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে সাদা আলো। এর আগেও এই পথ দিয়ে কতো হাজার বার গিয়েছি, কখনো এই সাদা আলোটাকে এতোটা শৈল্পিক মনে হয়নি। অধিক আলোতে আসলেই চোখ বুজিয়ে আসে, শৈল্পিক একটা ব্যপার। সাথে সাথে আমার আলো নিয়ে একটা গল্প খেলে গেল মাথায়। গল্পটা শ্রদ্ধেয় জিমি ভাইয়ের কোন একটা গল্পের কিছুটা পরিবর্ধন মাত্র। তবে আমার এই গল্পটা খারাপ হলে কিন্তু এর জন্য জিমি ভাই দায়ী নয়। গল্পটা হচ্ছে এমন, কালো কাপড়ে চোখ-ঢাকা অবস্থায় একজন একাকী একটা রাস্তায় হাঁটছে। রাস্তার প্রথম প্রান্ত থেকে শেষপ্রান্ত পর্যন্ত পুরো রাস্তাজুড়েই আলো। আলোর তীব্রতা প্রথম প্রান্ত থেকে শেষপ্রান্ত পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে বেড়েছে, যেন আলোর অনেকগুলো স্তর আলো বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় নেমেছে। শেষপ্রান্তে সবচেয়ে বেশি আলো। কিন্তু রাস্তাটার শেষপ্রান্তের পর কিছুই নেই, গাঢ় অন্ধকার, শুন্য। চোখ-ঢাকা অবস্থায় সেই একজন হেঁটে চলেছে রাস্তায়। শেষপ্রান্তে এসে পা বাড়াতেই সে অন্ধকারে তলিয়ে গেল, হারিয়ে গেল শুন্যে।
অন্য আরেকজন একইভাবে একই রাস্তায় হাঁটছে। তবে তার চোখ কালো কাপড়ে ঢাকা নয়, চোখ খোলা। তার চোখদুটি আলোতে ভীষণ মজা পাচ্ছিল। আরো আলোর নেশায় সে এগুতে লাগল সামনে। তার চোখ বুজে যেতে শুরু করল আলোর শুভ্র মায়ায়। কিছুদুর এগিয়ে সে আর চোখ খোলা রাখতে পারছিল না। আলোর তীব্রতা এতো বেশি যে তার চোখ জ্বালিয়ে দিচ্ছিল। তখন সে আর আগায়নি, বরং কিছুটা পথ পিছনে এসে আলোর শুভ্র মায়া উপভোগ করতে শুরু করল। শান্তি, কি শান্তি! গল্প শেষ।
জানিনা গল্পটা কেমন, কিন্তু আমার কাছে এই গল্পের অনেক অর্থবহ গুরুত্ব আছে। গল্পটা ভাবতে ভাবতে পলাশীর মোড়ে এসে পড়েছি। শরীফকে ডিম পাটোয়ারীর কথা বলে আমি বসে পড়লাম বেঞ্চে। বাকি তিনজন থেকে একটু আলাদাই বসেছি। শৌখিন ভাবুক মানুষকে ভাবনায় পেয়েছে। ঘাড় ঘুরিয়ে ডানে তাকিয়ে খেয়াল করে দেখি রাস্তায় কাজ করছে কিছু শ্রমিক। রাস্তার নিচ দিয়ে চলে যাওয়া কোন পাইপের মেরামত হবে নিশ্চয়। হয়তো ফাটল ধরেছে পাইপে কিংবা মরিচার আক্রমণ, নতুন পাইপও বসাতে পারে। ক্যামেরার অভাব অনুভব করছিলাম সেই মুহুর্তে, ভালো কিছু ফ্রেম পাওয়া যেত। এক বৃদ্ধ ও এক মধ্য বয়সী এই দুজনই এ দলের প্রধান বলে ধরে নিলাম। বৃদ্ধ লোকটা একটা ধারালো কিছু (নাম জানা নেই) ধরে আছে মাটির সাথে লম্বালম্বিভাবে। মধ্যবয়সী লোকটা ও আরেক তরুণ শ্রমিক এর উপর মাস্তুল চালিয়ে যাচ্ছে তালে তালে। আর ধারালো জিনিসটা ক্রমান্বয়ে রাস্তা ফুঁটো করে ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে। যারা দেখেছে তারা বুঝতে পারবে ব্যপারটা কতোটা শৈল্পিক। আমি খেয়াল করলাম যারা তালে তালে মাস্তুল ফেলছিল তারা ধারালো জিনিসটার উপর লম্বালম্বিভাবে মাস্তুলটা ফেলছিল। পরে আমি তাদের জিজ্ঞেস করে এটা নিশ্চিতও হয়েছি। কারনটা আমাদের জানা, আড়াআড়িভাবে কোন বস্তুর উপর সর্বোচ্চ বল প্রয়োগ সম্ভব ন্নয়, লম্বালম্বিতেই সর্বোচ্চ। তারা বিষয়টা না জানলেও বুঝে। কিন্তু ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে ধারালো জিনিসটি অবচেতনভাবে কিছুটা ইনক্লাইন্ড হয়ে যাচ্ছিল। আমি ভাবলাম, আমাদের জীবনও বোধহয় এমন। কোন কিছুতেই আমরা নিজেদের খাড়া রাখতে পারি না। কিছুটা কিংবা অনেকটা, হয়তো পুরোটাই ইনক্লাইন্ড হয়ে পড়ি পারিপার্শ্বিকতার ভারে, অবচেতনভাবে।
ডিম পাটোয়ারী শেষ করে চা-বিড়ি গিলতে গেলাম মানিক মামার দোকানে। বাকি তিনজন থেকে আলাদা হয়ে একটু অন্ধকারের দিকে এসে একা বসে পড়েছি। চা-বিড়ি গিলতে গিলতে নিজেকে মহাপুরুষ ভাবা শুরু করে দি্যেছি ইতোমধ্যে। আশেপাশে তাকালাম। নিয়ন আলোর মনমাতানো সুর, বিচ্ছিন্ন কিছু আড্ডার গ্রুপ, রাস্তার মোড়ের এককোণে পুলিশের গাড়ী, আরেকপাশে কোন টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকের গাড়ী, মানিক মামার চায়ের কেটলী থেকে উড়ে যাওয়া ধোঁয়া, নিজের ছায়ার সাথে কিছুক্ষণ ছায়াবাজী, সবকিছুই আমাকে ছুঁয়ে যাচ্ছিল। সবকিছুই আমার চারপাশ। পলাশীর মোড়ে কোন এক রাতে রিকশাওয়ালা রুবেলের সাথে পরিচয় হয়েছিল। অসাধারণ হেমন্তের গান গায় সে। তাকে খুব মিস করছিলাম সেদিন।
চা-বিড়ি শেষ করে নিজের রুমে ফেরা হলো। রুমে এসে শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলাম পুরো যাত্রাটা। তারপর হঠাৎ উঠে বসে একটা গল্প লেখা শুরু করে দিলাম। গল্পের নাম ‘ইনক্লাইন্ড’।
মন্তব্য
আপনি দেখি আমার মতই ভাবুক। ভাবনার অলিগলি গুলো খুব সুন্দ্রভাবে লিখেছেন। মুগ্ধ হয়ে পড়লাম।
ভাবুক না শৌকিন ভাবুক। আমিও মুগ্ধ আপনার মুগ্ধ হওয়া দেখে।
ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ
হুম। কিন্তু, লেখকের নাম কই? শ্রদ্ধেয় 'জিমি ভাই'জান কে?
মধ্যরাতের ক্ষিদে বড়ই মারাত্মক। কিন্তু তাই বলে নিয়মিত পলাশীর মোড়ে ডিম পাটোয়ারী খেতে যাবেন না। আঁতে বাত লেগে যেতে পারে। তবে নিয়মিত লিখতে থাকুন। শুভকামনা রইল।
লেখকের নাম আদু ভাই। জিমি ভাইজান হচ্ছেন আমার প্রিয় একজন বড় ভাই।
আর ক্ষিধে যেহেতু লাগেই সেহেতু খেয়েই যাব। ধন্যবাদ
জিমি ভাইজানটি কে? কোন ব্যাচ কোন ডিপার্টমেন্ট।
ইন্টারেস্টিং
ভাবও আছে।
মাঝ রাতে কি পলাশীতে শ্রমিকেরা কাজ করে? অনেক স্মৃতি হাতড়ে ও নিশ্চিত হতে পারছি না, উল্টো মানিকের চায়ের গন্ধ পাচ্ছি।
মাঝ রাতে কি পলাশীতে শ্রমিকেরা কাজ করে? অনেক স্মৃতি হাতড়ে ও নিশ্চিত হতে পারছি না, উল্টো মানিকের চায়ের গন্ধ পাচ্ছি।
মাঝ রাতে কি পলাশীতে শ্রমিকেরা কাজ করে? অনেক স্মৃতি হাতড়ে ও নিশ্চিত হতে পারছি না, উল্টো মানিকের চায়ের গন্ধ পাচ্ছি।
হ্যাঁ, রাস্তা ঠিক করার জন্য একদিন করেছিল। আমিতো দেখেছি। আপনার ভাগ্য খারাপ, মিস করেছেন।
ধন্যবাদ
মহাপুরুষ মনে হওয়া এবং চা-বিড়ি গেলা চালু থাকুক।
লেখনী জোর কদমে এগিয়ে যাক আলোর দিকে মানে এমনতর ভাব আসতেই থাকুক!!!!!
ধন্যবাদ ধন্যবাদ। তবে আলোর মাত্রা ছাড়াতে চাই না।
পড়লাম। আচ্ছা আদুভাই, ডিম পাটোয়ারী জিনিসটা কি? এহো জেন্দেগানীতে এই জিনিসের নামটা শুনি নাই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হে হে হে...... "ডিম পাটোয়ারী" জিনিসটা সম্ভবত পলাশী, বকশীবাজার আর চাঙ্খারপুল এলাকার একটা ইউনিক রেসিপি। এটাকে এক কথায় ডিমপোচ আর ওম্লেট এর হাইব্রিড বলতে পারেন। প্রায় দুইবছর হয় খাই না...
এই সুস্বাদু খাবারটি মিডনাইট মিল হিসাবে অসাধারন। খুব বেশী খাওয়ার ইচ্ছা থাকলে আওয়াদ দিয়েন...আপ্নার সাথে আমিও যামুনে। আর গভির রাতে পুরান রুম ভিজিটটা বোনাস।
ভাই আপনি কেঠা? জানিতে বড়ই ইচ্ছে হচ্ছে।
এই অধম হচ্ছে ব্যাচ '০২ এর স্থাপত্য বিভাগের প্রডাক্ট - একজন স্থপতি। নাম- এস এম আনিসুল হক জ্যোতি। '০৩ থেকে '০৭ পর্যন্ত আমার ডিপার্টমেন্টের পোলাপাইনের কাছে আমি আহসানুল্লাহ হল এর জ্যোতিদা নামেই পরিচিত। আর আপনার মতই পলাশী আর বকশিবাজার আমার ও খুব কাছের।
ইইইশ...কত্তো দিন ডিম পাটোয়ারী আর ভাঙ্গা পরোটা খাই না......
শুভ কামনা রইল।
প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় একটি তথ্য জানিয়ে রাখি। "ডিম পাটোয়ারী" বা "পাটোয়ারী মামলেট"-এর আবিষ্কারক জনাব শামসুল আলম পাটোয়ারী, ১৯৮৬ ব্যাচ, সিএসই। সোহরাওয়ার্দী হলের ক্যান্টিনের কিচেনে এই বস্তু প্রথম বানানো হয় এবং আস্তে আস্তে এর জনপ্রিয়তা বাড়তে বাড়তে বাইরেও প্রচলিত হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমি সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক ছাত্র হয়ে গর্ব অনুভব করছি।
আর তথ্যটা জানানোর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে, ষষ্ঠ পাণ্ডব।
ভালো তথ্য। তবে ডঃ আব্দুর রশিদ হলে যে ডিম পাটোয়ারী খাই, তা তো পুরাই অমলেট মনে হয়। পলাশী রাতের বারোটায় যেটা খাওয়া হয় সেটার স্বাদটা অবশ্য আলাদা।
খাইছে!!! বুয়েটেই ইহার উৎপত্তি!!! তাও আবার সিএসইয়ান!!!! বিরল তথ্য জানালেন ভাইয়া, বিস্মিত হলাম।
বিস্মিত হবার কিছু নাই। আমি ঐ আমলের মানুষ, সোহরাওয়ার্দী হলের বোর্ডার ছিলাম, শামসুল আলম পাটোয়ারী ভাইকেও চিনি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
। রুম পেয়েও হলে উঠি নাই ভাইয়া, পরে জরিমানা দিয়ে হলে থাকার চিন্তা বাদ দিছি!! এবং এখন বুঝি এটা ভুল ছিল। অনুজদের(ছাত্র) সব সময় বলি হলে সিট নেওয়ার জন্য। সমস্যাগুলোর একটি মুখ্য হল>> ক্লাসের বাইরে আমাকে কেউ চিনে না, আমিও কাউকে(সিনিয়র, জুনিয়র, সহব্যাচ) চিনি না!! আরো কিছু বড় সমস্যা আছে।
হলে থাকা উচিৎ!!
বিশাল ভুল
আমার কাছে তাইই মনে হয় ভাই!!
উত্তরটা খন্ডত ‘ত’ সাহেব দিয়ে দিয়েছেন। আপনিও আসতে পারেন খেতে, অসাধারণ
উত্তরটা খন্ডত ‘ত’ সাহেব দিয়ে দিয়েছেন। আপনারও আমন্ত্রণ
ভালো লেগেছে।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
ধন্যবাদ
মাঝ রাতেই বুঝি এত চমৎকার লেখা বের হয়। পড়তে পড়তে দৃশ্যগুলো চাক্ষুস করলাম যেন। সাথে ক্যামেরা থাকলে দারুণ হতো আরো।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
লেখাটা খুব ভালো লেগেছে......
ধণ্যবাদ ভাইয়া......
পাঠকপ্রণব কি বুয়েটের প্রণব দাস?? খুব ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ।
আদু ভাই কি বুয়েট ড্রামা সোসাইটির সাথে জড়িত কোনভাবে ??
নতুন মন্তব্য করুন